Patient Point

Patient Point POINT OF CARE
AT EVERY SECTOR
DIRECTLY WITH SMART DISCOUNT
HEALTH CARE SUPPORT
FOR BETTER LIFE

নীরব ঘাতক কিডনি রোগ: প্রতিকার ও করণীয় কি ? মানব দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ কিডনি। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়ে ক...
15/09/2025

নীরব ঘাতক কিডনি রোগ: প্রতিকার ও করণীয় কি ?

মানব দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ কিডনি। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়ে কিডনি রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো খুব প্রকট না হওয়ায় শরীরের ক্ষতি হতে থাকে নিজের অজান্তেই। লক্ষণগুলো যখন প্রকাশ পায় ততদিনে রোগ বেশ জটিল আকার ধারণ করে। তাই কিডনির বিভিন্ন রোগের প্রতিকার ও করণীয় সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব জরুরি।

কিডনি সুস্থ আছে কিনা তা বোঝার জন্য প্রথমেই তাকে কিডনি রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে অবগত হতে হবে।

ক্রনিক কিডনি ডিজিস বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ নিয়ে সবার উদ্বেগ থাকে বেশি। এর প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শরীর দুর্বল লাগার কথা। পাশাপাশি রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া দেখা দিতে পারে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যেতে পারে।

কিডনি পুরোপুরি খারাপ হতে সাধারণত তিন মাসের বেশি সময় লাগে, এই সময়ের মধ্যে দুটো কিডনিই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিডনির কার্যক্ষমতা মাপার একক বা EGFR (Estimated Glomerular Filtration Rate) এর স্বাভাবিক লেভেল ১২৫। এই লেভেল ৩০-এর নিচে না নামলে কিডনি রোগের কোন লক্ষণ দেখা যায় না। তবে যাদের রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাদের যদি প্রস্রাব যদি ফেনা ফেনা ধরনের হয় তখন ধারণা করা হয় কিডনি দিয়ে প্রোটিন যাচ্ছে অর্থাৎ কিডনিতে কোন সমস্যা হয়েছে। পাশাপাশি রাতে বারবার প্রস্রাবের বেগ আসবে।

কিডনি রোগের আরেকটি লক্ষণ হিসেবে হাতে পায়ে পানি আসতে পারে ।

কিডনির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে পানি পান করা খুবই জরুরী। পাশাপাশি বয়স ভেদে কী পরিমাণ পানি পান করা উচিৎ সে বিষয়ে দিক নির্দেশন নিতে হবে। একজন পূর্ণবয়স্ক স্বাভাবিক মানুষের ক্ষেত্রে দিনে ১০ থেকে ১২ গ্লাস বা তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। একদম কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ৪ গ্লাস পানি যথেষ্ট বলে জানান তিনি। তবে অতিরিক্ত পানি পান শরীরের ক্ষতি করতে পারে বলে সতর্ক করেন কিডনি বিশেষজ্ঞ।

কিডনি রোগ যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে যাদের পরিবারে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। যাদের পরিবারে কিডনি রোগী আছে বা ছিল তাদের বছরে অন্তত দুবার কিডনি পরীক্ষা করানো উচিৎ। কিডনি দিয়ে প্রোটিন যাচ্ছে কিনা এটা পরীক্ষা করেই কিডনি রোগ শনাক্ত করা সম্ভব ।

নীরব ঘাতক রোগ ডিসলিপিডেমিয়া : চিকিৎসাজীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং খাদ্যখানার নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। যারা ওজনাধিক্যে ভুগছেন তা...
13/09/2025

নীরব ঘাতক রোগ ডিসলিপিডেমিয়া : চিকিৎসা

জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং খাদ্যখানার নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। যারা ওজনাধিক্যে ভুগছেন তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। লাল মাংস বর্জন করতে হবে। চর্বিদার খাবার, ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিংকস, কোমল পানীয় খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। ভাত, আলুর পরিবর্তে যব, গম, ভুট্টার তৈরি খাদ্য খেতে হবে। শাকসবজি, ফলমূল, আঁশযুক্ত খাদ্য বেশি খেতে হবে। প্রতিদিন সকাল - বিকেলে আধা ঘণ্টা হাঁটতে হবে। শরীর থেকে ঘাম ঝরাতে হবে, শারীরিক ও কায়িক পরিশ্রম বেশি করতে হবে। অলস ও অকর্মণ্য জীবনযাপন না করাই ভালো। রোগ নিণয়পূর্বক চিকিৎসা করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। যাদের রক্তে কোলেস্টরেলের পরিমান বেশি তাদের স্টেটিন এবং যাদের রক্তে টিজি বেশি তাদের ফেনফিব্রেট সেবন করতে হবে। নিয়মিত, পরিমিত ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ওষুধ যারা নিয়মিত সেবন করছেন, যাদের রক্তে কোলেস্টরেল স্বাভাবিক আছে তাদেরও সাধারণত আছে তাদেরও সারা জীবনের জন্য স্টেটিন বাড়তি সেবন করতে হয়। তবে এই ওষুধ অবশ্যই একজন রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করা উচিত। কারণ, এই ওষুধের বেশকিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সে কারণে ডোজ বা মাত্রা একজন চিকিৎসকই নির্ধারণ করবেন। মনে রাখবেন প্রতিটি ওষুধই প্রয়োজনীয় বিষ, মাত্রা এককভাবে নির্ধারণ করে ওষুধ বিষ কিনা।

প্রতিদিন খেতে অভ্যাস করুন

আঁশযুক্ত খাবার, টাটকা শাকসবজি, ফলমূল, কলা, লেবু, শিম ও শিমজাতীয় খাদ্য, টমেটো, শসা, পেঁয়াজ, রসুন, কালোজিরা, সামদ্রিক মাছ, ইত্যাদি। আপনি অসুস্থ নন, তার মানে এই নয় যে, আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, শ্বাস-কাশ ও ক্যান্সার, কিডনি রোগ, ডিসলিপিডেমিয়া, এইডস এ রোগগুলো বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর প্রধান কারণ। এ ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় আপনার এবং আপনার প্রিয়জনের জীবন রক্ষা করতে পারে।

রক্তে চর্বি কমানোর খাদ্যতালিকা

খাওয়া নিষেধ : গরুর গোশত, খাসির গোশত, মুরগির চামড়া, গিলা কলিজা, মস্তক, ডিমের কুসুম, চিংড়ি মাছ, বড় মাছের মাথা ও ডিম, নারকেল এবং তা দ্বারা তৈরি খাবার। নারকেল তেল, পামঅয়েল, দুধের সর, ঘি, মাখন, পনির ইত্যাদি।

খাওয়া যাবে : মুরগির গোশত, সব ধরণের মাছ, ডিমের সাদা অংশ, সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, ফলমূল, শাকসবজি।

খাওয়া উচিত : ইসবগুলের ভুসি, কাঁচা ছোলা।

করা উচিত : ধূমপান বর্জন, প্রতিদিন ৩০ - ৪০ মিনিট হাঁটা। বছরে অন্তত একবার রক্তের চর্বির মাত্রা পরীক্ষা করা। চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া। থেলস স্ক্রিনিংই নির্ণয় করতে পারে আপনি পরিপূর্ণ সুস্থ কি না। প্রতি ছয় মাস অন্তর যাদের বয়স ৪০ পার হয়েছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শে হেল্‌থ স্ক্রিনিং করা একান্ত প্রয়োজন। ফলে অতি দ্রুত আপনার স্বাস্থ্য সমস্যা ও তার চিকিৎসা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। সেই সাথে রোগের জটিলতা ঝুঁকি ও চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনবে। সুস্থ অনুভব করা সত্ত্বেও পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য নিয়মিত ঞেলথ স্ক্রিনিং করা একান্ত প্রয়োজন।

যেকোনো অসুস্থতাই আমাদের মনে করিয়ে দেয় সুস্থ থাকা কতো জরুরি। চেষ্টা আর সঠিক চিকিৎসা জানা থাকলে তা থেকে মুক্ত থাকা খুব বেশি অসম্ভব নয়। স্বাস্থ্যের একটি নিজস্ব বিজ্ঞান আছে, তেমনি আছে রোগেরও।

আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সা.) এর অনুসৃত মিতাচারী, পরিশ্রমী সুন্নতি জীবনযাপন নিঃসন্দেহে আমাদের সুস্থ থাকতে সহায়ক।

নীরব ঘাতক রোগ ডিসলিপিডেমিয়া !!চর্বিকে  ইংরেজিতে বলা হয় ফ্যাট। এই ফ্যাটকে মেডিকেলের পরিভাষায় বলা হয় লিপিড। রক্তে লিপিডের ...
13/09/2025

নীরব ঘাতক রোগ ডিসলিপিডেমিয়া !!

চর্বিকে ইংরেজিতে বলা হয় ফ্যাট। এই ফ্যাটকে মেডিকেলের পরিভাষায় বলা হয় লিপিড। রক্তে লিপিডের সমতার ব্যতিক্রম হলে তখন সেটিকে বলা হয় ডিসলিপিডেমিয়া। ২০১১- ২০১২ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধায়নে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়েছিল প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষের মধ্যে। ৬৩ হাজার ৭০৮ জনের মধ্যে এক হাজার ১৭০ জনের ডিসলিপিডেমিয়া পাওয়া গিয়েছিল। অতি ঝুঁকিতে ছিল পুরুষ ৬০ শতাংশ, মহিলা ৪০ শতাংশ। আল্প ঝুঁকিতে ছিল ছিল পুরুষ ৪৪ শতাংশ, মহিলা ৫৬ শতাংশ। রোগগ্রস্থ মোটা ছিল পুরুষ ৩৯ শতাংশ ও মহিলা ২১ শতাংশ।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ আরও কিছু রোগ আছে যার জন্য রোগীর মধ্যে তেমন কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না, তেমনি একটি রোগ এই ডিসলিপিডেমিয়া। আমাদের দেহের রক্তের মধ্যে অনেক উপাদান রয়েছে যার মধ্যে লিপিড (চর্বি) একটি অন্যতম উপাদান এবং শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। লিপিডের মৌলিক উপাদান চারটি যথা – কোলেস্টেরল, হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন, লোডেনসিটি লাইপোপ্রোটি ও ট্রাইগ্লিসারাইড।

এ উপাদানগুলো রক্তের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে থাকে। যদি কোনো কারণে যে কোনো একটি উপাদান বেশি অথবা কম হয় তখনি তাকে বলে ডিসলিপিডেমিয়া। মোটা মানুষের শরীরে চর্বি বা মেদ বেশি এটি সত্য। তাই বলে মোটা হলে যা তার শরীরে লিপিড বেশি থাকবে এটি মিথ্যা। পক্ষান্তরে স্বাভাবিকের তুলনায় কম ওজনের মানুষও ডিসলিপিডেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। অর্থাৎ লিপিডের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। অনেকের চোখের ওপরের পাতার বা নিচের পাতা চর্বি জমে ফুলে থাকে - এটিকে বলা হয় জ্যানথেল আজমা। রক্ত পরীক্ষা করলে তাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়।

ডিসলিপিডেমিয়ার সঠিক কারণ আজো জানা যায়নি। তবে জেনেটিক, বংশগত বা পারিবারিক কারণে রক্তে লিপিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। কিছু রোগের কারণে যেমন- হাইপোথাইরয়েডিজম, কুশিং, সিনড্রাম, লিভার ও কিডনির বেশ কিছু রোগ, ডায়াবেটিস, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন, জন্ম বিরতিকরণ পিল সেবন, হরমোন থেরাপি, বেশি ক্যালরিযুক্ত খাদ্য, চর্বিদার খাদ্য, লাল মাংস, ( গরু, খাসি, হরিণ, ভেড়া, মহিষ) মদ, সফটড্রিংকস, শর্করাজাতীয় খাদ্য, ভাত, আলু, ইত্যাদি বেশি খাওয়া হলে রক্তে লিপিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এগুলো ছাড়াও বিষণ্ণতা প্রতিরোধী ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ সেবনের কারণ, সর্বোপরি অকর্মণ্য জীবন যাপন, বসে - শুয়ে থাকার কারণেও ডিসলিপিডেমিয়া হতে পারে। ভাত ও আলু ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যেতে পারে।

উন্নত বিশ্বে ওবেসিটি অর্থ সমস্ত শরীরই ফুলে যাওয়া। আমাদের দেশে ওবেসিটি অর্থ পেট মোটা হয়ে যাওয়া। এটি বলা হয় সেন্ট্রাল ওবেসিটি, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমাদের দেশে, যার মূল কারণ শর্করা জাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়া।

ডিসলিপিডেমিয়ার ক্ষতিকারক দিকগুলো হচ্ছে – স্ট্রোক (মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ), উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, করনারি হার্ট ডিজিজ (হৃদরোগ) অ্যাকুইট এমআই (মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন) বা হার্ট অ্যাটাক, অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ, পিত্তপাথর, শরীর ব্যথা, মাজা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। মহিলাদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব, অনিয়মিত পিরিয়ড। লিপিড রক্ত রক্তনালীর মধ্যে জমা হয়ে রক্তনালী সরু করার কারণে রক্ত চলাচলে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে যে রোগের সৃষ্টি করে তার না পেরিফেরাল ভাসকুলার ডিজিজ। এটিও ডিসলিপিডেমিয়ার কারণে হয়ে থাকে।

আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রজাতির বিড়াল পাওয়া যায়। দেশি, পার্সিয়ান, মিক্সড ব্রিড, বেঙ্গল, সাইবেরিয়ান ইত্যাদি। তবে সহজলভ্য বলে...
13/09/2025

আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রজাতির বিড়াল পাওয়া যায়। দেশি, পার্সিয়ান, মিক্সড ব্রিড, বেঙ্গল, সাইবেরিয়ান ইত্যাদি। তবে সহজলভ্য বলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় দেশি, পার্সিয়ান ও মিক্সড ব্রিড বিড়াল।

বিড়ালের সবচেয়ে বেশি যে রোগ হয় তা হলো ফ্লু। প্রথম তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ফ্লুর টিকা দিতে হয়। এছাড়া প্রতি বছর একবার ভ্যাকসিন দিলে বিড়ালের আচঁড় বা কামড় থেকে বিপদের আশঙ্কা থাকে না।

বিড়াল থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি

টক্সোপ্লাজমোসিস নামের একটি পরজীবী বিড়ালের মলের মাধ্যমে ছড়ায়। মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় এ রোগটি মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

বিড়ালের শরীরে উকুন, ফ্লি বা অন্যান্য পরজীবী থাকলে তা মানুষের ত্বকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

কিছু ব্যাকটেরিয়া বিড়ালের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যেমন সালমোনেলা বা ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর।

বিড়ালের যত্ন ও সতর্কতা

নিয়মিত বিড়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। বিড়ালকে নিয়মিত গোসল করানো এবং লোম পরিষ্কার রাখতে হবে।

বিড়ালের লিটার বক্স পরিষ্কার করার সময় গ্লাভস এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বিড়ালের সঙ্গে খেলার পর হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

সকালের দুধ-চা নাকি লাল চা, পাকস্থলীর জন্য কোনটা ভালো?সকালের নাস্তায় অনেকেই দুধ-চা খেতে ভালোবাসেন, আবার কেউ কেউ পছন্দ করে...
13/09/2025

সকালের দুধ-চা নাকি লাল চা, পাকস্থলীর জন্য কোনটা ভালো?

সকালের নাস্তায় অনেকেই দুধ-চা খেতে ভালোবাসেন, আবার কেউ কেউ পছন্দ করেন লাল চা। বিশেষ করে পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগছেন যারা, তাদের জন্য চায়ের ধরন বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রশ্ন হচ্ছে—সকালে দুধ-চা নাকি লাল চা, পাকস্থলীর জন্য কোনটি বেশি উপকারী?

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ-চা কালো চায়ের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে তৈরি হয়। এতে ক্যাফেইনের মাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকায় কিছু মানুষের পাকস্থলীতে জ্বালা বা অম্লতা সৃষ্টি হতে পারে। যদিও দুধ এসিডিটি কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে অনেকে দুধের কারণে হজমের সমস্যাও অনুভব করেন। তাই দুধ-চা পাকস্থলীর জন্য সবার ক্ষেত্রে সমান উপকারী নয়।

অপরদিকে, লাল চায়ে ক্যাফেইনের মাত্রা কালো চায়ের তুলনায় কম এবং এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল পাকস্থলীর জ্বালা ও অম্লতা কমাতে সহায়ক। এটি হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। তবে লাল চা অতিরিক্ত গরম বা বেশি ঘন হলে পাকস্থলীতে উল্টো ক্ষতি করতে পারে।

পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগছেন যারা, তারা সকালে হালকা ও একটু ঠাণ্ডা লাল চা পান করতে পারেন। অন্যদিকে, যাদের পাকস্থলীতে কোনো সমস্যা নেই, তারা দুধ-চা উপভোগ করতে পারেন, তবে তা পরিমিত পরিমাণে।

পুষ্টিবিদদের মতে, চায়ের পাশাপাশি সকালের খাবারের ধরনও গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত মশলাদার বা তেলতেলে খাবারের সঙ্গে চা পাকস্থলীর সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই সহজপাচ্য খাবারের সঙ্গে চা পান করাই উত্তম।

পাকস্থলীর জন্য লাল চা সাধারণত দুধ-চায়ের চেয়ে ভালো বিকল্প হলেও, ব্যক্তিভেদে প্রভাব ভিন্ন হতে পারে। তাই নিজের শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চায়ের ধরন বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

পানি থেকে বিষাক্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক দূর করার সহজ উপায়, জেনে নিন :বিষাক্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের জীবনকে অক্টোপাসের মতো জ...
13/09/2025

পানি থেকে বিষাক্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক দূর করার সহজ উপায়, জেনে নিন :

বিষাক্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের জীবনকে অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে রেখেছে। খাবার ও পানীয়র মাধ্যমে অজান্তেই শরীরে প্রবেশ করছে অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক। বোতলজাত মিনারেল ওয়াটারও এ বিপদ থেকে মুক্ত নয়। প্রতিদিন পানির সঙ্গে হাজার হাজার প্লাস্টিক কণা শরীরে প্রবেশ করে নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে বোতলবন্দি মিনারেল ওয়াটারের জলও সুরক্ষিত নয়। তাতেও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম প্লাস্টিক কণা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি সর্বত্রই। খাবারের কথা না হয় বাদই দেওয়া হল, সবচেয়ে বেশি ভয় পানীয় জল নিয়ে। তাতে মিশে যদি রোজই হাজার হাজার প্লাস্টিক কণা শরীরে সেঁধিয়ে যায়, তা হলে যে সব রোগ বাসা বাঁধবে, তাদের নাম শুনলেই আতঙ্কে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়। কিন্তু বাড়িতে জল বিশুদ্ধকরণের উপায় কী? ফিল্টার ছাড়া গতি নেই। বোতলের জল যদি কিনে আনেন, তা হলে সেই জলও পরিশোধন করা প্রয়োজন। কী ভাবে সহজে জল থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক ছেঁকে বার করা যাবে, তার একটি সহজ পদ্ধতি শিখিয়েছেন চিনা বিজ্ঞানীরা।

চিনের গুয়াংঝৌ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও জিনান ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা পানি পরিশোধনের উপায় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই গবেষণা করছেন। জল থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূর করার এক পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন গবেষকেরা। তাদের মতে, পানি ফুটিয়ে নিলেই মাইক্রোপ্লাস্টিক অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। কারণ হিসেবে গবেষকদের ব্যাখ্যা, জল ফোটালে এতে থাকা ক্যালসিয়াম কার্বনেট (লাইমস্কেল) জমাট বাঁধে এবং স্ফটিক তৈরি করে। এই স্ফটিকগুলি মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণাগুলিকে আটকে ফেলে। যে জলে ক্যালসিয়াম বা খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেশি (অর্থাৎ 'হার্ড ওয়াটার') সেই জলে এই পদ্ধতি বেশি কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পানি ফুটিয়ে ছেঁকে নিলে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক দূর করা সম্ভব। জল ফুটিয়ে তা পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এই ফোটানো পানি কিন্তু আর প্লাস্টিক বা কাচের বোতলে ভরা যাবে না। সরাসরি খেয়ে নিতে হবে, না হলে আবারও বোতল থেকে গুঁড়ো প্লাস্টিক মিশে যাবে তাতে।

গবেষকদের মতে, পানিতে যে সব মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পলিপ্রপিলেন, নাইলন ও পলিইথাইলিনের মতো রাসায়নিক। দোকান থেকে যে জল বা নরম পানীয়ের বোতল কেনা হয়, তার মধ্যেও মিশে থাকে প্লাস্টিকের কণা। এক একটি বোতলে দশ হাজারেরও বেশি প্লাস্টিক কণার হদিশ মিলেছে। প্রতি লিটারে হিসেব করলে যার গড় পরিমাণ হয় ১০.৪ শতাংশ। যে প্লাস্টিক পদার্থ দিয়ে বোতল বা তার তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকেই জলে মিশছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। এই ধরনের বিষাক্ত জল দীর্ঘ দিন ধরে খেলে ক্যানসার, অটিজ়ম, শুক্রাণু কমে যাওয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। হতে পারে কিডনির রোগও। তবে পানি ফোটানো ছাড়াও রিভার্স অসমোসিস প্রক্রিয়াও প্লাস্টিক দূর করার জন্য উপযোগী। রিভার্স অসোমিসের সুবিধা আছে, এমন ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহার করা যেতে পারে।

নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সতর্ক হন এখনই ; বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ—কা...
13/09/2025

নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সতর্ক হন এখনই ;

বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ—কায়িক পরিশ্রম না করা, মোটা বা স্থূলকায় হয়ে যাওয়া, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড খাওয়া ও কোমল পানীয় পান করা, অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকা, ধূমপান বা তামাক খাওয়া, গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন সমস্যা এবং বাবা-মা অথবা রক্তসম্পর্কীয় নিকট আত্মীয়ের ডায়াবেটিস থাকা ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

আজ ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস ও ডায়াবেটিস সমিতির ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য—‘ডায়াবেটিস প্রতিরোধের এখনই সময়’। নীরব ঘাতক স্বভাবের যে অসংক্রামক রোগটি দেহে বহু ব্যাধির আহ্বায়ক, সেই ডায়াবেটিস রোগটির অব্যাহত অভিযাত্রায় শংকিত সবাই। ডায়াবেটিস এমনই একটি রোগ, যার প্রধান কারণ আপনার অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা। ব্লাড সুগার বাড়ার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। চোখ, কিডনি, লিভার, হার্ট ও পায়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এমনকি ডায়াবেটিস প্রাণঘাতীও হতে পারে।

ডায়াবেটিস এক ধরনের মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। মানুষ যখন খাবার গ্রহণ করে, তখন শরীরের প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিনের কাজ হলো যে খাবার খাওয়া হচ্ছে সেটির অতিরিক্ত গ্লুকোজ কমিয়ে দেওয়া। যখন ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায় বা ইনসুলিন উৎপাদন হওয়ার পরও যখন কাজ করতে পারে না, তখন শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকে। সেই অবস্থাকেই বলা হয় ডায়াবেটিস।

ডায়াবেটিস সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস ও টাইপ টু ডায়াবেটিস।

টাইপ ১ ডায়াবেটিসের চেয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা নিয়ম মেনে চললেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। তাদের ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় না।

টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তখন রক্তের প্রবাহে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে। বিজ্ঞানীরা এখনও বের করতে পারেনি কী কারণে এরকমটা হয়। তবে তারা বিশ্বাস করেন যে এর পেছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে। অথবা অগ্ন্যাশয়ে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও এমন হতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ১০ শতাংশ এই টাইপ ওয়ানে আক্রান্ত।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস হলো জীবনধারার রোগ। এর জন্য দায়ী হলো ওজন বৃদ্ধি, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা। প্রাথমিক অবস্থায় যদি এটি চিকিৎসা করা না হয় তাহলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

টাইপ টু ডায়াবেটিসে যারা আক্রান্ত তাদের অগ্ন্যাশয়ে যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা এই হরমোনটি ঠিক মতো কাজ করে না। সাধারণত মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ ব্যক্তিরা টাইপ টু ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও যাদের ওজন বেশি এবং যাদেরকে বেশিরভাগ সময় বসে বসে কাজ করতে হয় তাদেরও এই ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে তা বেড়ে যাওয়ার উপসর্গগুলোকেও চিনে রাখা জরুরি। না হলে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা অসম্ভব। সাধারত, শরীরের বেশ কিছু লক্ষণের প্রতি সজাগ থাকলেই এই অসুখ সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়।

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, রোজের যে যে বদভ্যাসের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে -

ব্রেকফাস্ট না করা: সকালের জলখাবার সত্যিই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, ব্রেকফাস্ট না করে একেবারে দুপুরের লাঞ্চ এবং রাতের ডিনার করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকে।

সানবার্ন: খুব বেশি রোদে পোহানোর ফলেও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সিডিসি অনুসারে, সানবার্নের কারণে ব্যথা হতে পারে, যার কারণে স্ট্রেস বাড়ে, এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়ে।

কফি: কফি অনেকেরই অত্যন্ত প্রিয়। কফি প্রেমীদের কাছে সারা দিনে ৪-৫ কাপ, এমন কিছু ব্যাপার না। কিন্তু কফি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কি স্বাস্থ্যকর? সিডিসি-র মতে, কফি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এমনকি চিনি ছাড়াও স্বাস্থ্যকর নয়।

অপর্যাপ্ত ঘুম: শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে একেবারে সুস্থ থাকতে হলে রোজ পর্যাপ্ত ঘুম খুব প্রয়োজনীয়। সিডিসি বলে, ঠিকমতো ঘুম না হলে বা ঘুমের অভাবের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।

মাড়ির সমস্যা: আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালের একটি আর্টিকেল অনুসারে, মাড়ির রোগ হলেও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে। এর ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

ডিহাইড্রেশন; শরীরে অপর্যাপ্ত জলও রক্তে উচ্চ শর্করার কারণ। ডিহাইড্রেশনের কারণে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। রক্তে উচ্চ শর্করার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, যার ফলে ডিহাইড্রেশন আরও গুরুতর দিকে যায়।

রক্তে ইনসুলিনের অভাবই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, জীবনযাত্রায় খানিক পরবর্তন আনলেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। তার জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে করতে হবে শরীরচর্চা, ডায়েটে আনতে হবে বদল। যে কোনও শারীরিক সমস্যা যদি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা যায়, তা হলে চিকিৎসা শুরু করতেও অনেক সুবিধা হয়। মাথা ঘোরা, ওজন কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়ার মতো কিছু প্রাথমিক লক্ষণ জানান দেয় ডায়াবেটিস বাসা বেঁধেছে শরীরে। জেনে নিন রক্ত পরীক্ষা করার আগেই শরীরে যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত-

সাধারণত, ডায়াবেটিস দানা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই টের পাওয়া যায় না। রক্তপরীক্ষা করিয়ে তা বুঝে নিতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। যে কোনও ক্রনিক অসুখের ক্ষেত্রে যত আগে অসুখের উপস্থিতি টের পাবেন ততই ভাল।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে তা বেড়ে যাওয়ার উপসর্গগুলোকেও চিনে রাখা জরুরি। না হলে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা অসম্ভব। সাধারত, শরীরের বেশ কিছু লক্ষণের প্রতি সজাগ থাকলেই এই অসুখ সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়।

বার বার পানির তেষ্টা পাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব আসা, দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে যাওয়া ডায়াবেটিসের সাধারণ উপসর্গ। এছাড়াও রয়েছে কিছু অজানা উপসর্গ যা দেখলেই সতর্ক হতে হবে।

ঘাড়ের চারপাশে হঠাৎ কালো ছোপ লক্ষ করছেন? এটা কিন্তু ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।

ডায়েট বা শরীরচর্চা করা ছাড়াই ওজন কমে যাচ্ছে। খুশি হওয়ার প্রয়োজন নেই। এটিও হতে পারে ডায়াবেটিসের লক্ষণ।

যৌনআসক্তি কমে যাচ্ছে? ডায়াবিটিসের অজনা উপসর্গের মধ্যে এটিও অন্যতম লক্ষণ।

যদি দেখেন ত্বকের ঠিকমতো পরিচর্যার পরেও চামড়া থেকে খোসা উঠতে শুরু করেছে, খুব বেশি চুলকানি হচ্ছে তাহলে হতেই পারে আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

প্রতিদিনের অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত ফাস্টফুড, চিনি, কার্বোহাইড্রেট খাওয়া- এইসবই কিন্তু বাড়িয়ে দেয় ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা। যে কারণে ডায়াবেটিসের সমস্যায় আগেই যেমন রাশ টানতে হবে জীবনযাত্রায় তেমনই খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। ডায়েটে এমন কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যা রক্তে শর্করার বর্ধিত স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। চর্বিযুক্ত মাছ, শাকসবজি, ভিটামিন সি, ডিম, মটরশুঁটি, টকদই, করলা, মেথি ডায়েটে রাখলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন যারা, এখনই ধূমপান এবং মদ্যপান বর্জন করুন। নিয়মিত সুগারের লেভেল দেখুন। নিয়ম মেনে ওষুধ খান। সারাদিনে অন্তত ঘণ্টাখানেক সময় রাখুন হাঁটার জন্য। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এ ক্ষেত্রে রোগী ঘন ঘন ভাইরাস বা ব্যক্টেরিয়ার আক্রমণে সংক্রমিত হতে পারেন। তাই ঘন ঘন যৌনাঙ্গের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণের শিকার হলে একটু সতর্ক হন। ডায়াবেটিসের রক্তপরীক্ষাটি করিয়ে নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মানসিক চাপ– নিরব ঘাতক !!!বর্তমান সময়ে গুরুত্ব না দেয়া সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগ । প্রতিদিন আমাদের আশেপাশে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে...
13/09/2025

মানসিক চাপ– নিরব ঘাতক !!!
বর্তমান সময়ে গুরুত্ব না দেয়া সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগ । প্রতিদিন আমাদের আশেপাশে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছেন, যারা আপাতদৃষ্টিতে হাসিমুখে কাজ করলেও ভেতরে ভেতরে লড়ছেন এক ভয়ংকর মানসিক যন্ত্রনার সঙ্গে। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো, কেন বাড়ছে মানসিক চাপ, কী তার লক্ষণ, আর কীভাবে আমরা এই চাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি।
বাংলাদেশে ৪৮% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কোনো না কোনোভাবে মানসিক চাপে ভুগছেন।
নারীদের মধ্যে এই হার আরও বেশি প্রায় ৫৮%।
ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ও একাকীত্বের হার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

মানসিক চাপের কারণগুলো যদি খুঁজি তাহলে বলতে হয়:
দীর্ঘ সময় ট্রাফিক সিগনালে আটকে থেকে অফিসে দেরী হয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তাও আপনাকে ঠেলে দিতে পারে মানসিক চাপের দিকে ।
বেকারত্ব যখন দীর্ঘ সময় ঘিরে ধরেছে আপনাকে , ধীরে ধীরে একটি ভালো চাকরি পাওয়ার প্রত্যাশা আপনাকে দূরে ঠেলে দিবে আপনার পরিবার থেকে । হয়তো চাকরি জীবন শুরু করলেন, কিন্তু একবার সবার থেকে দূরে সরে গিয়ে আবার চাইলেও আগের মতো সম্পর্কে ফিরে আসা সম্ভব হয় না । ব্যস মানসিক চাপ ।

ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন বা প্রিয়জনের সাথে কোন কারণে বাক-বিতণ্ডা আপনাকে ঠেলে দিতে পারে মানসিক চাপের মধ্যে । তবে মানসিক চাপ শুধু মনের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকে না, তার শারীরিক প্রতিক্রিয়াও হয় , যা আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারি না।

এবার চলুন জেনে নেই মানসিক চাপের লক্ষণ সম্পর্কে:
শুধু শুধু কোনো বিষয়ে অস্থিরতা অনুভব করা ।
খিটখিটে মেজাজ ।
কারো সাথে কথা বলতে ভালো না লাগা ।
ধীরে ধীরে একাকিত্বের মধ্যে ডুবে যাওয়া ।
ক্লান্তি অনুভব এবং ঘুমের সমস্যা হওয়া ।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা
লক্ষণগুলোর কোনো একটি আপনার মধ্যে লক্ষ্য করলে দ্রুত একজন দক্ষ মনঃচিকিৎসক এর শরণাপন্ন হোন। এছাড়া নিজেও নিতে পারেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ । নিজের লাইফস্টাইলে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা কিছু অভ্যাস যোগ করে নিজের মানসিক চাপ কমিয়ে নিতে পারবেন সহজে ।

যোগব্যায়াম:
নিয়মিত যোগব্যায়াম আপনাকে দিতে পারে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি । অনেক ধরনের যোগব্যায়াম রয়েছে । যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে প্রানায়াম, দুশ্চিন্তা দূর করতে ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে মেডিটেশন, শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উত্তরাসন করতে পারেন। যোগব্যায়াম করার সবচেয়ে উত্তম সময় হলো সূর্যাস্তের সময়। এছাড়াও বিকালে বা সন্ধ্যায়ও এটি করা যেতে পারে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুম:
মানসিক চাপ কমাতে সঠিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস জরুরি । সাথে সময়মত ঘুম আপনাকে দিবে রিল্যাক্সিং । ফলে শরীর ও মন দুটোই চাঙ্গা হয়ে উঠবে ।

ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ:
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তার জীবনের মানসিক চাপ কমাতে ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন । নিয়মিত নামাজ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত ও তাকদিরের উপর বিশ্বাস রাখা মুমিনকে অবশ্যই আল্লাহ সকল মানসিক শান্তি প্রদান করবেন।

এ বিষয়ে আল্লাহ সূরা আল-বাকারা : ১৫৫-১৫৬ নং আয়াতে বলেন, “আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব সামান্য ভয় ও ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফসলের কিছুটা ক্ষতি দিয়ে; আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও, যাদের ওপর কোনো বিপদ এলে বলে, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি ‘।” তাই নিশ্চয়ই আমরা হতাশায় আক্রান্ত হলে তাঁর কাছেই ফিরে যাবো।

ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বী যারা আছেন তারা নিজ নিজ ধর্মের নিয়ম মেনে প্রার্থনা ও ধর্ম চর্চা করবেন।

যথাসম্ভব ডিজিটাল ডিভাইস থেকে বিরতি নিন:
ডিজিটাল ডিভাইসে (কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, টিভি) থেকে বিরতি নিন । দীর্ঘ সময় ধরে এসব ডিভাইসে হারিয়ে যাওয়া ডিপ্রেশনের অন্যতম কারণ । অনেক সময় টিনেজাররা টিভি বা মুঠোফোনে অন্যকারো বিলাসবহুল জীবন দেখে নিজে তেমন পাওয়ার আশায় হীনমন্যতায় ভোগে । এসব থেকে বাঁচতে ভার্চুয়াল জীবন থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে ।

প্রিয় মানুষদের সাথে যোগাযোগ করুন:
প্রিয় মানুষদের সাথে যোগাযোগ কমাতে পারে আপনার মানসিক চাপ । তাদের বলা কথা কাজ করতে পারে আপনার সমস্যা সমাধানে ।

ভ্রমণে বের হতে পারেন:
মানসিক চাপ কমানোর আরেকটি ভীষণ কার্যকরী উপায় হলো ভ্রমণ করা। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকলে আমাদের মনে সতেজ থাকে, নতুন নতুন মানুষ বিষয় ও মানুষের সাথে পরিচিত হলে আমরা দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারি।

যারা ভ্রমণ পিপাসু মানুষ আছেন তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা থেকে মুক্ত। তাই আপনিও যদি মানসিক চাপ কমাতে চান তাহলে সারাদিনের কর্মব্যস্ততা, সাংসারিক কাজের মাঝেও কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য সময় বের করুন। যতটা সম্ভব প্রকৃতির কাছকাছি ঘুরতে যান।

13/09/2025

নীরব ঘাতক - মানসিক চাপ
জানুন কিভাবে?

নীরব ঘাতক অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার !!মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ অগ্ন্যাশয়। অঙ্গটি পাকস্থলির পেছন হতে পেটের ওপরের দিকে আড়াআড়ি...
03/09/2025

নীরব ঘাতক অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার !!

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ অগ্ন্যাশয়। অঙ্গটি পাকস্থলির পেছন হতে পেটের ওপরের দিকে আড়াআড়িভাবে থাকে। এর প্রধান কাজ এনজাইমগুলোকে মুক্ত করা, যা রক্তে শর্করার মাত্রা পরিচালিত করার জন্য হজম এবং হরমোনগুলোর উন্নতিতে সাহায্য করা। অগ্ন্যাশয়ে কোনো সমস্যা দেখা দিলে রোগীর হজমে সমস্যা হয়। ওজন কমতে থাকে। রক্তের শর্করা বিপাকেও সমস্যা দেখা দেয়।

অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার বা প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার হলে প্রাথমিক পর্যায়ে সহজে শনাক্ত করা যায় না। প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গ বোঝা যায় না। রোগটি যখন অন্যান্য অঙ্গে (চতুর্থ বা পঞ্চম পর্যায়) ছড়িয়ে পড়ে তখন এটি ধরাও পড়ে, চিকিৎসাও কঠিন হয়ে যায়।

উপসর্গ :

ঘন ঘন ক্লান্তিবোধ, দুর্বলতা। ক্ষুধামান্দ্য, অত্যধিক পিপাসা, বদহজম, বমি ভাব, পা ফোলা, লালভাব এবং ব্যথা, জন্ডিস, রক্ত জমাট, চুলকানি, পেটের ওপরের দিকে ব্যথা, গাঢ় বা বাদামি প্রস্রাব, পিঠের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, ওজন কমে যাওয়া, বিষণ্নতা বা অস্বস্তিকর অনুভূতি ইত্যাদি।

কারণ :

n প্রায় ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে এর নেপথ্যে ধূমপান জড়িত।

n ৫-১০ শতাংশ আক্রান্ত হয় জিনগত কারণে।

n স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও পারিবারিক ইতিহাস, অগ্ন্যাশয় প্রদাহ।

n পেটে আলসার থাকলে।

n অ্যালকোহল সেবন করলে।

n এ ছাড়া বয়স্কদের মধ্যে রোগটি বেশি দেখা যায়।

রোগ নির্ণয় :

রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি পিইটি স্ক্যান, এন্ডোস্কোপিক আল্ট্রাসাউন্ড, এমআরআই, বায়োপসি, এফএনএ, এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোলঙ্গিওপ্যানক্রিয়াটিক এসব পরীক্ষায় এটি ধরা পড়ে।

অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার দুই প্রকার :

এক্সোক্রাইন অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার: এতে বহির্মুখী কোষে শুরু হওয়া ক্যান্সার কোষগুলো পাচন রস তৈরি করে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার এক্সোক্রাইন অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে পরিণত হয়। এক্সোক্রাইন অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার উপপ্রকারগুলো হলো: অ্যাডেনোকার্সিনোমাস—এটি কোষগুলোতে শুরু হয়, যা অগ্ন্যাশয়ের নালিগুলোকে বন্ধ করে দেয়। একে সাধারণ ধরনের ক্যান্সার হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া স্কোয়ামাস সেল কার্মিনোমা, অ্যাডেনোকোয়ামাস কার্সিনোমা এবং কলয়েড কার্সিনোমাও রয়েছে।

এন্ডোক্রাইন অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার—এটি অগ্ন্যাশয়ের সেই অংশে শুরু হয়—যেখানে ইনসুলিন এবং অন্যান্য হরমোনগুলো তৈরি হয়ে রক্তে যায়। এন্ডোক্রাইন হরমোনগুলোর নাম গ্যাস্ট্রিনোমাস ও ইনসুলিনোমাস।

পর্যায় :

প্রথম পর্যায়—ক্যান্সার অগ্ন্যাশয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

দ্বিতীয় পর্যায়—টিউমার আকারে অগ্ন্যাশয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে টিউমার আকারে বেড়ে ২ থেকে ৪ সেন্টিমিটারের মতো হয়।

তৃতীয় পর্যায়—টিউমারটি আকারে ৪ সেন্টিমিটারের বেশি এবং ক্যান্সারটি কাছাকাছি লসিকা গ্রন্থিতে ছড়িয়ে পড়ে।

চতুর্থ পর্যায়—ক্যান্সারটি নিকটস্থ রক্তনালি বা স্নায়ুতে ছড়িয়ে পড়ে।

পঞ্চম পর্যায়—ক্যান্সারটি দূরবর্তী অঙ্গগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

চিকিৎসা :

পর্যায় ও গ্রেডের ওপর নির্ভর করে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসা অস্ত্রোপচার। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যান্সার সম্পূর্ণ নির্মূল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ক্যান্সার নির্মূল কঠিন হয়ে পড়ে। এ পর্যায়ে মানসিক যন্ত্রণা কমানোর জন্য ওষুধ, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির প্রদান করা হয়।

প্রতিরোধ :

ধূমপান ও মদ্যপান ছাড়তে হবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, পরিমিত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

❤️ পুরুষ সবচেয়ে ভয় পায় যে প্রাণীকে—তার নাম নারী।পুরুষ সবচেয়ে অবিশ্বাস করে যে প্রাণীকে—তার নাম নারী।পুরুষ সবচেয়ে ঘৃণা...
03/09/2025

❤️ পুরুষ সবচেয়ে ভয় পায় যে প্রাণীকে—তার নাম নারী।
পুরুষ সবচেয়ে অবিশ্বাস করে যে প্রাণীকে—তার নাম নারী।
পুরুষ সবচেয়ে ঘৃণা করে যে প্রাণীকে—তার নাম নারী।
কিন্তু সবচেয়ে গভীরভাবে ভালোবাসে যে প্রাণীকে—তার নামও নারী।

পুরুষ যে প্রাণীটিকে চোখে চোখে রাখতে চায়, তার নাম নারী।
যার জন্য সে সবচেয়ে অনেক চোখের জল ফেলে, তার নামও নারী।
যাকে সবচেয়ে প্রগাঢ়ভাবে কামনা করে, তার নাম নারী।
যার জন্য সে সবকিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত, তার নাম নারী।
যার জন্য রাত জেগে কবিতা লিখে, তার নাম নারী।

একজন পুরুষ যে সেরা উপহার দেয়, সেই উপহার হয় তার প্রিয় নারীর জন্য।
পৃথিবীর যত ফুল আছে, তার বেশিরভাগই পুরুষ তার নারীর জন্য তুলে আনে।
যার জন্য সে বিরহে কাঁদে, সেই নারীই তার জীবনের হৃদয়।
পুরুষ যে এতকিছু করে, তার লক্ষ্য হয় কেবল সেই নারী।

একজন পুরুষ যাকে মনের মতো করে সাজায়, সে একজন নারী।
যার জন্য সে সিংহাসন ছেড়ে দেয়, সেই নারীই তার প্রেরণা।
যার জন্য নিজের জীবনও বাজি রাখতে পারে, সেই নারীর প্রতি তার ভালবাসা অমর।

তবুও, সত্যিটা হলো—নারী শুধুই পুরুষের আবেগের কেন্দ্র নয়।
নারী হলো মা, যে পুরুষকে পৃথিবীতে আনে।
নারী হলো বোন, যে নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় আগলে রাখে।
নারী হলো স্ত্রী, যে সংসারের ভার কাঁধে তুলে নেয়।
নারী হলো কন্যা, যে ঘর আলোকিত করতে জন্মায়।

পুরুষের কাছে এক বিভ্রমের নাম নারী,
কিন্তু সেই বিভ্রমই তার জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।

অনুজ মনে করায়—নারীর প্রতি সম্মান, ভালোবাসা এবং বোঝাপড়া থাকলে জীবন হয় সম্পূর্ণ, সম্পর্ক হয়।

লুপাস কি?সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমাটোসাস (এসএলই), সাধারণত লুপাস নামে পরিচিত একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার যা শরীরের ইমিউন সিস্টেম...
01/09/2025

লুপাস কি?
সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমাটোসাস (এসএলই), সাধারণত লুপাস নামে পরিচিত একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার যা শরীরের ইমিউন সিস্টেম যখন তার নিজের অঙ্গগুলিকে আক্রমণ করতে শুরু করে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে তখন ঘটে। লুপাস প্রায়ই তার অনিশ্চিত বৈশিষ্ট্যের কারণে একটি রহস্য রোগ হিসাবে পরিচিত;

অজানা কারণ
আকস্মিক, বিভ্রান্তিকর এবং বিভিন্ন লক্ষণ: লুপাস লক্ষণ এবং উপসর্গের বিস্তৃত অ্যারের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। সাধারণত 15 থেকে 44 বছর বয়সের মধ্যে উপসর্গগুলির সাথে লুপাস প্রতিটি রোগীর মধ্যে আলাদাভাবে উপস্থিত হয়।
রোগ নির্ণয়ে অসুবিধা লক্ষণগুলির প্রকৃতির কারণে: লুপাস নির্ণয়ের জন্য কোনও একক ল্যাব পরীক্ষা নেই, তবে, রিউমাটোলজিস্টরা বর্তমান উপসর্গ, ব্যক্তিগত চিকিৎসা ইতিহাস এবং নিকটাত্মীয়দের চিকিৎসা ইতিহাসের সাথে নির্দিষ্ট মানদণ্ডের সন্ধান করেন। তারা একটি সাধারণ রক্ত ​​​​পরীক্ষা দিয়ে রোগ নির্ণয় শুরু করে অ্যান্টিনিউক্লিয়ার অ্যান্টিবডি (ANA) রক্ত পরীক্ষা.
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, কোন নির্দিষ্ট প্রতিকার. বর্তমান ফ্লেয়ার-আপের ধরণের উপর নির্ভর করে চিকিত্সা পরিবর্তিত হয়।
যখন রোগটি উপস্থিত থাকে তখন লক্ষ্য অঙ্গগুলি অজ্ঞাত থাকে বহু অঙ্গ স্তর. এইভাবে এটি চিকিৎসা পেশাদারদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অটোইমিউন রোগগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।
যাইহোক, একজন ব্যক্তির জন্য লুপাস বোঝা, নির্ণয় এবং চিকিত্সা একটি সময়ের সাথে আরও সহজ এবং অনুমানযোগ্য হয়ে ওঠে। লুপাস আক্রান্ত অনেক লোকেরই নিয়ন্ত্রণযোগ্য ফ্লেয়ার-আপ এবং উত্পাদনশীল জীবন সহ হালকা আকারের লুপাস থাকে।

Address

Faridpur
FARIDPURSADAR-7800

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Patient Point posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Patient Point:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram