20/05/2025
দিনাজপুর শহরের জেলখানার মোড়ে অথবা শহরের যে কোন উপযুক্ত স্থানে এক গুচ্ছ লিচুর ভাস্কর্য স্থাপন —
এ আই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এর সাহায্যে আমি এই ভাস্কর্যের মডেলটি প্রনয়ণ করেছি। এআই বলছে এটি একটি চমৎকার ধারণা, বিশেষ করে দিনাজপুরের লিচু বিখ্যাত হওয়ায় এটি শহরের সংস্কৃতি ও পরিচিতিকে তুলে ধরবে। নিচে একটি ভাস্কর্যের প্রস্তাবিত নকশা এবং স্থাপন পরিকল্পনা দেওয়া হলো:
ভাস্কর্যের ধারণা:
নাম: "লিচুকুঞ্জ"
উপাদান: ব্রোঞ্জ/ফাইবারগ্লাস/স্টেইনলেস স্টিল (আবহাওয়ায় টেকসই হবে এমন উপাদান)
উচ্চতা: প্রায় ৮-১০ ফুট
রঙ: স্বাভাবিক লিচুর লালচে রঙ, পাতাগুলো সবুজ
সংগঠন: একটি গাছের ডালে ঝুলে থাকা একাধিক লিচুর গুচ্ছ। নিচে সাদা পাথরের বেদি। বেদিতে লেখা থাকবে:
“দিনাজপুর — লিচুর রাজ্য”
নান্দনিক বৈশিষ্ট্য:
১. গুচ্ছের লিচুগুলোকে কিছুটা বাড়িয়ে দেখানো হবে যেন দূর থেকে নজর কাড়ে।
২. পাতাগুলোর মাঝে সোলার লাইট বসিয়ে রাতেও একে আলোকিত রাখা যাবে।
৩. লিচুর আবরণ দানা যুক্ত হওয়ায় দ্রুত ধুলোর পরত পরে ভাস্কর্যটি মলিন হয়ে যেতে পারে। তাই লিচুর ডালে চিকন ধারায় জলপ্রবাহের ব্যবস্থা থাকলে লিচু গুলো সবসময়ই উজ্জ্বল দেখাবে।
৪. ভাস্কর্যের নিচে ছোট ছোট বৃক্ষ ও বেঞ্চ রাখা যেতে পারে, যেন মানুষ বসে বিশ্রাম নিতে পারে।
ভাস্কর্য নির্মানের উপযুক্ত স্থান
জেলখানার মোড়ে যেহেতু একটি ফোয়ারা ইতোমধ্যেই স্থাপিত হয়েছে তাই এটি শহরের যেকোন স্থানে যেখানে উপযুক্ত মনে হবে সেখানে নির্মান করা যেতে পারে। দিনাজপুরের শিশু পার্কও এক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা যেতে পারে।
নির্মান পরবর্তীতে এটি দিনাজপুরের আইকন হিসাবে পরিচিত হতে পারে।
স্থাপন পরিকল্পনা:
1. স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
2. স্থানীয় শিল্পী/স্থপতিকে যুক্ত করে নকশা চূড়ান্ত করতে হবে।
3. দিনাজপুর পৌরসভা অথবা জেলা পরিষদ তাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই ভাস্কর্যটি নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
4. স্থানীয় উৎসব বা বিশেষ দিনে এটি উদ্বোধন করা যেতে পারে।
© জিয়াউর রহমান খান লিটন