islam.medicinecornere

17/10/2025

মনিবিস্কুট (MoniBiscuit) যেহেতু সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানী (SMC)-এর একটি জনপ্রিয় পণ্য এবং শিশুদের পুষ্টির জন্য তৈরি, তাই এটি সাধারণত বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়।
আপনি এটিকে নিম্নলিখিত জায়গাগুলোতে খুঁজে দেখতে পারেন:
* মুদি দোকান ও ফলের দোকান: বেশিরভাগ স্থানীয় মুদি দোকান বা ছোট দোকানগুলিতে SMC-এর পণ্য পাওয়া যায়।
* ফার্মেসি/ঔষধের দোকান: যেহেতু এটি পুষ্টির পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, অনেক ফার্মেসিতেও এটি পাওয়া যেতে পারে।
* অনলাইন গ্রোসারি প্ল্যাটফর্ম: Daraz বা Arogga-এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতেও এটি কেনার সুযোগ থাকে।
* সুপার শপ: বড় চেইন শপ বা সুপার স্টোরগুলিতেও এটি থাকার সম্ভাবনা আছে।
সাধারণত, এটি ১৫টি ছোট সachet-এর একটি বক্সে পাওয়া যায়।

17/10/2025

মনিবিস্কুট (MoniBiscuit) হলো সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানী (SMC)-এর একটি পণ্য।
এটি মূলত শিশুদের জন্য তৈরি একটি বিস্কুট, যা দৈনিক প্রয়োজনীয় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ বলে দাবি করা হয়। এটি শিশুদের পুষ্টি এবং সুস্থতায় সহায়তা করার লক্ষ্যে বাজারে আনা হয়েছে।
আপনি কি মনিবিস্কুট সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান? যেমন এর স্বাদ, কোথায় পাওয়া যায় বা এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে?

15/10/2025

15/10/2025

13/10/2025

জরায়ু অপারেশন করে ফেলে দিলে ✅ সাধারণত হিস্টেরেক্টমি বলা হয়
মাসিক হওয়া চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।
এর কারণ হলো, মাসিক বা পিরিয়ডের সময় যে রক্তপাত হয়, তা জরায়ুর ভেতরের আস্তরণ (Endometrium) ভেঙে যাওয়ার কারণেই হয়। জরায়ুকেই যখন অপসারণ করা হয়, তখন মাসিকের জন্য আর কোনো অঙ্গ অবশিষ্ট থাকে না।
তবে কিছু বিষয় মনে রাখা ভালো:
* অপারেশনের পরে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত হালকা রক্তপাত বা বাদামী স্রাব হতে পারে, কিন্তু এটি স্বাভাবিক মাসিক নয়।
* জরায়ু অপসারণের সময় যদি ডিম্বাশয় (O***y) অপসারণ না করা হয়, তবে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলেও ডিম্বাশয় থেকে হরমোন উৎপাদন চলতে থাকে, তাই তাৎক্ষণিক মেনোপজের লক্ষণ (যেমন: হট ফ্ল্যাশ) নাও দেখা দিতে পারে।
* যদি জরায়ুর সাথে ডিম্বাশয়ও অপসারণ করা হয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে মেনোপজ শুরু হয়ে যায়।

06/10/2025

এমআরআই (MRI) এর পুরো কথা হলো Magnetic Resonance Imaging। এটি হলো শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিস্তারিত ছবি তোলার জন্য ব্যবহৃত একটি অত্যাধুনিক, অ-আক্রমণাত্মক (non-invasive) পরীক্ষার পদ্ধতি।
সহজ কথায়, এটি একটি ডায়াগনস্টিক টুল যা ডাক্তারদের শরীরের অভ্যন্তরের সমস্যাগুলি নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
এমআরআই কীভাবে কাজ করে?
এমআরআই স্ক্যানার একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র এবং রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে আপনার শরীরের ভিতরের টিস্যু, অঙ্গ এবং অন্যান্য কাঠামোর উচ্চ-রেজোলিউশনের চিত্র তৈরি করে।
* এটি শরীরের কোষগুলিতে থাকা হাইড্রোজেন পরমাণু ব্যবহার করে ছবি তোলে।
* এক্স-রে বা সিটি স্ক্যানের বিপরীতে, এমআরআই-এ কোনো আয়নাইজিং বিকিরণ (ionizing radiation) ব্যবহার করা হয় না, তাই এটি অনেক রোগীর জন্য একটি নিরাপদ বিকল্প।
এমআরআই কেন করা হয়?
এমআরআই স্ক্যান বিভিন্ন রোগ নির্ণয় এবং পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এটি বিশেষভাবে নরম টিস্যু যেমন মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড, হৃৎপিণ্ড এবং পেশীর ছবি তোলার জন্য খুব কার্যকর।
কিছু সাধারণ কারণ যার জন্য এমআরআই করার পরামর্শ দেওয়া হয়:
* মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড: টিউমার, স্ট্রোক, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (MS), বা মেরুদণ্ডের আঘাত নির্ণয়ের জন্য।
* হাড় ও জয়েন্ট: লিগামেন্ট বা টেন্ডন ছিঁড়ে যাওয়া, হাড়ের সংক্রমণ, বা আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা শনাক্ত করতে।
* অভ্যন্তরীণ অঙ্গ: হৃদরোগ, লিভার বা কিডনির রোগ, বা অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের রোগ বা টিউমার নির্ণয় করতে।
এমআরআই স্ক্যান সম্পর্কে আপনার আর কোনো প্রশ্ন আছে কি? যেমন এটি করতে কত সময় লাগে বা এর জন্য কোনো বিশেষ প্রস্তুতির দরকার হয় কিনা?

05/10/2025

হ্যাঁ, জরায়ু ফেলে দেওয়ার (Hysterectomy) পরও সহবাস করা যায় এবং এটি স্বাভাবিক যৌন জীবনে কোনো স্থায়ী বাধা সৃষ্টি করে না।
জরায়ু অপসারণ বা হিস্টেরেক্টমি একটি ভুল ধারণা যে এটি নারীর যৌন ক্ষমতা বা আকাঙ্ক্ষাকে নষ্ট করে দেয়। বাস্তবে, জরায়ু সহবাসের সংবেদনার জন্য সরাসরি দায়ী নয়।
মূল তথ্য:
১. যৌন সংবেদনা অক্ষত থাকে: সহবাসের সময় যে প্রধান সংবেদন বা উদ্দীপনা তৈরি হয়, তা মূলত যোনিপথের সামনের স্নায়ু এবং যোনিপথের অভ্যন্তরে তৈরি হয়। জরায়ু অপসারণের পরও যোনিপথ (Va**na) অক্ষত থাকে।
২. ব্যথার উপশম: হিস্টেরেক্টমি প্রায়শই অতিরিক্ত রক্তপাত, ফাইব্রয়েড বা এন্ডোমেট্রিওসিসের মতো যন্ত্রণাদায়ক স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসার জন্য করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো দূর হওয়ার ফলে, অনেক মহিলার যৌন জীবন আগের চেয়েও বেশি উপভোগ্য হতে পারে, কারণ তারা আর ব্যথা বা রক্তপাতের ভয় পান না।
৩. গর্ভধারণের ঝুঁকি নেই: জরায়ু না থাকলে মাসিক হওয়া এবং গর্ভধারণ করা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জন্মনিয়ন্ত্রণের চিন্তা ছাড়াই সহবাস করা যায়।
কখন সহবাস শুরু করা উচিত?
যদিও জরায়ু অপসারণের পর সহবাস করা সম্ভব, তবে অস্ত্রোপচারের পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা জরুরি। একে আরোগ্য লাভের সময়কাল (Recovery Period) বলা হয়।
* অপেক্ষা করুন: সাধারণত অস্ত্রোপচারের প্রকারভেদে এবং ব্যক্তিগত আরোগ্যের ওপর নির্ভর করে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় সহবাস এড়িয়ে চলতে বলা হয়।
* কারণ: এই সময়ে যোনিপথের ভেতরের সেলাই বা ক্ষত (বিশেষ করে মোট হিস্টেরেক্টমির ক্ষেত্রে যেখানে জরায়ুমুখও অপসারণ করা হয় এবং যোনি কাফ তৈরি করা হয়) সম্পূর্ণ সেরে উঠতে সময় লাগে। পুরোপুরি সেরে ওঠার আগে সহবাস করলে ইনফেকশন বা ক্ষতে রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
* চিকিৎসকের পরামর্শ: সহবাস শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার সার্জন বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের (Gynecologist) কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার শরীর এখন সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। তিনি আপনার সেলাই বা ক্ষতস্থান পরীক্ষা করে সবুজ সংকেত দেবেন।
সহবাসে সমস্যা হতে পারে কখন?
খুব কম ক্ষেত্রে, কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে, যেমন:
* ডিম্বাশয় অপসারণ: যদি জরায়ুর সাথে ডিম্বাশয়ও (O***y) অপসারণ করা হয়, তবে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের অভাব দেখা দিতে পারে, যা সার্জিক্যাল মেনোপজ সৃষ্টি করে। এর ফলে যোনি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে বা যৌন আকাঙ্ক্ষা (Libido) কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক হরমোন থেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন।
* দাগ টিস্যু: অস্ত্রোপচারের জটিলতা হিসেবে যোনিতে দাগ টিস্যু তৈরি হলে সহবাসের সময় কিছুটা ব্যথা অনুভব হতে পারে।
সারসংক্ষেপে, জরায়ু ফেলে দিলেও আপনার স্বাভাবিক যৌন জীবন ব্যাহত হয় না। কেবল আরোগ্য লাভের জন্য চিকিৎসকের নির্দেশিত সময় পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা প্রয়োজন।

05/10/2025

সোমাজেক্ট (SOMA-JECT) ইনজেকশনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি এর মূল উপাদান মেড্রোক্সিপ্রোজেস্টেরন অ্যাসিটেট (Medroxyprogesterone Acetate - MPA)-এর হরমোনজনিত প্রভাবে হয়ে থাকে।
সোমাজেক্ট যেহেতু মূলত একটি দীর্ঘমেয়াদী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত, তাই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোও সাধারণত হরমোনজনিত গর্ভনিরোধক ইনজেকশনের মতোই হয়।
এখানে সোমাজেক্ট ইনজেকশনের সাধারণ এবং কিছু গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হলো:
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Common Side Effects)
অধিকাংশ ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো দেখা যেতে পারে এবং সাধারণত সময়ের সাথে সাথে এটি কমতে থাকে:
* মাসিকের অনিয়ম (Menstrual Changes): এটি সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
* অনিয়মিত রক্তপাত (Irregular bleeding)।
* দুই মাসিকের মাঝখানে ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত বা দাগ পড়া (Spotting or break-through bleeding)।
* মাসিক বন্ধ থাকা (Amenorrhea): দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর অনেকের মাসিক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা সাধারণত ক্ষতিকারক নয়।
* অতিরিক্ত রক্তস্রাব (Excessive bleeding)।
* ওজন বৃদ্ধি (Weight Gain): অনেকের ক্ষেত্রে সামান্য ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
* মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরা (Headache & Dizziness): ঘন ঘন মাথা ব্যথা বা মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।
* পেটে অস্বস্তি: তলপেট ভারী ভারী লাগা, পেট ফুলে যাওয়া বা সামান্য ব্যথা অনুভব করা।
* মনোভাবের পরিবর্তন (Mood Changes): মানসিক দুশ্চিন্তা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া বা মানসিক অবসাদ (depression) অনুভব করা।
* অন্যান্য:
* স্তনের কোমলতা বা ব্যথা (Breast tenderness)।
* খাবারের রুচিতে পরিবর্তন।
* ব্রণের অবনতি বা উন্নতি হতে পারে।
* ইনজেকশনের স্থানে সংক্রমণ, ব্যথা বা লালভাব।
দীর্ঘমেয়াদী এবং গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
* উর্বরতা ফিরে আসতে বিলম্ব: ইনজেকশন ব্যবহার বন্ধ করার পর গর্ভধারণ ক্ষমতা (Fertility) স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কয়েক মাস থেকে এক বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
* হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস (Reduced Bone Mineral Density): দীর্ঘমেয়াদী (২ বছরের বেশি) ব্যবহারের ফলে কিছু মহিলার হাড়ের ঘনত্ব কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। তবে সাধারণত ইনজেকশন বন্ধ করার পর এটি আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত:
* তীব্র বুকে ব্যথা বা শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া।
* পায়ে তীব্র ব্যথা বা ফোলাভাব (যা রক্ত ​​জমাট বাঁধার লক্ষণ হতে পারে)।
* হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা বা দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হওয়া (যেমন: চোখে ঝাপসা দেখা)।
* ত্বক বা চোখ হলুদ বর্ণ ধারণ করা (জন্ডিসের লক্ষণ)।
* অত্যন্ত বেশি বা অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত।
পরামর্শ: যেহেতু এটি একটি প্রেসক্রিপশন-নির্ভর ঔষধ এবং সবার শরীর একইরকম প্রতিক্রিয়া দেখায় না, তাই ইনজেকশন ব্যবহারের আগে এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

05/10/2025

সোমাজেক্ট (SOMA-JECT) হলো একটি ব্র্যান্ড নামের ইনজেকশন, যার মূল উপাদান হলো মেড্রোক্সিপ্রোজেস্টেরন অ্যাসিটেট (Medroxyprogesterone Acetate - MPA)। এটি মূলত একটি সিনথেটিক হরমোন, যা শরীরের প্রাকৃতিক প্রজেস্টেরন হরমোনের মতো কাজ করে।
এই ইনজেকশনটি বিভিন্ন চিকিৎসাজনিত কারণে ব্যবহার করা হয়, তবে এর প্রধান ও সুপরিচিত ব্যবহারগুলো নিচে দেওয়া হলো:
সোমাজেক্ট ইনজেকশনের মূল ব্যবহারসমূহ
১. জন্মনিয়ন্ত্রণ (Contraception)
সোমাজেক্ট ইনজেকশন মহিলাদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটিকে সাধারণত '৩ মাস মেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন' বলা হয়।
* কার্যকারিতা: এটি অত্যন্ত কার্যকর (সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ৯৯% এর বেশি)।
* কার্যপদ্ধতি: এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ হতে বাধা দেয়, জরায়ুর মুখে নিঃসৃত রসকে ঘন ও আঠালো করে তোলে (যা শুক্রাণুকে জরায়ুতে প্রবেশে বাধা দেয়), এবং জরায়ুর ভেতরের স্তরকে পাতলা করে গর্ভসঞ্চারকে প্রতিরোধ করে।
* ডোজ: সাধারণত প্রতি তিন মাস অন্তর (৯০ দিন বিরতিতে) একবার করে মাংসপেশিতে (সাধারণত হাতের বাহুতে বা নিতম্বে) এই ইনজেকশন দেওয়া হয়।
২. অন্যান্য চিকিৎসা ক্ষেত্র
সোমাজেক্ট (মেড্রোক্সিপ্রোজেস্টেরন অ্যাসিটেট) আরও কিছু স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
* এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis): এই রোগটির চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
* হরমোন-নির্ভর ক্যান্সার: কিছু ক্ষেত্রে, যেমন জরায়ুর ক্যান্সার (Endometrial carcinoma) বা স্তন ক্যান্সারের (Breast cancer) চিকিৎসায় এটি সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
* অস্বাভাবিক জরায়ু রক্তপাত: হরমোনজনিত কারণে সৃষ্ট মাসিকের অস্বাভাবিক রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side Effects)
ইনজেকশনটি সাধারণত নিরাপদ হলেও কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
* মাসিক চক্রের পরিবর্তন: প্রথম দিকে মাসিকের অনিয়ম বা দুই মাসিকের মাঝখানে ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত (spotting) হতে পারে। দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে অনেকের মাসিক সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
* ওজন বৃদ্ধি: সামান্য পরিমাণে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
* শারীরিক অস্বস্তি: মাথা ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, স্তন ভারী বা ব্যথা অনুভব করা।
* মানসিক পরিবর্তন: মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মানসিক দুশ্চিন্তা বা অবসাদ অনুভব করা।
* গর্ভধারণে বিলম্ব: ইনজেকশন ব্যবহার বন্ধ করার পর গর্ভধারণ ক্ষমতা ফিরে আসতে কয়েক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
যেহেতু এটি একটি হরমোনজনিত ঔষধ, তাই সোমাজেক্ট ইনজেকশন নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। চিকিৎসক আপনার শারীরিক অবস্থা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে এটি ব্যবহারের সঠিক নির্দেশিকা দিতে পারবেন এবং আপনার কোনো গুরুতর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি (যেমন: স্তন ক্যান্সার, গুরুতর লিভার সমস্যা বা রক্ত জমাট বাঁধার ইতিহাস) আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারবেন।

05/10/2025

বৌ যদি নিজে থেকে কখনো সহবাসের আগ্রহ না দেখান, তবে স্বামীর মনে কষ্ট বা উদ্বেগ আসা খুব স্বাভাবিক। যৌন সম্পর্ক একটি সুস্থ দাম্পত্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং উভয় পক্ষের আগ্রহ না থাকলে সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আপনার হতাশ না হয়ে স্ত্রীর সাথে খোলাখুলি এবং সহানুভূতিশীল আলোচনা করা উচিত।
স্ত্রীর আগ্রহ না দেখানোর সম্ভাব্য কারণগুলো কী?
স্ত্রী কেন নিজে থেকে সহবাসের আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, তার অনেক কারণ থাকতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ব্যক্তিগত বা সম্পর্কের মধ্যেকার কোনো সমস্যার ফল, আপনার প্রতি তার ভালোবাসার অভাব নয়:
১. শারীরিক ও মানসিক কারণ
* মানসিক চাপ ও ক্লান্তি: কাজ, সংসার, বা সন্তান পালনের বাড়তি চাপ এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি যৌন ইচ্ছাকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়।
* হরমোনের পরিবর্তন: সন্তান জন্মদানের পর, মেনোপজের আগে বা অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত কারণে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হতে পারে, যা কামনার (Libido) উপর প্রভাব ফেলে।
* স্বাস্থ্য সমস্যা: কোনো রোগ, বিষণ্নতা (Depression), উদ্বেগ (Anxiety), বা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে যৌন আগ্রহ কমতে পারে।
* শারীরিক অসন্তুষ্টি বা ব্যথা: সহবাসের সময় যদি তার কোনো ধরনের শারীরিক কষ্ট হয় (যেমন: যোনিপথের শুষ্কতা), তবে তিনি স্বাভাবিকভাবেই তা এড়িয়ে যেতে চাইবেন।
২. সম্পর্কের কারণ
* যোগাযোগের অভাব: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি আবেগিক যোগাযোগ দুর্বল হয় বা কোনো চাপা ক্ষোভ থাকে, তবে যৌন ঘনিষ্ঠতাও কমে যায়।
* পারস্পরিক ভূমিকা: অনেক সময় সমাজে প্রচলিত ধারণা থাকে যে স্বামীই সবসময় আগ্রহ দেখাবে। এই কারণে স্ত্রীরা হয়তো লজ্জাবশত বা অভ্যাসের বশে নিজে থেকে আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না।
* যৌন অসন্তুষ্টি: যদি স্ত্রী সহবাসে পর্যাপ্ত তৃপ্তি না পান বা তার প্রয়োজনগুলো পূরণ না হয়, তবে তিনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
* অস্বীকৃতির ভয়: স্ত্রী হয়তো মনে করেন যে তিনি আগ্রহ দেখালে আপনি হয়তো সেটিতে সাড়া দেবেন না বা প্রত্যাখ্যান করবেন, এই ভয়ে তিনি আর চেষ্টা করেন না।
আপনার করণীয় কী?
এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারেন:
১. খোলাখুলি আলোচনা করুন (Talk About It)
* শান্তভাবে কথা বলুন: এমন একটি সময় ও পরিবেশ বেছে নিন যখন আপনারা দু'জনেই শান্ত এবং তাড়াহুড়ো নেই। অভিযোগের সুরে নয়, বরং উদ্বেগ ও ভালোবাসার সাথে বিষয়টি উত্থাপন করুন।
* শোনার চেষ্টা করুন: তাকে জিজ্ঞেস করুন, তিনি কেমন অনুভব করছেন, তার জীবনে কোনো চাপ আছে কিনা। তাকে বুঝতে দিন যে আপনি তার অনুভূতিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন। "আমি খেয়াল করছি যে তুমি নিজে থেকে কখনো ঘনিষ্ঠতা শুরু করো না। এর পিছনে কি কোনো বিশেষ কারণ আছে? তুমি কি আমাকে কিছু বলতে চাও?"—এমনভাবে কথা শুরু করতে পারেন।
* জোর করবেন না: কখনোই তাকে সহবাসের জন্য জোর করবেন না বা চাপ দেবেন না। জোর করলে তার আগ্রহ আরও কমে যেতে পারে এবং সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
২. সম্পর্কের উন্নতিতে মনোযোগ দিন (Focus on Connection)
* দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করুন: যদি আপনার স্ত্রী সাংসারিক কাজের চাপে থাকেন, তবে তার কাজের চাপ কমানোর চেষ্টা করুন (যেমন: রান্না, বাজার বা সন্তানের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া)। ক্লান্তি কমলে স্বাভাবিকভাবেই যৌন ইচ্ছা বাড়তে পারে।
* আবেগিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ান: সহবাস ছাড়াও আবেগিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। আলিঙ্গন করুন, হাত ধরে থাকুন, চুমু খান এবং তাকে "আমি তোমাকে ভালোবাসি" কথাটি বলুন। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা যেন শুধু সহবাসেই সীমাবদ্ধ না থাকে, তা নিশ্চিত করুন।
* ডেটিং-এর সময় বের করুন: একসাথে বাইরে কোথাও যান, বা বাড়িতেই দু'জনে মিলে কিছু উপভোগ করুন। এতে পুরোনো রোমান্টিক সম্পর্ক ফিরে আসতে পারে।
৩. ডাক্তারের পরামর্শ নিন
* যদি মনে হয় এর পিছনে শারীরিক বা হরমোনজনিত কোনো সমস্যা থাকতে পারে, তবে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ (Gynecologist) বা সেক্সুয়াল হেলথ এক্সপার্ট-এর পরামর্শ নিন।
* যদি সমস্যাটি মানসিক হয় (যেমন: বিষণ্নতা, উদ্বেগ), তবে একজন কাউন্সেলর বা সম্পর্ক বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন।
মনে রাখবেন, যৌন আগ্রহ বাড়ানো বা সম্পর্ক মেরামত করা সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। ধৈর্যের সাথে আপনার স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতি এবং ভালোবাসা বজায় রাখলে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।