25/10/2025
ইমাম নববী হাদীস নিয়ে এসে হাদীস থেকে আল্লাহর নাম 'আন নূর ' সাব্যস্ত করেছে এবং উক্ত হাদীসকে হাসান বলেছে:-
قال الله تعالى: ﴿وَلِلَّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى﴾ [الأعراف: ١٨٠] .
٥٤٩- وعن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن رسول الله -ﷺ- قال: «إنَّ لِلَّهِ تَعالى تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا، مائة إِلاَّ وَاحِدًا، مَنْ أحْصَاها دَخَلَ الجَنَّةَ، إنه وترٌ يحبُ الوتر. هُوَ اللَّهُ الَّذي لا إِلهَ إِلاَّ هُوَ، الرَّحْمَنُ، الرَّحِيمُ، المَلِكُ، القُدُّوسُ، السلامُ، المؤمنُ، المهيمنُ، العَزِيزُ، الجَبَّارُ، المُتَكَبِّرُ، الخالِقُ، البارئ، المُصَوّرُ، الغفارُ، القهارُ، الوهابُ، الرزاقُ، الفتاحُ، العليمُ، القابضُ، الباسطُ، الخافضُ، الرافعُ، المُعِزُّ، المذلُ، السميعُ، البَصِيرُ، الحكمُ، العدلُ، اللطيفُ، الخبيرُ، الحليمُ، العظيمُ، الغفورُ
আল্লাহ তায়ালা বলেন:- এবং আল্লাহর জন্যই রয়েছে নির্দিষ্ঠ সুন্দর নামসমূহ। আারাফ :-১৮০।
এবং আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত যে, রাসূল স তিনি বলেন:- নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালার রয়েছে ৯৯ টি নাম, ও ১০০ টি নাম তবে একটি কম(মূলত ৯৯ টি না রয়েছে) যে ব্যক্তি তা(আল্লাহর নামগুলো কংকর জাতীয় কিছু দিয়ে) গননা করবে সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। নিশ্চয় তিনি(আল্লাহ) বিজর এবং তিনি(আল্লাহ) বিজরকে পছন্দ করেন।
তিনি আল্লাহ যিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই তবে তিনি (আল্লাহ ব্যতীত)। আর রহমান, আর রাহিম, আল মালিক, আল কুদ্দুস, আস সালাম, আল মুমিন, আল মুহায়মিন,আল আযিয,আল জাব্বার,আল মুতাকাব্বির,আল খালিক,আল বারিউ,আল মুসাউবির,আল গফ'ফার,আল কহ'হার,আল ওয়াহ'হাব,আর রায'যাক,আল ফাত্তাহ,আল আলিম,আল কাবিদ্ব,আল বাসিত্ব,আল খাফিদ্ব,আর রাফিউ,আল মুয়িয্যু,আল মুযিল্লু, আস সামিউ, আল বাসির,চল হুকমু,আল আদলু,আল লাতিফ,আল খাবির,আল হালিম,আল আযিম,আল গাফুর।
، الشكورُ، العليُ، الكبيرُ، الحفيظُ، المغيثُ، الحَسِيبُ، الجليلُ، الكريمُ، الرقيبُ، المجيبُ، الواسعُ، الحكيمُ، الودودُ، المجيدُ، الباعثُ، الشهيدُ، الحقُ، الوكيلُ، القويُ، المتينُ، الوَليُّ، الحميدُ، المحصي المبدئُ، المعيدُ، المُحْيِي، المميتُ، الحيُ، القَيُّومُ، الوَاجِدُ، الماجدُ، الواحدُ، الصمدُ، القادرُ، المقتدرُ، المقدمُ، المؤخرُ، الأولُ، الآخرُ، الظاهرُ، الباطنُ، الوَالي، المتعالِ، البَرُّ، التوابُ، المنتقمُ، العفوُ، الرؤوفُ، مالكُ الملكِ، ذُو الجلالِ وَالإِكْرَامِ، المقسطُ، الجامعُ، الغَنِيُّ، المُغْنِي، المانعُ، الضَّار، النافعُ، النورُ، الهَادِي، البديعُ، الباقِي، الوَارِثُ، الرشيدُ، الصَّبُورُ».
আশ শাকুর,আল আলী,আল কাবির,আল হাফিয,আল মুগি'ছ,আল হাসিব,আল জালিল,আল কারিম,আর রাকিব,আল মুজিব,আল ওয়াসিয়ু,আল হাকিমু,আল ওয়াদুদ,আল মাজিদ,আল বায়িছ,আশ শাহিদ,আল হাক্কু,আল ওয়াকিল,আল কাবি,আল মাতিন,আল ওয়ালিউ,আল হামিদ,আল মুহছিল মুবদিউ,আল মুয়িদ,আল মুহইউ,আল মুমিত,আল হাইয়্যু,আল কাইয়্যুম,আল ওয়াজিদ,আল মাজিদ,আল ওয়াহিদ,আস সামাদ,আল কাদির,আল মুকতাদির,আল মুকাদ্দিম,আল মুয়াখ্খির,আল আওয়াল,আল আখির, আয যাহির,আল বাতিন,আল ওয়ালি,আল মুতআল,আল বার্রু,আত তাওয়াব,আল মুনতাকিম, আল আফুউ,আর রুউফ,মালিকুল মুলক,যুল জালালি ওয়াল ইকরা'ম,আল মুকস্বিত,আল জামিউ,আল গানিউ,আল মুগনী,আল মানিউ,আদ দ্বার,আন নাফেউ,আন নূর,আল হাদিউ,আল বাদিউ,আল বাকিউ,আল ওয়ারিছ,আর রাশিদ,আস সাবুর।
هذا حديث [رواهُ] البخاري [رقم: ٦٤١٠]، ومسلم [رقم: ٢٦٧٧] إلى قوله: «يحبّ الوتر»، وما بعده حديثٌ حسنٌ، رواهُ الترمذي [رقم: ٣٥٠٧] وغيره [كابن ماجه، رقم: ٣٨٦١] .
قوله: «المغيثُ»، رُوي بدلهُ: «المقيتُ» بالقاف والمثناةِ، وروي:
এই হাদীসটি বুখারী বর্ণনা করেছে (পৃষ্ঠা :-৭৪১০) এবং মুসলিম বর্ণনা করেছে(পৃষ্ঠা :-২৬৭৭) সেই কথার দিকে তারা বলেছেন (তিনি(আল্লাহ) বেজর পছন্দ করেন) এবং যেটি সম্পর্কে পরবর্তীতে এই হাদীসকে হাসান বলেছেন। তিরমিজি বর্ননা করেছেন (পৃষ্ঠা :- ৩৫০৭) এবং ছাড়াও ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন:- পৃষ্ঠা :-৩৮৬১ পৃষ্ঠায়)। তিনি তার মুগিছে বলেন :- তিনি বর্ণন করেন তা(হাদীসকে)পরিবর্তন করে (আল মুকিত এ) বর্ণনা করলেন ক্বফ দ্বারা ও দুই সংখ্যার(হাদীসটিই বর্ণনা করা হয়েছে) এবং তিনি বর্ণনা করেন :-
القريبُ» بدل: «الرقيب»، وروي: «المبين» بالموحدة بدل: «المتين» بالمثناة فوق، والمشهور: «المتين».
ومعنى «أحصاها»: حفظها، هكذا فسره البخاري والأكثرون، ويؤيده أن في رواية في «الصحيح» [عند مسلم، رقم: ٥٦٧٧]: «مَنْ حَفِظَهَا دَخَلَ الجَنَّةَ».
আল ক্বারিব গ্রন্থে - পরবর্তন করেন (আর রাকিব) গ্রন্থে এরপর তিনি বর্ণনা করেন:- (আল মুবিন এ) একক বর্ণনাকারীর দ্বারা তা (হাদীসটি) পরিবর্তন করে(বর্ননা করা হয়) 'আল মুতিন এ' যেখানে দুইটি বর্ণনা পাওয়া যায় বইয়ের উপরের দিকে এবং আরো একটি হচ্ছে বিখ্যাত বর্ণনা যেটি রয়েছে (আল মাতিন গ্রন্থে)।
এবং সেটার অর্থ হচ্ছে তা(আল্লাহর)নামগুলো যারা সংরক্ষণ করে পাথরের কংকর দ্বারা গননা করতে থাকে এর মূল অর্থ হচ্ছে (মুখস্থ করা) এই ব্যপারে তাফসীর করেছেন আল বুখারী এবং আরো অসংখ্য উলামা এবং তাকে(বর্ণনাকে) শক্তিশালী করেছে যে, উক্ত বর্ণনাটি সহীহ মুসলিমে (পৃষ্ঠা :-৫৬৭৭)রয়েছে :- সংশ্লিষ্ট যে ব্যক্তি তা(আল্লাহর) নাম মুখস্থ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
وقيل: معناه من عرف معانيها، وآمن بها، وقيل: معناه: من أطاقها١ يُحسن الرعاية لها، وتخلَّق بما يمكنه من العمل بمعانيها؛ والله أعلم٢.
١ في نسخة: «أحصاها».
এবং সে ব্যক্তিরা বলে:- তার(বর্ননাকারীর) অর্থ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পরিচিত একটি বিষয় যেটা তার অর্থ চর্চাকারীদের স্পষ্ট একটি বিষয়, এবং সেসকল ব্যক্তিরা তা(বর্ণনা)বিশ্বাস করে। এবং সেসব ব্যক্তিরা আরো বলে থাকে যে:- তার(বর্ণনাকারীর)অর্থ হচ্ছে:- সংশ্লিষ্ট তা(বর্ননা)শক্তিশালী একটি বর্ননা, যেখানে সেসকল নির্দিষ্ঠ বর্ননাগুলো সুন্দর ও বর্ণনাকারীরাও উত্তমতার অধিকার রাখে। এবং তোমরা এমন কিছু সৃষ্টি করেছো অনবরত যেই(বর্ণনার)বিষয়ে তা(সম্ভবপর)হয়ে উঠে ক্রমধারায় আমলের অন্তর্ভুক্ত এর মাধ্যমে তার নির্দিষ্ঠ(বর্ননার) অর্থ দ্বারা। আল্লাহ ভালো জাবে। ২)
১) উক্ত বর্ননার শব্দটি নুসখাতে বর্ণনা আছে (আহসাহা)।
كنت طبعت كتاب «المقصد الأسنى في شرح أسماء الله الحسنى» لحجة الإسلام أبي حامد محمد بن محمد الغزالي، ومختصر له ليوسف بن إسماعيل النبهاني، اسمه «مختصر المقصد الأسني»؛ وكلاهما من منشروات الجفان والجابي للطباعة والنشر، لماسول، قبرص؛ فراجعهما فإنهما مفيدان.
আর আমি কিতাবটি ছাপিয়েছি (আল মাকসাদুল উছ'না ফি শারহি আসমায়িল্লাহি আল হুসনা 'নামে)। এরজন্য ইসলামের প্রমান রয়েছে যেমনটা আবি হামিদ মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ আল গাযা'লী বলেন। এবং সংক্ষিপ্ত (কিছু আলোচনা করেছে) তার(আল্লাহর নামগুলোর বর্ননার ব্যপারে)এর জন্য (সেই আলোচনাগুলো করেছে) ইউসুফ বিন ইসমাঈল আন নাবহানি, তার (বইটির) নাম হচ্ছে:-
'মুখতাসারুল মাকসাদ আল উ'ছনা - এবং তারা দুইজন উভয়ে প্রকাশ করেছেন আল জিফান প্রকাশক। এবং এবং সংগ্রহ করেছেন (বর্ণনাগুলো) বই আকারে ছাপানোর জন্য এবং প্রকাশ করেছেন(বই)। এবং তারা সাজিয়ে কথা বলেছেন এই(কিতাবে) এবং ব্যপকভাবে এমনকি সাইপ্রাস দ্বীপেও এটা ছড়িয়ে গিয়েছিলো মানুষের নিকট।অত:পড তারা দুজনই ফিরে আসেন তখন তারা দুজনই এই দুইটি উপকারী কাজ করেন (মানুষের জন্য)
১৯২
الكتاب: الأذكار للنووي
المؤلف: أبو زكريا محيي الدين يحيى بن شرف النووي (ت ٦٧٦هـ)
الناشر: الجفان والجابي - دار ابن حزم للطباعة والنشر
الطبعة: الطبعة الأولى ١٤٢٥هـ- ٢٠٠٤م
عدد الصفحات: ٤٣٠
[ترقيم الكتاب موافق للمطبوع]
কিতাব:- আল আযকার লিলনাওওয়াবী
লেখক:- আবু যাকারিয়া মুহইয়া আদ দ্বীন ইয়াহিয়া বিন শারফুন নববী। (মৃ,ত্যু:-৬৭৬ হিজরী)।
প্রকাশক:- আল জিফান ওয়াল জাবি - ইবনে হাযম তার উক্ত প্রতিষ্ঠানে বইটি ছাপিয়েছে এবং প্রকাশ করেছে।
মুদ্রন:- প্রথম ছাপানো হয়েছে -, ১৪২৫ হিজরী - ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ।
🖋️Muhammad Ali