17/04/2025
" মাত্র ২ মিনিট সময় লাগবে, কিন্তু আপনার এটা পড়া উচিত!"
প্যারেল (Parel) এলাকার বিখ্যাত টাটা ক্যান্সার হাসপাতালের সামনে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নীচে দাঁড়িয়ে থাকা ভিড়ের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীদের মুখে ভয়, তাদের আত্মীয়স্বজনের অসহায় দৌড়াদৌড়ি যুবকটিকে খুব অস্থির করে তুলত।
রোগীদের বেশিরভাগই ছিলেন বাইরের গ্রামের দরিদ্র মানুষ। তারা জানত না কার সাথে দেখা করতে হবে, কী করতে হবে। তাদের কাছে শুধু ওষুধ এবং জলের জন্য টাকা ছিল না, এমনকি খাবারের জন্যও টাকা ছিল না। এই সব দেখে যুবকটি প্রায়ই ভগ্ন হৃদয়ে বাড়ি ফিরত। বারবার তার মনে একই চিন্তা আসছিল যে,
"এই মানুষগুলোর জন্য কিছু করা উচিত!"
দিনরাত সে এই চিন্তায় নিজেকে নিমগ্ন রেখেছিল। এবং একদিন সে এর সমাধান খুঁজে পেয়েছিল।
সে তার নিজের সুপরিচিত হোটেলটি ভাড়া দিয়ে কিছু টাকা জোগাড় করে টাটা হাসপাতালের সামনের রাস্তায় কোন্ডাজি চাওলে ( Kobdaji Chawal) তার পথ চলার যজ্ঞ শুরু করেছিল। সে নিজেও জানত না যে তার এই যজ্ঞ পরবর্তী ২৭ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলবে।
ক্যান্সার রোগীদের এবং তাদের পরিবারকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহের তার এই উদ্যোগটি এলাকার অনেক মানুষ পছন্দ করেছিল। প্রাথমিকভাবে, ৫০-৬০ জনকে খাবার সরবরাহের এই প্রচেষ্টা ধীরে ধীরে ১০০, ২০০, ৩০০ তে পৌঁছে এবং তারপর অসংখ্য সাহায্যকারী তার সাথে যোগ দেয়। বছরের পর বছর এই কাজ বাড়তে থাকে। ঠান্ডা, গরম, মুম্বাইয়ের প্রবল বৃষ্টিপাত কোনওটাই তার এই চলার যজ্ঞ থামাতে পারেনি। ধীরে ধীরে প্রতিদিন বিনামূল্যে খাবার পাওয়া মানুষের সংখ্যা ৭০০-এরও বেশি হয়ে যায়।
হরখচাঁদ সাওলা এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি অভাবী রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধও সরবরাহ করতে শুরু করেন।
এর জন্য, তিনি একটি ঔষধ ব্যাংক খোলেন, যেখানে তিনজন ফার্মাসিস্ট, তিনজন ডাক্তার এবং অনেক সমাজকর্মী কাজ করছেন।
তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি "টয় ব্যাংক" ও শুরু করেছিলেন। আজ, তাঁর প্রতিষ্ঠিত "জীবন জ্যোতি" ট্রাস্ট ৬০টিরও বেশি সমাজসেবামূলক কাজে নিয়োজিত।
৫৭ বছর বয়সী হরখচাঁদ সাওলা এখনও একই উৎসাহে সেবায় নিয়োজিত।
তাঁর অতুলনীয় কাজ এবং নিষ্ঠার প্রতি শত শত প্রণাম!
আমাদের দেশে কোটি কোটি মানুষ ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট খেলা শচীন টেন্ডুলকারকে ঈশ্বর বলে মনে করে, কিন্তু মুম্বাইয়ের হরখচাঁদ সাওলাকে কজন লোকই বা চেনে, যিনি ২৭ বছরে ১০-১২ লক্ষ ক্যান্সার রোগী এবং তাদের পরিবারকে বিনামূল্যে খাবার তুলে দিয়েছেন। কেননা তাঁকে নিয়ে মিডিয়ার কোনো প্রচার নেই। আমাদের দেশের মিডিয়ার কাছে এটাই সত্য।
কোটি কোটি ভক্ত যারা **পণ্ঢরপুরের বিঠোবা, প্রভাদেবীর সিদ্ধিবিনায়ক, শিরডির সাই বাবা, তিরুপতির বালাজি** বা অন্যান্য মন্দিরে ঈশ্বরের সন্ধানে যান, তারা কখনও সত্যিকারের ঈশ্বরকে খুঁজে পান না।
ঈশ্বর তো আমাদের চারপাশে আছেন, অবতার হিসাব,কিন্তু আমরা তাঁকে চিনতে পারি না। অথচ গত ২৭ বছরে লক্ষ লক্ষ ক্যান্সার রোগী এবং তাদের পরিবার হরখচাঁদ সাওলার রূপে ঈশ্বরকে খুঁজে পেয়েছেন!
আপনি যেমন কবিতা, জোক্স, নিউজ ইত্যাদি ফরোয়ার্ড করেন, তেমনি এই বার্তাটিও সকলের কাছে পাঠান। যদি বোঝেন যে এই রকম এক মহান ব্যক্তিকে সম্মান করা উচিত, তাঁর বিখ্যাত হওয়া উচিত তাঁকে প্রচারের আলোয় আনা উচিত তো এই পোষ্ট টা শেয়ার করুন দয়া করে বেশী বেশী শেয়ার করুন, যাতে এই ঈশ্বর সম ব্যক্তি কে যথাযথ সম্মান জানাতে পারি।