18/06/2025
পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবিঃ Cancer: The Rise
রাতুল ও অর্ক মামার কথোপকথন :
রাতুল : মামা,গতকাল স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে 'তাণ্ডব' মুভিটা দেখে এলাম। দারুণ লাগল মুভিটা। টপ ক্লাস একশন ছিল মুভিতে।
অর্ক মামা : হুম। ইদানীং গ্যাংস্টার মুভিগুলো খুব জনপ্রিয় হচ্ছে। যেমন সাউথ ইন্ডিয়ার ‘KGF',’Pushpa'। তুই কি জানিস ক্যান্সারও যে অনেকটা এই মাফিয়া গ্যাং স্টাইলেই কাজ করে?
রাতুল : কী বল মামা?
অর্ক মামা: ঠিকই বলছি। তাহলে শোন,ক্যান্সারের গল্প। এটা কোন গ্যাংস্টার মুভির চেয়ে কম না।
সমাজে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে যেমন দারিদ্র্য,হতাশা এমন নানা কারণে একজন মানুষ গ্যাংস্টারে পরিণত হয়।
ঠিক তেমনি একটা Cell, Physical,chemical,microbiological,
immunological নানা কারণে Mutated হয়ে Cancer cell-এ পরিণত হয়। সে বলে ওঠে,”আমি আর অত্যাচারিত হব না। আমি হব বিদ্রোহী।“
রাতুল : ইন্টারেস্টিং।
অর্ক মামা: কিন্তু পরিবার তো কাউকে বিদ্রোহী হতে দিতে চায় না। প্রথমে বাঁধা দেন মা। মানে Cell-এর Genome maintenance systems আর DNA repair mechanisms এই Mutation-কে Correct করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিদ্রোহী এই বাঁধা মানে না। সে এই সিস্টেমগুলোকে নষ্ট করে দেয়। এটা হল ক্যান্সারের প্রথম স্টেপঃ Genome instability and mutation।
এরপর বাঁধা দেন বাবা। মানে TP53 যাকে Guardian of the genome বলা হয়। TP53-এর কাজ হল Mutated cell-কে মেরে ফেলা মানে Apoptosis ঘটান। কিন্তু বিদ্রোহী Cell এই TP-53কেও নষ্ট করে দেয়। এটা হল ক্যান্সারের দ্বিতীয় স্টেপঃ Resisting cell death।
Apoptosis ছাড়াও আরও দুটো উপায়ে Cell death ঘটেঃ Autophagy আর Necrosis।
আবারও সেই বিদ্রোহী মানুষটার কথা চিন্তা কর। সে বাবা-মায়ের কথা না মেনে বাসা থেকে চিরদিনের মত বের হয়ে আসে। এরপর সে তার সমমনা আরও কিছু গ্যাংস্টারদের নিয়ে একটা মাফিয়া গ্যাং তৈরি করে। কিন্তু তাদের হাতে তো টাকা পয়সা নেই। এজন্য তারা তাদের অপ্রয়োজনীয় জিনিস যেমন ঘড়ি,মোবাইল বিক্রি করে কিছুদিন চলার মত টাকার ব্যবস্থা করল।
ঠিক তেমনি Cancer cell-ও নিজের survival-এর জন্য Lysosomal enzymes-এর মাধ্যমে নিজের কিছু Organelles,digest করা শুরু করল। এটাকেই বলা হয় Autophagy।
কিন্তু এই অল্প কিছু টাকা দিয়ে তারা বেশিদিন চলতে পারল না। খাদ্যের অভাবে কিছু গ্যাংস্টার মারা গেল(Necrosis) এবং স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে এই খবর পেয়ে ওখানে পুলিশ(Immune cells) চলে এল।
তখন গ্যাং লিডার একটা বুদ্ধি বের করল। সে এবং তার সহযোগীরা ঐ পুলিশ বাহিনীকে আক্রমণ করে তাদের অস্ত্র এবং টাকা ছিনিয়ে নিল।
ঠিক তেমনি Necrosis কিছু Immune cell-কে ডেকে আনে। এটা Cancer cell-এর জন্য শাপে বর হয়। Immune cells কিছু Growth factors রিলিজ করে যা Angiogenesis,cellular proliferation and tissue invasion ঘটায়৷
রাতুল : দারুণ তো৷ মনে হচ্ছে যেন একটা মুভি দেখছি। কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি একটা দারুণ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের সাথে গ্যাং লিডার তার দলবল নিয়ে অস্ত্র আর টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে৷
অর্ক মামা : আরে মুভি তো মাত্র শুরু হল। এখন গ্যাং লিডারের গ্যাং মেম্বার বাড়াতে হবে। এজন্য সে এবং তার সহযোগীরা আরও সমমনা কিছু মানুষদের গ্যাং-এ অন্তর্ভুক্ত করল।
একইভাবে Cancer cells কিছু Growth factors(TGF-alpha,PDGF,EGFR,HER-2) রিলিজ করে ক্যান্সার সেলের Proliferation চালু রাখে। তার মানে ক্যান্সারের তৃতীয় স্টেপ হল Sustaining proliferative signalling।
এরপর সমাজের সুশীল ব্যক্তিবর্গ(Tumor suppressor genes such as TP53,TP21,TP16) তাদের গ্যাংয়ের এই Growth-এ বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই গ্যাং তাঁদের এই বাঁধা ছিন্ন করে মানে Tumor suppressor gene-গুলোকে Inactive করে দেয়। তার মানে ক্যান্সারের চতুর্থ স্টেপ হল Evading growth suppressors।
এরপর গ্যাং লিডার তার গ্যাং মেম্বারদের থেকে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিল যে তারা যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন পর্যন্ত নতুন গ্যাং মেম্বার রিক্রুট করতে থাকবে।
একইভাবে,ক্যান্সার সেল Replicative immortality লাভ করে। তার মানে ক্যান্সারের পঞ্চম স্টেপ হল Enabling replicative immortality। ক্রোমোসোমের ২ প্রান্তে থাকে Telomere যা ক্রোমোসোমের ২ প্রান্তকে Protected আর Stabilised রাখে। প্রতি Cell division-এর পরে এই Telomere ছোট হতে থাকে এবং একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক Cell division-এর পরে Telomere এতটা ছোট হয়ে যায় যে আর Cell division সম্ভব হয় না। ক্যান্সার সেল এটা চায় না। ক্যান্সার সেল চায় Cell division চলতেই থাকুক। তাই সে Telomerase এনজাইমের মাধ্যমে Telomere-এ nucleotide যুক্ত করে দেয় যাতে Cell division চলতেই থাকে।
রাতুল : দারুণ তো।
অর্ক মামা : এখন গ্যাং তো গঠন হল। কিন্তু গ্যাংয়ের একটা পার্মানেন্ট ইনকাম সোর্স তো লাগবে। এজন্য তারা ড্রাগস চোরাচালান শুরু করল যা থেকে তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে থাকল৷
ঠিক তেমনি ক্যান্সার সেলও Angiogenesis-এর মাধ্যমে তার নিরবচ্ছিন্ন পুষ্টির ব্যবস্থা করে। তার মানে ক্যান্সারের ষষ্ঠ স্টেপ হল Inducing angiogenesis। কিছু Angiogenic growth factors(VEGF,PDGF)-এর মাধ্যমে এই Angiogenesis সম্পন্ন হয়। কিছু Angiogenesis inhibitors যেমন Thrombospondin-1(TSP-1) এই প্রক্রিয়ায় বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করে।
এখন গ্যাং গঠন হল। ইনকামের ব্যবস্থাও হল। এবার গ্যাং লিডার চিন্তা করল তাদের এই মাফিয়া গ্যাংয়ের পরিধি বিভাগীয় পর্যায়ে(Invasion) এবং দেশের সব জায়গা(Metastasis) পর্যন্ত বিস্তৃত করতে হবে। তার মানে ক্যান্সারের সপ্তম স্টেপ হল Activating invasion and metastasis।
এবার গ্যাং লিডার গ্যাং মেম্বারদের জন্য একটা নতুন নিয়ম তৈরি করল। সেটা হল গ্যাং মেম্বারদের সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে ভেজেটেরিয়ান হতে হবে। মানে তারা কোন প্রকার মাছ-মাংস খেতে পারবে না৷ এতে গ্যাং মেম্বারদের শক্তি হয়ত একটু কম উৎপাদন হবে,কিন্তু মাছ-মাংস না কেনার কারণে যে টাকাটা বেঁচে যাবে সেই টাকা দিয়ে তারা আরও বেশি গ্যাং মেম্বার এড করতে পারবে।
একইভাবে,ক্যান্সার সেল ATP উৎপাদনের জন্য Oxidative phosphorylation-এর বদলে শুধু Glycolysis প্রক্রিয়া ইউজ করে(GLUT-1 receptor upregulation-এর মাধ্যমে)। Oxidative phosphorylation প্রক্রিয়ায় ৩৮টি ATP উৎপাদিত হয়। কিন্তু Glycolysis প্রক্রিয়ায় মাত্র ২টি ATP উৎপাদিত হয়। এতে ক্যান্সার সেল কম ATP পেলেও তার একটা লাভ আছে। সেটা হল বেশি বেশি Glycolysis-এর মাধ্যমে উৎপাদিত বেশি বেশি Glycolytic intermediates-এর মাধ্যমে বেশি বেশি Nucleosides এবং Amino acids তৈরি করে যা Cell division-এ কাজে লাগে। তার মানে ক্যান্সারের অষ্টম স্টেপ হল Deregulating cellular energatics।
এত বড় গ্যাং-এর কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য পুলিশ(Immune system) প্রায়ই তাদের আস্তানায় হামলা করে। কিন্তু সেই Necrosis-এর ঘটনার মত ক্যান্সার গ্যাং সেই পুলিশ বাহিনীকে কাউন্টার এটাক করে তাদের অস্ত্র আর টাকা নিয়ে নেয়। মানে Immune cells কিছু Growth factors রিলিজ করে যার মাধ্যমে Angiogenesis,cellular proliferation and tissue invasion ঘটে। তার মানে ক্যান্সারের নবম স্টেপ হল Tumor-promoting inflammation।
মাফিয়া গ্যাং রাস্তায় চলাচলের সময় পুলিশ চেকপোস্টের(Immune checkpoint) সামনে পড়ে। কিন্তু পুলিশ বাহিনী তাদের চিনতে পারে না। কারণ তারা নকল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে নিজেদের আইডেন্টিটি গোপন রাখে।
একইভাবে ক্যান্সার সেল Immune checkpoint-এর মাধ্যমে Immune system-এর দ্বারা Destruction থেকে বেঁচে যায়। যেমন ক্যান্সার সেলের PD-L1,T-cell-এর PD-1-এর সাথে Bind করে। ফলে T-cell,ক্যান্সার সেলকে Destroy করে না। তার মানে ক্যান্সারের দশম এবং সর্বশেষ স্টেপ হল Evading immune destruction।
রাতুল : দারুণ। মনে হল একটা মুভি দেখা শেষ করলাম।
অর্ক মামা : এবার তুই Hallmarks of cancer-এর ১০টা Points বল।
রাতুল : এটা আমার জন্য এখন একদমই সহজ হয়ে গেছে। মুভির সিকোয়েন্সগুলো মনে করলেই সহজে বলা যায়ঃ
1. Genome instability and mutation
2. Resisting cell death
3. Sustaining proliferative signalling
4. Evading growth suppressors
5. Enabling replicative immortality
6. Inducing angiogenesis
7. Activating invasion and metastasis
8. Deregulating cellular energatics
9. Tumor-promoting inflammation
10. Evading immune destruction
অর্ক মামাঃ দারুণ। তুই কিন্তু Oncology-র খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক খুব সহজে শিখে ফেললি।