হতাশার সমাধান-Depression Solve

হতাশার সমাধান-Depression Solve Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from হতাশার সমাধান-Depression Solve, Doctor, Konabari, Gazipur.

07/05/2024
07/05/2024

ফাতিমা রা. ছাড়াও আলী রা. –এর আরো ৮ জন স্ত্রী ছিলো!

আমাদের অনেকেই আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্ত্রী হিশেবে কেবলমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মেয়ে ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে চিনি। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর সন্তান হিশেবে শুধুমাত্র হাসান-হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে চিনি। অথচ আলী রা. –এর মোট ৩৩ জন সন্তান ছিলো।

🟥 আলী রা. মোট নয়টি বিয়ে করেন।

তাঁর স্ত্রীগণ হলেন- ফাতিমাতুজ জাহরা, উম্মুল বানিন, লায়লা বিনতে মাসউদ, আসমা বিনতে উমাইস, উম্মে হাবিবা সাহবা, উমামা বিনতে আবিল আ’স, খাওলা বিনতে জাফর, উম্মু সাঈদ বিনতে উরওয়া, মাহয়াত বিনতে ইমরাউল কায়স।

ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার জীবদ্দশায় আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। আবু জাহেলের মেয়ে জুওয়াইরিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহার ব্যাপারে তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে। পরবর্তীতে এই বিয়ে হয়নি।

ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার ইন্তেকালের পর তিনি সবগুলো বিয়ে করেন।
অনেকেই অবাক হতে পারেন এই ভেবে যে, ইসলামে তো সর্বোচ্চ চারটি বিয়ের কথা বলা আছে। তাহলে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এতোগুলো বিয়ে করলেন কীভাবে?

ইসলামে একসাথে সর্বোচ্চ চারজন স্ত্রী রাখার বিধান। চারজনের কেউ ইন্তেকাল করলে বা কাউকে তালাক দিলে পরবর্তীতে আবার বিয়ে করা যায়।

ইন্তেকালের সময় আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর যে চারজন স্ত্রী ছিলেন, তারা হলেন- উমামা, লায়লা, উম্মুল বানিন এবং আসমা।

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবীর মধ্যে ১০ জনই বহুবিবাহ করেন। এই দশজনের মধ্যে সবচেয়ে কম বিয়ে করেন আবু উবাইদাহ আমর ইবনুল জাররাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু। আবু উবাইদাহ দুটো বিয়ে করেন এবং আবু বকর চারটি বিয়ে করেন।

🔴 সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম ধনী সাহাবী আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু ১৬টি বিয়ে করেন।

🔵 উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু ১৩টি

🟤 সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ১১টি

🟣 সায়িদ ইবনে যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু ১০টি

🟢 তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু ৯টি

🟡 উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু ৮টি।

🟠 যুবাইর ইবনুল আউয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহু ৮টি বিয়ে করেন।

সাহাবিদের বহুবিবাহের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা নারীদের দায়িত্বগ্রহণ। সেই যুগে কোনো বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা নারীর পুনরায় বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হতো না। তাঁদেরকে বিয়ের মাধ্যমে সাহাবীরা দায়িত্ব নিতেন। স্বামী শাহাদাতবরণ করলে সেই শহীদের বিধবা স্ত্রীর জন্য অনেক বিয়ের প্রস্তাব যেতো। যার ফলে, সেই যুগে একেকজন নারীরও একাধিক বিয়ে হতো।

🔵 আতিকা বিনতে যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহার ৫টি বিয়ে হয় (তাঁর ৫জন স্বামীই শাহাদাতবরণ করেন)।

🟤 জামিলা বিনতে উবাই রাদিয়াল্লাহু আনহার ৪টি বিয়ে হয়।

🟠 আসমা বিনতে উমাইস রাদিয়াল্লাহু আনহার ৩টি বিয়ে হয়।

('সাহাবিদের বহুবিবাহ' বই থেকে)সংগৃহীত

05/05/2024

গাছ তলা কিংবা ছালা চাটাইয়ের উপর এলেম শিক্ষা গ্রহন কর।কষ্ট মুজাহাদা করা এলেম শিক্ষার জন্য।
আল্লামা মা/মু/নু/ল হক

16/04/2024

উম্মতের সকল নিরাপত্তা একমাত্র সুন্নাতের ভিতর।
আর কোথায় ও নিরাপত্তা নেই।

Trust Allah, He will never disappoint you
22/01/2024

Trust Allah, He will never disappoint you

22/01/2024
Stunning streaks of color throughout this mornings sunrise! The sunrise that just kept on giving! 🤗🌅💛💜❤️🧡 Robert Moses S...
22/01/2024

Stunning streaks of color throughout this mornings sunrise! The sunrise that just kept on giving! 🤗🌅💛💜❤️🧡 Robert Moses State Park, Long Island, New York, U.S.A 🤗🌅💜 01/18/2024 ❤️

22/01/2024

ধুমপান ডেকে আনে যে ৪১ ক্ষতি
ধূমপান একটি মারাত্মক ব্যাধি, অত্যন্ত ক্ষতিকর ও বিপদজনক রোগ। কিন্তু তিক্ত হলে ও সত্য বর্তমান দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ এ ধরনের একটি মারাত্মক ব্যধিতে আক্রান্ত। এর ভয়ানক পরিণতি সম্পর্কে জেনে নিন:-----------------------------------------------------------------------------------------------------------
১. ধূমপান আল্লাহর নাফরমানি এবং তার হুকুমের অবাধ্য হওয়া। আল্লাহ নিশ্চয় তাকে শাস্তি প্রদান করবেন।
২. আল্লাহ তাআলা ধুমপান এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ঘৃনা করেন।
৩. ধুমপানকারী ফেরেশতাদের কষ্ট দেয়।
৪. যেসব ঈমানদার ব্যক্তিবর্গ ধুমপান করে না, একজন ধুমপায়ী তাদের কষ্টের কারণ হয়।
৫. ধুমপান নির্মল পরিবেশকে দুষিত করে।
৬. ধুমপান অযথা খরচ, এতে কোন দুনিয়া ও আখেরাতের বিন্দু পরিমাণও উপকার হয় না।
৭. আর ধুমপান হল অপচয়, আল্লাহ তাআলা অপচয় করার ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তিনি বলেন। তোমরা অপচয় কর না, নিশ্চয় অপচয়কারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।
৮. এটির মাধ্যমে মন্দ এবং খারাপ কাজে সহযোগিতা হয়। আল্লাহ বলেন, তোমরা ভাল ও তাকওয়াপূর্ণ কাজে সহযোগিতা কর আর মন্দ ও খারাপ কাজে সহযোগিতা কর না।
৯. ধুমপান দ্বারা ইসলামের দুশমনদের ইসলামের বিপক্ষে সহযোগিতা করা।
১০. ধুমপানকারী গুনাহের কাজকে হালকা করে দেখে। আর এ কথা আমাদের সবার জানা, গুনাহকে হালকা করে দেখা সাধারণ গুনাহ অপেক্ষা বড় পাপ।
রাসূল সা. বলেন, আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করা হবে, তবে যারা গুনাহকে খাট করে দেখে তারা ব্যাতীত।
১১. ধুমপানের সকল সামগ্রী নাপাক ও দুর্গন্ধময় এবং ধুমপানকারীকেও এভাবে নাপাক ও দুর্গন্ধময় করে।
১২. ধুমপান দ্বারা অনর্থক কাজে মানুষের সময় নষ্ট হয়।
১৩. আর যারা ধুমপানের লেনদেন করে, তারা সাধারনত ইসলামের দুশমনদের সাথে সাদৃষ্য রাখে।
১৪. ধুমপান একজন মানুষের সম্ভ্রম হনন করে, সম্মান হানি ঘটায়।
১৫. ধুমপান একজন মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিলোপ করে এবং তা তার নির্বোধ বা জ্ঞান-হীন হওয়াকেই বুঝায়। কারন সে নিশ্চিত জানে যে ধুমপান তার জন্য ক্ষতিকর, তার পরও সে পান করে। এতে তার বোকামীই প্রকাশ পায়।
১৬. ধুমপানকারী তার ছেলে সন্তান এবং উত্তরসুরিদের জন্য একজন আদর্শহীন ব্যক্তিকে পরিণত হয়।
১৭. আর ধুমপানকারীর জন্য ইবাদত-বন্দেগী করা কঠিন হয়।
১৮. এ কাজটি ধুমপানকারীকে ইলম এবং যিকরের মজলিশ হতে দূরে রাখে এবং তাকে এ ধরনের মজলিশে উপস্হিত হতে হয়।
১৯. ধুমপান মানুষকে খারাপ মানুষের সাথে উঠা বসায় বাধ্য করে।
২০. ধুমপানের অভ্যাস একজন মানুষকে রোযা রাখা হতে বিরত রাখে। কারন, রোযা রাখলে সে ধুমপান করতে পারে না।
২১. ধুমপানের মাধ্যমে যেসব উপার্জন হয়, তা সম্পূর্ণ হারাম। কারণ, ধুমপানের ব্যবসা করা এবং এর লেনদেন সম্পূর্ণ হারাম।
২২. ধুমপান মানুষের অপমৃত্যু ঘটায়। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে, সমগ্র পৃথীবিতে ধুমপানের কারণে যত বেশি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে অন্য কোন রোগ-ব্যাধির কারণে তত বেশি অপমৃত্যু ঘটে না।
২৩. ধুমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার, শরীরে তাপ, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী রোগব্যাধী দেখা যায়।
২৪. ধুমপানের কারণে কণ্ঠনালীতে ক্যান্সার হয়।
২৫. ধুমপানের কারণে রক্তনালীগুলো দুর্বল হয় এবং অনেক সময় একজন ধুমপায়ীর রক্তের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
২৬. এটি স্মরণশক্তি কমিয়ে দেয় এবং মনোবল দুর্বল করে দেয়।
২৭. ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দুর্বল করে; বিশেষ করে ঘ্রান নেয়া এবং স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা লোপ পায়।
২৮. অতিরিক্ত ধুমপানের কারণে দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়।
২৯. মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বার বার সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।
৩০. হার্ডের সাথে সম্পৃক্ত ধমনীগুলো ব্লক হয়ে যায়।
৩১. বক্ষ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৩২. রক্তের উচ্চ চাপের কারণ হয়।
৩৩. যৌনশক্তি বিলুপ্ত হয়।
৩৪. হজমশক্তি কমায় এবং ধারণক্ষমতা লোপ পায়, আর তার শরীর ঢিলে হয়ে যায়।
৩৫. ধুমপায়ী সব সময় দুর্বলতা অনুভব করে এবং আতঙ্কগ্রস্ত থাকে।
৩৬. ধুমপানকারীর ঠোটে মুখে জিহ্বা গলনালি ইত্যাদিতে ক্যান্সার হয়।
৩৭. পাকস্থলী ক্ষত হতে থাকে।
৩৮. ধুমপানের কারণে যকৃত শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩৯. ধুমপানের কারণে মুত্রথলিতে ক্যান্সার হয় এবং মুত্রথলি যক্ষায় আক্রান্ত হয়।
৪০. কিডনিতে ক্যান্সার হয়।
৪১. পেশাব বিশাক্ত হয়

22/01/2024

- ফেসবুক চালানোর উদ্দেশ্য হোক ৩টি।

১/ ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া।
২/ অন্যের পোস্ট থেকে ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করা।
৩/ অর্জনকৃত জ্ঞানগুলো আমলে পরিণত করা।

-ফেসবুকে এমন কিছু পোস্ট করুন যাতে আপনার মৃত্যুর পরও যেনো আপনার আমল নামায় সদকায়ে জারিয়া হিসেবে জমা হয়।

প্রতিটা ভালো কাজ সদকা।
[তিরমিজি ১৯৭০]

22/01/2024

নবী করিম (সা.) যে দোয়া বেশি বেশি করতেন।

নবী করিম (সা.) যে দোয়া বেশি বেশি করতেন
উম্মত জননী হজরত জুওয়াইরিয়া (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর নবী (সা.) ফজরের সময় আমার ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আমি জায়নামাজে ছিলাম।

তিনি চাশতের সময় আমার ঘরে ফিরে এলেন। তখনও আমি জায়নামাজে ছিলাম।

তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘জুয়ারিয়া! আমি যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এভাবেই ওজিফা আদায়ে মশগুল ছিলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি আমাকে বললেন, আমি তোমার পরে চারটি বাক্য তিনবার বলেছি।
যদি এগুলোকে ওজন করা হয় তবে তোমার কৃত সমস্ত ওজিফার চেয়ে এগুলোই বেশি ভারি হবে। আর তা হলো-

سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি ওয়া রিদা নাফসিহি ওয়া জিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।

-সহিহ মুসলিম শরিফ : ৭০৮৮

অর্থ : আমি আল্লাহতায়ালার প্রশংসাসমেত পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তার সৃষ্টিকুলের সংখ্যার পরিমাণ, তিনি সন্তুষ্ট হওয়া পরিমাণ, তার আরশের ওজন সমপরিমাণ, তার কথা লিপিবদ্ধ করার কালি পরিমাণ।

হতাশ বা ডিপ্রশন কি?ডিপ্রেশন ছাড়াই প্রতিটি মানুষই মাঝে মাঝে দুঃখ বা কষ্ট পেতে পারে। এটি আমাদের জীবনে নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা...
22/01/2024

হতাশ বা ডিপ্রশন কি?

ডিপ্রেশন ছাড়াই প্রতিটি মানুষই মাঝে মাঝে দুঃখ বা কষ্ট পেতে পারে। এটি আমাদের জীবনে নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। তাহলে ডিপ্রেশন কি? ডিপ্রেশন হলো শূন্যতা, দুঃখ বা আনন্দ অনুভব করতে না পারার একটি দীর্ঘস্থায়ী অনুভূতি যা স্পষ্ট কারণ ছাড়াই ঘটতে পারে। এটি দুঃখ এবং অন্যান্য আবেগ থেকে পৃথক। একজন ব্যক্তি জীবনের কঠিন ঘটনাগুলির জন্য যেকোন সময় ডিপ্রেশন অনুভব করতে পারেন।

ডিপ্রেশনের জন্য একজন ব্যক্তির সম্পর্কের অবনতি ঘটে, কাজ করা এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা কঠিন হয় এবং গুরুতর ক্ষেত্রে আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিষণ্ণতার জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ আত্মহত্যায় পথ বেছে নেয়।

জেনে রাখা ভালো, ডিপ্রেশন প্রাপ্তবয়স্ক, কিশোর এবং এমনকি শিশুদের প্রভাবিত করতে পারে। এই লেখায় আমরা বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন কি এবং এটির কারণ, সেইসাথে বিষণ্ণতার ধরন, চিকিৎসা এবং আরও অনেক বিষয় সম্পর্কে জানবো।

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা কি?

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা এমন একটি রোগ যা ক্রমাগত দুঃখ, শূন্যতা এবং আনন্দ হারানোর অনুভূতি সৃষ্টি করে। সাধারণ মেজাজের যে ওঠানামা তা থেকে এটি অনেকটা ভিন্ন। ধীরে ধীরে মানুষ এটিকে জীবনের একটি নিয়মিত অংশ হিসেবে অনুভব করে।

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেমন চাকরি হারানো বা প্রিয়জনের জন্য শোক বিষণ্ণতাকে আরও জাগিয়ে তুলতে পারে। কিন্তু ডিপ্রেশন কঠিন সময়ে একজন ব্যক্তি সাময়িকভাবে যে নেতিবাচক অনুভূতি হতে পারে তার থেকে আলাদা।

পরিস্থিতির পরিবর্তন সত্ত্বেও ডিপ্রেশন প্রায়শই দূর হয় না এবং এমন অনুভূতির সৃষ্টি করে যা তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী।

ডিপ্রেশন এমন একটি সমস্যা যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন। বিভিন্ন ধরনের বিষণ্ণতা থাকলেও, সবচেয়ে সাধারণ হল মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার। যার লক্ষণগুলি কমপক্ষে দুই সপ্তাহ স্থায়ী হয়৷ তাছাড়া এই পরিস্থিতি কয়েক সপ্তাহ, মাস বা বছর ধরে চলতে পারে।

ডিপ্রেশন কি নিরাময়যোগ্য?

ডিপ্রেশনের কিছু কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে যা রিকভারিতে সাহায্য করে। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে, তত বেশি সফলতা আসতে পারে। কিছু মানুষ একটা সময় পরে আর কখনও হতাশা অনুভব করে না। অনেকে আবার এটি অনেকটা সারা জীবন বয়ে নিয়ে বেড়ায়।

ডিপ্রেশনে ভুগছে এমন অনেকই একটি পরিকল্পিত চিকিৎসার মাধ্যমে রিকভারি করতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর চিকিৎসা সত্ত্বেও এটি আবার ফিরে আসতে পারে। সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত। তাহলে এটি আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ডিপ্রেশনের লক্ষণ ও উপসর্গ

ডিপ্রেশন হলে কি কি সমস্যা হয়? ডিপ্রেশন মানসিক এবং শারীরিক অনেকগুলো লক্ষণ সৃষ্টি করে। বিষণ্ণতার লক্ষণ বা সমস্যার মধ্যে বেশি যা দেখা যায় তা হলো—

বিষণ্ণ মেজাজ
পূর্বে উপভোগ করা ক্রিয়াকলাপে আগ্রহ বা আনন্দ হ্রাস করে
যৌন ইচ্ছা হ্রাস
ক্ষুধা পরিবর্তন
অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি
খুব বেশি বা খুব কম ঘুমানো
অস্থিরতা
ক্লান্তি বা শক্তি হ্রাস
মূল্যহীনতা বা অপরাধবোধের অনুভূতি
চিন্তা করা, মনোনিবেশ করা বা সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা
মৃত্যু বা আত্মহত্যার বারবার চিন্তা বা আত্মহত্যার চেষ্টা
যদি কোন ব্যক্তি একটানা ২ সপ্তাহের বেশি এই উপসর্গগুলির যেকোন পাঁচটি উৎস অনুভব করেন, তাহলে তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন ধরে নেওয়া যেতে পারে এবং তাকে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তাছাড়া বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশনের অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে মেজাজ খিটখিটে, অস্থিরতা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, মাথাব্যথা এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকতে পারে।

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার প্রকারভেদ

বিষণ্ণতার বিভিন্ন রূপ দেখা যায়। নিচে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি ধরন তুলে ধরা হলো।

১. মেজর ডিপ্রেশন

মেজর ডিপ্রেশনের সাথে লড়াই করা একজন ব্যক্তি ক্রমাগত দুঃখের অবস্থা অনুভব করে। তারা উপভোগ করত এমন ক্রিয়াকলাপে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। চিকিৎসায় সাধারণত ওষুধ এবং সাইকোথেরাপি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

২. ক্রমাগত বিষণ্ণতাজনিত ব্যাধি

ক্রমাগত ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার (Persistent depressive disorder) এমন উপসর্গ সৃষ্টি করে যা কমপক্ষে ২ বছর স্থায়ী হয়। এই ব্যাধির একজন ব্যক্তি মেজর ডিপ্রেশনের হালকা উপসর্গ অনুভব করে।

৩. প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা

সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে, কিছু মহিলা একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দুঃখ বা উচ্চতর আবেগ অনুভব করে। এটি সাধারণত কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলে যায়। তবে কেউ যদি প্রসবের পরে চলমান বিষণ্ণতা অনুভব করে তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৪. সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার

সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি) এক ধরনের বিষণ্ণতা যা সাধারণত শীত ও শরতের মাসগুলিতে দেখা দেয়, যখন দিনের আলো কম থাকে। এটি অন্যান্য ঋতুতে বেশি দেখা যায় না। এই ডিসঅর্ডার বিশেষ করে তীব্র শীতের দেশগুলিতে বাস করে তাদের বেশি দেখা যায়।

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার কারণ কি?

ডিপ্রেশনের অনেক কারণ রয়েছে। মানুষভেদে এই কারণগুলো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। ডিপ্রেশনের অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে এবং যা কখনও কখনও একত্রিত হয়েও ডিপ্রেশন তৈরি করে। যেমন—

জেনেটিক বৈশিষ্ট্য
মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার স্তরের পরিবর্তন
পরিবেশগত কারণ যেমন মানসিক আঘাতের সংস্পর্শে আসা বা সামাজিক সমর্থনের অভাব
মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক কারণ
বিভিন্ন কারণ একত্র হলে বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পারিবারিক ইতিহাস বা জেনেটিক ঝুঁকির সাথে একজন ব্যক্তি একটি বড় আঘাতের পর ডিপ্রেশনে পড়তে পারে।

মহিলাদের মধ্যে

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বিষণ্ণতার হার প্রায় দ্বিগুণ। কিছু গবেষণা বলে যে লিঙ্গ বৈষম্যের সংস্পর্শে আসা বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ায়।

এছাড়াও, কিছু ধরণের বিষণ্ণতা মহিলাদের জন্য খুব সাধারণ, যেমন প্রসবোত্তর বিষণ্ণতা এবং মাসিকের আগে ডিসফোরিক ডিসঅর্ডার।

পুরুষদের মধ্যে

বিষণ্ণতায় আক্রান্ত পুরুষরা মহিলাদের তুলনায় অধিক পরিমাণে রাগ প্রদর্শন করে, অ্যালকোহল পান করে এবং বেশি ঝুঁকিতে থাকে।

পুরুষদের মধ্যে বিষণ্ণতার উপসর্গগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত—

পারিবারিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি এড়ানো
বিরতি ছাড়া কাজ করা
কাজ এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতে অসুবিধা
সম্পর্কের মধ্যে আপত্তিজনক বা নিয়ন্ত্রণকারী আচরণ প্রদর্শন করা
কলেজ ছাত্রদের মধ্যে

কলেজে একজন শিক্ষার্থীর সময় চাপপূর্ণ হলে কিছু শিক্ষার্থীর এই পরিবর্তনগুলি মোকাবিলা করতে অসুবিধা হয়, এবং এর ফলে তারা বিষণ্ণতা, উদ্বেগ বা উভয়ই হতে পারে।

কলেজ ছাত্রদের মধ্যে ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত—

স্কুলের কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা
অনিদ্রা
খুব বেশি ঘুমাচ্ছে
ক্ষুধা হ্রাস বা বৃদ্ধি
সামাজিক পরিস্থিতি এবং কার্যকলাপগুলি এড়িয়ে যাওয়া যা তারা উপভোগ করত
শারীরিক পরিবর্তন, সহপাঠীদের চাপ এবং অন্যান্য কারণগুলি কিশোর-কিশোরীদের বিষণ্ণতায় অবদান রাখে।
তাদের মধ্যে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো দেখা যেতে পারে—

খিটখিটে অনুভূতি
অস্থিরতা, যেমন স্থির বসে থাকতে না পারা
বন্ধু এবং পরিবার থেকে প্রত্যাহার
স্কুলের কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা
অপরাধী, অসহায় বা মূল্যহীন বোধ করা
কিশোর-কিশোরীদের সাথে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিশুদের মধ্যেও বিষণ্ণতা বেড়েছে। সাধারণত স্কুলের কাজ এবং চ্যালেঞ্জিং সামাজিক কার্যকলাপ তাদের দুঃখের অনুভূতি থেকে ডিপ্রেশন হতে পারে।

ডিপ্রেশন কখন ঝুঁকিপূর্ণ?

কিছু কিছু মানুষের অন্যদের তুলনায় বিষণ্ণতার ঝুঁকি বেশি থাকে। কাদের ঝুঁকি বেশি দেখা যায়।

জীবনের নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার সম্মুখীন হওয়া, যেমন শোক, কাজের সমস্যা, সম্পর্কের পরিবর্তন, আর্থিক সমস্যা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্বেগ
তীব্র মানসিক চাপের সম্মুখীন
সফল মোকাবেলার কৌশলগুলি অজানা
মাথায় আঘাত লেগেছে
কোন দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা, যেমন ডায়াবেটিস, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), বা কার্ডিওভাসকুলার রোগ
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার সঙ্গে বসবাস
সামাজিক সমর্থনের অভাব
ডিপ্রেশন দূর করার ৫টি উপায়

বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন দূর করার জন্য চিকিৎসা আছে, যদিও চিকিত্সা নির্ভর করে একজন ব্যক্তি ঠিক কোন ধরণের পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছেন তার উপর।

প্রথমত, ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সমাধান এবং সম্ভাব্য কারণগুলি নিয়ে আলোচনা করা থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের শিক্ষিত করা প্রয়োজন হয়।

চলুন বিশ্বব্যাপী ডিপ্রেশন চিকিৎসার জন্য বহুল প্রচলিত কিছু ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করি।

১. প্রাকৃতিক চিকিৎসা

কিছু মানুষ প্রাকৃতিক প্রতিকার ব্যবহার করে, যেমন ভেষজ ওষুধ, হালকা থেকে মাঝারি বিষণ্ণতার চিকিত্সার জন্য। গবেষকরা বিশ্বস্ত ভেষজ চিকিত্সা থেকে ইতিবাচক ফলাফলের কথা জানিয়েছে এবং এটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম।

বিষণ্ণতার চিকিৎসার জন্য যেকোন প্রকার ভেষজ প্রতিকার বা সম্পূরক ব্যবহার করার আগে একজন ব্যক্তির ডাক্তারের সাথে কথা বলা অপরিহার্য। কারণ কিছু ভেষজ ওষুধের ক্রিয়ায় লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।

২. ডাক্তারের পরামর্শ

একজন ডাক্তার এন্টিডিপ্রেসেন্টস লিখে দিতে পারেন। এন্টিডিপ্রেসেন্ট মাঝারি থেকে গুরুতর বিষণ্ণতার চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। তবে অবশ্যই তা অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত। কিছু লোক উপসর্গের উন্নতি হওয়ার পর ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়, কিন্তু এর ফলে আবারও হতে পারে। সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কিছুই না করা ভালো ফল দেয়।

৩. ফুড এবং ডায়েট

কিছু গবেষণা পরামর্শ দেয় যে প্রচুর চিনিযুক্ত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে বিভিন্ন শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্য হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে নিম্নলিখিত খাবারগুলি বেশি খাওয়া বিষণ্ণতার লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে।

ফল
সবজি
মাছ
জলপাই তেল
৪. সাইকোথেরাপি

বিষণ্ণতার জন্য সাইকোথেরাপি, বা কথা বলার থেরাপির মধ্যে রয়েছে CBT (Cognitive Behavioral Therapy), আন্তঃব্যক্তিক সাইকোথেরাপি, এবং সমস্যা সমাধানের চিকিৎসা।

কিছু ধরণের বিষণ্ণতার জন্য, সাইকোথেরাপি সাধারণত প্রথম সারির চিকিৎসা, যখন কিছু লোক সাইকোথেরাপি এবং ওষুধের সংমিশ্রণে যায় তারা আরও ভাল সাড়া দেয়।

CBT একজন ব্যক্তিকে তাদের চিন্তাভাবনা, আচরণ এবং অনুভূতির মধ্যে সংযোগ সনাক্ত করতে সাহায্য করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তারপরে তারা ক্ষতিকারক চিন্তাভাবনা এবং আচরণ পরিবর্তন করার জন্য অবিচলিতভাবে কাজ করে।

৫. ব্যায়াম

গবেষনা বলে, ব্যায়াম ডিপ্রেশন কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। অ্যারোবিক ব্যায়াম এন্ডোরফিনের মাত্রা বাড়ায় এবং নিউরোট্রান্সমিটারকে উদ্দীপিত করে, সম্ভাব্য বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ কমায়।

ব্যায়াম সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেয় যখন একজন ব্যক্তি এটিকে স্ট্যান্ডার্ড চিকিৎসা যেমন এন্টিডিপ্রেসেন্টস এবং সাইকোথেরাপির সাথে একত্রিত করেন।

রোগ নির্ণয়

যদি একজন ব্যক্তি সন্দেহ করেন যে তাদের বিষণ্ণতার লক্ষণ রয়েছে, তবে তাদের একজন ডাক্তার বা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পেশাদার সহায়তা নেওয়া উচিত।

একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারেন এবং নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন।

উপসংহার

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা একটি গুরুতর ব্যাধি যা একজন ব্যক্তির জীবনের প্রতিটি দিককে প্রভাবিত করতে পারে। যখন এটি আত্মহত্যার চিন্তার কারণ হয়, তখন এটি মারাত্মক হতে পারে।

মানুষ হতাশা বা বিষণ্ণতা থেকে মুক্তির উপায় ভাবতে পারে না। হতাশা ব্যক্তিগত ব্যর্থতা বা দুর্বলতার লক্ষণ নয়। এটি নিরাময়যোগ্য এবং তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করলে রিকভারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

যেহেতু বিষণ্ণতার চিকিৎসা সহজ নয়, তাই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে দেখা করা এবং বিভিন্ন চিকিৎসার চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রায়শই, থেরাপি এবং ওষুধের সংমিশ্রণ সর্বোত্তম ফলাফল পেতে দেখা যায়।

আশা করি আর্টিকেলটি আপনাকে ডিপ্রেশন দুর করতে সর্বাত্মক সহায়তা করবে। ধন্যবাদ।

22/01/2024

ডিপ্রেশন বা হতাশা কখনো কখনো মৃত্যুর কারণ হয়ে ও দাঁড়ায়।

আপনি কি ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগছেন?

ডিপ্রেশন ছাড়াই প্রতিটি মানুষই মাঝে মাঝে দুঃখ বা কষ্ট পেতে পারে। এটি আমাদের জীবনে নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।
ডিপ্রেশন কি?
ডিপ্রেশন হলো শূন্যতা, দুঃখ বা আনন্দ অনুভব করতে না পারার একটি দীর্ঘস্থায়ী অনুভূতি যা স্পষ্ট কারণ ছাড়াই ঘটতে পারে। ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা এমন একটি রোগ যা ক্রমাগত দুঃখ, শূন্যতা এবং আনন্দ হারানোর অনুভূতি সৃষ্টি করে।

ডিপ্রেশন হলে কি কি সমস্যা হয়?
• বিষণ্ণ মেজাজ
• পূর্বে উপভোগ করা ক্রিয়াকলাপে আগ্রহ বা আনন্দ হ্রাস করে
• যৌন ইচ্ছা হ্রাস
• ক্ষুধা পরিবর্তন
• অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি
• খুব বেশি বা খুব কম ঘুমানো
• অস্থিরতা
• ক্লান্তি বা শক্তি হ্রাস
• মৃত্যু বা আত্মহত্যার বারবার চিন্তা বা আত্মহত্যার চেষ্টা।

👍 অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার বর্তমানে ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে ছোট-বড় সবাই। জানেন কি, ইন্টারনেটে অত্যধিক সময় কাটানোও হতে পারে ডিপ্রেশনের লক্ষণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত বিষণ্নতা ও অত্যধিক ইন্টারনেট ব্যবহারের মধ্যে যোগসূত্রতা আছে। যারা অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা পর্নোগ্রাফি, বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ ও গেম সাইটগুলোতে সময় কাটান।

👍 যে কোন ব্যথা ডিপ্রেশনের কারণে যে কোন ব্যথা ও হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিষণ্নতার কারণে দীর্ঘস্থায়ী পিঠের নিম্নাংশে ব্যথা হতে পারে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী পিঠে ব্যথায় আক্রান্ত ৪২ শতাংশ ব্যক্তিরাই বিষণ্নতা অনুভব করেছেন।

👍 ধূমপান হতাশাগ্রস্ততা ধূমপানের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। সিডিসির তথ্য অনুসারে, দিনে এক প্যাকেটের বেশি ও ঘুম থেকে ওঠার ৫ মিনিটের মধ্যেই সিগারেট খাওয়া হতাশাগ্রস্ত ধূমপায়ীদের মধ্যে সাধারণ অভ্যাস।

🚷 ডিপ্রেশন কখনো কখনো মৃত্যুর কারণ হয়েও দাঁড়ায়।

✅ ডিপ্রেশনের কিছু কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে যা রিকভারিতে সাহায্য করে। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে, তত বেশি সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।

অনেকে আবার এটি অনেকটা সারা জীবন বয়ে নিয়ে বেড়ায় তখন মৃত্যুর কারণ হয়েও দাঁড়ায়।
আমাদের নিজস্ব ফরমুলায় মহামূল্যবান বিভিন্ন প্রাকৃতিক ভেষজ দ্বারা চিকিৎসা করে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ এবং এটির কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

তাই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন 01911 001374

Address

Konabari
Gazipur
1346

Telephone

+8801911001374

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হতাশার সমাধান-Depression Solve posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category