13/12/2025
📌শিশুর ওষুধ সেবনবিধি ও খোলার পর নিরাপদ ব্যবহারের সময়সীমা
শিশুকে ওষুধ দেওয়ার সময় সঠিক নিয়ম ও মেয়াদ জানা অত্যন্ত জরুরি। ভুল হলে ঝুঁকি হতে পারে। সহজভাবে সব তথ্য একসাথে তুলে ধরা হলো—
১) ওরাল ড্রপ
খাওয়ানোর নিয়ম: নির্ধারিত ড্রপার ব্যবহার করুন, শিশুকে সোজা করে ধরুন, ড্রপার মুখে ঢোকাবেন না।
মেয়াদ: সাধারণত ১ মাস, অ্যান্টিবায়োটিক হলে ৫–৭ দিন (কোর্স অনুযায়ী)।
২) সিরাপ
খাওয়ানোর নিয়ম: প্রয়োজনে ঝাঁকিয়ে নিন, মেজারিং স্পুন/সিরিঞ্জ ব্যবহার করুন, ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী আগে/পরে দিন।
মেয়াদ: সাধারণ সিরাপ ১ মাস, ভিটামিন সিরাপ ১ মাস, অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ ৫–৭ দিন।
৩) সাসপেনশন
(Amoxicillin, Cefixime, Azithromycin ইত্যাদি)
খাওয়ানোর নিয়ম: প্রতিবার ভালোভাবে ঝাঁকান, নির্ধারিত সিরিঞ্জ ব্যবহার করুন।
মেয়াদ: প্রস্তুত করার পর ৫–৭ দিন, ফ্রিজে রাখলে কিছু ক্ষেত্রে ৭–১৪ দিন (লেবেল দেখুন)।
৪) ওরাল সলিউশন
ORS: রুম টেম্পারেচারে ১২ ঘণ্টা, ফ্রিজে ২৪ ঘণ্টা।
Nasal saline: ১ মাস।
Zinc solution: ১ মাস।
৫) ট্যাবলেট
খাওয়ানোর নিয়ম: বয়স অনুযায়ী pediatric ট্যাবলেট দিন। প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শে crush করা যায়।
❌ EC / SR / CR ট্যাবলেট crush করা যাবে না।
মেয়াদ: expiry date পর্যন্ত (স্ট্রিপ থেকে বের করলে দ্রুত খাওয়ান)।
৬) ক্যাপসুল
খাওয়ানোর নিয়ম: বড় শিশুরা সরাসরি খেতে পারে। ছোট শিশু হলে অনুমোদিত হলে ক্যাপসুল খুলে ভেতরের দানা খাবারের সাথে দেওয়া যায়।
❌ Enteric/delayed-release দানা crush করবেন না।
মেয়াদ: expiry date পর্যন্ত।
৭) সাপোজিটরি
ব্যবহার: জ্বর, বমি বা মুখে ওষুধ না খেলে। হাত ধুয়ে শিশুকে বামদিকে কাত করে প্রয়োজনে ভ্যাসলিন লাগিয়ে প্রবেশ করান।
মেয়াদ: সাধারণত ৬ মাস, গলতে শুরু করলে ব্যবহার নয়।
🔒 শিশুর ওষুধ নিরাপদে ব্যবহারের ১০টি নিয়ম
১) ডোজ ও সময় ঠিকমতো দিন
২) Adult dose দেবেন না
৩) Kitchen চামচ ব্যবহার করবেন না
৪) “Shake well” থাকলে ঝাঁকান
৫) জোর করে খাওয়াবেন না
৬) রোদ/গরমে রাখবেন না
৭) শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন
৮) মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নয়
৯) নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু নয়
১০) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান
মনে রাখবেন
আপনার সচেতনতা = আপনার সন্তানের নিরাপত্তা
পোস্টটি শেয়ার করুন, অন্য বাবা–মায়ের উপকার হবে।