02/03/2025
পবিত্র মাহে রমজানে দন্ত পরিচর্যা ও দন্ত চিকিৎসা ।।
✔️রোজা রাখিয়া মাজন বা পেষ্ট দ্বারা দাঁত মাজা মাকরূহ এবং ইহার কিছু অংশ হলকুমের নিচে চলিয়া গেলে রোজা ভঙ্গ হইবে । কাচাঁ বা শুকনা মেস্ওয়াক দ্বারা দাঁত মাজা দুরস্ত আছে ।
✔️মুখ ও দাঁত থেকে রক্ত বাহির হইলে রোজা নষ্ট হয় না । তবে থুথুর সাথে ঐ রক্ত গিলিয়া ফেলিলে রোজা ভংগ হয় । অবশ্য ঐ রক্ত থুথুর চেয়ে কম হইলে এবং ইহাতে রক্তের স্বাদ পাওয়া না গেলে রোজা ভংগ হইবে না (প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, রক্ত বা পূজ ক্ষত স্থান থেকে বাহির হইয়া এক বিন্দুও গড়াইয়া গেলে ওজু টুটিয়া যাইবে কিন্তু উহার অবস্থন, ক্ষত বা যখমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকিলে ওজু নষ্ট হইবে না)।
তাই , দাঁত তোলা, স্কেলিং বা অন্য চিকিৎসার সময় রক্ত নির্গত হইয়া গড়াইয়া গেলে শুধু অজুই নষ্ট হয়, রোজা নষ্ট হয় না ।
✔️রোজা অবস্থায় ইনজেকশন নিলে রোজা নষ্ট হয় না। তবে খাদ্য বা পুষ্টিজাতীয় ইনজেকসন (গ্লুকোজ, সেলাইন, ভিটামিন ইত্যাদি) নেয়া যাবে না । মুখে বোধ নাশক ইনজেকশন (Local Anaesthesia) দেয়ার সময় ওষুধ গড়িয়ে হলকুমে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরী।
✔️মুখের থুথু যত বেশীই হউক না কেন, তাহা গিলিয়া ফেলিলে রোজার কোনই ক্ষতি হয় না।
✔️আপনা আপনি বেশী বা কম বমি হইলে রোজা নষ্ট হয় না। কিন্তু ইচছা করিয়া মুখ ভরিয়া বমি করিলে নষ্ট হয়, অল্প করিলে নষ্ট হয় না। যদি আপনা আপনিই সামান্য বমি হয় এবং আপনা আপনিই হলকুমের ভিতরে চলিয়া যায়, তাহাতে রোজা নষ্ট হয় না। অবশ্য ইচছা পুর্বক গিলিলে, কম হইলে ও রোজা নষ্ট হইবে ।
✔️ভুলে পানাহার করিলে, এমনকি ভূলে কয়েকবার পেট ভরিয়া পানহার করিলেও রোজা ভঙ্গ হয় না ।
(রোজা ভঙ্গ হওয়া বা না হওয়ার বিস্তারিত কারন জানার জন্য দেখুন- বেহেশ্তী জেওর ২য় খন্ড।)