30/08/2024
প্রথমত সংক্ষেপে আয়াত, হাদীস এবং বই উল্লেখ করা হলো, দ্বিতীয়ত বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
▪ পবিত্র কুরআনের আয়াতের তালিকা
১. সুরা তাওবার ১৪ নম্বর আয়াত
২. সুরা হা-মীম এর ৪৪ নম্বর আয়াত
৩. সুরা আশ-শেফা ৮০ নম্বর আয়াত।
৪. ছুরা নাহলের ৬৯ নম্বর আয়াত
৫. সুরা ইউনূসের ৫৭ নম্বর আয়াত
৬. সুরা তাওবার ১৪ নম্বর আয়াত
▪ হাদীস এর তালিকা
১. বুখারী, খন্ড-২য়, পৃষ্ঠা-৮৪৮, হাদীস নং-৫২৭৬; তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫
২. তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫
৩. বুখারি-৫৩১২
৪. বুখারি-৫৩৫৩
৫. বুখারি-৫৩০২
৬. বুখারি-৫২৭০
৭. বুখারি-৫৩০২
▪ বই ১. The Regimental Therapies of Unani Medicine
▪ বই ২. The Traditional Healer : A Comprehensive Guide to the Principles and Practice of Unani Herbal Medicine
▪ বই ৩. Handbook on Unani Medicines with Formulae (ভারতীয়)
▪ বই ৪. A Handbook for Gynecology in Unani Medicine
▪ বই ৫. Avicenna's Single Drugs : The Second Book of the Canon of Medicine
▪ বই ৬. Blood Purifier in Unani Medicine (প্রাক-পারস্য)
▪ বই ৭. Unani Medicine Theory Practice & Example
▪ বই ৮. A Glossary of Ayurveda, Tibetan and Unani Medicines (রোমান ভাষা থেকে বাংলায় অনুদিত)
▪ হাদীস এর আলোচনা :
- হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা এমন কোনও রোগ সৃষ্টি করেননি যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি।’ (বুখারী, খন্ড-২য়, পৃষ্ঠা-৮৪৮, হাদীস নং-৫২৭৬; তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫)
- কুরতুবিতে লেখা হয়েছে, যে ব্যক্তি কোরআনের মাধ্যমে আরোগ্য তালাশ করে না, তার কোন শেফা নেই। (তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫)
- বিশ্বনবী (সা.)-এর ফর্মুলার দিকে তাকালে দেখা যায়- তিনি বলেন, আগের নারীরা এ বরকতময় গাছের ফল ও তেল ব্যবহার করতেন এবং গাছের ডালকে মিসওয়াক বানাতেন। (আল মুজামুল আওসাত)। অন্য এক বর্ণনায় বলেন, তোমরা তেল খাও এবং মালিশ কর কারণ এটি বরকত ও প্রাচুর্যময় গাছের তেল। (তিরমিজি ১৮৫১)
- হজরত আবু হুরাইরা রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লøাহ সা: বলেছেন, ‘ছোঁয়াচে বলে কোনো রোগ নেই এবং সফর মাস ও পেঁচার মধ্যে অমঙ্গল বলে কিছু নেই।’ তখন একজন গ্রাম্য লোক বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:, তবে আমার এ উটগুলোর এ দশা হলো কেন? এগুলো ছিল চারণভূমিতে, দেখতে বন্য হরিণের মতো সুন্দর। তারপর সেখানে একটি চর্ম রোগাক্রান্ত উট এলো। আমার উটগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়ল এবং সেগুলোকে চর্ম রোগাক্রান্ত বানিয়ে দিলো।’ তখন রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, প্রথম উটটির মধ্যে রোগ সৃষ্টি করল কে?’ (বুখারি-৫৩০২)
- সব রোগের চিকিৎসা রয়েছে : আবু হুরাইরা রা: থেকে বর্ণিত। নবী করিম সা: বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার কোনো ওষুধ সৃষ্টি করেননি।’ (বুখারি-৫২৭০)
- আমার উটগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়ল এবং সেগুলোকে চর্ম রোগাক্রান্ত বানিয়ে দিলো।’ তখন রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, প্রথম উটটির মধ্যে রোগ সৃষ্টি করল কে?’ (বুখারি-৫৩০২)
- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, রোগে কোনো সংক্রমণ নেই। অশুভ ও কুলক্ষণ বলেও কিছু নেই। (বুখারি-৫৩৫৩)
- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমের রা: কর্তৃক বর্ণিত। ওমর রা: সিরিয়া যাত্রা করলেন। সারগ নামক স্থানে উপনীত হলে খবর পেলেন, সিরিয়ায় প্লেগ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। তখন আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা: বললেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, যখন তোমরা শোনো যে, কোনো স্থানে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, তবে তোমরা সেখানে যেও না। আর যখন কোনো স্থানে তা দেখা দেয়, তোমরাও সেখানে অবস্থান করতে থাকো। তবে সেখান থেকে বাইরে যেও না। (বুখারি-৫৩১৩)
- তিনি বললেন, আপনাদের বিতর্কিত বিষয়ে একটি হাদিস আমার জানা আছে। রাসূল সা: কে বলতে শুনেছি, ‘যখন তোমরা শুনতে পাও, কোনো স্থানে প্লেগ মহামারী দেখা দিয়েছে, তবে সেখানে যেও না। আর যখন কোথাও তা ছড়িয়ে পড়ে এবং তুমি সেখানে থেকে যাও, তাহলে সেখান থেকে বের হয়ে পলায়ন করো না।’ বর্ণনাকারী বলেন, এই হাদিস শুনে ওমর রা: আল্লøাহর প্রশংসা করলেন। অতঃপর মদিনার দিকে ফিরে চললেন। (বুখারি-৫৩১২)
▪ কুরআনের আলোচনা :
১. সুরা তাওবার ১৪ নম্বর আয়াত।
وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ
অর্থ : এবং আল্লাহ মু’মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন।
২. সুরা ইউনূসের ৫৭ নম্বর আয়াত।
وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ
অর্থ : এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।
৩. ছুরা নাহলের ৬৯ নম্বর আয়াত।
يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ
অর্থ : তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার।
৪. সুরা বনী ইসরাইলের ৮২ নম্বর আয়াত।
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ
অর্থ : আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।
৫. সুরা আশ-শেফা ৮০ নম্বর আয়াত।
– وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
অর্থ : এবং (যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন)
৬. সুরা হা-মীম এর ৪৪ নম্বর আয়াত।
قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ
অর্থ : (বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার)