
31/07/2025
ওজন কম থাকা মানেই ফিট, আর শুকনা শরীর মানেই সুস্থ? কিন্তু বাস্তবে ছবিটা একেবারে ভিন্ন।
যারা underweight বা স্বাভাবিক BMI-র নিচে থাকেন, তাদের শরীরে খুব কম চর্বি থাকায় হরমোন ঠিকভাবে কাজ করে না। মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায়, প্রোজেস্টেরন লেভেল কমে যায়, আর ছেলেদের ক্ষেত্রে দেখা দেয় ক্রমাগত ক্লান্তি, মনোযোগের ঘাটতি, এমনকি ফার্টিলিটি সমস্যা।
আমি প্রায়ই দেখি এমন রোগীদের যাদের ওজন কম, কিন্তু ব্লাড রিপোর্টে দেখা যায় তারা vitamin D, B12, ferritin, অথবা zinc-এর ঘাটতিতে ভুগছেন। শরীর দুর্বল, দাঁত নড়ছে, চুল পড়ে যাচ্ছে — অথচ তারা জানেনই না যে underweight থাকা এক ধরনের chronic malnutrition.
শরীর একদিনে খারাপ হয় না, দিনের পর দিন অবহেলাতেই শরীর নষ্ট হয়।
আর ওজন বাড়াতে গিয়ে অনেকেই আবার একেবারে উল্টো কাজ করেন — দিনের পর দিন শুধু ফাস্টফুড, চিনিযুক্ত চা, কোমল পানীয়, Red Meat, তেলেভাজা খেয়ে ওজন বাড়াতে চান।
যেটা ভাবছেন সহজ, আসলে গল্পটা অনেক জটিল।
এইভাবে ওজন বাড়লেও সেটি হয় visceral fat — যেটা লিভারে জমে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়, আর ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস বা ফ্যাটি লিভারের দিকে ঠেলে দেয়।
আসল ওজন বাড়ানোর পথ হচ্ছে sustainable এবং nutrient-dense খাওয়ায়।
যারা underweight, তাদের জন্য ৫টি খাবার হচ্ছে —
ভেজানো বাদাম, কলা-দুধ স্মুদি, সেদ্ধ ডিম, ডাল ও ঘি মিশ্রিত ভাত, আর পাকা পেঁপে বা কাঁচকলা রান্না।
সাথে চাই পর্যাপ্ত ঘুম, স্ট্রেস কমানো, আর হালকা ফিজিকাল একটিভিটি — যাতে হরমোন ঠিকভাবে কাজ করে।
সবচেয়ে বড় কথা, আপনাকে নিজের শরীর বুঝতে হবে — ওজন বাড়াতে গিয়ে যেন শরীরের ভারসাম্য নষ্ট না হয়।
চেষ্টা করুন, বদলে ফেলুন নিজেকে। শুভকামনা।
লেখা: পুষ্টিবিদ মঈন
#পুষ্টিবিদমঈন #সুস্থওজন