Raqi Muhammad Ali

Raqi Muhammad Ali Giving to treatment in quranic way Jinn,Black magic,Evil eye,Eye hasad or physical or mental disease

31/08/2025

আজ রাত ৮ টা ৪০ এ বিচ্ছেদ,বিয়ে বন্ধ,রোগ,জিন,যাদু,বশের যাদু দূর করার জন্য রুকইয়াহ সেশন ক্লাস শুরু হবে

31/08/2025

শাম দেশেই হাশরের মাঠ হবে:-

اﻟﺤﺪﻳﺚ اﻟﺮاﺑﻊ:
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺫﺭ -ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ- ﻗﺎﻝ: ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ -ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ:
"اﻟﺸﺎﻡ ﺃﺭﺽ اﻟﻤﺤﺸﺮ ﻭاﻟﻤﻨﺸﺮ".
ﻗﻠﺖ: ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ, ﺗﻔﺮﺩ اﻟﻤﺼﻨﻒ ﺑﺈﺧﺮاﺟﻪ ﻣﻦ ﻫﺬا اﻟﻮﺟﻪ, ﻭﻫﻮ ﺿﻌﻴﻒ اﻹﺳﻨﺎﺩ ﺟﺪا

আবু যার রা: হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল স বলেছেন:- নির্দিষ্ঠ শাম দেশ হচ্ছে ব্যপক জমিনের মধ্যে নির্দিষ্ঠভাবে(হাশরের মাঠ) একত্রিত হওয়ার জায়গা এবং পুনরুত্থান (এর জায়গা)।
আমি(আলবানি) বললাম:- হাদিসটি হচ্ছে সহীহ:- এককভাবে সেই গ্রন্থকার হাদীস বর্নণা করেছে সংশ্লিষ্ট এটা হচ্ছে তার কথা যে, এবং সেটা(হাদীসটির সনদ) হচ্ছে অত্যন্ত দুর্বল।

ﻟﻜﻦ ﺃﺧﺮﺟﻪ اﻹﻣﺎﻡ ﺃﺣﻤﺪ "6/ 257"، ﻭﻣﻦ ﻃﺮﻳﻘﻪ اﺑﻦ ﻋﺴﺎﻛﺮ "1/ 164", ﻣﻦ ﻭﺟﻪ ﺁﺧﺮ ﻓﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﻷﺑﻲ ﺫﺭ ﻣﻮﻗﻮﻓﺎ ﻋﻠﻴﻪ، ﻭﻓﻴﻪ ﺃﻥ اﻟﻨﺒﻲ -ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﺃﻗﺮﻩ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ، ﻭﻟﻢ ﻳﻨﻜﺮﻩ ﻋﻠﻴﻪ، ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﺣﻜﻢ اﻟﻤﺮﻓﻮﻉ، ﺑﻴﺪ ﺃﻥ ﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺿﻌﻴﻒ.

তবে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন(৬/২৫৭) এবং ইবনে আসাকীরও একই পন্থা অবলম্বন করেছেন (১/১৬৪) সংশ্লিষ্ট তার মুখের কথা আরেকটি(হাদীসের) বিষয়ে ' আবি যার মাওমাওকূফ(এর উপরন্ত) বিষয়ে এবং তার ব্যপারে নবী স বর্ণনা করেন যে, তিনি পড়তে থাকলেন(আবু যার) সেসব(নবীর দেওয়া জ্ঞানের বিষয়গুলোর) উপর এবং তিনি(আবু যার) তাকে(রাসূল স. এর উপর অহীর বর্ণনাগুলোকে) কখনোই অস্বীকার করেনি। অত:পর সেই(হাদীসের) হুকুম হচ্ছে আল মারফু। এবং সমর্থনের দিক দিয়ে এই হাদীসের(সানাদকে) আবার দুর্বল বলা হয়।

ﻟﻜﻦ ﻟﻪ ﻃﺮﻳﻖ ﺃﺧﺮﻯ ﻓﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﺁﺧﺮ ﻷﺑﻲ ﺫﺭ، ﺃﺧﺮﺟﻪ اﺑﻦ ﻋﺴﺎﻛﺮ "1/ 163-164"، ﻭﻗﺪ ﺻﺤﺤﻪ اﻟﺤﺎﻛﻢ "4/ 509" ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ اﻟﺸﻴﺨﻴﻦ، ﻭﻭاﻓﻘﻪ اﻟﺬﻫﺒﻲ، ﻭﻫﻮ ﻛﻤﺎ ﻗﺎﻻ، ﻭﻫﻮ ﻓﻲ "ﺻﺤﻴﺢ اﻟﺘﺮﻏﻴﺐ" "ﺭﻗﻢ 1162".
ﻭﻟﻪ ﺷﺎﻫﺪ ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ "6/ 436"، ﻭاﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ "1/ 429 ﻭ430", ﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﻣﻴﻤﻮﻧﺔ ﺑﻨﺖ ﺳﻌﺪ ﻣﻮﻻﺓ اﻟﻨﺒﻲ -ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﻗﺎﻟﺖ: ﻳﺎ ﻧﺒﻲ اﻟﻠﻪ! ﺃﻓﺘﻨﺎ ﻓﻲ ﺑﻴﺖ اﻟﻤﻘﺪﺱ؟ ﻓﻘﺎﻝ:
"ﺃﺭﺽ اﻟﻤﺤﺸﺮ ﻭاﻟﻤﻨﺸﺮ ... " اﻟﺤﺪﻳﺚ.ﻭﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺻﺤﻴﺢ

তবে তার(হাদীসগুলোর)জন্য ভিন্ন সনদে অন্য(কেউ হাদীস সংকলনকারী( হাদিসটি বর্ণনা করেছে) আবু যার এর বর্ণিত হাদীসটি সম্পর্কে। ইবনে আস'কীর(১/১৬৩-১৬৪) এবং আল হাকেম তাকে(হাদীসকে) সহীহ বলেছে (৪/৫০৯) দুই শায়েখের শর্তে(ইমাম বুখারী ও মুসলিম) এর শর্তে হাদীসটি সহীহ বলেছে আল হাকেম। এবং যাহাবী একই মত পোষন করে(হাদীসকে)সহীহ বলেছে এবং তিনি(আলবানী) তেমনটা তখন বলেন :- এবং তিনি সহীহুত তারগীব(পৃষ্ঠা :- ১১৬২) এবং তার (হাদীসটির)জন্য শাহেদ(বর্ণনা নিয়ে এসেছে), আহমাদ তিনি সংকলন করেছে(৬/৪৩৬) এবং ইবনে মাজাহ(১/৪২৯-৪৩০ পৃষ্ঠায়) মায়মুনাহ বিনতে সায়াদ মাওলাত নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া আলাইহি ওয়া সাল্লাম :- তিনি(মায়মুনা) বলেন, হে আল্লাহর নবী বায়তুল মুকাদ্দাসে আমাদের জন্য কি ধরনের ফিতনা বা বিপদ রয়েছে সেটা বলুন। তখন তিনি(নবী স.) বলেন :- সেই(শাম অঞ্চল) হচ্ছে:- হাশর(সকলের একত্রিত হওয়ার মাঠ) এবং সকলের পুনরুত্থান এর মাঠ। এই হাদীসটির সনদ সহীহ।

ﻛﻤﺎ ﻗﺎﻝ اﻟﺤﺎﻓﻆ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺑﻜﺮ اﻟﺒﻮﺻﻴﺮﻱ ﻓﻲ "ﺯﻭاﺋﺪﻩ"، ﻭﻗﻮاﻩ اﻟﻨﻮﻭﻱ ﻓﻲ "اﻟﻤﺠﻤﻮﻉ"، ﻭﻗﺪ ﺗﻜﻠﻤﻨﺎ ﻋﻠﻴﻪ ﻣﻔﺼﻼ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻨﺎ "اﻟﺜﻤﺮ اﻟﻤﺴﺘﻄﺎﺏ ﻓﻲ ﻓﻘﻪ اﻟﺴﻨﺔ ﻭاﻟﻜﺘﺎﺏ" ﻓﻲ "اﻟﻤﺴﺎﺟﺪ".
ﺗﻢ ﺗﺒﻴﻦ ﻟﻲ ﺃﻧﻪ ﻣﻌﻠﻮﻝ، ﻭﻟﺬﻟﻚ ﻧﻘﻠﺘﻪ ﻣﻦ "ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩاﻭﺩ" ﺇﻟﻰ "ﺿﻌﻴﻔﻪ" "68".
ﻭﺑﺎﻟﺠﻤﻠﺔ؛ ﻓﺎﻟﺤﺪﻳﺚ ﺑﺸﺎﻫﺪﻩ ﻭﻃﺮﻳﻘﻪ اﻷﺧﺮﻯ ﺻﺤﻴﺢ ﻗﻮﻱ؛ ﻟﺬﻟﻚ ﻧﺮﻯ ﺃﻥ اﻷﺳﺘﺎﺫ/ ﺻﻼﺡ اﻟﺪﻳﻦ اﻟﻤﻨﺠﺪ, ﻗﺪ ﺃﺧﻄﺄ ﺣﻴﻦ ﺃﻭﺭﺩ اﻟﺤﺪﻳﺚ ﻓﻲ اﻷﺣﺎﺩﻳﺚ اﻟﻤﻮﺿﻮﻋﺔ اﻟﺘﻲ ﻧﺒﻪ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﻓﻲ ﻣﻘﺪﻣﺔ اﻟﻜﺘﺎﺏ "ﺻ10"1, ﻭﻟﻴﺲ ﻳﺴﻮﻍ ﻟﻪ ﺫﻟﻚ ﻗﻮﻟﻪ ﻓﻲ ﺧﺎﺗﻤﺘﻬﺎ:

যেমনটা আল হাফেজ আহমা বিন আবি বাকর আল বুসাইরি তার 'যাওয়ায়িদু কিতাবে ' যে, এবং নববী রহ. তিনিও শক্তিশালী ভাবে বলে তার মাজমুতে ' এবং নিশ্চিতভাবে আমরা বলেছি তার(হাদীসটির)উপর যা ব্যাখ্যা করা হয়েছে আমার কিতাবগুলোতে ' আছ ছামর আল মুছতাত্বাবু ফি ফিকহিস সুন্নাতি ওয়াল কিতাবি 'এবং আল মাসাজিদ কিতাবে (আমরা ব্যাখ্যা করেছি)। পরিপূর্ণরুপে আমি সেসব(হাদীসর ব্যাখ্যাগুলো করেছি) নিশ্চয় সেটা ছিলো ব্যাখ্যাকৃত অসংখ্য বিষয়, এবং সেটির জন্যই আমরা তার(হাদীসগুলোর ব্যাখ্যাগুলো) করেছি সংশ্লিষ্ট সহীহ আবি দাউদ থেকে দ্বঈফ হাদীসগুলোর কিতাবে (৬৮)।

এবং সেসব শব্দ দ্বারা :- তখন উক্ত এই হাদীসটি তার শাহেদের আলোকে এবং তার হাদীসের শব্দগুলো ভিন্ন পন্থায় সহীহ হিসেবে শক্তিশালী ভাবে (হাদীসগুলোর বর্ণনা এসেছে)।আর সেই জন্য আমরা দেখি যে, উস্তায /সালাহুদ্দীন আল মুনাজ্জিদ, তিনি অধিকহারে ভুল করতেন হাদীস বর্ণনার সময়কালে ও তার ব্যাপক হাদীসগুলোর মাঝে নির্দিষ্ঠ দুর্বল হাদীসগুলো রয়েছে যেটির ব্যপারে সতর্ক করা হয়ে থাকে তাদের (দুর্বল হাদীসগুলোর) উপর কিতাবের মুকাদ্দামায়(এই সতর্কগুলো করা হয়েছে) (১/১০ পৃষ্ঠা)
এবং সেসব(দুর্বল হাদীসগুলো রাবিদের) কোনো অনুমতি দেওয়া হয়না তাদের জন্য যেসব বিষয়ে তারা (দুর্বল হাদীস দিয়ে) কথা বলে থাকে আর তাদের এই দুর্বল হাদীসগুলোর কথাগুলোই তাদের শেষ কথা হিসেবে বিবেচিত হয়।

ﻭﻧﺤﻦ ﻓﻲ ﺗﺮﺟﻴﺤﻨﺎ ﺃﻥ ﻫﺬﻩ اﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﻣﻮﺿﻮﻋﺔ, ﻗﺪ اﻋﺘﻤﺪﻧﺎ ﻋﻠﻰ اﻟﻨﻘﺪ اﻟﺪاﺧﻠﻲ، ﺃﻋﻨﻲ: ﻧﻘﺪ اﻟﻤﺘﻦ ﻓﻲ اﻟﺤﺪﻳﺚ, ﻭﻟﻮ ﺻﺢ ﺳﻨﺪﻩ"؛ ﻷﻧﻪ:
ﺃﻭﻻ: ﻟﻴﺲ ﻟﻬﺬا اﻟﻨﻘﺪ اﻟﺪاﺧﻠﻲ ﻗﻮاﻋﺪ ﻣﺤﺮﺭﺓ، ﻭﺿﻮاﺑﻂ ﻣﻘﺮﺭﺓ, ﻳﻤﻜﻦ اﻻﻋﺘﻤﺎﺩ ﻋﻠﻴﻬﺎ، ﻭاﻟﺮﺟﻮﻉ اﻻﺧﺘﻼﻑ ﺇﻟﻴﻬﺎ

এবং আমরা আমাদের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে থাকি যে, এই হাদীসটি দুর্বল। অবশ্যই আমরা নির্ভর করতে থাকি নির্দিষ্ঠ(এসব দুর্বল হাদীসগুলোর) সমালোচনায় প্রবেশ করার উপর, আমাকে কি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করে না?:- আমরা অবশ্যই হাদীসের মতন নিয়ে সমালোচনা করে থাকি এবং সেই হাদীসটির সনদ সহীহ না। এরজন্য নিশ্চয় সেটার প্রথম অংশ :- এটার(দুর্বল হাদীসের) জন্য সমালোচনায় প্রবেশ করা ঠিক হবে না যে, হাদীসটি রচনা করার মূলনীতি (বিষয়ক সমালোচনায়) এবং সেসব(হাদীসের মূলনীতি নিয়ে আলোচনাকারীরা) স্থিরভাবে যারা মূলত নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তারা এর শুদ্ধকরন নিয়ে কাজ করে থাকে। আর সেসব (হাদীসের শুদ্ধতা নিয়ে কাজকারী ব্যক্তিদের) সম্ভাবনামূলক আলোচনা হয়ে থাকে নির্দিষ্ঠ তাদের(হাদীসগুলোর আলোচনার) উপর নির্ভর করে থাকে এবং সেসকল ব্যক্তিরা আবার ফিরেও যায় বা প্রত্যবর্তন করে থাকে(হাদীসের বিষয়গুলো ব্যপারে) নির্দিষ্ঠ বিভিন্ন ইখতিলাফের দিকে তাদের দিকে যারাও(একইরক ইখতিলাফ করে থাকে হাদীসের শুদ্ধতা যাচাইয়ের ব্যপারে)।

ﺧﻼﻓﺎ ﻟﻠﻨﻘﺪ اﻟﺨﺎﺭﺟﻲ، ﺃﻱ: ﻧﻘﺪ اﻟﺴﻨﺪ، ﻓﻘﺪ ﻭﺿﻊ ﻟﻪ ﻋﻠﻤﺎﺅﻧﺎ -ﺭﺣﻤﻬﻢ اﻟﻠﻪ- ﻣﻦ اﻟﻘﻮاﻋﺪ ﻭاﻟﻀﻮاﺑﻂ ﻣﺎ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ اﻟﺰﻳﺎﺩﺓ ﻋﻠﻴﻪ، ﻛﻤﺎ ﺗﺠﺪ ﺫﻟﻚ ﻣﻔﺼﻼ ﻓﻲ ﻛﺘﺐ ﻣﺼﻄﻠﺢ ﻋﻠﻢ اﻟﺤﺪﻳﺚ، ﻭﻣﻦ ﺃﺟﻤﻌﻬﺎ "ﻗﻮاﻋﺪ اﻟﺘﺤﺪﻳﺚ" ﻟﻠﺸﻴﺦ ﺟﻤﺎﻝ اﻟﺪﻳﻦ اﻟﻘﺎﺳﻤﻲ -ﺭﺣﻤﻪ اﻟﻠﻪ.
ﻭﺛﺎﻧﻴﺎ: ﺃﻥ اﻷﺳﺘﺎﺫ ﻟﻢ ﻳﺒﻴﻦ ﻭﺟﻪ ﻛﻮﻥ اﻟﺤﺪﻳﺚ ﻣﻮﺿﻮﻋﺎ ﻣﺘﻨﺎ ﺣﺘﻰ ﻳﻤﻜﻦ اﻟﻨﻈﺮ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ، ﻭﻣﺠﺎﻝ اﻟﻜﻼﻡ ﻓﻲ ﻫﺬا اﻟﺒﺤﺚ اﻟﺨﻄﻴﺮ ﻻ ﻳﺘﺴﻊ ﻟﻪ ﻫﺬا اﻟﻤﻠﺤﻖ

তখন মতপার্থক্য হয়ে থাকে সমালোচনার ব্যপারে যা নির্দিষ্ঠভাবে সেসব ব্যক্তিদের বের হওয়া হিসেবে কাজ করে(অনেকে সমালোচনা থেকে বের হয়ে যাই)। তথা:- সেসকল(হাদীসের আলোচনাকারীরা) হাদীসের সনদ নিয়ে সমালোচনা করে থাকে। অত:পর নিশ্চিতভাবে তাদের(হাদীসের সনদ নিয়ে) এমন অবস্থায় চলতে থাকে তাদের জন্য যারা আমাদের উলামা ছিলো(মূলত উলামারা তাদের হাদীসের সনদের অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা জারি রাখে) যেখানে অন্তর্ভুক্ত থাকে নির্দিষ্ঠ মূলনীতি এবং শুদ্বকরন যেখানে এমনটা সম্ভব হবে না যে তাদের(হাদীসগুলোর সনদে) বাড়িত কিছু করা হবে। যেমনটা পাওয়া যায় সেসব গ্রন্থগুলোতে ইলমুল হাদীসের মুছত্বলাহুল কিতাবের মধ্যে, এবং সংশ্লিষ্ট তারা(হাদীসের সনদগুলো) একত্রিত করে থাকে " নির্দিষ্ঠ হাদীসগুলো মূলনীতি সম্পর্কে ' শায়খ জামালুদ্দিন আল কাসিমি রহ. উক্ত অনেক কাজগুলো করেছে।

দ্বিতীয় :- আর আরো যে, উস্তায রয়েছে যারা আলোচনা করেননি এবং তাদের কথায় দুর্বল মতন হাদীসের অস্তিত্ব ফুটে উঠে না এমনকি তখন সেসব উলামাদের পক্ষে সম্ভবপর হয় দৃষ্টি দেওয়া সেগুলোর(হাদীসের মতনের দিকে) । এবং সেসব(হাদীসের সনদ বিশ্লেষণ কারীদের) কথার অবকাশ রয়েছে উক্ত এই আলোচনার ব্যপারে যেখানে নির্দিষ্ঠভাবে বিপদ থাকে যেখানে নয়জনের কথা থাকবেও না অথবা অসংখ্য হাদীসের সনদ নিয়ে আলোচনাকারীদের সম্প্রসারণশীল কথা থাকবে ব্যপারটা তাও না তাদের(হাদীস নিয়ে আলোচনাকারীদের) জন্য, আর এটা সংযুক্ত বা সহযোগী বিষয়(হাদীসের আলোচনার মাধ্যমে সনদের শুদ্ধতা যাচাইয়ের ব্যপারে বিভিন্ন আলোচনা করার বিষয়টি)।

🖋️muhammad Ali

30/08/2025

শ*ক্র যখন আপনাকে বারবার কষ্ট দিবে তখন ভয়া*বহ অবস্থা করে দিন

সূরা ফাতির ২৬ নম্বর আয়াতটা প্রচুর বেশি তেলাওয়াত করবেন। নিয়ত ইয়া আল্লাহ আমাকে কষ্টদান কারী এই জালে*ম শ*ক্রকে ভয়া*বহ অবস্থা করে দিন এবং কৌশল করে যত ক্ষ,তি আমাকে করেছে সকল কৌশল ঘুরিয়ে এই শ*ক্রর লাইফস্টাইলে পৌছিয়ে দিন।
(আয়াতের উচ্চারন:- ছুম্মা আখা'যতুল লাযিনা কাফারু ফা'কায়ফা কানা নাকির)

আয়াত প্রতিদিন ৫ মিনিট করে পড়ুন

🖊️Muhammad Ali

30/08/2025

যেকোনো মানুষের উপরে রাসূল স. তার নিজ হাত দিয়ে 'মাসেহ করে রুকইয়াহ করছেন সাথে দোয়া করেছেন 'মর্মে ব্যাখ্যা করেছেন ইবনুল মালাক রহ.

মুহাম্মদ বিন ইযুদ্দিন আব্দুল লতিফ বিন আব্দুল আজিজ বিন আমিন উদ্দিন বিন ফিরিশতা আর রুমী আল কারমানি আল হানাফি আল মাশহুর ইবনুল মালাক রহ.(মৃত্যু ৮৫৪ হিজরী) তিনি উক্ত সেই হাদীসের ব্যাখ্যায় যেখানে রাসূল সাঃ রোগীদের শরীরে 'হাত দিয়ে মাসাহ করতেন সাথে দোয়া করতেন 'মর্মে বর্ণিত হাদিসটি এনে 'হাত দিয়ে মাসাহ রোগীদের উপর প্রযোজ্য মর্মে ব্যাখ্যা করেছেন:-

- وقالت عائشة ﵂: كان رسول الله ﷺ إذا اشتكى منَّا إنسانٌ مَسَحه بيمينه، ثم قال: «أَذْهِبِ البأْسَ ربَّ الناسِ، اشفِ أنت الشَّافي، لا شفاءَ إلا شِفاؤك، شفاءً لا يُغادِر سَقَمًا».
«وقالت عائشة ﵂: كان رسول الله ﷺ إذا اشتكى منا إنسان»؛ أي: مرض.
«مسحه»؛ أي: النبي ﵊ ذلك المريض.
«بيمينه ثم قال: أَذْهِبِ البأسَ» وهو شدة المرض، أمر من أَذْهَبَ.
«ربَّ الناس» بحذف حرف النداء.
«واشف أنت الشافي لا شفاء إلا شفاؤك شفاءً لا يغادر سقمًا»؛ أي: لا يترك مرضً

আয়েশা রা: বলেন রাসূল সাঃ চর্চা করতেন যখন সে ব্যক্তিরা আমাদের পক্ষ হতে অভিযোগ জানাতো যারা ছিলো মানুষ ' তখন তিনি(রাসূল স.) তার ডান হাত দিয়ে মাসেহ করতেন তাদেরকে (রোগীদেরকে) অত:পর তিনি বলতেন এই দোয়া:-আযহিবিল বা'ছা রব্বান নাস ওয়া'শফী আনতা শাফী লা শিফা'য়া ইল্লা শিফাউকা, শিফায়ান লা ইউগদ্বিরু সাক্বামা।

كان رسول الله ﷺ إذا اشتكى منا إنسان»؛ أي: مرض.

আয়েশা রা: বলেন রাসূল চর্চা করতেন, যখন সে ব্যক্তিরা 'অভিযোগ পেশ করত আমাদের পক্ষ হতে ও মানুষদের পক্ষ হতে' মূলত এই অভিযোগ এর মূল অর্থ হচ্ছে 'রোগ'।

مسحه»؛ أي: النبي ﵊ ذلك المريض.

তিনি(রাসূল স.)মানুষের উপর মাসেহ করতেন 'এর মূল অর্থ হচ্ছে নবী স. মূলত সেসব রোগীদের উপর মাসেহ করেছিলেন।

بيمينه ثم قال: أَذْهِبِ البأسَ» وهو شدة المرض، أمر من أَذْهَبَ.

তার(রাসূল স.)এর হাত দ্বারা তখন তিনি বলতেন 'আযহিবিল বা'স 'মূলত এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সেটা ছিলো কঠিন এক নির্দিষ্ঠ রোগ যা সেই আদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিলো যে, তোমরা চলে যাও।

ربَّ الناس» بحذف حرف النداء.
রব্বান নাস এটা দ্বারা বুঝানো হয়েছে 'ব্যপকভাবে দূর হয়ে যাবে যা হরফে নিদার মাধ্যমে (যেই শব্দগুলো দিয়ে ডাকা হয়ে থাকে)

واشف أنت الشافي لا شفاء إلا شفاؤك شفاءً لا يغادر سقمًا»؛ أي: لا يترك مرضً

ওয়াশ'ফি আনতাশ শাফি লা শিফা'য়া ইল্লা শিফাউকা শিফায়ান লা ইউগ্বদিরু সাক্বামা' এটা দ্বারা মূলত বুঝানো হয়েছে অর্থাৎ পরিত্যাগ হতে থাকলো না ব্যপক রোগসমূহ / সে ব্যক্তিদের থেকে রোগের পরিত্যাগ হতে হতে আর কিছুই নেই।
[অর্থাৎ, মহান আল্লাহ তিনি এমনভাবে রোগ মানুষের শরীর থেকে বের করে দিয়ে থাকে যে, রোগের কোনো অস্তিত্বই আর থাকে না আর তাই ইবনুল মালাক রহ.এর উক্ত কওল দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, রোগের পরিত্যাগ হওয়াটা এটা আর থাকেই না, কারন যখন মহান আল্লাহ রোগ দূর করে দেয় পরিপূর্ণভাবে, তখন রোগের অবশিষ্ট আর কিছুই থাকে না আর যখন রোগের অবশিষ্ট কিছুই থাকে না তখন এটা স্বাভাবিক ব্যপার যে, রোগীদের শরীর থেকে রোগের পরিত্যাগ করা, চলে যাওয়া, দূর হওয়া বলতেও কিছু থাকবে না ' কারন তখন রোগীদের শরীরে কোনো রোগই থাকে না তো রোগ না থাকলে রোগীদের শরীর থেকে রোগই বা বের হবে কি? বরং রোগ না থাকলে রোগীদের পুরো শরীর রোগমুক্ত থাকে ফলে রোগী পরিপূর্ণ সুস্থতা লাভ করে আর তাই রোগের কোনো অবশিষ্ট কিছুই থাকে না]

শারহু মাসাবিহুস সুন্নাতি লিল ইমামিল বাগাবি। (২/৩৫৪ পৃষ্ঠা)

الكتاب

الكتاب: شرح مصابيح السنة للإمام البغوي
المؤلف: محمَّدُ بنُ عزِّ الدِّينِ عبدِ اللطيف بنِ عبد العزيز بن أمين الدِّين بنِ فِرِشْتَا، الرُّوميُّ الكَرمانيّ، الحنفيُّ، المشهور بـ ابن المَلَك (ت ٨٥٤ هـ)
تحقيق ودراسة: لجنة مختصة من المحققين بإشراف: نور الدين طالب
الناشر: إدارة الثقافة الإسلامية
الطبعة: الأولى، ١٤٣٣ هـ - ٢٠١٢ م
عدد الأجزاء: ٦

বই:-শারহু মাসাবিহুস সুন্নাতি লিল ইমামিল বাগাবি।
লেখক: মুহাম্মদ বিন ইযুদ্দিন আব্দুল লতিফ বিন আব্দুল আজিজ বিন আমিন উদ্দিন বিন ফিরিশতা আর রুমী আল কারমানি আল হানাফি আল মাশহুর ইবনুল মালাক রহ.(মৃত্যু ৮৫৪ হিজরী)
'তাহক্বিকুন ওয়া দিরাসাতুন: লাজনাতু মুখতাছা'তুন মিনাল মুহাক্কিনি বি'ইশরাফি : নূরদ্দীন ত্বলিব।
প্রকাশনা:-ইদারাতুস সাক্বাফাতুল ইসলামিয়্যাহ।
মুদ্রন:- প্রথম(১৪৩৩ হিজরী ২০১২ সাল)

🖊️Muhammad Ali

29/08/2025

যাদু'কর ও শি,রকী রাক্বি যেভাবে চিনে সতর্ক হবেন:-

🔴এটা কি রুকইয়াহ শরইয়্যাহতে শর্তসমূহ রয়েছে যে, একজন রাক্বির পবিত্রতা(মূলত পবিত্রতা বলতে অনেকগুলো বিষয় চলে আসে) হওয়া আবশ্যক।আর আপনার মন্তব্য কি তাদের(রাক্বীদের ব্যপারে) যারা রুকইয়াহ তে অসংখ্য পদ্ধতি চর্চা করে যেটার মধ্যে রয়েছে রুকইয়াহ, আর তারা এই বিষয়ে দাবি করে:- সালেহ আল ফাউজান হাফি:- বলেন-

هل يشترط في الرقية الشرعية أن يكون الراقي على طهارة؟ وما هو تعليقكم حول الرقى الشرعية في هذا الوقت الذي كثر فيه الرقاة ولكنهم يدَّعون في ذلك؟

واب: الرقية الشرعية لا تحتاج إلى طهارة إلا إذا كان سيقرأ من القرآن فيكون متطهرًا من الجنابة طهارة من الحدث الأكبر، لا يقرأ شيئًا من القرآن لا في رقية ولا في غيرها وهو عليه جنابة وأما الرقية الشرعية فهي ما توفرت فيها الشروط: أن تكون من كتاب الله ومن سنة رسوله - صَلَى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- أو من الأدعية الشرعية. وأن يكون الراقي ذا عقيدة صحيحة ما يكون مبتدعًا أو مشركًا أو ساحرًا أو كاهنًا، يكون عقيدته سليمة. ثالثًا: أن يعتقد أن الشفاء من الله وليس من الرقية وإنما الرقية سبب من الأسباب إن شاء الله نفعت وإن شاء لم تنفع. ورابعًا: أن تكون بألفاظ عربية تفهم لا تكون بتمتمات أو بألفاظ أعجمية لا تفهم لا بد أن تكون بلغة عربية واضحة.
রুকইয়াহ শরইয়্যাহ তে পবিত্রতা হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না(সাধারনত যখন কেউ রুকইয়াহ করবে না তখন তার জন্য পবিত্রতা হওয়া জরুরি নয়,অর্থাৎ:- যখন কেউ রুকইয়াহ করবে না সেটা রাক্বি হোক বা রোগী হোক উভয়ের জন্য তখন এটা শর্ত নই যে,তাকে তখন পবিত্র হতে হবে(নাপাক থাকা অবস্থা থেকে),তথা রাক্বী যখন রুকইয়াহ চর্চা করবে তখন তারজন্য পবিত্রতা হওয়াটা আবশ্যক শর্তসমূহের মধ্যে একটি শর্ত।), [এটা শুধু রুকইয়াহ সম্পৃক্ত অবস্থার জন্য করা ফতওয়া তে বলা হয়েছে,অবশ্যই - ফরজ ইবাদত সহ সর্ব প্রকার নাপাক থেকে একজন মুসলিমকে সাথে সাথে পবিত্র হতে হবে] তবে অনেক মহিলা যারা দীর্ঘস্থায়ী অপবিত্রতায় থাকে,সেসব জিনের রোগী যখন তেলাওয়াত করবে কুরআন থেকে তখন (চিকিৎসার মূলনীতি থেকে উক্ত মহিলা তেলাওয়াত করতে পারবে রুকইয়াহ তে)

তবে যখন সেসময়ে কুরআন থেকে আয়াত পড়বে রুকইয়াহ এর জন্য, তখন অবশ্যই পবিত্র হতে হবে সকল ধরনের অপবিত্রতা থেকে, যেগুলো অপবিত্রতার অন্তর্ভুক্ত। তেলাওয়াত করাই যাবে না,কুরআন থেকেই কিছুই রুকইয়াহ চর্চা করার মধ্যে এবং এর বাহিরেও রুকইয়াহ তে কোনোরকম গয়রি(তেলাওয়াত ব্যতীত কিছু পড়া যাবে না) যখন তাদের উপর জানাবাত(অপবিত্র বিষয় লক্ষনীয় থাকবে)। এবং যখন সেসব শর্তসমূহ যেগুলো রুকইয়াতে রয়েছে সেগুলোর মধ্যে পালন করলে :- তখন (একজন রাক্বির জন্য) রুকইয়াহ বৈধ হবে:-

১.রুকইয়াহ হতে হবে 'আল্লাহর কিতাব দিয়ে এবং রাসূল সাঃ সুন্নাতের মাধ্যমে। (রাসূল স. যেগুলো করে গিয়েছে জিন ও যাদু সহ রুকইয়াহ চর্চা করার ক্ষেত্রে সেগুলো হচ্ছে রুকইয়াহ এর শর্ত)।
২.আর রুকইয়াহ চর্চা করার মধ্যে স্পষ্ট সেটা দোয়া হতে হবে যেটা শরীয়তসম্মত বা শরীয়তে বর্নিত দোয়াগুলো।
৩.এবং একজন রাক্বির (আকিদ্বা বিশ্বাস:- অবশ্যই সর্বক্ষেত্রে সহীহ হতে হবে)।
৪.একজন রাক্বি (মুশ রিক - তথা শিরককারী হতে পারবে না) [ওসব জিন পূজা,রী যারা জিনের সাহায্যে চিকিৎসা করে বা আল্লাহর সাথে যেকোনো বিষয়ে শিরক করে থাকে মূলত সেসব রাক্বিরা রাক্বি নয় বরং তারা মুশ-রিক এজন্য ফাউজান হাফি: বলেছেন 'মুশ-রিক রাকি হতে পারবে না'।
৫.একজন রাক্বি বিদআতি হতে পারবে না। [যেসব রাক্বি বিদআত করে,পাশাপাশি রুকইয়াহ করে এটাও বলে থাকে মূলত ওসব রাক্বি মূলত রাক্বি নয় মূলত ওসব রাক্বি মূলত বিদআতি রাক্বি যেই রাক্বিকে ইসলাম সমর্থন করে না] এজন্য যেসব রাক্বি কুরআন ও হাদীসের বাহিরে যেকোনো কর্ম করবে যেগুলো বিদআত সেসব রাক্বি মূলত রাক্বি নয় বরং সেসব রাক্বি লকবধারিরা মূলত (বিদআতি)।
৬. একজন রাক্বি যাদুকর হতে পারবে না(একজন রাক্বি সে রুকইয়াহ করে থাকে এটা দাবি করে, অথচ সেই রাক্বি কুরআন এর আয়াত তেলাওয়াত করে না বা হাদীসের দোয়া পড়ে না - এবং যাদু কর্ম সংঘটিত করার কাজে রাক্বি নাম দেওয়া ব্যক্তিূদেরর মিল পাওয়া যায় : যেমন:- যাদু চর্চা করা,জোড়ে জোড়ে মন্ত্র পড়া,তাবিজ দেওয়া,নকশা দেওয়া,ফেরেশতার কাছে সাহায্য চায়,অপবিত্র অবস্থায় কুরআন এর অবমাননা করা হয় শরীয়ত বিরোধী অনেক কর্মের সাথে লিপ্ত যেগুলো কুফরীর সাথে সামন্জ্যপূর্ন সেসব যাদুকররা মূলত রাক্বি হতে পারবে না।
৭.একজন রাক্বি গনকের মত ভবিষ্যৎ বানী বা অদৃশ্যের কথা বলতে যাবে না. [যারা গনকবাদী চর্চা করে এমন বিস্তৃত কর্ম যেসব ব্যক্তির মধ্যে আছে অথচ সেসব ব্যক্তি নিজেকে রাক্বি দাবি করে মূলত সে রাক্বি নয় মূলত সে ব্যক্তি গনক যার কাছে গেলে ৪০ দিন সালাত কবুল হবে না। (যেমন গনকরা বলে থাকে রোগীদের ব্যপারে:- তোমাকে কালি দিয়ে বান মারা হয়েছে,তোমার উপর অমুক সমস্যা আছে তমুক সমস্যা আছে' এরকম অদ্ভুত অদ্ভুত সমস্যা গনকরা আগেই বলে দিবে রোগীদের 'মূলত যারা এরকম বলে তারা রাক্বি নয় বরং তারা গনক) আর গন*কদের কাছে ইসলামে হারাম।

-বরং একজন রাক্বির আকিদা সর্বক্ষেত্রে নিরাপদ থাকতে হবে (যেরকমটা রাসূল সাঃ এর ছিলো এবং সাহাবীদের রা: ছিলো সেরকম থাকতে হবে)

৮. একজন রাক্বিকে এই বিশ্বাস অবশ্যই রাখতেই হবে সবসময় যে, সকল সুস্থতা কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে, রুকইয়াহ তে না(মানে একজন রোগী এই বিশ্বাস করবে না যে,তাকে রুকইয়াহ সুস্থ করতেছেন বরং রোগী এই বিশ্বাস করবে যে, তাকে আল্লাহই সুস্থতা দান করেছে)বরং সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে রুকইয়াহ একটি উপায় বা পদ্ধতি মাত্র। যেটার মাধ্যমে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় তোমাদের কাউকে সুস্থতা লাভ করে আবার কেউ সুস্থতা লাভ করে না। (মূলত আল্লাহ এটা সর্বোচ্চ ভাবে বুঝিয়েছে যে, সুস্থতা এটা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে সেরকম যেরকমটা সাধারণত হয়ে থাকে। এখন একজন মুমূর্ষু ব্যক্তি যার মৃত্যু নির্ধারিত কোমো এক রোগের মাধ্যমে মূলত সে ব্যক্তির তো মৃত্যু হবেই, যদি সে ব্যক্তি যতই চিকিৎসা করুক না কেনো - কারন প্রত্যেকের জন্য মৃত্যু নির্ধারিত। তবুও ব্যক্তি চেষ্টা করে যাবে আল্লাহর উপর ভরসা করে রুকইয়াহ করার মাধ্যমে যাতে আল্লাহ সুস্থতা দান করে, তখন অনেক ব্যক্তিতার তাক্বদির অনুযায়ী সুস্থ হবে আর অনেক ব্যক্তি তাক্বদির অনুযায়ী মৃত্যুবরন করবে,মূলত একজন রাক্বি এবং রোগী এই আকিদ্বা বা বিশ্বাস রাখবে যে 'মহান আল্লাহই সুস্থতা দাতা এবং তিনিই সুস্থতা দান করেন এবং তিনিই যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন")।

৯.আর রাক্বি যেই শব্দ তেলাওয়াত করবে সেটা স্পষ্ট আরবী ভাষা হতে হবে। কোনোরকম অনারবী ভাষায় হতে পারবে না। কারন আরবী লফজ(শব্দ)রুকইয়াহ তে হতে হবে, এটা স্পষ্ট বিষয়।

[আর মূলত আরবী ভাষার মূলে রয়েছে রুকইয়াহ চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত যেটা স্পষ্ট নির্দেশ করে যে, সেটা কুরআন এর আয়াত এবং হাদীসের দোয়া,কারন এটাই কুরআন ও হাদীস দ্বারা স্পষ্ট বিষয়]

বুঝার স্বার্থে সংযুক্তি:-[রুকইয়াহ শরই্যায়হ তে পবিত্র হওয়ার প্রয়োজন নেই,(এটা দ্বারা বিস্তৃত বিষয়কে বুঝানো হয়েছে)।

১.যখন একজন ব্যক্তি নাপাক অবস্থায় থাকবে, তখন সেই ব্যক্তি যদি রোগী থাকে,তখন তাকে চিকিৎসার মূলনীতি থেকে কয়েকটি বিষয় আসবে:-

-নাপাক ব্যক্তি যাদের ঘনঘন জিন ও যাদুর প্রভাবে ওযু ভেঙ্গে যায় (মূলত সেসব পেশেন্ট মুখস্থ তেলাওয়াত করতে পারবে ইনশাআল্লাহ, সেই পেশেন্ট এর রুকইয়াহ করারত অবস্থায় বারবার পবিত্রতা হওয়ার প্রয়োজন দরকার নেই)। কারন রোগের কারনে বারবার ওযু ভেঙ্গে গেলে সেটার দায়ভার রোগী নিবে না, কারন রোগীর কন্ট্রোল অনুযায়ী স্বাভাবিক অবস্থায় রোগীর শরীর থেকে অস্বাভাবিক - আনকন্ট্রোল বিষয় নির্ঘত হলে যেখানে পবিত্রতা জরুরি[তখন চিকিৎসা কেন্দ্রীল বিষয়ে,পবিত্রতা হওয়া জরুরি নয়]।

আরো অনেক উদ্দেশ্য আছে (ওসব রোগীদের জন্য যারা নিজে নিজে রুকইয়াহ চর্চা করে ] তাদের উপর গোপন অনেক রোগ যেগুলোর প্রভাবে বারবার নাপাক হয়,সেসব মাসআলাতে রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনে (কুরআন এর আয়াত তেলাওয়াত করা প্রয়োজনীয়, সেখানে পবিত্রতা হওয়া শর্ত নয়) মূলত তখন সুস্থতার জন্য মূল হচ্ছে, 'তেলাওয়াত করে যাওয়া'

দ্বিতীয় :- পয়েন্টে যেটা সালেহ আল ফাউজান হাফি : বলেছেন:-

১.যখন কেউ ক্বুরআন থেকে তেলাওয়াত করবে তখন বড় ধরনের সকল নাপাক থেকে পবিত্র হতে হবে। [পবিত্র হওয়া এক বিষয় আর ওযু করে পবিত্র হয়ে সালাত পড়া বা ফরজ ইবাদত করা আরেক বিষয়)।

এমন অপবিত্রতা যেটার উপস্থিতিতে সকল ফরজ সালাত বাদ হয়ে যায়।যেমন :- ছেলেদের স্বপ্নদোষ, মেয়েদের পিরিয়ড, সহবাস ইত্যাদি। এসব বিষয় হলে তখন সেগুলো বড় ধরনের অপবিত্রতার অংশ।তখন একজন মুসলিম এসব নাপাকি থেকে পবিত্র হতে হবে, এই পবিত্র হওয়াকে একজন মুসলিম এর জন্য আম বিষয়, যেটা সকলের হতে হবে।।

-পক্ষান্তরে সালাত পড়তে গেলে ওযু লাগবে,ক্বুরআন পড়তে গেলে ওযুর প্রয়োজন রয়েছে (মূলত ওযু হচ্ছে পবিত্রতা সেসব আমল সম্পাদনা করার জন্য যেগুলো ওযু ব্যতীত কবুল হবে না)।

-আর রুকইয়াহ তে একজন রাক্বি বা রোগী যে রুকইয়াহ চর্চা করে মূলত তাকেই শরঈ পরিভাষায় রাক্বি বলা হয় (মূলত ওসব রোগী বা রাক্বির বড় ধরনের অপবিত্রতা থাকতে পারবে না:- বিশেষ করে রাক্বির ওরুপ অপবিত্রতা যেটার ফলে পবিত্রতা হওয়াকে বাঁধাগ্রস্থ করে মূলত তখন সে ব্যক্তি মূল রাক্বি না হয়ে মূলত রোগীর কাতারে পড়বেন)। আর রোগীদের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে নাপাকি রোগকে দূর করার জন্য রুকইয়াহ করার সময় 'জরুরত এর বিধান অনুযায়ী পবিত্রতা হওয়া ছাড়াও তেলাওয়াত করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

২.এজন্য যারা রাক্বি(চিকিৎসক হবে) তাদের জন্য এটা আবশ্যকীয় শর্ত যে, রাক্বিকে সর্বদায় পবিত্র থাকতে হবে এবং বড় ধরনের জানাবাত(অপবিত্রতা হতে) যেগুলো করলে গোসল ফরজ হয়, সেসব বিষয় থেকে পবিত্র থাকতে হবে সর্বদায়। যাতে করে রাক্বি যখন ক্বুরআন থেকে তেলাওয়াত করবে তখন, রাক্বীর মধ্যে নাপাকির কোনো কিছুই অবশিষ্ট না থাকে।

রাক্বী হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে 'সর্বধরনের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকা।

🖊️Muhammad Ali

Founder & CEO Quranic Healing Bd
Founder & CEO Raqi Muhammad Ali

26/08/2025

পড়ালেখা পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার যাদু বাতিল করার নিয়তে ' সুবহানাল্লাহ ' সারাদিন পড়ুন

26/08/2025

♦️রোগীর শরীরে থাকা জিনের সাথে রাক্বির কথা বলা সালাফ থেকে প্রমানিত নয় এবং রাসূল স. এর হাদীস থেকেও প্রমানিত নয় এবং জিন হ,ত্যার বিষয়টিও সালাফ ও রাসূল স থেকে প্রমানিত নয়, বরং রাক্বি কুরআন তেলাওয়াত করা ও রাসূল স এর সুন্নাহ অনুসরণ করে রুকইয়াহ করবে :-

🔴এটার হুকুম কি জিন হ,ত্যার ব্যপারে যেখানে তারা(জিন শরীর থেকে বের হতে প্রত্যাহার করেছিলো এবং ভঙ্গ করেছিলো পরবর্তী সেই অঙ্গীকার এর মুহূর্তে, যেটার মাধ্যমে (তারা রাক্বিরা যে জিনকে বের করার দিকে নিয়ে যায় এবং যখন জিন বের হয়না তখন কি সে জিনকে হ,ত্যা করতে পারবে?

ما حكم قتل ((الجن)) بعد نقضهم العهد بأن يخرجوا وإذا لم يخرج فالقتل

هذا راقي يسأل .... ؟؟!
يقول: إني أعاهد الجني أو الجنية إذا قرأت على المريض وإذا رجع فسوف أقتله!
وكيفيت القتل؟ يقول: أقرأ و أكرر من الآيات التي فيها عذاب وإحراق ... ثم يموت،،،
ويقول: وهل فيه فرق بين المسلم والكافر؟؟
أفتونا مأجورين

এটা মূলত রাক্বি প্রশ্ন করতেছিলো?
তিনি বলেন, নিশ্চয় আমি জিনরা যখন রোগীদের শরীরে থেকে যেতে অঙ্গীকার এর মুহুর্তে অথবা যখন জিনদের সামনে তেলাওয়াত করা হয় যেটা মূলত রোগীর উপর করা হয়(কারন রোগীর শরীরের মধ্যেই জিন থাকে) এবং যখন এই জিনগুলো রোগীর শরীর থেকে অঙ্গিকার এর কথা বলে পুনরায় আবার রোগীর শরীরে ফিরে আসে তখন কি আমি জিনকে হ,ত্যা করতে পারবো দ্রুত?

এবং জিন যে হ,ত্যার স্বীকার হবে সেই হ,ত্যার ধরন বলতে কেমন? তারা(রাক্বি) বলল সেটা হলো তেলাওয়াত করা এবং বারবার পড়া যেটা তেলাওয়াত এর অন্তর্ভুক্ত যেসব তেলাওয়াত গুলো জিনকে কষ্টের মধ্যে ক্রমাগত অবস্থান করে দেয় এবং শাস্তিও চলমান করে দেয়,এবং আ,গুনে পুড়ি,য়ে ফেলতে থাকে ' অত:পর এভাবে রোগীর শরীরে থাকা জিন মা,রা যায়। [অর্থাৎ, রাকি যখন প্রশ্ন করেছিলো এক আলেমকে যে, জিন হ,ত্যার ব্যপারটা এটা জায়েয কিনা ইসলামে তখন আলেমরা বলেছিলো জিন যে, হ,ত্যার স্বীকার হয় সেই হ,ত্যার ধরন কেমন? রোগীর শরীরে জিন কিভাবে হ,ত্যার স্বীকার হয়েছে এটা প্রশ্ন করায় রাকি বলল 'কুরআন এর আয়াত তেলাওয়াত এর মাধ্যমে, আযাব সংক্রান্ত আয়াত এবং যেসব আয়াত পড়লে জিনরা কষ্ট পায় এবং কষ্ট পেতে পেতে আ,গুনে পুড়ে যায় মূলত এভাবে জিনরা মা,রা যায়]

ويقول: وهل فيه فرق بين المسلم والكافر؟؟
أفتونا مأجورين،،،،،،،
এবং তারা বলল আর তার মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে যেটা মুসলিম আর কা,ফেরের মাঝে পার্থক্য তৈরি করে? আর এ বিষয়ে কি ফতওয়া রয়েছে সেটা সম্পর্কে আমাদের বলুন যেই বিষয়ে জানা জরুরি একটি বিষয়। [অর্থাৎ,জিন হ,ত্যার বিষয়টি এটা তাদের কাছে ঘটমান একটি বিষয় অতএব এটার মাধ্যমে মুসলিম আর কা,ফিরের মাঝে মূলত কি পার্থক্যগুলো তৈরি করে সে বিষয়ে জানা প্রয়োজনীয় একটি বিষয়]

أمور الجن مما غيب عنا، والقول إن الراقي الفلاني قتل الجن الفلاني أو إنه أحرقه حتى شم رائحة الحرق!! هذا كله مما لا دليل عليه، وما يدريه أنه قتله أو أحرقه؟!!

জিনের আদেশ বা নির্দেশের ব্যপকতা যেটা মূলত গায়েবের(অদৃশ্যের অন্তর্ভুক্ত) আমাদের নিকট। এবং রাক্বি যদি বলে এই বিষয়ে এবং অমুক আরো অনেক রাক্বিও যদি বলে যে, জিনকে হ,ত্যা করা হয়েছে আর সেটা করেছে অমুক ব্যক্তি অথবা যদি এমন ব্যক্তি যে নিজেকে রাক্বি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে সেও যদি এই কথা বলে যে, জিনকে পু,ড়ানো হয়েছে, এবং পুড়ানোর পর সেই ঘ্রানশক্তি পাওয়া যায় 'সেই আগুনের প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে '। মূলত এই প্রত্যেকটা কথা যেগুলোর কোনো দলিলের অন্তর্ভুক্ত নয় তাদের(রাক্বিদের জিন পুড়া,নোর বা হ,ত্যার বিষয়ের উপর) আর তারা রাক্বিরা এই জিনের হ,ত্যার বিষয় সম্পর্কে জানেই না এবং সেটা জিনের পুড়ানো সম্ভব এই ব্যপারেও তারা জানে না যে, জিনকে পু,ড়ানো যায় এ স্বপক্ষে কুরআন ও হাদীসে কোনো দলিল নেই। [অর্থাৎ জিনদের কথা বলা,জিনরা যেই বিষয়ে রোগীদের শরীরে অবস্থান করে রাক্বিকে এমন বিষয়ে নির্দেশ করল আর রাক্বি জিনের সেই কথাকে বিশ্বাস করল তখন রাক্বির করা বিশ্বাস করার এই কর্মটা মূলত অদৃশ্য গায়েবে থাকা জিনের কথা, আদেশকে সেই রাক্বি মেনে নিলো। রোগীর শরীরে থাকা জিন রাক্বিকে বলল রোগীর এই সমস্যা, সেই সমস্যা, অমুক সমস্যা, এরকম বিভিন্ন নির্দেশমূলক কথা বলে রোগীর শরীরে থাকা জিন রাক্বিকে এসব কথা বলল আর রাক্বি জিনের কথা বিশ্বাস করে সেটাকে সত্যা হিসেবে বিশ্বাস করল তখন এই রাক্বির এই বিশ্বাস করার প্রবনতার ব্যপারে কোনো দলিল নেই কুরআন ও হাদীসে। রোগীর শরীরে থাকা জিন বলল 'আমরা শতশত জিন,আমরা অমুক জিন,রুকইয়াহ করার ফলে এতএত জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়েছে,অথবা আমাদের বংশের অনেক জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়েছে,এবং অনেক জিন পু,ড়ে গিয়েছে, যখন রোগীর শরীরে থাকা জিনগুলো রাক্বিকে এসব কথা বলল আর রাক্বি জিনগ্রস্ত রোগীর শরীরে থাকা জিনের কথা বিশ্বাস করল তখন মূলত ওই রাক্বি এমন কর্ম করেছে জিনদের কথা বিশ্বাস করে যেটার স্বপক্ষে মূলত কুরআন ও হাদীসের কোথায়ও কোনো দলিল নেই]

وهذا من الأمور التي لم يفعلها السلف ولم تثبت عن النبي صلى الله عليه وسلم، والمشروع فقط أن يقرأ القرآن أو الرقى السنية ولا يكثر الحديث مع

আর এই বিষয়টি যেটা জিনদের বলা কথার আদেশ বা নির্দেশের সাথে সম্পর্কিত মূলত। সেসকল কর্মগুলো(জিন হ,ত্যার বিষয়গুলো) সঠিক নয় এবং সালাফরা এমন কর্ম করেননি কোনোক্রমেই এবং তা (জিন হ,ত্যার)বিষয়টি রাসূল সাঃ থেকে প্রমানিত কোনোক্রমেই হয়না এবং প্রসিদ্ধ হিসেবে শুধু এটাই করা যায় যে, কুরআন তেলাওয়াত করা জিনগ্রস্ত রোগীর উপর যেটা রাক্বি করবে এবং রাক্বি এই কাজও করবে যেটা সুন্নাহের মধ্যে বর্ণনা রয়েছে। এবং অধিকাংশ হাদীসে বর্ণনা নেই জিন হ,ত্যা ব্যপারে(জিন হ,ত্যার বিষয়টি হাদীসে এমন কোনো বর্ণনা নেই যেটা দ্বারা প্রমানিত হয় জিনগ্রস্থ রোগীর শরীরে থাকা জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়) [অর্থাৎ, জিনদের কোনো কথা, আদেশ নিষেধ যেটা রোগীর শরীরে থাকা জিনগুলো বলে থাকে রাক্বিকে উদ্দেশ্য করে মূলত জিনদের ওসব কর্মগুলো কোনো রাক্বি যদি বিশ্বাস করে, তবে রোগীর শরীরে থাকা জিনদের কথা বিশ্বাস করার বিষয়টি সালাফ(পূর্বসূরী উলামা) থেকে প্রমানিত নয় এবং আরো বড় ব্যপার হচ্ছে রাসূল সাঃ থেকেও এই বিষয়টি প্রমানিত নয়। তথা জিনগ্রস্ত রোগীর শরীরে থাকা 'জিন যেকোনো ধরনের কথা বলবে যেটা আদেশ এবং ব্যপক কথার অন্তর্ভুক্ত থাকবে' আর রাক্বি যদি সেই জিনদের কথাগুলো বিশ্বাস করে, রাক্বি যদি বিভিন্ন অদ্ভুত সব কথাবার্তা বলে। যেমন : জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়েছে,জিন আ,গুনে পু,ড়ে গিয়েছে মূলত রোগীর শরীরে থাকা জিনরা যদি এমনটা বলেও যে, আমি ম,রে গেলাম আমার অনেক বংশ রুকইয়াহ এর মাধ্যমে মা,রা গিয়েছে তবুও ওসব জিনদের কোনো কথা বিশ্বাস করা যাবে না। আর যেসব রাক্বি জিনদের কোনো কথা বিশ্বাস করবে মূলত ওসব রাক্বিদের কর্মগুলোর ব্যপারে 'কুরআন ও হাদীসে কোনো দলিল নেই, সালাফ থেকেও দলিল নেই এবং রাসূল সাঃ থেকেইও কোনো দলিল নেই।

আহমাদ আল ইউসুফ।

বুঝার জন্য সংযুক্তি:-
সুরত(আকৃতি) সহ জিনের প্রকাশ হওয়ার পর জিনকে 'হ,ত্যার কথা এক বিষয় আর মানুষের শরীরে জিন বসবাস কারী সুরত না দেখা যাওয়ার পরেও 'জিনকে হ,ত্যা করা যায় এটা বলা আরেক বিষয়।

-মাসসুশ জিন (জিন শরীরে প্রবেশ করে রোগ তৈরি করার জন্য, জিন রোগীর শরীরে প্রকাশ ঘটানো এক বিষয় আর সাহাবীরা রা: সাপের সুরতে প্রকাশ পাওয়া বাহিরের পরিবেশে উপস্থিতি জানান দেওয়ার জিনকে হ,ত্যা করা সেটা আরেকটি বিষয়। কারন সাপের সুরতে প্রকাশ হওয়া জিন যাকে সাহাবী হ,ত্যা করেছিল সেই 'জিন সাহাবীর বিছানায় অবস্থান করেছিলো সেই জিন মোটেও কোনো কাউকে পজেসড করেনি বরং সাহাবীর রা: এর ঘরে বিছানায় অবস্থান করেছিলো,ফলে যেই সাপ সুরত প্রকাশ পেয়েছিলো, ওই সুরত প্রকাশ পাওয়া জিনকে সাহাবী হ,ত্যা করেছিল।

বায়তুল মালের পাহাড়া দেওয়া খাদ্য চুরি করা সেই জিনের সুরত ছিলো মানুষের মত, তাই আবু হুরাইরা রা: তাকে দুইদিন ধরার পড়েও শেষ তৃতীয় দিন ধরে ফেলেছিল এবং শেষ ওটা জিন ছিলো এটা সনাক্ত করে ছে রাসূল সাঃ। এছাড়া বাহিরে চলাচলকারী জিন তার সুরত(আকৃতি) ধারন করলে, সেটা তখন জিনগ্রস্ত রোগীর সাথে সম্পৃক্ত বিষয় নয় বরং ওই জিন বাহিরে চলাচলকারী জিন 'বাহিরে চলাচল কারী ' জিনের আকৃতি ধারন করাকে 'মাস'সুছ জিন তথা জিন দ্বারা আক্রান্ত রোগীর শরীরে থাকা যেই জিন রয়েছে যার আকৃতি প্রকাশ পায় না ' তো সেখানে জিনের রোগীদের শরীরে থাকা জিনদের আকৃতি দেখা যায় না তবুও সেই জিনকে 'হ,ত্যা করা যায় ' সেক্ষেত্রে দলিল হিসেবে টানা হয় 'আকৃতি থাকা জিনের ওসব হাদীস যেসব ঘটনায় জিনের আক্রান্ত রোগীদের উপর এরকম কোনো বর্ণনা নেই হাদীসে' বরং আমভাবে, বাহিরে চলাচল কারী জিনের আকৃতি সহ যেই হাদীসগুলোতে সুরাত সাব্যস্ত হয়েছে 'সেই আকৃতি থাকার পর 'সাহাবী রা: জিনকে হ,ত্যা করেছে এরকম হাদিস পাওয়া যায় ।

কিন্তু যেখানে 'মানুষের শরীরের ভিতর জিনের সুরত(আকৃতি প্রকাশ পায় না) জিনের কোনো চেহারা সাব্যস্ত হয়না জিনের রোগীর উপর, সেখানে জিন হ,ত্যা করা সম্ভব এই দাবি প্রমান করার জন্য 'জিন পজেসড এর হাদীস না এরকম জিনের সুরত(আকৃতি ধরা) হাদীসগুলো সামনে এনে 'জিন দ্বারা আক্রান্ত রোগী মানুষের ভিতরে থাকা জিনের সুরত(আকৃতি) বুঝা যায় না 'তবুও নাকি রুকইয়াহ তে জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়।

এজন্য পূর্বের রুকইয়াহতে জিন হ,ত্যার মাসয়ালায় 'একজন উলামা বলেছিল রুকইয়াহ তে জিন হ,ত্যার স্বাকীর হয়? এই হ,ত্যা কিভাবে সংঘটিত হয় এটা রাকিরা কেউই জানে না।মানে জিন কিভাবে মা,রা গেলো,জিনের সুরত প্রকাশ পেলো না অথচ জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়েছে এটা কিভাবে হয়েছে 'এই বিষয়টাই জানে না একজন রাক্বি'।

আরশীফ মুলত্বাকা আহলুল হাদীস (৬৯/৪০০ পৃষ্ঠা)

🖊️Muhammad Ali

26/08/2025

সুবহানাল্লাহ ' বারবার পড়লে যাদু দূর হয়ে যায়।যিকিরের মত করে পড়তে থাকুন

25/08/2025

শামদেশে একটি নূর পাওয়া যায় সেগুলো তাবুর ঘরগুলোতে থাকে, এই ঘরগুলোতে ঈমানদাররা থাকে:-

ﻋﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ -ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ- ﻗﺎﻝ: ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ -ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ:
"ﺇﻧﻲ ﺭﺃﻳﺖ ﻋﻤﻮﺩ اﻟﻜﺘﺎﺏ اﻧﺘﺰﻉ ﻣﻦ ﺗﺤﺖ ﻭﺳﺎﺩﺗﻲ، ﻓﻨﻈﺮﺕ ﻓﺈﺫا ﻫﻮ ﻧﻮﺭ ﺳﺎﻃﻊ ﻋﻤﺪ ﺑﻪ ﺇﻟﻰ اﻟﺸﺎﻡ، ﺃﻻ ﺇﻥ اﻹﻳﻤﺎﻥ -ﺇﺫا ﻭﻗﻌﺖ اﻟﻔﺘﻦ- ﺑﺎﻟﺸﺎﻡ".

আব্দুল্লাহ বিন উমর হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেব রাসূল স বলেছে:- নিশ্চয় আমি নির্দিষ্ঠসমূহের তাবুর খুঁটিগুলো দেখে থাকি, সেসব ব্যক্তিরা অপসারন করে/জবর দখল করতে থাকে সংশ্লিষ্ট নিচের জায়গাগুলো এবং আমি ব্যপক বাঁধা অনুভব করি।তখন আমি দেখলাম যে, যখন সেটা বিস্তৃত নূর(আলো) হিসেবে দেখা গেলো সেই শামের মূল তাঁবুর খুঁটির দিকে, জেনে রাখো যে, এটা(নূর) হচ্ছে ঈমান - যখন ফিতনা সংঘটিত হয়েছিলো(শামে)।

ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ, ﺃﺧﺮﺟﻪ اﻟﻔﺴﻮﻱ "2/ 290-291 ﻭ300 ﻭ311 ﻭ523"، ﻭاﻟﺤﺎﻛﻢ "4/ 509"، ﻭﺃﺑﻮ ﻧﻌﻴﻢ ﻓﻲ "اﻟﺤﻠﻴﺔ" "5/ 252"، ﻭاﺑﻦ ﻋﺴﺎﻛﺮ "1/ 92-98"، ﻭﻗﺎﻝ اﻟﺤﺎﻛﻢ:
"ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ اﻟﺸﻴﺨﻴﻦ, ﻭﻭاﻓﻘﻪ اﻟﺬﻫﺒﻲ.

হাদীস :- সহীহ(আলবানী বলেছেন:-, আল ফুসুবি তিনিও উক্ত হাদীসটি সংকলন করেছেন:- ২/২৯০-২৯১ এবং ৩০০ এবং ৩১১ এবং ৫২৩ নম্বর হাদীসে এবং হাকেম (৪/৫০৯) এবং আবু নুয়াইম তার হিলইয়াহ কিতাবে (৫/২৫২) পৃষ্ঠায় এবং ইবনক আসাকীর(১/৯২-৯৮) পৃষ্ঠায় উক্ত হাদীসটি সংকলন করেছেন। এবং হাকিম বলেন:- উক্ত হাদীসরি বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ। এবং যাহাবী একই মত পোষন করেছেন।

ﻭﻗﺪ ﻭﻫﻤﺎ ﻓﻲ ﻗﻮﻟﻬﻤﺎ: "ﺇﻧﻪ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻃﻬﻤﺎ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻫﻮ ﺻﺤﻴﺢ ﻓﻘﻂ؛ ﻷﻥ ﻓﻲ اﻟﺴﻨﺪ ﻳﻮﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﻴﺴﺮﺓ ﺑﻦ ﺣﻠﺒﺲ، ﻭﻟﻢ ﻳﺨﺮﺝ ﻟﻪ اﻟﺸﻴﻴﺨﺎﻥ ﺷﻴﺌﺎ، ﻭﻫﻮ ﺛﻘﺔ.
ﻭاﻟﺤﺪﻳﺚ ﺃﻭﺭﺩﻩ اﻟﻬﻴﺜﻤﻲ ﻓﻲ "اﻟﻤﺠﻤﻊ" "10/ 58"، ﻭﻗﺎﻝ:
"ﺭﻭاﻩ اﻟﻄﺒﺮاﻧﻲ" ﻓﻲ "اﻟﻜﺒﻴﺮ" ﻭ"اﻷﻭﺳﻂ" ﺑﺈﺳﻨﺎﺩﻳﻦ، ﻭﻓﻲ ﺃﺣﺪﻫﻤﺎ اﺑﻦ ﻟﻬﻴﻌﺔ، ﻭﻫﻮ ﺣﺴﻦ اﻟﺤﺪﻳﺚ، ﻭﻗﺪ ﺗﻮﺑﻊ ﻋﻠﻰ ﻫﺬا، ﻭﺑﻘﻴﺔ ﺭﺟﺎﻟﻪ ﺭﺟﺎﻝ اﻟﺼﺤﻴﺢ.
ﻭﻟﻪ ﻋﻨﺪ اﺑﻦ ﻋﺴﺎﻛﺮ ﻃﺮﻳﻖ ﺃﺧﺮﻯ، ﻭﺣﺴﻨﻪ.
ﻭﻟﻪ ﺷﻮاﻫﺪ ﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ اﻟﻌﺎﺹ ﻭﺃﺑﻲ اﻟﺪﺭﺩاء.

এবং নিশ্চিত ভাবে সেসব রাবি এবং তারা(দুইজন ছিলো) তাদের কথার মধ্যে (উক্ত হাদীস সহীহ হওয়ার ব্যপারে) :-" নিশ্চয় তা(হাদীসটির সত্যতা) তাদের দুইজনের কথার কারনে (সহীহ) এবং নিশ্চয় সেটা(হাদীসটি) সহীহ এটাই যথেষ্ট। নিশ্চয় এরজন্য (হাদীসটির) সনদে ইউনুস বিন মায়সারাহ বিন হালবাস ' এবং তিনি (দুই ইমাম)কোনো কিছুই (রাবির ভুল) বের করেনি বা বর্ণনা করেননি তার(হাদীসগুলোর বর্ণনার) জন্য, নির্দিষ্ঠ দুই শাইখ(ইমাম বুখারী ও মুসলিম) এমনটাই বলেছ:- এবং তিনি(উক্ত রাবি) হচ্ছে সীকাহ(নির্ভরযোগ্য)।
এবং আল হায়ছামি তিনি বর্ননা করেন তার আল মাজমাউ (১০/৫৮) এবং তিনি বলেন:- এই হাদীসটি তাবারানি আল কাবির (গ্রন্থে) এবং আল আওসাত গ্রহন্থে :- দুইটি সনদে (হাদীসটি বর্ণনা করা হয়েছে)। এবং সেখানে তাদের একজন হচ্ছে:- ইবনু লাহিয়য়াআহ এবং তিনি হাদীস(বর্ণনার ক্ষেত্রে) হাসান(উত্তম)। এবং নিশ্চিত ভাবে তিনি(এই উত্তমতার) উপরই অনুসরণ করে থাকেন(তার হাদীসগুলো বর্ণনায়) এবং অবশিষ্ট আছে তার(উক্ত রাবি) পাশাপাশি আরেজজন ব্যক্তি(রাবি) দুইজনই সহীহ।

ইবনে আসাকীর এর নিকট আরেকটি(ভিন্ন সনদে উক্ত হাদীসের বর্ণনা) আছে। এবং তিনি সেটাকেও হাসান বলেছে। এবং তারজন্য শাওয়াহেদ হাদীস (রয়েছে সহীহ প্রমান হওয়ার জন্য) উমর বিন আল আস এবং আবি দ্বারদা বর্ণিত হাদীসগুলো।

ﺭﻭاﻫﻤﺎ ﺃﺣﻤﺪ "4/ 198 ﻭ5/ 198 ﻭ199"، ﻭﺇﺳﻨﺎﺩﻩ اﻟﺜﺎﻧﻲ ﺻﺤﻴﺢ.
ﻭﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ, ﻭﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺣﻮاﻟﺔ ﻋﻨﺪ اﻟﻤﺼﻨﻒ, ﻭﺳﻴﺄﺗﻲ اﻟﻜﻼﻡ ﻋﻠﻴﻬﻤﺎ، ﻓﺎﻧﻈﺮ اﻟﺤﺪﻳﺚ اﻟﺘﺎﺳﻊ ﻭاﻟﻌﺎﺷﺮ

তাদের দুইজন(রাবিকে) দেখা যায় আহমদ (৪/১৯৮) এবং (৫/১৯৮) এবং ১৯৯ পৃষ্ঠায় এবং তার (হাদীসের)সনদকে দ্বিতীয় বার সহীহ বলেছে। এবং অন্তর্ভুক্ত আব্দুল্লাহ বিন আমর এবং আব্দুল্লাহ বিন হাওয়ালাহ মুসান্নাফ(গ্রন্থকারের বইগুলোতে) আছে এবং দ্রুতই তখন তারা নিয়ে এসেছে সেসব (বর্ননার হাদীসগুলো) তাদের(দুইজন রাবির বর্ণনা থেকে নেওয়া হয়েছে), অত:পর সেসব (মুসান্নাফরা হাদীস সংকলকরা) উক্ত হাদীসকে নবম ও দশম স্তরের বলেছে।

🖋️Muhammad Ali

Address

Gazipur
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raqi Muhammad Ali posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram