
22/07/2025
দূর্ঘটনাস্থলে তখনও এম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারেনি। তাই আশেপাশের মানুষজন পুড়ে যাওয়া বাচ্চাদের কোলে নিয়েই দৌড়াচ্ছিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।
মেট্রো স্টেশন থেকে সবচেয়ে কাছের হাসপাতাল মন্সুর আলী মেডিকেল কলেজের রেগুলার ভাড়া ৩০-৪০ টাকা। কিন্তু রিকশাওয়ালারা চাচ্ছিল ১২০ টাকা, ১৫০ টাকা।
মাইলস্টোন থেকে কাছাকাছি মর্ডান হাসপাতালে রেগুলার ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকা, অথচ সিএনজিওয়ালারা চাচ্ছে ১০০০ টাকা, ১২০০ টাকা।
২ লিটার পানির বোতলের দাম চেয়েছে এক দোকানদার ৬০০ টাকা।
একজন লোক পুড়ে যাওয়া একটা বাচ্চাকে নিয়ে অনেকক্ষণ যাবত ঘুরছিল কিন্তু একটা রিকশাওয়ালা, সিএনজিওয়ালাও রেগুলার ভাড়ায় যেতে চাচ্ছিল না। তাদেরকে বেশি ভাড়াই দিতে হবে।
এমনকি একটা প্রাইভেট কার পর্যন্ত থামেনি পুড়ে যাওয়া মাসুম বাচ্চাগুলোকে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। এইদিকে বাচ্চাগুলোর পুরো শরীর পোড়া,শরীরের মাংস গলে গলে পড়ার মতো অবস্থা।
বাচ্চাগুলো তখন পোড়া শরীর নিয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল, গোঙাচ্ছিল শুধু।
এদেশের মানুষগুলো এমন কেন.? বিপদ দেখলেই ওরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। এদেশের মানুষগুলো সভ্য হবে কবে.?