03/12/2023
এম.টি টেস্ট পজিটিভ! কি বোঝায় তাতে?
এম.টি টেস্ট বলতে বুঝায় মন টক্স টেস্ট। এটিকে টিউবারকুলিন টেস্টও বলা হয়। সাধারণত টিউবারকুলিন প্রোটিন চামড়ার নীচে দিয়ে বায়াত্তুর ঘন্টা পর এর ফলাফল দেখা হয়।
যদি চামড়া ১০ মিলি মিটারের বেশী ফুলে উঠে, তবে টেস্টটি পজিটিভ হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।
পজিটিভ টেস্ট হলে মনে করতে হবে, শরীরের যক্ষার জীবাণু আছে। সেই জীবাণু স্বক্রিয় অথবা সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে।
যদি দেখা যায় রোগীর যক্ষার লক্ষণ আছে, বিশেষ করে কফ, কাশি, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া প্রভৃতি অথবা ফুসফুস ছাড়া শরীরের অন্যান্য অংশে যক্ষা হলে দীর্ঘস্থায়ী বিশেষ লক্ষণ থাকলে, যেমন পেটের নারীতে যক্ষা হলে দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া প্রভৃতি, তখন এম.টি পজিটিভ হলে ধরে নিতে হবে শরীরে স্বক্রিয় জীবাণু বিদ্যমান।
অনেক ক্ষেত্রে এম.টি টেস্টের মান পাঁচ থেকে দশের মধ্যে থাকলেও পজিটিভ ধরে নিতে হয়, বিশেষ ভাবে যখন কোন রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হয়। যেমন: এইচ.আই.ভি পজিটিভ রোগী, অনিয়ণ্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগী প্রভৃতি।
আমরা জানি শরীরের যে কোন অংগে যক্ষা হতে পারে, তবে এমন এমন জায়গায় যক্ষা হয়, যেখানে সরাসরি যক্ষা প্রমাণ করা দুরূহ, সেই ক্ষেত্রে এম.টি টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তবে যক্ষার বিভিন্ন লক্ষণ ছাড়াও মন টক্স টেষ্ট পজিটিভ হতে পারে। যা দ্বারা বুঝা যায় , ঐ ব্যাক্তির শরীরে যক্ষার জীবাণু থাকলেও তা সুপ্ত অবস্থায় আছে। অর্থাৎ শরীরের যক্ষার জীবাণু থাকলেও এখনও যক্ষা রোগ হয়নি, তবে ভবিষ্যতে রোগ প্রতিরোগ কমে গেলে যক্ষা রোগ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগটি প্রতিরোধ করার জন্য ঐ ব্যক্তিকে স্বল্ম মেয়াদি এবং স্বল্প মাত্রায় যক্ষার ঔষধ দেয়া যেতে পারে।