01/06/2025
ফিজিওথেরাপি বিভিন্ন কারণেই প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যখন শারীরিক সমস্যা বা আঘাতের কারণে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অসুবিধা দেখা দেয়। নিচে কেন ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন তা তুলে ধরা হলো:
১. আঘাত বা দুর্ঘটনার পর পুনর্বাসন:
শারীরিক আঘাত বা দুর্ঘটনার পর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য ফিজিওথেরাপি অপরিহার্য। এটি পেশি এবং জয়েন্টের কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
২. ব্যথা কমাতে:
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, যেমন কোমর, ঘাড় বা জয়েন্টের ব্যথা কমানোর জন্য ফিজিওথেরাপি কার্যকর। এটি ব্যথার কারণ নির্ণয় করে এবং ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক অনুশীলন প্রদান করে।
৩. মাংসপেশি ও জয়েন্টের দুর্বলতা:
মাংসপেশি ও জয়েন্টের দুর্বলতা বা কর্মক্ষমতা হ্রাস পেলে ফিজিওথেরাপি তা উন্নত করে। এটি দুর্বল অংশগুলোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
৪. নিউরোলজিক্যাল সমস্যায়:
স্ট্রোক, সেরিব্রাল পালসি বা প্যারালাইসিসের মতো সমস্যায় ফিজিওথেরাপি নার্ভ এবং পেশির কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সহায়ক। এটি রোগীদের চলাচল এবং দৈনন্দিন কাজের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. শল্য চিকিৎসার পর পুনরুদ্ধার:
কোনো সার্জারির পর ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন হয় শারীরিক কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য। এটি জয়েন্ট বা পেশির কার্যক্ষমতা দ্রুত পুনরায় ফিরিয়ে আনে এবং সার্জারির পরে রোগীর চলাচল সহজ করে।
৬. অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও অন্যান্য জয়েন্ট সমস্যায়:
আর্থ্রাইটিস বা অন্যান্য জয়েন্টের সমস্যা যেমন হাঁটু বা কোমরের ব্যথা কমাতে ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকর। এটি জয়েন্টের মুভমেন্ট এবং ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
৭. বয়সজনিত সমস্যায়:
বয়সের সাথে সাথে শরীরের পেশি এবং জয়েন্ট দুর্বল হয়ে যায়। ফিজিওথেরাপি বয়স্কদের এই দুর্বলতা দূর করতে এবং শরীরকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
৮. খেলাধুলায় আঘাত:
ক্রীড়াজীবীরা খেলাধুলায় আঘাত পেলে বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে শরীরের কোনো অংশের উপর চাপ পড়লে ফিজিওথেরাপি দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রয়োজন।
৯. শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা:
অ্যাজমা বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) এর মতো শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে ফিজিওথেরাপির সহায়ক ব্যায়াম কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
১০. পোস্টার বা অঙ্গবিন্যাস সমস্যা:
দৈনন্দিন জীবনে ভুল অঙ্গবিন্যাসের কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে। ফিজিওথেরাপি সঠিক অঙ্গবিন্যাস শেখানোর মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা দূর করে।
ফিজিওথেরাপি প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে সুস্থ করতে এবং জীবনের মান উন্নত করতে সহায়ক, তাই এটি শারীরিক সমস্যার বিভিন্ন ধরণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।