Bongo Health Desk

Bongo Health Desk এই পেজটিতে সু-স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সমন্ধে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জ্ঞাপন করা হয়।

লিভার সিরোসিসজনিত পেটে পানি জমা**লিভারের বিভিন্ন রোগে পেটে পানি (Ascites) জমতে পারে। এটি লিভারের রোগের গুরুতর অবনতির লক্...
16/02/2023

লিভার সিরোসিসজনিত পেটে পানি জমা**

লিভারের বিভিন্ন রোগে পেটে পানি (Ascites) জমতে পারে। এটি লিভারের রোগের গুরুতর অবনতির লক্ষণ নির্দেশ করে। লিভার রোগে পেটে পানি জমলেই চিকিৎসকরা শঙ্কিত হয়ে উঠেন। তবে লিভার রোগের অ্যাসাইটিসের বেশির ভাগ কারণেই সিরোসিস। অনেক সময় রোগীর অজান্তে বাড়তে থাকে লিভার রোগ। রোগী জানতেই পারে না তার রোগের খবর। পেটে পানি আসলেই প্রথম টের পান তার রোগ সম্পর্কে কিন্তু ততদিনে রোগ গড়িয়ে যায় অনেক দূর।

কারণ:
কি কারণে লিভার সিরোসিসে পেটে পানি জমে তা এক জটিল বিষয়। সাধারণত : ১. পোর্টাল হাইপারটেনশন, ২. কিডনীর অতিরিক্ত সোডিয়াম ধারণ, ৩. উদরস্থ রক্তনালী মোটা হয়ে যাওয়া, ৪. রক্তে এলবুমিন কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে পেটে পানি জমে থাকে। লিভার রোগে কিডনীতে এক ধরণের ভুল সিগনাল যায়। তখন শরীর পানির পরিমাণ কমে গেছে বলে মনে করে। আর তখনই কিডনি প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম এবং পানি ধারণ করে রাখে। এ ধারণকৃত পানিগুলোই পেটে জমা হয়।
রোগের লক্ষণ:
সিরোসিসে পেটে পানি হঠাৎ করেও হতে পারে। আবার ধীরে ধীরেও হতে পারে। পানি জমার সাথে পেট ফুলে যায় ও পেট ফাঁপা বোধ হতে পারে। সাধারণত এ সময় সিরোসিসেররোগীদের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। শরীরে ঘাম কমে যায়। হাত ও পায়ের মাংসগুলো শুকিয়ে যায় এবং পেটটা অনেক ফুলে যায়। অনেক পানি জমলে শ্বাসকষ্ট বোধ হতে পারে। পেটের উপর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হার্নিয়া দেখা দিতে পারে। পেটের চামড়ার উপরস্থ শিরাগুলো মোটা হয়ে যেতে পারে। পেটের পানি বুকে অর্থাৎ ফুসফুসেও জমা হতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা:-
সিরোসিসজনিত Ascites এ প্রচুর পরীক্ষা- নিরীক্ষা করতে হয়। কোন কোনটি বারবার করতে হয়। কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, রক্তে বিলিরুবিন, এস.জি.পি.টি (SGPT) এস.সি.ও.টি (SCOT) এলবুমিন, এলকালাইন ফসফেটেজ, প্রোথ্রোম্বিন টাইম, ইলেট্রোলাইট, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, বিভিন্ন ভাইরাল মার্কার, বুকের এক্সরে, পেটের আলট্রাসনোগ্রাম, এন্ডোস্কোপী করতে হয়। প্রস্রাবের সাধারণ রুটিন পরীক্ষার সাথে সোডিয়ামও দেখতে হয়। পেটের পানি বের করেও বিভিন্ন পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। তাছাড়া রোগীর প্রতিদিন প্রস্রাবের পরিমাণ ও ওজন নিতে হয

চিকিৎসা:-সিরোসিসে পেটে পানি জমে গেলে বিভিন্নভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে অবস্থার উন্নতি হলেও এক পর্যায়ে এমন অবস্থা হয় যে আর কোনো চিকিৎসায়ই কাজ করে না। তখনএটাকে রিফ্র্যাকটরী অ্যাসাইটিস(Refractory Ascites) বলে। আবার অতিউৎসাহ চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে রোগীকে নিয়মিত মনিটর করতে হয়। প্রতিদিন রোগীর ওজন ও প্রস্রাবের পরিমাণ নির্ণয় করতে হয়। নিয়মিত রক্তের ইলেকট্রোলাইট ও প্রস্রাবে সোডিয়ামের পরিমান নির্ণয় করা লাগতে পারে। নিম্নলিখিতভাবে চিকিৎসা করা যেতে পারে। করে।

পূর্ণ বিশ্রাম:-
সিরোসিসে পেটে পানি জমলে রোগী আর বেশী পরিশ্রম করতে পারে না, প্রয়োজন বিশ্রামের।

লবন কম খাওয়া:-
আমরা যে লবন খাই তাতে রয়েছে সোডিয়াম। অন্যদিকে সিরোসিস রোগে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায় বলেই পানি জমে যায়। এজন্য রোগীরদের ভাতের সাথে লবণ খেতে নিষেধ করা হয়। অনেকে মনে করেন লবন একটু ভেজে খেলে কোনো অসুবিধা নেই। বস্তুত: কাঁচা, ভাজা ও রান্না লবনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। অতএব লবন কম খেতে হবে। অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার আগের মতই খেতে হবে। সাধারণভাবে মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া যাবে।মূত্রবর্ধক ওষুধ (Diuretics) সিরোসিসে পেটে পানি জমলে ২ ধরণের মূত্রবর্ধক ব্যবহার করা হয়। একটি হলো ফ্রুসেমাইড অপরটি স্পাইরোনোল্যাকটোন। এ দুটি একত্রে বা আলাদা আলাদা ব্যবহার করা যায়। মাত্রাটি ধীরে ধীরে বাড়াতে হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিকিৎসা বিভিন্ন জটিলতা তৈরী করে। এজন্যপ্রতি ৪ দিন অন্তর প্রয়োজন হলে মাত্রা বাড়াতে হয়। এর সর্বোচ্চ মাত্রা হচ্ছে ফ্রুসামাইড ১৬০ মিলিগ্রাম ও স্পাইরোনোল্যাকটোন ৪০০ মিলিগ্রাম তার সাথে এলবুমিন ইনজেকশন

দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

পেটের পানি ফেলে দেয়া- (Paracentesis):- পেটে পানির পরিমান বেশী হলে কিংবা চিকিৎসায় কাজ না হলে অনেক ক্ষেত্রে পেটের পানি বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে বের করে দিতে হয়। বেশী পরিমাণ পানি ফেলতে হলে এর সাথে এলবুমিন ইনজেকশন দিতে হয়। এটা বার বার করা লাগতে পারে।

সার্জারী:-
উপরোক্ত চিকিৎসায় কাজ না হলে বিভিন্ন সার্জারী করা হয়। এগুলো সান্ট সার্জারী বলা হয়। এগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সে হিসাবে বলে উপকারীতা প্রশ্নাতীত নয়।

পরিণতি:-
সিরোসিসে পেটে পানি আসা একটি মারাত্মক লক্ষণ। একবার পেটে পানি আসলে শতকরা মাত্র ৪০ ভাগ রোগী ২ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। যাদের হঠাৎ করে পানি আসে তাদের পরিণতি অবশ্য তুলনামূলকভাবে ভালো ।

জটিলতা:-
পেটে পানি আসা লিভার সিরোসিসের একটা জটিলতা। আবার পানি আসার কারণও কিছু জটিলতা দেখা দেয়। এ জটিলতাগুলো অত্যন্ত মারাত্মক। যেমন- পেটের পানির দ্বারা শরীরে ইনফেকশন হতে পারে। এটাকে (SBP Spontanious Bacterial Peritonitis)বলে। লিভারজনিত কারণে কিডনী নষ্ট হতে পারে। এটাকে হেপাটোরেনাল সিনড্রোম (Hepatorenal Syndrome) বলে। তাছাড়া রক্তে পানির পরিমাণ বেড়ে যাবার কারণে সোডিয়াম কমে যেতে পারে এবং রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

উপসংহার:-
লিভার সিরোসিসে পেটে পানি জমলে নিয়মিত তত্ত্বাবধান ও প্রতিদিন রোগীর সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসা করতে হয়। এটি একটি প্রাণ সংহারক ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল রোগ। লিভার প্রতিস্থাপনই এ পর্যন্ত আবিস্কৃত প্রকৃত চিকিৎসা। কেবলমাত্র স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে এর প্রতিরোধই আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য একমাত্র উপায়।

পিত্তনালীর পাথর:পিওনালীর পাথর হলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে Choledocholithiasis. বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পিত্তনালীতে কোনো...
09/02/2023

পিত্তনালীর পাথর:
পিওনালীর পাথর হলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে Choledocholithiasis. বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পিত্তনালীতে কোনো পাথর তৈরি হয় না। পিত্তথলির পাথরই স্থানান্তরিত হয়ে পিত্তনালীতে আটকে যায়। তাই অনেকেরই পিত্তথলি ও নালীতে একই সাথে পাথর দেখা যায়। পিত্তনালীতে পাথর হলে তা পিত্তনালী বন্ধ করে দেয়। এ বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বল্পস্থায়ী কিন্তু বারবার হয়ে থাকে। এমনকি পাথরের জন্য পিত্তনালীতে ইনফেকশনও হতে পারে।

উপসর্গ :পিত্তনালীর পাথর কোনো উপসর্গবিহীন অবস্থায় থাকতে পারে। তবে সাধারণত জন্ডিস, জ্বর ও পেটে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়েই বেশির ভাগ রোগী ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। এটা এক ধরনের অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস। ৭৫ শতাংশ রোগীরই পেটে ব্যথা থাকে। তবে এ রোগে সাধারণত উপসর্গ কিছু দিন থাকে, এরপর কিছু দিন রোগী ভালো থাকে, আবার উপসর্গ দেখা দেয়। এভাবেই লক্ষণগুলো চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।

lপরীক্ষা-নিরীক্ষা :পিত্তনালীর পাথর সাধারণতআল্ট্রাসনোগ্রামেই ধরা পড়ে তবে ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে ধরা নাও পড়তে পারে। অন্যান্য পরীক্ষার মধ্যে রক্তে বিলিরুবিন, অ্যালকালাইন ফসফেটেজসহ অন্যান্য লিভার ফাংশন টেস্ট করতে হয়।

চিকিৎসা :আগে পিত্তনালীর পাথরের চিকিৎসার জন্য অপারেশনই একমাত্র পথ ছিল। আধুনিক চিকিৎসায় ইআরসিপির মাধ্যমে যেমন রোগ নির্ণয় করা যায় তেমনি পাথরও অপসারণ করা যায়। এতে রোগীর কষ্ট এবং খরচ দুইই অনেক কম। অপারেশন করলে প্রায় ১০ দিন রোগীকে হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়। অথচ ইআরসিপিতে ২ দিনই অবস্থান যথেষ্ট। এ আধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশে বেশ ক'টি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু হয়েছে এবং অত্যন্ত সাফল্যজনকভাবেই হচ্ছে। তবে ইআরসিপি না হলে অপারেশনই একমাত্র উপায়। অপারেশন ও ইআরসিপি দুটোতেই অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথার ওষুধ প্রয়োজন হয়।

অপারেশন ছাড়াই পাইলস নিরাময় সম্ভব?মলদ্বারে পাইলসজনিত যদি কোনো সমস্যা হয়, প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে কোনো...
06/02/2023

অপারেশন ছাড়াই পাইলস নিরাময় সম্ভব?

মলদ্বারে পাইলসজনিত যদি কোনো সমস্যা হয়, প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে কোনো অপারেশনের প্রয়োজন নেই। শুধু ওষুধের মাধ্যমে সেটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

-কারো যদি পাইলস হয়ে থাকে তাহলে চিন্তার কিছু নেই। শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রেই বিনা অপারেশনে পাইলসের চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে সেটি নির্ভর করে পাইলসের ধরনের ওপর। পাইলস বিভিন্ন রকম হতে পারে। কতগুলো ভেতরে থাকে, যাকে আমরা ইন্টারনাল পাইলস অথবা অভ্যন্তরীণ পাইলস বলে থাকি। আবার কতগুলো পাইলস থাকে বাইরের দিকে সেটিকে বলা হয় এক্সটারনাল পাইলস বা এক্সটারনাল হেমরয়েড।

-কারো যদি পাইলস হয়, তাহলে তার যে উপসগুলো দেখা যায় সেগুলো হলো- মলত্যাগের পর রক্ত যাবে এবং রক্ত যাওয়ার সঙ্গে সাধারণত কোনো ব্যথা হয় না। অনেক রোগী বলে থাকেন, মলত্যাগের পর আমি যখন কমোডের দিকে তাকালাম তখন দেখলাম- মুরগি জবাই করলে যে রকম রক্ত যায়, সে রকম রক্ত ছিটিয়ে রয়েছে। কাজেই পাইলস বা হেমোরয়েড যদি প্রথম ধাপে হয়, সে ক্ষেত্রে মলদ্বারে বাড়তি মাংসের মতো

-কোনো কিছুই থাকে না। শুধু মলত্যাগের পর তাজা রক্ত যায়। কারো যদি দ্বিতীয় ডিগ্রি হেমোরয়েড হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে মলত্যাগের পর তাজা রক্ত যায়, সাধারণত ব্যথা হয় না এবং মলত্যাগের পর মনে হয় ভেতর থেকে কি যেন বাইরের দিকে বের হয়ে আসে। এবং সেটি এমনিতেই ভেতরে ঢুকে যায়। কারো যদি তৃতীয় ডিগ্রি হেমোরয়েড হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে মলত্যাগের পর বাড়তি মাংসের মতো বের হয়, আগে এমনিতেই ঢুকে যেত এখন চাপ দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হয়। কারো যদি চতুর্থ ডিগ্রি হোমোরয়েড হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আগে মলত্যাগের পর বাড়তি যে মাংসটি বের হতো সেটি এমনিতেই ঢুকে যেত, এখন আর ঢুকছে না এবং ব্যথা হচ্ছে- এ রকম সমস্যা নিয়ে অনেক রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এটিকে আমরা বলে থাকি প্রববোসড হেমোরয়েড। কাজেই পাইলসের চিকিৎসা তার ধরনের ওপর নির্ভর করে।

-কেউ যদি প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের কাছে আসেন, তার যদি প্রথম ডিগ্রি হেমোরয়েড হয়ে থাকে- সে ক্ষেত্রে কিন্তু কোনো অপারেশনের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের রোগীকে আমরা ওষুধ দিয়ে থাকি এবং পায়খানা স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, পানি পান করতে বলি। কারও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে, তাহলে মল নরম করার জন্য কিছু ওষুধ দিয়ে থাকি। তাতে প্রায় ৯০ শেতাংশ রোগী ভালো থাকেন। কারও যদি সেকেন্ড ডিগ্রি হোমোরয়েড হয়ে থাকে, তাদেরও আমরা অপারেশন করি না, চেম্বারের মধ্যেই আধুনিক চিকিৎসা করে থাকি। যেমন ইনজেকশন দিয়ে থাকি, যেটিকে আমরা সেরুরো থেরাপি বলে থাকি। আবার কারও ক্ষেত্রে রিঙ লাইগেশন করে থাকি। যেটিকে বলা হয় রাবার রিং লাইগেশন। তবে কারও যদি থার্ড ডিগ্রি, ফোর ডিগ্রি হেমোরয়েড হয়ে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে আবার অপারেশনের প্রয়োজন হয়; কিন্তু আজকাল অপারেশন একেবারেই কষ্টদায়ক নয়। আধুনিক পদ্ধতিতে লেজারের মাধ্যমে, অথবা স্টেপল হেমোরয়ডোপেক্সি, একপ্রকার যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা অপারেশন করে থাকি। এর মধ্যে বাইরের কোনো কাটাছেঁড়া হয় না, মলদ্বারের ভেতর থেকে একটু বাড়তি মাংসের মতো জিনিস কেটে নিয়ে আসি। রোগীদের সাধারণত মলত্যাগের পর তেমন ড্রেসিংয়ের প্রয়োজন হয় না, স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন এবং দুই-তিন দিন পর থেকেই স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারেন। তবে কারও যদি মলদ্বারটি একদম বাইরে বের হয়ে আসে, তার মধ্যে ইনফেকশন হয়; সে ক্ষেত্রে কেটে অপারেশন করতে হয়। সেটিকে বলা হয় ওপেন হেমোরয়েডকটমি বা ক্লোজ হোমোরয়েডকটমি। কাজেই মলদ্বারে পাইলস হলে সর্বক্ষেত্রে যে অপারেশন লাগবে, সেরকম কিছু না। চিকিৎসক দেখে নির্ণয় করবেন, আসলে পাইলসটি কোন্ পর্যায়ে আছে, এটির কোন চিকিৎসা লাগবে। কাজেই মলদ্বারে পাইলসজনিত যদি কোনো সমস্যা হয়, প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে কোনো অপারেশনের প্রয়োজন নেই। শুধু ওষুধের মাধ্যমে সেটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

আপনার লিভারের যত্ন নিন:::লিভার বা যকৃত মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রত্যেকের এই অঙ্গটির বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজ...
06/02/2023

আপনার লিভারের যত্ন নিন:::

লিভার বা যকৃত মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রত্যেকের এই অঙ্গটির বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন। অবহেলা করলে সমূহ বিপদ হতে পারে। এমন কি ধুকে ধুকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে লিভারের যত্ন নেয়া যায়।

-লিভারের প্রধান রোগ হলো লিভার সিরোসিস। একবার এ রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন। এ জন্য লিভারকে সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপন অত্যন্ত জরুরী।

-মদ বা মাদক দ্রব্য লিভারের প্রধান শত্রু। যারা মদ্যপ তাদের এটাতে মৃত্যু হয়। যারা নিয়মিত মদ বা মাদক গ্রহণ করে তাদের ফ্যাটিলিভার হয়। চিকিৎসায় ফ্যাটিলিভার ভালো হয়। কিন্তু যারা নিয়মিত মাত্রাতিরিক্ত মদ পান করে তারা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তাই মদ পান বা মাদক ত্যাগ করুন। এর পরিবর্তে দই খান। দই ফ্যাটিলিভার প্রতিরোধ করে। আমরা হর- হামেশা কিছু একটা সমস্যা হলেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই কোন ট্যাবলেট খাই। এটা খুব খারাপ। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ওষুধই নেয়া ক্ষতিকর। বেশী বেশী কোনো ট্যাবলেট খেলে লিভার কোষ ধ্বংস হয়ে যায়।

-ওষুধ নেয়ার আগে কিছু অত্যাবশ্যকীয় তথ্য জানা উচিত। যেমন-
Antibiotic: Erythromycin, Antifungal: ketoconazole এবং কতিপয় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ শরীরে Toxic byproduct ছাড়ে। এসব ওষুধ যদি বহু দিন যাবত গ্রহণ করা হয় তাহলে মহাবিপদ। তাই এসব ওষুধ গ্রহণের আগে Liver function Test করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরী।

-দুষিত বা সংক্রামিত খাবার ও পানীয় লিভার সংক্রমণের প্রধান কারণ। এ ছাড়া Oral s*x Hepatitis A সংক্রামিত করে। কাজেই এটা থেকে বিরত থাকা অত্যাবশ্যক।

-দুটি লোক একই সঙ্গে একই বাথরুমে গোসল করা নিরাপদ নয়। এতে একে অন্যের দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

-কোন কাজে রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হলে সে রক্ত পরিশোধিত কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। Hepatitis-এর জন্য রক্ত Sereecued out করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে Hepatitis C-এর চেয়ে লিভারের বড় শত্রু কিছু নেই। একবার Hepatitis C আক্রান্ত হলে বাকি জীবন এটাকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচতে হবে।

-সিরোসিস হলো লিভারের অপরাজিত শত্রু। এ রোগ অপরিবর্তনীয় ঘাতক ব্যাধি। এ রোগে আক্রান্ত হলে লিভারের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে যায়। পরিণাম মৃত্যু। এই রোগ হয়, অধিক মদ পান করলে Hepatitis B বা C দ্বারা আক্রান্ত হলে, লিভারে Toxic substance যেমন Copper ও Iron সমৃদ্ধ ওষুধ বেশী গ্রহণ করলে বা Biliary system রকেজ হলে। এসব কারণে ধীরে ধীরে লিভারের সব স্বাভাবিক কোষ ধ্বংস হয়ে যায়। শুরুতে জন্ডিস দেখা দেয় যা সহজে চিকিৎস সম্ভব। কিন্তু আক্রান্তের প্রধান কারণগুলো যদি সময়মত ধরা না পড়ে এবং চিকিৎসা না হয়, তাহলে ধীরে ধীরে সিরোসিস অগ্রসর হতে থাকে। যদি চিকিৎসা বিলম্বিত হয় তাহলে জীবন বিপন্ন হতে পারে।

লিভার সিরোসিসের লক্ষণ:::
-সাধারণত প্রথম দিকে ক্লান্তিবোধ, অলসতা, চোখ ও হাত হলুদ বর্ণ হয়ে যায়। এমন কি প্রস্রাবও হলদে হয়ে যায়। পায়ের পাতা ফুলে যায়। রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। শরীর চুলকায়। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে রক্ত বমি হয়। পেট ফুলে যায়। পাকস্থলিতে বায়ু জমে। পানি জমে সংক্রমণ জীবন বিপন্ন পর্যায়ে চলে যায়। এমনকি রোগী কোমাতে চলে যেতে পারে। কিডনি অকেজো হয়ে যায়। শরীরের রক্ত জমাটবদ্ধ হতে থাকে। রক্ত প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। রক্তের Platelet কমে যায়। যদিও সিরোসিস জীবনঘাতী ব্যাধি তবু অভিজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসায় এই রোগ ই নিয়ে দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকতে পারে। তবে লিভার Plant করালে বহু দিন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা সম্ভব।

অত্যধিক পেটের চর্বি হার্ট ডিজিজ ও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে::আমাদের মধ্যে যাদের পেটের চামড়ায় অধিক পরিমাণে চর্বি জমে, ত...
06/02/2023

অত্যধিক পেটের চর্বি হার্ট ডিজিজ ও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে::
আমাদের মধ্যে যাদের পেটের চামড়ায় অধিক পরিমাণে চর্বি জমে, তাদের হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে। কিন্তু শরীরের অন্য কোনো জায়গায় চর্বি জমলে এই ঝুঁকি নেই বলে Journal of American College of Cardiology বলছে। গবেষকেরা তিন হাজার আমেরিকান যাদের বয়স গড় ৫০, তাদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন সাত বছর। এসব লোকের ১৪১ জনের মধ্যে ৯০ জনের হৃদরোগ হয়েছে এবং ৭১ জন মারা গেছে। গবেষকেরা অবশ্য প্রমাণ করতে পারেনি এর কারণ কী। কারণ পেটের চর্বি হওয়ার সাথে Metabolic Syndrom-এর সাথে একটা সম্পর্কযুক্ত আছে।

এ ছাড়া আরো বিভিন্ন বিষয় আছে, যা Cardiovascular disease- যেমন Stroke and Diabetes আনয়ন করতে পারে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি হলো পেটের চর্বি কমানোর সহজ পদ্ধতি।
..পেটে বেশি চর্বি থাকলে কেবল খারাপই দেখায় না, মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। পেটের অতিরিক্ত মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় নারী-পুরুষ সবাই। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যে পেটের মেদ বাড়ায় তা নয়, বেশি ক্যালরিযুক্ত যেকোনো খাবারই পেটের মেদ বাড়াতে পারে। সাধারণত মদ্যপান, মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ, ডুবো তেলে ভাজা খাবার, কোমল পানীয়, অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবার, নিয়মিত লাল মাংস (রেড মিট) খাওয়া, স্যাচুরেটেড চর্বি গ্রহণ ইত্যাদি পেটের মেদ বাড়িয়ে তোলার পেছনে ভূমিকা রাখে।..সাধারণত চর্বি ফ্যাট হলো এক ধরনের এডিপোজ টিস্যু। এই টিস্যুগুলো তৈরি হয় এডিপোজ কোষ দিয়ে যা আমাদের দেহ দৈনন্দিন কাজে কিছুটা ব্যবহার করে। এই কোষগুলোর শক্তি মূলত জমা থাকে এমন সময়ের জন্য, যখন হয়তো আমরা প্রতিদিন তিন বেলা খেতে পারব না। সে সময় দেহ এই টিস্যুগুলোকে কাজে লাগায়। • এডিপোজ কোষ আবার দুই ধরনের হয়, সাদা আর বাদামী। সাদা কোষের কাজ প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য শক্তি সঞ্চয় করা আর বাদামীগুলোর কাজ হলো আমাদের দেহকে উষ্ণ রাখা।
..দৈহিক গঠন অনেকখানিই নির্ভর করে আমাদের জিনের উপরে। তাই কারো অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় পেটে আর কারো হয় পশ্চাতদেশে। আর এই অতিরিক্ত চর্বি হলো সাদা আর বাদামী এডিপোজ কোষের সমন্বয়।
..একবার পেটে মেদ জমলে সেটা কাটিয়ে ওঠা যাবে না, এ ধারণা ভুল । স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্থ হলে সহজে মেদ কমিয়ে ফেলা সম্ভব। এটা এড়ানোর উপায় একটাই, ব্যায়াম আর পরিমিত খাবারের সাহায্যে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা। আর এজন্য সবচেয়ে ভালো পরামর্শ হলো প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল, চর্বিবিহীন মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম আর হোলগ্রেইন শর্করা খাওয়া। সেই সঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে ব্যায়াম। আর দেহকে রাখতে হবে কর্মক্ষম। তবে কিছু কিছু খাবার গ্রহণে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি খুবই দ্রুততার সঙ্গে বের করবে। শরীর থাকবে সুস্থ এবং ওজনও কমবে। খাবারগুলো পরিমিতভাবে দৈনিক খেতে পারেন।

শিশুর দাঁতের যত্ন:::সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের শ্রেষ্ঠ উপহার তার মুখের সুন্দর হাসি। যার প্রধান নিয়ামক সুন্দর দাঁত। সঠিক য...
06/02/2023

শিশুর দাঁতের যত্ন:::
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের শ্রেষ্ঠ উপহার তার মুখের সুন্দর হাসি। যার প্রধান নিয়ামক সুন্দর দাঁত। সঠিক যত্ন আর একটু সচেতনতাই পারে শিশুকাল থেকে সুন্দর দাঁত ধরে রাখতে।

শিশুর দাঁতের যত্ন শুরু হয় গর্ভাবস্থা থেকেই। মায়ের পুষ্টি থেকে শিশুর দৈহিক গঠন শুরু হয়। গর্ভাবস্থায় মাকে ক্যালসিয়াম ও মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার,দড় সবুজ শাকসবজি, সতেজ ফলমূল খেতে হয় শিশুর সুস্থ দৈহিক ও মানসিক গঠনের সাথে সাথে সুস্থ সবল দাঁত গঠনের জন্যও। জন্মের পর ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে, যা শিশুকে সুস্থ সবল রাখার পাশাপাশি দাঁত ও মাড়িকে শক্ত ও সঠিক গঠনের করে তোলে। ছয় মাস পর থেকে শিশুদের বাড়িতে তৈরি সুষম খাদ্য যেমন-
ভাত, মাছ, গোশত, ডিম, খিচুড়ি, শাকসবজি, ফলমূল, সুজি, হালুয়া প্রভৃতি খাওয়াতে হবে। ফল ছাড়া অন্য খাবার খাওয়ানোর পরপরই পানি খাওয়াতে হবে। যেসব শিশু ফিডার খায়, তাদের ফিডার খাওয়ানোর পরপরই ফিডারে করে পানি খাওয়াতে হবে, যাতে করে দাঁতের মধ্যে খাবার লেগে না থাকে। খাওয়ানোর পরপরই পরিষ্কার ভেজা কাপড় দিয়ে মুখের ভেতর পরিষ্কার করে দিতে হবে।

ছয়-সাত মাস বয়স থেকেই শিশুদের দাঁত উঠতে থাকে। একে দুধদাঁত বলে, যার সংখ্যা ২০টি। শিশুদের নিয়মিত নরম ব্রিসলযুক্ত ব্রাশ ও বেবিটুথ পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করাতে হবে। শিশুদের জন্য তিনবার খাওয়ার পর ব্রাশ করা। ভালো। শিশুদের দাঁতের জন্য ক্ষতিকারক খাবার যেমন- চকলেট, বিস্কুট, আইসক্রিম, চিপস প্রভৃতি খাবার যা দাঁতে লেগে থাকে এবং ক্ষুধা নষ্ট করে খাবারের প্রতি অনীহা সৃষ্টি করে, সেসবের প্রতি অনুৎসাহিত করতে হবে। বাড়িতে তৈরি পুষ্টিকর খাবার খেতে উৎসাহিত করতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার দাঁত ও মাঢ়ির জন্য ভালো।

ছয় বছর বয়স থেকে শিশুদের স্থায়ী দাঁত উঠতে শুরু করে এবং দুধদাঁত পড়তে শুরু করে। লক্ষ রাখতে হবে, কোনো দাঁত নড়তে শুরু করলে নাড়াতে হবে, নাড়িয়ে ফেলে দিতে হবে। সময়মতো দাঁত ফেলা না হলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। শিশুদের দাঁতে ব্যথা ওঠা, গর্ত, কালো দাগ,রক্ত পড়া যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে গাফিলতি না করে দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ দন্তচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

শিশুদের দাঁতের চিকিৎসা:::
স্কেলিং, ফিলিং, পালপেকটমি (দুধদাঁত), রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট (স্থায়ী দাঁত), অপারকুলেক্টমি, অর্থোডন্টিক্স ট্রিটমেন্ট
এপেক্সোজেনেসিস, এপেক্সিফিকেশন,
প্রভৃতি।
আমাদের সবার একটু সচেতনতা, আন্তরিক প্রয়াস আর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণই পারে একটি শিশুকে তার দাঁত সুন্দর ও সুস্থ রাখতে।

স্বেচ্ছায় রক্তদান :বছরে ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে নতুন কণিকা তৈরির...
06/02/2023

স্বেচ্ছায় রক্তদান :

বছরে ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য রক্তদান করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
রক্ত দিয়ে একজন মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। এজন্য একে বলা হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নি:স্বার্থ উপহার।

রক্ত দেয়া কেন প্রয়োজন?
দুর্ঘটনায় আহত, ক্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য, অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তান প্রসব অথবা থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়।

উপকারিতা• রক্তদানে কোনো সমস্যা হয় না। কেননা একজন সুস্থ মানুষের শরীরে পাঁচ-ছয় লিটার রক্ত থাকে। এর মধ্যে সাধারণত ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার রক্ত দান করা হয়, যা শরীরে থাকা মোট রক্তের মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ। রক্তের মূল উপাদান পানি, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূরণ হয়।

• রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রক্তদানের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ‘বোনম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়, ঘাটতি পূরণ হয়

রক্তদানের উপকারিতা:::
স্বেচ্ছায় নিজের রক্ত অন্য কারো প্রয়োজনে দান করাই রক্তদান। তবে রক্তদাতাকে অবশ্যই পূর্ণবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স হতে হয়। প্রতি তিন মাস অন্তর প্রত্যেক সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারী নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে রক্তদান করতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যে কোনো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। তবে রক্তদানের পদ্ধতি ও পরবর্তী প্রভাব সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অযথা ভীতির কারণে অনেকেই রক্ত দিতে দ্বিধান্বিত হন। কিন্তু রক্তদানেরও যে উপকারিতা রয়েছে, সে কথা আমরা কয়জনই বা জানি?
• বছরে তিনবার রক্তদান শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলে ও নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়ায়।

• নিয়মিত রক্তদানকারীর হার্ট ও লিভার ভালো থাকে।

• স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে পাঁচটি পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনা খরচে করা হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় শরীরে অন্য বড় কোনো রোগ আছে কি না। যেমন—1)হেপাটাইটিস-বি, 2)হেপাটাইটিস-সি, 3)ম্যালেরিয়া, 4)সিফিলিস, 5)এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।

• রক্তদান অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

• রক্তে কোলস্টেরলের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে।

• শরীরে অতিরিক্ত আয়রনের উপস্থিতিকে বলে Hemochromatosis। নিয়মিত রক্তদান এই রোগ প্রতিরোধ করে।

• স্থূলদেহী মানুষের ওজন কমাতে রক্তদান সহায়ক।

• মুমূর্ষুকে রক্ত দিলে মানসিক তৃপ্তি মেলে।



রক্তদানের শর্তগুলো::::

• রক্তদাতাকে সুস্থ থাকতে হবে এবং
১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৫ কেজি ওজনের যেকোনো মানুষ রক্তদান করতে পারে।

• দাতার রক্তের স্ক্রিনিং টেস্ট বা রক্ত নিরাপদ কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

• ভরপেটে খাওয়ার চার ঘণ্টা পর রক্ত দেওয়া শ্রেয়।

• কোনো রূপ এনার্জি ড্রিংক রক্তদানের আগে সেবন না করাই ভালো।

• যাঁদের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শে রক্তদান করতে পারেন।



যাঁদের রক্তদান নিষেধ::::
• ক্যান্সার, হিমোফিলিয়া, ম্যালেরিয়াসহ জীবাণুঘটিত কোনো রোগী।

• এইচআইভি বা এইডস আক্রান্তরা।

• মাদক সেবনকারী।

• হেপাটাইটিস-বি ও সি-র এন্টিজেন পজিটিভ যাঁদের। পরবর্তী সময় তা নেগেটিভ হলেও রক্ত দেওয়া যাবে না।

• গর্ভবতী মহিলারা।

• যাঁদের অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট হয়।

• যাঁরা বারবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন।

• গত তিন মাসের মধ্যে রক্তদান করেছেন এমন মানুষ।

• যাঁদের শরীরের কোনো স্থানের গ্ল্যান্ড (লিম্ফনোড) ফুলে গেছে। বিশেষ করে ঘাড়, গলায়, হাতের নিচের গ্লান্ড।

অ্যালার্জি  কি? জানতে হবে:::অ্যালার্জি অনেক মানুষের কাছে এক অসহনীয় ব্যাধি। কারো ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সামান্যতম অসুবিধা ক...
02/02/2023

অ্যালার্জি কি? জানতে হবে:::
অ্যালার্জি অনেক মানুষের কাছে এক অসহনীয় ব্যাধি। কারো ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সামান্যতম অসুবিধা করে, আবার কারো ক্ষেত্রে অ্যালার্জি জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। সিজনাল অ্যালার্জি হচ্ছে এমন একটি অসুখ যেখানে প্রধানত নাকের ভিতরে অ্যালার্জি হয়। এর ফলে হাঁচি হওয়া, চোখ, গলা ও মুখের ভেতর চুলকানি, খুসখুসে কাশি, নাক ও চোখ লাল হয়ে যাওয়া, নাক ও চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত এটি বসন্তকাল এবং শীতে বেশী হয় তবে কারো কারো ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বা স্থায়ীও হতে পারে। প্রত্যেক মানুষের শরীরে এক একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম থাকে, কোনো কারণে এ ইমিউন সিস্টেমে সমস্যা দেখা দিলে তখনই অ্যালার্জির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। শীতকাল আসলেই ধূলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায়, মানুষ সহজেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়। তবে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে অ্যালার্জির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের ঠান্ডার সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে শীতে অ্যালার্জির পরিমাণ আরো বেড়ে যায় এবং এক সময় শরীর অনেক অসুস্থ হয়ে যায়। আমাদের শরীর সবসময়ই ক্ষতিকর বস্তুকে (পরজীবী, ছত্রাক, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া) প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এ প্রচেষ্টাকে রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়া বা ইমিউনিটি বলে। কখনও কখনও আমাদের শরীর সাধারণত ক্ষতিকর নয়। এমন অনেক ধরণের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সাধারণত ক্ষতিকর নয়, এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের এ অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি বলা হয়। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী বহিরাগত বস্তুগুলোকে অ্যালার্জি উৎপাদক বা অ্যালার্জেন বলা হয়। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী কিছু উপাদান যেমন ধূলা, ফুলের বা শস্যের রেণু, ঠান্ডা ইত্যাদি আমাদের নাকে ঢোকে তখন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৎপর হয়ে উঠে এবং শরীরে হিস্টামিন নামক পদার্থ তৈরী হয়। এই হিস্টামিন অ্যালার্জি লক্ষণগুলির জন্য দায়ী।

অ্যালার্জির উপাদান:
ফুলের রেণু বা পরাগ
ঘরের ধূলা-ময়লা, প্রাণীর পশম
ওষুধসহ কিছু রাসায়নিক দ্রব্যাদি
কিছু কিছু খাদ্যদ্রব্য
পোকামাকড়ের কামড়
ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়া

বিভিন্ন ধরণের অ্যালার্জি:::

অ্যালার্জিজনিত সর্দি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস

এই রোগের উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়েও পানি পড়ে এবং চোখ লাল হয়ে যায়।

অ্যালার্জিক রাইনাইটিস দুই ধরণের

১ঃসিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিসঃ বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে একে সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।
যেমনঃ ঘন ঘন হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া
নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
চোখ দিয়ে পানি পড়া
চোখ ফুলে লাল হয়ে যাওয়া

২ঃপেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিসঃ সারা বছর ধরে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে একে পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।
যেমনঃ খাবারে অ্যালার্জি
গলা, মুখ, জিহ্বা, ঠোঁট ফুলে যাওয়া
অ্যানাফাইলেক্সিস

অ্যাজমা বা হাঁপানি:
এর উপসর্গ হচ্ছে কাশি, ঘন ঘন শ্বাসের সঙ্গে বাঁশির মতো শব্দ হওয়া বা বুকে চাপ চাপ লাগা, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝেই ঠান্ডা লাগা ।
আর্টিকেরিয়া:
আর্টিকেরিয়ার ফলে ত্বক লাল হয়ে ফুলে যায় এবং ভীষণ চুলকায়। ত্বকের গভীর স্তরে হলে মুখ, হাত-পা ফুলে যেতে পারে। আর্টিকেরিয়ার ফলে সৃষ্ট ফোলা অংশগুলো মাত্র কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী থাকে এবং বারবার হতে দেখা যায়। যেকোন বয়সে আর্টিকেরিয়া হতে পারে। তবে স্বল্পস্থায়ী আর্টিকেরিয়া বাচ্চাদের মধ্যে এবং দীর্ঘস্থায়ী আর্টিকেরিয়া বড়দের মধ্যে দেখা যায়।

অ্যালার্জিক কন্ট্যাক্ট ডারমাটাইটিসঃ
এ রোগে চামড়ার কোথাও কোথাও শুকনো, খসখসে, ছোট ছোট দানার মত হয়। বহিরাগত উপাদান বা অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে ত্বকে প্রদাহ হয় বলে একে অ্যালার্জিক কন্ট্যাক্ট ডারমাটাইটিস বলা হয়।

লক্ষণ ও উপসর্গ:

*ত্বকে ছোট ছোট ফোসকা পড়ে এবং ফোসকাগুলো ভেঙে যায়

*চুয়ে চুয়ে পানি পড়ে এবং ত্বকের বহিরাবরণ উঠে যায়
*ত্বক লালচে হয় এবং চুলকায়, চামড়া ফেটে আঁশটে হয়

অ্যাকজিমাঃ
অ্যাকজিমা বংশগত চর্মরোগ যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, চুলকায়, আঁশটে এবং লালচে হয়। খোঁচানোর ফলে ত্বক পুরু হয় ও কখনও কখনও উঠে যায়। এর ফলে ত্বক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং ত্বক থেকে চুয়ে চুয়ে পানি পড়ে এবং দেখতে ব্রণ আক্রান্ত বলে মনে হয়। এটি সচরাচর বাচ্চাদের মুখে, ঘাড়ে, হাত ও পায়ে বেশি দেখা যায়।

অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসঃ
এটা হলে চোখ লাল হয়ে যায়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও ব্যথাও করে। ৬-১২ বছরের শিশুদের এটি বেশি দেখা দেয়। যাদের শরীর কোনও নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের প্রতি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখায় তাদের অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস হতে পারে। কিছু শিশুদের দেখা যায় পুকুরে গোসল করলে বা বাইরে খেলাধুলা করলে চোখ লাল হয়ে যায়, পানি পড়ে এবং চোখ চুলকায়। এটা অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসের কারণে হয় ।

ফুড অ্যালার্জিঃ
মাংস, বেগুন বা বাইরের খাবার খেলেই অনেকের চুলকানি দেখা দেয়। বমি বমি ভাব হয়। এটা হলো ফুড অ্যালার্জি।তাদের শরীর ওই সব খাবারের জন্য উপযোগী নয়।
ড্রাগ অ্যালার্জি:
কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা কোনও অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করার পর শরীর চুলকাতে থাকে। এতে বোঝা যায় ওই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি তার হাইপারসেনসিটিভিটি রয়েছে এবং ওষুধটা তার শরীরে অ্যালার্জেনের কাজ করছে। এমনটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বদলে নিতে হবে। কোন ওষুধ ব্যবহারের ফলে যদি হাইপেরসেনসিটিভিটি রিঅ্যাকশন শুরু হয় তবে সেটা হলো ড্রাগ অ্যালার্জি।

অ্যানাফাইলেকটিক রিঅ্যাকশন:
অ্যানাফাইলেকটিক রিঅ্যাকশন হচ্ছে এক প্রকার ইমারজেন্সি অ্যালার্জিক কন্ডিশন। কারো শরীরে পোকাকামড় বা মশা কামড় দিলে, কিছুক্ষণ পরে দেখা যায় তাদের শরীর লাল লাল চাকায় ভরে গেছে। এ সময় প্রচন্ড চুলকানিও হয়। এই অবস্থাগুলোকে অ্যানাফাইলেকটিক রিঅ্যাকশন বলে। যাদের শরীর হাইপারসেনসিটিভ তাদেরক্ষেত্রে মশা কিংবা পোকামাকড় এর কামড়ে এ রিঅ্যাকশন দেখা দিতে পারে।

এটপিক একজিমা:
এটি এক প্রকার অ্যালার্জিক চর্মরোগ, যা অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশনের কারণে হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত অ্যালার্জি:
এটি খুবই মারাত্মক। অ্যালার্জেন শরীরের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে এটি শুরু হয়ে যেতে পারে। নিচে উল্লিখিত উপসর্গগুলো হতে পারে-
চামড়া লাল হয়ে ফুলে উঠে ও চুলকায়
শ্বাসকষ্ট, নিঃশ্বাসের সঙ্গে বাঁশির মতো আওয়াজ হয়
মূর্ছা যেতে পারে
রক্তচাপ কমে গিয়ে রোগী শকে চলে যেতে পারে
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত অ্যালার্জি

এটি খুবই মারাত্মক। অ্যালার্জেন শরীরের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে এটি শুরু হয়ে যেতে পারে। নিচে উল্লিখিত উপসর্গগুলো হতে পারে-

চামড়া লাল হয়ে ফুলে উঠে ও চুলকায়

শ্বাসকষ্ট, নিঃশ্বাসের সঙ্গে বাঁশির মতো আওয়াজ হয়
মূর্ছা যেতে পারে
রক্তচাপ কমে গিয়ে রোগী শকে চলে যেতে পারে
প্রতিরোধ

সুনির্দিষ্ট কারণ জানা থাকলে তা পরিহার করে চললেই সহজ উপায়ে অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রন করা যায়
ওষুধ প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে অ্যালার্জি থেকে অনেকটা উপশম পাওয়া যায়

ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন বা ইমিউনোথেরাপি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি

পরীক্ষা

রক্ত পরীক্ষাঃ বিশেষত রক্তে ইয়োসিনোফিলের মাত্রা বেশি আছে কিনা তা দেখা হয়

• সিরাম আইজিইর মাত্রাঃ সাধারণ অ্যালার্জি রোগীদের ক্ষেত্রে আইজিইর মাত্রা বেশি থাকে

স্কিন প্রিক টেস্টঃ এ পরীক্ষায় রোগীর চামড়ার ওপর বিভিন্ন অ্যালার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং এ পরীক্ষাতে কোন কোন জিনিসে রোগীর অ্যালার্জি আছে তা ধরা পড়ে
• প্যাঁচ টেস্টঃ এ পরীক্ষা রোগীর ত্বকের ওপর করা হয়

• বুকের এক্স-রেঃ হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা শুরু করার আগে অবশ্যই বুকের এক্স-রে করে নেয়া দরকার, যে অন্য কোনো কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা

স্পাইরোমেট্রি বা ফুসফুসের ক্ষমতা দেখাঃ এ পরীক্ষা করে রোগীর ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায়

চিকিৎসা

অ্যালার্জির লক্ষণগুলো কতটা গুরুতর তার উপর ভিত্তি করে যে কয়েক ধরণের চিকিৎসা দেয়া হয় তা নিচে দেয়া হলো-

অ্যালারজেন পরিহারঃ অ্যালার্জির চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যালারজেন পরিহার করা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে অ্যালার্জির লক্ষণ ও উপসর্গগুলোও কম দেখা যায়।

ওষুধঃ অ্যালার্জি উপশমের জন্য ওষুধগুলো বিভিন্ন উপায়ে যেমন- ট্যবলেট, তরল আকারে, নাকের স্প্রে বা চোখের ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ইমিউনোথেরাপিঃ অ্যালার্জির তীব্রতা যদি খুব বেশী থাকে এবং অ্যালার্জির বিভিন্ন ঔষধ দিয়েও যদি অ্যালার্জি থেকে উপশম না পাওয়া যায় তাহলে অ্যালারজেন ইমিউনোথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ইমারজেন্সি ইপিনেফ্রিনঃ অ্যালার্জির তীব্রতা যাদের খুব বেশী তাদের সবসময়ের জন্য জরুরি ইপিনেফ্রিন সাথে রাখতে হবে।

ঝুঁকি:
অ্যালার্জির পারিবারিক ইতিহাস আছে হে ফিভার, একজিমা। হাঁপানি বা অন্য ধরণের অ্যালার্জি থাকলেশিশুদের ক্ষেত্রে

জটিলতা :

অ্যানাফাইল্যাক্সিসঃ খাবারের অ্যালার্জি এবং পোকামাকড়ের কামড় অ্যানাফাইল্যাক্সিস নামে পরিচিত। এটি গুরুতর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। খাদ্য, ওষুধ এবং পোকামাকড়ের কামড় হলো অ্যানাফাইল্যাক্সিসের অন্যতম কারণ ।

হাঁপানিঃ যদি কারো অ্যালার্জি থাকে তবে হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অনেক ক্ষেত্রে, পরিবেশে অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসার কারণে হাঁপানি শুরু হয়।

সাইনুসাইটিস এবং কান বা ফুসফুসের সংক্রমণঃ যদি কারো হে ফিভার বা হাঁপানি থাকে তবে এই অবস্থাগুলি পাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

02/02/2023

Address

Voladanga Bazer, Mohespur, Jhenidha
Jhenida

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bongo Health Desk posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram