Female Health Care By Dr. ZIA

Female Health Care By Dr. ZIA As a doctor I have some responsibility towards society.. that's why I am trying my best❤️❤️❤️

17/09/2025

#অনাকাঙ্ক্ষিত!

আমার অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগন্যান্সিতে বাচ্চাটা রাখতে চাচ্ছি না। ২ মাস ও হয়নি প্রেগন্যান্সির বয়স।
এবং আমার ওজন খুব ই কম। তাছাড়া কিছু সমস্যা আছে। এখন কি করনীয়?

:কেনো রাখতে চাচ্ছেন না?

আমার ওজন কম এবং রক্তস্বল্পতা। আর পূর্ব প্রস্তুতি। সব কিছু মিলে আমি চাচ্ছি না।

: বাচ্চা নষ্ট করার পরামর্শ দেই না।

ম্যাম তাহলে সবাই ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়ে যখন আপনাদের কাছে যায় তখন তো আপনারই আবার বলেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কেনো করেছেন?

: ডাক্তার মানুষকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে। উল্টোটা নয়। নিজে কিংবা ফার্মেসী দোকানদারের ঔষধ খেয়ে যাতে বাচ্চার সাথে সাথে নিজেও কেল্লাফতে হয়ে না যান সেজন্য ডাক্তাররা বলে থাকেন এসব কাজ করা ঠিক নয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা!

11/09/2025

🎈 নবজাতকের স্তন বৃদ্ধি : সচেতনতা :পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকে জানতে সাহায্য করবেন প্লিজ।

ছোট অবুঝ বাবুটি কতোই না কষ্ট পাচ্ছে,শুধুমাত্র নানী- দাদীর সামান্য ভুলের জন্য।

২ জন পরামর্শ করে ১০ দিনের শিশুর স্তন হতে দুধ বাহির করতে স্তনে টিপে চেষ্টা করেন।

ফলাফল:

শিশুর স্তনে ইনফেকশন হয়ে পুজ- পানি (Breast Abscess) হয়ে যায়। এখন সার্জারী করে ঠিক করতে হবে। মেডিকেল কলেজের শিশু সার্জারী ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়েছি।

আমার প্রতিটি শিশু রোগীর মাকে বলে দেয়, আপনার শিশুর ভাল- মন্দ আপনাকেই বুঝতে হবে। নানি- দাদির পরামর্শ নিবের তবে যা আপনার কাছে যুক্তিসংগত মনে হয়।

আমাদের সমাজটায় যে কেমন, সন্তান খারাপ হলে সব দোষ মায়ের আর ভাল হলে সবকিছু বাবা,আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কৃতিত্ব।

নবজাতকের স্তন অল্প বড় (Neonatal Mastauxe) হওয়া স্বাভাবিক। যা নিজে নিজেই ভাল হয়ে যায়।

মায়ের হরমোন (ইস্ট্রোজেন ও প্রোল্যাকটিন) → নবজাতকের স্তনগ্রন্থি বৃদ্ধি জন্য দ্বায়ী।

কিভাবে বুঝবেন?

উভয় পাশে ছোট, শক্ত, বেদনাহীন স্তন উঁচু,মাঝে মাঝে হালকা দুধের স্রাব (“witch’s milk”) বাহির হতে পারে।

চিকিৎসা:

* সাধারণত চিকিৎসার দরকার হয় না। নিজে নিজেই ভাল হয়ে যায়। এটা স্বাভাবিক একটা বিষয়।

* কোন ভাবেই স্তনে ম্যাসেজ করে বা টিপে দুধ বাহির করতে যাবেন না l

এপিসিওটমি  বা সাইড কাঁটা 😒এপিসিওটমি হলো একটি ছোট সার্জিকাল কাটা, যা শিশুজন্মের সময় যোনিপথ (vaginal opening) ও পেরিনিয়া...
08/09/2025

এপিসিওটমি বা সাইড কাঁটা 😒
এপিসিওটমি হলো একটি ছোট সার্জিকাল কাটা, যা শিশুজন্মের সময় যোনিপথ (vaginal opening) ও পেরিনিয়াম (perineum – যোনি ও মলদ্বারের মাঝের অংশ) এ দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য হলো প্রসবকে সহজ করা ও অনিয়ন্ত্রিত (uncontrolled) ছিঁড়ে যাওয়া (perineal tear) প্রতিরোধ করা।
কেন এপিসিওটমি দেওয়া হয়?
❤️শিশুর মাথা বের হওয়া কঠিন হলে।
❤️প্রসব দীর্ঘায়িত হলে।
❤️যোনিপথ ছোট বা টাইট হলে।
❤️বাচ্চার অবস্থা খারাপ হলে দ্রুত প্রসব করাতে।
এপিসিওটমির ধরণ
১.
যোনি থেকে মলদ্বারের দিকে সোজা কাটা
সুবিধা: কম রক্তপাত, দ্রুত সেরে ওঠে।
অসুবিধা: সহজে মলদ্বার পর্যন্ত ছিঁড়ে যেতে পারে।
২.
যোনি থেকে পাশের দিকে (৪৫° এঙ্গেলে) কাটা।
সুবিধা: মলদ্বার পর্যন্ত ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম।
অসুবিধা: রক্তপাত বেশি, সেরে উঠতে সময় বেশি লাগে।
ঝুঁকি বা জটিলতা (Complications):
ব্যথা ও ফোলা।
রক্তপাত বা সংক্রমণ।
সেলাই আলগা হওয়া।
দীর্ঘমেয়াদে যৌন মিলনে ব্যথা হতে পারে।

07/09/2025
03/09/2025

পিসিওএস কি
পিসিওএসের সাথে একটা জিনিসের সম্পর্ক খুব নিবিড় – ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স।

এই রিলেশনশিপটা একটু ব্রেকডাউন করিঃ

- ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স মানে, আপনার শরীর অল্প ইনসুলিন দিয়ে যে কাজ সারতে পারতো, সেই একই কাজ করতে তাকে বেশি ইনসুলিন প্রোডিউস করতে হচ্ছে।

- এই বেশি ইনসুলিন গিয়ে মহিলাদের ওভারিকে একটা গুঁতা দেয়। আর সেই গুঁতা খেয়ে ওভারি তার কাজ ঠিকমতো করতে পারে না।

- যেহেতু আপনি অন্য কাজ করার টাইম পাচ্ছেন না, সেসব কাজ জমে যাচ্ছে, অর্ধেক করে আর শেষ হচ্ছে না।

দিন শেষে, এই অর্ধেক ফেলে রাখা কাজই হচ্ছে ওভারির “পলি-সিস্ট” অর্থাৎ একাধিক সিস্ট।

আরেকটু যদি ব্যাখ্যা করি, ওভারিতে কিছু “ডিম্বাণুর থলি” জন্ম নেয় যাদের কাজ ডিম্বাণু রিলিজ করা। তারা যখন এই কাজটা ঠিকমতো করতে পারে না, এই ডিম্বাণুর থলিগুলো ওভারিতে জমে থাকে, বের হয় না। এই থলিগুলোই সেই সিস্ট। (পিসিওএস = পলি-সিস্টিক ওভারি সিনড্রোম।)

★★ এইটা ম্যানেজ করবেন কি করে

পিসিওএস যদি ঠিক করতে চান, সেই সব কাজ করতে হবে, যা ইনসুলিন রেজিসট্যান্সকে ঠিক করে। যেমন-

১। স্ট্রেংথ ট্রেইনিং কিংবা ভারী এক্সারসাইজ।

এইটা আপনার ইনসুলিন সেনসিটিভিটি ৫-১৫ গুণ পর্যন্ত বাড়াবে, দিস ইজ দ্য বিগেস্ট ফ্যাক্টর।

না, হাঁটাহাঁটি, সাঁতার এইসব দিয়ে হবে না। আপনি যদি আসলেই সিরিয়াস হন, কিছু ডাম্বেল কিনেন। সিরিয়াসলি ডাম্বেল ট্রেইনিং শুরু করেন।

২। ডায়েটে পর্যাপ্ত এনিম্যাল প্রোটিন রাখতে হবে।

প্রতি কেজি ওজনের জন্য অন্তত ১ গ্রাম প্রোটিন ফ্রম চিকেন, ফিশ, এগ। আরো বেশি হলে আরো ভালো।

৩। চিনির কথা ভুলে যান, কার্বোহাইড্রেট যথাসম্ভব ম্যানেজ করতে হবে।

অর্থাৎ কম মিষ্টি ফল, সবজি, ওটস, ডাল – এগুলো হবে মূল কার্বোহাইড্রেট সোর্স। ভাত বা রুটি যথাসাধ্য কমিয়ে আনতে হবে।

৪। ঘুম ঠিক করেন, রাত ১১ টার মধ্যে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হতে হবে। ঘুম ঠিক না করে যে কোন হরমোনাল ইস্যু ঠিক করা স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটার সামিল।

সো এই ৪ টা কাজ আগে ঠিক করেন, ৮০% কাজ হয়ে যাবে

30/08/2025

সার্জারি পরবর্তী চলাচল শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং শরীরের অন্যান্য সিস্টেমের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সহায়ক।❤️

১. শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি:❤️

সার্জারির পর শরীরের কিছু অংশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। মোবিলাইজেশন, বা ধীরে ধীরে চলাচলের মাধ্যমে, শরীরের শক্তি এবং সহনশীলতা ফিরে পাওয়া যায়। এটি পেশী ও হাড়ের কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনে।

২. রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো:❤️

সার্জারির পর অনেক সময় রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়। মৃদু হাঁটা বা চলাচল করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের টিস্যু ও অঙ্গগুলির সুস্থতা এবং দ্রুত সুস্থ হতে সহায়ক।

৩. ঘা বা ক্ষত সেরে ওঠা:❤️

সার্জারির পর মৃদু চলাচল শুরু করলে শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত বা আঘাত দ্রুত সেরে ওঠে। এটি ইনফেকশন এড়ানোর পাশাপাশি টিস্যু পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াকেও সাহায্য করে।

৪. মাংসপেশী শক্তিশালী করা:❤️

দীর্ঘ সময় অযত্নে বা ইমোবিলাইজেশনের কারণে মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে, ধীরে ধীরে চলাচল শুরু করলে মাংসপেশী শক্তিশালী হতে শুরু করে

৫. মানসিক স্বাস্থ্য:❤️

সার্জারি পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকার ফলে মানসিক অবসাদ হতে পারে। মৃদু হাঁটা বা চলাচল করলে মনোবল বাড়ে এবং রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

৬. শ্বাস প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া উন্নত করা:❤️

সার্জারি পরবর্তী কিছু সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলাচল শুরু করলে শ্বাস প্রশ্বাসের সঞ্চালন উন্নত হয় এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।

❤️❤️❤️, এটি অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ধীর গতিতে শুরু করা উচিত।❤️❤️❤️❤️

১৪ বছরএর বাচ্চা মেয়ের ওভারি তে ৫ কেজি ওজনের টিউমার ৭ ঘন্টা লাগচে আমাদের অপারেশন শেষ করতে,, অপারেশন এর মাজেই আমরা টিউমার ...
24/08/2025

১৪ বছরএর বাচ্চা মেয়ের ওভারি তে ৫ কেজি ওজনের টিউমার ৭ ঘন্টা লাগচে আমাদের অপারেশন শেষ করতে,, অপারেশন এর মাজেই আমরা টিউমার টা খারাপ না জানতে পারি।। আমাদের যে কি খুশি লাগসিলো 🥰আলহামদুলিল্লাহ বাচ্চা মেয়েটা র জীবন টা সহজ হলো।। ক্যান্সার এর জীবাণু টার শরীর এ নাই 🥰🥰🥰খুশি টা ধরে রাখতে ক্যামেরা বন্দি আমরা সব সার্জন ❤️❤️❤️

Ovarian tumor দরকার সতর্কতা
24/08/2025

Ovarian tumor দরকার সতর্কতা

21/08/2025

ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না, সব বলতে হইবো

সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার সবে মাত্র বিশ্রাম নেয়ার জন্য ঘুম ঘুম চোখে বিছানায়। ইমারজেন্সি থেকে কল আসল। চোখের পাতায় ঘুম ঠেসে, ইমারজেন্সিতে এসে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা। মহিলা রোগী, পরনের চাদর র’ক্তে ভেজা। মুখের রঙ ফ্যাকাসে, সাদা। কাপড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে নতুন বিয়ে হয়েছে।

রোগীর নাম ফুলি (ছদ্ম নাম)। হি’ষ্ট্রি নেয়ার জন্য ডাক্তার জানতে চাইল, কি হয়েছে? রোগীর সাথে সদ্য বিবাহিত জামাই, জা এবং আরও ৪/৫ জন এসেছে। ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই রোগীর বর চোরের মত, রুম থেকে বের হয়ে গেল। রোগীর সঙ্গে আসা এক মহিলা তেজের সাথে বলল, ‘ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না কেরে, সব বলতে হইবো!’

ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাধা মাইকটিতে একটির পর একটি বিয়ের গান বেজে চলছে। বিয়ে বাড়িতে সবাই ব্যস্ত। বর পক্ষের যারা এসেছে, কথা বার্তায় অ’ভিজাত ও ব্যক্তিত্ব দেখানোর চে’ষ্টায় ব্যস্ত। দর কষাকষি করার পরে, কনে পক্ষ থেকে যৌ’তুক হিসেবে যা পাওয়া গেছে, তা নেহাতই কম নয়। কিন্তু কম হয়ে গেছে কনের বয়স।

বাচ্চা মেয়ে, নাম ফুলি বেগম, সবে মাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫ বছরে পড়েছে। মেয়ের বাবাও মোটামুটি ভাবে লাল শাড়ি পড়িয়ে মেয়েকে বিদায় দিতে পেরে খুশি। মেয়ে হলে তো বিদায় দিতেই হবে। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মেয়েকে পড়িয়েছে। কম কি! তাছাড়া, শোনা যাচ্ছে ছেলেও নাকি ভাল।

বাড়ির উঠোনে বসে মুখে পান চিবোতে চিবোতে ছেলের মামা বলল, ‘এমন ছেলে কোথায় পাবেন মিয়া। তাছাড়া, ছেলে মানুষের একটু দোষ থাকলেও সমস্যা নেই, বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাব’ে।’ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেয়েকে নিয়ে আসা হল তার নতুন ঘরে।

যে মেয়েটি সবে মাত্র জীবনের সংজ্ঞা শিখতে শুরু করেছে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই, তার আজ বাসর রাত। পু’রুষতান্ত্রিক এই সমাজে সতীত্ব যাচাই করার উৎসব। আর বিয়ে তো একটি সামাজিক বৈধতা মাত্র। সমাজ অনেক এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের সময় মেয়ের মতামতটা এখনও গৌন।

মেয়ের যদি মতামত না নেওয়া হয় বা পরিবারের কারও ধমকে মতামত দানের পর বিয়ে হয়, তাহলে তাকে ধ’র্ষণ না বলে উপায় নেই। ফুলির ইচ্ছে করছে, চিৎকার করতে, কিন্তু বাসর ঘরে চিৎকার করা যে উচিত নয়, এতটুকু বুঝতে শিখেছে ফুলি। হাত পা ছুঁড়ে বরের লালসার যজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার মিথ্যে চে’ষ্টা।

সমাজ বিধীত ‘বর’, যখন আদিম পশুত্ব থেকে বাস্তবে ফিরে আসে, তখন ফুলি র’ক্তে ভেজা। তখনও ফিনকির মত র’ক্ত যাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে সাদা ফ্যা’কাসে হয়ে আসছে মুখের রঙ! ফুলি এখন হাসপাতালের বেডে অ’চেতন হয়ে শুয়ে আছে। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, ফুলির চোখ পড়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর।

তারা যে কানাকানি করে কথা বলছিল, ব্যঙ্গাত্মক হাসি তামাশা করছিল। যেন সব দোষ ফুলির। ল’জ্জায় কারও দিকে তাকাতেও ভ’য় করে। তারপর ইঞ্জিন চালিত গাড়ীর প্রচণ্ড শব্দ।আরও এলোমেলো কিছু মুহূর্ত। কিছুক্ষণ পর, সাদা এপ্রোন পড়া একজন ডাক্তার এসে তার হাত ধরেছে। মনে আছে শুধু এটুকুই।

ডাক্তার নার্সকে সাথে নিয়ে, ফুলি বেগমকে পরীক্ষা করলেন। ভ’য়াবহ রকমের পেরিনিয়াল টিয়ার (যৌ’’নাঙ্গ ও তার আশপাশ ছিঁড়ে গেছে)। তখনও র’ক্ত যাচ্ছে প্রচুর। হাতে পালস দেখা হল। খুবই কম। জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে র’ক্ত দেয়া দরকার। জরুরি অবস্থায় অ’পারেশন করে ছিঁড়ে যাওয়া অংশ ঠিক করতে হবে।

এই ভ’য়াবহ সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা ক’র্তব্যরত ডাক্তারের। ম্যাডামকে ফোন করা হল… প্রাথমিক ভাবে ম্যানেজ করার জন্য র’ক্ত দরকার… রোগীর সাথে যারা এসেছে এতক্ষণ ইমা’রজেন্সি রুমের সামনে চিল্লা পাল্লা করছিল। ডাক্তার এসে জানালো জরুরি ভিত্তিতে র’ক্ত দরকার।

তখন সবাই চুপ। কেউ কেউ কে’টে পড়ার জন্য পাশে সরে গেল। কিছুক্ষণ পর রোগীর লোক জানালো, তারা র’ক্ত জোগাড় করতে পারবে না। যা হয় হবে! ডাক্তার তাদের বুঝানোর চে’ষ্টা করলেন। কিন্তু লাভ হল না… রাত সাড়ে তিনটায় ম্যাডাম আসলেন। তার ধমকে শেষ পর্যন্ত তারা র’ক্ত জোগাড় করতে রাজি হল।

কিন্তু র’ক্ত আর সেই রাতে জোগাড় হল না। অ’পারেশন থিয়েটারে ফুলিকে নিয়ে গিয়ে টিয়ার রিপেয়ার করা হল। সকালে রোগীর শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই উধাও। ফুলির বাবা আসলেন সেই ভোরে, র’ক্ত জোগাড় হল কোন রকমে। ছয়দিন পর, রোগীর সেপ্টিসেমিয়া ডেভলপ করলো। ইনফেকশন র’ক্তে ছড়িয়ে গেছে। ভাল অ্যান্টিবায়োটিক দরকার।

রোগীর বাবা এসে বললেন, তারা আর খরচ চালাতে পারবেন না। ডাক্তার পরামর’্শ দিলেন, কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে, তাহলে ঔষধ কেনার খরচ কিছুটা বাঁচবে। কিন্তু, হাসপাতাল মানে তো, কাজকর্ম রেখে একজনকে রোগীর পাশে থাকতে হবে। রিলিজ দিয়ে বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, যা হবার হবে। রিলিজ নিয়ে ফুলিকে বাসায় নেয়া হল।

আরও বেশি অ’সুস্থ হওয়ায় চারদিন পরে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পরদিন ভোর ভোর সময়। একবার চোখ খুলে আবার বন্ধ করলো ফুলি। সেই বন্ধ শেষ বন্ধ। এই সমাজের প্রতি ঘৃ’ণায় চোখ জ্বল জ্বল করছিল কি না কেউ দেখতে পারেনি। ভোরের স্বল্প আলোয় বিদায় জানালো জীবনের নিষ্ঠুরতাকে! ফুলি ‘একিউট রেনাল ফেইলরে’ মা’রা গেছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ডায়ালাইসিসের জন্য বলা হয়েছিল, তারা রোগী নিয়ে এত ঝামেলা করতে পারবে না। শ্বশুরবাড়ি থেকে সেই বাসর রাতের পর, কেউ আসেনি। তাদেরই বা এত চিন্তা কি, একটা বউ ম’রলে দশটা বউ পাওয়া যায়! ফুলি একা নয়, এ রকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এই ঘটনা গু’লো চক্ষু ল’জ্জার ভয়ে প্রকাশ হয় না। কিন্তু সচেতনতা জরুরি।

14/08/2025

ডাক্তার রোগীর সম্পর্ক হওয়া উচিত ছিল আস্থা, সম্মান আর ভালোবাসার, কিন্তু প্রায় সময়ই এখানে এসে বাসা বাঁধে বিতৃষ্ণা, বিদ্বেষ আর ঘৃণা! এই পেশা নিয়ে মানুষের এক অদ্ভুত দ্বৈত মনোভাব দেখি, যুগপৎ ভাবে ভালোবাসা আর ঘৃণার সম্পর্ক। কিছু ভুল ধারণাও থাকে অনেকের মনেই। তাই, এসব নিয়ে দুটো কথা।

প্রথমত, আমরা ডাক্তার কেন দেখাই? সবসময়ই কি রোগী ভালো করার জন্য দেখাই? রোগ ধরতে না পারলে কি বিফলে মূল্য ফেরত? রোগী রোগ নিয়ে আসেন বটে, কিন্তু রোগ ধরার নিশ্চয়তা দেয়া যায়না কখনোই। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই সকল সুযোগ সুবিধা সত্ত্বেও রোগ ধরা নাও পড়তে পারে। আবারও অনেক সময় রোগ জানাই থাকে, যেমন প্রেশার, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। এক্ষেত্রে রোগী সাধারণ তদারকির জন্যই যেতে পারেন, ফলো আপ যাকে বলা হয়। তাহলে, ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে ঔষধ লিখার জন্য টাকা নেননা, রোগ ভালো করার পারিশ্রমিক হিসেবেও নয়। তিনি টাকা নেন তাঁর দেয়া সময়ের জন্য। অনেক সময়ই একটা ঔষধও না লিখে শুধু কথা বলে বা রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনে পারিশ্রমিক পেতে পারেন তিনি।

দ্বিতীয়ত, ডাক্তার রোগী দেখে রোগ ধরতে ব্যার্থ হয়ে ইনভেস্টিগেশন করান, এটা খুব অদ্ভুত কথা। রোগ ধরতে তিনটি বিষয় লাগে, রোগীর ইতিহাস, ডাক্তার কতৃক রোগীর শারীরিক পরীক্ষা এবং ইনভেস্টিগেশন। রোগীর সাথে দুই ঘন্টা ভ্যাজর ভ্যাজর করলেও তার ব্লাড গ্লুকোজ বলুন, রক্তের চর্বির পরিমাণ বলুন বা হিমোগ্লোবিন থেকে হরমোন, এসব রক্তের পরীক্ষা ছাড়া কোনভাবেই বোঝা সম্ভব নয়। এটা ডাক্তারের ব্যর্থতা নয়, এটা বাধ্যবাধকতা। ডাক্তার নিজের দরকারে পরীক্ষা দেন না, পরীক্ষা রোগীর প্রয়োজনেই দেয়া হয়।আবার রোগ ধরা ছাড়াও ঔষধের পরিমাণ নির্ধারণ, রোগের জটিলতা দেখা বা ঔষধের সাইড ইফেক্ট দেখার জন্যও প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষা লাগতে পারে এবং এখন অসংখ্য ডাক্তার আছেন যারা এইসব পরীক্ষা কোন কমিশন গ্রহণ করেন না।

তৃতীয়ত, ডাক্তার তার প্রাথমিক সাক্ষাৎকার এবং রিপোর্ট দেখা, এসব মিলিয়ে কেমন ভিজিট নেবেন এই ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নাই, তাই অনেকেই নিজের যুক্তি অনুযায়ী তা নেন। যেমন কেউ হয়তো প্রথম ভিজিট ১২০০ রেখে রিপোর্ট ফ্রী করেন, কেউ আবার ভিজিট ৮০০ রেখে রিপোর্ট ২০০ রাখেন। উভয়ের যুক্তি আছে। অনেকেই ভাবেন, বিনি পয়সায় কিছু পেলে তার মূল্য থাকেনা, অনেকেই ভাবেন, রিপোর্টের সময় যেহেতু বিস্তারিত আলোচনা করতে হয়, তাই তিনি রিপোর্টের জন্য একটা নির্দিষ্ট ফি নিতে চান।

চতুর্থত, আমাদের যেহেতু কোন ভিজিট নির্ধারনী নীতিমালা নাই, সকলে নিজ নিজ ইচ্ছেতে তা নির্ধারণ করেন। এটি অবশ্য সব সার্ভিসের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। একটি নামকরা ডিজাইনার স্টুডিওর একটা সিংগেল ব্লক প্রিন্টের কামিজের দাম আমি দেখেছি পাঁচ ছয় হাজার রাখতে, গুলিস্তানের পাঁচশো টাকার শার্টের মতোই শার্ট পাঁচ হাজারে বেচা হয়, এক কাপ কফি বা একটা বার্গারের দাম হাজার টাকা হয়। এতো দাম নেয়া হয় আসলে ব্র‍্যান্ড ভ্যালু হিসেবে। তাহলে যে ডাক্তার নিজেকে সেভাবে ব্র‍্যান্ড হিসেবে দেখেন, তাঁর ভিজিট তিনি অতি উচ্চমূল্যে নির্ধারণ করলে আমি রাগ করতে পারি, তাকে বয়কট করতে পারি, কিন্তু গালি দেয়া বা প্রতিবাদ করার তেমন ভিত্তি নেই। আপনার যা সামর্থ, আপনি সেখানেই যাবেন। যেমন কেউ ব্রেকফাস্ট করে সোনারগাঁওয়ে, কেউ বা হোটেল সালাদিয়াতে!

পঞ্চমত, ডাক্তার কথা বলেন না, সময় দেন না, মেজাজ গরম করেন, এসব অভিযোগ তো আছেই। এসব ক্ষেত্রে কিছু কিছু আছে, আচরণগত, যিনি জন্ম থেকে স্বল্পভাষী বা মেজাজি, তিনি ডাক্তার হোন বা মোক্তার, এরকমই থাকবেন। কিন্তু আপনার তো বেছে নেয়ার অপশন আছে। এখন আমাদের দেশে অগনিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, আমি বরং দেখেছি, সময় নিয়ে দেখা ডাক্তারদের ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ কম। অথচ আপনি চাইলেই বেছে নিতে পারেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে সুযোগ আছে, সুযোগ আছে খারাপ ডাক্তার বয়কট করার।

সবচেয়ে বড়ো কথা, খুব দুঃখজনক হলেও এটা ঠিক যে, আমাদের দেশের একটা বিশাল অংশ মানুষ খারাপ, অসৎ এবং দুর্নীতিবাজ। সুতরাং ডাক্তারদের ভেতরও খারাপ মানুষ থাকতেই পারে, ডাক্তার মানে কোন অবোধ নিষ্পাপ অপাপবিদ্ধ প্রাণী নয়, তাঁরা এই সমাজেরই অংশ। কিন্তু এর পাশাপাশি অসংখ্য মানবিক ডাক্তার এমনকি নিজের পকেট থেকে অর্থ সাহায্য করে, বিনা ভিজিটে বা স্বল্প ভিজিটে, আরও অনেক রকম ভাবে সাহায্য করে রোগী দেখেন। তাই যখন সামগ্রিক ভাবে ডাক্তারদেরকে গালি দেয়া হয়, বাকীরা খুবই আশাহত হন।

এদেশে মানুষ কতোখানে যে বেহুদা টাকা ঢালে! একটা সাইনের জন্য, একটা ফাইল এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে নেয়ার জন্য অবলিলায় লক্ষ( এখন নাকি কোটিতেও হয়) টাকা ঢালেন। নাকের ডগা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, ঔষধ পাতিও কেনেন চড়া দামে, কিন্তু আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতায় জানি, ডাক্তারের ভিজিট দিতে অনেকেরই খুব গায়ে লাগে। এক সিগনেচারে যারা লক্ষ টাকা ঢালেন, তারাই আবার একটা কাগজে কয়টা মাত্র ঔষধ লিখা দেখে হাজার টাকা দিতে মরমে মরে যান। অথচ চিকিৎসা দেয়া সেবা নয় সবসময়, এটা ডাক্তারের পেশাও বটে। জীবনের হাসি আনন্দ, আরাম আয়েশ বাদ দিয়ে রোগী ঘাঁটাঘাঁটি করেন তারা জীবিকার তাগিদেই।

অনেক কিছুই লিখলাম, জানি কিছুই হবেনা, তাও লিখলাম। আমি রোগীদের কষ্টও জানি, বুঝি, এসব শুধু ডাক্তারদের দায় নয়, আমাদের সিস্টেমও বড়োই অদ্ভুত! তবুও নিজে ডাক্তার সমাজের অংশ বলে, খুব গালাগালি শুনি বলেই এতো কথার অবতারণা। ভালো থাকবেন সবাই।collected

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Female Health Care By Dr. ZIA posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram