Be with Dr.Afreen

Be with Dr.Afreen Dr.Afreen
MBBS,MRCPCH(UK-part 2),CMU

Pediatrician by profession, storyteller by passion. Tips on child health, parenting, and lifestyle inspiration.

Helping parents raise healthy, happy kids—while living a balanced, vibrant life.

পর্ব-৭✨বাচ্চার বুদ্ধিবিকাশে  পুষ্টিকর খাবার✨বাচ্চার মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য দরকার সঠিক পুষ্টি। কিছু নির্দিষ্ট খাবার...
24/05/2025

পর্ব-৭

✨বাচ্চার বুদ্ধিবিকাশে পুষ্টিকর খাবার

✨বাচ্চার মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য দরকার সঠিক পুষ্টি। কিছু নির্দিষ্ট খাবার বুদ্ধিবিকাশে সরাসরি সাহায্য করে। আজ জানবো চিজসহ এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারের কথা।

➡️১. চিজ (Cheese):
চিজে থাকে হেলদি ফ্যাট, প্রোটিন ও ভিটামিন বি১২—যা ব্রেইনের নিউরন গঠনে সহায়ক।

চিজ কবে থেকে: ৮ মাসের পর পরিমাণমতো দেওয়া যায়।
ধরন: পাস্তুরাইজড, নোনাবিহীন সফট চিজ (যেমন: কটেজ চিজ) ভালো।

২. ডিম:
ডিমের কুসুমে থাকে কোলিন, যা মস্তিষ্কের গঠন ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

৩. মাছ (বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ স্যামন/ইলিশ):
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেইনের বিকাশে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৪. বাদাম বাটার:
স্মুথ পিনাট বাটার বা অন্যান্য বাদামের বাটারে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি। (অ্যালার্জি না থাকলে)

৫. অ্যাভোকাডো:
স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের দারুণ উৎস। বাচ্চার ব্রেইনের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৬. ওটস ও দানা জাতীয় খাবার:
স্লো রিলিজিং কার্বোহাইড্রেট বাচ্চার মস্তিষ্ককে দীর্ঘসময় শক্তি জোগায়।

💥টিপস:

নতুন খাবার একবারে বেশি না দিয়ে, অল্প অল্প করে শুরু করুন।

চিজ বা অন্য নতুন খাবারে অ্যালার্জির লক্ষণ (চুলকানি, পেটব্যথা, র‍্যাশ) দেখলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

#বাচ্চারবুদ্ধিবিকাশ #পর্ব৭ #শিশুখাদ্য #চিজফরবেবি

22/05/2025

পর্ব ৬
বাচ্চাদের ৮-১২ মাসের খাবার চার্ট

এই বয়সে বাচ্চারা ধীরে ধীরে ফ্যামিলি ফুডের দিকে আগ্রহ দেখাতে শুরু করে। তাই খাবারের ধরন, পরিমাণ ও বৈচিত্র্য বাড়ানোর সময় এখনই।

✨. খাবারের ধরন:

দুধ: মায়ের দুধ প্রধান খাবারই থাকবে

অর্ধ-মসলা দেওয়া ঘরের খাবার: ভাত, ডাল, সবজি

স্ন্যাকস: সুজি, ওটস, কলা, আলু,স্যুপ,সাগু, হোম মেইড সেরেলাক, ওটস প্যানকেক

ফিঙ্গার ফুড: ছোট করে কাটা সেদ্ধ সবজি, কলা, ডিমের কুসুম

প্রোটিন: সেদ্ধ ডিম, মাছ (কাঁটা ছাড়া), মুরগির মাংস (সেদ্ধ)

নতুন খাবার ধীরে ধীরে দিন: একবারে একটাই নতুন খাবার ট্রায় করুন

✨. সময়সূচি (উদাহরণ):

সকাল: মায়ের দুধ + স্ন্যাকস

বেলা: ভাত/ডাল/সবজি

বিকেল: ফলের পিউরি

সন্ধ্যা: স্যুপ বা ওটস

রাত: মায়ের দুধ

💥 মনে রাখবেন:

➡️বাচ্চা নিজে খেতে চাইলে সুযোগ দিন

➡️খাবারে লবণ ও চিনি দিবেন না

➡️একবারে বেশি চাপ নয় – ধৈর্য ধরুন



াসের_বাচ্চা

21/05/2025

পর্ব - ৫
৭ মাসের বাচ্চার খাবার চার্ট ও খাবারের সময়সূচি (সিরিয়াল অনুযায়ী)

