04/10/2024
বিটিএস ৭ সদস্যের দক্ষিণ কোরিয়ান বয় ব্যান্ড। এ ৭ সদস্যের ব্যান্ড বিগহিট মিউজিক এর অধীনে ২০১০ সালে ট্রেইনি হিসেবে এবং ২০১৩ সালে টু কুল ফর স্কুল অ্যালবাম নিয়ে পুরো বিশ্বের সামনে আত্মপ্রকাশ করে। তারা মূলত হিপ হপ সঙ্গীতের গ্রুপ হলেও তাদের গানগুলোতে বিভিন্ন সঙ্গীতের ধরন প্রকাশ পায়।
বিটিএস ব্যান্ডের প্রতি কেনো এত অভিযোগ?বিটিএসের গান ও আমাদের তরুণ-তরুণীদের ওপর এর প্রভাব কি?
বিটিএস আমাদের দেশের কালচারের সাথে যায় না।বাঙালি সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় সংস্কৃতি দুটোর সাথে সাংঘর্ষিক। ছেলেরা মেয়েদের মতো আচরণ বা পোশাক পড়ে। ওদেরকে দেখলেই তাদের বিকৃত মানসিকতার মনে হয়।এই বিটিএস ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে। বাঙালি তরুণ প্রজন্মের কাছেও। কিন্তু বাঙালি তরুণ-তরুণীদের ওপর এই হিপহপ গান নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আসছে। বিটিএসদের আর্মি নামেও ডাকা হয়। ব্যান্ড দলটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুসারী হওয়ায় তাদের গানে সে সংস্কৃতির দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়, যা বাঙালিদের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। এর একটি বৃহৎ অংশজুড়ে রয়েছে বাংলাদেশি যুবকেরা। সাধারণত বাঙালি হুজুগে বিশ্বাসী। বিটিএস অনেক জনপ্রিয় হলেও অধিকাংশ মানুষই এই ভাষা বুঝতে পারে না। কিন্তু কেন বিটিএসদের দিকে এত ঝোঁক, তা বলা মুশকিল। ভাষাটা মূলত কোরিয়ান। ভাষা তেমন বুঝতে না পারলেও। সেটা না বুঝেই গানের তালে মাথা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে ড্যান্স করতে বেশ ভালো বাসে ভক্তরা ; মেয়েরাও তা-ই করে থাকে। শুধু গানে নয়, আচার-আচরণ, পোশাকে—সব ক্ষেত্রে তাদের অনুসরণ করে চলছে। বাহ্যিক স্টাইলে ছেলে-মেয়ে দেখতে প্রায় একই। কারণ, চুলের কাটিং, লিপস্টিক, মেকআপ বা সাজসজ্জা একই ধরনের প্রায়। আর এই স্টাইল নষ্ট করছে আমাদের ঐতিহ্যমণ্ডিত বাঙালির সংস্কৃতি। সাথে আমাদের ধর্মের নিয়ম নিয়তির পরিপন্থী কাজকে প্রমোট করছে।
বিটিএসদের মূল সমস্যা হলো পোশাক বা চেহারায়। কোরিয়ান ব্যান্ড সদস্যদের সাজগোজ করার ব্যাপারটাই বেশির ভাগ বাংলাদেশি সংস্কৃতির ওপর চরম ক্ষতিকর দিক বয়ে নিয়ে আসেছে।
তাদের ফেস আর্ট সবই প্রায় এক লিঙ্গের শামিল। মানে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ বুঝতে পারা যায় না। এ জন্য তরুণ প্রজন্ম যখন তাদের অনুসরণ করছে, তখন থেকেই পোশাক-আশাকে তাদের নীতিমালা মেনে চলছে। এ বিষয়গুলোই বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান। সংস্কৃতির চরম বাস্তব উদাহরণ দিয়ে যদি বলি, পশ্চিমারা শর্টপিস পোশাকে অভ্যস্ত বা এটাই তারা পছন্দ করে বা তাদের সংস্কৃতি। অপর পক্ষে বাঙালিরা শাড়ি, থ্রি পিস, লুঙ্গি, বোরখা ও পাঞ্জাবিতেই বেশি মানানসই। এ জন্য আমাদের দেশে এটাই প্রচলিত ও প্রশংসনীয়। এটাই হলো সংস্কৃতিগত পার্থক্য। তাই আমাদের উচিত হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যকে হারাতে না দেওয়া। আমাদের শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে না পারলে হয়তো হারিয়ে ফেলতে হবে বাঙালি গান, সুর, ইতিহাস ও ধর্মীয়
ঐতিহ্য। যে সংস্কৃতি বিশ্বের মানচিত্রে শ্রেষ্ঠ আসন গেঁড়ে বসে আছে, তা এভাবে বিলুপ্ত হতে দেওয়া যায় না। উপরিউক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য তরুণ প্রজন্মকে মানসম্মত গান, নৈতিকতাপূর্ণ সিনেমা ও নাটক উপহার দিতে হবে। বাড়াতে হবে সামাজিক আচরণবিধি, যেন কোনোভাবেই আমাদের সংস্কৃতি খর্বিত না হয়।
কথা এখানেই শেষ নয়- এর মধ্যে অধিকাংশই তরুণ তরুণী এবং এই সাপোর্টারদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সমকামিতাকে পজিটিভ হিসেবে উপস্থাপন করছে বিটিএস , মুসলিম তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই চিন্তা প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে তারা। অনেক মুসলিমদের মধ্যে এই চিন্তা চেতনা প্রবেশ করায় তারা সেদিকে ধাবিত হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে এভাবেই ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারা। শুধু ইসলাম ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে এমন নয় তারা সকল ধর্মের মানুষকে প্রভাবিত করে ধর্মীয় মূল্যবোধকে ধ্বংস করে ধর্মহীন নিয়মবহির্ভূত নোংরা সমাজ গড়তে চায়।
সমকামিতা শুধু মুসলিম ধর্মে নিষিদ্ধ নয়, সব ধর্মেই নিষেধ করা আছে ও ভয়াবহ শাস্তির বর্ণনা দেয়া আছে। সুতরাং যারা বিটিএস সাপোর্ট করেন ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক দিক থেকে তারা এই মিউজিক থেকে দূরে থাকবেন এবং এই টক্সিক ব্যান্ডটিকে বয়কট করবেন।সকলের উচিত হবে এই ব্যান্ডের মিউজিক থেকে দূরে থাকা এবং এদের বয়কট করা।