https://www.facebook.com/104621301353411/

Nutritionist Zohora Setara, Fulbaria (2025)

09/07/2025

🥭 Mango Lovers, This One's for You!

I uploaded this video earlier on my YouTube channel, and now it's finally here on this page too!

Watch this fun and fruity episode all about our king of fruits – the mango!

Do you know why mango is so special?
Check it out and enjoy!
👇 Let me know your favorite mango variety in the comments!

04/07/2025

গত ৪ দিন ধরে জ্বর। ওষুধ খেয়ে জ্বরকে কিছুটা কাবু করা গেলেও মাথা ঘুরানো কমছিলো না মোটেই। শোয়া থেকে উঠে বসলেই মনে হতো পুরো দুনিয়া দুলছে...। একে তো জ্বরে মুখ তেতো হয়ে আছে, কিছু খেতে পারছি না তারউপর আবার সারাক্ষণ মাথা ঘুরানো...কি যে এক অবস্থা! কিন্তু তাই বলে কি আর সারাদিন শুয়ে থাকা যায়!

বাড়িতে সবাই বলছিল এত ওষুধ খেলে মাথা তো ঘোরাবেই। ভাবলাম নিজে একটু খুজে দেখি। হাই-পাওয়ারের ওষুধ সেবনই কি একমাত্র কারণ? নাকি এর পেছনে অন্য কিছু আছে?

জ্বর হলে মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম ভাব হওয়া একটি সাধারণ উপসর্গ। এটি সাধারণত শরীরের ভেতরের বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো-

১. ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা)

জ্বরের সময় শরীর অতিরিক্ত ঘাম ও তাপ উৎপন্ন করে, যার ফলে শরীর থেকে পানি ও ইলেকট্রোলাইট (যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম) বের হয়ে যায়। এতে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে গিয়ে মাথা ঘুরাতে পারে।

২. রক্তচাপ কমে যাওয়া

জ্বরের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে গেলে রক্তচাপ নেমে যেতে পারে। এতে দাঁড়ালে বা বসে থাকলেও মাথা ঘোরার অনুভূতি হয়।

৩. ইনফেকশনের প্রভাব

জ্বর সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়। এই সংক্রমণ আমাদের শরীরের প্রতিরোধব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলে এবং কিছু রাসায়নিক নির্গত হয় (যেমন: সাইটোকাইন), যা মস্তিষ্কে ক্লান্তি ও মাথা ঘোরা তৈরি করতে পারে।

৪. ভিটামিন বা শক্তির ঘাটতি

জ্বরের সময় অনেকেই কম খাওয়া-দাওয়া করেন। এতে গ্লুকোজের ঘাটতি হয় যা মস্তিষ্কের কাজকে ব্যাহত করে এবং মাথা ঘোরায়।

৫. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

জ্বর কমানোর জন্য খাওয়া হাই পাওয়ারের কিছু ওষুধ (যেমন: প্যারাসিটামল বা অ্যান্টিবায়োটিক) কিছু ক্ষেত্রে মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে।

এক্ষেত্রে তাহলে করণীয় কি? ঠিক ধরেছেন!

জ্বর থাকলে প্রচুর পানি ও তরল খাবার খান (স্যুপ, ওআরএস, ডাবের পানি),

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন,

শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ানো এড়িয়ে চলুন,

জ্বর বেশিদিন থাকলে বা মাথা ঘোরা তীব্র হলে ডাক্তার দেখান।

আমি তো আমার মাথা ঘোরার কারণ বুঝতে পেরেছি, আপনি জানতেন তো? আপনার পরিচিত কেউ জ্বরে ভুগলে, মাথা ঘোরার কথা বললে হালকাভাবে নেবেন না... নিজে জানুন এবং শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।

#জ্বর

03/07/2025

আগামীকাল পরীক্ষা আর আজকে আমার জ্বর.....🙂

20/06/2025

পর্ব-২

নারী জীবন বেশ কয়েকটি ধাপে বিভক্ত (শৈশব>কিশোর> বয়ঃপ্রাপ্ত এবং গর্ভধারণ> মেনোপজ) যার একটি অন্যতম ধাপ হলো- মেনোপজ। কিন্তু কেন হয়? কখন হয়? অন্যান্য ধাপের সাথে এর পার্থক্য কোথায়?

চলুন একটু জানার চেষ্টা করি…

মেনোপজ , যা ক্লাইম্যাক্টেরিক নামেও পরিচিত, হলো সময় যখন মাসিক স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়, যা নারী মানুষের প্রজনন পর্যায়ের সমাপ্তি চিহ্নিত করে। আরও সহজ করে বললে- প্রতিটি নারীর জীবনে ঋতুস্রাব একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আর ঋতুচক্র বন্ধের প্রক্রিয়াটিই হলো “মেনোপজ”।

এখন, কিভাবে বুঝবেন মেনোপজ হয়েছে? হঠাৎ করে দু-এক মাস ঋতুস্রাব বন্ধ থাকা মানেই কি মেনোপজ হয়ে গেল? কিন্তু, অনিয়মিত ঋতুস্রাবের তো আরও কারণ থাকতে পারে, তাহলে?

বিশেসজ্ঞগণের মতে, পুরো এক বছর ঋতুস্রাব বন্ধ থাকলে মেনোপজ হয়েছে ধরা হয়। সাধারণত, ৪৫ বছরের পর থেকেই ঋতুচক্রে অনিয়ম লক্ষ্য করা যায়। ডিম্বাশয় থেকে female hormone (estrogen, progesterone) এর নিঃসরণ কমতে থাকে পাশাপাশি ঋতুস্রাবের পরিমাণও কমতে থাকে। একে Pre-menopausal syndrome বলা হয়।

পঞ্চাশোর্ধ মহিলাদের মেনোপজ হওয়াটাই স্বাভাবিক, প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু, কখনো কখনো এর হেরফের ঘটে। জিনগত কারণে অনেকসময় বয়সের আগেই মেনোপজ হতে দেখা যায় (Premature Ovarian Insufficiency) । এছাড়া, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ইত্যাদি চিকিৎসার ফলে জরায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হলে কিংবা সার্জারির মাধ্যমে জরায়ু ও ডিম্বাশয় ফেলে দিলে মেনোপজ হয়ে থাকে। এটি সার্জিকাল মেনোপজ (surgical menopause) নামে পরিচিত।

মেনোপজ কোন অসুখ নয়, একটি নতুন ধাপ মাত্র। এ সময়ে উত্থিত পরিবর্তন সমূহের সাথে মানিয়ে নিতে পারলে বাকি জীবন অনেকটা নির্বিঘ্নে কাটানো সম্ভব।

Estrogen, Progesterone হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সময় বেশ কিছু শারীরিক এবং কখনো কখনো মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- বিষণ্ণতা, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, Hot flush, Night sweats, মেজাজ খিটমিটে হয়ে যাওয়া, অনিদ্রা, লিবিডো ইত্যাদি। এছাড়া, বয়সের কারণেও এ সময় অনেক রোগ হয়ে থাকে (ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, দৃষ্টি ত্রুটি) । এসকল লক্ষণের মাঝে কিছু কিছু সাময়িক অসুবিধার সৃষ্টি করে এবং কিছু হয়ে যায় দীর্ঘমেয়াদি।

সাময়িক অসুবিধার মাঝে Hot Flush, Night Sweat অন্যতম। এক্ষেত্রে ব্যক্তি হঠাৎ হঠাৎ অনেক ঘামতে থাকেন, শরীর জ্বালাপোড়া করে (বিশেষ করে ঊর্ধ্বাংশ) । অনেক সময় শরীরে ভেজা কাপড় জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মেনোপজ পরবর্তী সময়ের এ পরিবর্তন সম্পর্কে আগে থেকে জানা না থাকার কারণে অনেকে ঘাবড়ে যান এবং মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পরেন। তাদের মাঝে ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও প্রত্যক্ষ করা যায়।

সময়ের সাথে বাড়তে থাকে এমন একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হলো, হাড়-ক্ষয়।
মেনোপজ কালীন সময়ে মহিলাদের প্রায়ই দেখা যায় হাঁটতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছেন বা হাড় ভেঙে ফেলেছেন, হাঁটুতে ব্যথা, কোমরে ব্যথা ইত্যাদি। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তারা প্রত্যেকেই Osteoporosis-এর শিকার। Estrogen হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে কিন্তু একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর এর নিঃসরণ কমতে থাকে যা হাড়ের দৃঢ়তাকে প্রভাবিত করে। Osteoporosis এর আগে Osteopenia দেখা দেয় যা ধীরে ধীরে ব্যক্তিকে Osteoporosis এর দিকে নিয়ে যায়। সাধারণত, ৩৫-৪০ বছর বয়স থেকেই হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। বলা হয়, ৩৩-৩৪ বছর পর আর হাড়ের গঠন হয় না, উপরন্তু প্রতি বছর ১% করে কমতে বা ক্ষয় হতে থাকে। ৬০ বছরের পর এই ক্ষয়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে। তাই আগে থেকেই হাড় মজবুতকারি খাবার (Bone Friendly Foods) গ্রহণ করা উচিৎ।

এছাড়াও, এসময়ে মহিলাদের মুত্রথলির ধারণ ক্ষমতা কমতে থাকে, বার বার মুত্র ত্যাগের প্রয়োজন পরে। মেনোপজ হলে দেহে মেদ জমতে শুরু করে; পেটে ভিসেরাল ফ্যাটের আধিক্য দেখা যায়। এই অতিরিক্ত ওজন আরও অনেক রোগ ডেকে আনে…।

এ তো গেল শারীরিক অসুবিধার কথা। মানিয়ে নিতে না পারার কারণে এসময় কিছু কিছু মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। “Empty nest” যার মাঝে অন্যতম। এক্ষেত্রে, ব্যক্তি একাকিত্বে ভুগতে থাকেন, তিনি মনে করেন সংসারে তার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে, প্রিয়জনের কাছে তার প্রয়োজন আজ নাম মাত্র! নিজেকে পরিবারের উপর বোঝা ভাবতে শুরু করেন। মনে করেন জীবনের শেষ বুঝি এখানেই,এভাবেই!
এক্ষেত্রে, পরিবারের সদস্যদের উচিৎ তাকে সঙ্গ দেওয়া, তার মনোবল ফিরিয়ে আনা। তাকে বুঝাতে হবে এ সংসারে তার গুরুত্ব আজও কোন অংশে কম নয়। মেনোপজ মানেই জীবনের সমাপ্তি নয় বরং এক নতুন সূচনা; যেখানে তিনি অনেকটাই নির্বিঘ্ন ও নিশ্চিন্ত!

পূর্বেই বলা হয়েছে মেনোপজ কোন অসুখ নয়, পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়াই মুখ্য। যার জন্য প্রয়োজন সঠিক কাউন্সেলিং (CBT), খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন। তবে কখনো কখনো এসবে কাজ না হলে (অতিরিক্ত Hot flush বা কোন জটিলতা দেখা দিলে) প্রয়োজনে Hormone Replacement Therapy বা HRT দেওয়া হয়। যদি জরায়ু না থাকে অর্থাৎ কোন কারণে সার্জারির মাধ্যমে ফেলে দেওয়া হয় তাহলে শুধু Estrogen হরমোন দেওয়া হয়। কিন্তু, যদি জরায়ু থাকে তাহলে Estrogen ও Progesterone দুটোই দেওয়া হয়। অন্যথায়, অতিরিক্ত Estrogen এর কারণে Endometrial hyperplasia হতে পারে। তবে এই HRT দেওয়ার ও একটি নির্ধারিত সময়সীমা আছে। ৬০ বছর বা এর অধিক হলে HRT দেওয়া যায় না। এর আগে যতদিন পর্যন্ত প্রয়োজন HRT চলমান রাখা যায়।

Hot flush-কে ত্বরান্বিত করে যেসকল জিনিস যেমন- গরম আবহাওয়া বা পরিবেশ, গরম পানীয়, মশলাযুক্ত খাবার, এলকোহল ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। কারণ, যাদের Hot flush যত বেশি, পরবর্তীতে তাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি!

যেহেতু Estrogen ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাড়ের ক্ষয় বেশি হতে দেখা যায় তাই ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের উপর জোর দিতে হবে। দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, টক দই, কাঁটাসহ ছোট মাছ, ডিম,কাজুবাদাম,কমলা, ব্রকলি ইত্যাদি রঙিন শাকসবজি ও ফল গ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে। পক্ষান্তরে, শর্করা, চর্বিযুক্ত মাংস, লবন-চিনি জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। ভিটামিন-ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে এবং সূর্যের আলো চামড়ায় ভিটামিন-ডি উৎপাদন করে থাকে। তাই দৈনিক কিছু সময় রোদে হাঁটাচলা করা উচিৎ। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ভিটামিনের ওষুধ সেবন করতে হবে। পাশাপাশি, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম বা ইয়োগা করতে হবে।
সচেতন থাকতে হবে, নিয়ম করে বছরে ১বার চেক-আপ করাতে হবে। সর্বোপরি, একটি ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

#মেনোপজ_সচেতনতা

17/06/2025

রায়হানের আম্মাকে দেখলে ইদানীং বড্ড মেজাজ গরম হয়। কেমন যেন খাপছাড়া চাল-চলন…। সারাক্ষণ মুখে মুখে তর্ক। আর কাজকর্মের যা ছিঁড়ি! কি আর বলবো! এই তো, গেল দিনের কথা, শখ করে বাজারের সবচেয়ে বড় শোল মাছটা এনেছিলাম। ভাবলাম, দুপুরে বাপ-বেটা মিলে আয়েশ করে খাওয়া যাবে…। রায়হানের আম্মাকে পই পই করে বলেছিলাম-

রায়হানের আম্মা,
শোলের মাথাটা যেন
আর কারও পাতে যায় না!
বেটা'র আবার “পেটি” ভীষণ প্রিয়;
দুটোই তুমি জম্পেশ করে রেঁধো!
খেয়াল রেখো,
দুটোই কিন্তু তুমি-
জম্পেশ করে রেঁধো…।

এতো করে বলার পরও সে কি করলো জানেন?

দুপুরের পাতে,
লেজ দিলো সাদা ভাতে!
বেটা আমার-
খায় পুঁই ভাজি আর ডাল
কি কপাল! কি কপাল!

দেখলেন কাণ্ড? কোথায় মাথা কোথায় লেজ, সাথে আবার কথার তেজ! শোলের মাথা নাকি আমি বাজারেই ফেলে এসেছি! আচ্ছা, মাথা নাহয় নাই, পেটি তো ছেলেটারে দেওয়া যেতো নাকি? যাইহোক, খাওয়া শেষে কলের পাড়ে হাত ধুতে গিয়ে দেখি শোলের মাথাটা মুখ কেলিয়ে কেমন ড্যাবড্যাব করে আমার দিকে চেয়ে আছে! যেন বলতে চাইছে- “কেমন খাইলা?”
বউ ভুলোমনা হলে আজকাল মাছও মজা নেয় …। হুহ!

এ তো গেল দুপুরের কথা, রাতের কাহিনীও একটু শুনেন তবে...। মাঘের রাতে, যেখানে সবার হাড় কাঁপে- সে এসে দুম করে পাখাটা চালিয়ে দিলো, তাও আবার জোরেশোরে! তার নাকি গা জ্বলছে, পরনের শাড়িটাও ঘামে ভিজে একদম জবজবে…। একি ভূতুড়ে কাণ্ড বাবা!

এতক্ষণ ধরে চুপচাপ জামাল সাহেবের কথা শুনছিলেন সেন দম্পতি। এ পর্যায়ে মিসেস সেন মুখ খুললেন-

ঃ দিদির বয়স যেন কত?
ঃ হবে তো ৫২-৫৩ বছর।
ঃ শুনলাম আজকাল বেশ মনমরা হয়ে থাকেন দিদি। হাঁটতে চলতেও নাকি তার বেজায় অসুবিধা…।
ঃ আরে ওসব কাজ না করার ধান্দা; আমার কি বয়স হয় নি? দিব্যি আছি!
ঃ বয়স হয়েছে দাদা, কিন্তু মেনোপজ তো আর নয়!
ঃ মেনোপজ? মানে?

মেনোপজ কথাটি শুনে জামাল সাহেব যারপরনাই অবাক হলেন, হওয়াটাই স্বাভাবিক। এখনও অনেকেই মেনোপজ শব্দটির সাথে পরিচিত নন কিংবা পরিচিত হলেও পরিপূর্ণ জ্ঞান থেকে তাদের অবস্থান বহুদুর…। কিন্তু আসলেই কি বিষয়টি অবহেলা করার মত?

আপনি জানেন তো "মেনোপজ" কি?

বিস্তারিত আসছে পরবর্তী পর্বে...।

#মেনোপজ_সচেতনতা

13/06/2025

গরুর মাংস খেতে ভালোবাসেন কিন্তু ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত? আজকের পোস্ট তাহলে আপনার জন্যই...।

একেবারেই বাদ না দিয়ে সপ্তাহে এক দিন গরুর মাংস খেয়েও আপনি ওজন কমাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মাংসের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে, অতিরিক্ত চর্বি ফেলে দিয়ে রান্না করতে হবে। কেননা, মাংসে আছে প্রোটিন। দেহ গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণ, পেশী তৈরি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদনের পর অতিরিক্ত প্রোটিন আর শরীরে জমা থাকে না, জমা থাকে মাংসের সাথে থাকা চর্বি এবং রান্নার তেল।

মাংসের নানা ধরনের ভুনাজাতীয় খাবারে থাকে অতিরিক্ত ক্যালরি এবং তার সঙ্গে যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভাত বা অন্যান্য শর্করা (পরোটা, লুচি, পোলাও, বিরিয়ানি, তেহারি ইত্যাদি) জাতীয় খাবার খাওয়া হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যাবে।

একটু খেয়াল করে, সচেতনভাবে, পরিমাণটা ঠিক রেখে খেলে গরুর মাংস খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে, বিশেষ শারীরিক জটিলতায় একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

ানো

#স্বাস্থ্যসচেতনতা

11/06/2025

কোরবানি হবে আর গরু-খাসির মাংস দিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি হবে না তা কি হয়! এসব খাবার দেখে লোভ সামলে রাখা বেশ মুশকিল। কেউ কেউ প্লেটের উপর হামলে পরেন তো অনেকে আবার মনে করেন গরুর মাংস বা রেড মিট মানেই ক্ষতি।

আসলেই কি গরুর মাংস ক্ষতিকর? কাদের জন্য ক্ষতিকর?

তার আগে চলুন জেনে নেই গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-

গরুর মাংসের উপকারিতা
• দৈহিক বর্ধনে সহায়ক- গরুর মাংস আমাদের বুদ্ধি-বৃত্তিক গঠন, শারীরিক বর্ধন ও হিমোগ্লোবিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

• খনিজের অভাব দূর করে- এতে প্রচুর পরিমাণে লৌহ, জিংক, ফসফরাস ও সেলেনিয়াম থাকে যা খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।

• ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস- গরুর মাংস ভিটামিন বি-৩, বি-৬, বি-১২ ইত্যাদি ভিটামিনের জোগান দেয়।

• প্রোটিনের ভালো উৎস- গরুর মাংস প্রোটিনের (1st class protein) ভালো উৎস। মাংস ছাড়াও কলিজা, মগজ ইত্যাদি থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়।অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের সবগুলো গরুর মাংস থেকে পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম রান্না করা গরুর মাংসে প্রায় ২২-২৬ গ্রাম পর্যন্ত হাই-কোয়ালিটি বা উচ্চ জৈব মূল্যের প্রোটিন পাওয়া যায়।

• জিংকের ঘাটতি দূর করে- আমাদের সুস্থতার জন্য জিংক একটি অতীব জরুরি খনিজ উপাদান। এটি আমাদের শরীরের কোষ ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ৮৫ গ্রাম গরুর মাংস দৈনিক জিংকের ৩৯ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।

গরুর মাংসের অপকারিতা

কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ায়-
অতিরিক্ত গরুর মাংস কোষ্ঠ্কাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ায় যা থেকে পরবর্তীতে আরও বড় কোন রোগ দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মাংসের সঙ্গে নানা ধরনের সবজি মিলিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে।

কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি-
গরুর মাংস খেতে যতই ভালো লাগুক না কেন, খেতে হবে পরিমিত। চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত (প্রতিদিন বা সপ্তাহে ৫ দিন) গরু, খাসি কিংবা ভেড়ার মাংস খেলে বাড়ে কোলন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি। সেইসঙ্গে প্রক্রিয়াজাত লাল মাংস খেলে তা মৃত্যু ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।

হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি-
মাংস রান্নার সময় মাংসকে মজাদার, ভক্ষণযোগ্য করার জন্য লবণ দেওয়া হয়। কিন্তু, অতিরিক্ত লবণ বা সোডিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সোডিয়াম দেহে পানি ধরে রাখে (water retention) যা রক্তচাপ বাড়ায়। সাথে যদি থাকে মাংসের চর্বি তাহলে তো কথাই নেই…। তাই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো সমস্যা এড়াতে প্রয়োজন বাড়তি সতকর্তা।

কিডনি সমস্যা ও ক্যান্সারের ঝুঁকি-
বেশি বেশি মাংস রক্তে ইউরিক অ্যাসিড, ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে তুলে। । বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন অতিরিক্ত রেড মিট খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে চর্বি ও প্রক্রিয়াজাত মাংসের ক্ষেত্রে, যা ব্যক্তিকে মৃত্যুপথযাত্রী করে তুলতে পারে।

ডায়েবেটিসের আশঙ্কা-
১০ লাখ লোকের ওপর গবেষণা চালিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বের করেছেন, নিয়মিত ৫০ গ্রাম বা এর চেয়ে বেশি মাংস খেলে অন্যদের তুলনায় তাদের হৃদরোগ ও ডায়েবেটিসের (বহুমূত্র বা মধুমেয়) আশঙ্কা বাড়ে প্রায় ৪২ শতাংশ। ৪০-৬০ বছর বয়সীদের এই কারণে অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া সমীচীন নয়।

তাহলে কি মাংস খাওয়া যাবে না? সম্পুর্ণ বাদ?

না, আপনিও খেতে পারবেন তবে খেতে হবে কিছুটা নিয়ম মেনে।

কতটুকু গরুর মাংস খেতে পারবেন?

দৈনিক ৮৫ গ্রাম গরুর মাংস খেতে পারবেন । ৮৫ গ্রাম চর্বি ছাড়া গরুর মাংস (যেটাকে লিন মিট বলে) আপনার দৈনিক ক্যালোরি চাহিদার ১০ শতাংশ এবং প্রোটিনের প্রায় অর্ধেক চাহিদা পূরণ করতে পারে। রান্না করা ৩ টুকরা মাংসে ৮৫ গ্রাম হয়, তাই চেষ্টা করুন দিনে ৩ টুকরার বেশি মাংস না খেতে। যদি একবারে আরও বেশি মাংস খেয়ে ফেলার ভয় থাকে তবে সপ্তাহে ২ বারের বেশি গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো।

● অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যদায়ী নারী, প্রচুর শারীরিক পরিশ্রমী, বাড়ন্ত বয়সের ছেলেমেয়ে, বডিবিল্ডার, অস্ত্রোপচার থেকে সেরে উঠেছেন—এমন ব্যক্তিরা গড়ে ২০০ গ্রাম মাংস খেতে পারবেন।
● ডায়াবেটিস, ফ্যাটিলিভার, আইবিএসের সমস্যা থাকলে গড়ে ১০০-১৫০ গ্রামের বেশি মাংস না খাওয়া উত্তম।
● শারীরিক সমস্যা যেমন: হার্টের কোনো রোগ, স্ট্রোক, ওজনাধিক্য অথবা কিডনির সমস্যা থাকলে মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। খেলেও দিনে এক থেকে দুবারের বেশি নয় এবং পরিমাণে দুই থেকে তিন টুকরা (চর্বি ছাড়া) ও ঝোল যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে।

শারীরিক অবস্থাভেদে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী গরুর মাংস খাওয়া উচিৎ।

#স্বাস্থ্যসচেতনতা

10/06/2025

পেট ফাঁপা, ঢেকুর, গ্যস, মাথা ঘোরা—সবই তো দেখা দিল একে একে!

তাহলে কি ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে যাবে? না! সমাধান আসছে পরের পোস্টে ...।

#স্বাস্থ্যসচেতনতা

07/06/2025

**ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা 🌙✨

ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল হোক আমাদের হৃদয়,
ভ্রাতৃত্ব ও সহানুভূতিতে ভরে উঠুক প্রতিটি সম্পর্ক।
আনন্দ, শান্তি ও সুস্থতা কামনায়—
আপনাকে ও আপনার পরিবারকে ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
Eid-ul-Adha Mubarak!

05/06/2025

পড়ন্ত দুপুর হঠাৎ করেই বর্ষণ মুখর হয়ে উঠলো, আকাশ জুড়ে শুধু কালো মেঘের ঘনঘটা...। টিনের চালে বৃষ্টির টাপুরটুপুর শব্দ কিংবা বারান্দার এক কোনে পাতা চেয়ারে বসে বৃষ্টি বিলাস... এমন দিনে ধোঁয়া ওঠা গরম গরম ভাতের সাথে "সরষে ইলিশ" হলে কিন্তু বেশ জমে যায়!

ইলিশ মূল উপাদান হলেও একে মুখরোচক করতে কিন্তু নানাবিধ মশলার প্রয়োগ করা হয়। তেমনি একটি মশলা নিয়ে আজকের আলোচনা। যা ইলিশের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ...। রোজকার রান্নায় কড়াইয়ে তেলের পরপরই সাধারণত এটি ব্যবহৃত হয়। বলুন তো কি??

ঠিক ধরেছেন! আজকের অতিথি "পেঁয়াজ মশাই" ।

🧅 পরিচিতি ও পুষ্টিগুণ
পেঁয়াজ একটি সর্বজন পরিচিত কন্দমূল। বাংলার ঘরে ঘরে এটি কাঁচা যেমন খাওয়া হয়, তেমনি রান্নায়ও রয়েছে এর বিপুল ব্যবহার। পেঁয়াজের বৈজ্ঞানিক নাম Allium cepa। এতে প্রায় ৮৫% পানি থাকে।

উল্লেখযোগ্য উপাদান:

ভিটামিন C:
ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে এবং আয়রন শোষণে সাহায্য করে।

খাদ্যআঁশ (ফাইবার):
পেঁয়াজে থাকা “ফ্রুকটানস” নামক খাদ্যআঁশ প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়।

কোয়েরসেটিন (Quercetin):
Quercetin একটি শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পেয়াজে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট্য।

ফলেট (ফলিক অ্যাসিড):
রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে এবং বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) স্বাভাবিক রাখে।

পটাসিয়াম:
পেয়াজ পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস যা স্নায়ু, মাংসপেশীর সংকোচন ও দেহে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রয়োজন।

অন্যান্য খনিজ ও ভিটামিন:
পেঁয়াজে কিছু পরিমাণ ভিটামিন B6, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজও থাকে, যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস:
ফ্ল্যাভোনয়েডসহ বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই পেয়াজ শরীরকে ফ্রি রেডিকেল ও প্রদাহ থেকে রক্ষা করে।

এছাড়াও,
❤️LDL কমায় ও HDL বাড়ায় – যা হার্টের জন্য ভালো।
💉 রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে – ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
🛡️ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে – বিশেষ করে ব্রেন, কোলন ও ঘাড়ের ক্যান্সার।
😴 ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যা কমায়।
🧠 স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
🤧 জ্বর, ঠাণ্ডা-কাশির প্রকোপ কমায়।
🍽️ হজমশক্তি বাড়ায়।
👃 পেয়াজের ঝাঁঝ নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধে কার্যকর।

পেঁয়াজ দিয়ে উপকার পেতে হলে কাঁচা খাওয়াই জরুরি, অথবা রস করে খাওয়া যেতে পারে। আমরা সাধারণত রান্নায় যে পেঁয়াজ খাই, তা দিয়ে উপকার হলেও ঔষধি গুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজসহ সালাদ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, শরীর সুস্থ থাকবে।

📢 পেঁয়াজ শুধু রান্নার অনুষঙ্গ নয়, এটি একটি প্রকৃতিক ওষুধ—যা শরীরকে রাখে সুস্থ ও সবল। প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খান, রোগ প্রতিরোধে থাকুন এক ধাপ এগিয়ে।

#পুষ্টি
#স্বাস্থ্যবার্তা

30/05/2025

ঃ আমি তো বেগুন, কিছুই পারি না...😔

ঃ কি যে বলিস দোস্ত! তুই তো তাও কিছু জানিস, আমি তো পিওর বেগুন! সামান্য সুই-সুতার কাজও জানি না...🥺

নিজেকে আমড়া কাঠের ঢেঁকি প্রমাণ করার জন্য “ বেগুন” শব্দটির ব্যাবহার আমাদের কথায় অহরহ। ঠিক যেন এক শব্দে প্রকাশ! কিন্তু যার উদাহরণ আমরা কথায় কথায় টেনে আনি, সেই বেগুন মশাই কি সত্যিই গুণহীন! জেনে বলছেন তো?🤔🤔

কিছুদিন আগ-পর্যন্ত আমি নিজেও নিজেকে বেগুন বলে বেড়াতাম। কিন্তু সত্যিটা জানার পর...ইস! কি লজ্জা!🙈🙈 আপনারাই দেখে নিন.......

পুষ্টি মূল্য (Nutritive Value) (প্রতি ১০০গ্রাম)

শক্তি - ২৪ কিলো ক্যালরি
শর্করা - ৫.৭গ্রাম
প্রোটিন - ১গ্রাম
কোলেস্টেরল - ০ গ্রাম
খাদ্য আঁশ - ৩.৪০ গ্রাম
ভিটামিন এ - ২৭ আই.ইউ.
ভিটামিন সি- ২.২ মি.গ্রা.
ভিটামিন কে- ৩.৫ মাইক্রো গ্রা.
পটাসিয়াম - ২৩০ মি.গ্রা.

এছাড়া আছে- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন, ইত্যাদি।

পুষ্টি চর্চার পর্ব শেষে এবার তবে জেনে নেই মানব দেহে এর ভূমিকার কথা।

•অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- এ ভরপুর এ সবজি দেহকোষকে ক্ষতিকর ফ্রি- রেডিকেল এর হাত থেকে রক্ষা করে।

•হৃদ-সুস্থতা- গবেষণায় দেখা গেছে, বেগুনে উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেলস সমূহ রক্তে LDL ও TG এর মাত্রা কমায় যা হৃদ রোগের প্রবণতা হ্রাস করে।

•রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ- খাদ্য আঁশের উপস্থিতি রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে অনেকাংশে সহায়তা করে। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য মতে, Eggplant বা Brinjal - এ উপস্থিত polyphenol রক্তে চিনির শোষণ কমায় ও ইনসুলিন এর ক্ষরণ বাড়ায়। তাই টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ‘বেগুন’ হতে পারে বেশ কাজের!

•ওজন হ্রাস- নিম্ন ক্যালরি বিশিষ্ট হওয়ায় অধিক গ্রহণেও ওজন বাড়ার সুযোগ নেই!

•দৃষ্টি শক্তি- Lutein নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের সুস্থতা রক্ষা করে ও চোখে ছানি পরা প্রতিহত করে।

এ তো সারমর্ম মাত্র। এতো গুণাবলি জানার পর নিজেকে কি আর তার সাথে তুলনা করা চলে!😶😶

#পুষ্টিকথা

29/05/2025

শর্মার ভাজে কিংবা স্যান্ডউইচের খাঁজে — এর উপস্থিতি যেন খাবারের স্বাদ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। ভোজন রসিকের পাতে, বিরিয়ানির সাথে না হলে যেন ঠিক জমে না!

বলুন তো কি?
জি, ঠিক ধরেছেন! আজকের বিশেষ অতিথি “শসা”।

⏳ দেরি না করে তাহলে চলুন, তার কাছ থেকেই পরিচয়টা জেনে নেই!

🌿 নিজ পরিচয়ে শসা বলে—

লতায় লতায় বেড়ে চলা মোর
প্রায় ১০ হতে ১২ ইঞ্চি খাঁড়া,
সাজলে সবুজ, বাড়লে হলুদ
মনটা একদম সাদা!
নাম আছে খাস-
Cucumis sativus
চিনে জনে জনে,
পুষ্টিতে ভরপুর;
পানি আছে প্রচুর
সবই জানবে এক্ষণে...।

এক নজরে পুষ্টিগুণ (প্রতি ১০০ গ্রামে):

ক্যালরি: ১৫
ফ্যাট: ০.৫ গ্রাম
পানি: ৯৫.২৩%
শর্করা: ৩.৬৩ গ্রাম
খাদ্য আঁশ: বিদ্যমান
ভিটামিন: A, C, K
খনিজ: পটাশিয়াম (১৪৭ মি.গ্রা.), ম্যাগনেসিয়াম (১৩ মি.গ্রা.), ক্যালসিয়াম (১৬ মি.গ্রা.)
Phytonutrients: flavonoids, lignans, tannins এর ভালো উৎস।

এতো গেল পুষ্টি চর্চার কথা; এবার অবদান জানার পালা...। শুধুই কি বিরিয়ানির সাথে আড্ডা দিয়ে বেড়োয়? আসুন,একটু খোঁজ নেওয়া যাক!

💚 স্বাস্থ্য উপকারিতা:

🔹 আর্দ্রতা রক্ষা:
৯৫% পানি থাকার কারণে শরীরকে সজীব ও হাইড্রেটেড রাখতে সহায়ক।

🔹 ক্যান্সার প্রতিরোধ:
Lignans ও cucurbitacins ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধে সহায়তা করে।

🔹 হাড়ের সুরক্ষা:
১ কাপ শসায় দৈনন্দিন চাহিদার প্রায় ১৯% ভিটামিন K থাকে!

🔹 হৃদরোগ প্রতিরোধ:
পটাশিয়াম হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; শসা উচ্চ-পটাশিয়াম ও নিম্ন-ক্যালরি খাবার।

🔹 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর:
খাদ্য আঁশ ও পানি পরিপাকে সহায়তা করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

🔹 ওজন নিয়ন্ত্রণ:
১০০ গ্রামে মাত্র ১৫ ক্যালরি! ওজন না বাড়িয়ে পেট ভরাবে।

🔹 মস্তিষ্কের যত্ন:
Fisetin নামক flavonoid স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

🔹 ত্বকের যত্ন:
শসার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও soothing properties ত্বককে রাখে সতেজ, বয়সের ছাপ কমায়। চোখের ফোলাভাব হোক বা রোদে পোড়া ত্বক — সমাধান এক টুকরো শসা!

এখন বলুন তো, আপনি কীভাবে শসা খেতে পছন্দ করেন?
কাচা, সালাদে, নাকি রায়তায়?

এই গরমে শসা হতে পারে আপনার সুস্থতা আর সতেজতার চাবিকাঠি! তাই প্রতিদিনের পাতে, শশা রাখুন সাথে...।

Nutritionist Zohora Setara

09/07/2025

04/07/2025

03/07/2025

20/06/2025

17/06/2025

13/06/2025

11/06/2025

10/06/2025

07/06/2025

05/06/2025

30/05/2025

29/05/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Practice

Shortcuts

Share

Category