Little One's Health

Little One's Health "শিশুর হাসি, সুস্থতা, এবং বিকাশের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি অটুট।"

বাচ্চা মোবাইল দেখতে চাচ্ছে কিন্তু আপনি চান না এখন মোবাইল দেখুক।মোবাইল না দেওয়ার কারণে সে ফ্লোরে গড়াগড়ি করা শুরু করল, ...
30/05/2025

বাচ্চা মোবাইল দেখতে চাচ্ছে কিন্তু আপনি চান না এখন মোবাইল দেখুক।মোবাইল না দেওয়ার কারণে সে ফ্লোরে গড়াগড়ি করা শুরু করল, কান্নাকাটি করা শুরু করল। এক পর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে আপনি মোবাইল দিয়ে দিলেন। এই ঘটনা থেকে বাচ্চা শিখল, কোন কিছু পাওয়ার জন্য তাকে এই ধরনের আচরণ করতে হবে তাহলেই সে পাবে। বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে এই জেদ করে আদায় করার প্রবণতা বাড়তে থাকবে। একটু বড় হওয়ার পর তারা বাবা মাকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে। তাই ছোটবেলা থেকেই বাচ্চার জেদ কে প্রশ্রয় না দিয়ে তাকে বোঝাতে হবে, আপনি যখন কিছুতে না বলেছেন তা কখনোই কোন কিছুর বিনিময় হ্যাঁ হবে না।
এছাড়াও বাচ্চা জেদ সামলাতে যা করবেন -
👉জেদের সময় বাচ্চার প্রতি মনোযোগ কম দেবেন।
👉বাচ্চা কোন কিছুর জন্য কান্না করলে তার কান্না থামানোর জন্য সাথে সাথে ওই জিনিসটা দিয়ে দিবেন না
👉যদি বাচ্চা ফ্লোরে গড়াগড়ি অথবা হাত-পা ছড়াছড়ি করে তাহলে বাচ্চাকে নিরাপদ স্থানে রেখে আপনি ওই স্থান ত্যাগ করুন।
👉যেকোনো ধরনের নেগেটিভ অ্যাটেনশন যেমন :বকাবকি, গায়ে হাত তোলা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন।
👉দুই বছরের কম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, তাদেরকে জড়িয়ে ধরে, আদর করে, মনোযোগ অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
মনে রাখবেন, বাচ্চারা কিন্তু তাদের চাহিদা আদায়ের ক্ষেত্রে খুবই সচেতন। তারা যদি একবার বুঝে যায়, জেদের মাধ্যমে তারা তাদের অন্যায় চাহিদাগুলো আদায় করতে পারবে তাহলে তারা তা বারবার যেকোনো পরিবেশে তা প্রয়োগ করতে থাকবে।

ভালোবাসার নামে বিষ এগুলো! জোর করে অতিরিক্ত খাওয়ানোর পরিণতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে, জানেন?আমরা সন্তানকে ভালোবাসি। তার ভালো...
22/05/2025

ভালোবাসার নামে বিষ এগুলো! জোর করে অতিরিক্ত খাওয়ানোর পরিণতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে, জানেন?

আমরা সন্তানকে ভালোবাসি। তার ভালো চাই বলেই তার মুখে এক চামচ আরেক চামচ খাবার তুলে দিই। কখনো সে না চাইলে মুখ জোর করে খুলে দিই, চোখ রাঙিয়ে বলি, “না খেলে বড় হবে কী করে?” কিন্তু জানি কি, এই ভালোবাসার চাপে, আদরের নামে কখনো কখনো মৃ**ত্যুও এসে যেতে পারে?

সম্প্রতি এই হৃদয়বিদারক ঘটনা চোখে পড়েছে। অসুস্থ অবস্থায় একটি ছোট্ট শিশু হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানোর কারণেই শিশুটির মৃ**ত্যু হয়েছে।
ভাবা যায়?
আমার বুক ফেটে কান্না আসছে এটা দেখে!😔😔

শিশুর শরীর ছোট, হজমক্ষমতা সীমিত। তারা যখন না খেতে চায়, অনেক সময় শরীর নিজেই সংকেত দেয়,আমি এখন নিতে পারছি না। কিন্তু আমরা বড়রা সেই সংকেত বুঝতে না পেরে নিজেদের চিন্তাধারাই চাপিয়ে দিই। যেন না খেলে সে অপুষ্টিতে ভুগবে, দুর্বল হয়ে পড়বে, অথচ অতিরিক্ত খাওয়ানো যে আরও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে, সেটা ভুলেই যাই।

মনে রাখবেন,অতিরিক্ত খাওয়ানোর ফলে বমি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে!!জোর করে খাওয়ালে খাবার শ্বাসনালিতে ঢুকে যেতে পারে।
পেটের অস্বস্তি ও ফোলাভাব, গ্যাস হয় যা শিশু বুঝিয়ে বলতে পারে না, কিন্তু কষ্ট পায়!!

আমার পেজে অনেক মা আছেন,আমি রিকোয়েস্ট করছি প্লিজ শিশু না চাইলে জোর করবেন না।
বাচ্চার স্বাভাবিক খাওয়ার ইচ্ছাকে সম্মান জানাবেন!!

আর বাচ্চার খাবার কখনো পরিমাণে নয়,পুষ্টিতে গুরুত্ব দিবেন সবসময়!!

অবশ্যই খেয়াল রাখবেন,খাওয়ানোটা যেন খেলার মতো মজা হয়, ভয়ের নয়!!

আমাদের সন্তানের সুস্থতা আমাদের সচেতনতার ওপরই নির্ভর করে। আদর করুন, খেয়াল রাখুন, কিন্তু কখনোই ভালোবাসার নামে তার ক্ষতি করে ফেলবেন না।
🥺🥺
সচেতনতামূলক পোস্ট হিসেবে সবার টাইমলাইনে শেয়ার করে দিবেন এটা,প্রতিটা মা যেনো নিজের ভুলটা বুঝতে পারে।।😔

✍️ Falaaq's Day Out

**শিশুদের অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা): নীরব এক হুমকি, যার প্রভাব পড়ে শিশুর বেড়ে ওঠা ও ভবিষ্যতের উপর**একজন বাবা-মা হিসেবে...
15/05/2025

**শিশুদের অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা): নীরব এক হুমকি, যার প্রভাব পড়ে শিশুর বেড়ে ওঠা ও ভবিষ্যতের উপর**

একজন বাবা-মা হিসেবে আমরা সবসময় চাই, আমাদের সন্তান হেসে-খেলে বড় হোক, সুস্থ-সবল থাকুক। কিন্তু অনেক সময় একটি নীরব সমস্যা আমাদের অজান্তেই শিশুর শরীরে বাসা বাঁধে— সেটি হলো **অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা**।

# # # **অ্যানিমিয়া কী?**

অ্যানিমিয়া হলো শরীরে হিমোগ্লোবিন নামক একটি প্রোটিনের ঘাটতি, যা লোহিত রক্তকণিকায় থাকে। এই হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। হিমোগ্লোবিন কমে গেলে শরীরের কোষগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, ফলে দেখা দেয় নানা সমস্যা।

# # # **শিশুরা কেন অ্যানিমিয়ায় ভোগে?**

১. **আয়রনের ঘাটতি**: শিশুর খাদ্যতালিকায় আয়রনের অভাব থাকলে রক্ত তৈরি ব্যাহত হয়।
২. **দীর্ঘদিনের অপুষ্টি**: সুষম খাবারের অভাবে শরীর দুর্বল হয়, রক্ত তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানও মেলে না।
৩. **অতিরিক্ত কৃমি সংক্রমণ**: কিছু কৃমি রক্ত চুষে খায়, ফলে শরীরে রক্ত কমে যায়।
৪. **রক্তপাত বা দুর্ঘটনা**: কখনো কখনো অভ্যন্তরীণ রক্তপাতও অ্যানিমিয়ার কারণ হতে পারে।
৫. **জন্মগত সমস্যা**: যেমন থ্যালাসেমিয়া বা সিকল সেল অ্যানিমিয়া।

# # # **লক্ষণগুলো কী কী হতে পারে?**

* শিশুর চেহারায় ফ্যাকাসে ভাব
* সবসময় দুর্বল ও ক্লান্ত লাগা
* ক্ষুধামান্দ্য বা খেতে না চাওয়া
* মনোযোগে ঘাটতি
* সহজে শ্বাসকষ্ট হওয়া
* বারবার অসুস্থ হয়ে পড়া
* বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বিকাশে দেরি

# # # **কী করবেন আপনি?**

* **আয়রনসমৃদ্ধ খাবার দিন**: ডিমের কুসুম, কলিজা, পালং শাক, বিট, ডাল, খেজুর, কলা, মাংস ইত্যাদি
* **৬ মাসের পর সুষম খাবার শুরু করুন**: বুকের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পুষ্টিকর খাবার দিন
* **নিয়মিত কৃমিনাশক খাওয়ান**: ১ বছর বয়সের পর থেকে ৬ মাস অন্তর
* **রক্ত পরীক্ষা করান**: শিশু যদি সবসময় দুর্বল লাগে বা লক্ষণগুলো দেখা দেয়
* **চিকিৎসকের পরামর্শ নিন**: কখনও কখনও আয়রনের সিরাপ বা অন্য চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে

# # # **অ্যানিমিয়া প্রতিরোধযোগ্য একটি সমস্যা**

ঠিক সময়ে সচেতন হলে এবং সঠিক যত্ন নিলে আপনার সন্তানকে এই বিপদ থেকে বাঁচানো সম্ভব। মনে রাখবেন, অ্যানিমিয়া শুধু রক্তের অভাব নয়, এটি আপনার শিশুর পুরো ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

সন্তানের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করতে আজই সচেতন হোন।
সন্তানের মুখের হাসিই তো আপনার সবচেয়ে বড় শান্তি!

** #শিশুর\_স্বাস্থ্য #অ্যানিমিয়া #রক্তশূন্যতা #আয়রনের\_ঘাটতি #পুষ্টি\_চর্চা**

**শিশুর ঠান্ডা ও কাশি: সচেতনতার সময় এখনই****শীতকাল হোক কিংবা বৃষ্টি—বাচ্চাদের ঠান্ডা ও কাশি যেন নিত্যসঙ্গী। কিন্তু সব ঠ...
05/05/2025

**শিশুর ঠান্ডা ও কাশি: সচেতনতার সময় এখনই**

**শীতকাল হোক কিংবা বৃষ্টি—বাচ্চাদের ঠান্ডা ও কাশি যেন নিত্যসঙ্গী। কিন্তু সব ঠান্ডা বা কাশি বিপজ্জনক নয়। তবুও সচেতনতা জরুরি।**

**ঠান্ডা ও কাশি কেন হয়?**
• ভাইরাসজনিত সংক্রমণ (সবচেয়ে সাধারণ কারণ)
• আবহাওয়ার পরিবর্তন
• ধুলাবালি বা দূষণ
• ঠান্ডা পানি বা আইসক্রিম গ্রহণ
• এলার্জি

**লক্ষণসমূহ:**
• নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ
• শুকনো বা কফযুক্ত কাশি
• হালকা থেকে মাঝারি জ্বর
• ঘুমে ব্যাঘাত, খাওয়া কমে যাওয়া
• শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া (গুরুতর লক্ষণ)

**বাসায় যা করতে পারেন:**
✔ হালকা গরম পানি বা স্যুপ খাওয়ান
✔ শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন
✔ ঘর ভালোভাবে পরিষ্কার ও ধুলাবালি মুক্ত রাখুন
✔ ভাপ নিতে সাহায্য করুন (বয়স অনুযায়ী)
✔ স্যালাইন নাকের মধ্যে দিন যদি নাক বন্ধ থাকে
✔ পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার দিন

**যেসব ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন:**
⚠️ শিশুর বয়স ৬ মাসের নিচে
⚠️ ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে
⚠️ কাশি বাড়ছে বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে
⚠️ শিশুর ঠোঁট বা নখ নীলচে হলে
⚠️ খাওয়া-দাওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে
⚠️ খিঁচুনি হলে

**গুরুত্বপূর্ণ বার্তা:**
– ঠান্ডা ও কাশির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয় না।
– নিজে থেকে ওষুধ না দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
– ভালোবাসা, পরিচর্যা ও সচেতনতা—এই তিনেই আছে শিশুর সুরক্ষা।

**শিশুর হাসিই আমাদের শান্তি। ওকে সুস্থ রাখতে আপনার ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।**

05/05/2025
** একটুখানি অবহেলায় ঝুঁকিতে পড়তে পারে দুটি জীবন!**বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার কল্যাণে মাতৃত্ব ও নবজাতকের যত্ন আগ...
04/05/2025

** একটুখানি অবহেলায় ঝুঁকিতে পড়তে পারে দুটি জীবন!**

বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার কল্যাণে মাতৃত্ব ও নবজাতকের যত্ন আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত ও নিরাপদ। কিন্তু অনেকেই এখনও বাড়িতে ডেলিভারি করানোর সিদ্ধান্ত নেন, যা হতে পারে চরম ঝুঁকিপূর্ণ।

**বাড়িতে ডেলিভারি করানোর সম্ভাব্য কুফলসমূহ:**

১. **জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো চিকিৎসা সুবিধা না থাকা:** রক্তক্ষরণ, শিশু বা মায়ের শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো জটিলতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকলে প্রাণহানিও ঘটতে পারে।

২. **সংক্রমণের ঝুঁকি:** অপরিষ্কার পরিবেশে ডেলিভারি করালে মা ও নবজাতক দুজনেই সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে।

৩. **অপ্রশিক্ষিত ধাত্রী বা সহায়কের ভুল সিদ্ধান্ত:** প্রয়োজনীয় মেডিকেল জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা না থাকলে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না।

৪. **নবজাতকের জন্ম-পরবর্তী জটিলতা:** জন্মের পর শিশুর যদি শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়, তাৎক্ষণিক NICU সাপোর্ট না থাকলে সমস্যা বড় আকার নিতে পারে।

৫. **মায়ের মানসিক চাপ ও শারীরিক জটিলতা:** হাসপাতালের তুলনায় বাড়িতে মা অনেক বেশি মানসিক চাপে থাকেন, যা তার সুস্থতায় প্রভাব ফেলতে পারে।

**পরামর্শ:**
গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন এবং ডেলিভারির জন্য একটি নির্ভরযোগ্য হাসপাতাল বা মাতৃসদন নির্বাচন করুন। নিরাপদ মাতৃত্ব এবং সুস্থ নবজাতক — এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

**মা ও শিশুর নিরাপত্তা, আমাদের সবার দায়িত্ব।**
**সচেতন হোন, নিরাপদ থাকুন।**

---

**বাচ্চাদের ইউরিন ইনফেকশন (UTI): অজানা নয়, অবহেলা নয়!**ছোট শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু প্রায়ই উপেক...
03/05/2025

**বাচ্চাদের ইউরিন ইনফেকশন (UTI): অজানা নয়, অবহেলা নয়!**

ছোট শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু প্রায়ই উপেক্ষিত সমস্যা। সময়মতো ধরা না পড়লে এটি কিডনির ক্ষতি পর্যন্ত করতে পারে।

**লক্ষণগুলো কী হতে পারে?**

* বারবার জ্বর হওয়া, কিন্তু সর্দি-কাশি নেই
* প্রস্রাবের সময় কান্না বা অস্বস্তি
* ঘন ঘন বা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব
* হঠাৎ পেটব্যথা বা বমি
* ছোট বাচ্চারা খাওয়া কমিয়ে দেয় বা খিটখিটে হয়ে যায়

**কারা বেশি ঝুঁকিতে?**

* মেয়েশিশু
* যাদের ডায়াপার ব্যবহার বেশি
* কম পানি খাওয়া
* জন্মগত মূত্রনালী সমস্যাযুক্ত শিশু

**প্রতিরোধে করণীয়:**

* বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পানি পান করান
* ডায়াপার বেশি সময় না রেখে পরিবর্তন করুন
* প্রস্রাব আটকে রাখার অভ্যাস দূর করুন
* অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন

**সতর্ক থাকুন, সুস্থ রাখুন আপনার শিশুকে। সময়মতো চিকিৎসা শিশুকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।**

**এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স: নীরব এক মহামারী!**প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে এমন এক কারণে, যা আমরা নিজেরাই তৈরি ক...
01/05/2025

**এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স: নীরব এক মহামারী!**

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে এমন এক কারণে, যা আমরা নিজেরাই তৈরি করছি — এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স।

**এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স কী?**
যখন ব্যাকটেরিয়া এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যে সাধারণ এন্টিবায়োটিক আর কাজ করে না, তখন তাকে এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স বলে।

**কেন এমন হচ্ছে?**
- সামান্য জ্বর-সর্দিতে অকারণে এন্টিবায়োটিক খাওয়া
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ শুরু বা বন্ধ করা
- অসম্পূর্ণ ডোজে ওষুধ খাওয়া
- পশুপালনে অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার

**ফলাফল কী?**
- সাধারণ ইনফেকশনও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে
- চিকিৎসার খরচ বাড়ে
- নতুন ওষুধ তৈরি কঠিন ও ব্যয়বহুল

**আমরা কী করতে পারি?**
- শুধু চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন
- সম্পূর্ণ ডোজ শেষ করুন
- অন্যের প্রেসক্রিপশন নিজের জন্য ব্যবহার করবেন না
- পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন, রোগ প্রতিরোধে সচেষ্ট থাকুন

আসুন, নিজের সচেতনতা দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখি।

** #এন্টিবায়োটিকসচেতনতা**

**বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানোর কিছু কার্যকর টেকনিক**অনেক বাবা-মা খাবার খাওয়াতে গিয়ে হিমশিম খান। ছোট্ট একটা মুখে খাবার ঢোক...
30/04/2025

**বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানোর কিছু কার্যকর টেকনিক**

অনেক বাবা-মা খাবার খাওয়াতে গিয়ে হিমশিম খান। ছোট্ট একটা মুখে খাবার ঢোকানো যেন একেকটা যুদ্ধ! তবে চিন্তার কিছু নেই—স্মার্ট কিছু টেকনিকে এই কাজটা সহজ ও আনন্দদায়ক করা যায়।

১. **খাবারকে রঙিন ও আকর্ষণীয় করুন:** নানা রঙের শাকসবজি, ফল দিয়ে প্লেট সাজান। চোখে ভালো লাগলে বাচ্চারাও আগ্রহী হয়।

২. **গল্পের মাধ্যমে খাওয়ান:** “এই দেখো, ব্রকোলি রাজকুমার তোমার মুখে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে!”—এভাবে গল্প বললে বাচ্চারা মজা পায়।

৩. **একসাথে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন:** পুরো পরিবার একসাথে খেলে বাচ্চারা অনুকরণ করে সহজেই খেতে চায়।

৪. **বাচ্চাকে বিকল্প দিন:** “ডিম খাবে, না কি পনির?”—ছোট ছোট বিকল্প দিলে ওরা নিজেদের সিদ্ধান্তে খেতে আগ্রহী হয়।

৫. **জোর না করে ধৈর্য ধরুন:** খাওয়াতে জোরাজুরি করলে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ধৈর্য ধরুন ও ধীরে ধীরে পছন্দ গড়ে তুলুন।

মনে রাখবেন, প্রতিটি বাচ্চা আলাদা। ধৈর্য, ভালোবাসা আর একটু সৃজনশীলতাই হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

**আপনার ছোট্ট সোনামণিকে খাওয়াতে আপনি কোন টিপস ব্যবহার করেন? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!**

#শিশুর_পুষ্টি #বাচ্চাদেরখাবার

**গরমকালে ঘেমে গেলেও কেন বাচ্চাদের জামা পড়া জরুরি?**গরমকালে অনেক সময় আমাদের মনে হয়, বাচ্চারা ঘেমে যাচ্ছে — তাই জামা খ...
29/04/2025

**গরমকালে ঘেমে গেলেও কেন বাচ্চাদের জামা পড়া জরুরি?**

গরমকালে অনেক সময় আমাদের মনে হয়, বাচ্চারা ঘেমে যাচ্ছে — তাই জামা খুলে রাখলেই ওরা স্বস্তি পাবে। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সবসময় ঠিক নয়।

**কেন জামা পড়ানো জরুরি?**

✅ বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জামা সাহায্য করে।
✅ ঘামের পর ঠান্ডা বাতাস লাগলে সর্দি-কাশি বা নিউমোনিয়া হতে পারে।
✅ সূর্যের তাপ বা ধুলাবালি থেকে ত্বক রক্ষা পায়।
✅ মশা ও অন্যান্য পোকামাকড়ের কামড় থেকে সুরক্ষা মেলে।

**কি ধরনের জামা পড়ানো উচিত?**
- পাতলা, ঢিলেঢালা এবং সুতি কাপড়ের জামা।
- হালকা রঙের পোশাক।
- ঘন ঘন জামা বদলানো উচিত যেন ঘাম ভিজে না থাকে।

**মনে রাখবেন:**
বাচ্চারা নিজে থেকে বলার আগেই তাদের আরাম এবং স্বাস্থ্যর দিকে খেয়াল রাখা আমাদের দায়িত্ব। তাই গরমকালেও সঠিক পোশাক পরিয়ে বাচ্চাকে সুস্থ রাখুন!

**Nocturnal Enuresis (Night time Bed wetting): পিতামাতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য**শিশুদের মাঝে রাতের বেলা বিছানায় প্রস্রা...
27/04/2025

**Nocturnal Enuresis (Night time Bed wetting): পিতামাতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য**

শিশুদের মাঝে রাতের বেলা বিছানায় প্রস্রাব করার সমস্যা (Nocturnal Enuresis) অনেক অভিভাবককে উদ্বিগ্ন করে তোলে।
শিশুর বয়স যখন ৫ বছর পাড় হয়ে যায় এবং সপ্তাহে অন্তত ২ বার রাতে বিছানা ভেজায় পর পর ৩ মাস, তাহলে আমরা ধরে নেই বাচ্চার এই সমস্যা আছে। কারণ, আমরা আশা করি ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে বাচ্চার টয়লেট ট্রেইনিং সম্পন্ন হবে এবং ৫ বছরের পর সে আর বিছানায় প্রস্রাব করবে না।

**কেন হয়?**
1. **শারীরিক বৃদ্ধি:** শিশুদের মস্তিষ্ক এবং মূত্রথলীর মাঝে সম্পর্ক শক্তিশালী হতে কিছু সময় লাগে, যার কারণে এটি হতে পারে।
2. **হরমোনের অভাব:** **অ্যান্টি-ডিউরেটিক হরমোন (ADH)** এর ঘাটতি রাতের বেলায় মূত্র উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে না, ফলে বিছানায় প্রস্রাব হতে পারে।
3. **পারিবারিক ইতিহাস:** যদি পরিবারের কেউ এই সমস্যায় ভোগেন, তবে শিশুরও এটি হতে পারে।
4. **মনস্তাত্ত্বিক চাপ:** স্কুলের চাপ, নতুন পরিবেশ, বা পারিবারিক পরিবর্তনও শিশুর মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা এই সমস্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

**চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:**
1. **মেডিক্যাল পরামর্শ:** শিশুর সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
2. **আবেগিক সমর্থন:** শিশুকে দোষারোপ না করে সহানুভূতির সঙ্গে সমর্থন দিন।
3. **রুটিন তৈরি:** রাতে ঘুমানোর আগে মূত্রত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং অতিরিক্ত পানি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
4. **মেডিকেশন:** কিছু ক্ষেত্রে, চিকিৎসক হরমোনাল চিকিৎসা বা বিশেষ থেরাপি দিতে পারেন।

**পিতামাতার জন্য পরামর্শ:**
- শিশুকে শাস্তি না দিয়ে তার পাশে থাকুন।
- সহানুভূতির সাথে তাকে সমর্থন করুন, যেন সে সমস্যাটি অতিক্রম করতে পারে।
- যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Nocturnal Enuresis একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, সঠিক সহানুভূতি ও চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আপনার শিশুর উন্নতির জন্য শুভকামনা!

**শিশুর পাতলা পায়খানা হলে মায়েদের করণীয়**  > ছোট শিশুদের পাতলা পায়খানা খুব সাধারণ একটা সমস্যা। তবে কিছু সহজ করণীয় ম...
27/04/2025

**শিশুর পাতলা পায়খানা হলে মায়েদের করণীয়**

> ছোট শিশুদের পাতলা পায়খানা খুব সাধারণ একটা সমস্যা। তবে কিছু সহজ করণীয় মেনে চললে শিশুর স্বাস্থ্য দ্রুত ঠিক হতে পারে:
✅ বারবার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার (ORS, স্যালাইন, মায়ের দুধ) খাওয়ান।
✅ খাবারে কোনো রকম বাধা দেবেন না — সহজপাচ্য খাবার যেমন ভাতের মাড়, খিচুড়ি, কলা, দই ইত্যাদি দিতে পারেন।
✅ ডিহাইড্রেশন যেন না হয়, সেটা লক্ষ রাখুন — শিশুর প্রস্রাবের পরিমাণ, চোখের জল, মুখের ভেজাভাব দেখুন।
✅ ঘনঘন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
✅ কোনো ওষুধ (বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক বা পাতলা পায়খানা বন্ধের সিরাপ) ডাক্তার ছাড়া দেবেন না।
✅ পাতলা পায়খানার সঙ্গে যদি বারবার বমি, জ্বর, অতিরিক্ত দুর্বলতা বা খিঁচুনি দেখা দেয়, তবে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

**সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ:**
> শিশুকে ভালোবাসা আর সাহস দিন। ভয় বা আতঙ্ক নয়, সচেতনতা শিশুকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

> সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন।

Address

Plot 15 Road No 71
Dhaka
1212

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Little One's Health posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share