03/10/2025
অল্প বয়সে কোমর ব্যথার অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলি হল:
• অভ্যাসঃ দীর্ঘ সময় ধরে একই ভঙ্গিতে বসে থাকা, দাঁড়ানো বা হাঁটা কোমরের পেশী এবং লিগামেন্টগুলিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।
• ভারি জিনিস তোলাঃ ভারী জিনিস তোলার সময় সঠিক পধতি ভঙ্গি না বজায় রাখা কোমরে ব্যথার কারণ হতে পারে।
• আঘাতঃ কোমর বা মেরুদণ্ডের আঘাত, যেমন স্পাইনাল ইনজুরি বা স্পোর্টস ইনজুরি, কোমরে ব্যথার কারণ হতে পারে।
• দীর্ঘস্থায়ী রোগঃ কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন অস্টিওআর্থারাইটিস বা অ্যানকাইলোজিং স্পনডাইলাইটিস, কোমরে ব্যথার কারণ হতে পারে।
• অস্থি ক্ষয়ঃ অস্থির খনিজ ঘনত্ব হ্রাস পেলে অস্থি ক্ষয় হয়। এটি কোমরে ব্যথার কারণ হতে পারে।
• মেরুদণ্ডের অস্বাভাবিকতাঃ মেরুদণ্ডের অস্বাভাবিকতা, যেমন স্কোলিওসিস বা কিউবিকোসিস কোমরে ব্যথার কারণ হতে পারে।
• পেশী বা স্নায়ুর সমস্যাঃ পেশী বা স্নায়ুর সমস্যা, যেমন নার্ভ ব্লকেজ বা পেশীতে আঘাত পেলে তা ব্যথার কারণ হতে পারে।
----------------------------------------------------------------
অনেকে দীর্ঘদিন ব্যথার ঔষধ খেয়েই যাচ্ছেন, কিন্তু কোমর ব্যথা ভালো হচ্ছে না। তার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে শরীরের পজিশন। আর এই পজিশন ঠিক না থাকায় কোমর ব্যথা দিন দিন বেড়েই যায়। কিন্তু এই পজিশন ও কোমর ব্যথা দূর করতে কিছু সহজ উপায় রয়েছে। চলুন, সেই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক-
১। দীর্ঘ সময় একই জায়গায় বসে থাকবেন না। আবার এক জায়গায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়েও থাকবেন ন। আর এতে কোমর ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
২। ভোরবেলা ফজরের নামাজের পর নিয়মিত ব্যয়াম-শরীরচর্চা করবেন।
৩। নরম বিছানায় ঘুমানো থেকে বিরত থাকুন। উপুর হয়ে ঘুমানো পরিহার করুন। ঘুমানোর সময় ডান কাত হয়ে ঘুমান।
৪। যেকোন কাজ করুন না কেনো, চেষ্টা করুন ২০ মিনিট পর পর অবস্থান পরিবর্তন করার। যেমন, যদি দাঁড়িয়ে কাজ করেন তাহলে কিছু সময়ের জন্য বসে নেন। আর যদি কম্পিউটারে বসে কাজ করেন, তাহলে কিছু সময়ের জন্য দাঁড়িয়ে পড়েন। তারপর পুনরায় কাজ শুরু করুন।
৫। শরীরের ওজন স্বাভাবিক রাখুন। কারণ অতিরিক্ত ওজন কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ।
৬। নিয়মিত কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান (রাতে তাড়াতাড়ি শুতে যান পারতপক্ষে ৯ঃ০০-১০ঃ০০ টার মধ্যে)।
৭। ধুমপান পরিহার করুন।
৮। যথাসম্ভব মাটিতে বসে কাজ করা পরিহার করুন।
----------------------------------------------------------------------
***কোমর ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়***
সেঁক দিবেন
কোমর ব্যথায় সেঁক দিলে প্রাথমিকভাবে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কারণ সেঁক দিলে মাংসপেশিতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। আর রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেলে কোমর ব্যথা তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। তবে সেঁক দেওয়ার জন্য ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করবেন। এতে অতিরিক্ত তাপ কোমরে লাগবে না।
তেল মালিশ
কালো জিরা, রসুন ও মেথি সরিষা তেলে ভেজে নিবেন। তারপর এই তেল একটি পাত্রে রাখবেন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় কোমরের ব্যথার জায়গায় মালিশ করবেন।
আদা
কোমর ব্যথা দূর করতে আদা খুবই কার্যকারী। কারণ আদাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। আর এই পটাশিয়াম স্নায়ুর সমস্যাকে দূর করে। যার ফলে কোমর ব্যথা অনেকাংশে কমে যায়। তাই নিয়মিত আদা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
হলুদ
নিয়মিত দুধ আর হলুদ একসাথে মিশিয়ে পান করুন। যার ধরুন কোমর ব্যথা কমতে পারে। হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদানটি শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অনেক ধরনের ব্যথার কারণই হলো শরীরে প্রদাহ। হলুদ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদ কিছু ধরনের ব্যথার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
মেথি বীজ
মেথি বীজ এবং গুড়া দুধ একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ করুন। তারপর কোমরের যে জায়গায় ব্যথা করে সে জায়গায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। তাহলে কোমর ব্যথা কমতে পারে।
বরফ
কোমরের মাংসপেশি ফুলে গেলে বরফ দিলে খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়।
ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাদ্য
ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেসিয়াম হাড় গঠনে খুবই কার্যকর। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন ঘি, দুধ, চিজ, ফল, সবজি, কচু, বাদাম খাওয়া উচিত।
লেবুর শরবত
লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আর ভিটামিন সি কোমর ব্যথা কমাতে খুবই ফলপ্রসু।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার শরবত কোমর ব্যথা দূর করতে খুবই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিন এ শরবত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
************************************************************
***কোমর ব্যথায় হিজামা***
কোমর ব্যথায় হিজামা একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপায়। মহান আল্লাহর রহমতে হিজামা একটি অসাধারণ চিকিৎসা ব্যবস্থা যা কোমরের বা ব্যথার স্থানের পেশীগুলোকে রিলাক্স করিয়ে দেয় কোন ধরণের কেমিক্যাল কম্পোজিশন বা ঔষধের সাহায্য ছাড়াই। পাশাপাশি ব্যথার স্থানের টক্সিক কম্পোজিশনগুলো (যা দীর্ঘদিন যাবত স্থানটিতে জমে ছিল) বের করে নিয়ে আসে ফলে স্থানটিতে নতুন করে সুস্থ্য অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত এসে পূর্বের দূষিত রক্তের জায়গাটি পরিবর্তন করে। নাইট্রিক অক্সাইড রিলিজ হয় যা যেকোন ধরণের ইনফেকশন/ইনফ্লামেশন কিংবা ব্যথা সমস্ত কিছুর ক্ষেত্রে চমৎকার কাজ করে থাকে। এক কথায় মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে হিজামা একটি পরিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা যা শরীরের অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ সচল করে এবং কোন রকমের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া (যা ঔষধ গ্রহণে হয়) ছাড়াই মাত্র কয়েকটা সেশনেই রোগীকে পরিপূর্ণ সুস্থ্য করে তোলে।
****************************************************************
=>হিজামা কি?
-হিজামা একটি বিজ্ঞানভিত্তিক সুন্নতি চিকিৎসা পদ্ধতি যা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ (স) নিজে নিয়েছেন এবং উম্মাতের প্রতি নসীহত করে গিয়েছেন।
=> কারা নিতে পারেন হিজামা?
(দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন/যারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন)
-যাদের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা, ঘাড়, হাটু এবং কোমর ব্যথা আছে।
-যাদের দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস, প্রেসার এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে।
-যাদের শারীরিক যন্ত্রনায় ঘুম কম হয়।
-দূর্বল লোকদের জন্য; যারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যান।
-স্ত্রী সহবাসে অপূর্ণতা-দূর্বলতা অনুভব করেন।
-যারা প্রতিদিন রাস্তায় চলাফেরা করেন এবং যারা ধুলাবালিতে কঠোর পরিশ্রম করেন।
-যারা শরীরের ভিতরের জমে থাকা দীর্ঘদিনের বিষাক্ত টক্সিন দূর করতে চান।
-নানাবিধ অজানা কারণজনিত শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।
-সন্তান জন্মদানের শারীরিক অক্ষমতা।
-শ্বসনতন্ত্রের দীর্ঘদিনের জটিলতা।
-অতিরিক্ত মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তা।
-অতিরিক্ত মেদ, ওজন সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যা।
-স্মরণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যায়।
-বিভিন্ন ধরণের চর্মরোগে।
______________________________
***হিজামা একটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি***
অনেক অমুসলিম সেলিব্রিটিও আছেন যারা হিজামার শারীরিক ও মানসিক নানাবিধ উপকারিতা বুঝতে পেরে নিজেরাও হিজামা করছেন বা করিয়েছেন এখানে তাদের কিছু নাম তুলে ধরা হল-
• Gwyneth Paltrow (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Jennifer Aniston (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Victoria Beckham (বিশ্ববিখ্যাত ডিজাইনার)
• Michael Phelps (অলিম্পিক সাঁতার তারকা)
• Justin Bieber (বিশ্ববিখ্যাত গায়ক)
• Kim Kardashian West (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Lady Gaga (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Dwayne “The Rock” Johnson (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
____________________________________________________________________
***হিজামা তে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই***
প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার এমন কোন ঔষধ পাবেন যার কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই ?! বিস্তারিত পড়ুন=>
আর এ কারণেই খেয়াল করে দখবেন COVID সময়কালীন একমাত্র PARACETAMOL গ্রুপের ঔষধ ব্যতীত সকল ঔষধ পারতপক্ষে না নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে এই PARACETAMOL যা সবচেয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ঔষধ বলে বিবেচিত তাও কিন্তু একটা CHEMICAL SUBSTANCE যা দিনে ৪ গ্রামের উপরে সেবন করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তাহলে একটু ভালো করে ভেবে দেখুন- নিজের জন্য কিংবা পরিবারের জন্য ভবিষ্যতের রোগের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিবেন নাকি প্রাকৃতিক সুন্নতি চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হবেন যার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই-সিদ্ধান্ত আপনার।
**সর্বোপরি যারা শরীরের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বিষাক্ত টক্সিন দূর করে নিজেকে সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে চান এসবের যেকোন ক্ষেত্রেই আপনারা প্রিয় নবীজি (স) এর সুন্নাতি চিকিৎসা হিজামা নিতে পারেন আপনার রোগমুক্তির নিয়তে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রহমতে প্রথম সেশন থেকেই আশানুরুপ ফল পেতে শুরু করবেন ইন শা আল্লাহ।**
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنْ كَانَ فِي شَىْءٍ مِمَّا تَدَاوَوْنَ بِهِ خَيْرٌ فَالْحِجَامَةُ "
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা যে সকল জিনিস দ্বারা চিকিৎসা করো তার কোনটির মধ্যে উপকার থাকলে তা রক্তমোক্ষণের (হিজামা) মধ্যে আছে।
৩১/৩৪৭৬; বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রাহ (রাঃ), হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَا مَرَرْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي بِمَلإٍ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ إِلاَّ كُلُّهُمْ يَقُولُ لِي عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ بِالْحِجَامَةِ "
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মিরাজের রাতে আমি ফেরেশতাদের যে দলকেই অতিক্রম করেছিলাম, তাদের সকলে আমাকে বলেছেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি অবশ্যই রক্তমোক্ষণ (হিজামা) করবেন।
৩১/৩৪৭৭, বর্ণনাকারীঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ), হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ سُلَيْمٍ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَا مَرَرْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي بِمَلإٍ إِلاَّ قَالُوا يَا مُحَمَّدُ مُرْ أُمَّتَكَ بِالْحِجَامَةِ " .
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মিরাজের রাতে আমি ফেরেশতাদের যে দলকেই অতিক্রম করেছি, তারা আমাকে বলেছেন, হে মুহাম্মাদ! হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মাতকে রক্তমোক্ষণ (হিজামা) করানোর নির্দেশ দিন।
সহীহ। ৩১/৩৪৭৯; বর্ণনাকারীঃ আনাস বিন মালিক (রাঃ)
بَابٌ فِي مَوْضِعِ الْحِجَامَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، وَكَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ الْأَنْمَارِيِّ، - قَالَ: كَثِيرٌ إِنَّهُ حَدَّثَهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَحْتَجِمُ عَلَى هَامَتِهِ، وَبَيْنَ كَتِفَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ: مَنْ أَهْرَاقَ مِنْ هَذِهِ الدِّمَاءِ، فَلَا يَضُرُّهُ أَنْ لَا يَتَدَاوَى بِشَيْءٍ لِشَيْءٍ
صحيح
حدثنا عبد الرحمن بن ابراهيم الدمشقي، وكثير بن عبيد، قالا: حدثنا الوليد، عن ابن ثوبان، عن ابيه، عن ابي كبشة الانماري، - قال: كثير انه حدثه: ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يحتجم على هامته، وبين كتفيه وهو يقول: من اهراق من هذه الدماء، فلا يضره ان لا يتداوى بشيء لشيء صحيح
আবূ কাবশাহ আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সিঁথিতে এবং দু’ কাঁধের মধ্যখানে রক্তমোক্ষণ করাতেন। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি এই অঙ্গ থেকে রক্তমোক্ষণ করাবে, সে কোনো রোগের কোনো ঔষধ ব্যবহার না করলেও তার অসুবিধা নেই।
হাদিসের মানঃ সহীহ। ৩৮৫৯। ইবনে মাজাহ।
بَابٌ فِي مَوْضِعِ الْحِجَامَةِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ ثَلَاثًا فِي الْأَخْدَعَيْنِ، وَالْكَاهِلِ قَالَ مُعَمَّرٌ: احْتَجَمْتُ فَذَهَبَ عَقْلِي حَتَّى كُنْتُ أُلَقَّنُ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ فِي صَلَاتِي، وَكَانَ احْتَجَمَ عَلَى هَامَتِهِ (قول معمر بن راشد) صحيح
আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার ঘাড়ের দু’টি রগে এবং কাঁধে রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। মা’মার (রহঃ) বলেন, একদা আমি রক্তমোক্ষণ করালে আমার স্মৃতি লোপ পেলো, এমন কি সালাতে সূরা ফাতিহা অন্যের সাহয্যে নিয়ে পাঠ করলাম। তিনি তার মাথার মাঝখানে রক্তমোক্ষণ (হিজামা) করিয়েছিলেন।
হাদীসের মানঃ সহীহ। ৩৮৬০। ইবনু মাজাহ, আহমাদ।
باب الْحِجَامَةِ عَلَى الرَّأْسِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ ابْنَ بُحَيْنَةَ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ بِلَحْىِ جَمَلٍ مِنْ طَرِيقِ مَكَّةَ، وَهْوَ مُحْرِمٌ، فِي وَسَطِ رَأْسِهِ. وَقَالَ الأَنْصَارِيُّ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ فِي رَأْسِهِ.
حدثنا اسماعيل، قال حدثني سليمان، عن علقمة، انه سمع عبد الرحمن الاعرج، انه سمع عبد الله ابن بحينة، يحدث ان رسول الله صلى الله عليه وسلم احتجم بلحى جمل من طريق مكة، وهو محرم، في وسط راسه. وقال الانصاري اخبرنا هشام بن حسان، حدثنا عكرمة، عن ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ ان رسول الله صلى الله عليه وسلم احتجم في راسه.
ঈসমাইল (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু বুহায়না (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বাধা অবস্থায় মক্কার “লাহয়ী জামাল” নামক স্থানে তার মাথার মধ্যখানে শিঙ্গা লাগান। আনসারী (রহঃ) হিশাম ইবনু হাসসান (রহঃ) ইকরামার সুত্রে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাথায় শিঙ্গা (হিজামা) লাগান।
(হাদিসের মানঃ সহিহ , ৫২৯৫। সহীহ বুখারী)
*************************************