01/08/2025
হাইপোগ্লাইসেমিয়া (Hypoglycemia) মানে হচ্ছে শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তে গ্লুকোজ (চিনি) এর পরিমাণ অতিরিক্ত কমে যাওয়া।
🧠 হাইপোগ্লাইসেমিয়া কী?
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হল এমন একটি অবস্থা, যেখানে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৭০ mg/dL এর নিচে নেমে যায়। গ্লুকোজ হচ্ছে শরীরের প্রধান জ্বালানি, বিশেষ করে মস্তিষ্কের জন্য।
⚠️ হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয়?
এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:
ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে:
ইনসুলিন বা ওষুধ বেশি নিয়ে ফেলা
খাবার না খেয়ে ইনসুলিন নেওয়া
খাবার দেরিতে খাওয়া বা একেবারে না খাওয়া
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম
ডায়াবেটিস ছাড়াও:
দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা (উপোস)
অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ
হরমোনের ঘাটতি (যেমন: অ্যাড্রেনাল বা পিটুইটারি হরমোন)
যকৃত বা কিডনির রোগ
😰 হাইপোগ্লাইসেমিয়ার উপসর্গগুলো কী কী?
মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগা
ঝাঁকুনি (কম্পন)
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
ক্ষুধা অনুভব
ঝিমঝিম ভাব, চোখে ঝাপসা দেখা
আচরণে পরিবর্তন (উত্তেজনা, বিভ্রান্তি)
জ্ঞান হারানো (চরম ক্ষেত্রে)
🛑 প্রতিকারের উপায় কী?
✅ তাৎক্ষণিক করণীয়:
যদি রক্তে চিনি কমে যায়, তখন দ্রুত ১৫-২০ গ্রাম গ্লুকোজ বা সহজ শর্করা খাওয়ানো উচিত। যেমন:
গ্লুকোজ ট্যাবলেট বা জেল
১/২ গ্লাস ফলের রস (যেমন: আপেল/কমলা)
১ টেবিল চামচ চিনি/মধু
চিনি দেওয়া চা বা সফট ড্রিঙ্ক
✅ ৫-১০ মিনিট পর রক্তে গ্লুকোজ চেক করুন। যদি স্বাভাবিক না হয়, আবার সহজ শর্করা দিন।
🛡️ প্রতিরোধের উপায়:
ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত রক্তে চিনি পরীক্ষা করা
ইনসুলিন বা ওষুধ সময়মতো এবং সঠিক মাত্রায় নেওয়া
দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা যাবে না
এক্সারসাইজের আগে এবং পরে গ্লুকোজ লেভেল মনিটর করা
ডায়াবেটিক রোগীরা সবসময় সাথে কিছু মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখবেন
হাইপো হলে কী করতে হবে— তা পরিবার ও আশপাশের মানুষদের জানিয়ে রাখা
🩺 পরামর্শ: হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এটি জীবনঘাতী হতে পারে।