09/04/2023
১/ ফরিদপুর জেলার ব্যবসায়ীদের সংগঠনের নেতা নির্বাচিত হতে হবে ফরিদপুরের ব্যবসায়ীদের সরাসরি ভোটে। ঢাকার নেতাদের টাকা দিয়ে বা তাদের চামচামী করে বানিয়ে আনা পকেট কমিটি চলবে না।
২/ প্যারাসিটামল ব্যতিত অন্যান্য ২৪ হাজার ওষুধের দাম নির্ধারণ করে কোম্পানি, আর উনারা নাম ব্যবহার করছে সরকারের। ফৌজদারি দন্ডবিধি ৪১৬, ৪১৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
৩/ উনারা দোকানীদের ধরার জন্য গরিব-অসহায় সাজিয়ে অডিটর পাঠায় প্রতিদিন। কোন দোকানী দয়া দেখিয়ে ঐ গরিব-অসহায় ব্যক্তির নিকট সামান্য কিছু টাকা কম রাখলেই তাকে চার হাজার টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছে।
৪/ বিনা ভোটের সভাপতির কিছু আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার পোলাপানকে তিনি অডিটর বানাইছেন। এদের কাজ হল ঘুরে ঘুরে গরিব অসহায় রোগী সেজে দোকানে দোকানে জরিমানা আদায় করা।
৫/ আদায়কৃত চার হাজার টাকার অর্ধেক অডিটর পায়(হয়ত সভাপতিরেও ভাগ দেয়) আর বাকি অর্ধেক ফান্ডে জমা হয়। ফান্ডে জমা হওয়া টাকা এই বানিয়ে আনা কমিটি প্রতি মাসে তাদের ভাতা হিসেবে নিজেরা ভাগ করে খায়।
৬/ মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় 'সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য' নির্ধারণ করা যায়। উনারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সরকারের নাম ব্যবহার করে যেটা করেছে সেটা হল "সর্বনিম্ন বিক্রয় মূল্য" নির্ধারণ করে দিয়েছে। "সর্বনিম্ন বিক্রয় মূল্য" নির্ধারণ করার মানেই হল সিন্ডিকেট। কেউ কমে বিক্রি করবা তো সভাপতির পকেটে চার হাজার টাকা ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দিতেই হবে। ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলে টাকার অঙ্ক হয়ে যায় দ্বিগুন অর্থাত আট হাজার।
৭/ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে কোন কোম্পানির নিম্ন মানের ওষুধ বানিয়ে সেটার ছাড়পত্র পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর ভেজাল ধরার জন্য সরকারের অনেকগুলো সংস্থা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কোন বেসরকারী ব্যক্তিকে সরকারের মত আচরণ করার এখতিয়ার উনাকে কে দিলো?
Ali Ahsan Boney