Nutritionist Moin

Nutritionist Moin Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Nutritionist Moin, Health & Wellness Website, Dhaka, Dhaka.

Hi! আমি মো: মঈন খান, একজন নিউট্রিশন কনসালটেন্ট। এই পেজে পাবেন পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং খাদ্যবিষয়ক বিজ্ঞানসম্মত গাইডলাইন ও ভিডিও। পুষ্টি, ডায়েট ও ওয়েট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেশন পেতে ইনবক্স করুন।
#স্বাস্থ্য #পুষ্টি

ওজন কম থাকা মানেই ফিট, আর শুকনা শরীর মানেই সুস্থ? কিন্তু বাস্তবে ছবিটা একেবারে ভিন্ন।যারা underweight বা স্বাভাবিক BMI-র...
31/07/2025

ওজন কম থাকা মানেই ফিট, আর শুকনা শরীর মানেই সুস্থ? কিন্তু বাস্তবে ছবিটা একেবারে ভিন্ন।
যারা underweight বা স্বাভাবিক BMI-র নিচে থাকেন, তাদের শরীরে খুব কম চর্বি থাকায় হরমোন ঠিকভাবে কাজ করে না। মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায়, প্রোজেস্টেরন লেভেল কমে যায়, আর ছেলেদের ক্ষেত্রে দেখা দেয় ক্রমাগত ক্লান্তি, মনোযোগের ঘাটতি, এমনকি ফার্টিলিটি সমস্যা।

আমি প্রায়ই দেখি এমন রোগীদের যাদের ওজন কম, কিন্তু ব্লাড রিপোর্টে দেখা যায় তারা vitamin D, B12, ferritin, অথবা zinc-এর ঘাটতিতে ভুগছেন। শরীর দুর্বল, দাঁত নড়ছে, চুল পড়ে যাচ্ছে — অথচ তারা জানেনই না যে underweight থাকা এক ধরনের chronic malnutrition.
শরীর একদিনে খারাপ হয় না, দিনের পর দিন অবহেলাতেই শরীর নষ্ট হয়।

আর ওজন বাড়াতে গিয়ে অনেকেই আবার একেবারে উল্টো কাজ করেন — দিনের পর দিন শুধু ফাস্টফুড, চিনিযুক্ত চা, কোমল পানীয়, Red Meat, তেলেভাজা খেয়ে ওজন বাড়াতে চান।
যেটা ভাবছেন সহজ, আসলে গল্পটা অনেক জটিল।
এইভাবে ওজন বাড়লেও সেটি হয় visceral fat — যেটা লিভারে জমে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়, আর ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস বা ফ্যাটি লিভারের দিকে ঠেলে দেয়।

আসল ওজন বাড়ানোর পথ হচ্ছে sustainable এবং nutrient-dense খাওয়ায়।
যারা underweight, তাদের জন্য ৫টি খাবার হচ্ছে —
ভেজানো বাদাম, কলা-দুধ স্মুদি, সেদ্ধ ডিম, ডাল ও ঘি মিশ্রিত ভাত, আর পাকা পেঁপে বা কাঁচকলা রান্না।
সাথে চাই পর্যাপ্ত ঘুম, স্ট্রেস কমানো, আর হালকা ফিজিকাল একটিভিটি — যাতে হরমোন ঠিকভাবে কাজ করে।

সবচেয়ে বড় কথা, আপনাকে নিজের শরীর বুঝতে হবে — ওজন বাড়াতে গিয়ে যেন শরীরের ভারসাম্য নষ্ট না হয়।

চেষ্টা করুন, বদলে ফেলুন নিজেকে। শুভকামনা।

লেখা: পুষ্টিবিদ মঈন

#পুষ্টিবিদমঈন #সুস্থওজন

রুম্পা বলল, “আগে ৫৬ কেজি ছিলাম। এখন দেখি ৬৬! খাওয়াও কমে গেছে, তাও ওজন বাড়ছে কেন?”আমি জিজ্ঞেস করলাম, “পিরিয়ড কেমন হয়?”বলল...
30/07/2025

রুম্পা বলল, “আগে ৫৬ কেজি ছিলাম। এখন দেখি ৬৬! খাওয়াও কমে গেছে, তাও ওজন বাড়ছে কেন?”
আমি জিজ্ঞেস করলাম, “পিরিয়ড কেমন হয়?”
বলল, “একেকবার একেক রকম। কখনো ৩ দিনেই শেষ, আবার কখনো ৭ দিন চলেই যায়। ঘুম ঠিকঠাক হয় না। একটুতেই মুড খারাপ হয়।”

এই কথাগুলা আমি প্রায়ই শুনি।
অবাক করার মতো বিষয় হলো—অনেকেই জানেন না, মেয়েদের ওজন বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি হলো পিরিয়ড সাইকেলের অসামঞ্জস্যতা।

হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন।
খালি চিনি খাওয়ার কারণে না, খালি ভাত খাওয়ার কারণে না — অনেক সময় পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়াই আপনার শরীরে জমা চর্বির মূল হোতা।

আপনার শরীর প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট হরমোনাল রিদমে চলে —
● ফলিকুলার ফেইজে এস্ট্রোজেন বাড়ে
● ওভুলেশনের সময় হরমোন পিক হয়
● তারপর লুটিয়াল ফেইজে প্রোজেস্টেরন বাড়ে
এই চক্রে যদি কোথাও গন্ডগোল হয়, মানে আপনার হরমোনগুলো ঠিকমতো উঠানামা না করে, তখনই শুরু হয় সমস্যার আসল গল্প।

যেটা ভাবছেন সহজ, আসলে গল্পটা অনেক জটিল।

প্রথমত, যখন প্রোজেস্টেরন ঠিকমতো তৈরি হয় না, তখন কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) বেড়ে যায়।
এটা ঘুম নষ্ট করে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়, আর আপনাকে সারাদিন “খেতে ইচ্ছা করছে” টাইপ ফিলিংয়ে ফেলে।
ফলে শরীর চিনি চায়, আপনি বেশি খেয়ে ফেলেন। ওজন বাড়ে।

দ্বিতীয়ত, মাসিক অনিয়মিত মানে ওভুলেশন অনিয়মিত।
ওভুলেশন না হলে শরীরে প্রাকৃতিকভাবে মেটাবলিজম স্পাইক হয় না।
মানে, যেই হরমোন আপনাকে ‘ফ্যাট বার্নিং মোডে’ রাখে, সেটাই কাজ করছে না!

তৃতীয়ত, অনেক মেয়ে পিরিয়ড অনিয়মিত হলে কম খাওয়া শুরু করে, ভয়ে ডায়েট করে।
কিন্তু জানেন কি, অতিরিক্ত ক্যালোরি ডেফিসিট আবার হরমোন আরও খারাপ করে দেয়।
শরীর ভাবে আপনি দুর্ভিক্ষে পড়েছেন। তাই সে আর ওভুলেশন করে না।
একটা দুষ্টচক্রে আপনি আটকে যান — যত কম খান, তত হরমোন খারাপ হয়, তত বেশি ফ্যাট জমে।

এই কারণেই বলি:
“শরীর একদিনে ভাঙে না, ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যায়।”
আর সেই ক্ষয়ের শুরু হয় মাসিক চক্রের দিকে নজর না দেওয়ার মধ্য দিয়ে।

কি উপায় এখন?

১. প্রতি মাসে আপনার পিরিয়ডের সময়, রঙ, পরিমাণ, এবং ব্যথা কেমন হচ্ছে সেটা লিখে রাখুন।
২. আপনার ওজন যদি বাড়ে, অথচ খাবার আগের মতোই থাকে, প্রথমেই CBC, TSH, LH, FSH, এবং প্রোজেস্টেরন লেভেল পরীক্ষা করান।
৩. রাত জাগা কমান। PCOS, হাইপ্রোল্যাকটিনেমিয়া, বা হাইপোথাইরয়েডিজমে রাত জাগা বিষের মতো।
৪. শুধুমাত্র “খাবার কমিয়ে” ওজন কমানোর চিন্তা বাদ দিন।
৫. শারীরিক এক্সারসাইজ, ঘুম, হাই প্রোটিন ডায়েট, আর ফাইবার-ভিত্তিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

সবচেয়ে বড় কথা, বুঝতে শিখুন আপনার শরীর কী বলছে।
ওজন বেড়েছে মানেই “কম খাই, বেশি হাঁটি” — এই গৎবাঁধা সমাধান হয়তো আপনার জন্য কাজ করবে না।

সমস্যা শুধু হরমোনে না, হরমোনের পিছনে থাকা লাইফস্টাইল মূল কারণ।

আপনি যদি নিজের শরীরকে বুঝতে না শেখেন, তাহলে ওজন, হরমোন, এবং পিরিয়ড সবই ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

চেষ্টা করুন, বদলে ফেলুন নিজেকে।

লেখা: পুষ্টিবিদ মঈন
#পিরিয়ডসমস্যা #হরমোনডায়েট #বাংলাদেশ #পুষ্টিবিদমঈন #পুষ্টিবিদ_মঈন

সফট ড্রিংকস খেলে আপনার শরীরে কি কি পরিবর্তন হয়? রায়হান ভাইয়ের বয়স মাত্র ৩৫। ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন।...
27/07/2025

সফট ড্রিংকস খেলে আপনার শরীরে কি কি পরিবর্তন হয়? রায়হান ভাইয়ের বয়স মাত্র ৩৫। ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। দুপুরে বিরিয়ানি হলে সঙ্গে কোক, সন্ধ্যায় অফিস শেষ করে বোটে বসে ডায়েট কোক। এমনকি সেহরি বা ইফতারেও বন্ধুদের সঙ্গে মজার ছলে ২–৩ ক্যান সফট ড্রিংক একেবারে ঠান্ডা করে খেতেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন মাথা ব্যথা, ক্লান্তি আর অস্থিরতায় অফিসেই বসে থাকতে পারলেন না। ডাক্তার টেস্ট করিয়ে বললেন — প্রি-ডায়াবেটিস, কিডনি স্টোন, আর ভিটামিন–মিনারেলের ঘাটতি।

কি? অবাক হলেন? সফট ড্রিংক কি এমন কিছু?

সফট ড্রিংকের মধ্যে আমরা শুধু স্বাদ খুঁজি, কিন্তু তার ভেতরের বিষাক্ত রসদগুলো চোখে পড়ে না।

১ ক্যান সাধারণ সফট ড্রিংকে চিনি থাকে ৮-১০ চামচ। আপনি চাইলে এখনই নিজে গুনে দেখতে পারেন। প্রতিদিন এইভাবে অতিরিক্ত চিনি শরীরে গেলে ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স বাড়ে, পেটের চর্বি জমে, ওজন বেড়ে যায়, এমনকি ফ্যাটি লিভার পর্যন্ত হতে পারে।

আর অনেকেই তো ভাবে, “আমি তো ডায়েট কোক খাই, আমি নিরাপদ!”
সেখানে অ্যাসপারটেম, অ্যাসেসুলফেম পটাশিয়ামের মতো কৃত্রিম মিষ্টি থাকে — যেগুলো নিয়ে বহু গবেষণায় সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
সাধারণত এগুলো গাট মাইক্রোবায়োম ধ্বংস করে, ব্রেইনের সিগন্যালিংয়ে সমস্যা তৈরি করে।
শিশু বা কিশোরদের জন্য তো এইসব কৃত্রিম পানীয় একেবারেই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।

আরেকটি উপাদান যা সফট ড্রিংকে ব্যবহার হয়, সেটা হলো ফসফরিক অ্যাসিড।
অনেকেই জানেন না - এই অ্যাসিড ক্যালসিয়াম শোষণ বন্ধ করে হাড় দুর্বল করে ফেলে।
মেয়েরা যারা ইতিমধ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভোগেন, তাদের হাড়ের ক্ষয় আরও ত্বরান্বিত হয়।

সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো সফট ড্রিংক একধরনের নেশা তৈরি করে।
একবার অভ্যাস গড়ে উঠলে শরীর নিজেই সেই চিনি বা ক্যাফেইনের চাহিদা তৈরি করে।
আমি প্রায়ই দেখি, স্কুলের বাচ্চারা খেলাধুলা করে এসে পানি নয়, সফট ড্রিংক খেতে চায় — কারণ তারা সেটাতেই মজা পায়।
কিন্তু আসল মজা কি শরীর নষ্ট করার মধ্যে?

আর যদি বলি — এই সব সফট ড্রিংকের মধ্যে এক ফোঁটা পুষ্টিও নেই — তাহলে?

শুধু গ্যাস, এসিড, চিনির ও কৃত্রিম কেমিকেলের এক মারাত্মক ককটেল।

তাহলে বিকল্প কী?

• ঠান্ডা লেবু পানি
• ডাবের পানি
• পানিতে ভেজানো তুলসি বা পুদিনা পাতার ইনফিউজড ওয়াটার
• টকদই দিয়ে বানানো লাচ্ছি
• ঘরে তৈরি আম, তেঁতুল বা বেলের শরবত

শরীর ঠান্ডা চাই, কিন্তু কিডনিকে গরম করে ফেলবেন না।

আজকে থেকেই ভাবুন — নিজের ছেলেমেয়ের লাঞ্চ বক্সে আর কি আপনি সফট ড্রিংক রাখবেন?
বাচ্চাদের অভ্যাস তৈরি হয় আমাদের অভ্যাস দেখে।

ভালো থাকুন, শরীরকে ভালোবাসুন। 🫶🏻

লেখা: পুষ্টিবিদ মঈন

খাবারের মাধ্যমে স্ট্রেস লেভেল বা মানসিক চাপ কমাতে চাইলে পড়ুন:অনেকে ভাবে, স্ট্রেস মানে শুধু মানসিক চাপ। কিন্তু জানেন কি,...
27/07/2025

খাবারের মাধ্যমে স্ট্রেস লেভেল বা মানসিক চাপ কমাতে চাইলে পড়ুন:

অনেকে ভাবে, স্ট্রেস মানে শুধু মানসিক চাপ। কিন্তু জানেন কি, মানসিক চাপের পেছনে শরীরের পুষ্টিরও বড় ভূমিকা আছে? শরীরে কিছু ভিটামিন আর মিনারেলের ঘাটতি থাকলে স্ট্রেস বেড়ে যায়। চলুন দেখি, কোন খাবারগুলো আপনাকে প্রাকৃতিকভাবে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে।

প্রথমেই আসি ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স নিয়ে। এই ভিটামিন আমাদের নার্ভাস সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি, বিশেষ করে বি৬ ও বি১২-এর অভাবে মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর ফলে অস্থিরতা, উদ্বেগ বা মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কী খাবেন তাহলে? নিয়মিত ডিম, কলিজা, বাদাম, কলা, দুধ ও টক দই খেতে পারেন।

এরপর, খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো ভিটামিন সি। অনেকেই মনে করেন ভিটামিন সি শুধু জ্বর বা ঠান্ডা লাগলেই খেতে হয়। কিন্তু ভিটামিন সি হলো শরীরের স্ট্রেস-হরমোন "কর্টিসল" নিয়ন্ত্রণ করার অন্যতম পুষ্টি। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলাফল? শরীরে স্ট্রেস বেড়ে যায়, মেজাজ খারাপ থাকে। প্রতিদিন আমলকি, লেবু, কমলা, পেয়ারা, আম, কাঁচা মরিচ — এগুলো খেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

এরপর আসি ম্যাগনেসিয়াম-এর কথায়। ম্যাগনেসিয়াম এক ধরনের মিনারেল, যা মাংসপেশি ও মস্তিষ্কের নার্ভকে আরাম দেয়। ঘাটতি হলে স্ট্রেস বাড়ে, ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়, পেশিতে ব্যথা হয়। কুমড়ার বিচি, কাঠবাদাম, শাকসবজি (পালং শাক, লাল শাক), কলা ও বাদামজাতীয় খাবারে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

এবার আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল: জিঙ্ক। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, জিঙ্ক-এর অভাবে মানুষের মন-মেজাজে প্রভাব পড়ে, স্ট্রেস বেড়ে যায়, মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে যায়। নিয়মিত মাছ, ডিম, ছোলা, মুগডাল ও মাংস খান, এগুলোতে প্রচুর জিঙ্ক থাকে।

অবশেষে বলি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-এর কথা। এটি মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্য রক্ষা করে, মেজাজ শান্ত রাখে, এবং উদ্বেগ কমায়। ওমেগা-৩ এর উৎস হলো সামুদ্রিক মাছ (স্যালমন, টুনা, ইলিশ), বাদাম, চিয়া বীজ, তিসি বীজ ইত্যাদি।

এই পুষ্টিগুলো প্রতিদিনের খাবারে যোগ করলে শরীর ও মন দুটোই শান্ত থাকবে। স্ট্রেস মানে কেবল মানসিক চাপ নয়, পুষ্টির ঘাটতিও বটে। এখন থেকেই খাবারের দিকে মনোযোগ দিন, কারণ সুস্থতা আপনার হাতেই।

আজই শুরু করুন। সুস্থ ও সুন্দর জীবন আপনার অপেক্ষায়।

লেখা: পুষ্টিবিদ মঈন

"প্রেগনেন্সিতে একটু বেশি খেতেই হবে। এখন তো দুইজনের খাবার!"এই কথাটা শুনে কত মা যে বাড়তি খেয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন তার ...
26/07/2025

"প্রেগনেন্সিতে একটু বেশি খেতেই হবে। এখন তো দুইজনের খাবার!"

এই কথাটা শুনে কত মা যে বাড়তি খেয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন তার হিসাব নেই। অনেকেই ভাবেন, "বেশি খেলে বাচ্চা সুস্থ আর মোটা হবে।" কিন্তু আসলেই কি তাই?

বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় মায়ের খাদ্যাভ্যাস শুধুই মাকে প্রভাবিত করে না, সরাসরি প্রভাব ফেলে বাচ্চার সুস্থতা আর ভবিষ্যতের ওপর। বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে যখন "জেষ্টেশনাল ডায়াবেটিস" হয়, তখন ব্যাপারটা আরও গভীর হয়ে যায়।

জেষ্টেশনাল ডায়াবেটিস আসলে কী? সহজ ভাষায় বললে, এটা এমন এক ধরনের ডায়াবেটিস, যা শুধুমাত্র গর্ভকালীন সময়ে দেখা দেয়। হরমোনের ওঠানামা আর অতিরিক্ত চিনি, মিষ্টি, ভাত, আলু, জুস এসব খাওয়ার কারণে অনেকের শরীরে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তখন রক্তে চিনি বাড়তে থাকে। অনেকে ভাবে— "এ তো সাময়িক, বাচ্চা হওয়ার পর এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।" কিন্তু এই সাময়িক সময়টাতেই বাচ্চার জীবন বদলে যেতে পারে।

কীভাবে প্রভাব পড়ে বাচ্চার ওপর?

গর্ভের ভেতরে মায়ের অতিরিক্ত চিনি বাচ্চার রক্তে যায়। শিশুর শরীরে তখন প্রচুর ইনসুলিন তৈরি হয় এই অতিরিক্ত চিনিকে নিয়ন্ত্রণ করতে। এর ফলে:

• বাচ্চার ওজন অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। জন্মের সময় অতিরিক্ত ওজন হলে ডেলিভারিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

• জন্মের পরই হঠাৎ শিশুর রক্তে সুগার কমে যেতে পারে, যাকে বলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া। এতে শিশুর শরীর কাঁপতে থাকে, দুর্বল লাগে, এমনকি খিঁচুনিও হতে পারে।

• জণ্ডিস ও শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়ে।

• শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

অনেকে ভাবে, বেশি খাওয়া মানেই বেশি পুষ্টি। কিন্তু আসলে দরকার সঠিক খাবার নির্বাচন। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত বিরতিতে পরিমিত পরিমাণে শর্করা (ভাত, রুটি), উচ্চ মানের প্রোটিন (ডিম, মাছ, মাংস), প্রচুর সবুজ শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার, এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি (বাদাম, ঘি, অলিভ অয়েল) খেতে হবে। চিনিযুক্ত পানীয়, অতিরিক্ত মিষ্টি, ভাজাপোড়া আর অতিরিক্ত তেলের খাবার একেবারেই না খাওয়াই ভালো।

আমি প্রায়ই দেখি, গর্ভবতী মায়েরা সারা দিন কিছু না খেয়ে হুট করে একসাথে অনেকটা ভাত বা মিষ্টি কিছু খেয়ে নেন। এতে রক্তে হঠাৎ করে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ায়। তাই দিনে ৩ বার ভারী খাবারের পরিবর্তে ৫-৬ বার অল্প অল্প করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। আর নিয়মিত হালকা হাঁটা শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

মনে রাখবেন, আপনার ছোট্ট অসাবধানতা কিন্তু বাচ্চার সারাজীবনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সময় থাকতেই সচেতন হোন, ডাক্তারের পাশাপাশি একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাস ঠিক করুন।

লেখা: পুষ্টিবিদ মঈন

অনেকেই এখন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করছেন ওজন কমানোর আশায়। ইউটিউব, ফেসবুক বা বন্ধুর পরামর্শে ১৬:৮ মডেল মেনে চলার চেষ্...
25/07/2025

অনেকেই এখন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করছেন ওজন কমানোর আশায়। ইউটিউব, ফেসবুক বা বন্ধুর পরামর্শে ১৬:৮ মডেল মেনে চলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছু সাধারণ ভুলের কারণে অনেকেই হতাশ হয়ে মাঝপথেই ছেড়ে দিচ্ছেন।

প্রথম ভুল : মনে করা যে না খেয়ে থাকলেই ওজন কমবে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মানে সারাদিন না খেয়ে থাকা নয়। বরং নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। কিন্তু অনেকে খাওয়ার সময়ে ভাতের পর পোলাও, এরপর ফল, এরপর ছোলা-বুট, এরপর চা বিস্কুট — এগুলো খেয়ে ফেলেন। ফলাফল দাঁড়ায়- খালি পেটে ইনসুলিন সাপ্রেস হয় ঠিকই, কিন্তু খাওয়ার সময়ে ইনসুলিন হঠাৎ বেড়ে গিয়ে পুরো প্ল্যান ভেস্তে যায়।

দ্বিতীয় ভুল : প্রোটিনের ঘাটতি। বেশিরভাগ মানুষ খালি পেটে ইফতার টাইপ খাবার খেয়ে থাকেন — ছোলা, মুড়ি, জিলাপি, বেগুনি। কিন্তু মাংস, ডিম, ডাল বা মাছ কম খান। এতে মাংসপেশি নষ্ট হয়, ক্ষুধা বেড়ে যায়, আর শরীর দুর্বল লাগে।

তৃতীয় ভুল : পানি না খাওয়া। অনেকে ভেবে নেন “খাওয়া বন্ধ, মানে পানি খাওয়াও বন্ধ”। কিন্তু ফাস্টিং পিরিয়ডে পানি, লেবুপানি (চিনি ছাড়া), গ্রিন টি খাওয়া যায়। পানি কম খেলে ডিহাইড্রেশন হয়, মাথা ঘোরে, কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।

চতুর্থ ভুল : ঘুম না হওয়া। না খেয়ে থাকলে শরীরে কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায়, সেটা যদি ঘুমের সময়েও চলতে থাকে তাহলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। মানে ফাস্টিং করেও লাভ হবে না। ঘুম ৬–৮ ঘণ্টা নিশ্চিত না করলে ওজন কমা থেমে যেতে পারে।

পঞ্চম ভুল : ব্যায়াম বাদ দেওয়া। অনেকে ভাবেন “আমি তো না খেয়ে থাকি, ব্যায়াম করলে দুর্বল হয়ে যাবো।” কিন্তু রক্তে গ্লুকোজ না থাকলেও শরীর তখন ফ্যাট পুড়িয়ে শক্তি তৈরি করে। হালকা হাঁটা, স্ট্রেচিং বা শরীরচর্চা করলে ফলাফল আরও ভালো হয়।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং সফল করতে হলে শুধু সময় না দেখে; খাওয়ার মান, ঘুম, পানি ও মুভমেন্ট — সবকিছুর দিকে নজর দিতে হয়।

শুধু না খেয়ে থাকলে পেট ছোট হয়, কিন্তু মস্তিষ্ক, হরমোন, ওজন সব গুলিয়ে যেতে পারে।

পরামর্শ নিন, বুঝে শুরু করুন।শরীরকে কষ্ট না দিয়ে সঠিক পথে আনুন- শুরুটা হোক সচেতনভাবে।

লেখা: পুষ্টিবিদ মঈন

25/07/2025

ইন্সুলিন্স রেজিস্ট্যান্স এর কারণে অনেক সময় মুখে ব্রণ হয়

24/07/2025

সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস পানি খাওয়া
শরীরের এক ধরনের ‘অন সুইচ’ হিসেবে কাজ করে। এই অভ্যাসে হজমশক্তি বাড়ে, শরীর ডিটক্স হয়, ত্বকও হয় উজ্জ্বল।
সহজ একটা রুটিন — কিন্তু ফল দেয় ভীষণ কার্যকরভাবে।

24/07/2025

রোজার ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর শরীর তার শক্তির উৎস বদলে ফেলে —
তখন ফ্যাট ভেঙে শক্তি তৈরি হয়, যেটা ওজন কমাতেও সহায়ক। এই সময় শরীরের হরমোন ঠিক হয়, কোষগুলো রিপেয়ার করে।
রোজা শুধু ইবাদত নয় — এটা শরীরের জন্যও এক ধরনের শুদ্ধি সাধন।

অনেকেই ভাবেন সুগার বাদ দিয়ে কৃত্রিম মিষ্টি খাওয়াই নিরাপদ, কিন্তু আসল সত্যটা কী?আজকের পোস্টে আমরা একেবারে তথ্য দিয়ে বু...
24/07/2025

অনেকেই ভাবেন সুগার বাদ দিয়ে কৃত্রিম মিষ্টি খাওয়াই নিরাপদ, কিন্তু আসল সত্যটা কী?

আজকের পোস্টে আমরা একেবারে তথ্য দিয়ে বুঝবো কৃত্রিম সুইটেনার আসলে কতটা নিরাপদ, কোথায় বিপদ, আর কোনটা খাওয়া উচিত, কোনটা নয়।

প্রথমেই জানতে হবে, কৃত্রিম সুইটেনার মানে হলো— এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ, যা মিষ্টির স্বাদ দিলেও ক্যালরি খুব কম বা নেই বললেই চলে। এই কারণে অনেকেই ডায়াবেটিস, ওজন কমানো, এমনকি “ডায়েট কোক” খাওয়ার সময় এসব বেছে নেন।

WHO এবং FDA যেসব সুইটেনারকে অনুমোদন দিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৬টি হলো-

১. Aspartame (অ্যাসপারটেম):
ভেঙে যায় অ্যাসপার্টিক অ্যাসিড, ফেনিলআলানিন ও মিথানলে।
👉 বিপদ কোথায়? যারা Phenylketonuria (PKU) রোগে ভোগেন, তাদের জন্য এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
👉 তাপ দিলে ভেঙে যায়, রান্নায় ব্যবহার অনুপযোগী।
👉 অতিরিক্ত খেলে মাথাব্যথা, ডিপ্রেশন, ঘুমের সমস্যা হতে পারে বলে কিছু রিপোর্ট আছে।

২. Sucralose (সুক্রালোজ):
সুক্রোজ বা সাধারণ চিনি থেকেই তৈরি, কিন্তু এতে ক্যালরি নেই।
👉 রান্নায় ব্যবহার করা যায়, তাপ সহনশীল।
👉 তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া কমিয়ে ফেলতে পারে, যা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৩. Saccharin (স্যাকারিন):
👉 ৩০০–৪০০ গুণ বেশি মিষ্টি চিনির তুলনায়।
👉 পুরনো গবেষণায় ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকলেও, পরবর্তী গবেষণায় সেটি অস্বীকার করা হয়েছে।
👉 তবে গর্ভবতী নারীদের জন্য পরামর্শ হলো সতর্ক থাকা।

৪. Acesulfame-K (এসেসালফেম পটাসিয়াম):
👉 কিডনিতে জমে থাকতে পারে বলে কিছু গবেষণায় সন্দেহ।
👉 মাথাব্যথা, বমিভাব — এসবও কিছু রিপোর্টেড পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

৫. Stevia (স্টিভিয়া):
👉 প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া যায় (Stevia plant)।
👉 WHO অনুযায়ী নিরাপদ, তবে অতি মাত্রায় খেলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
👉 ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তুলনামূলক ভালো পছন্দ।

৬. Sugar Alcohols (Sorbitol, Xylitol):
👉 প্রাকৃতিকভাবে কিছু ফলে পাওয়া যায়।
👉 অতিরিক্ত খেলেই গ্যাস্ট্রিক, পেট ফুলে থাকা, ঢেঁকুর ওঠা বা ডায়রিয়া হতে পারে।

তাহলে এখন কি করবেন?
👉 যারা ডায়াবেটিস বা ওজন কমানোর জন্য কৃত্রিম মিষ্টি বেছে নিচ্ছেন, তারা যেন সচেতনভাবে বেছে নেন —
নির্দিষ্ট মাত্রায়, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে, ও দীর্ঘদিন নয়।

👉 শিশু, গর্ভবতী নারী বা যাদের হজমজনিত সমস্যা আছে, তাদের এসব থেকে দূরে থাকাই উত্তম।

👉 সুইটেনার মানেই নিরাপদ — এটা ভুল ধারণা।

ধন্যবাদ।

লেখা: পুষ্টিবিদ মঈন

শুভ সকাল। একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় নিয়ে কথা বলবো- “সবজি খেলেই তো হলো, আবার কাঁচা বা রান্না করা কীসের?”আপনিও কি এমনটা ভাব...
20/07/2025

শুভ সকাল। একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় নিয়ে কথা বলবো- “সবজি খেলেই তো হলো, আবার কাঁচা বা রান্না করা কীসের?”
আপনিও কি এমনটা ভাবেন?
যদি ভেবে থাকেন, ভুল ভাবছেন!

প্রতিদিনের খাবারে সবজি রাখা মানেই ভালো কাজ। কিন্তু কোন সবজি কাঁচা আর কোনটা রান্না করলে উপকার বেশি পাবেন- সেটা অনেকেই জানেন না। আসুন আজকে বুঝে নিই।

অনেকে ভাবে, সব সবজি কাঁচা খেলেই নাকি বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। কিন্তু আসলে, এমনটা সব সময় সত্য নয়।

উদাহরণ হিসেবে গাজর আর টমেটোর কথা বলি। এগুলোতে থাকে বিটা-ক্যারোটিন ও লাইসোপিন। এই দুইটি উপকারী পুষ্টি কিন্তু কাঁচা সবজি থেকে আমাদের শরীরে ঠিকভাবে শোষিত হয় না। একটু তেল দিয়ে হালকা রান্না করলেই বরং এসব পুষ্টি সহজেই শরীরে ঢুকে পড়ে।

আবার পালং শাক, পুঁই শাক কিংবা লাল শাক। এগুলো হালকা রান্না করলে আয়রন আর ক্যালসিয়াম সহজে শরীরে যায়।
এখন উল্টো দিকে দেখুন- শসা, গাজর, পেঁপে, বাঁধাকপি। এগুলো কাঁচা খেলেই বরং ভিটামিন-সি ও কিছু এনজাইম ঠিকঠাকভাবে শরীরে পৌঁছে যায়। রান্না করলে এসব পুষ্টি কমে যায়।
প্রতিদিনের খাবারে দুই ধরনের সবজিই রাখুন।
কাঁচা সবজি খাবেন যেগুলো-

• শসা
• গাজর (সালাদ হিসেবে)
• পেঁপে
• বাঁধাকপি

আর যেসব সবজি হালকা রান্না করলে উপকার বাড়বে-

• টমেটো (অল্প তেলে রান্না করলে)
• গাজর (ভাজি বা হালকা তেলে সেঁকে নিলে)
• পালং, পুঁই ও লাল শাক
• মিষ্টি কুমড়া

শরীরকে পুষ্টি যোগাতে সবজির বিকল্প নেই। তবে একটু বুঝে-শুনে সবজি বেছে খেলে পুষ্টির পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

আর হ্যাঁ, সবজি বেশি সিদ্ধ করবেন না। সবজি যেন রং না হারায়, পুষ্টিও না হারায়। অল্প আঁচে হালকা তেল দিয়ে দ্রুত রান্না করুন। এতে স্বাদ আর পুষ্টি দুটোই ঠিক থাকবে।

বাজার করুন বুঝেশুনে, রান্না করুন যত্ন নিয়ে। ইনশাআল্লাহ ভালো থাকবেন।

লেখা: পুষ্টিবিদ মঈন

#ডায়েট

20/07/2025

চুলের যত্নে পুষ্টিকর খাবারের দিকে আগে খেয়াল রাখা উচিত

Address

Dhaka
Dhaka
1219

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nutritionist Moin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram