08/08/2021
শিশুর কোষ্ঠবদ্ধতায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
দিনের পর দিন যদি শিশুর পায়খানা না হয় অথবা তার পায়খানা যদি অস্বাভাবিক শক্ত, শুষ্ক ও নিষ্কাশনে কষ্ট হয়, তবে বুঝতে হবে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে।
আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে আপনার শিশুটি সঠিকভাবে মলত্যাগ করতে সক্ষম নয় বা মলত্যাগে অসুবিধা হয়, তবে আপনার শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে পারে। শিশুর প্রায়ই কোষ্ঠবদ্ধতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে দেখা যায়।
#ইহার_কারন :
১. পিতামাতার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থাকলে শিশুও উক্ত রোগের প্রবণতা দেখা যায়।
২. স্তন্যদায়িনী মাতার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে শিশুর উক্ত রোগ প্রবণতা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়।
৩. শিশুকে কৌটার দুধ খাওয়ালে এবং তা সঠিকভাবে তৈরি করতে না পারলে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
৪. শাকসবজি, ফলমূল এসব খাবার থেকে বঞ্চিত থাকলে বা এসব খাবার না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
৫. শিশুকে পানি কম খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগবে।
৬. শিশুকে প্রতিদিন সময়মতো মলত্যাগের অভ্যাস করানো ভালো। নইলে অনিয়মিত মলত্যাগের ফলে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
৭. কিছু অসুখ - বিসুখের কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য ঘটে থাকে। যেমন : মলদ্বারে ফিশার বা ক্ষত, মলদ্বারের বা মল নালীর অস্বাভাবিক গঠন, অন্ত্রের আবদ্ধতা প্রভৃতি।
৮. কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
#করণীয় :
১. শিশুকে বেশী করে পানি এবং তরল খাবার খাওয়াতে হবে।
২. শিশুকে বেশী করে শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়াতে হবে।
৩. শিশুর নিয়মিত মল ত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৪. সঠিক প্রণালীতে দুধ তৈরী করে খাওয়াতে হবে।
৫. শিশুকে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে হবে।
৬. শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তাকে বিরেচক ঔষধাদি বা জোলাপ দেওয়া যাবে না কারন এতে সাময়িক উপকার পরবর্তীতে কোষ্ঠবদ্ধতা স্থায়ী হয় এবং যকৃতের ক্রিয়া বিঘ্নিত হয়ে নানা প্রকার রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
৭. স্তন্যপায়ী শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে স্তন্যদায়িনীর রাত্রি জাগরন, অনিয়মিত আাহার এবং চা,কফি বড় মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতি বর্জন করতে হবে।
৮. শিশুকে ইসবগুলের ভুসি ও ফলের রস খাওয়ানো যেতে পারে।
★শিশুর কোষ্ঠবদ্ধতা রোধে হোমিওপ্যাথিতে অনেক ঔষধ আছে।এর মধ্যে লক্ষণানুসারে নিম্ন লিখিত ঔষধ গুলো সব চেয়ে বেশী ব্যবহার হয়ে থাকে—
এলুমিনা
গ্রাফাইটিস
ক্রিয়োজোট
নাক্স ভমিকা
ব্রায়োনিয়া,
ক্যালকেরিয়া কার্ব,
লাইকোপোডিয়াম,
ম্যাগনেশিয়া মিউর,
নেট্রাম মিউর, ওপিয়াম, প্লাটিনাম, পডোফাইলাম, প্লাম্বাম, সিপিয়া, সাইলেসিয়া, সালফার সহ আরও অসংখ্য ঔষধ লক্ষন সাদৃশ্যে ব্যবহার করা হয়........
বি: দ্র: হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে ঔষধ খাওয়াবেন।