Mindset Psychotherapy & Counseling Center

Mindset Psychotherapy & Counseling Center treatment for anxiety & depression,relaxation therapy,marriage counseling & it's for anger,stress &

-৷৷৷৷৷৷৷    ♦মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ♦৷৷৷ ৷৷  রোহান সাহেব অনেক দিন ধরেই অসুস্থ্য। দিনে দিনে অসুস্থ্যতা বেড়েই যাচ্ছে। শ...
18/05/2025

-৷৷৷৷৷৷৷ ♦মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ♦৷৷৷ ৷৷

রোহান সাহেব অনেক দিন ধরেই অসুস্থ্য। দিনে দিনে অসুস্থ্যতা বেড়েই যাচ্ছে। শুরুটা বছর দুয়েক আগে মাথাব্যথা দিয়ে। প্রথমে অল্প অল্পই হতো। বাড়তে বাড়তে তা এখন অসহ্য হয়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে চোখে ঝাপসা দেখা, পেটে অস্বস্তি, হাঁটুতে ব্যথা থেকে শুরু করে কত রকমের সমস্যা। সারাদিন শুধু অসুখ নিয়েই চিন্তা। প্রথমে নিজে নিজে ঔষধ কিনে খেতেন, তারপর ঔষধের দোকানদার,এরপর স্থানীয় এম.বি.বি.এস ডাক্তার থেকে শুরু করে শহরের নামি-দামী প্রফেসর অনেককেই দেখিয়েছেন। শুধু অ্যালোপ্যাথি নয়, যাবতীয় সবধরনের চিকিৎসাই তিনি করিয়েছেন। প্রথম কিছুদিন ভালো লাগে, তারপর আবার সেই আগের মতনই।

একবার এক ডাক্তার তাকে মানসিক রোগের ডাক্তার দেখাতে বললেন। শুনে উনার এমন রাগ হলো যে উনি তো বলেই বসলেন যে -রোগ ধরতে না পেরে উল্টো রোগীকে বলে পাগল! বন্ধু-বান্ধবরা পরামর্শ দিলেন,দেশের বাইরে যাবার জন্য।

তবে দেশে শেষ চেষ্টা হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন এক নিকট আত্মীয়ের পরামর্শে। বহির্বিভাগের বারান্দায় বসে আছেন এমন সময় এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হলো। উনার সমস্যা ছিল পেটের গন্ডগোল। ভদ্রলোক বললেন, এটা এক ধরনের মানসিক সমস্যা। একমাস ঔষধ খেয়ে এখন তিনি বেশ ভালো আছেন।এবার তিনি দ্বিতীয়বার দেখাতে এসেছেন। এবার রোহান সাহেব কিছুটা আঁচ করতে পারলেন যে -কথাটা সত্যি। তার মানে তিনি এতদিন ভুল করেছেন।

এটা আবার কী ধরনের কথা-রোগটা মানসিক, কিন্তু যন্ত্রণা শারীরিক!আসলে ব্যাপারটা কী? তাহলে চলুন, কিছু সাধারণ কথা জেনে নেই আমরা।

আমরা প্রায় সবাই মন এবং দেহ -দুইটি আলাদা ব্যাপার ভাবতে অভ্যস্ত হলেও এরা আসলে একে অপরের সাথেওতপ্রোতভাবে জড়িত।শারীরিক অসুবিধার কারণে মন খারাপ হওয়াও স্বাভাবিক ব্যাপার আবার মনের কারণে যে শারীরিক অসুবিধা হতে পারে -এটাও স্বাভাবিক ব্যাপার।

সহজ একটা উদাহরণ দিয়ে শুরু করা যাক। ধরুন, আপনাকে একজন দাওয়াত দিল।দাওয়াতে বেশ ভালো ভালো খাবারের আয়োজনও করা হলো। এখন আপনি যদি ঐদিন খুব প্রফুল্ল মনে থাকেন, তাহলে নিশ্চিত যে আপনি উপভোগ করবেন খাবারগুলো। কিন্তু যদি কোনো কারণে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন কিংবা বিষন্ন অবস্থায় শুধু দাওয়াত রক্ষা করতেই যান, তবে সেই একই খাবারগুলো আর তেমনভাবে উপভোগ করতে পারবেন না।

এবার একটু গভীরে যাওয়া যাক। মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণাদি প্রকাশ পাওয়ার পেছনে কিছু মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে। যেমন : Somatization, Dissociation, Conversion।

★Somatization:মানসিক কষ্ট বা অসুবিধা শারীরিকভাবে প্রকাশ পাওয়াকেই সাধারণভাবে Somatization বলা হয়।

★Dissociation: Dissociationবলতে এমন একটা মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতিকে বোঝায় যেখানে সচেতনতা বা সজ্ঞানতার সঙ্গে সম্পর্কিত মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধন ব্যাহত হয়।

★Conversion:মানসিক চাপ বা যন্ত্রণা যখন শারীরিক অসুবিধা বা লক্ষণে পরিবর্তিত হয়ে যায় তখন সেই পরিবর্তিত হওয়ার পদ্ধতিকে Conversion বলা হয়ে থাকে।

এই সম্ভাব্য পদ্ধতিগুলোর কার্যকরী হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন :
★কারো কারো মানসিক চাপ মোকাবেলা করার ক্ষমতা কম।
★কারো মেনে নেয়ার ক্ষমতা কম।
★ কেউ কেউ মানসিক চাপ মোকাবেলার বা মানসিক চাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভুল পদ্ধতি বেছে নেন।
★কেউ কেউ সমস্যায় পড়লে সহায়তা পাওয়ার বা সমাধানের পথ খুঁজে পান না।

আমাদের সমাজে মন খারাপ বা ভালো না লাগা বা দুশ্চিন্তায় ভোগাটাকে কোনো সমস্যা হিসেবেই ধরা হয় না। উল্টোদিকে শারীরিক কোনো সমস্যাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। সেটা যদি ব্যথা হয়, দুর্বলতা হয় বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, তবে তা আরো বেশি গুরুত্ব পায়।

যেহেতু মানসিক সমস্যায় শারীরিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে এবং শারীরিক সমস্যায় ও মানসিক রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে,তাই প্রতিটা বিষয়কেই যথাযথভাবে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। কোনো শারীরিক লক্ষণ নিয়ে আসা রোগীকে চিকিৎসক যদি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাতে চান, তবে তাতে আতঙ্কিত না হয়ে বা অবজ্ঞা না করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্দিষ্ট পথে এগোনোর মাধ্যমেই শুধু মিলতে পারে সমাধানের পথ।

-------ফৌজিয়া শারমীন হোসেন
বি.এসসি (সাইকোলজি)
এম.এস (এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি,ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা)
এস.এফ.এস.সি (লন্ডন)


সাইকোথেরাপি, ইন্টার্নশিপ এবং উচ্চতর প্রশিক্ষণ:

১)ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
২)জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
৩) মানসিক হাসপাতাল পাবনা
৪)ঢাকা শিশু হাসপাতাল
৫) প্রাক্তন প্রশিক্ষণার্থী কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট (টি.এস.সি), ঢাকা ইউনিভার্সিটি
৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন প্রশিক্ষণার্থী কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট.
৭) প্রাক্তন কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এবং সাইকোথেরাপিস্ট,শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড
৮)কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট,মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি ও কাউন্সেলিং সেন্টার
৯)ফ্যামিলি থেরাপি (লন্ডন)
১০)ব্যবস্হাপনা পরিচালক, মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি ও কাউন্সেলিং সেন্টার

★★★ঢাকা শাখার ঠিকানা ঃ
৬৯/বি গ্রীন রোড, পান্থপথ (মনোয়ারা প্লাজা, ৪র্থ তলা), ঢাকা-১২০৫

★★★ময়মনসিংহ শাখার ঠিকানা ঃ
৫১ এফ হামিদ উদ্দিন রোড (কলেজ রোড), কাচিজুলি, ময়মনসিংহ।

অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন:
01991333503,01405757678

সকলকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা.....
14/04/2025

সকলকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা.....

ঈদ মোবারক,২০২৫
30/03/2025

ঈদ মোবারক,২০২৫

২৮ ফেব্রুয়ারী,২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আমি আমার ময়মনসিংহের চেম্বারে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকবো।------ফৌজিয়া শারমীন...
24/02/2025

২৮ ফেব্রুয়ারী,২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আমি আমার ময়মনসিংহের চেম্বারে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকবো।

------ফৌজিয়া শারমীন হোসেন
অনার্স (মনোবিজ্ঞান),
এম.এস(কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞান),
সাইকোথেরাপি (ডি.এম.সি.এইচ,এন.আই.এম.এইচ, টি.এ,সি.বি.টি,টি.এস.সি,ডি.ইউ)
এস.এফ.এস.সি(লন্ডন)

(কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট)

ঠিকানাঃ
মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার

৫১/এফ হামিদ উদ্দিন রোড(কলেজ রোড)
কাচিজুলি, ময়মনসিংহ(দ্বিতীয় শাখা)

মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেবার আগের দিন মোবাইলে যোগাযোগ করে সময় জেনে নিন।

(এপয়েন্টমেন্ট ছাড়া রোগী দেখা হয় না)

Call for appointment :
01711345291,01991333503

⬛⬛⬛আত্মপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব-বিকৃতি(Narcissistic Personality Disorder)⬛⬛⬛দয়িতার বিয়ে হল এক বছর।ওর স্বামী মেহেদি।প্রথম প্রথম...
07/01/2025

⬛⬛⬛আত্মপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব-বিকৃতি
(Narcissistic Personality Disorder)⬛⬛⬛

দয়িতার বিয়ে হল এক বছর।ওর স্বামী মেহেদি।প্রথম প্রথম বোঝা না গেলেও দুমাস ধরে স্ত্রীর প্রতি মেহেদির অসন্তুষ্টি,অনাদর,অবহেলা পদে পদে টের পাচ্ছে দয়িতা।দয়িতা প্রানবন্ত ও হাসি-খুশি মেয়ে।প্রথম প্রথম স্বামীর সাথে ওর ভালোই বনেছিল।তারা দুজনে একে অপরের কাজে সর্বদাই সাহায্য করে এসেছে। কিছুদিন ধরে তার মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।আজকাল দয়িতার রান্নায় স্বাদ হয়না,কাপড় কিনলে তা পছন্দ হয় না,সাজগোজ করলেও দয়িতাকে ভালো লাগে না এরুপ নানা অভিযোগ করে চলেছে মেহেদি। অপরদিকে মেহেদি তার নিজের প্রশংসায়,তার কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।দয়িতা যদি কখনো মেহেদিকে নেগেটিভ কিছু বলে,তাতেই সে অতি মাত্রায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে।এছাড়া দয়িতা যদি তার নিজের কোন পজিটিভ দিক নিয়ে কিছু বলে,তাতে মেহেদি সাড়াতো দেয়ই না বরং এমনভাবে তাকায় যেন সে ঈর্ষায় ফেটে পড়ছে।লক্ষণ গুলো তো আগে ছিল না। হঠাৎ কেন এত আমূল পরিবর্তন? চিন্তা করে দয়িতা।সামনে মেহেদির চাকরিতে প্রমোশনের কথা চলছে। তার বিশ্বাস তার মত এত স্মার্ট আর এত নিখুঁত কাজ করবে- তার অফিসে এমন অফিসার আর কে আছে? বস ও নিশ্চয়ই তার কাজের প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছে ।প্রমোশন পূর্ববর্তী সময়ে সে তার স্মার্টনেস আরো বাড়িয়ে দেয়।তাকে দেখে কলিগরা প্রতিদিন প্রশংসা করতে থাকে।এদিকে দয়িতাকে তার আগের মত আর ভালো লাগে না।অবশেষে সে এক নারী কলিগের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায় এবং টাকা পয়সা উড়াতে থাকে। এ কথা অফিসের সকলের মাঝে জানাজানি হয়ে যায়। তার প্রমোশন আর হলোনা। এরপরও সে যখন দয়িতার কাছে তার নিজেকে শ্রেষ্ঠ ও সফল পুরুষ হিসেবে দাবি করে,দয়িতা তা নাকচ করে দেয়।অত:পর দয়িতার প্রতি তার আরো ক্ষোভ জন্মায় ।এদিকে সে যে অফিস কলিগের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছিল, সে মেহেদির প্রচুর প্রশংসা করে।মেহেদিও এতে অনেক খুশি হয়।সে সময় দয়িতার কোলে ফুটফুটে এক বছরের ছেলে সন্তান। মেহেদির আত্মগরিমা, অবহেলা ও স্বার্থপরতার জন্য দয়িতা তার সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়।এভাবে বাচ্চার বয়স হয় তিন বছর।এত ঐশ্বর্যের পরও কি যেন এক নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে মেহেদির মনের কোটরে।যদিও এরুপ অবস্থায় সে তার মা-বাবাকে আগেই সাথে নিয়ে এসেছিল, এবার সে তার ছেলে সন্তানটিকেও কাছে রাখতে চায়।দয়িতাও তাকে সন্তানের দায়িত্ব দিয়ে দেয় এবং দেশের নামকরা একটি কোম্পানিতে চাকরি নেয়।তবে সন্তানকে কাছে পেয়েও মেহেদির মনের কোটরে থাকা নিরাপত্তাহীনতা ও শূন্যতা একেবারে দূর হয় না।ছেলেটি বড় হতে থাকে আর এদিকে দয়িতার নামে যতসব মিথ্যা কথা,যত বদনাম সব কিছু ছেলেটির কানে দিতে থাকে মেহেদি।তার উদ্দেশ্য মায়ের প্রতি সন্তানের খারাপ ধারণা সৃষ্টি করা।ছেলেটিকেও সে যতটুকু সম্ভব মায়ের আড়ালে রাখতে চেষ্টা করে। এভাবেই জীবন কাটতে লাগলো।

আত্মপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব (Narcissistic Personality Disorder) নামটি এসেছে গ্রীক পুরানের নার্সিসাস (Narcissus)-নামক চরিত্রটি থেকে। নার্সিসাস একটি হ্রদের পানিতে তার নিজের প্রতিবিম্য দেখে তার প্রেমে পড়ে যায় এবং প্রেমের আকাঙ্খায় তার শরীর ক্ষয় হয়ে যায় এবং সে একটি ফুলে পরিণত হয়। সেই ফুলটির নাম নার্সিসাস যাকে আজকাল ড্যাফোডিল নামে আমরা চিনি।

⬛⬛⬛⬛আত্মপ্রেমিক ব্যক্তিত্বের লক্ষণঃ⬛⬛

√যাদের এরুপ ব্যক্তিত্ব রয়েছে,তারা তাদের নিজেদের সম্মন্ধে অত্যন্ত উচ্চ ধারণা পোষণ করে।

√নিজের এবং অন্যদের প্রতি তাদের অবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি থাকে।

√তারা মনে করে তারা অনন্য, অসাধারণ এবং সাফল্য সম্পর্কে দিবাস্বপ্নে মষ্গুল থাকে।

√তারা হয় আত্মকেন্দ্রিক, কম সহানুভূতি সম্পন্ন ব্যক্তি, একান্তই অহংকারী এবং অন্যের প্রতি ঈর্ষান্বিত।

√তাদের মধ্যে সর্বোত্তম পার্থিব সম্পদের অধিকারী হওয়ার বাসনা থাকে।

√তারা চায় যে অন্যেরা তার প্রতি মনোযোগ দিক এবং অতিরিক্ত প্রশংসা করুক। অর্থাৎ অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করার চাহিদা এবং স্বীকৃতির চাহিদা তাদের মধ্যে প্রবল।

√তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।

√ তাছাড়া তারা মনে করে তারা অন্যের কাছ থেকে সব কিছু পাওয়ার অধিকারী এবং সবারই তাদের জন্য বিশেষ কিছু করা উচিত কিন্তু তাদের প্রতিদান দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

√তাদের উদ্বিগ্নতা নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা হয়।

√তারা বিষণ্ণতা বোধ করে, যখন তাদের মধ্যে নিখুঁত ব্যাপারের ঘাটতি থাকে,তখন তাদের আবেগ পরিবর্তন হয়ে যায়।

√নিরাপত্তাহীনতা বোধ, বিব্রত বোধ এবং অপমানের প্রতি দুর্বল থাকে তারা।

√ তারা প্রচুর অহংকারী প্রকৃতির হয় বিধায় অন্যদের নেতিবাচকভাবে বিচার করে।

√তাদের মাঝে আধিপত্য বা একচেটিয়া কথোপকথন হয়ে থাকে।

√ তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে।

⬛⬛⬛⬛⬛⬛আত্মপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব-বিকৃতির কারণ (Etiology of Narcissistic Personality Disorder)⬛⬛⬛⬛⬛⬛⬛

আত্মপ্রেমিক ব্যক্তিত্বের প্রতি আধুনিক যুগের মনোবিজ্ঞানীদের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে হেইনজ কহোট (Heinz Kohut) এর দুটি গ্রন্থ।যথা-

1.The Restoration of the self (1977)
2.The Analysis of the self (1981)

এই দুটি গ্রন্থে Kohut মনোসমীক্ষণের একটি নূতন সংস্করণ প্রতিষ্ঠিত করেছেন-যাকে বলা হয় আত্ম-মনোবিজ্ঞান (self psychology)।

কহোট মনে করেন একজন মানুষের নিজের সম্পর্কে ধারণা শৈশবেই বিকাশ লাভ করে এবং এর দুটি প্রান্ত থাকে। একটি মেরুতে থাকে অপরিপক্ব মহানুভবতা যা অনির্ভরশীল(immature grandiosity), অন্য প্রান্তে থাকে একটি নির্ভরশীল সত্তা যা অন্য মানুষের মধ্যে আদর্শ খুঁজে কিংবা অন্য মানুষকে আদর্শ হিসাবে মনে করে।

অনেক শিশুই শৈশবে একটি সুস্থ আত্ম-মর্যাদা বোধ (self esteem) গঠন করতে ব্যর্থ হয়। কারণ শিশুরা যখন পিতামাতার কাছে কোন কাজের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতাকে প্রদর্শন করে, তখন তাদের প্রতি ইতিবাচকভাবে সাড়া দেওয়া হয় না। অর্থাৎ শিশুটি তার সাফল্য ও ক্ষমতার জন্য উপযুক্ত মূল্যায়ন পায় না বরং সে তার পিতামাতার আত্ম-মর্যাদাবোধ কিভাবে বৃদ্ধি করল সেই মানদণ্ডেই তাকে মূল্যায়ন করা হয়।অথচ পিতামাতা যদি শিশুর প্রতি উষ্ণ ভালবাসা, সহমর্মীতা, এবং সম্মান নিয়ে প্রতিক্রিয়া করে, তখন তা শিশুটির মধ্যে স্বাভাবিক আত্মমর্যাদাবোধ এবং সুস্থ আত্মমূল্যায়ন গঠনে সাহায্য করে।কিন্তু পিতামাতা যদি শিশুদের সরাসরি সমর্থন না করে শিশুর মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে চান, তাহলে শিশুর মধ্যে আত্মপ্রেমিক বা স্বার্থপর ব্যক্তিত্ব-বিকৃতি দেখা দিবে।

উদাহরণ হিসেবে কহোট বলেছেন ঃ
একটি ছোট মেয়ে স্কুল থেকে ফিরেই তার মাকে তার বিরাট সাফল্য সম্পর্কে বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। কিন্তু তার মা গর্বভরে তা না শুনে, তাদের আলাপ-আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুকে শিশুটির উপর থেকে সরিয়ে নিজের উপরে নিয়ে আসে এবং তার নিজের সাফল্য সম্পর্কে বলতে শুরু করে- যাতে করে ছোট্ট কন্যাটির সাফল্যগুলো আড়ালে পড়ে যায়।

এভাবে শিশুদের অবহেলা করা হলে, তাদের মনের ভিতরে বা অস্তিত্বের ভিতরে সুস্থ আত্ম-মর্যাদা বোধ গড়ে উঠেনা এবং তারা নিজেদের দোষ ত্রুটিগুলো সহজে গ্রহণ করতে পারে না। এভাবেই তারা আত্মপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে এবং তাদের আত্ম মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি করার জন্য অন্যের ভালবাসা জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালায়।

তবে মনোসমীক্ষণবাদী মনোচিকিৎসক মনে করেন আত্মপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব আমাদের আধুনিক যুগের আধুনিক মূল্যবোধসমূহের ফসল। আত্মপ্রেমিক ব্যক্তিত্বরা সর্বদা মনোযোগ আকর্ষণ ও প্রশংসা পাওয়ার জন্য উদগ্রীব, সমালোচনার প্রতি অতি-সংবেদনশীল এবং ব্যর্থতা সম্পর্কে ভীত। অনেক সময় তারা এমন একজনকে খুঁজে পেতে চায় যাকে আদর্শস্থানীয় ভাবা যায়। কারণ তারা নিজেদের নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকে। কিন্তু সাধারণতঃ তারা কাউকে নিজেদের সাথে ঘনিষ্ট হতে দেয় না। তারা খুব কম লোকের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং এসব সম্পর্ক খুব ভাসা ভাসা, যখন কেউ তাদের অবাস্তব প্রত্যাশা পূরণে অবশ্যম্ভাবীভাবে ব্যর্থ হয়, তখন তারা ক্রুদ্ধ হয় এবং তাকে পরিত্যাগ করে।

🟧 Narcissistic Personality Disorder
এর প্রধান কারণ কী কী---

1. বংশগতি:
উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

2. পরিবেশ:
এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তদের এমন বাবা-মা আছেন যারা তাদের হয় অত্যধিক ভালোবাসা দেন বা অত্যধিক সমালোচনা করেন।

3.ত্রুটিপূর্ণ অভিভাবকত্ব:
নিম্নে ত্রুটিপূর্ণ অভিভাবকত্বের কিছু উদাহরণ দেওয়া হল :

√তীব্র অভিভাবকত্ব ফলানো,
√কৃতিত্বের জন্য অতিরিক্ত প্রশ্রয় দেওয়া,
√ব্যাপক প্রশংসা করা,
√তাদের চেহারাকে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া,
√শিশুর যত্নে অবহেলা করা,
√অভিভাবকত্বেও ব্যাপক অবহেলা করা,
√খারাপ ব্যবহার বা ট্রমা,
√সন্তানের উপর উচ্চ প্রত্যাশা চাপিয়ে দেওয়া।

4. নিউরোবায়োলজি: মস্তিষ্ক, চিন্তাভাবনা এবং আচরণের মধ্যে সংযোগ।

আত্মপ্রেমিক বাক্তিত্ব-বিকৃতি সংক্রান্ত ব্যাধির ঝুঁকির কারণ :

অহংবোধের কারণে এরুপ ব্যক্তিরা প্রায়শই অন্যদের কাছ থেকে অবাস্তব প্রত্যাশা করে এবং নিজের সম্পর্কেও অনুপোযুক্ত মূল্যায়ন তাদের ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে পারে। আত্মপ্রেমিক বাক্তিত্ব ব্যক্তির শক্তি শেষ করে দেয় কারণ সে ক্রমাগত রাগ প্রকাশ করতে থাকে যা তার কর্ম, ব্যক্তিগত এবং সামাজিক স্তরে তার সম্পর্কগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

অন্যরা ধরিয়ে দিলেও ব্যক্তি তার আচরণ সংশোধন করতে পারে না এবং নিজের সম্পর্কে বিশ্বাস আছে বলেই মনে হয় এদের পক্ষে অন্যের অনুভূতি বোঝা কঠিন।

DSM-5 অনুসারে এটি একটি মানসিক রোগ হিসেবে বিবেচিত। সাধারনত নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এ রোগটি বেশি দেখা যায়। এধরনের ব্যক্তিরা অভদ্র হয়ে থাকে কারণ তাঁরা তাদের সঙ্গীর কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে থাকে এবং তাদের একটি একতরফা দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। তাঁদের অহংকারের কারণে তারা তাদের সঙ্গীর সাথে যথাযথভাবে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেনা। তারা বিবেকবান না হওয়ায় অন্যের কথা না ভেবেই যা চায় তা অর্জন করে নিতে চায়।

নিজেদের প্রতি অত্যধিক গর্ব থাকার কারণে তাদের মধ্যে প্রায়শই মানবতার অভাব দেখা যায়।তাদের শ্রেষ্ঠত্ববোধের কারণে কোনো অপরাধবোধ ছাড়াই তারা অন্যদের উপর নির্বিচারে শোষণ করতে শুরু করে।তারা সর্বদাই তাদের অবদান এবং কৃতিত্বের কথা বলে কিন্তু অন্যদের অনুভূতির প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারে না।

আপনি কীভাবে আত্মরতিমূলক ব্যক্তিত্ব সংক্রান্ত ব্যাধি ঠিক করবেন?
আত্মরতিমূলক ব্যক্তিত্ব সংক্রান্ত ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ভাবতে চান না যে কিছু ভুল হতে পারে, তাই তাদের কোনো থেরাপি/চিকিৎসা নেওয়ার সম্ভাবনা কম। একজন মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসক রোগীকে সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা/থেরাপি প্রদান করে এই ব্যাধি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারেন।

⬛⬛⬛⬛⬛আত্মপ্রেমিক বাক্তিত্ব-বিকৃতির চিকিৎসা:⬛⬛⬛⬛⬛⬛⬛⬛⬛

আত্মপ্রেমিক বাক্তিত্ব-বিকৃতি সংক্রান্ত ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মনে করেন না যে, তাদের কিছু ভুল হতে পারে, তাই তাদের কোনো থেরাপি/চিকিৎসা নেওয়ার সম্ভাবনা কম।

তবে একজন মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রেখে রোগীকে সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা/সাইকোথেরাপি/রিল্যাক্সেশন প্রদান করে এই ব্যাধি কাটিয়ে উঠা সম্ভব।অবস্থা সংকটময় হলে মেডিসিন দিতে হবে।

⬛⬛⬛⬛⬛⬛সতর্কতাঃ⬛⬛⬛⬛⬛
তাদের মানসিকভাবে সমর্থন করুন এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরির বিষয়ে তাদেরকে পরামর্শ দিন যা তাদের জীবনে ইতিবাচকভাবে দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

---ফৌজিয়া শারমীন হোসেন
কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এন্ড সাইকোথেরাপিস্ট
অনার্স (সাইকোলজি), এম.এস(কাউন্সেলিং সাইকোলজি), সাইকোথেরাপি (ডি.এম.সি.এইচ,এন.আই.এম.এইচ,টি.এ)

★★প্রধান শাখাঃ
মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার।
ঠিকানা -৬৯/বি গ্রীনরোড, পূর্ব পান্থপথ,মনোয়ারা প্লাজা-৫ তলা(নাদিয়া ফার্নিচারের বিল্ডিং ও পানি ভবনের ঠিক উল্টো পাশে এবং সুবাস্তু টাওয়ারের পাশের বিল্ডিং) ঢাকা-১২০৫.

★★দ্বিতীয় শাখাঃ
৫১/এফ হামিদ উদ্দিন রোড(কলেজ রোড)
কাচিজুলি, ময়মনসিংহ।

মোবাইল:01711345291,01991333503

এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে (৭-১৪ তারিখ পর্যন্ত)  আমি আমার ময়মনসিংহের চেম্বারে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকবো।-----...
05/01/2025

এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে (৭-১৪ তারিখ পর্যন্ত) আমি আমার ময়মনসিংহের চেম্বারে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকবো।

------ফৌজিয়া শারমীন হোসেন
অনার্স (মনোবিজ্ঞান),
এম.এস(কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞান),
সাইকোথেরাপি (ডি.এম.সি.এইচ,এন.আই.এম.এইচ, টি.এ,সি.বি.টি,টি.এস.সি,ডি.ইউ)
এস.এফ.এস.সি(লন্ডন)

(কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট)

ঠিকানাঃ
মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার

৫১/এফ হামিদ উদ্দিন রোড(কলেজ রোড)
কাচিজুলি, ময়মনসিংহ(দ্বিতীয় শাখা)

মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেবার আগের দিন মোবাইলে যোগাযোগ করে সময় জেনে নিন।

(এপয়েন্টমেন্ট ছাড়া রোগী দেখা হয় না)

Call for appointment :
01711345291,01991333503

"কেইস"♥♥♥কনভার্সন ডিসঅর্ডার/ফাংশনাল নিউরোলজিক্যাল সিম্পটম ডিসঅর্ডার ♥♥♥ মিসেস মিলি।বয়স ২১।বাড়ি-মাদারিপুর।স্বামী এবং একটা...
12/10/2024

"কেইস"

♥♥♥কনভার্সন ডিসঅর্ডার/ফাংশনাল নিউরোলজিক্যাল সিম্পটম ডিসঅর্ডার ♥♥♥


মিসেস মিলি।বয়স ২১।বাড়ি-মাদারিপুর।স্বামী এবং একটা মাত্র ছেলে নিয়ে তার সংসার।নয় মাস ধরে মিলির মাথার তালু প্রচুর জ্বলে।মাথায় প্রচন্ড গরম অনুভূত হয়।মাঝে মাঝে তার হাতে-পায়ে খিঁচুনি হয়।এরপর শুরু হয় মাথা ব্যথা।মাথা ব্যথার কারণে সে নিজের চুল নিজে টেনে ছিড়ে ফেলে।প্রচুর কান্নাও করে।এই মিলি একসময় অনেক সুন্দর করে রান্না করতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে সে আগুনের কাছে যেতেও ভয় পায়।এমনকি রোদে গেলেও তার কষ্ট হয়।এছাড়াও সে বেশি জোড়ে কোন শব্দ সহ্য করতে পারেনা।কেননা এসবের ফলে তার মাথার ভেতর একপ্রকার যন্ত্রণা অনুভূত হয়।এছাড়াও মিলির চেহারাতে প্রচন্ড মানসিক চাপ আর উদ্বেগের ছাপ দেখা যাচ্ছে।উদ্বিগ্নতার স্কেলেও ফলাফল সর্বোচ্চ দেখা গেল।

মিলির স্বামী টিটু পেশায় একজন রাজনীতিবীদ।সপ্তম শ্রেনীতে পড়াকালীন তার স্বামী তাকে কিডন্যাপ করে বাড়ি থেকে বের করে এনে জোরপূর্বক বিয়ে করেছিল।বিয়ের আগে থেকেই জুয়া খেলা টিটুর নেশা ছিল।এছাড়াও সে প্রচুর মাদক সেবন করতো।এভাবে বিয়ের পরে সে প্রায়ই সংসারের পয়সা-পাতি নষ্ট করতো।এসব কারণে মিলির সাথে তার স্বামীর বনিবনা হতো না।

৯ মাস আগের ঘটনা। টিটু একদিন বাড়ি ফিরতে অনেক দেরি করছিল।অনেক রাত করে বাড়ি ফেরার পরে মিলি এর প্রতিবাদ করায় টিটু মিলিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।মিলির মাথাটা একটা কাঠের আলমারির সাথে গিয়ে ধপাস করে লেগে ফেটে গিয়ে রক্ত বের হল।এছাড়া তার কানের পর্দা ফেটে রক্ত বের হওয়া শুরু করল এবং ব্রু কেটে গেল।এভাবে সে পরপর তিনদিন অজ্ঞান ছিল।জ্ঞান ফেরার পর থেকে এখন অবধি মিলির মধ্যে উপরোক্ত লক্ষ্মণগুলো বিদ্যমান রয়েছে।

মিলির কাছ থেকে আমি কয়েকটি প্রেসক্রিপশন হাতে নিলাম।মাথার ই.ই.জির রিপোর্টটা ছিল নরমাল। সমস্ত হিস্ট্রি নিয়ে বুঝতে পারলাম মিলি কনভার্সন ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিল।এই রোগের আরেক নাম ফাংশনাল নিউরোলজিক্যাল সিম্পটম ডিসঅর্ডার।অতঃপর তাকে সাইকোথেরাপির পাশাপাশি একজন সাইকিয়াট্রিস্ট এর কাছে যাবার পরামর্শ দিলাম।



√√কনভার্সন ডিসঅর্ডারের লক্ষণগুলোকে মূলত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে।যথা-

i)ইন্দ্রিয়জনিত লক্ষণ
ii)মোটর কার্যক্রম জনিত লক্ষণ
iii)খিঁচুনি

i)ইন্দ্রিয়জনিত লক্ষণ
-অন্ধত্ব বা টানেল ভিশন
-সাময়িক বা সম্পূর্ণ বধিরতা
- ত্বকে অনুভূতি হ্রাস পাওয়া
- কথা বলতে সমস্যা হওয়া
- কথা বলতে না পারা।

ii)মোটর কার্যক্রম জনিত লক্ষণ
- শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে দূর্বলতা অনুভব করা -শরীরের কোন অংশে অনুভূতি না পাওয়া
-শরীরের ভারসাম্যহীনতা
-কোন কিছু গিলতে অসুবিধা হওয়া
- গলায় কিছু আটকে আছে এমন মনে হওয়া।

iii)খিঁচুনি
-এক্ষেত্রে ব্যক্তির খিঁচুনির পাশাপাশি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে কিংবা প্রতিক্রিয়াহীনও থাকতে পারে।

♦কনভার্সন ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হবার কারণ♦

কনভার্সন ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হবার মূল কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সাধারণত মাত্রাতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, মানসিক দ্বন্ধ, মাত্রাতিরিক্ত আবেগ কিংবা বিষণন্নতা- এ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হবার মূল কারণ হিসেবে বিবেচ্য।

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, একজন পুলিশ অফিসার প্রতিনিয়ত দাগী এবং ফেরারী আসামীদের নিয়ে কাজ করে এবং তার কাজের প্রয়োজনে আসামীর উপর তাকে গুলি চালাতে হয়। অথচ দেখা গেলো যে গুলি চালানো কিংবা কাউকে হত্যা করার কাজটি তিনি পছন্দ করেন না। কিন্তু কাজের প্রয়োজনে তাকে হয়তো প্রায়ই এ কাজটি প্রায়ই করতে হচ্ছে। দেখা যেতে পারে যে, পরিস্থিতি এড়ানোর জন্যে তার শরীরের স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া হিসেবে তার হাত অবশ কিংবা প্যারালাইসিস হয়ে গেছে। তখন এটি কনভার্সন ডিসঅর্ডার হিসেবে বিবেচিত হবে।

অনেকে অনেক ক্ষেত্রে মনে করেন যে, আক্রান্ত ব্যক্তি হয়তো তার শারীরিক সমস্যার ব্যাপারে মিথ্যা বলছেন বা বানিয়ে বলছেন। তখন তাদেরকে জোরপূর্বক এ সকল প্রতিক্রিয়া প্রকাশে বাধা দেয়া হয় অথবা তাদের কথায় গুরুত্ব দেয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী উপায় তো নয়ই বরং তা দূর্দশার সৃষ্টি করে থাকে। এ রোগে পুরুষদের চেয়ে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

♦কনভার্সন ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিসমূহঃ♦

যে সকল ব্যক্তি এ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে থাকে, তারা হলেন-

★ডিসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তি (এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বাস্তব জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, বাস্তবতা সম্পর্কে অবগত থাকে না)
★পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তি ( যে ব্যক্তি কিছু সামাজিক পরিস্থিতিতে প্রত্যাশিত আচরণ এবং অনুভূতি প্রকাশে অক্ষম)
★আগে থেকে মৃগীরোগ, কিংবা মুভমেন্ট জনিত সমস্যা থাকা।
★সাম্প্রতিক সময়ে কোন গুরুতর শারীরিক আঘাত বা মানসিক আঘাত পাওয়া।
★সম্ভবত, শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের ইতিহাস বা শৈশবে অবহেলার শিকার হওয়া।
★পরিবারে অন্য কেউ কনভার্সন ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত থাকলে।

♦ ♦কনভার্সন ডিসঅর্ডার প্রতিরোধের উপায়♦♦

★সাইকোথেরাপি
★রিল্যাক্সেশন
★কাউন্সেলিং
★মেডিটেশন
★ইয়োগা
★ফিজিক্যাল মেডিসিন
★ফ্যামিলি সাপোর্ট

ফৌজিয়া শারমীন হোসেন
কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এন্ড সাইকোথেরাপিস্ট
অনার্স (সাইকোলজি), এম.এস(কাউন্সেলিং সাইকোলজি), সাইকোথেরাপি (ডি.এম.সি.এইচ,এন.আই.এম.এইচ,টি.এ)
এস এফ এস সি -লন্ডন

★★প্রধান শাখাঃ
মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার।
ঠিকানা -৬৯/বি গ্রীনরোড, পূর্ব পান্থপথ(মানোয়ারা প্লাজা--৫ম তলা)(নাদিয়া ফার্নিচারের বিল্ডিং)(পানি ভবনের ঠিক উল্টো পাশে এবং সুবাস্তু টাওয়ারের পাশের বিল্ডিং) ঢাকা-১২০৫.

★★দ্বিতীয় শাখাঃ
৫১/এফ হামিদ উদ্দিন রোড(কলেজ রোড)
কাচিজুলি, ময়মনসিংহ।

মোবাইল:01711345291,01991333503

16/06/2024
ফৌজিয়া শারমীন হোসেনকাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এন্ড সাইকোথেরাপিস্ট মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার অনার্স ইন সা...
16/05/2024

ফৌজিয়া শারমীন হোসেন

কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট
এন্ড সাইকোথেরাপিস্ট

মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার

অনার্স ইন সাইকোলজি (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)
এম এস ইন এডুকেশনাল & কাউন্সেলিং সাইকোলজি (ঢাকা বিস্ববিদ্যালয়)

সাইকোথেরাপি:
√মানসিক বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
√ মানসিক হাসপাতাল, পাবনা
√ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দান কেন্দ্র (ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা
√জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, শিশু হাসপাতাল, ঢাকা
√হারমনি - একটি মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা কেন্দ্র
√প্যারেন্টিং প্রোগ্রাম (এস.এফ.এস.সি), লন্ডন

৬৯/বি, গ্রিন রোড, পূর্ব পান্থপথ, মনোয়ারা প্লাজা (পঞ্চম তলা), ঢাকা-১২০৫।

Call for appoinment :
+880-1405757678
+880-1711345291

আগামী ৩ ও ৪ মে (শুক্র ও শনিবার)  আমি আমার  ময়মনসিংহের চেম্বারে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করব।--------ফৌজিয়া শারমীন হোস...
02/05/2024

আগামী ৩ ও ৪ মে (শুক্র ও শনিবার) আমি আমার ময়মনসিংহের চেম্বারে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করব।

--------ফৌজিয়া শারমীন হোসেন
বি.এসসি (সাইকোলজি)
এম.এস (এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি,ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা)
এস.এফ.এস.সি (লন্ডন)


সাইকোথেরাপি, ইন্টার্নশিপ এবং উচ্চতর প্রশিক্ষণ:

১)ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
২)জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
৩) মানসিক হাসপাতাল পাবনা
৪)ঢাকা শিশু হাসপাতাল
৫) প্রাক্তন প্রশিক্ষণার্থী কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট (টি.এস.সি), ঢাকা ইউনিভার্সিটি
৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন প্রশিক্ষণার্থী কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট.
৭) প্রাক্তন কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এবং সাইকোথেরাপিস্ট,শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড
৮)কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট,মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি ও কাউন্সেলিং সেন্টার
৯)ফ্যামিলি থেরাপি (লন্ডন)
১০)ব্যবস্হাপনা পরিচালক, মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি ও কাউন্সেলিং সেন্টার

★★★ঢাকা শাখার ঠিকানা ঃ
মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার
৬৯/বি গ্রীন রোড, পান্থপথ (মনোয়ারা প্লাজা, ৪র্থ তলা), ঢাকা-১২০৫

★★★ময়মনসিংহ শাখার ঠিকানা ঃ
মাইন্ডসেট সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার
৫১ এফ হামিদ উদ্দিন রোড (কলেজ রোড), কাচিজুলি, ময়মনসিংহ।

অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন:
01991333503,01405757678

বি:দ্র:অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া রোগী দেখা হয় না।

Address

Kalabaga

Telephone

8801991333503

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mindset Psychotherapy & Counseling Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Mindset Psychotherapy & Counseling Center:

Share