12/03/2024
সচেতনতা মূলক পোস্টঃ-
রমজানে কোষ্ঠ কাঠিন্য ও তার প্রতিকার.....
আজ পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে,কাল থেকে রোজা...
রমজানে আল্লাহতালার ইবাদত বন্দেগী করার জন্য সুস্থ থাকা একান্ত প্রয়োজন,তাই এই সময়ের সমস্যা গুলো সম্পর্কে সচেতন থেকে ব্যবস্থা নিলে এই পবিত্র মাসে সুন্দর ভাবে ইবাদত করা
সম্ভব...
রমজানে অন্যতম একটি সমস্যা হল কোষ্ঠ কাঠিন্য। কারন সারা দিন রোজা রাখার জন্য পানি খাওয়া হয় না,তাছাড়া ইফতারির সময় আমরা বিভিন্ন ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার বেশি খায় এবং সেহেরীতেও আমরা সাধারনত: আঁশযুক্ত খাবার কম খাই ‘ রিচ ফুড ’ অর্থাৎ উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার বেশি খাই।
ফলে প্রায় সব রোজাদারেরই রমজানে একটু একটু কোষ্ঠ কাঠিন্য হয়ে থাকে।
যার ফলে রমজানে পায়ুপথের বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়...
বিশেষ করে পাইলস ও এনাল ফিসার নামক দুটি রোগ এইসময় বেশী হয়ে থাকে।
কোষ্ঠ কাঠিন্যের জন্য মলত্যাগের সময় প্রেসার দিয়ে মলত্যাগ করতে হয়,যার ফলে মলদ্বারের রক্তনালী সূমহ ফুলে যায় এবং কোন কোন সময় রক্তনালীতে Tear হয় বা রক্তনালী ছিড়ে যায়, ফলে প্রচুর রক্তপাত হয়। এটাকেই পাইলস বলে।
(অধিকাংশ সাধারণ মানুষ অবশ্য মলদ্বারে কিছু হলেই সেটাকে পাইলস মনে করে-যা সবসময় ঠিক নহে।)
এছাড়া মল যখন কঠিন হয় তখন প্রেসার দিয়ে মলত্যাগের কারণে মলদ্বার চিরে বা ছিড়েও যেতে পারে এবং এতে তীব্র ব্যাথাসহ অল্প রক্তপাত হতে পারে। ব্যাথার জন্য রোগীর দৈনন্দিন কাজের ব্যাঘাতও ঘটতে পারে ।এটাকে এনাল ফিসার বলে......
গবেষনায় দেখা গেছে রমজানে পায়ুপথে পাইলস ও এনাল ফিসার সব চাইতে বেশী নতুন রোগী সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে পুরাতন রোগী যারা ইতিমধ্যে পাইলস ও এনাল ফিসার রোগে ভুগছেন রমজানে তাদের রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। মলত্যাগের সময় রক্তপাত ও তীব্র ব্যাথার কারণে রোগীকে অনেক সময় রোজা ভেঙ্গে ফেলতে হয় বা রোজা রাখতে পারেন না। ফলে অনেকেই রমজানের নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হন...
এ থেকে বাচার উপায় কি?
উপায় সমূহঃঃ
১।রমজানে যথাসম্ভব ভাজাপোড়া কম খাবেন,ইফতারির সময় এবং সেহেরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করুন,
২। বেশি করে ফলমূল খান,রাতের খাবারে শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান।
৩।নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলুন,
"DON’T MAKE A DEDICATORY CALL AS A MISS CALL"..
অর্থাৎ মলত্যাগের বেগ আসলে ধরে না রেখে যতদ্রুত সম্ভব মলত্যাগ করুন।
৪।যাদের পূর্বে থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে