Sunnah Medicare

Sunnah Medicare INTEGRATIVE MEDICAL & HEALTH SERVICES BY B N T E X G L O B A L

হয়ত মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা হেদায়েত দিবেন কিংবা শাস্তি দিবেন জন্যই আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন...
28/08/2025

হয়ত মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা হেদায়েত দিবেন কিংবা শাস্তি দিবেন জন্যই আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। কেননা, কোন সতর্ককারী প্রেরণ না করে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সাধারণত শাস্তি দেন না।

ফ্যাক্টঃ বাংলাদেশে সরকারী, আধা-সরকারী বা সমগোত্রীয় চাকরীগুলোতে পেনশনের যে টাকা দেয়া হয় তাতে সুদের টাকা মিশ্রিত থাকে। আর সুদ অবশ্যই হারাম।

কিভাবে জানবোঃ এটা মূলত প্রত্যেক পদের বিস্তারিত বিবরণে কিংবা সংশ্লিষ্ট চাকুরীর কাগজপত্রে কিংবা টাকা গ্রহণের সময় স্বাক্ষরকৃত কাগজপত্রে শতকরা হিসেবসহ স্পষ্ট উল্লেখ থাকে। (সুতরাং অস্বীকার করার কোনই উপায় নেই)

সমাধানঃ হারাম থেকে বাঁচতে হলে এই সুদের টাকা অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে, কিংবা সওয়াবের আশা ছাড়াই দান করে দিতে হবে।

বি।দ্র। আমাদের পছন্দ অনুযায়ী ইসলাম চলবে না, বরং ইসলামের বিধান অনুযায়ী আমাদের পছন্দ ও কাজ-কর্মকে শুদ্ধ করতে হবে। এগুলোই দুনিয়ার পরীক্ষা আর যার ফলাফল জান্নাত কিংবা জাহান্নাম।

“নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত”। (সূরা আত-তওবা, আয়াত ১১১)

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ মহান আল্লাহ যদি কারও শাস্তি আর অবাধ্যতা অবধারিত করেন, তবে তাকে বুঝানোর ক্ষমতা আমাদের কেন-স্বয়ং রসূল (স) এরও ছিল না।

فَاِنۡ عَصَوۡكَ فَقُلۡ اِنِّیۡ بَرِیۡٓءٌ مِّمَّا تَعۡمَلُوۡنَ
তারপর যদি তারা তোমার অবাধ্য হয়, তাহলে বল, ‘তোমরা যা কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত’। (আল কুর’আন-২৬, ২১৬)

রেফারেন্সসমূহঃ

«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اتَّقُوْا اللهَ وَذَرُوْا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِيْنَ، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوْا فَأْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَرَسُوْلِهِ»

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ তা‘আলাকে ভয় করো এবং সুদের যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন করো যদি তোমরা মু’মিন হওয়ার দাবি করে থাকো। আর যদি তোমরা তা না করো তাহলে আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও’’। (সূরা বাক্বারাহ্ : ২৭৮-২৭৯)

‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত (অভিসম্পাত) করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার (প্রকারের) ব্যক্তিসমূহকে। তারা হচ্ছে: সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের লেনদেনের সাক্ষী যারা থাকে ! (সহীহ মুসলিম-৩৯৮৫)

لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ، وَقَالَ: هُمْ سَوَاءٌ.

‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত (অভিসম্পাত) করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার (প্রকারের) ব্যক্তিসমূহকে। তারা হচ্ছে: সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন: তারা সবাই সমপর্যায়ের দোষী’’।
(মুসলিম ১৫৯৮; তিরমিযী ১২০৬; আবূ দাউদ ৩৩৩৩; ইবন মাজাহ্ ২৩০৭; ইবন হিববান ৫০২৫; আহমাদ ৬৩৫, ৬৬০, ৮৪৪, ১১২০, ১২৮৮, ১৩৬৪, ৩৭২৫, ৩৭৩৭, ৩৮০৯, ৪৩২৭, ১৪৩০২)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:

الرِّبَا ثَلَاثَةٌ وَّسَبْعُوْنَ بَابًا، وَفِيْ رِوَايَةٍ: حُوْبًا، أَيْسَرُهَا مِثْلُ أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ، وَإِنَّ أَرْبَى الرِّبَا عِرْضُ الرَّجُلِ الْـمُسْلِمِ.

‘‘সুদের তিয়াত্তরটি গুনাহ্ রয়েছে। তার মধ্যে সর্বনিম্ন গুনাহ্ হচ্ছে, কোন ব্যক্তির নিজ মায়ের সঙ্গে ব্যভিচার করার সমতুল্য গুনাহ্। (ইবন মাজাহ্ ২৩০৪, ২৩০৫; হা’কিম : ২/৩৭ সাহীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৩৫৩৩)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:

دِرْهَمُ رِبَا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَّثَلَاثِيْنَ زَنْيَةً.

‘‘সুদের একটি টাকা জেনেশুনে খাওয়া ছত্রিশবার ব্যভিচার চাইতেও মারাত্মক’’। (আহমাদ : ৫/২২৫ সাহীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৩৩৭৫)

***সুদের সম্পদ যত বেশিই হোক না কেন তাতে কোন বরকত নেই***

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«يَمْحَقُ اللهُ الرِّبَا وَيُرْبِيْ الصَّدَقَاتِ، وَاللهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيْمٍ»

’’আল্লাহ্ তা‘আলা সুদে কোন বরকত দেন না। তবে তিনি দানকে অবশ্যই বাড়িয়ে দেন। বস্ত্তত: আল্লাহ্ তা‘আলা প্রত্যেক কৃতঘ্ন পাপীকে ভালোবাসেন না’’। (বাক্বারাহ্ : ২৭৬)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

الرِّبَا وَإِنْ كَثُرَ فَإِنَّ عَاقِبَتَهُ تَصِيْرُ إِلَى قُلٍّ.

‘‘সুদ যদিও দেখতে বেশি দেখা যায় তার পরিণতি কিন্তু ঘাটতির দিকেই’’। (হা’কিম : ২/৩৭ সাহীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৩৫৪২; ইবন মাজাহ্ ২৩০৯)

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«الَّذِيْنَ يَأْكُلُوْنَ الرِّبَا لَا يَقُوْمُـوْنَ إِلاَّ كَمَا يَقُوْمُ الَّذِيْ يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْـمَسِّ، ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوْا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا، وَأَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا»

‘‘সুদখোররা (কিয়ামতের দিন) শয়তানে ধরা ব্যক্তির ন্যায় মোহাবিষ্ট হয়ে দাঁড়াবে। আর তা এ কারণেই যে, তারা বলে: ব্যবসা তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম’’। (সূরা বাক্বারাহ্ : ২৭৫)

আল্লাহ্ তা‘আলা অন্য আয়াতে বলেন:

«وَإِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُؤُوْسُ أَمْوَالِكُمْ، لَا تَظْلِمُوْنَ وَلَا تُظْلَمُوْنَ، وَإِنْ كَانَ ذُوْ عُسْرَةٍ فَنَظِرَةٌ إِلَى مَيْسَرَةٍ، وَأَنْ تَصَدَّقُوْا خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ»

‘‘আর যদি তোমরা সুদ খাওয়া থেকে তাওবা করে নাও তা হলে তোমাদের জন্য রয়েছে শুধু তোমাদের মূলধনটুকু। তোমরা কারোর উপর অত্যাচার করবে না এবং তেমনিভাবে তোমাদের উপরও কোন অত্যাচার করা হবে না। আর যদি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি খুব অভাবগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে তার স্বচ্ছলতার প্রতীক্ষা করো। আর যদি তোমরা তোমাদের মূলধনটুকুও দরিদ্র ঋণগ্রস্তদেরকে দান করে দাও তা হলে তা হবে তোমাদের জন্য আরো কল্যাণকর। যদি তোমরা তা জানো বা বুঝে থাকো তা হলে তা অতিসত্বর বাস্তবায়ন করো’’। (সূরা বাক্বারাহ্ : ২৭৯-২৮০)

সুদ খাওয়া, খাওয়ানো, লেখা ও সে ব্যাপারে সাক্ষী দেয়া যেমন হারাম অথবা কবীরা গুনাহ্ তেমনিভাবে সুদী ব্যাংকে টাকা রাখা, পাহারাদারি করা অথবা সুদী ব্যাংকের সাথে জড়িত থাকা কিংবা যে কোন ধরনের লেনদেন করাও শরীয়ত বিরোধী কাজ তথা অবৈধ।

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«تَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى، وَلَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ، وَاتَّقُوْا اللهَ، إِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ»

‘‘তোমরা নেক কাজ ও আল্লাহ ভীরুতায় পরস্পরকে সহযোগিতা করো। তবে পাপাচার ও অত্যাচার করতে কাউকে সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তিনি কঠিন শাস্তিদাতা’’। (সূরা মা’য়িদাহ্ : ২)

***সুদের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তারা অবশ্যই যালিম***

আর-

وَ لَا تَحۡسَبَنَّ اللّٰهَ غَافِلًا عَمَّا یَعۡمَلُ الظّٰلِمُوۡنَ ۬ؕ اِنَّمَا یُؤَخِّرُهُمۡ لِیَوۡمٍ تَشۡخَصُ فِیۡهِ الۡاَبۡصَارُ ﴿ۙ۴۲﴾

যালিমরা যা করছে সে ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে কক্ষনো উদাসীন মনে কর না। তিনি তাদেরকে সেদিন পর্যন্ত ঢিল দিচ্ছেন যেদিন ভয়ে আতঙ্কে চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। (সূরা ইবরাহীম আয়াতঃ ৪২)

আল্লাহ্ তা‘আলা পবিত্র এবং তিনি একমাত্র পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করে থাকেন। আর সুদ হচ্ছে অপবিত্র। সুতরাং তিনি তা কখনোই গ্রহণ করবেন না। সুদের টাকা খাদ্য, পানীয়, পোশাক-পরিচ্ছদ, গাড়ি, বাড়ি ইত্যাদির খাতে অথবা স্ত্রী-সন্তান এবং মাতা-পিতার ভরণ-পোষণ তথা কোন কাজেই ব্যয় করা যাবে না। তেমনিভাবে হজ্জ্ব কিংবা যাকাত আদায়সহ এরকম কোনক্ষেত্রেই তা ব্যয় করা যাবে না।

পুনশ্চঃ মানুষকে খুশি করা আমাদের কাজ নয়(!) আমাদের কাজ মহান আল্লাহকে খুশি করা, তাঁর সত্য বাণী পৌঁছিয়ে দেয়া পর্যন্তই। নিজের পছন্দ না হলেও মহান আল্লাহর বিধান অন্তরে মেনে নেয়া-মুখে স্বীকার করা ও সে অনুযায়ী আমল করার নামই প্রকৃত ঈমান, আর যারা এটা করতে পারবে তারাই মূলত মুসলিম।

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوۡتُنَّ اِلَّا وَ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ
(সূরা আল ইমরান, আয়াত ১০২)

الله أعلم

“যোগ্যতা থাকলেই টাকা দিয়ে চাকরী নেয়া যাবে”-এটা একটা মিথ্যে ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়! শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিটিই যে উক্ত পদের ...
17/08/2025

“যোগ্যতা থাকলেই টাকা দিয়ে চাকরী নেয়া যাবে”-এটা একটা মিথ্যে ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়! শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিটিই যে উক্ত পদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি, সেটার প্রমাণ কী?

একটা চাকরী পরীক্ষায় কমপক্ষে ২/৩ জন(বা তারও বেশী)চূড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এখন একজন যদি টাকা দিয়ে চাকরী নেয়, তবে রোজ হাশরে তাকে প্রমাণ করতে হবে সে বাকী সবার চাইতে অধিক যোগ্য ছিল এই চাকরীর জন্য। অন্যথায় বান্দার হক নষ্ট করার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে শাস্তি পেতে হবে ইন শা আল্লাহ । আর এটা নিঃসন্দেহেই মিথ্যে-ধোঁকা-প্রতারণার শামিল, যা মূলত সে নিজের বিবেকের সাথে ও একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য সবার সাথেও করে থাকে !

এখন, চাকরী নাহয় টাকা দিয়েই নিয়েছে কিন্তু সে তো সময়, মেধা আর পরিশ্রম দিয়েই উপার্জন করে-সেটা তো অবশ্যই হালাল। সুদী ব্যাংকে যে কাজ করে সেও বলে-আমি তো নিজে সুদ খাই না, সারাদিন সময়, মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে উপার্জন করি-সেগুলোর একটা মূল্য আছে না?

“চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারীসহ সকল অন্যায়কারীরাও তাদের সময়-মেধা-পরিশ্রম দিয়েই উপার্জন করে থাকে !” এজন্য তাদের উপার্জন কখনো হালাল হয়ে যায় না কি ?! (নেক সুরতে শয়তানের ধোঁকা)

ইবাদাত কবুলের প্রধাণ শর্ত-নিজে পবিত্র হওয়া, হালাল উপার্জনের হালাল খাবার ভক্ষণ করা ও হালাল উপার্জনের পবিত্র পোশাক হালাল উপায়ে পরিধান করা। বান্দা যত কষ্ট করেই ইবাদাত করুক না কেন, উপরোক্ত শর্ত পালন ব্যতিরেকে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় ইন শা আল্লাহ ।

রসূল (স) বলেছেন, যে প্রতারণা করে বা ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের মধ্যে গণ্য হবে না।’ (রেফারেন্সঃ সহীহ মুসলিম ১০২, মিশকাত)

তিনি আরও বলেন-من غشنا فليس منا : ‘যে ধোঁকা দেয়; সে আমাদের (মুসলিম) অন্তর্ভূক্ত নয়।’ (রেফারেন্সঃ সহীহ মুসলিম, ১৮৪-১৬৪/১০১)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ধোঁকা ও চালবাজ জাহান্নামে যাবে।’ (রেফারেন্সঃ তাবারানির কাবির ও সাগির, ইবনে হিব্বান)

***যেখানে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতারক ব্যক্তিকে তার উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। একজন মুমিন বান্দার জন্য এর চেয়ে বড় ক্ষতিকর বিষয় আর কী হতে পারে?***

মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আরও বলেছেন:
يَا عِبَادِي إِنِّي حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِي وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا فَلاَ تَظَالَمُوا
“হে আমার বান্দাগণ! আমি যুলুমকে আমার জন্য হারাম করে দিয়েছি, আর তা তোমাদের মধ্যেও হারাম করে দিয়েছি; অতএব তোমরা একে অপরের উপর যুলুম করো না।” রেফারেন্সঃ ৬৪৬৬-(৫৫/২৫৭৭-সহীহ মুসলিম)

باب تَحْرِيمِ الظُّلْمِ ‏‏
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ وَلاَ مَتَاعَ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَةٍ وَصِيَامٍ وَزَكَاةٍ وَيَأْتِي قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا وَأَكَلَ مَالَ هَذَا وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْضَى مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏
حدثنا قتيبة بن سعيد، وعلي بن حجر، قالا حدثنا اسماعيل، - وهو ابن جعفر - عن العلاء، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اتدرون ما المفلس ‏"‏ ‏.‏ قالوا المفلس فينا من لا درهم له ولا متاع ‏.‏ فقال ‏"‏ ان المفلس من امتي ياتي يوم القيامة بصلاة وصيام وزكاة وياتي قد شتم هذا وقذف هذا واكل مال هذا وسفك دم هذا وضرب هذا فيعطى هذا من حسناته وهذا من حسناته فان فنيت حسناته قبل ان يقضى ما عليه اخذ من خطاياهم فطرحت عليه ثم طرح في النار ‏"‏ ‏.‏

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা কি বলতে পার, অভাবী লোক কে? তারা বললেন, আমাদের মাঝে যার দিরহাম (টাকা কড়ি) ও ধন-সম্পদ নেই সে তো অভাবী লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মাতের মধ্যে সে প্রকৃত অভাবী লোক, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সালাত, সাওম ও যাকাত নিয়ে আসবে; অথচ সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে অপবাদ দিয়েছে, অমুকের সম্পদ ভোগ করেছে, অমুককে হত্যা করেছে ও আরেকজনকে প্রহার করেছে (বান্দার হক সংশ্লিষ্ট অন্যায় করেছে)। এরপর সে ব্যক্তিকে তার নেক ’আমল থেকে দেয়া হবে, অমুককে নেক আমল থেকে দেয়া হবে। এরপর যদি পাওনাদারের হক তার নেক ’আমল থেকে পূরণ করা না যায় সে ঋণের পরিবর্তে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
সহীহ মুসলিম ৬৪৭৩-(৫৯/২৫৮১ (ইক ফা ৬৩৪৩, ইক সে ৬৩৯৩)

রসূল (সা) বলেন, “তুমি মানুষকে ক্ষতি করা থেকে দূরে থাকবে-সেটাই হবে তোমার পক্ষ থেকে তোমার জানের সাদাকাহ”
تَدَعُ النَّاسَ مِنْ الشَّرِّ فَإِنَّهَا صَدَقَةٌ تَصَدَّقُ بِهَا عَلَى نَفْسِكَ
রেফারেন্সঃ সহীহ বুখারি ২৫১৮

আর যারা যুলম করেছে তোমরা তাদের পক্ষ অবলম্বন করো না; অন্যথায় আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক থাকবে না। অতঃপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না। [সূরা হূদ, আয়াত ১১৩]

হে মুমিনগণ! তোমরা যথার্থভাবে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং তোমরা মুসলিম (পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণকারী) না হয়ে কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করো না।
[সূরা আল-ইমরান, আয়াতঃ ১০২]

আমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সৎ পথে পরিচালিত করতে পারতাম; কিন্তু আমার এ কথা অবশ্যই সত্যঃ আমি নিশ্চয়ই জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করব। [সূরা আস সাজদাহ, আয়াত ১৩]

سيأتي عليهم زمان إن خالفوا أمر الله قالوا: الله غفور رحيم، وإذا فعلوا ما نهى الله عنه قالوا: لولا أن أشركنا لغفر لنا، وإن كل ما يقولونه غرور أمل لا حقيقة له.

“শিগগিরই এমন যুগ আসবে যখন আল্লাহর কোন আদেশ না মানতে পারলে তারা বলবে, “আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”
আবার যখন আল্লাহর নিষিদ্ধ কোন কাজ করবে তখন বলবে, “আমরা আল্লাহর সাথে শিরক না করলেই তো হল, আমাদের সব(গুণাহ) ক্ষমা করে দেয়া হবে”।
আফসোস ! তাদের (এ) সব কিছু আশার ছলনা, সত্যের লেশমাত্র নেই "!
রেফারেন্সঃ আয-যুহদ, ইমাম আহমদ (১৭১৪)

الله أعلم

ইতিহাস প্রমাণ করেঃ কাফির-মুনাফিকেরাও মহান আল্লাহকে বিশ্বাস করতো, স্বীকার করতো। কিন্তু রসূল (স) এর মাধ্যমে আসা মহান আল্লা...
13/08/2025

ইতিহাস প্রমাণ করেঃ কাফির-মুনাফিকেরাও মহান আল্লাহকে বিশ্বাস করতো, স্বীকার করতো। কিন্তু রসূল (স) এর মাধ্যমে আসা মহান আল্লাহর বিধান, যে বিধান সকল অন্যায়-অপরাধ-অত্যাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে, সেই বিধান মানতেই তাদের যত সমস্যা ছিল। ঠিক যেমনটা এখনকার অধিকাংশ মুসলিম নামধারীদের মাঝেও রয়েছে !

নামের শুরুতে “মোঃ” কিংবা নামের শেষে “ইসলাম” নামধারী অসংখ্য মানুষও সেদিন জাহান্নামে থাকবে ইন শা আল্লাহ।

নামে কিংবা বংশানুক্রমে কখনো মুসলিম হওয়া যায় না, মুসলিম হতে হয় কাজে-কর্মে-আখলাকে।

مَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نسبه» . رَوَاهُ مُسلم
আর যার ’আমল তাকে পিছিয়ে দেয় তার বংশ-পরিচয় তাকে এগিয়ে দিতে পারে না। (সহীহ : মুসলিম ২৬৯৯)

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوۡتُنَّ اِلَّا وَ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ
হে মুমিনগণ! তোমরা যথার্থভাবে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা মুসলিম (আল্লাহর বিধানের কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণকারী) না হয়ে কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করো না। [সূরাঃ আল-ইমরান, আয়াতঃ ১০২]

وَ لَوۡ شِئۡنَا لَاٰتَیۡنَا كُلَّ نَفۡسٍ هُدٰىهَا وَ لٰكِنۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ مِنِّیۡ لَاَمۡلَـَٔنَّ جَهَنَّمَ مِنَ الۡجِنَّۃِ وَ النَّاسِ اَجۡمَعِیۡنَ
আমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সৎ পথে (সঠিক পথ) পরিচালিত করতে পারতাম; কিন্তু আমার এ কথা অবশ্যই সত্যঃ আমি নিশ্চয়ই জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করব। [সূরা আস সাজদাহ, আয়াত ১৩]

মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আরও বলেছেন:
يَا عِبَادِي إِنِّي حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِي وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا فَلاَ تَظَالَمُوا
“হে আমার বান্দাগণ! আমি যুলুমকে আমার জন্য হারাম করে দিয়েছি, আর তা তোমাদের মধ্যেও হারাম করে দিয়েছি; অতএব তোমরা একে অপরের উপর যুলুম করো না।” রেফারেন্সঃ ৬৪৬৬-(৫৫/২৫৭৭-সহীহ মুসলিম)

باب تَحْرِيمِ الظُّلْمِ ‏‏
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ وَلاَ مَتَاعَ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَةٍ وَصِيَامٍ وَزَكَاةٍ وَيَأْتِي قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا وَأَكَلَ مَالَ هَذَا وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْضَى مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏
حدثنا قتيبة بن سعيد، وعلي بن حجر، قالا حدثنا اسماعيل، - وهو ابن جعفر - عن العلاء، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اتدرون ما المفلس ‏"‏ ‏.‏ قالوا المفلس فينا من لا درهم له ولا متاع ‏.‏ فقال ‏"‏ ان المفلس من امتي ياتي يوم القيامة بصلاة وصيام وزكاة وياتي قد شتم هذا وقذف هذا واكل مال هذا وسفك دم هذا وضرب هذا فيعطى هذا من حسناته وهذا من حسناته فان فنيت حسناته قبل ان يقضى ما عليه اخذ من خطاياهم فطرحت عليه ثم طرح في النار ‏"‏ ‏.‏

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা কি বলতে পার, অভাবী লোক কে? তারা বললেন, আমাদের মাঝে যার দিরহাম (টাকা কড়ি) ও ধন-সম্পদ নেই সে তো অভাবী লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মাতের মধ্যে সে প্রকৃত অভাবী লোক, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সালাত, সাওম ও যাকাত নিয়ে আসবে; অথচ সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে অপবাদ দিয়েছে, অমুকের সম্পদ ভোগ করেছে, অমুককে হত্যা করেছে ও আরেকজনকে প্রহার করেছে (বান্দার হক সংশ্লিষ্ট অন্যায় করেছে)। এরপর সে ব্যক্তিকে তার নেক ’আমল থেকে দেয়া হবে, অমুককে নেক আমল থেকে দেয়া হবে। এরপর যদি পাওনাদারের হক তার নেক ’আমল থেকে পূরণ করা না যায় সে ঋণের পরিবর্তে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
সহীহ মুসলিম ৬৪৭৩-(৫৯/২৫৮১ (ইক ফা ৬৩৪৩, ইক সে ৬৩৯৩)

سيأتي عليهم زمان إن خالفوا أمر الله قالوا: الله غفور رحيم، وإذا فعلوا ما نهى الله عنه قالوا: لولا أن أشركنا لغفر لنا، وإن كل ما يقولونه غرور أمل لا حقيقة له.

“শিগগিরই এমন যুগ আসবে যখন আল্লাহর কোন আদেশ না মানতে পারলে তারা বলবে, “আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”
আবার যখন আল্লাহর নিষিদ্ধ কোন কাজ করবে তখন বলবে, “আমরা আল্লাহর সাথে শিরক না করলেই তো হল, আমাদের সব(গুণাহ) ক্ষমা করে দেয়া হবে”।
আফসোস ! তাদের (এ) সব কিছু আশার ছলনা, সত্যের লেশমাত্র নেই "!
রেফারেন্সঃ আয-যুহদ, ইমাম আহমদ (১৭১৪)

اَللّٰهُ أَعْلَم

প্রশ্নঃ এখন ঘরে ঘরে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি-এসবের কার্যকরী সমাধান কী?উত্তরঃ জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই ঔষধের দোকান থেকে এন্টিবায়ো...
05/08/2025

প্রশ্নঃ এখন ঘরে ঘরে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি-এসবের কার্যকরী সমাধান কী?

উত্তরঃ জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই ঔষধের দোকান থেকে এন্টিবায়োটিক বা অন্য যেকোন ঔষধ নিয়ে খাওয়া থেকে বিরত হোন। ঔষধ মূলত একধরণের কেমিক্যাল কম্পোজিশন যার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা ও সুনির্দিষ্ট ব্যবহারবিধি রয়েছে। অনেক সময় দীর্ঘদিন কোন উপসর্গ দেখা না গেলেও ঔষধের ভুল ও যথেচ্ছা ব্যবহার রোগীকে একটা নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি এমনকি মৃত্যুর দিকে পর্যন্ত ঠেলে দিতে পারে। এমনকি রোগী বেশীরভাগ সময় জানেনই না ঠিক কী কারণে তার এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে!

***তাই ঔষধের দোকান থেকে যেকোন ঔষধ নিয়ে চোখ বুঝে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।***

প্রশ্নঃ এখনকার জ্বর-সর্দি-কাশিতে তাহলে কী করবেন?

উত্তরঃ যদি ঔষধ ছাড়াই থাকা সম্ভব হয় তবে তাই করুন। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের শরীরে যে নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়েছেন, তা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের জন্য যথেষ্ট ইন শা আল্লাহ। আমাদের বাজে লাইফস্টাইল, ভেজাল খাবার-দাবার ও পরিবেশের কারণে আমরা সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পর্যাপ্ত ব্যবহার করতে পারি না বলেই আমাদের যত অসুবিধে। জ্বরকে পানি দিয়ে প্রশমিত করার কথা পবিত্র হাদিসে এসেছে। এক্ষেত্রে সহনীয় পর্যায়ে সারা শরীরে পানি দিয়ে স্পঞ্জিং করে তাপমাত্রা প্রশমিত করা একটি চমৎকার আইডিয়া। সর্দি-কাশির জন্য হালকা গরম পানি পান করুন। এক্ষেত্রে আদা, পুদিনা ও তুলসী পাতার রস বেশ কাজে দেয় ইন শা আল্লাহ।

প্রশ্নঃ একান্তই পারছেন না-তাহলে কী করবেন?

উত্তরঃ জ্বর যদি ১০২ ডিগ্রীর উপরে হয় আর আপনি উপরে উল্লেখিত সবকিছু করতে পারছেন না বা করার পরেও তেমন কাজে দিচ্ছে না তবে প্যারাসিটামল ১০-১৫ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি হিসেব করে সে হিসেবে গ্রহণ করুন। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সিরাপ, বড়দের ক্ষেত্রে ট্যাবলেটই নিতে পারেন।

ধরি বাচ্চার ক্ষেত্রে, একজনের ওজন ২০ কেজি, তাহলে সে পাবে ২০*১০=২০০ মিলিগ্রাম থেকে ২০*১৫=৩০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল ৬ ঘন্টা ব্যবধানে অর্থাৎ দিনে চারবার। এখন সিরাপে থাকে ১২০ মিলিগ্রাম প্রতি চামচে (৫ মিলিগ্রাম) তাহলে সেই বাচ্চাটি পাবে সর্বোচ্চ ৩০০/১২০=২.৫ অর্থাৎ সর্বোচ্চ আড়াই চামচ করে প্রতিবার। *এটি সর্বোচ্চ ডোজ*
এখন সর্বনিম্ন ২০০/১২০=১.৬৭ অর্থাৎ প্রায় পৌনে দুই চামচ হল এক্ষেত্রে *সর্বনিম্ন ডোজ*
এই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ডোজের মধ্যে আপনার বাচ্চার রোগের লক্ষণ ও শারীরিক অবজারভেশন করে যেকোন ডোজেই দিতে পারেন ইন শা আল্লাহ। এর পাশাপাশি বাচ্চাকে বেশী বেশি হাইড্রেটেড রাখবেন অর্থাৎ বেশি বেশি পানি পান করবে ও অন্যান্য লক্ষণগুলোর তদানুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবে।

(ক্যালকুলেশনটি বড়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)

যেমন একজনের ওজন ৭০ কেজি হলে সে পাবে, সর্বনিম্ন ৭০*১০=৭০০ মিলিগ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৭০*১৫=১০৫০ মিলিগ্রাম প্রতি ডোজ। অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রামের একটি ও ৫০০ মিলিগ্রামের আরেকটি ট্যাবলেটের অর্ধেক মোট ৭৫০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট *সর্বনিম্ন* অথবা প্যারাসিটামল ১০০০ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট বা ৫০০ মিলিগ্রামের দুটি ট্যাবলেট প্রতি ডোজে *সর্বোচ্চ* তার জন্য কাজ করবে ইন শা আল্লাহ। বাচ্চাদের মত একইভাবে ডোজ প্রতি ৬ ঘন্টা পরপর।

***প্যারাসিটামল সর্বোচ্চ ডোজ ৪ গ্রাম/প্রতিদিন***সর্বমোট ৪ গ্রামের বেশি একদিনে সেবন বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে***

***ব্রান্ডের ঔষধের নাম দিলাম না, আপনার পছন্দমত নিয়ে নিতে পারেন যেমন এইস (স্কয়ার), নাপা -বেক্সিমকো ইত্যাদি***

***সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৫ দিন, এর মধ্যে জ্বর ঠিক না হলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এর পরে আর নিজে থেকে ট্রিটমেন্ট চালিয়ে যাবেন না, বিপদ হতে পারে***
***সিজনাল সর্দি-কাশির জন্য ঘরোয়া ট্রিটমেন্টই আদর্শ***বেশি বেশি পানি পান করুন, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় থাকুন***শুকনো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকুন***স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এড়িয়ে চলুন***প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট সহনীয় রোদে থাকুন***পর্যাপ্ত ঘুম ও স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিত করুন***ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন***

***কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা***

দেখুন আজ থেকে ৩০-৪০-৫০ বছর আগেও এত রোগ-বালাই ছিলনা। ডায়রিয়া, কলেরা বা তুচ্ছ কিছু রোগে মানুষ মৃত্যুবরণ করলেও তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাত গোনা মাত্র। আর এখন কত রোগ-বালাই, অনেকের সারাজীবনের সঞ্চয়ের চেয়ে চিকিৎসা ব্যয়ই বেশি। ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, হার্টের নানাবিধ সমস্যা বা ওপেন হার্ট সার্জারি তো এখন অনেকটা সমাজের হাই প্রোফাইল স্টাটাস হয়ে গেছে।

******
কারণটা কী? কারণঃ যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তির আধুনিকায়ণ হচ্ছে, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে আর মানুষের মনুষ্যত্ত্বের ক্রমাগত অবনতিই হচ্ছে (!)
*******

কিছু টাকা বেশী লাভের আশায় কৃষক, মৎস্যজীবী কিংবা খামারিরা হাইব্রীড চাষাবাদ করছে, নানাবিধ কীটনাশক ব্যবহার করছে। ব্যবসায়ী নানাবিধ রাসায়নিক মেশাচ্ছে, ত্রুটিযুক্ত ও ভেজাল পণ্য প্রস্তুত করছে কিংবা আমদানি ও বাজারজাত করছে। এসব খেয়ে সাধারণ মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের শরণাপর্ণ হচ্ছেন, তখন ডাক্তার সাহেব যে ডায়াগনাস্টিকের সাথে ব্যবসা তার ওখানে নানারকম টেস্ট দিবেন আবার তাকে যে কোম্পানি ভালোকিছু দেয় সেই কোম্পানির ঔষধের নাম দিয়ে প্রেসক্রিপশন করবেন। ঔষধ কোম্পানি তাদের ৩ টাকার ঔষধের ২ টাকা ৫০ পয়সাই ডাক্তারদের ঘুষ, কর্মচারী আর মার্কেটিংয়ের জন্য খরচ করে মাত্র ৫০ পয়সায় বানাবেন নিম্নমানের ঔষধ আর যদিওবা কোন ভাল ডাক্তার ঘুষ না খেয়েই সেই ঔষধ লিখেন তবে তা কতটুকুই কাজ করবে তা বলাই বাহুল্য (!)

প্রমাণঃ একটা বাংলাদেশের, পার্শ্ববর্তী দেশের ও আমেরিকান প্যারাসিটামল নিয়ে টেস্ট করেই দেখুন, নিজেই প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

প্রশ্নঃ রোগ-বালাই কেন হয়?

উত্তরঃ রোগ-বালাই বিভিন্ন কারণে হতে পারে।

১। রোগ-বালাই এক ধরনের পরীক্ষা যা মহান রবের কাছ থেকে বান্দার জন্য আসে। এতে উর্ত্তীর্ণ হলেই থাকে বান্দার জন্য সীমাহীন পুরষ্কার যা বান্দা কল্পনাও করতে পারে না। এমনকি রোগ-বালাই বান্দার গুণাহ মাফেরও একটা জারিয়া।

২। আবার মহান আল্লাহর তরফ থেকে দুনিয়াবী একরকম শাস্তিরও কারণ হতে পারে আর সে জ্ঞান শুধুমাত্র মহান আল্লাহর কাছেই আছে, আমরা তা হলফ করে বলতে পারিনা।

৩। বান্দার নিজের কর্মের কারণে। ব্যক্তিগত অনিয়ম, অনাচার ইত্যাদির কারণে।

৪। অন্য কারও কর্মের কারণে যেমন বদনজর, যাদু টোনা অথবা অন্যের অপকর্ম যেমন খাদ্যে ভেজাল মেশানো কিংবা কীটনাশক, রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে বিষক্রিয়া ইত্যাদি।

৫। পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে। পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে।

তাই, আমাদের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোজাসহ মহান আল্লাহর সকল হুকুম-আহকাম সঠিকভাবে মেনে চলা। কার মৃত্যু কখন কেউ জানেনা, এমনকি যে লোকটি এক মিনিট আগে মারা গিয়েছে সেও হয়ত মনে করত মৃত্যু অনেক দূরে ! তাই সময় থাকতে সাবধান !

সর্বদা ইস্তিগফার করার চেষ্টা করি আমরা মহান রবের কাছে, সকাল সন্ধ্যার দোয়াগুলো নিজেরা আমল করি ও পরিবারের বাচ্চাদেরসহ সকলের আমলে উৎসাহিত কর- বিশেষ করে চার কূল, সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি প্রতিনিয়ত সকাল সন্ধ্যায় যেন মিস না হয়। মনে রাখবেন সুস্থতা, সম্পদ কিংবা আপনি আমি সমস্তকিছুরই একচ্ছত্র মালিক মহান রব্বুল ‘আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা। তিনি যদি হেফাজত করেন-দুনিয়ার কোন কিছুই আপনার আমার বিন্দুমাত্রও কোন ক্ষতি কেউ করতে পারবে না, এটাই শতভাগ সঠিক। (আমীন)

***তাই লোকেরা আপনার নামাজ (জানাযা) পড়ার আগে, নিজের নামাজ নিজে পড়ুন।******মহান আল্লাহর হকের ক্ষেত্রে তাঁর কাছে তাওবাতুন ন...
27/07/2025

***তাই লোকেরা আপনার নামাজ (জানাযা) পড়ার আগে, নিজের নামাজ নিজে পড়ুন।***
***মহান আল্লাহর হকের ক্ষেত্রে তাঁর কাছে তাওবাতুন নসূহা করুন ।***
***তাঁর বান্দার হকের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বান্দার ক্ষমা চেয়ে নিন ও সেটি সংশোধন করুন (আজ এবং এখনই)!***

শিগগিরই এমন যুগ আসবে যখন আল্লাহর কোন আদেশ না মানতে পারলে তারা বলবে, “আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”

আবার যখন আল্লাহর নিষিদ্ধ কোন কাজ করবে তখন বলবে,
“আমরা আল্লাহর সাথে শিরক না করলেই তো হল, আমাদের সব(গুণাহ) ক্ষমা করে দেয়া হবে”

(আফসোস !)

তাদের (এ)সব কিছু আশার ছলনা ! সত্যের লেশমাত্র নেই !

রেফারেন্সঃ আয-যুহদ, ইমাম আহমদ (১৭১৪)

অনেক অমুসলিম সেলিব্রিটিও আছেন যারা হিজামার শারীরিক ও মানসিক নানাবিধ উপকারিতা বুঝতে পেরে নিজেরাও হিজামা করছেন বা করিয়েছেন...
17/07/2025

অনেক অমুসলিম সেলিব্রিটিও আছেন যারা হিজামার শারীরিক ও মানসিক নানাবিধ উপকারিতা বুঝতে পেরে নিজেরাও হিজামা করছেন বা করিয়েছেন এখানে তাদের কিছু নাম তুলে ধরা হল-

• Gwyneth Paltrow (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Jennifer Aniston (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Victoria Beckham (বিশ্ববিখ্যাত ডিজাইনার)
• Michael Phelps (অলিম্পিক সাঁতার তারকা)
• Justin Bieber (বিশ্ববিখ্যাত গায়ক)
• Kim Kardashian West (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Lady Gaga (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Dwayne “The Rock” Johnson (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)

***হিজামা তে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই***

প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার এমন কোন ঔষধ পাবেন না যার কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। আর এ কারণেই খেয়াল করে দখবেন COVID সময়কালীন একমাত্র PARACETAMOL গ্রুপের ঔষধ ব্যতীত সকল ঔষধ পারতপক্ষে না নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে এই PARACETAMOL যা সবচেয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ঔষধ বলে বিবেচিত তাও কিন্তু একটা CHEMICAL SUBSTANCE যা দিনে ৪ গ্রামের উপরে সেবন করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাহলে একটু ভালো করে ভেবে দেখুন- নিজের জন্য কিংবা পরিবারের জন্য ভবিষ্যতের রোগের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিবেন নাকি প্রাকৃতিক সুন্নতি চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হবেন যার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই-সিদ্ধান্ত আপনার।

#কারা_হিজামা_নিবেন?

**ইউনানী বিশেষজ্ঞদের মতে হিজামা ১০ বছর বয়স থেকে নিয়ে ৬০ বছর বয়সের সকলের জন্যই প্রযোজ্য**এমনকি প্রিয় নবীজি (স) ৬৩ বছর বয়সেও হিজামা করিয়েছেল বলে কিছু রেওয়াতে পাওয়া যায়**আর যারা দীর্ঘদিন যাবত কোন কষ্টদায়ক রোগে ভুগছেন কিংবা কোন চিকিৎসাতেই তেমন কাজ হচ্ছে না তাদের জন্য এই চিকিৎসা পদ্ধতি মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রহমতে বিশেষ ফল প্রদান করে থাকে**

তাছাড়াও-

* যারা নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন।
* যাদের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা, ঘাড়, হাটু এবং কোমর ব্যথা আছে।
* বৃদ্ধ বাবা-মা; যাদের বাতের ব্যথা আছে ।
* যাদের ডায়াবেটিস, প্রেসার এবং গ্যাস্ট্রিক-আলসারের সমস্যা আছে।
* যাদের শারীরিক যন্ত্রনায় ঘুম কম হয়।
* দূর্বল লোকদের জন্য; যারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যান।
* যারা স্ত্রী সহবাসে নিজের অক্ষমতা-দূর্বলতা অনুভব করেন।
*যারা প্রতিদিন রাস্তায় চলাফেরা করেন এবং যারা ধুলাবালিতে কঠোর পরিশ্রম করেন।
* ধূমপায়ীদের জন্য; যারা সিগারেট এর নিকোটিন শরীর থেকে বের করতে চান।

**সর্বোপরি যারা শরীরের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বিষাক্ত টক্সিন দূর করে নিজেকে সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে চান এসবের যেকোন ক্ষেত্রেই আপনারা প্রিয় নবীজি (স) এর সুন্নাতি চিকিৎসা হিজামা নিতে পারেন আপনার রোগমুক্তির নিয়তে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রহমতে প্রথম সেশন থেকেই আশানুরুপ ফল পেতে শুরু করবেন ইন শা আল্লাহ।**

#হিজামা_সংক্রান্ত_কিছু_হাদিসের_রেফারেন্স

৩৮৫৯।
بَابٌ فِي مَوْضِعِ الْحِجَامَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، وَكَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ الْأَنْمَارِيِّ، - قَالَ: كَثِيرٌ إِنَّهُ حَدَّثَهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَحْتَجِمُ عَلَى هَامَتِهِ، وَبَيْنَ كَتِفَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ: مَنْ أَهْرَاقَ مِنْ هَذِهِ الدِّمَاءِ، فَلَا يَضُرُّهُ أَنْ لَا يَتَدَاوَى بِشَيْءٍ لِشَيْءٍ

صحيح
حدثنا عبد الرحمن بن ابراهيم الدمشقي، وكثير بن عبيد، قالا: حدثنا الوليد، عن ابن ثوبان، عن ابيه، عن ابي كبشة الانماري، - قال: كثير انه حدثه: ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يحتجم على هامته، وبين كتفيه وهو يقول: من اهراق من هذه الدماء، فلا يضره ان لا يتداوى بشيء لشيء صحيح

আবূ কাবশাহ আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সিঁথিতে এবং দু’ কাঁধের মধ্যখানে রক্তমোক্ষণ করাতেন। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি এই অঙ্গ থেকে রক্তমোক্ষণ করাবে, সে কোনো রোগের কোনো ঔষধ ব্যবহার না করলেও তার অসুবিধা নেই।
হাদিসের মানঃ সহীহ। ইবনে মাজাহ।

৩৮৬০।
بَابٌ فِي مَوْضِعِ الْحِجَامَةِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ ثَلَاثًا فِي الْأَخْدَعَيْنِ، وَالْكَاهِلِ قَالَ مُعَمَّرٌ: احْتَجَمْتُ فَذَهَبَ عَقْلِي حَتَّى كُنْتُ أُلَقَّنُ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ فِي صَلَاتِي، وَكَانَ احْتَجَمَ عَلَى هَامَتِهِ (قول معمر بن راشد) صحيح
আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার ঘাড়ের দু’টি রগে এবং কাঁধে রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। মা’মার (রহঃ) বলেন, একদা আমি রক্তমোক্ষণ করালে আমার স্মৃতি লোপ পেলো, এমন কি সালাতে সূরা ফাতিহা অন্যের সাহয্যে নিয়ে পাঠ করলাম। তিনি তার মাথার মাঝখানে রক্তমোক্ষণ (হিজামা) করিয়েছিলেন।
হাদীসের মানঃ সহীহ। ইবনু মাজাহ, আহমাদ।
৫২৯৫।

باب الْحِجَامَةِ عَلَى الرَّأْسِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ ابْنَ بُحَيْنَةَ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ بِلَحْىِ جَمَلٍ مِنْ طَرِيقِ مَكَّةَ، وَهْوَ مُحْرِمٌ، فِي وَسَطِ رَأْسِهِ‏.‏ وَقَالَ الأَنْصَارِيُّ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ فِي رَأْسِهِ‏.‏
حدثنا اسماعيل، قال حدثني سليمان، عن علقمة، انه سمع عبد الرحمن الاعرج، انه سمع عبد الله ابن بحينة، يحدث ان رسول الله صلى الله عليه وسلم احتجم بلحى جمل من طريق مكة، وهو محرم، في وسط راسه‏.‏ وقال الانصاري اخبرنا هشام بن حسان، حدثنا عكرمة، عن ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ ان رسول الله صلى الله عليه وسلم احتجم في راسه‏.‏

ঈসমাইল (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু বুহায়না (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বাধা অবস্থায় মক্কার “লাহয়ী জামাল” নামক স্থানে তার মাথার মধ্যখানে শিঙ্গা লাগান। আনসারী (রহঃ) হিশাম ইবনু হাসসান (রহঃ) ইকরামার সুত্রে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাথায় শিঙ্গা (হিজামা) লাগান। হাদিসের মানঃ সহিহ , সহীহ বুখারী

৩১/৩৪৭৬:
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ إِنْ كَانَ فِي شَىْءٍ مِمَّا تَدَاوَوْنَ بِهِ خَيْرٌ فَالْحِجَامَةُ ‏"‏
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা যে সকল জিনিস দ্বারা চিকিৎসা করো তার কোনটির মধ্যে উপকার থাকলে তা রক্তমোক্ষণের (হিজামা) মধ্যে আছে।

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
‏.‏
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃহাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

৩১/৩৪৭৭:
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَا مَرَرْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي بِمَلإٍ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ إِلاَّ كُلُّهُمْ يَقُولُ لِي عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ بِالْحِجَامَةِ ‏"‏
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মিরাজের রাতে আমি ফেরেশতাদের যে দলকেই অতিক্রম করেছিলাম, তাদের সকলে আমাকে বলেছেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি অবশ্যই রক্তমোক্ষণ (হিজামা) করবেন।

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
‏.‏
বর্ণনাকারীঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃহাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস


৩১/৩৪৭৯:

حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ سُلَيْمٍ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَا مَرَرْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي بِمَلإٍ إِلاَّ قَالُوا يَا مُحَمَّدُ مُرْ أُمَّتَكَ بِالْحِجَامَةِ ‏"‏ ‏.‏
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মিরাজের রাতে আমি ফেরেশতাদের যে দলকেই অতিক্রম করেছি, তারা আমাকে বলেছেন, হে মুহাম্মাদ! হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মাতকে রক্তমোক্ষণ (হিজামা) করানোর নির্দেশ দিন।

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
বর্ণনাকারীঃ আনাস বিন মালিক (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

***কাউন্সেলিং কিংবা অন-কল আপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে +8801676060877 (এই নম্বরে)***

এখন পাচ্ছেন ON CALL APPOINTMENT ও MONEY BACK GUARANTEE একই সাথে (অফারটি শুধুমাত্র সীমিত সংখ্যক রোগীদের জন্য প্রযোজ্য) প্রতি মাসের OFFER LIMIT শেষ হওয়ার আগেই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে (FIRST BOOK, FIRST SERVE BASIS).

Address

Dhaka

Telephone

+8801676060877

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sunnah Medicare posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram