01/11/2024
কোলেস্টেরল চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি
ডা.এ,টি,এম,রেজাউল করিম খান।
দিন দিন কোলেস্টেরল এর সমস্যা বেড়েই চলেছে। কোলেস্টেরল হলে নানা সমস্যা দেখা দেয় এবং জীবনের ঝুঁকি থাকে। তাই কোলেস্টেরল দেখা দিলে অবহেলা না করে সঠিক চিকিৎসা এবং খাদ্যভাস মেনে চলা উচিৎ। সেইসাথে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।
❇️কোলেস্টেরল হল হাইড্রকার্বন কোলেস্টেন থেকে উৎপন্ন যৌগ।
মানুষের রক্তে ৩ ধরনের কোলেস্টেরল থাকতে পারে।
১) LDL- low density lipo protein
২) HDL-high density lipo protein)
৩) Triglycerides
১) এলডিএলঃ রক্তে এলডিএল এর মাত্রা বেড়ে গেলেই মূলত সেটাকে কোলেস্টেরল সমস্যা ধরা হয় । পূর্ণ বয়স্ক মানুষের
রক্তে ১.৬৮-১.৪৩ গ্রাম/ ডেসি লিটার এলডিএল থাকে।
২)এইচডিএলঃ এইচডিএল আমাদের দেহ কে সুস্থ রাখে, শারীরিক বৃদ্ধি ঘটায়।আমাদের রক্তে .৯০-১.৬০ গ্রাম / ডেসি লিটার এইচডিএল থাকে। সহজ ভাষায় বলা যায়, এইচডিএল
আমাদের বন্ধুর মত।
৩)ট্রাইগ্লিসারাইডঃ আমাদের শরীরে মেদ/ চর্বি হিসেবে যা জমে তাই ট্রাইগ্লিসারাইড। তাই যারা মোটা হয়ে যাচ্ছেন তাদের রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
✳️যাদের কোলেস্টেরল বেশি হয়ঃ- কোলেস্টেরল সমস্যা যেকোনও বয়সেই হতে পারে।কিন্তু আপনার বয়স যদি ৩৫/তার বেশি হয় আপনি সহজেই কোলেস্টেরল সমস্যায় পড়তে পারেন।আমাদের দেশে মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের কোলেস্টেরল এর ঝুঁকি বেশি।যারা বসে বসে কাজ করেন সারাদিন তারা বেশি আক্রান্ত হতে পারেন।
❇️কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণঃ
* ফাস্ট-ফুড বেশি খাওয়া।
* রেড মিট , চিংড়ি মাছ , চকলেট বেশি খেলে।
* আমাদের গৃহীত খাদ্য পরিশ্রমে ব্যয় না হলে, অতিরিক্ত খাবার দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়,ফলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়।
* খাবার পরপরই ঘুমাল।
* তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে।
* শারীরিক পরিশ্রম (যেমন, হাঁটা ) কম করলে ইত্যাদি।
✳️কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে যেভাবে বুঝবেনঃ
* অল্প পরিশ্রমেই ঘেমে যাওয়া ও হাঁপিয়ে ওঠা।
* মাথা ও ঘাড়ে ব্যথা।
* বুক ধরফর করা।
* দুর্বল বোধ করা।
* দেহের ওজন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা ইত্যাদি।
✳️কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ও সুস্থ জীবনের জন্য করনীয় ঃ-
* ব্যালেন্স ডায়েট প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভাত না খাওয়া। গরুর মাংস একেবারেই কম পরিমাণে খাওয়া। মোট কথা সবকিছু পরিমিত পরিমাণে খাওয়া।
* শারীরিক পরিশ্রমঃ অতিরিক্ত না ঘুমানো।হাঁটার অভ্যাস করা।
বসে বসে কাজ করলেও আমরা শুধু পা নাড়িয়েই অতিরিক্ত ফ্যাট কিছুটা হলেও কমাতে পারি।
* ফাস্ট – ফুড জাতীয় খাবার পরিহার করা।পেস্ত্রি, চকলেট জাতীয় খাবার কম খাওয়া।
* চিনাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
বেশি বেশি খাওয়া।
* রাতের খাবার ঘুমানোর বেশ কিছুক্ষণ আগে খেলে
ভালো। এসব কথা আমরা প্রায় সবাই জানি,কিন্তু
জানলেও মানতে চাইনা। তাই, কোলেস্টেরল এর ঝুঁকি কমাতে আপনার লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
আনুন । কেননা আমাদের সুস্বাস্থ্য, আমদের সুন্দর
ও গোছানো লাইফস্টাইল এর উপর অনেকাংশেই
নির্ভরশীল।
❇️হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা মাধ্যমে খুব কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।
ডাঃএ,টি,এম,রেজাউল করিম খান।
ডি,এইচ,এম,এস,(বি,এইচ,বি)ঢাকা
বি,এইচ,এম,এস,(অন কোর্স) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন ও পুরাতন রোগে অভিজ্ঞ
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ফিজিশিয়ান
গভঃ রেজিঃ৪৩৩৯৫
হিজামা স্পেশালিস্ট
.......….....…………………………………………
☎️বিস্তারিত জানতে
01963516221
এই নাম্বারে কলে / হোয়াটসঅ্যাপ এ যোগাযোগ করতে পারেন ।
★ভালো লাগলে শেয়ার করুন★
゚
#হোমিও