Dr. Akash

Dr. Akash Doctor

25/07/2023

I have reached 100 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉

19/05/2023

দেওলিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় চিনির কেজি ৮০ টাকা। আওলিয়ার দেশে চিনির কেজি ১৫০ টাকা ।

সবই দয়ালের কেরামতি!!

21/04/2023
♦♦♦ শিশুর প্রথম শক্ত খাবার ♦♦♦শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে তার ওজন সাধারণত জন্মের সময়ের ওজনের দ্বিগুণ হয়। এ সময় তার দৈনিক ...
09/09/2022

♦♦♦ শিশুর প্রথম শক্ত খাবার ♦♦♦

শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে তার ওজন সাধারণত জন্মের সময়ের ওজনের দ্বিগুণ হয়। এ সময় তার দৈনিক খাদ্যশক্তির চাহিদা শুধু মায়ের দুধ থেকে পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই তাকে বাড়তি খাবার দিতে হয়, যা সম্পূরক খাদ্য নামে পরিচিত। পাশাপাশি কিছু অনুপুষ্টির বাড়তি চাহিদা যেমন আয়রন, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি ইত্যাদি মায়ের দুধের পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্য থেকে পূরণ করতে হয়।

♦ শুরু করুন চামচ দিয়ে
শিশুকে সম্পূরক খাদ্য খাওয়ানো শুরু করতে হবে চামচ দিয়ে। ফিডার বা বোতলে নয়। এ অভ্যাস করতে শিশুর বয়স ১৮১ দিন পূর্ণ হওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিন আগে থেকে মায়ের দুধ চামচে করে মাঝেমধ্যে খাওয়ানো যেতে পারে। ১৮১ দিন থেকে প্রথমে পেস্টের মতো নরম করে ভাত রান্না করে তার সঙ্গে মায়ের দুধ মিশিয়ে অল্প অল্প করে খাওয়ানো শুরু করতে হবে। এভাবে আলুর পেস্ট, সুজি, সাগুদানার সঙ্গে মায়ের দুধ মিশিয়ে খাওয়ান।

♦প্রথমেই পাকা ফল নয়
প্রথমেই পাকা ফল শিশুকে দেবেন না। শিশু যখন বাড়তি খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যাবে, তখন প্রতি বেলায় নরম ভাতের সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা থেকে যেকোনো একটি খাদ্য নরম বা থেঁতো করে, সঙ্গে ঘন করে রান্না করা ডাল এবং যেকোনো একটি রঙিন শাকসবজি মিলিয়ে খাওয়াতে হবে। ছয় থেকে আট মাস বয়সী শিশুকে দিনে ২৫০ মিলিগ্রাম বাটির এক বাটি খাবার দুই থেকে তিনবারে খাওয়াতে হবে।

৯ থেকে ১১ মাস বয়সীকে দিনে ২৫০ মিলিগ্রাম বাটির দেড় বাটি খাবার তিন থেকে চারবারে খাওয়ান। ১২ থেকে ২৩ মাস বয়সীকে দিনে ২৫০ মিলিগ্রাম বাটির তিন বাটি খাবার তিন থেকে চারবারে খাওয়াতে হবে।
ধরন পাল্টান

এসব খাবার খাওয়ানোর পরও শিশুর ক্ষুধা ও রুচির ওপর ভিত্তি করে দিনে এক থেকে দুবার তেলে ভাজা খাবার, রঙিন ফল ইত্যাদি দিয়ে স্বাস্থ্যকর নাশতা দিতে হবে। শিশু যখন সব ধরনের বাড়তি খাবারের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যাবে, তখন একেক দিন একেক ধরনের ও স্বাদের খাবার দিন। এতে শিশুর রুচি ও খাবারের প্রতি আকর্ষণ দুটিই বাড়বে।

♦ প্রথমে লবণ-চিনি নয়
বয়স এক বছর হওয়ার আগে শিশুর খাবারে লবণ, মধু ও চিনি দেবেন না। বাদাম, মুড়ি, ছোলা, বরই, বেদানা ও আঙুরের মতো খাবার শিশুকে দেবেন না। কারণ, শিশুর গলায় বা শ্বাসনালিতে এ জাতীয় খাবার আটকে যেতে পারে।

♦ সঙ্গে নিয়ে বসুন
শিশু সাধারণত আট মাস বয়স থেকে নিজ হাত দিয়ে খাওয়া শেখা শুরু করে। এ সময় শিশুকে আলাদা ছোট থালা, বাটি, গ্লাস ইত্যাদিতে খাবার দিয়ে পরিবারের সঙ্গে নিয়ে খেতে বসুন। শিশুকে প্রতিবেলায় যতটুকু খেতে বলা হয়েছে, সে প্রতিবেলায় ততটুকুই খাবে—এমন না-ও হতে পারে।

মাস শেষে তার বৃদ্ধি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে কি না, সেটা দেখাই মূল লক্ষ্য। শিশুকে কখনোই জোর করে খাওয়াবেন না, এতে তার ভেতর খাদ্যভীতি সৃষ্টি হতে পারে। বাড়তি খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই শিশুকে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমঘোড়াঘাট আদর্শ মেডিকেল স্টোর, এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই ঈদুল আযহার, শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক।
09/07/2022

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

ঘোড়াঘাট আদর্শ মেডিকেল স্টোর,

এর পক্ষ থেকে সবাইকে

জানাই ঈদুল আযহার,

শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক।

08/05/2022
খুব ই কর্মঠ,  কাজ পাগলা চাইনিজ রা শনি ও রবি দুইদিন ছুটি দেয়; দুপুরে লাঞ্চের পরে ঘুমানর জন্য ১ ঘন্টা সময় দেয়। শুধু তাই নয়...
28/04/2022

খুব ই কর্মঠ, কাজ পাগলা চাইনিজ রা শনি ও রবি দুইদিন ছুটি দেয়; দুপুরে লাঞ্চের পরে ঘুমানর জন্য ১ ঘন্টা সময় দেয়। শুধু তাই নয়, সবাই যাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে তার জন্য বিশেষ ধরনের চেয়ার দেয়, পরিবেশ বানিয়ে দেয়।
কেন?
তারা কি বোঝে না যে ৭ দিনে ৬ দিন ১০/১২ ঘন্টা করে কর্মী কে খাটালে আউটপুট বেশি পাওয়া যাবে?
এই প্রশ্নটি আমি এক চাইনিজ কে করেছিলাম; তিনি উওর দিয়েছিলেন ৭ দিনে ৬ দিন ১২/১৪ ঘন্টা খাটয়ে তুমি শুধু গাধা পালবে; কোয়ালিটি পেতে চাইলে তোমাকে মানুষ পালতে হবে, যার ব্রেন কে তুমি যত বৈচিত্র দিতে পারবে, প্রয়োজনমত রেস্ট দিতে পারবে ; ক্রিয়েটিভ আউটপুট পাবে।
তোমার কোম্পানির কাজ যদি গাধার কাজ হয় ; মানে বুদ্ধিমত্তা দরকার নাই শুধুমাত্র মাল বহন করতে পারলেই হলো, তাহলে ৭ দিনে পারলে ৭ দিন ই কাজ করাও; যখন আর মাল বহন করতে পারবে না তখন একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটি কে নিয়ে নাও।
কিন্তু যদি বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে দুইদিন ছুটি, দুপুরে ঘুম, পেইড ভ্যাকেশন ইত্যাদি দিতে হবে।
(সংগৃহিত)

10/04/2022

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে তারা লাল মাংস(গরু,খাসি, মহিস),ইলিশ মাছ,চিংড়ি মাছ,ছোলা,বেসনের তৈরি খাবার খাবেন না।

একটা দুঃসংবাদ। কিন্তু সবার জন্য নয়। আবার সংখ্যাটা কমও নয়। হ্যাঁ, বাংলাদেশে বর্তমান নিঃসন্তান দম্পতির সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্...
20/03/2022

একটা দুঃসংবাদ।
কিন্তু সবার জন্য নয়। আবার সংখ্যাটা কমও নয়। হ্যাঁ, বাংলাদেশে বর্তমান নিঃসন্তান দম্পতির সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ। সত্যিই অবাক হওয়ার মত। আবার এই রেট ক্রমেই বাড়ছে। ইনফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট সেন্টারগুলোতে গেলেই বুঝা যায় কি হারে বাড়ছে এই হার। আর নিঃসন্তান দম্পতির দীর্ঘশ্বাস সত্যিই খুব করুণ।
এই স্ট্যটাসটা শুধু তাদের জন্য, আমার ফ্রেন্ডদের ভিতর যারা নতুন বিয়ে করছেন। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য নয়। কিঞ্চিত ১৮+ যদিও ফেসবুকের কল্যানে ১৮- এখন আর কেউ নেই।
কিছু তথ্য মনে হয় অনেকেরই অজানা,একজন মেডিকেল পার্সন হিসাবে যেটা শেয়ার করলে হয়ত কেউ উপকৃতও হতে পারে।
একটা প্রশ্ন সহজেই মাথায় আসে, আজ থেকে মাত্র ১০০ বছর আগেও অর্থাৎ আমাদের নানা দাদাদের সময়ত এরকম শোনা যায়নি। বরং অনেকেই বলতে লজ্জা পায় আমরা ১১ ভাই ৯ বোন। কেন এই সামান্য সময়ে এত পরিবর্তন?
কারনগুলোর ভিতর আমার কাছে মনে হয়
প্রথমত, বিয়ের পর পর আল্লাহর নেয়ামতকে অস্বীকার করা। সন্তান আল্লাহর নেয়ামত।
অনেকেই মনে করেন সবেমাত্র বিয়ে হল আরও ২-৪ বছর এনজয় করি, ক্যারিয়ার গড়ি তারপর বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা করব। তো এরপর পিল খাওয়া শুরু হয়। হ্যা, সব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এড দেয় সম্পূর্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত আমাদের এই পিল। একটা জিনিস সহজে বোঝা যায় সিগারেট কোম্পানী কখনও সিগারেটের বদনাম করবেনা। যেটুকু করে সরকার বাধ্য করে তাই করে।
একটা জিনিস চিন্তা করি প্রতি মাসে একজন মহিলা ৩০ টা পিল খাচ্ছেন। যেটা প্রতি পিরিওড সাইকেলে হরমোনাল চেন্জ নিয়ে আসছে যেটা স্পার্ম এবং ওভামকে উর্বর করতে দিচ্ছে না। এইভাবে ৩ বছর চলার পর স্বাভাবিক হরমোনাল কন্ডিশন অনেক ক্ষেত্রেই ফিরে আসে না। বিজ্ঞানের আর এক আবিষ্কার ইমারজেন্সি পিল/ নো রিস্ক বা যাই বলেন এক্সিডেন্টাল প্রেগন্যান্সি এড়াতে ব্যবহার হয়। একটোপিক প্রেগন্যান্সির সবচেয়ে বড় কারন এই ইমারজেন্সি পিল। একটোপিক প্রেগন্যান্সি ভয়াবহ জিনিস। যেটা সংক্ষেপে বাচ্চা হবে কিন্তু বাচ্চা ইউট্রাসে না হয়ে ইউট্রারাসের ফেলোপিয়ান টিউবে হবে এবং বাচ্চা বড় হয়ে যাওয়ার পর আল্ট্রাসোনোতে একটোপিক প্রেগন্যান্সি ধরা পড়লে ইউট্রাস কেটে ফালানো ছাড়া আর উপায় থাকে না।
হ্যাঁ, বাচ্চা কনসিভ হয়ে গেছে এরপর আর এক আবিস্কার এম এম কিট। যেটা ইউট্রাস থেকে বাচ্চা সদৃশ বস্তুকে ছুড়ে ফেলে দেয় প্রচুর রক্তক্ষরন হয়।
একটা মায়ের উপর এতগুলো ধক্কল চালানোর পর যখন ৩-৪ বছর পার হয় তখন চিন্তা করে এবার একটা বাচ্চা চাই। আল্লাহ ততদিনে অসন্তুস্ট হয়ে নেয়ামতকে উঠিয়ে নেন। এবার দৌড় শুরু হয় ইনফার্টিলিটি সেন্টারে, মাজারে, তাবিজ কবজ কত কি?
শুধু যে ইনফার্টিলিটি মেয়েদের হয় তা নয় ছেলেদেরও কম নয়। মহিলাদের প্রধান কারনগুলোর মধ্যে কয়েকটিঃ
-Stress অর্থাৎ অতিরিক্ত চাপে থাকা। বিশেষ করে চাকুরিজীবি মহিলাদের ক্ষেত্রে। ঘরেও চাপ অফিসেও চাপ। এ জন্যই দেখা যায় গৃহীনি মহিলা থেকে চাকরিজীবি মহিলাদের ইনফার্টিলিটি রেট বেশি।
-অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ও শব্দে বেশি সময় অবস্থান। যেটা গার্মেন্টস কর্মীদের দেখা যায়।
- আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কারণ অধিক সময় জন্মনিয়ন্ত্রন করা।
অন্যদিকে পুরুষের প্রধানত, কোন ক্ষেত্রে প্রতি mL এ যদি স্পার্ম সংখ্যা ২০ মিলিয়নের কম হয়ে যায় তখন ইনফার্টিলিটিতে চলে যায়।
এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে
- বড় একটা কারণ স্মোকিং, ড্রাগস বা যেকোন ধরনের নেশা।
-এছাড়া পরিবেশ দূষনও একটা বড় কারণ।
- অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা শব্দে যারা লম্বা সময় কাজ করে এটাও একটা কারন।
-আর একটা উল্লেখযোগ্য কারন হল টাইট পোষাক। স্কিন টাইট জিন্স। যেটা পরলে অতিরিক্ত চাপের কারনে স্পার্ম সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে। এর বিপরীত কারনেই মনে হয় যারা পায়জামা, পান্জাবী পরে অর্থাৎ হুজুরদের সন্তান অনেক হয়।
শেষ কথা, ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার করে পারিবারিক ক্যারিয়ার ধ্বংস না করি। বিয়ের পরপর প্রথমবার আল্লাহ দিলেই বাচ্চা নিয়ে নেওয়া। ২-১ টা বাচ্চা হওয়ার পর হাজবেন্ড ওয়াইফ পরামর্শ সাপেক্ষ অন্য কিছু করা যেতে পারে। তাতে অন্তত পারিবারিক বন্ধন ঠিক থাকবে। তা না হলে বিয়ের পরের রোমান্স দুই চার বছর পর সন্তান না হলে জানালা দিয়ে পালাবে। সন্তানই হল পারিবারিক বন্ধনের প্রধান হাতিয়ার।
#জন্মনিয়ন্ত্রণ_পদ্ধতির_ব্যাপারে_সতর্ক_হউন।
(Collected)

১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ।নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে য...
26/02/2022

১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ।
নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়।

২. ভুলঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ।
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না।

৩. ভুলঃ ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার।
নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ
পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।

৪. ভুলঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ।
নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে।

৫. ভুলঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।

৬. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।

৭. ভুলঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।

৮. ভুলঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।
নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।

৯. ভুলঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।
নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।

১০. টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।
নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।

১১. ভুলঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা!!!
নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।

১২. ভুলঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা।
নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।

১৩. ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।

১৪. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।
নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।

১৫. বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।
নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।।
__________________________________________
এ ধরণের আরো অনেক ধরণের গুজব বা কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত, যেগুলোর কোনো ভিত্তি বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
__________________________________________

%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%পল্লী ডাক্তার মানুষ‌কে বাঁ‌চি‌য়ে রা‌খে, গ্রাজু‌য়েট ডাক্তার রোগী‌কে সা‌রি‌য়ে তো‌লে।%%%%%%%%%%%%...
24/02/2022

%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%
পল্লী ডাক্তার মানুষ‌কে বাঁ‌চি‌য়ে রা‌খে, গ্রাজু‌য়েট ডাক্তার রোগী‌কে সা‌রি‌য়ে তো‌লে।
%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%

রাত পৌ‌নে তিনটা। মোবাই‌লের রিং‌টোন বে‌জে উঠ‌তেই ঘুম ঘুম চো‌খে রি‌সিভ কর‌লেন মিস্টার পল্লী ডাক্তার। মোবাই‌লের অপর দিক থে‌কে কাঁ‌দো কাঁ‌দো ক‌ন্ঠে একজন পৌঢ়া ম‌হিলা ব‌ল্লেন, "আপনার মামায় কেমন জা‌নি কর‌তে‌ছে। তাড়াতা‌ড়ি একটু আমা‌দের বাসায় আ‌সেন।"

পল্লী ডাক্তার‌দের রক্তের সম্পর্ক লা‌গেনা। গ্রা‌মের সবাই তার আপন জন। মামা, চাচা, খালু, ফুপা, নানা, দাদা, ভাই, বোন, মা‌মি, চা‌চি, খালা, ফুপু, নানি, দা‌দি, ভাবী এসব সম্পর্ক এম‌নি এম‌নিই গ‌ড়ে ও‌ঠে।

গ্রা‌মের দু চারশ প‌রিবা‌রের হাজার খা‌নেক মানু‌ষের কার হাই প্রেসার, কার লো প্রেসার, কার হা‌র্ডের সমস‌্যা, কার কিড‌নির সমস‌্যা, কার সুগার বে‌শি, কার কি‌সে এলা‌র্জি এসব কমন বিষয়গু‌লো পল্লী ডাক্তার‌দের মুখস্ত থা‌কে।

মিস্টার পল্লী ডাক্তার বল্লেন, "মামা‌কে চি‌নি খাওয়ান, আ‌মি আস‌তে‌ছি।"

ই‌তিম‌ধ্যে প‌রিবা‌রের অন‌্য সদস‌্যদের চেঁচামে‌চি শু‌নে পাড়া প্রতি‌বে‌শিরা ভীড় জ‌মি‌য়ে‌ছে। রোগীর মুখ দি‌য়ে ফেনা বের হ‌চ্ছে। হাত পা ঠান্ডা হ‌য়ে আস‌ছে। কেউ হা‌তে পা‌য়ে তেল মা‌লিশ কর‌ছে। কেউ মাথায় পা‌নি দি‌তে বল‌ছে। শী‌তের ম‌ধ্যে কেউ পা‌নি না দেওয়ার পরামর্শ দি‌চ্ছে।

পৌঢ়া ম‌হিলা ব‌ল্লেন, "ডাক্তার চি‌নি খাওয়াই‌তে বল‌ছেন।"

পল্লী ডাক্তার‌দের প্রতি গ্রা‌মের মানু‌ষেরও অগাধ বিশ্বাস থা‌কে। এক চামচ চি‌নি রোগীর মু‌খে ঢে‌লে দি‌লেন। একজন আবার এক চামচ পা‌নি খাই‌য়ে দি‌লেন।

প‌নে‌রো মি‌নি‌টের ম‌ধ্যে মিস্টার পল্লী ডাক্তার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপা‌তি আর প্রাথ‌মিক চি‌কিৎসার ঔষধপত্র সম্ব‌লিত তার সেই চির চেনা ব‌্যাগ নি‌য়ে রোগীর বাসায় পৌঁ‌ছে গে‌লেন। ই‌তিম‌ধ্যে রোগী কিছুটা সুস্থ। প্রথ‌মেই তার সুগার মাপ‌া হ‌লো। গ্লু‌কো মিটা‌রে 1.9 দেখা গে‌লো। মিস্টার পল্ল‌ী ডাক্তার সা‌হেব তা‌কে বে‌শি ক‌রে চি‌নি দি‌য়ে এক গ্লাস শরবত দি‌তে বল্লেন। শরবত খাওয়ার প‌নে‌রো মি‌নিট পর আবার সুগার টেস্ট করা হ‌লো। এবার 3.2 দেখা গে‌লো।

রোগী উ‌ঠে ব‌সে‌ছেন। তি‌নি এখন অ‌নেকটাই স্বাভা‌বিক। উপ‌স্থিত সবাই হতবাক। আধঘন্টা আ‌গে কী দেখলাম আর এখন কী দেখ‌ছি! কোন ঔষধ পত্র কিছুই লা‌গেনি। শুধু একটু সমস‌্যাটা বুঝ‌তে পারা আর একটু পরামর্শই অ‌নেক সময় একটা মানু‌ষের প্রাণ বাঁচা‌তে পা‌রে।

রোগী মিস্টার পল্লী ডাক্তার‌কে জ‌ড়ি‌য়ে ধ‌রে কে‌ঁদেই‌ ‌ফে‌ল্লেন, "তুমি আমার জীবন বাঁচাইলা বাবা।"

ভদ্র লো‌কের বা‌ড়ি বিক্রমপুরের আ‌ড়িয়াল বিল অঞ্চ‌লে। তিন মে‌য়ে, বি‌য়ে দি‌য়ে ফে‌লে‌ছেন। এক ছে‌লে চায়না থে‌কে ডাক্তা‌রি পাস ক‌রে বর্তমা‌নে কক্সবাজা‌রে কোন একটা প্রাই‌ভেট হাসপাতা‌লে কর্মরত। বা‌ড়ি‌তে বু‌ড়োবু‌ড়ি দু জন, তাই একটা অসহায় প‌রিবার‌কে থাক‌তে দি‌য়ে‌ছেন আপ‌দে বিপ‌দে পা‌শে থাকার জন‌্য।

ডাক্তার সা‌হেব সারা‌দিন হাসপাতা‌লে কাজ ক‌রে ক্লান্ত শ্রান্ত হ‌য়ে রা‌তে মোবাই‌ল সাই‌লেন্ট ক‌রে আরা‌মে ঘুমি‌য়ে থা‌কেন। সকা‌লে ফ্রেস হ‌য়ে চেম্বা‌রে গি‌য়ে রোগী দে‌খেন। রোগীর নাম, ঠিকানা, বয়স, কী সমস‌্যা জি‌জ্ঞেস কর‌তে কর‌তে তিন চারটা টেস্ট লি‌খে ফে‌লেন। এবার রোগীর সমস‌্যার কথা শু‌নে প্রয়োজন ম‌নেকর‌লে স্বাস্থ‌্য পরীক্ষা ক‌রেন। প্রয়োজন ম‌নে না কর‌লে আট দশটা ঔষধ আ‌রো দু তিনটা টেস্ট লি‌খে রোগীর হা‌তে ‌প্রেস্ক্রিপশন ধ‌রি‌য়ে দেন। রোগীর ঔষধ কি‌নে খাওয়ার সামর্থ আ‌ছে কিনা এটা তার দেখার বিষয় নয়। "‌টেস্টগু‌লো ক‌রি‌য়ে রি‌পোর্ট নি‌য়ে তিন‌দিন পর দেখা কর‌বেন" ব‌লে ৫০০ টাকা ভি‌জিট রেখে বিদায় ক‌রে দেন।

গ্রাজু‌য়েট ডাক্তার সা‌হে‌বের মা জা‌নেন তার ছে‌লে এখন ফোন রি‌সিভ করবে না। তাই বি‌দেশ থে‌কে পাশকরা ডাক্তা‌রের চে‌য়ে মধ‌্যরা‌তে তাঁর ভরসা মানবতার ডাক্তার পল্লী ডাক্তা‌রের ওপর। তাছাড়া গ্রাজু‌য়েট ডাক্তারগণ কখ‌নো রোগীর কা‌ছে যান না। রোগী না দে‌খে ফো‌নে কোন পরামর্শ দেন না। রোগী‌কে তারা চেম্বা‌রে নি‌য়ে যে‌তে ব‌লেন। পরীক্ষা নীরিক্ষা ক‌রে তারপর চি‌কিৎসা দেন। ততক্ষ‌ণে অ‌নেক রোগী মারা যান।

পল্লী ডাক্তার‌দের মোবাইল কখ‌নো সাই‌লেন্ট মু‌ডে থা‌কে না। ব‌্যাগ সব সময় গুছা‌নোই থা‌কে। তেমন কোন টেস্ট ফেস্ট দরকার হয় না। ভি‌জি‌টের আশায় হাত পে‌তে ব‌সে থা‌কেন না। শুধু চি‌কিৎসা আর পরামর্শ নয়, রোগীর সামর্থ অনুযায়ী স‌ঠিক ঔষধ নির্বাচন ক‌রে ঔষধও দি‌তে হয়। ত‌ড়িৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কার‌ণে রোগীর প্রাণ বে‌ঁচে যায়।

হঠাৎ অজ্ঞান হ‌য়ে যাওয়া, মাথা ঘু‌রে প‌ড়ে যাওয়া, হার্ট এটাক হওয়া, স্ট্রোক করা, হঠাৎ জ্বর ওঠা, ব‌মি করা, পাতলা পায়খানা করা, হঠাৎ প‌ড়ে গি‌য়ে হাত পা কে‌টে যাওয়া, মাথা ফে‌টে যাওয়া, ই‌লে‌ক্ট্রিক শক লাগা, প্রেসার বে‌ড়ে বা ক‌মে যাওয়া, সুগার ফল্ট করা, শ্বাস প্রশাস নি‌তে কষ্ট হওয়া বা দম আট‌কে আসা ইত‌্যা‌দি ইমার্জে‌ন্সি মূহূ‌র্তে ‌রোগীরা প্রথ‌মে পল্লী ডাক্তা‌রের কা‌ছেই ছু‌টে যায়। পল্লী ডাক্তার মশাই তাঁর সী‌মিত জ্ঞা‌নের দ্বারা কখ‌নো দু একটা ইমা‌র্জে‌ন্সি ঔষধ, কখ‌নো সামান‌্য হা‌তের কাজ, কখ‌নো শুধু পরামর্শ দি‌য়ে একজন রোগী‌কে বা‌ঁচি‌য়ে রা‌খেন।

য‌দি প্রতি‌টি গ্রাম-গ‌ঞ্জে, পাড়ায়-মহল্লায় এসব পল্লী ডাক্তারগণ না থাক‌তেন তাহ‌লে সাধারণ মানু‌ষের অজ্ঞতার কার‌ণে আর হাসপাতা‌লের পাশকরা বড় ডাক্তার সা‌হেব‌দের কা‌ছে নি‌তে বিলম্ব হওয়ার কার‌ণে ৫০% রোগী মারা যে‌তো।

হাসপাতা‌লের ডাক্তার সা‌হেব‌দের ৯৮% আবার প্রাই‌ভেট চেম্বা‌রে রোগী দে‌খেন। এক জন রোগী‌কে ১২ ঘন্টা পর পর ৭ দি‌নে ১৪ টা আই ভি ই‌ঞ্জেকশন লি‌খে দেওয়া তার কাজ। ক জন রোগী হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি থে‌কে নার্স‌কে দি‌য়ে ই‌ঞ্জেকশন পুশ করাবার সামর্থ রা‌খে? পল্লী ডাক্তার সা‌হে‌বেরাই সময়ম‌তো বা‌ড়ি বা‌ড়ি গি‌য়ে এসব ই‌ঞ্জেকশন পুশ ক‌রে দি‌য়ে আ‌সে।

য‌দি পল্লী ডাক্তার না থাক‌তো তাহ‌লে অ‌নেক রোগী চি‌কিৎসা ব‌্যয় বহন কর‌তে গি‌য়ে না খে‌য়ে মারা যে‌তো। অ‌নেক রোগী জা‌র্নি কর‌তে কর‌তে রাস্তায় মারা যেত। অ‌নেক রোগী বিনা চি‌কিৎসায় মারা যে‌তো।

তাই এ কথা ব‌ল্লে মোটেও বা‌ড়ি‌য়ে বলা হ‌বে না যে, "পল্লী ডাক্তার মানুষ‌কে বাঁ‌চি‌য়ে রা‌খে, গ্রাজু‌য়েট ডাক্তার রোগী‌কে সা‌রি‌য়ে তো‌লে।"

সরকার যতই হ‌ম্বি ত‌ম্বি করুক না কেন, বাংলা‌দে‌শের আর্থ সামা‌জিক প্রেক্ষাপ‌টে ১৮ কো‌টি মানু‌ষের দোর গোড়ায় চি‌কিৎস‌া সেবা পৌঁ‌ছে দেওয়া মো‌টেই সম্ভব নয়। তাই পল্লী ডাক্তার‌দের বা‌ঁচি‌য়ে রাখা সরকার, সাধারণ জনগণ এবং পাশকরা ডাক্তার‌দেরও দা‌য়িত্ব।

আজ‌কে যে পাশকরা ডাক্তার মশাই BMDC'র রে‌জি‌স্ট্রেশন নি‌য়ে পল্লী ডাক্তার‌দের পেশ‌গত প‌রিচয় মু‌ছে দি‌তে চাই‌ছেন; তারা একটু নি‌জের গ্রা‌মের বা‌ড়ি‌তে খবর নি‌য়ে দে‌খেন মধ‌্যরা‌তে আপনার বাবা‌কে কে বা‌ঁচি‌য়ে রাখ‌ছে। এমনও হ‌তে পা‌রে আপনার জ‌ন্মের সময় কোন এক পল্লী ডাক্তার চি‌কিৎসা না দি‌লে হয়‌তো জ‌ন্মের সময়ই আপ‌নি মারা যে‌তেন। অথবা আপনার মা‌য়ের বু‌কের দুধ খাওয়ার সৌভাগ‌্য আপনার নাও হ‌তে পার‌তো।

এ দে‌শে অ‌নেক পাশকরা ডাক্তার সা‌হে‌বের বাবা হয়‌তো পল্লী ডাক্তার ছি‌লেন বা আ‌ছেন। নি‌জের জীব‌নের স্বপ্ন‌কে পূরণ কর‌তে হয়‌তো আপনা‌কে ডাক্তার বা‌নি‌য়ে‌ছেন। আর আপ‌নি আপনার বাবার পেশা‌কেই অস্বীকার কর‌ছেন!

সমা‌জে সকল শ্রেণি পেশার মানু‌ষের গুরুত্ব আ‌ছে। জ‌টিল রোগী‌কে সা‌রি‌য়ে তোলার জন‌্য যেমন বি‌শেষজ্ঞ ডাক্তার দরকার তেম‌নি গ্রা‌মের হত দ‌রিদ্র মানুষ‌কে বা‌ঁচি‌য়ে রাখার জন‌্য পল্লী ডাক্তার দরকার। তাই আসুন হিংসা বি‌দ্বেষ ভূ‌লে পল্লী ডাক্তার‌দের সম্মান ক‌রি। তা‌দের অ‌ধিকার ও পেশাগত স্বীকৃ‌তি আদা‌য়ে সহ‌যোগীতা ক‌রি।

বি:দ্র: এক‌টি লেখা তৈ‌রি কর‌তে অ‌নেক মেধা, শ্রম ও সময় ব‌্যয় কর‌তে হয়। তাই কা‌রো লেখা পছন্দ হ‌লে লেখ‌কের নাম বা উৎসসহ ক‌পি ক‌রে প্রচার কর‌বেন। যারা অ‌ন্যের লেখা নি‌জের ব‌লে চা‌লি‌য়ে দেন তারা হয়‌তো অ‌ন্যের বাবা‌কেই নি‌জের বাবা ম‌নেক‌রে জীবন পার ক‌রে দি‌চ্ছেন।

লেখক,
দেওয়ান আবুল হা‌শেম
লেখক, শিক্ষক, সংগঠক ও পল্লী চি‌কিৎসক
যুগ্ম আহ্বয়ক

বাংলাদেশ ফার্মেসি পরিবার গ্রুপের স্বাস্থ্য বিষয়ক পর্বে আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।  #সাদা_স্রাব নিয়ে কিছু কথা👇 😒 # #লিউক...
03/02/2022

বাংলাদেশ ফার্মেসি পরিবার গ্রুপের স্বাস্থ্য বিষয়ক পর্বে আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

#সাদা_স্রাব নিয়ে কিছু কথা👇

😒 # #লিউকোরিয়া বা অত্যধিক সাদা স্রাব?😒

আমরা মেয়েরা যে শরীর নিয়ে কতো জ্বালায় থাকি! প্রেগন্যান্সি, প্রেগন্যান্ট হই না কেনো, এলার্জি, টেনশন হেডেক, পেটে ব্যাথা, মাসিকে ব্যাথা, মাসিকের অনিয়ম, মাসিক বন্ধের পর যন্ত্রনা, হাজারো ইনফেকশন এ রোগ সে রোগ লেগে আছেই কিছু না কিছু।
তবে এসব কিছুর মাঝে খুবই বিরক্তিকর, অস্বস্তিকর, বিব্রতকর একটি সমস্যা হলো,
কথা নেই বারতা নেই, অত্যধিক যোনিপথের সাদা স্রাব!

আসুন, আজ আমরা জরুরী, খুব কমন ও বিরক্তিকর রোগটি নিয়ে কিছু জেনে নেই।

লিউকোরিয়া কি?
-- যোনিপথের অত্যধিক স্রাবকে লিউকোরিয়া বলা হয়।

আমি কি করে জানবো, স্রাব অত্যধিক কিনা?
-- যে স্রাব কাপড়ে দাগ ফেলবে, হলুদাভ, সাদাটে কিম্বা বাদামী ছোপ পড়বে তা দেখে বুঝবেন ইহা লিউকোরিয়া।

কেনো হয় এই রোগ?
কারন অনেক।
স্বাভাবিক কারন --
১। বয়:সন্ধির শুরু (টিন এজ এ) হরমোনের প্রভাব। doctor life
২। পিরিওড শুরুর আগে (হরমোনের প্রভাব) doctor Life
৩। জন্মবিরতীকরন পিল (OCP) গ্রহনের কারনে। doctor Life
৪। প্রেগন্যান্সি (হরমোনের প্রভাব) Doctor Life

এই কারন গুলোর জন্য আপনাকে কখনই দুশ্চিন্তায় অস্থির হতে হবেনা। কারন, এই সময়গুলো পেরিয়ে গেলে, পিল খাবার বদলে অন্য পদ্ধতি নিলে স্বাভাবিক ভাবে লিউকোরিয়া কমে যাবে।

অন্যান্য কারন -
- শারীরিক অপুষ্টি (কম ওজন)
-- রক্তশুন্যতা
-- থাইরয়েড হরমোন সমস্যা
-- লিভারের সমস্যা
-- ডায়বেটিস
-- যোনীপথে/জরায়ুমুখে পলিপ, ঘা, ইনফেকশন
-- জরায়ু কিম্বা তলপেটের কোনো অংগে ইনফেকশন
-- জরায়ু নীচে নেমে আসা
-- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, মানসিক অশান্তি ইত্যাদি।

লক্ষন--
- কাপড়ে হলুদাভ, বাদামী, সাদাটে দাগ লেগে থাকবে।
- অত্যধিক স্রাবের কারনে স্যানিটারি প্যাড ইউজ করতে হতে পারে।
- মুখে ঘা, হাতে পায়ে ঘা (থাকতে পারে)
- সবসময় দুর্বল লাগবে, কাজে অনীহা, অল্পতে হাপিয়ে যাওয়া।

চিন্তার বিষয় কোন গুলো??
- ঘন আঠালো দুর্গন্ধ যুক্ত স্রাব
-- রক্তাভ স্রাব
-- সাথে যোনিপথে চুলকানি
-- প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, ব্যাথা

উপরে উল্লেখিত যেকোনো লক্ষন ও কারনে আপনাকে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হতে হবে।
একই সাথে অনেকগুলো রোগ মিলে জটিলতা ধারন করার আগেই চিকিতসকের শরনাপন্ন হয়ে সঠিক ডায়গনোসিস করিয়ে চিকিতসা নিন।

প্রতিরোধ--
- নাইলনের আন্ডারগারমেন্ট ইউজ না করা (সুতির পরুন)
- স্বাভাবিক পানি দিয়ে যথাসম্ভব যোনীপথ পরিষ্কার রাখা।
-- আন্ডারগারমেন্ট ধোয়ার জন্য সাবান, ডিটারজেন্ট চেঞ্জ করা।
-- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ওজন বাড়ানো।
-- কনডম এ এলারজি হলে পদ্ধতি বদলে ফেলা।
-- দিনে ৫-৬লিটার পানি/তরল পান করার অভ্যাস করা।
-- রাতে অন্তত ৭-৮ঘন্টা ঘুম, টেনশন ফ্রি থাকা।

সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে, ঠিক চিকিৎসা না নিলে কি এই রোগ বারবার ও জটিলতর হতে পারে??
- হ্যা নিশ্চয়ই!

অসংখ্য সোরিয়াসিস(Psoriasis) পেশেন্টদেরকে দিনের পর দিন ফাংগাল ইনফেকশন/একজিমার রোগী হিসেবে অপচিকিৎসার শিকার হতে দেখি। সময় ...
31/01/2022

অসংখ্য সোরিয়াসিস(Psoriasis) পেশেন্টদেরকে দিনের পর দিন ফাংগাল ইনফেকশন/একজিমার রোগী হিসেবে অপচিকিৎসার শিকার হতে দেখি। সময় গড়ায় কিন্তু রোগীর রোগ সারে না!

মাথার তালুর জেদি খুশকি, সাধারণ খুশকি হিসেবেই হয়তো ট্রিটেড হচ্ছিল। যখন কিছুতেই আর সারছেনা তখন আসলে আস্তে আস্তে বের হয় রোগটা সোরিয়াসিস, সাধারণ খুশকি নয়!

সোরিয়াস অবহেলিত একটি রোগ। ডায়াগনোসিস এই অনেকটা সময় গড়ায়। এটি এমন একটি রোগ যার সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি। আজকের পোষ্টটি এই রোগটির ব্যাপারে আপনাদেরকে সচেতন করতে লিখছি।

সোরিয়াসিস (Psoriasis) ত্বকের দীর্ঘমেয়াদী রোগগুলোর একটি। Psoriasis is an autoimmune disease। রোগটি হবার অনেকগুলো কারনের মাঝে genetic predesposition & envitonmental trigger অন্যতম। সেকারনে ছোঁয়াচে না হলেও এটি পরিবারের অন্য সদস্যদের মাঝেও দেখা যায়।

বয়স এবং লিংগ নির্বিশেষে রোগটি যেকারো হতে পারে।

🔹সোরিয়াসে আক্রান্ত হলে কিভাবে বুঝব?

১. সোরিয়াসে ত্বকে যে পরিবর্তন হয় তা খুব ইউনিক। আক্রান্ত স্থান লালচে হয়, প্রচুর scale/flakes বা মরা চামড়া ওঠে যা silvery white হিসেবে প্রতীয়মান হয়। হাঁটু, কনুই, কানের পেছনে, কোমড়ে, নাভির আশেপাশে, মাথার তালুতে এরকম lesion চোখে পড়ে। সারা শরীরের অন্যত্র ও হতে পারে।

চুলকানি থাকতে পারে, নাও পারে।

২. সোরিয়াসে নখে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। সেগুলোর নাম শুনে কি জিনিস বোঝা রোগীর জন্যে কঠিন হলেও অন্তত বিভিন্ন নখে যে ছোট ছোট গর্ত (pit) হয় এটা অনেকেই ধরতে পারেন।

🔹সোরিয়াস রোগটির সবচেয়ে বড় বিপদ Erythroderma বা Exfoliative Dermatitis যাতে শরীরের বিরাট অংশ আক্রান্ত হয় এবং চামড়ার উপরিভাগ উঠে আসতে শুরু করে। এটি একটি স্কিন ইমার্জেন্সি।

অনেক সোরিয়াসিস রোগী ধীরে ধীরে আরথ্রাইটিসে আক্রান্ত হন। সোরিয়াস মেটাবলিক সিনড্রোম(স্থূলতা+রক্তে চর্বির আধিক্য+ প্রেশার + ডায়েবেটিস) এর সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট।

🔹সোরিয়াসে ডায়াগনোসিসটি ঠিকভাবে হওয়া ভীষণ জরুরী কারন অন্যান্য বিভিন্ন রোগে সচরাচর দেয়া হয় এমন অসংখ্য ওষুধ সোরিয়াস আক্রান্তদের জন্যে সেবন নিষিদ্ধ।জানা না থাকলে এই ওষুধগুলো হঠাৎ সুপ্ত থাকা রোগটিকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

সোরিয়াসিসের সব রোগী কি খারাপ দিকে যান? না। এই রোগটি আসলে কখনো নিরাময়যোগ্য না হলে ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য। বছরের পর বছর রোগটি কোন বড়সড় ঝামেলা না করেই সুপ্ত থাকতে সক্ষম। যেকোন ইনফেকশন, ওষুধ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে Disease Flare এর মূল কারণ।

🔹ক্লিনিক্যালি হিস্ট্রি এবং ত্বকের পরিবর্তন দেখে সোরিয়াস ডায়াগনোসিস সম্ভব। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডকুমেন্টশনের প্রয়োজনে একটি স্কিন বায়োপসি করে রাখা হয়।

🔹ট্রিটমেন্ট হিসেবে মুখে খাওয়ার ওষুধ বা লাগানোর ক্রিম দেয়া হয়ে থাকে। ঠিক কতটুকু জায়গা আক্রান্ত তার উপর, রোগীর অন্যান্য রোগের উপর ট্রিটমেন্ট পুরোপুরিভাবে নির্ভর করে।

 #ইপিসিওটমি বা ডেলিভারির সময় সাইড কাটা  ** নরমাল ডেলিভারির সময় সাইড কাটা ( ইপিসিওটমি)  নিয়ে অনেকই ভয় পান।তারা ভাবে সাইড ...
30/01/2022

#ইপিসিওটমি বা ডেলিভারির সময় সাইড কাটা

** নরমাল ডেলিভারির সময় সাইড কাটা ( ইপিসিওটমি) নিয়ে অনেকই ভয় পান।তারা ভাবে সাইড কাটার চেয়ে সিজার করাই ভালো।

#আসুন আজ জেনে নেই আসলে ইপিসিওটমি টা কি?

* নরমাল ডেলিভারির সময় যদি মায়ের যোনিপথের স্পেসের চেয়ে বাচ্চার মাথা বড় হয় তখন জায়গা বাড়ানোর জন্য যোনিপথে একটু কাটাই হচ্ছে ইপিসিওটমি বা সাইড কাটা।

#সব নরমাল ডেলিভারির সময় কি সাইড কাটা লাগে??

* না সবনরমাল ডেলিভারির সময় সাইড কাটা লাগেনা।

#কেন সাইড কাটা হয় আর কখন লাগে??

** ডেলিভারির সময় যখন বাচ্চার মাথা বের হয়ে আসে তখন আমরা প্রথমেয় খেয়াল করি কোন রকম ছেড়া,ক্ষতবিক্ষত হওয়া ছাড়ায় বাচ্চার মাথা বের হয়ে আসবে কিনা।যখন আমরা দেখি না বাচ্চার মাথা মায়ের যোনিপথের স্পেসের চেয়ে বড়। আর সাইড না কেটে যদি আমরা ডেলিভারী করায় তাহলে চারপাশ ছিড়ে যাবে ক্ষতবিক্ষত হবে ঠিক তখনি আমরা একটু করে সাইড কেটে জায়গাটা বড় করে দেই ৷

#সাইড কাটার পরে কি সেলাই করা হয় নাকি এমনিতেই ভালো হয়ে যায়??

**সন্তান প্রসবের পরপরই এই সাইডটা এতো সুন্দর করে সেলাই দেওয়া হয়, দেড়মাস বা ৪৫ দিন পর মা খুঁজেও পাবেনা কোথায় সাইড কাটা হয়েছিল। তাই এটা নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই ৷

#অনেকই বলে আগে তো ডেলিভারির সময় মানুষ সাইড কাটতো না তাহলে এখন কেন কাটতে হবে??

* * আসলে আগের মানুষ ঘরে অশিক্ষিত, অদক্ষ দাই দিয়ে ডেলিনারি করাতো আর তারা জানতোনা কিভাবে সাইড কাটতে হয় কখন কাটতে হয়,আর কিভাবে সেলাই দিতে হয়। আর তাদের এই না জানার জন্যই ডেলিভারির সময় এবড়োথেবড়ো হয়ে ছিরে যেত যার ফলে পরবর্তীতে মায়ের প্রসাব,পায়খানা সহ নানা রকমের সমস্যা দেখা দিত। আর ডেলিভারির পরে মায়ের অনেক বেশি রক্তক্ষরণ হতো যার ফলে অনেক মা ডেলিভারির পরেই মারা যেত।

#সাইড কাটলে পরবর্তী করণীয় কি??

** কাটা যায়গা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও শুকনা রাখতে হবে।মা বেশিবেশি লেবু খাবে, ভিটামিন জাতীয় খাবার খাবে,পানি বেশিবেশি খাবে যেন পায়খানা ক্লিয়ার হয়। কারণ এসময় পায়খানা কষা হলে সেলাই খুলে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে

** অনেকেই মনে করে সাইড কাটলে কাটার দাগ থেকে যায়, সহবাস করতে সমস্যা হয় কিন্তু না কাজ করতে গিয়ে হাতের কোথাও একটু কেটে গেলে যেমন দাগ থাকেনা ঠিক তেমন এটারো কোন দাগ থাকেনা। আর সহবাস করতেও কোন সমস্যা হয়না।

অনেকে বলে থাকেন, সাইড কাটার চেয়ে সিজার ভাল। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কেননা, সিজার মানে পেট এর এপাশ- ওপাশ কেটে ফেলা। সেটার ভোগান্তি সারাজীবন ভুগতে হয়। সাইড কাটা এতোটাই সামান্য ব্যাপার যে পরে আর সেই কাটা বা কাটার দাগ বা সেলাইয়ের দাগ কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে প্রসাব- পায়খানা বা স্বামীর সাথে মেলামেশা সহ যে কোন কাজে এই সাইড কাটা নিয়ে কোন ধরনের অস্বস্তিতে পড়তে হয় না।

👉শিক্ষামূলক পোষ্টঃ(জানার আছে অনেক কিছু)🌿💢সিজার_ডেলিভারি_বৃদ্ধির_কারণঃসিজারের সময় মেরুদণ্ডে যে ইনজেকশন দেওয়া হয় সেই ইনজেক...
18/12/2021

👉শিক্ষামূলক পোষ্টঃ(জানার আছে অনেক কিছু)🌿

💢সিজার_ডেলিভারি_বৃদ্ধির_কারণঃ

সিজারের সময় মেরুদণ্ডে যে ইনজেকশন দেওয়া হয় সেই ইনজেকশনটার জন্য পরবর্তীতে কি কি ক্ষতি হয় জানেন??

বর্তমানে সিজারের শতভাগ কাজ কি মহিলা ডাক্তাররাই করেন? নাকি কিছু কাজে পুরুষ ডাক্তারের সাহায্য নিতে হয়?

পৃথিবীতে কোনো প্রাণীর সিজার লাগে না, মানুষের কেন লাগে?

মানুষের সিজার লাগার কারণহলো, শুশুর ফোন দিয়ে বলবে আমার মেয়ের কিছু হলে জামাই তোমাকে ছাড়বো না, শাশুড়ি বলে আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করুন টাকা যা লাগে আমি দিবো।
আর শালা শালি তো আছেই। তার পর ডাক্তারের কথা বললে তো আইডি আজই নষ্ট হবে।

হাসপাতালে গর্ভবতীকে নেবার পরে, ডাক্তার দেখা মাত্র চেক-আপ করে... এই ৩ টি ডায়লগের যেকোনো একটি দিয়ে থাকেন।
১. বাচ্চা পানিশূন্যতায় আছে।
২. বাচ্চা পেটের ভিতরে পায়খানা করে দিয়েছে।
৩. বাচ্চার পজিশন উল্টা।
এই কথাগুলোর যেকোনো একটা শোনার পর গর্ভবতীর এবং তার পরিবারের লোকে অবস্থা কি হতে পারে অনুমান করা কষ্টসাধ্য নয়।

বাংলাদেশের সমস্ত প্রাইভেট হাসপাতালের গত ৫ বছরের ডেলিভারি রিপোর্ট দেখলে, দেখা যাবে প্রায় ৯০% সন্তান সিজারে ডেলিভারি করানো হয়েছে।

100 মহিলা ডাক্তার এর মধ্যে একজন মহিলা ডাক্তার সিজার ডেলিভারি হয়েছে এমন খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর ,, আর সাধারণ মানুষ হসপিটালে যাওয়া মাত্রই সিজার সিজার সিজার,, সিজারে এতো টাকা বিল আসে কেন, যাচাই করার কোন উপায় কি আছে আমাদের দেশে। সিজারের সময় যে এক কার্টুন ঔষধ ও,টি,তে নেওয়া হয়, তা কি সব লাগে? বাকি ঔষধ কোথায়?

সিজার ডেলিভারির জন্য, আমাদের দেশের মায়েরা অর্ধপঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। এটাকে বন্ধ করুন।মা’কে বাঁচান, বাচ্চা কে বাঁচান।

তবে আমি মনে করি, কিছু কিছু ডাক্তার নিজের স্বার্থের জন্য হয়ত সিজার করতে বলেন। কিন্তু সব ডাক্তার নয়।

এখন সিজারের সংখ্যা কেন বেড়ে গেছে তার কারণটা আমার কাছে মনে হয় ব্যাপারটার উৎপত্তি আমাদের জন্ম থেকে। আপনি আপনার দাদা দাদী / নানা নানীর দিকে তাকান । উনারা দেখবেন , বুড়ো বয়সেও কত শক্তিশালী। আমাদের দাদা নানারা দেখবেন , ৭০ বছর বয়সেও অনেক দূর হেটে হেটে নামাজ পরতে যাচ্ছে , চা খেতে যাচ্ছে, চশমা ছাড়া পেপার পড়তে পারছেন ।

:: একটি শিক্ষামূলক পোস্ট ::১. কাউকে একসঙ্গে তিনবারের বেশি ফোন কল করবেন না। যেহেতু আপনার কল রিসিভ হচ্ছে না তার মানে ব্যক...
15/12/2021

:: একটি শিক্ষামূলক পোস্ট ::

১. কাউকে একসঙ্গে তিনবারের বেশি ফোন কল করবেন না। যেহেতু আপনার কল রিসিভ হচ্ছে না তার মানে ব্যক্তিটি আপনার ফোন কলের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজে ব্যস্ত আছে।
১০/১৫ মিনিট পর আবার চেষ্টা করতে পারেন।

২. কারো কাছ থেকে টাকা ধার/ঋণ করলে সেটা অবশ্যই ফেরত দিন। যদি ঋণদাতার মনে নাও থাকে তারপরও তাকে সময়মতো ফেরত দিন বা তাকে এমন ভাবে তা পুষিয়ে দিবেন যাতে তার মনে প্রশান্তি আসে। তার সাথে নমনীয় আচরন করুন।

৩. এখনো বিয়ে করোনি কেন কিংবা তুমি নতুন বাড়ি কিনছো না কেন? কাউকে এই ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা থেকে বিরত থাকুন।

৪. যদি কোন বন্ধু বা সহকর্মীর সঙ্গে রাইড শেয়ার করেন সেক্ষেত্রে আপনার বন্ধু বা সহকর্মী আজকে বিল পরিশোধ করলে কালকে আপনি বিল পরিশোধ করুন।

৫. অন্যের মতামতকে সম্মান জানাতে শিখুন। কারো কথার মাঝখানে কথা বলবেন না। তার কথা শেষ হলে তারপর আপনি কথা বলা শুরু করুন।

৬. কারো সঙ্গে আপনি মজা করতেছেন কিন্তু সে যদি সেটা উপভোগ না করে তাহলে আপনার অবশ্যই থামা উচিত এবং কখনো এরকম আর করবেন না।

৭. কেউ যদি কোনো ছবি দেখানোর জন্য তার ফোন আপনার হাতে দেয় তাহলে নির্দিষ্ট ছবিটি দেখুন গ্যালারির এপাশ-ওপাশ করবেন না।

৮. কারো সঙ্গে কথা বলার সময় স্মার্ট ফোন টিপাটিপি করবেন না।

৯. যতক্ষণ পর্যন্ত কোন বিষয় আপনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিজের চরকায় তেল দিতে থাকুন।

১০. কারো ব্যক্তিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার কাছে উপদেশ চাওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত উপদেশ দিতে যাবেন না। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে যাবেন না।

১১. সবাইকে সম্মান দিতে শিখুন হোক সে রিক্সাওয়ালা কিংবা আপনার অফিসের বস।

১২. কারো বেতন - চাকরি - ব্যবসা এসব নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করবেন না।

১৩. কেউ পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় ভদ্রতার সাথে চোখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে ফেলুন।

১৪. কেউ ন্যূনতম সাহায্য করলে তাকে ধন্যবাদ দিতে শিখুন।

১৫. কারো কাছ থেকে কোনো কিছুতে উপকৃত হলে তার যথাযথ মূল্যায়ন করুন।

১৬. বন্ধুত্বের উপর সবসময় বড় আবদারের আশা করে থাকবেন না।

১৭. সবসময় কোনো কিছু ফ্রি - তে পাওয়ার আশায় থাকবেন না।

১৮. কারো দোষ জানা থাকলে তা গোপন রাখুন। অপপ্রচার করবেন না।

১৯. কারো কোনো কিছু নিয়ে হিংসা করবেন না। নিজে চেষ্টা করুন। হয়তো আপনিও পারবেন।

২০. ছোট-বড় সবার সাথে মাধুর্য্যপূর্ণ আচরন করুন। আপনার সাথে কারো মতের মিল না থাকলে তর্ক না করে তার সঙ্গ এড়িয়ে চলুন।

২১. বন্ধুত্বের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হলে তার দোষ রটনা করবেন না।

২২. কাউকে খোঁটা দিবেন না।

২৩. কোনো বিষয়ে কম জানা থাকলে তা নিয়ে অন্যের সাথে তর্ক করবেন না।

২৪. ছোট-বড় কাউকে লজ্জা দিয়ে কথা বলবেন না। বিধর্মীদের তুচ্ছ করে কথা বলবেন না।

২৫. যে আপনার উপদেশ মানে না তাকে উপদেশ দিতে যাবেন না অর্থাৎ উলু বনে মুক্তা ছড়াবেন না।
বি:দ্র ভূল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধৈর্য্য সহকারে অত্যন্ত মনোযোগের সাথে প্রতিটি অক্ষর পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Adarsha Medical Store

Address

আদর্শ মেডিকেল স্টোর, চারমাথা বাস টার্মিনাল, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর
Dinajpur

Telephone

+8801797377626

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Akash posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Akash:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category