10/07/2025
♦️রোগীর শরীরে থাকা জিনের সাথে রাক্বির কথা বলা সালাফ থেকে প্রমানিত নয় এবং রাসূল স. এর হাদীস থেকেও প্রমানিত নয় এবং জিন হ,ত্যার বিষয়টিও সালাফ ও রাসূল স থেকে প্রমানিত নয়, বরং রাক্বি কুরআন তেলাওয়াত করা ও রাসূল স এর সুন্নাহ অনুসরণ করে রুকইয়াহ করবে :-
🔴এটার হুকুম কি জিন হ,ত্যার ব্যপারে যেখানে তারা(জিন শরীর থেকে বের হতে প্রত্যাহার করেছিলো এবং ভঙ্গ করেছিলো পরবর্তী সেই অঙ্গীকার এর মুহূর্তে, যেটার মাধ্যমে (তারা রাক্বিরা যে জিনকে বের করার দিকে নিয়ে যায় এবং যখন জিন বের হয়না তখন কি সে জিনকে হ,ত্যা করতে পারবে?
ما حكم قتل ((الجن)) بعد نقضهم العهد بأن يخرجوا وإذا لم يخرج فالقتل
هذا راقي يسأل .... ؟؟!
يقول: إني أعاهد الجني أو الجنية إذا قرأت على المريض وإذا رجع فسوف أقتله!
وكيفيت القتل؟ يقول: أقرأ و أكرر من الآيات التي فيها عذاب وإحراق ... ثم يموت،،،
ويقول: وهل فيه فرق بين المسلم والكافر؟؟
أفتونا مأجورين
এটা মূলত রাক্বি প্রশ্ন করতেছিলো?
তিনি বলেন, নিশ্চয় আমি জিনরা যখন রোগীদের শরীরে থেকে যেতে অঙ্গীকার এর মুহুর্তে অথবা যখন জিনদের সামনে তেলাওয়াত করা হয় যেটা মূলত রোগীর উপর করা হয়(কারন রোগীর শরীরের মধ্যেই জিন থাকে) এবং যখন এই জিনগুলো রোগীর শরীর থেকে অঙ্গিকার এর কথা বলে পুনরায় আবার রোগীর শরীরে ফিরে আসে তখন কি আমি জিনকে হ,ত্যা করতে পারবো দ্রুত?
এবং জিন যে হ,ত্যার স্বীকার হবে সেই হ,ত্যার ধরন বলতে কেমন? তারা(রাক্বি) বলল সেটা হলো তেলাওয়াত করা এবং বারবার পড়া যেটা তেলাওয়াত এর অন্তর্ভুক্ত যেসব তেলাওয়াত গুলো জিনকে কষ্টের মধ্যে ক্রমাগত অবস্থান করে দেয় এবং শাস্তিও চলমান করে দেয়,এবং আ,গুনে পুড়ি,য়ে ফেলতে থাকে ' অত:পর এভাবে রোগীর শরীরে থাকা জিন মা,রা যায়। [অর্থাৎ, রাকি যখন প্রশ্ন করেছিলো এক আলেমকে যে, জিন হ,ত্যার ব্যপারটা এটা জায়েয কিনা ইসলামে তখন আলেমরা বলেছিলো জিন যে, হ,ত্যার স্বীকার হয় সেই হ,ত্যার ধরন কেমন? রোগীর শরীরে জিন কিভাবে হ,ত্যার স্বীকার হয়েছে এটা প্রশ্ন করায় রাকি বলল 'কুরআন এর আয়াত তেলাওয়াত এর মাধ্যমে, আযাব সংক্রান্ত আয়াত এবং যেসব আয়াত পড়লে জিনরা কষ্ট পায় এবং কষ্ট পেতে পেতে আ,গুনে পুড়ে যায় মূলত এভাবে জিনরা মা,রা যায়]
ويقول: وهل فيه فرق بين المسلم والكافر؟؟
أفتونا مأجورين،،،،،،،
এবং তারা বলল আর তার মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে যেটা মুসলিম আর কা,ফেরের মাঝে পার্থক্য তৈরি করে? আর এ বিষয়ে কি ফতওয়া রয়েছে সেটা সম্পর্কে আমাদের বলুন যেই বিষয়ে জানা জরুরি একটি বিষয়। [অর্থাৎ,জিন হ,ত্যার বিষয়টি এটা তাদের কাছে ঘটমান একটি বিষয় অতএব এটার মাধ্যমে মুসলিম আর কা,ফিরের মাঝে মূলত কি পার্থক্যগুলো তৈরি করে সে বিষয়ে জানা প্রয়োজনীয় একটি বিষয়]
أمور الجن مما غيب عنا، والقول إن الراقي الفلاني قتل الجن الفلاني أو إنه أحرقه حتى شم رائحة الحرق!! هذا كله مما لا دليل عليه، وما يدريه أنه قتله أو أحرقه؟!!
জিনের আদেশ বা নির্দেশের ব্যপকতা যেটা মূলত গায়েবের(অদৃশ্যের অন্তর্ভুক্ত) আমাদের নিকট। এবং রাক্বি যদি বলে এই বিষয়ে এবং অমুক আরো অনেক রাক্বিও যদি বলে যে, জিনকে হ,ত্যা করা হয়েছে আর সেটা করেছে অমুক ব্যক্তি অথবা যদি এমন ব্যক্তি যে নিজেকে রাক্বি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে সেও যদি এই কথা বলে যে, জিনকে পু,ড়ানো হয়েছে, এবং পুড়ানোর পর সেই ঘ্রানশক্তি পাওয়া যায় 'সেই আগুনের প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে '। মূলত এই প্রত্যেকটা কথা যেগুলোর কোনো দলিলের অন্তর্ভুক্ত নয় তাদের(রাক্বিদের জিন পুড়া,নোর বা হ,ত্যার বিষয়ের উপর) আর তারা রাক্বিরা এই জিনের হ,ত্যার বিষয় সম্পর্কে জানেই না এবং সেটা জিনের পুড়ানো সম্ভব এই ব্যপারেও তারা জানে না যে, জিনকে পু,ড়ানো যায় এ স্বপক্ষে কুরআন ও হাদীসে কোনো দলিল নেই। [অর্থাৎ জিনদের কথা বলা,জিনরা যেই বিষয়ে রোগীদের শরীরে অবস্থান করে রাক্বিকে এমন বিষয়ে নির্দেশ করল আর রাক্বি জিনের সেই কথাকে বিশ্বাস করল তখন রাক্বির করা বিশ্বাস করার এই কর্মটা মূলত অদৃশ্য গায়েবে থাকা জিনের কথা, আদেশকে সেই রাক্বি মেনে নিলো। রোগীর শরীরে থাকা জিন রাক্বিকে বলল রোগীর এই সমস্যা, সেই সমস্যা, অমুক সমস্যা, এরকম বিভিন্ন নির্দেশমূলক কথা বলে রোগীর শরীরে থাকা জিন রাক্বিকে এসব কথা বলল আর রাক্বি জিনের কথা বিশ্বাস করে সেটাকে সত্যা হিসেবে বিশ্বাস করল তখন এই রাক্বির এই বিশ্বাস করার প্রবনতার ব্যপারে কোনো দলিল নেই কুরআন ও হাদীসে। রোগীর শরীরে থাকা জিন বলল 'আমরা শতশত জিন,আমরা অমুক জিন,রুকইয়াহ করার ফলে এতএত জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়েছে,অথবা আমাদের বংশের অনেক জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়েছে,এবং অনেক জিন পু,ড়ে গিয়েছে, যখন রোগীর শরীরে থাকা জিনগুলো রাক্বিকে এসব কথা বলল আর রাক্বি জিনগ্রস্ত রোগীর শরীরে থাকা জিনের কথা বিশ্বাস করল তখন মূলত ওই রাক্বি এমন কর্ম করেছে জিনদের কথা বিশ্বাস করে যেটার স্বপক্ষে মূলত কুরআন ও হাদীসের কোথায়ও কোনো দলিল নেই]
وهذا من الأمور التي لم يفعلها السلف ولم تثبت عن النبي صلى الله عليه وسلم، والمشروع فقط أن يقرأ القرآن أو الرقى السنية ولا يكثر الحديث مع
আর এই বিষয়টি যেটা জিনদের বলা কথার আদেশ বা নির্দেশের সাথে সম্পর্কিত মূলত। সেসকল কর্মগুলো(জিন হ,ত্যার বিষয়গুলো) সঠিক নয় এবং সালাফরা এমন কর্ম করেননি কোনোক্রমেই এবং তা (জিন হ,ত্যার)বিষয়টি রাসূল সাঃ থেকে প্রমানিত কোনোক্রমেই হয়না এবং প্রসিদ্ধ হিসেবে শুধু এটাই করা যায় যে, কুরআন তেলাওয়াত করা জিনগ্রস্ত রোগীর উপর যেটা রাক্বি করবে এবং রাক্বি এই কাজও করবে যেটা সুন্নাহের মধ্যে বর্ণনা রয়েছে। এবং অধিকাংশ হাদীসে বর্ণনা নেই জিন হ,ত্যা ব্যপারে(জিন হ,ত্যার বিষয়টি হাদীসে এমন কোনো বর্ণনা নেই যেটা দ্বারা প্রমানিত হয় জিনগ্রস্থ রোগীর শরীরে থাকা জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়) [অর্থাৎ, জিনদের কোনো কথা, আদেশ নিষেধ যেটা রোগীর শরীরে থাকা জিনগুলো বলে থাকে রাক্বিকে উদ্দেশ্য করে মূলত জিনদের ওসব কর্মগুলো কোনো রাক্বি যদি বিশ্বাস করে, তবে রোগীর শরীরে থাকা জিনদের কথা বিশ্বাস করার বিষয়টি সালাফ(পূর্বসূরী উলামা) থেকে প্রমানিত নয় এবং আরো বড় ব্যপার হচ্ছে রাসূল সাঃ থেকেও এই বিষয়টি প্রমানিত নয়। তথা জিনগ্রস্ত রোগীর শরীরে থাকা 'জিন যেকোনো ধরনের কথা বলবে যেটা আদেশ এবং ব্যপক কথার অন্তর্ভুক্ত থাকবে' আর রাক্বি যদি সেই জিনদের কথাগুলো বিশ্বাস করে, রাক্বি যদি বিভিন্ন অদ্ভুত সব কথাবার্তা বলে। যেমন : জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়েছে,জিন আ,গুনে পু,ড়ে গিয়েছে মূলত রোগীর শরীরে থাকা জিনরা যদি এমনটা বলেও যে, আমি ম,রে গেলাম আমার অনেক বংশ রুকইয়াহ এর মাধ্যমে মা,রা গিয়েছে তবুও ওসব জিনদের কোনো কথা বিশ্বাস করা যাবে না। আর যেসব রাক্বি জিনদের কোনো কথা বিশ্বাস করবে মূলত ওসব রাক্বিদের কর্মগুলোর ব্যপারে 'কুরআন ও হাদীসে কোনো দলিল নেই, সালাফ থেকেও দলিল নেই এবং রাসূল সাঃ থেকেইও কোনো দলিল নেই।
আহমাদ আল ইউসুফ।
বুঝার জন্য সংযুক্তি:-
সুরত(আকৃতি) সহ জিনের প্রকাশ হওয়ার পর জিনকে 'হ,ত্যার কথা এক বিষয় আর মানুষের শরীরে জিন বসবাস কারী সুরত না দেখা যাওয়ার পরেও 'জিনকে হ,ত্যা করা যায় এটা বলা আরেক বিষয়।
-মাসসুশ জিন (জিন শরীরে প্রবেশ করে রোগ তৈরি করার জন্য, জিন রোগীর শরীরে প্রকাশ ঘটানো এক বিষয় আর সাহাবীরা রা: সাপের সুরতে প্রকাশ পাওয়া বাহিরের পরিবেশে উপস্থিতি জানান দেওয়ার জিনকে হ,ত্যা করা সেটা আরেকটি বিষয়। কারন সাপের সুরতে প্রকাশ হওয়া জিন যাকে সাহাবী হ,ত্যা করেছিল সেই 'জিন সাহাবীর বিছানায় অবস্থান করেছিলো সেই জিন মোটেও কোনো কাউকে পজেসড করেনি বরং সাহাবীর রা: এর ঘরে বিছানায় অবস্থান করেছিলো,ফলে যেই সাপ সুরত প্রকাশ পেয়েছিলো, ওই সুরত প্রকাশ পাওয়া জিনকে সাহাবী হ,ত্যা করেছিল।
বায়তুল মালের পাহাড়া দেওয়া খাদ্য চুরি করা সেই জিনের সুরত ছিলো মানুষের মত, তাই আবু হুরাইরা রা: তাকে দুইদিন ধরার পড়েও শেষ তৃতীয় দিন ধরে ফেলেছিল এবং শেষ ওটা জিন ছিলো এটা সনাক্ত করে ছে রাসূল সাঃ। এছাড়া বাহিরে চলাচলকারী জিন তার সুরত(আকৃতি) ধারন করলে, সেটা তখন জিনগ্রস্ত রোগীর সাথে সম্পৃক্ত বিষয় নয় বরং ওই জিন বাহিরে চলাচলকারী জিন 'বাহিরে চলাচল কারী ' জিনের আকৃতি ধারন করাকে 'মাস'সুছ জিন তথা জিন দ্বারা আক্রান্ত রোগীর শরীরে থাকা যেই জিন রয়েছে যার আকৃতি প্রকাশ পায় না ' তো সেখানে জিনের রোগীদের শরীরে থাকা জিনদের আকৃতি দেখা যায় না তবুও সেই জিনকে 'হ,ত্যা করা যায় ' সেক্ষেত্রে দলিল হিসেবে টানা হয় 'আকৃতি থাকা জিনের ওসব হাদীস যেসব ঘটনায় জিনের আক্রান্ত রোগীদের উপর এরকম কোনো বর্ণনা নেই হাদীসে' বরং আমভাবে, বাহিরে চলাচল কারী জিনের আকৃতি সহ যেই হাদীসগুলোতে সুরাত সাব্যস্ত হয়েছে 'সেই আকৃতি থাকার পর 'সাহাবী রা: জিনকে হ,ত্যা করেছে এরকম হাদিস পাওয়া যায় ।
কিন্তু যেখানে 'মানুষের শরীরের ভিতর জিনের সুরত(আকৃতি প্রকাশ পায় না) জিনের কোনো চেহারা সাব্যস্ত হয়না জিনের রোগীর উপর, সেখানে জিন হ,ত্যা করা সম্ভব এই দাবি প্রমান করার জন্য 'জিন পজেসড এর হাদীস না এরকম জিনের সুরত(আকৃতি ধরা) হাদীসগুলো সামনে এনে 'জিন দ্বারা আক্রান্ত রোগী মানুষের ভিতরে থাকা জিনের সুরত(আকৃতি) বুঝা যায় না 'তবুও নাকি রুকইয়াহ তে জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়।
এজন্য পূর্বের রুকইয়াহতে জিন হ,ত্যার মাসয়ালায় 'একজন উলামা বলেছিল রুকইয়াহ তে জিন হ,ত্যার স্বাকীর হয়? এই হ,ত্যা কিভাবে সংঘটিত হয় এটা রাকিরা কেউই জানে না।মানে জিন কিভাবে মা,রা গেলো,জিনের সুরত প্রকাশ পেলো না অথচ জিন হ,ত্যার স্বীকার হয়েছে এটা কিভাবে হয়েছে 'এই বিষয়টাই জানে না একজন রাক্বি'।
আরশীফ মুলত্বাকা আহলুল হাদীস (৬৯/৪০০ পৃষ্ঠা)
🖊️Muhammad Ali