৭ মাস বয়সে বুকের দুধের পাশাপাশি বাচ্চাকে ধীরে ধীরে সলিড খাবারের সাথে পরিচয় করাতে হয়। তবে মনে রাখবেন, এখনো মূল খাবার হচ্ছে বুকের দুধ।

➡️ দিনে কয়বার খাবার?
• ২ বার সলিড খাবার
• ১-২ বার হালকা স্ন্যাক্স
• বুকের দুধ আগের মতোই চলবে

সিরিয়াল অনুযায়ী খাবারের তালিকা (উদাহরণ):
সিরিয়াল অনুযায়ী খাবারের চার্ট:

➡️সকাল (৯-১০টা):
• ওটস খিচুরী পাতলা করে অথবা খেজুর পায়েস
• অথবা সুজি
• অথবা কলা চিঁড়া

➡️ দুপুর (১-২টা):
• ভাত + সবজি ম্যাশ
• অথবা ডিমের কুসুম + আলু
• অথবা কাঁটা ছাড়া মাছ + ভাত

➡️ বিকাল (৫-৬টা):
• ফল পিউরি (আপেল, কলা, নাশপাতি)
• অথবা সাগু/সেমাই/পায়েস/হোম মেইড সেরেলাক

💥 মা-বাবার জন্য টিপস:

• একসাথে এক নতুন খাবার
• ৩ দিন দেখে দিন – অ্যালার্জি হয় কিনা
• লবণ-চিনি এখনো নয়
• সবসময় ভালো করে ম্যাশ করে দিন

#৭মাসেরবাচ্চারখাবারতালিকা

20/05/2025

পর্ব-৪

৬ মাসের বাচ্চাকে যেসব খাবার খাওয়ানো যাবে না

৬ মাস বয়সে বাচ্চার হজম শক্তি পুরোপুরি তৈরি হয় না, তাই কিছু খাবার একদম এড়িয়ে চলতে হবে।

❌ ১. মধু:
➡️ এতে botulism নামের বিপজ্জনক ইনফেকশন হতে পারে।
➡️ ১ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মধু দেবেন না।

❌ ২. লবণ ও চিনি:
➡️ বাচ্চার কিডনির ওপর চাপ পড়ে।
➡️ খাবারে আলাদা করে লবণ-চিনি না দেওয়াই ভালো।

❌ ৩. গরু/মুরগির দুধ:
➡️ বুকের দুধ বা ফর্মুলা ছাড়া অন্য কোনো দুধ (গরু/পাউডার দুধ) না দেওয়া উচিত।
➡️ এতে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

❌ ৪. গ্লুটেন জাতীয় খাবার (যেমন রুটি, পাউরুটি, পাস্তা ইত্যাদি):
➡️ গ্লুটেন ইনট্রোডাকশনের সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

❌ ৫. মসলা ও ঝাল খাবার:
➡️ পাকস্থলী ও অন্ত্রের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
➡️ রান্নায় পেঁয়াজ, রসুন, তেল-ঝাল একদম না।

❌ ৬. বাদাম / দানা জাতীয় খাবার:
➡️ গলায় আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
➡️ পিউরি বা পেস্ট আকারে না দিলে বাদাম দেওয়া যাবে না।

❌ ৭. প্রসেসড ফুড (চিপস, বিস্কুট, চকলেট):
➡️ এতে থাকে প্রিজারভেটিভ, যা শিশুর জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়।

মনে রাখবেন:
বাচ্চার খাবার হতে হবে নরম, এক উপকরণে তৈরি এবং খুবই সহজপাচ্য।

#৬মাসেরখাদ্যবিধি

19/05/2025

পর্ব ৩
এক সপ্তাহের মেনু - ৬ মাসের বাচ্চার জন্য

শনিবার
➡️ আলুর পিউরি
➡️ বুকের দুধ চাহিদা মত

রবিবার
➡️ মিষ্টি কুমড়ার পিউরি + সেদ্ধ আপেল
➡️ বুকের দুধ চাহিদা মত

সোমবার
➡️ পাতলা খিচুড়ি + গাজর পিউরি
➡️ বুকের দুধ চাহিদা মত

মঙ্গলবার
➡️ মসুর ডালের পাতলা পানি + লাউ পিউরি
➡️ বুকের দুধ চাহিদা মত

বুধবার
➡️ নাশপাতি পিউরি + ভাতের মাড়
➡️ বুকের দুধ চাহিদা মত

বৃহস্পতিবার
➡️ কলা পিউরি+ পাতলা সুজি( গাজর/খেজুর দিয়ে)
➡️ বুকের দুধ চাহিদা মত

শুক্রবার
➡️ ওটস পাতলা খিচুড়ি
➡️ বুকের দুধ চাহিদা মত

টিপস:

সেদ্ধ করা সবজির পিউরি দিতে শুরু করলেই নতুন নতুন খাবারের প্রতি বাচ্চার আগ্রহ বাড়বে।

মেনু পরিবর্তন করুন প্রতিদিনের রুচি অনুযায়ী।

সামনে বাচ্চাদের হেলদি খাবারের রেসিপি শেয়ার করবো।

পর্ব -২৬ মাসের পর বাচ্চার জন্য ধীরে ধীরে নতুন খাবার শুরু করা হয়। প্রথমে তরল এবং সহজপাচ্য খাবার দিয়ে শুরু করতে হয়। নিচে প...
18/05/2025

পর্ব -২

৬ মাসের পর বাচ্চার জন্য ধীরে ধীরে নতুন খাবার শুরু করা হয়। প্রথমে তরল এবং সহজপাচ্য খাবার দিয়ে শুরু করতে হয়। নিচে পর্ব অনুযায়ী দিনের একটি তালিকা দিলাম:

১: প্রথম ৩ দিন (৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পর শুরু)
খাবার: চালের পাতলা খিচুড়ি / চালের মাড় / সুজি ঘন করে নয়
মেনু:

সকাল: মায়ের দুধ

দুপুর: চালের মাড় (১-২ চামচ)

বিকাল: মায়ের দুধ

রাত: মায়ের দুধ

---

২: দিন ৪-৬
খাবার: ভাজা সুজি পানিতে রান্না করে (একটু দুধ বা মায়ের দুধ দিয়ে)
মেনু:

সকাল: মায়ের দুধ

দুপুর: সুজি (২-৩ চামচ)

বিকাল: মায়ের দুধ

রাত: মায়ের দুধ

---

৩: দিন ৭-১০
খাবার: লাউ / মিষ্টি কুমড়া ভালো করে সেদ্ধ করে মিহি করে দেওয়া
মেনু:

সকাল: মায়ের দুধ

দুপুর: সবজি পিউরি

বিকাল: চালের মাড় বা সুজি

রাত: মায়ের দুধ

---

৪: দিন ১১-১৫
খাবার: ডাল / চাল-ডাল খিচুড়ি (ঝাল ছাড়া)
মেনু:

সকাল: মায়ের দুধ

দুপুর: পাতলা খিচুড়ি

বিকাল: সবজি পিউরি

রাত: মায়ের দুধ

--

৫: দিন ১৬-২০
খাবার: কলা বা পাকা পেঁপে পেস্ট
মেনু:

সকাল: ফল পিউরি

দুপুর: খিচুড়ি বা সুজি

বিকাল: ডালের পানি বা সবজি

রাত: মায়ের দুধ

--

এইভাবে ধীরে ধীরে একেকটা খাবার ৩ দিন করে দিয়ে দেখে নিতে হয়, কোনো অ্যালার্জি বা সমস্যা হয় কি না।
#৬মাসের_পর #শিশুর_খাবার

13/05/2025
13/05/2025

Be with Dr. Afreen পেজে আপনি যা পাবেন—

💥শিশুদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও চিকিৎসা পরিকল্পনা
টিকা, পুষ্টি, অসুস্থতা ও বিকাশ সংক্রান্ত পরামর্শ।

💥স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের টিপস
ঘুম, খাবার, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সহজ অভ্যাস।

💥ইতিবাচক প্যারেন্টিং গাইডলাইন
ভালোবাসা, শৃঙ্খলা ও সচেতন অভিভাবকত্বের কৌশল।

💥বাচ্চার হেলদি খাবার রেসিপি এবং টিফিন এর রেসিপি।

💥বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ
চিকিৎসকের দৃষ্টিতে অভিজ্ঞতা ও ভালোবাসার সংমিশ্রণ।


Address

Badda, Dhaka 1212
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Be with Dr.Afreen posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram