31/07/2025
কোষ্ঠকাঠিন্যের সাধারণ কারণ:
1. অপর্যাপ্ত পানি পান
2. কম আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া
3. অধিক চা-কফি খাওয়া
4. মানসিক চাপ ও টেনশন
5. অনিয়মিত ঘুম ও খাওয়া
6. হরমোনাল ইমব্যালান্স (যেমন: থাইরয়েড সমস্যা, পিসিওডি)
7. অ্যাক্টিভ না থাকা/পর্যাপ্ত হাঁটাচলা না করা
8. অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া
🔳 ঘরোয়া প্রতিকার ও টিপস:
১. গরম পানি ও মধু
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খান।
এটি পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে।
২. ইসবগুলের ভুষি
রাতে ঘুমানোর আগে ১ চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধে মিশিয়ে খান।
নিয়মিত খেলেই কোষ্ঠকাঠিন্য কমে যাবে।
৩. আঁশযুক্ত খাবার খান
বেশি করে সবজি, ফল (পেঁপে, আপেল, কলা, কমলা, পেয়ারা) খান।
প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করুন।
৪. হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম
দিনে অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করুন।
এটি অন্ত্রের গতিশীলতা বাড়ায়।
৫. এক গ্লাস কুসুম গরম লবণ পানি
মাঝে মাঝে সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন (সপ্তাহে ১–২ দিন)।
এটি ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে।
৬. অ্যালোভেরা জেল
২ চা চামচ ঘরোয়া অ্যালোভেরা জেল খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে।
এটি প্রাকৃতিক পেট পরিষ্কারের উপাদান।
৭. নারকেল তেল
১ চামচ ভোজ্য নারকেল তেল সকালে খাওয়া যেতে পারে বা রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
এটি অন্ত্রকে মসৃণ করে।
🔳 বিশেষ সতর্কতা:
দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে পারেন। যেমন:
Nux Vomica, Bryonia, Alumina, Sulphur, ইত্যাদি রোগীর লক্ষণভেদে কার্যকর।
যদি মাসে ৩ বারের কম পায়খানা হয়, পেট শক্ত থাকে বা মলত্যাগে রক্ত যায়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন.
ডা.মো: রমজান হোসেন জাহিদ
BHMS. DU
#কোষ্ঠ্যকাঠিন্য
#ঘরোয়াপদ্ধতি
#নিরাময়