
26/08/2025
Natural পন্য ব্যবহারের পাশাপাশি নিচের কাজগুলো অন্তত একমাস এই রুটিন মেনে চলুন।
পন্য বা যেকোন পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন।
Whatsapp : 01575-283576
•
১. ঘুম থেকে উঠবেন ভোর সাড়ে চারটায়৷
২. দুই গ্লাস পানি হালকা গরম করুন৷ গরম না করতে পারলে নরমাল তাপমাত্রা হলেও হবে৷ ভুলেও ঠান্ডা পানি বা ফ্রীজের পানি নেবেন না৷ প্রথম গ্লাস পানি খেয়ে ফেলুন। পরের গ্লাস পানিতে কিছু লেবুর রস চিপে দিন। ওটাও খেয়ে ফেলুন৷ এই পানি খাওয়ার আগে ব্রাশ করা যাবে না৷
৩. পানি খাওয়া শেষ হলে ওয়াশরুমে যান। ব্রাশ করুন। ফ্রেশ হোন৷ পবিত্র হোন, অজু করুন।
৪. এবার যে যার ধর্মমতে প্রার্থনায় বসুন৷
৫. প্রার্থনা শেষে একটু কালোজিরা চিবিয়ে খান৷ তারপর একটু মধু খান।
৬. এবার বই নিয়ে বসুন৷ ধর্মীয় গ্রন্থ বা নন ফিকশন, প্রেরণামূলক কিছু। অন্তত দশ পৃষ্ঠা পড়তে চেষ্টা করুন৷ এটা সারাদিন আপনাকে ইতিবাচক ভাইব দেবে।
৭. এবার বাইরে যান৷ মুক্ত বাতাসে হাঁটতে হবে আধাঘন্টা৷ গ্রাম বা মফস্বলের মানুষের জন্য তাজা বাতাস পাওয়া সুবিধা৷ শহরের অধিবাসীদের জন্য মুশকিল৷ পার্কে গেলে ভালো, নাহলে ছাদে যান৷ আধাঘন্টা ফ্রী হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন৷ এ সময় বুক ভরে শ্বাস নিন৷ ধীরে ধীরে ছাড়ুন৷ কয়েকবার এমন করুন। ব্যায়াম করাই লাগবে।
৬. এবার এসে গোসল করে ফেলুন৷ তারপর সকালের নাস্তা৷ নাস্তায় রাখতে চেষ্টা করুন ডিম সেদ্ধ, খেজুর দুই তিনটা, ভেজানো কাঠবাদাম চারটা৷ এটুকু হলেই সারাদিনের শক্তির জন্য যথেষ্ট। শুধু পানি ছাড়া আর কিছু না খেলেও চলে৷
৭. এবার আপনার পেশাগত কাজে বেরিয়ে পড়ুন। ঋতু অনুযায়ী স্বাচ্ছন্দ্যের পোশাক পরুন। বাইরে মাস্ক পরা ভালো৷ বিষাক্ত ধুলোবালি ফুসফুসে যাতে না যায়।
৮. সারাদিনের খাবারে চিনি পুরোপুরি ত্যাগ করুন৷ কোমল পানীয় তো ধরবেনই না, চা কফিতেও চিনি দেবেন না।
৯. ভাজাপোড়া খাবেন না৷ শিঙাড়া, সমুচা, পুরি, পিয়াজু, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পিৎজা, বার্গার এসব জিনিস পুরোপুরি হারাম ঘোষণা করুন৷ খেতে ইচ্ছে করলে কলা খাবেন, পেয়ারা খাবেন। দাম এগুলোর কম, তবে দারুণ স্বাস্থ্যকর।
খাবারে পর্যাপ্ত সবুজ শাক সবজি রাখুন৷ ভাতের পরিমাণ কম রাখবেন। পেট ভরে খাবেন না। কিছুটা খালি যাতে থাকে।
১০. সারাদিনে বেশ কয়েকবার হাত মুখ ধোয়া ভালো৷ যারা মুসলিম তাদের তো অজু করাই লাগে, অন্যরাও চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিন।
১১. কাজ শেষে বাসায় এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন৷ রাত সাড়ে আটটা নয়টার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করুন। পরিবারের সবার সাথে একসাথে খেলে ভালো, আপনি দূরে থাকলে একাই খেতে হবে, বা আপনার রুমমেট, মেসমেট যিনি থাকবে, তার সাথে খান৷
১২. খাওয়ার পর কিছুটা হাঁটা ভালো৷ ভালো হয় এশার নামাজ খাওয়ার পর আদায় করলে। তাহলে একসাথে ব্যায়ামটা হয়ে যায়৷ ডাইজেস্টের জন্য ভালো।
১৩. এবার ফোন টিপুন৷ সোশাল মিডিয়াতে কেউ জরুরি মেসেজ দিলে উত্তর দিন। আপনজনদের খোঁজখবর নিন৷ দিনের খবরাখবর দেখুন। পছন্দের অনুষ্ঠান দেখতে পারেন। এই সময়ে লেখালেখি করতে পারেন৷ ডায়েরিতে দিনের ঘটনাগুলো লিখুন৷ বা বিশেষ কোনো অনুভূতি যা আপনাকে নাড়া দেয়৷ কোনো স্মৃতিকথা। লেখালেখির অভ্যাস থাকা দারুণ ব্যাপার৷
১৪. ঘুমাতে চেষ্টা করুন রাত দশটা সাড়ে দশটার মধ্যে৷ ঘুমের এক ঘন্টা আগে ফোন বা সকল ডিভাইসের স্ক্রিন বন্ধ করুন৷ তখন কাগজের বই খুলতে পারেন৷ অথবা অডিওবুক শুনতে পারেন৷ পছন্দের জনরার গল্প শুনলেন, বা প্রিয় বক্তার আলোচনা বা পডকাস্ট৷ এগুলো শুনতে হবে৷ স্ক্রিনে চোখ রেখে দেখা যাবে না৷ কানে ইয়ারফোন দিয়ে শুনবেন না৷ সহনীয় মাত্রার সাউন্ডে স্পীকারে শুনুন৷ শুনতে শুনতেই ঘুম এসে যাবে৷
________________
এই রুটিনটা একটি মাস অনুসরণ করুন৷ যদি জীবন ইতিবাচকভাবে বদলে না যায়, যদি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা না আসে, তাহলে আপনার ইচ্ছামতো রুটিনে ফিরে যাইয়েন৷ একটা মাস কষ্ট করে এই রুটিনটা মেনে দেখুন প্রিয় বন্ধু।
#সংগৃহীত