Dr. Ashik's Vet Care Centre

Dr. Ashik's Vet Care  Centre Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr. Ashik's Vet Care Centre, Doctor, Palashbari, Gaibandha.

Dr-Ashik Billah Dvm
Doctor of Veterinary Medicine(DVM)
Hajee Mohammad Danesh science and Technology University
PGT- in Surgery and Gynecology
Dairy And Pet Animal Consultant And Surgeon
Mob: 01777546480, 01517837863

বাংলাদেশে গরু মোটাতাজাকরণ একটি লাভজনক এবং স্বল্প মেয়াদী ব্যবসা। বিশেষ করে ঈদুল আযহার সময় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এই সময়...
14/09/2025

বাংলাদেশে গরু মোটাতাজাকরণ একটি লাভজনক এবং স্বল্প মেয়াদী ব্যবসা। বিশেষ করে ঈদুল আযহার সময় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এই সময়ে এটি আরও বেশি লাভজনক হয়ে ওঠে। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।
গরু মোটাতাজাকরণের মূল পদ্ধতি ও ধাপসমূহ:
১. গরু নির্বাচন: মোটাতাজাকরণের জন্য সঠিক গরু নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, ২ থেকে ৫ বছর বয়সী রোগা, শীর্ণকায় এবং সুস্থ গরু নির্বাচন করা লাভজনক। দেশী সংকর জাতের ষাঁড় বা বলদ এই কাজের জন্য উপযুক্ত। এছাড়াও গরুর দাঁত, চোখ, মল এবং শারীরিক গঠন দেখে সুস্থ গরু চেনা যায়।
২. কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান: গরু কেনার পর পরই এর পেটের কৃমি দূর করার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য অভিজ্ঞ প্রাণিচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমিনাশক ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। একই সাথে গরুকে বিভিন্ন রোগের টিকা যেমন - তড়কা, গলাফুলা, খুরা রোগ ইত্যাদি দিতে হবে।
৩. সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনা: গরু মোটাতাজাকরণের প্রধান অংশ হলো সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ। এটি গরুর দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
* আঁশ জাতীয় খাবার: খড়, কাঁচা ঘাস, ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক (ইউএমবি) ইত্যাদি গরুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে দিতে হবে।
* দানাদার খাবার: ভুট্টার গুঁড়ো, গমের ভুসি, চালের খুদ, খৈল, মটর, খেসারি, লবণ, চিটাগুড় ইত্যাদি মিশিয়ে একটি সুষম মিশ্রণ তৈরি করে গরুকে খাওয়াতে হবে।
* খাদ্য প্রদান পদ্ধতি: গরুকে দিনে ২ বার দানাদার খাবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।
৪. বাসস্থান ও পরিচর্যা: গরুর জন্য পর্যাপ্ত আলো-বাতাসপূর্ণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। গরুকে প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করানো এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৫. বাজারজাতকরণ: সাধারণত ৯০ থেকে ১২০ দিনের একটি প্রকল্পে গরুকে মোটাতাজাকরণ করা হয়। ঈদুল আযহার বাজারকে লক্ষ্য করে ৩-৪ মাস আগে থেকে এই কাজ শুরু করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়। গরু বিক্রি করার জন্য স্থানীয় হাট-বাজার বা সরাসরি ক্রেতার কাছে বিক্রি করা যেতে পারে।
লাভজনক ব্যবসার কিছু দিক:
* কম সময়ে অধিক লাভ: গরু মোটাতাজাকরণ একটি স্বল্প মেয়াদী বিনিয়োগ, যা ৩-৪ মাসের মধ্যেই লাভসহ মূলধন ফেরত দেয়।
* কর্মসংস্থানের সুযোগ: এটি বেকার যুবকদের জন্য একটি চমৎকার আত্মকর্মসংস্থানমূলক উপায়।
* প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ: এই ব্যবসা দেশের মাংসের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* কম বিনিয়োগ: অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় এই ব্যবসায় তুলনামূলক কম বিনিয়োগে শুরু করা সম্ভব।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
* গরু মোটাতাজাকরণ ব্যবসা শুরু করার আগে এ বিষয়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে।
* গরু কেনার সময় অভিজ্ঞ লোকের সাহায্য নেওয়া ভালো।
* ক্ষতিকর স্টেরয়েড বা হরমোন ইনজেকশন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এটি গরুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং মানুষের জন্য বিপজ্জনক। প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে এই ব্যবসা পরিচালনা করা উচিত।

Dr. Ashik's Vet Care Centre
Dr-Ashik Billah Dvm

বাছুরের নাভি ফোলাঃসাধারণত নবজাতক বাছুরের নাভি এবং নাভির চারপাশের অংশের প্রদাহ ও সংক্রমণকেই নাভির রোগ (Navel ill) বলে। বা...
29/08/2025

বাছুরের নাভি ফোলাঃ

সাধারণত নবজাতক বাছুরের নাভি এবং নাভির চারপাশের অংশের প্রদাহ ও সংক্রমণকেই নাভির রোগ (Navel ill) বলে। বাছুরের নাভি বা আমবিলিক্যাল কর্ড (নাড়ি) গঠিত হয় এমনিয়োটিক মেমব্রেন, আমবিলিক্যাল শিরা, আমবিলিক্যাল ধমনী ও ইউরেকাস দ্বারা। বাছুর গাভীর জরায়ুতে থাকা অবস্থায় এই নাড়ির মাধ্যমেই বাছুরের শরীরে পুষ্টি সরবরাহ হয়।

জন্মের সময় নাভি বা আমবিলিক্যাল কর্ড ছিঁড়ে যায়। এ সময়ে আমবিলিক্যাল শিরা ও ইউরেকাস বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু বাকি অন্যান্য অংশগুলো উন্মুক্ত থাকার কারণে পারিপার্শ্বিকের সংস্পর্শে আসে। এর ফলে নাভিতে নানা জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ সংক্রমণ মূত্রথলি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়ে মূত্রথলির প্রদাহ হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাছুরের গিরা/গিঁট ফোলা (Joint ill) রোগও দেখা দেয়।

সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণু

Escherichia coli, Proteus Spp, Staphylococcus spp. এবং Corynebacterium pyogenes। এ ব্যাকটেরিয়াগুলো স্থানীয় সংক্রমণ যেমন বাছুরের পায়ের সন্ধি, মেনিনজেস, চক্ষু, এন্ডোকার্ডিয়াম, পা, কান ও লেজের ধমনীতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। নাভিপ্রদাহ (Omphalitis) সাধারণত নাভির বাহ্যিক অংশের প্রদাহ বা সংক্রমণকে বোঝায়। বাছুরের জন্মের ২-৫ দিনের মধ্যে এ রোগ হয়ে থাকে।

রোগ সংক্রমণের কারণ

অনেকগুলো কারণে বাছুরের নাভিতে সংক্রমণ হতে পারে। এই কারণগুলোর মধ্যে বাছুরের যথেষ্ট কলস্ট্রাম (শাল দুধ) না পাওয়া এবং প্রতিকূল পরিবেশগত পরিস্থিতি যেমন, বাছুরের থাকার স্থানে অতিরিক্ত আর্দ্রতা বা ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এবং গোবর ও প্রস্রাব নিয়মিত পরিষ্কার না করা। পরিচ্ছন্নতার অভাবেও এমনটি হতে পারে। জন্মের পর বাছুরের নাভি নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত না করা এবং খামারের অন্য বাছুর বা গরু যদি নাভি চোষে বা চেটে দেয় তাহলেও ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়া,

১. জন্মের পর বাছুরের নাভি যদি সঠিকভাবে কাটা না হয়।

২. বাছুরকে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে রাখা হলে।

৩. বাছুরের নাভি কাটার ব্লেড বা ছুরি জীবাণুমুক্ত না হলে।

৪. গাভী অধিক পরিমাণে বাছুরের নাভি চাটলে।

এসব কারণেও নাভিতে সংক্রমণ হতে পারে।

রোগের লক্ষণঃ
জন্মের ৪-৬ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। শরীরের তাপমাত্রা খুব বেড়ে যায় (১০৫-১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। নাভি ফুলে যায় এবং ভেজা ভেজা থাকে। অনেক সময় নাভিতে ব্যথা এবং পুঁজ জমে থাকে। চাপ দিলে রক্তমিশ্রিত তরল বের হয়। নাভিতে ব্যথা থাকায় বাছুর মায়ের দুধ টেনে খেতে চায় না। বাছুর বারবার আক্রান্ত নাভি চাটে। বাছুর ঘন ঘন প্রস্রাব করে। দীর্ঘমেয়াদি টক্সিমিয়ার কারণে বাছুর খায় না এবং ঝিমায়। ক্ষুধামান্দ্য ও অবসাদগ্রস্তভাব লক্ষ্য করা যায়। এভাবে ক্রমান্বয়ে নিস্তেজ ও দুর্বল হয়ে পড়ে। নাভিতে ক্ষত থাকার কারণে মাছি বসে ডিম দেয়ার ফলে নাভি থেকে পুঁজ বা রক্ত পড়তে শুরু করতে পারে।

রোগ নির্ণয়

বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ দেখে নাভিপাকা রোগ নির্ণয় করা যায়। আক্রান্ত নাভি থেকে সোয়াব (Swab) নিয়ে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে রোগের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা যায়।

চিকিৎসা

নাভিতে সংক্রমণ হলে বা নাভি পচা রোগ হলে সব সময় কিন্তু বাছুরের শরীরে জ্বর অনুভূত হয় না। এমনকি বাহ্যিক কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে। নাভি ফুলে গেলেই ধরে নিতে হবে বাছুরের নাভিতে জীবাণুর আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। এসময় অবশ্যই দ্রুত রেজিস্টারড ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

রোগ নিয়ন্ত্রণ
বাছুর জন্মের সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত মানের হতে হবে। জন্মের পর বাছুরের নাভি যাতে ৭ দিনের মধ্যেই শুকিয়ে যায় সেজন্য প্রতিদিন নাভি পরিষ্কার করে টিংচার অব আয়োডিন লাগাতে হবে। প্রসবের পর Umbilicus বাছুরের নাভি ১ ইঞ্চি পরিমাণ রেখে এবং সিল্ক সুতা দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। মা যেন নাভি চাটতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নাভি যেন ছিঁড়ে না যায় এবং মাছি না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাছুরকে শুকনো পরিষ্কার স্থানে রাখতে হবে।

নাভির সংক্রমণ প্রতিরোধ বা শনাক্তের প্রধান ও প্রথম কাজ হলো নিয়মিত নবজাতক বাছুরের নাভি পরীক্ষা করা। একটি খামারে প্রয়োজনীয় হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বাছুরকে নাভি পচা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর মধ্যে অন্যতম হলো- জন্মের পর পরই জীবাণুনাশকে (যেমন: ৭০%-এর উপর মাত্রার আয়োডিন দ্রবণ) চুবিয়ে নেওয়া। এছাড়া নাভি পুরোপুরি শুকিয়ে না যাওয়া অবধি প্রতিদিন জীবাণুনাশকে চুবিয়ে নিতে হবে।

বাছুরের আরেক ধরনের নাভি ফোলা বা নাড়ি ফোলার সমস্যাকে পশুচিকিৎসা বিজ্ঞানে বলে ওমফালোফেলবাইটিস। এই সংক্রমণ সাধারণত এক থেকে তিন মাস বয়সী বাছুরের মধ্যে হয়। এই সমস্যা হলে বাছুরের গায়ে হালকা জ্বর, অলসতা এবং বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সংক্রমণটি নাভিতে উন্মুক্ত নাড়ি থেকে যকৃতে (লিভার) ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ এই নাড়ি লিভারের সঙ্গে যুক্ত।

এ ধরনের সংক্রমণ হলে ব্যাকটিরিয়া রক্ত​প্রবাহে প্রবেশ করে ফুসফুস, হাড়, অন্থিসন্ধি বা মস্তিস্কের মতো শরীরের অন্য প্রত্যঙ্গে জমে গিয়ে পরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় করণীয়

মা গাভীকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে। তাহলে মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উত্তরাধিকার সূত্রে বাছুরও পাবে। ফলে ছোটখাট সংক্রমণ সহজেই প্রতিরোধ করতে পারবে। বাছুর যাতে পর্যাপ্ত শালদুধ পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। খামার শুকনো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। চারণভূমি (যদি গরু ছেড়ে দিয়ে পালন করা হয়) যতোটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করতে হবে। গাভী যদি স্বাভাবিক প্রসব না করে, অর্থাৎ বাছুরের জন্ম হতে যদি ডাক্তারের সহায়তা লাগে তাহলে সেসব বাছুরের নাভি ফোলা রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

27/08/2025

গরুর ক্ষুরা রোগঃ-
শুর জন্য ছোঁয়াচে প্রকৃতির ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে ক্ষুরা রোগ অন্যতম। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হরিণ ও হাতিসহ বিভক্ত ক্ষুরা বিশিষ্ট প্রাণির এ রোগ হতে পারে। ৬ মাস বয়সের নিচে রোগটি মড়ক আকারে দেখা যায়। বাংলাদেশের সব ঋতুতে ক্ষুরা রোগ দেখা গেলেও বর্ষার শেষে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।

ক্ষুরা রোগ কি ?
ক্ষুরা রোগ অতি তীব্র প্রকৃতির সংক্রামক ভাইরাস জনিত রোগ| এ রোগে আক্রান্ত পশুর মুখ ও পায়ে ঘা হবার ফলে খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না এবং খুঁড়িয়ে হাটে। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই এ রোগ দেখা যায়। তবে আমাদের দেশের গরুতে ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।

রোগের কারণ :
ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ নামক এক প্রকার ভাইরাস এ রোগ সৃষ্টি করে। সে কারণে ইংরেজিতে ক্ষুরা রোগকে এফ,এম,ডি বলে। এ ভাইরাসের মোট ৭টি টাইপ রয়েছে। এগুলোর নাম এ, ও, সি, স্যাট-১, স্যাট-২, স্যাট-৩ ও এশিয়া-১। বাংলাদেশে এবং এশিয়া-১ টাইপের ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি।

রোগ বিস্তার :
ক্ষুরা রোগ অত্যন্ত সংক্রামক হওয়ায় কোনো এলাকায় এ রোগ দেখা দিলে একশত ভাগ পশুই তাতে আক্রান্ত হয়। এ রোগের জীবাণু রোগাক্রান্ত প্রাণীর ফোসকা ফেটে অন্য প্রাণীর দেহে বিস্তার লাভ করে। রোগাক্রান্ত পশুর লালা, শেষ্মা, প্রস্রাব, মল ও দুধের মাধ্যমে দেহ হতে বের হয়ে আসে। এসব পশুর খাদ্য, পানি, আবাসস্থলের দেয়াল, বাতাস ইত্যাদি কলুষিত করে। বাতাসের সাহায্যে এ ভাইরাস ৬০/৭০ কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। গ্রামাঞ্চলে অনেকে সময় আক্রান্ত পশুকে দূর-দূরান্তের হাটবাজারে বিক্রির জন্য নেয়া হয়। তখন ভাইরাস ব্যাপক এলাকায় ছড়িয়ে ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটায়। আক্রান্ত পশুর পরিচর্যাকারীর চলাচল এবং তার জামাকাপড়, জুতা ইত্যাদির সাহায্যে ও ভাইরাস বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ভাইরাস বহনকারী ষাঁড় কৃত্রিম প্রজননের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক কারণ এ সব ষাঁড় থেকে সংগৃহীত সিমেন কৃত্রিম প্রজননে ব্যবহার করলে এ রোগ মহামারী আকারে দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ:
1. শরীরের তাপমত্রা বেড়ে যায়।
2. জিহ্বা, দাঁতের মাড়ি, সম্পূর্ণ মুখ গহ্বর, পায়ের ক্ষুরের মাঝে ঘা বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
3. ক্ষত সৃষ্টির ফলে মুখ থেকে ফেনাযুক্ত লালা বের হয়। কখনো বা ওলানে ফোসকা পড়ে।
4. পশু খোঁড়াতে থাকে এবং মুখে ঘা বা ক্ষতের কারণে খেতে কষ্ট হয়। অল্প সময়ে পশু দুর্বল হয়ে পড়ে।
5. এ রোগে গর্ভবতী গাভির প্রায়ই গর্ভপাত ঘটে। দুধালো গাভির দুধ উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।
6. বয়স্ক গরুর মৃত্যুহার কম হলেও আক্রান্ত বাছুরকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই কঠিন। অর্থাৎ ৬ মাস বয়সের নিচে আক্রান্ত বাছুরের ৯৫ শতাংশই মারা যায়।

প্রতিকার ও প্রতিরোধঃ-
এটা ভাইরাসজনিত রোগ তাই এর বিশেষ কোনো চিকিৎসা নেই । তবে ভালোভাবে পরিচর্যাসহ কিছু ব্যবস্থা নিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় । প্রথমে আক্রান্ত পশুকে আলাদা করে পরিষ্কার ও শুষ্ক স্থানে রাখতে হবে । আক্রান্ত গরুকে অবশ্যই ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
# প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো ভ্যাক্সিনেশন। প্রতি ৬ মাস অন্তর ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।

Patient having Diarrhoea about 2 weeks.Given proper treatment and advice. Hope get well soon 💁‍♂️সুচিকিৎসায় প্রানি সুস্থ...
16/02/2025

Patient having Diarrhoea about 2 weeks.
Given proper treatment and advice.
Hope get well soon 💁‍♂️

সুচিকিৎসায় প্রানি সুস্থ হয়।

ডা. আশিক বিল্লাহ
ডিভিএম(হাবিপ্রবি)
পিজিটি ইন সার্জারী এন্ড গাইনোকোলজি
কাস্টমার সার্ভিস অফিসার ( নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লিমিটেড)

31/01/2025

#ফার্ম ভিজিট
#মোটাতাজাকরন
#রেডিফিড

অপটিমাম গ্রোথ রেট 💥

আমাদের অপারেশন সেবা সমূহ..... ১। সিজারিয়ান অপারেশন২। রুমেনোটমি (পাকস্থলীর অপারেশন)৩। আপওয়ার্ড প্যাটেলার ফিক্সেশন ( ঝংকা)...
18/11/2024

আমাদের অপারেশন সেবা সমূহ.....
১। সিজারিয়ান অপারেশন
২। রুমেনোটমি (পাকস্থলীর অপারেশন)
৩। আপওয়ার্ড প্যাটেলার ফিক্সেশন ( ঝংকা)
৪। হার্নিয়া
৫। এট্রেসিয়া এনাই ( পায়খানার রাস্তা বন্ধ)
৬। টিউব সিস্টোটমি / ইউরোলিথিয়াসিস কারেকশন ( মুত্রথলির অপারেশন)
৭। প্রোল্যাপ্স কারেকশন ( ইউটেরাইন/ভ্যাজাইনাল / রেক্টাল)
৮। প্যাটেন্ট ইউরেকাস ( নাভী দিয়ে প্রসাব আসা)
৯। এবসেস, টিউমার, ন্যাভেল ইল কারেকশন।
১০। নিউটারিং, স্পেয়িং।

দক্ষ ও অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা নিয়মিত অপারেশন করা হয়।

দুই সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত গাভীটি এখন পুরোপুরি সুস্থ। 💁‍♂️রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তার এর পরামর্শ নিন, প্রাণী সু...
09/10/2024

দুই সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত গাভীটি এখন পুরোপুরি সুস্থ। 💁‍♂️

রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তার এর পরামর্শ নিন, প্রাণী সুস্থ রাখুন।

প্রয়োজনে,
ডা. মো: আশিক বিল্লাহ
ডিভিএম
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
পিজিটি ইন সার্জারী এন্ড গাইনোকোলজি।
ডেইরি এন্ড পেট এনিমেল প্রাক্টিশনার।
বিভিসি রেজি: ৯৪২৩
মোবাইল : ০১৭৭৭৫৪৬৪৮০
০১৫১৭৮৩৭৮৬৩

⏩ প্রানী সেবায় সদা জাগ্রত।।

..
20/09/2024

..

গরুর ব্রিড টাইপ....
19/09/2024

গরুর ব্রিড টাইপ....

বাছুরের হার্নিয়া অপারেশন।। স্থান : ফুলছড়ি, গাইবান্ধা।। সুচিকিৎসায় প্রানি সুস্থ হয়।। সেবা নিন, প্রাণী সুস্থ রাখুন!! 💁‍♂️ন...
06/09/2024

বাছুরের হার্নিয়া অপারেশন।।
স্থান : ফুলছড়ি, গাইবান্ধা।।

সুচিকিৎসায় প্রানি সুস্থ হয়।।
সেবা নিন, প্রাণী সুস্থ রাখুন!! 💁‍♂️

নিয়মিত অপারেশন করছেন
ডা: মো: আশিক বিল্লাহ
ডিভিএম, হাবিপ্রবি।।
পিজিটি ইন সার্জারী এন্ড গাইনোকোলজি।
পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা।।
মোবাইল: ০১৫১৭৮৩৭৮৬৩

প্রসব জটিলতায় ভুক্তভোগী গাভীটির সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সুন্দর একটা বাচ্চার আগমন 😍😍সিজার একটি নিরাপদ অপারেশন। অভিজ্ঞ...
20/08/2024

প্রসব জটিলতায় ভুক্তভোগী গাভীটির সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সুন্দর একটা বাচ্চার আগমন 😍😍

সিজার একটি নিরাপদ অপারেশন।
অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিন,
সেবা নিন প্রাণী সুস্থ রাখুন।।
#প্রাণিসেবা



প্রয়োজনে,
ডা: মো. আশিক বিল্লাহ
ডিভিএম, হাবিপ্রবি।
পিজিটি ইন সার্জারী এন্ড গাইনোকোলজি।
পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা।।
মোবা: ০১৫১৭৮৩৭৮৬৩

দীর্ঘদিন ধরে হিটে না আসা গাভীটি সুচিকিৎসায় হিটে এসেছে 🙂সুচিকিৎসায় প্রানি সুস্থ হয়।। সেবা নিন, প্রানিদের সুস্থ রাখুন 💁‍♂️...
20/08/2024

দীর্ঘদিন ধরে হিটে না আসা গাভীটি সুচিকিৎসায় হিটে এসেছে 🙂

সুচিকিৎসায় প্রানি সুস্থ হয়।।
সেবা নিন, প্রানিদের সুস্থ রাখুন 💁‍♂️
#প্রাণিসেবা



প্রয়োজনে,
ডা: মো. আশিক বিল্লাহ
ডিভিএম, হাবিপ্রবি।
পিজিটি ইন সার্জারী এন্ড গাইনোকোলজি।
পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা।।
মোবা: ০১৫১৭৮৩৭৮৬৩

Address

Palashbari
Gaibandha
5730

Telephone

+8801517837863

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Ashik's Vet Care Centre posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category