ঝাড়ফুঁক ritualistic treatment

ঝাড়ফুঁক ritualistic treatment Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from ঝাড়ফুঁক ritualistic treatment, Astrologist & Psychic, 70/A panthapath, Dhaka.

"আমরা তাবিজ এবং কবজ সরবরাহ করি, যা ইসলামিক বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিক শান্তি আনার জন্য ব্যবহৃত হয়। আমাদের তাবিজগুলি বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয় কুরআনিক আয়াত ও দোয়ার মাধ্যমে, যা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, সুস্বাস্থ্য, প্রেম, এবং দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ অর্জনে সাহায্য

এটি দোয়া, জিকির, কুরআনের আয়াত ও আল্লাহর পবিত্র নামসমূহ (আসমাউল হুসনা) সম্বলিত একটি পান্ডুলিপি। হরিণের চামড়ার উপর কুফি লি...
27/10/2025

এটি দোয়া, জিকির, কুরআনের আয়াত ও আল্লাহর পবিত্র নামসমূহ (আসমাউল হুসনা) সম্বলিত একটি পান্ডুলিপি। হরিণের চামড়ার উপর কুফি লিপিতে একাধিক পৃষ্ঠায় এটি লিখিত হয়েছিল। আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)-এর নির্দেশে আবদুল্লাহ ইবনে হাসান (আবু মুনযির নামে পরিচিত) এটি প্রণয়ন করেন। এর কারণ ছিল এক প্রাণঘাতী প্লেগের প্রাদুর্ভাব, যা সেই যুগে ইরাকে অসংখ্য শিয়া ও অন্যান্য মানুষের অসুস্থতা ও মৃত্যু ঘটায়। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সীমিত ছিল, মানুষ এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ থেকে মুক্তি পেতে মাওলা আলী (আ.)-এর শরণাপন্ন হয়। মাওলা আল্লাহর সাহায্যে শিয়াদের অনুরোধ মঞ্জুর করে বিস্তারিত "জান্নাতুল আসমা" নির্ধারণ করেন।


জান্নাতুল আসমা শিলালিপির বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা

১. জাদু-টোনার বাতিলকরণ:
*"…وَ مِن شَرِّ النَّفّاثاتِ فِی العُقَدِ"*
(সূরা আল-ফালাক, আয়াত ৪)
*(অর্থ: "...এবং গেরু দিয়ে ফুঁক দেয়াদের অনিষ্ট থেকে [আশ্রয় প্রার্থনা করি]")*
— যাদু, টোনা ও কুপ্রভাব নির্মূল করে।

২. রোগ-ব্যাধি দূরীকরণ:
বিশেষত মহামারী (যেমন: প্লেগ)। হযরত আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.)-এর যুগে মানুষ প্লেগে আক্রান্ত হলে এই দোয়া, তাবিজ ও এর পঠনের মাধ্যমে আবু মুনযিরের হাতে তারা মুক্তি লাভ করেছিল।

৩. কার্যকলাপের সাফল্য:
- সকল কাজে সিদ্ধি ও সফলতা।
- জীবনের জটিল সমস্যার সমাধান।
- রিজিক-রোজগারে বরকত।
- মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা ও প্রিয়পাত্র হওয়া।

৪. দাম্পত্য ও সামাজিক কল্যাণ:
- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ মিটানো।
- খারাপ ভাষায় কথা ও শত্রুদের মুখ বন্ধ করা।
- অবিবাহিত ছেলে-মেয়েদের ভাগ্য উন্মোচন।

৫. অশুভ শক্তি থেকে সুরক্ষা:
- অশুভ দৃষ্টি (নজর) প্রতিরোধ।
- জিনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা।

৬. আর্থিক ও আত্মিক সুস্থতা:
- ঋণ পরিশোধ ও দেনা মোচন।
- কর্মক্ষেত্রে বিজয় ও সম্মান বৃদ্ধি।
- মানুষের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা ও আকর্ষণ সৃষ্টি।
- বৈধ প্রার্থনা পূরণ।
- মনোবল ও আত্মিক প্রশান্তি লাভ।
- সফরকালে ডাকাত/অপহরণকারীদের হাত থেকে নিরাপত্তা।
- রোগমুক্তি ও স্বাস্থ্য লাভ।

28/09/2025
বাথরুমে গিয়ে ৫ টি কাজ করলে আপনার বিপদ হতে পারে।১-সিগারেটের ফিল্টার জ্বলন্ত অবস্থায় টয়লেটের প্যান কোমোডে ফেলবেন না। এতে জ...
17/09/2025

বাথরুমে গিয়ে ৫ টি কাজ করলে আপনার বিপদ হতে পারে।
১-সিগারেটের ফিল্টার জ্বলন্ত অবস্থায় টয়লেটের প্যান কোমোডে ফেলবেন না। এতে জ্বীন আপনাকে এটাক করতে পারে।
২- বাথরূমে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করবেন না। এতে আপনার উপর খবিস জ্বীনের আছর হতে পারে।
৩- বাথরুমে গান বাজাবেন না বা গান গাবেন না। এতে নারী জ্বীন আপনার উপর (যদি আপনি পুরুষ হন) আকৃষ্ট হতে পারে। এবং আপনাকে ধরতে পারে।
৪- বাথরুমের ভেতর মোবাইল বা খবরের কাগজ পড়বেন না। এতে অনেক সময় আল্লাহ বা রাসূল সাঃ এর নাম মুবারক বা কুরআনের আয়াত চলে আসে যা কবিরা গুনাহ।
৫-দোয়া পড়া ছাড়া বাথরুমে প্রবেশ করবেন না। ভুলে প্রবেশ করলে ভেতরে গিয়ে দোয়া পড়বেন না। বেরিয়ে এসে আবার দোয়া পড়ে ঢুকবেন। দোয়াঃ اللهم اني اعوذبك من الخبث و الخبائث উউচ্চারণঃ আল্লহুম্মা ইন্নি আঊজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবা-ইছ।
বের হওয়ার পর পড়বেন- غفرانك উচ্চারণ: গুফরানাক।

01/07/2025

যে সকল প্রয়োজনে তদবির দিয়ে থাকি তা হলোঃ

🔹 ১. রোগবালাই ও শারীরিক সমস্যা:

দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা (যেমন: জ্বর, ক্যান্সার, পক্ষাঘাত)

ডাক্তারি চিকিৎসায় ফল না পাওয়া

অজানা বা রহস্যময় অসুস্থতা (যার কোন মেডিকেল ব্যাখ্যা নেই)

🔹 ২. মানসিক সমস্যা ও অশান্তি:

দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, আতঙ্ক

মানসিক ভারসাম্যহীনতা

ঘরে ঘরে অশান্তি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া

🔹 ৩. জ্বিন-ভূত, বদনজর ও কালোজাদু:

জ্বিনের আছর বা ভৌতিক সমস্যা

কারো করা কালো জাদুর প্রভাব

কারো হিংসার ফলে “বদনজর” বা নজর লাগা

🔹 ৪. সংসার ও পারিবারিক সমস্যা:

সন্তান না হওয়া

বারবার গর্ভপাত

সন্তান অবাধ্য হওয়া বা পড়াশোনায় মনোযোগ না দেওয়া

🔹 ৫. প্রেম, বিয়ে ও সম্পর্ক সংক্রান্ত সমস্যা:

পছন্দের মানুষের সঙ্গে বিয়েতে বাধা

বিবাহে বিলম্ব বা বিয়ে ভেঙে যাওয়া

প্রেমিক/প্রেমিকার মন ফেরানোর চেষ্টা

🔹 ৬. অর্থনৈতিক সমস্যা ও ভাগ্যের উন্নতি:

ব্যবসায় ক্ষতি

চাকরির স্থায়িত্ব না থাকা

ভাগ্য খোলা বা “নসিব খোলা” জন্য

🔹 ৭. পরীক্ষা ও প্রতিযোগিতায় সফলতা:

চাকরির পরীক্ষা বা বিসিএস

ভালো রেজাল্টের জন্য

প্রতিযোগিতায় জয়লাভ

🔹 ৮. শত্রু দমন বা প্রতিশোধের ইচ্ছা:

শত্রুকে ধ্বংস করা বা “মারন তাবিজ”

কারো ক্ষতি করা বা বাধা সৃষ্টি করা

🔹 ৯. নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য:

ভ্রমণে নিরাপত্তা

সন্তান বা পরিবারের নিরাপত্তা

দূর্ঘটনা এড়াতে
🔹 ১০. বিদেশ যাত্রা ও ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা:

বিদেশ যাওয়ার আগেই তাবিজ নেওয়া হয় যেন ভিসা হয়ে যায় বা ইমিগ্রেশনে বাধা না আসে।

অনেকে বলে, “তাবিজ দিলে ভিসা পাকা হয়ে যায়”।

🔹 ১১. ব্যবসায়িক উন্নতি ও লাভ বৃদ্ধি:

দোকানে বা ক্যাশবক্সে তাবিজ রাখা হয় যেন বেচাকেনা বাড়ে।

কারবারে লাভ ও প্রতিযোগীকে হার মানানোর উদ্দেশ্যে তাবিজ।

“গ্রাহক টানার তাবিজ” খুব প্রচলিত।

🔹 ১২. চাকরি পাওয়া বা পদোন্নতির জন্য:

সরকারী চাকরির জন্য তদবির বা ঝাড়ফুঁক।

অফিসে বসের দৃষ্টি আকর্ষণ বা পদের উন্নতির জন্য।

“চাকরি পাকা করার তাবিজ” নামে আলাদা তাবিজ বিক্রি হয়।

🔹 ১৩. পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট বা মেধা বাড়াতে:

শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তাবিজ দেওয়া হয় যাতে মেধা বাড়ে বা পরীক্ষায় ভালো নম্বর আসে।

“বুদ্ধি বাড়ানোর তাবিজ”।

🔹 ১৪. প্রেম-ভালোবাসায় সফলতা বা কারো মন জয়:

প্রেয়সী/প্রেমিককে পটানোর জন্য।

পরকীয়া প্রেমে টান ধরাতে বা ভুলানো জন্য।

“মনে রাখার তাবিজ”, “বশীকরণের তাবিজ” নামেও চর্চা আছে।

🔹 ১৫. সন্তান লাভ ও বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা:

সন্তান না হলে “সন্তান লাভের তাবিজ”।

গর্ভপাত না হওয়া বা সুস্থ ডেলিভারির জন্য।

🔹 ১৬. মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য:

যেকোনো মানত বা উদ্দেশ্য সফল করার জন্য তাবিজ।

“যা চাই তাই হবে তাবিজ” নামে প্রচলিত কিছু তাবিজও আছে।

🔹 ১৭. রাজনীতি বা নেতৃত্বে প্রভাব বাড়াতে:

জনপ্রিয়তা, ভোট, বা প্রভাব বাড়ানোর জন্য তাবিজ।

রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যেও।

🔹 ১৮. ঘরবাড়ি বা জমিজমার সমস্যা দূর করতে:

জমি নিয়ে মামলা বা বিরোধ মেটাতে।

বাড়িতে শান্তি বজায় রাখতে।

বাসা বা নতুন অফিস উদ্বোধনে “রক্ষা তাবিজ”।

🔹 ১৯. জিন, ভূত, অপদেবতা, কবরের আছর:

“জিন ধরেছে” বা “ভূতের ছায়া” বিশ্বাস করে।

শিশুকে “জিনে ধরা”, “চোখ লাল হয়ে যাওয়া” ইত্যাদি লক্ষণ।

“কবরের বাতাস লেগেছে”, “সুন্দরীর ছায়া” ইত্যাদি বিশ্বাস।

---

🔹 ২০. কালোজাদু ও বদনজর:

কারো হিংসা, হুজুর/তান্ত্রিকের করা “যাদু”।

ব্যবসা, ঘরে অশান্তি, সন্তান অবাধ্য হওয়ার পিছনে “জাদুর প্রভাব”।

“বদনজর থেকে বাঁচার” জন্য তাবিজ।

---

🔹 ২১. ভালো থাকা ও আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে:

সবসময় ভালো থাকার জন্য তাবিজ।

কোন বিপদ না আসুক – এই জন্য "রক্ষা তাবিজ"।

শিশু বা নবজাতকের গলায় বা কোমরে তাবিজ বেঁধে দেওয়া হয়।

---

🔹 ২২. তাকবীর ও নাম কামানোর উদ্দেশ্যে:

সমাজে “বড়লোক” বা “প্রভাবশালী” হবার জন্য।

নিজের সম্মান বা প্রভাব বাড়ানোর জন্য তদবির।

“লোকে যেন ভয় পায়” বা “নেতা বানায়” এই মনোবৃত্তি।

---

🔹 ২৩. ভাগ্য খুলে দেওয়ার জন্য:

“কপাল খুলে যাবে” এমন তাবিজে বিশ্বাস।

বিয়ে, ব্যবসা, চাকরি, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে "নসিব" খুলতে চায়।

---

🔹 ২৪. শত্রু দমন বা দমনমূলক তাবিজ:

শত্রুকে দুর্বল করার জন্য।

“বাধা সৃষ্টিকারীকে সরিয়ে ফেলা”।

---

🔹 ২৫. স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক ভালো করার জন্য:

স্ত্রীর ভালোবাসা পেতে।

স্বামী যেন অন্যদিকে না যায়।

পরকীয়া থামানোর জন্য “মন ফেরানোর তাবিজ”।

---

🔹 ২৬. প্রেম ও বশীকরণের জন্য:

“যাকে চাই তাকে পেতে চাই” – এ উদ্দেশ্যে তাবিজ।

বিয়ে আটকে থাকলে পছন্দের মানুষকে রাজি করানোর তাবিজ।

---

🔹 ২৭. সন্তান না হওয়া বা সন্তান রক্ষার জন্য:

বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ।

গর্ভপাত ঠেকানো।

নবজাতকের “জিনের হাত থেকে রক্ষা”।

---

🔹 ২৮. নতুন বাড়ি, দোকান, গাড়ি নেওয়ার পর:

রক্ষার জন্য “তাবিজ ঝুলানো”।

“কারো নজর না লাগে”।

---

🔹 ২৯. ঘরের শান্তি ও পারিবারিক সমস্যা দূর করার জন্য:

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া।

শ্বশুর-শাশুড়ির সমস্যা।

ঘরে সবসময় অশান্তি।

---

🔹 ৩০. ব্যবসা বা চাকরিতে উন্নতির জন্য:

লাভ বাড়াতে “লাভের তাবিজ”।

বসকে খুশি করার জন্য।

প্রতিযোগীকে হার মানাতে।

---

🔹 ৩১. বিদেশ যাত্রা ও ভিসা সফলতার জন্য:

যেন ইন্টারভিউ বা ভিসা বাতিল না হয়।

“ভাগ্য খুলে যাবে” এই আশায়।

যোগাযোগঃ ০১৭১৩৪০৯০০৮

নকশায় সুলায়মানি হলো ইসলামি শৈলীতে একটি বিশেষ প্রকারের সজ্জা বা ডিজাইন যা হযরত সুলায়মান (আঃ) এর নামের সাথে যুক্ত। এটি ...
01/07/2025

নকশায় সুলায়মানি হলো ইসলামি শৈলীতে একটি বিশেষ প্রকারের সজ্জা বা ডিজাইন যা হযরত সুলায়মান (আঃ) এর নামের সাথে যুক্ত। এটি সাধারণত আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য, সৌন্দর্য এবং ধর্মীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সুলায়মানির নকশা মূলত তাবিজ, কবজ, দোয়া, কবিতাবদ্ধ লোগো, পেন্ডেন্ট বা অন্য যে কোনো ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক উপকরণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

সুলায়মানি নকশার কাজের কিছু প্রকার:

আধ্যাত্মিক শক্তি:

সুলায়মানির নকশায় সাধারণত এমন ধরণের প্রতীক বা আয়াত ব্যবহার করা হয় যা মানুষের জীবনে আধ্যাত্মিক শক্তি আনতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে মানুষের জীবন থেকে খারাপ প্রভাব দূর করার চেষ্টা করা হয় এবং নিরাপত্তা ও শান্তি পাওয়া যায়।

তাবিজ বা কবজ:

সুলায়মানির নকশা অনেক সময় তাবিজ বা কবজ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এগুলি সাধারাণত মানুষের শারীরিক বা আধ্যাত্মিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয় এবং কুরআনিক আয়াত বা সুন্নাহ ভিত্তিক শব্দ দিয়ে সজ্জিত হয়।

গুপ্ত সাংকেতিক আয়াত:

সুলায়মানির নকশা সাধারণত এক বা একাধিক কুরআনিক আয়াত বা শব্দের সমন্বয়ে তৈরি হয়। এই আয়াতগুলি মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি আনতে সহায়ক।

শক্তি বা রক্ষার প্রতীক:

সুলায়মানির নকশার মধ্যে শক্তির বা রক্ষার প্রতীক ব্যবহৃত হতে পারে। এটি ধর্মীয়ভাবে সুরক্ষা, রক্ষা বা আধ্যাত্মিক শক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।

গোলাকার বা সিমেট্রিক্যাল ডিজাইন:

নকশায় সুলায়মানির কাজ সাধারণত গোলাকার বা সিমেট্রিক্যাল ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। এতে মণ্ডলা বা চারপাশে সুষম ও সমান প্যাটার্ন থাকে যা প্রতীকী অর্থে শান্তি, ভারসাম্য এবং ঐক্য প্রকাশ করে।

সুলায়মানি নকশার ব্যবহার:
ধর্মীয় গহনা: যেমন পেন্ডেন্ট, আংটি ইত্যাদিতে সুলায়মানির নকশা ব্যবহৃত হয়।

তাবিজ বা কবজ: এসব উপকরণে সুলায়মানির ডিজাইন ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যা মানুষের নিরাপত্তা ও আধ্যাত্মিক শান্তি নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ধর্মীয় সজ্জা: মসজিদ, মাদ্রাসা এবং ধর্মীয় স্থানগুলোর সজ্জায় সুলায়মানির নকশা ব্যবহার করা হয়।

সুলায়মানির নকশার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব:
এটি বিশ্বাস করা হয় যে, সুলায়মানির নকশা মানুষের জীবনে বিশেষ আধ্যাত্মিক শক্তি প্রদান করে। এই নকশার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও দয়া লাভ করা যায়, এবং এটি বিভিন্ন সমস্যা ও দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দেয়।

সুলায়মানির নকশায় কিছু প্রাচীন প্রতীক:
হাতে চুম্বকীয় প্রতীক (Hand of Fatima), যা নিরাপত্তা এবং বিপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

চক্রাকৃত নকশা, যা আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক হিসেবে কাজ করে।

01/07/2025

তাবিজ গ্রহন করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মাবলী:

তাবিজ বা কবজ ইসলামে একটি বিশেষ আমল, যা আধ্যাত্মিক নিরাপত্তা এবং সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে, তাবিজ বা কবজ গ্রহণের সময় কিছু নিয়মাবলী মেনে চলা আবশ্যক। এসব নিয়ম ইসলামী শর্তাবলী এবং প্রথাগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে সাহায্য করে।

তাবিজ গ্রহণের কিছু নিয়মাবলী:
কুরআন ও সুন্নাহ অনুসরণ:

তাবিজ বা কবজে কেবল কুরআনিক আয়াত, দোয়া বা সুন্নাহ-ভিত্তিক শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা উচিত। যেকোনো অপ্রমাণিত অথবা কাল্পনিক শব্দ থেকে দূরে থাকতে হবে।

ইসলামী বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্য:

তাবিজ গ্রহণের সময় ঈমান এবং বিশ্বাসের দৃঢ়তা থাকা উচিত। তাবিজ বা কবজ গ্রহণের উদ্দেশ্য শুধু আল্লাহর সাহায্য লাভ এবং তাঁর আদেশের প্রতি আনুগত্য হওয়া উচিত, অন্য কোনো অশুদ্ধ উদ্দেশ্য গ্রহণ করা উচিত নয়।

কোনো অশুদ্ধ ও বিদআতী কাজ থেকে বিরত থাকা:

তাবিজ বা কবজ গ্রহণে কোনো ধরনের শিরক (এক আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন শক্তি বা সত্ত্বাকে সমান করা) বা বিদআত (ধর্মীয় নতুনত্ব) সম্পৃক্ত হলে তা গ্রহণ করা উচিত নয়।

তাবিজ বা কবজ নির্দিষ্ট নিয়মে পরিধান করা:

তাবিজ বা কবজ পরিধান করার সময় নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত। এটি অবশ্যই সতর্কতার সাথে, পরিশুদ্ধ মনে এবং ধৈর্য ধারণ করে পরিধান করতে হবে। সাধারণত, তাবিজ বা কবজ একান্ত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য হয়, তাই কখনো অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়।

তাবিজ পরিধান করার পর অযথা ভয় বা সন্দেহ না করা:

তাবিজ পরিধান করার পর অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহর সাহায্যই আসবে। অযথা ভয় বা সন্দেহ করা উচিত নয়, কারণ আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা অত্যন্ত জরুরি।

তাবিজ বা কবজ পরিধান না করে যদি তা খুলে ফেলতে হয়:

যদি কোনো কারণে তাবিজ বা কবজ খুলে ফেলা প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটা পরিপূর্ণ শ্রদ্ধার সঙ্গে এবং কোনো অশুদ্ধ মনোভাব ছাড়া করা উচিত।

তাবিজ রাখার স্থান:

তাবিজ বা কবজ অবশ্যই পরিষ্কার ও পবিত্র স্থানে রাখতে হবে। যেহেতু এটি একটি ধর্মীয় উপকরণ, তাই এটিকে অপবিত্র বা অশুদ্ধ স্থানে রাখা উচিত নয়।

বিশ্বাসের শক্তি:

তাবিজ বা কবজ শুধুমাত্র একটি মাধ্যম, তবে এর কার্যকারিতা সত্যিকারভাবে আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তাই এটি কখনোই শুধুমাত্র "শক্তি" হিসেবে ভাবা উচিত নয়, বরং আল্লাহর সাহায্য ও রহমতের একটি মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।

দোয়া ও ইস্তিগফার:

তাবিজ বা কবজ গ্রহণ করার সময় আল্লাহর কাছে দোয়া ও ইস্তিগফার করা উচিত, যাতে আপনার উদ্দেশ্য সঠিক এবং আপনার জীবনে শান্তি এবং কল্যাণ আসে।

আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা:

সবশেষে, তাবিজ বা কবজ গ্রহণের পর, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন এবং সঠিকভাবে তাঁর প্রতি আনুগত্যপূর্ণ থাকুন। কোনো প্রকারের দৈব শক্তি বা অলৌকিক ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস না রেখে শুধু আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন।

এভাবে, তাবিজ বা কবজ গ্রহণে ইসলামের মৌলিক শর্তাবলী মেনে চলা উচিত।

01/07/2025

পবিত্র আশুরা আমল সম্পর্কে

আশুরা হলো ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যা ইসলামী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহাররম এর ১০ তারিখে পালন করা হয়। এই দিনটি মুসলিম বিশ্বের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি ঐতিহাসিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও আধ্যাত্মিক আমলের সাথে সম্পর্কিত।

আশুরা'র দিনটির গুরুত্ব:
ইতিহাস: আশুরা দিবসে, হযরত মুসা (আঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের উপর আল্লাহ তাআলা অদৃশ্য সাহায্য পাঠিয়েছিলেন, যা তাঁরা মিসরীয় শাসকের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন (খালিল বিল্লাহ)। সেই কারণে এই দিনটি মুসলিমদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

হযরত ইমাম হুসেইন (আঃ) এর শাহাদত: আশুরার দিনেই, ইরাকের কর্ণা শহরের কর্বালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হুসেইন (আঃ) এবং তাঁর অনুসারীরা শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তাঁদের আত্মত্যাগ ইসলামের ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আশুরা আমল (পুণ্য কর্ম):
আশুরার দিনটিতে কিছু বিশেষ আমল বা পুণ্য কর্ম রয়েছে যা মুসলিমরা পালন করেন:

রোজা রাখা:

আশুরার দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত পুণ্যময়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "আশুরার রোজা এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়" (সহীহ মুসলিম)। সুতরাং, আশুরা দিনে রোজা রাখা একজন মুসলিমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন আমল।

দোয়া ও ইবাদত:

আশুরার দিনটি তাওবা, ইস্তিগফার এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করার জন্য খুবই আদর্শ দিন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং মুসলিমদের জন্য বিশেষ দোয়া করা উচিত।

সৎকাজে সাহায্য করা:

আশুরা'র দিনটিতে গরিব, দুঃখী এবং অসহায়দের জন্য সাহায্য করা অত্যন্ত পুণ্যময়। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য দান-খয়রাত করা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সালাত (নফল নামাজ):

আশুরা দিবসে বিশেষ নফল নামাজ পড়া অত্যন্ত বরকতপূর্ণ। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, তাঁর রহমত ও দয়া কামনা করা উচিত।

তাবিজ ও কবজ ব্যবহার:

আশুরার দিনে তাবিজ ও কবজ ব্যবহার করা, যা কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে পাওয়া গুণবিশেষ সম্বলিত, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং শান্তির জন্য অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে।

আশুরা'র দিনের বিশেষ দোয়া:
আশুরা'র দিনটি বিশেষ দোয়া এবং প্রার্থনা করার একটি আদর্শ সময়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপদেশ অনুসারে, এই দিনটির বিশেষ দোয়া পড়া উচিত, যেমন:

اللهم في يوم عاشوراء امنحني السلام والأمان والبركة (অর্থ: হে আল্লাহ, আশুরার দিন আমাকে শান্তি, সুরক্ষা এবং বরকত দান করুন।)

আশুরা'র দিনটি মুসলিমদের জন্য শুধুমাত্র ঐতিহাসিক নয়, আধ্যাত্মিক উন্নতির দিনও। এই দিনটি তাওবা, ক্ষমা এবং আধ্যাত্মিক শান্তি লাভের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।

Address

70/A Panthapath
Dhaka
1215

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঝাড়ফুঁক ritualistic treatment posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram