সাব্বির আহমদ জুয়েল

সাব্বির আহমদ জুয়েল তুমি যখন পজিটিভ কিছু আশা করো তখন তুমি তোমার ভেতর একটি চৌম্বকীয় শক্তির সৃষ্টি করো, যা প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে কেবল ভালো জিনিস গুলোকেই তোমার কাছে নিয়ে আসে’।

মানসিক স্বাস্থ্য, ক্যারিয়ার পরামর্শক হিসেবে

জীবনকে সহজ করুন!!!আমরা যদি আমাদের জীবনকে খুব সহজ থেকে সহজতর করতে পারি, তাহলে বড় বড় বিপদগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি। এর ...
07/11/2024

জীবনকে সহজ করুন!!!

আমরা যদি আমাদের জীবনকে খুব সহজ থেকে সহজতর করতে পারি, তাহলে বড় বড় বিপদগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি। এর জন্য আমাদেরকে জানতে হবে কিছু কৌশল।

নিচে ৩টি সহজ কৌশল আপনাদের সামনে শেয়ার করছি, যা আপনাদের বাস্তব জীবনকে অনেকটাই নিরাপদ রাখবে।

1️⃣ না বলার টেকনিক জানতে হবে:

আমরা অনেকের না বলতে পারিনা। আপনার কাছে না বলতে খুব কষ্ট হয়? তাহলে সরাসরি “না” না বলে, প্রশ্ন করুন। এভাবে প্রশ্ন করতে পারেন “ আমি যদি না বলি আপনার কি খুব খারাপ লাগবে?”

খুব কম মানুষেই বলবে যে, হ্যাঁ আমার খারাপ লাগবে। এভাবেই টেকনিকটা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে বড় বড় বিপদ গুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

2️⃣ অভাব জাতীয় কোন জিনিস কেনার জন্য ৩০ দিন অপেক্ষা করুন:

অভাব জাতীয় যেকোনো জিনিস কেনার জন্য যদি খুব ইচ্ছা তৈরি হয়ে যায়, তাহলে কমপক্ষে কষ্ট করে হলেও ৩০ দিন অপেক্ষা করার চেষ্টা করুন তারপর নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমি যেটি কিনতে চেয়েছিলাম সেটা কি আসলেই আমার দরকার ছিল?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় না, এই গোল্ডেন নিয়মটি মেনে চলুন।

3️⃣ বর্তমানকে ফোকাস করুন:

হতাশা এবং উদ্বিগ্ন এ দুটো জিনিস তৈরি হয় অতীত এবং ভবিষ্যৎ কে ঘিরে, তাই সবথেকে বেশি চেষ্টা করুন বর্তমানে আপনি কি করছেন সেটার ওপর পুরোপুরি ফোকাস দিতে? এতে আপনি অল্প সময়ে সব থেকে বেশি কাজ করতে পারবেন এবং আপনার ভিতরে হতাশা এবং উদ্বিগ্ন কাজ করবে না।

কগনিটিভ ডিস্টরশানস: একটি পরিচিতিকগনিটিভ ডিস্টরশানস (Cognitive Distortions) হল চিন্তা প্রক্রিয়ার কিছু বিকৃতি, যা মানুষের ...
24/10/2024

কগনিটিভ ডিস্টরশানস: একটি পরিচিতি

কগনিটিভ ডিস্টরশানস (Cognitive Distortions) হল চিন্তা প্রক্রিয়ার কিছু বিকৃতি, যা মানুষের বাস্তবতা উপলব্ধিতে প্রভাব ফেলে। এই ধরনের বিকৃত চিন্তা আমাদের অনুভূতি এবং আচরণকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবে।

কগনিটিভ ডিস্টরশানসের কিছু সাধারণ ধরনঃ

১. অতি সাধারীকরণ (Overgeneralization):
একটি নেতিবাচক ঘটনা ঘটে গেলে, আমরা তা থেকে একটি সাধারণ নীতিতে পৌঁছে যাই। যেমন, "আমি পরীক্ষায় ফেলেছি, তাই আমি কখনো সফল হব না।"

২. নেগেটিভ ফিল্টারিং (Negative Filtering):
ভালো কিছু ঘটলেও, শুধুমাত্র নেতিবাচক দিকগুলোকে দেখার প্রবণতা। উদাহরণস্বরূপ, "আমি একটি প্রকল্পের প্রশংসা পেলাম, কিন্তু কিছু ছোটখাটো ভুল ছিল, তাই আমি ব্যর্থ।"

৩. মাইন্ড রিডিং (Mind Reading):
অন্যদের চিন্তা এবং অনুভূতি অনুমান করা। যেমন, "আমার বন্ধুরা আমার কথা শুনছে না, তারা আমাকে আর ভালোবাসে না।"

৪. দর্শনগত চিন্তা (Black-and-White Thinking):কোন কিছুকে সম্পূর্ণ ভালো বা পুরোপুরি খারাপ হিসেবে দেখা। উদাহরণস্বরূপ, "যদি আমি সেরা না হই, তবে আমি পুরোপুরি ব্যর্থ।"

৫. অনুরোধ ও দায়িত্ববোধের অবমূল্যায়ন (Disqualifying the Positive):
ইতিবাচক ঘটনা বা প্রশংসাকে অবমূল্যায়ন করা। যেমন, "আমার সফলতা কোনও অর্থ নেই, কারণ আমি কঠিন পরিশ্রম করিনি।"
কগনিটিভ ডিস্টরশানসের প্রভাব

এই ধরনের বিকৃত চিন্তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি উদ্বেগ, বিষণ্নতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কগনিটিভ ডিস্টরশানসের কারণে আমরা নেতিবাচক অনুভূতিতে ডুবে যাই এবং এটি আমাদের জীবনকে ব্যাহত করতে পারে।

সমাধান ও প্রতিকারঃ

কগনিটিভ ডিস্টরশানস মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে:

১. কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT):
এই থেরাপির মাধ্যমে, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আমাদের চিন্তাধারাগুলো চিহ্নিত করতে এবং সেগুলোকে বাস্তবতার সাথে পুনর্মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে।

২. জার্নালিং:
দৈনন্দিন অনুভূতি ও চিন্তা লিখে রাখলে, সেগুলোকে বিশ্লেষণ করা সহজ হয় এবং বিকৃত চিন্তা চিহ্নিত করা যায়।

৩. সমর্থন ব্যবস্থা:
বন্ধু ও পরিবারের সাথে কথা বলা আমাদের চিন্তা পরিষ্কার করতে এবং নতুন দৃষ্টিকোণ পেতে সাহায্য করতে পারে।

৩. মাইন্ডফুলনেস:
বর্তমান মুহূর্তে মনোনিবেশ করা, চিন্তার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।

কগনিটিভ ডিস্টরশানস আমাদের চিন্তা এবং অনুভূতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। এগুলো চিহ্নিত করে এবং সঠিক কৌশল ব্যবহার করে আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারি। মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝে চলা এবং কগনিটিভ ডিস্টরশানসের বিরুদ্ধে সচেতন থাকা আমাদের জীবনকে আরো সুন্দর ও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। ©

23/10/2024

এগ্রেশন ও আচরণ: আক্রমণাত্মক আচরণের মনস্তাত্ত্বিক কারণ

আক্রমণাত্মক আচরণ বা এগ্রেশন মানব সমাজের একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক। এটি ব্যক্তির মনে, সামাজিক পরিবেশে এবং সম্পর্কের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলে। আক্রমণাত্মক আচরণের মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলি বোঝা মানে একাধিক দিক থেকে মানুষের আচরণকে বিশ্লেষণ করা।

ক. আক্রমণাত্মক আচরণের সংজ্ঞা

আক্রমণাত্মক আচরণ হল এমন একটি কার্যকলাপ যা অন্যের প্রতি শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এটি বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হতে পারে, যেমন:

শারীরিক সহিংসতা (যেমন মারধর, লড়াই)
মানসিক সহিংসতা (যেমন গালি দেওয়া, অপমান)

খ. মনস্তাত্ত্বিক কারণ

১. জিনগত প্রভাব:

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, জিনগত উপাদান আক্রমণাত্মক আচরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। পারিবারিক ইতিহাস, বিশেষ করে বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের আক্রমণাত্মক আচরণ, সন্তানের আচরণে প্রতিফলিত হতে পারে।

২. পরিবেশগত প্রভাব:

সামাজিক পরিবেশ এবং সংস্কৃতি আক্রমণাত্মক আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে। যেসব পরিবেশে সহিংসতা সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য, সেখানে মানুষদের মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

৩. মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ:

জীবনের চাপ, হতাশা, এবং উদ্বেগ আক্রমণাত্মক আচরণের প্রধান কারণ। যখন কেউ মানসিক চাপ অনুভব করে, তখন তারা ক্রমাগত অসন্তোষ এবং বিরক্তির মধ্যে থাকতে পারে, যা আক্রমণাত্মক আচরণের দিকে ধাবিত করে।

৪. সামাজিক শিখন তত্ত্ব:

আলবার্ট বন্দুরা (Albert Bandura) এর গবেষণা অনুযায়ী, মানুষ অন্যদের আচরণ দেখে শিখে এবং মডেলিং করে। যদি একজন ব্যক্তি সহিংস আচরণ দেখেন, তাহলে তিনি সেটি গ্রহণ করতে পারেন।

৫. আবেগের অভাব:

যখন কেউ তাদের আবেগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারে, তখন তারা আক্রমণাত্মক আচরণের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। ক্ষোভ বা রাগ সংবরণের অভাব আক্রমণাত্মক আচরণ তৈরি করতে পারে।

৬. মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন:

কিছু গবেষণা দেখিয়েছে যে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট রাসায়নিক, যেমন সেরোটোনিনের কম স্তর আক্রমণাত্মক আচরণের সাথে যুক্ত। মস্তিষ্কের কিছু অংশ, যেমন অ্যামিগডালা, আবেগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. আচরণগত ফলাফল

আক্রমণাত্মক আচরণ সমাজের জন্য বেশ কিছু নেতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসে:
সম্পর্কের অবনতি: আক্রমণাত্মক আচরণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়, যা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণ হতে পারে।

আইনি সমস্যা: শারীরিক সহিংসতা আইনত অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়, যা ব্যক্তির জীবনে জটিলতা সৃষ্টি করে।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: আক্রমণাত্মক আচরণের ফলে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন উদ্বেগ, অবসাদ বৃদ্ধি পায়।

আক্রমণাত্মক আচরণ একটি জটিল বিষয়, যার পেছনে নানা মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে। এটি ব্যক্তির জীবনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলে, যা সমাজের জন্যও হুমকি। আক্রমণাত্মক আচরণ প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে সহানুভূতি ও সংবেদনশীলতার উন্নয়ন ঘটালে, আক্রমণাত্মক আচরণের হার কমানো সম্ভব। ©


সাব্বির আহমদ জুয়েল
কনসালট্যান্ট (সাইকোলজি)
অটিজম ও এনডিডি সেবাদান কেন্দ্র, যশোর

স্ব-যত্নের কৌশল: নিজের যত্ন নেওয়ার উপায়স্ব-যত্ন হল নিজের শারীরিক, মানসিক এবং আবেগীয় স্বাস্থ্য রক্ষা করার প্রক্রিয়া। এটি ...
22/10/2024

স্ব-যত্নের কৌশল: নিজের যত্ন নেওয়ার উপায়

স্ব-যত্ন হল নিজের শারীরিক, মানসিক এবং আবেগীয় স্বাস্থ্য রক্ষা করার প্রক্রিয়া। এটি আমাদের সুস্থ জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য। সঠিকভাবে স্ব-যত্ন গ্রহণ করা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে এবং সার্বিক সুখ ও শান্তি অর্জনে সহায়তা করে। এখানে কিছু কার্যকর স্ব-যত্নের কৌশল আলোচনা করা হলো।

🦹‍♂️১. শারীরিক স্ব-যত্ন

🥗সুষম খাদ্য: স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন, যেমন ফল, সবজি, গোটা শস্য, এবং প্রোটিন। খাদ্য আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য এবং শক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

🏋️‍♀️নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিটের মাঝারি শারীরিক কার্যকলাপ করুন। হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম বা নাচ—যা আপনার জন্য উপভোগ্য।

🙇‍♂️প্রয়োজনীয় নিদ্রা: পর্যাপ্ত ঘুম নিন। একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য সাধারণত ৭-৯ ঘণ্টা নিদ্রা প্রয়োজন।

🧘‍♂️২. মানসিক স্ব-যত্ন

🧑‍🏭আবেগের প্রকাশ: নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করুন। ডায়েরি লিখুন, বা শিল্পকর্ম করুন—এতে মানসিক চাপ হ্রাস পায়।

👨‍🎤মাইন্ডফুলনেস ও মেডিটেশন: প্রতিদিন কিছু সময় মেডিটেশন করুন। এটি মানসিক শান্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে।

🏝প্রকৃতির সাথে সংযোগ: প্রকৃতিতে সময় কাটানো মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। পার্কে হাঁটা বা গাছপালা নিয়ে কাজ করা উপকারী।

👫৩. আবেগীয় স্ব-যত্ন

🫂সামাজিক সংযোগ: প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো বা তাদের সাথে কথা বলা মানসিক চাপ কমায়।

⏺সীমা নির্ধারণ: নিজের জন্য সময় নির্ধারণ করুন। কাজের চাপ বা অন্যদের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর না হয়ে নিজের চাহিদাগুলোকে প্রাধান্য দিন।

👩‍🎤হবি ও শখ: আপনার শখ অনুসরণ করুন। গান শোনা, বই পড়া বা ছবি আঁকা—এগুলো মানসিক শান্তি দেয়।

👥৪. প্রফেশনাল সহায়তা

🤝থেরাপি বা কাউন্সেলিং: যদি আপনি মানসিকভাবে অস্থির অনুভব করেন, তবে একজন থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলরের সাহায্য নিন। এটি সমর্থন পেতে এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে সাহায্য করে।

স্ব-যত্ন আপনার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, বরং মানসিক ও আবেগীয় স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। সঠিকভাবে নিজের যত্ন নিলে আপনি আরও সুখী এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। তাই আজ থেকেই এই কৌশলগুলো প্রয়োগ শুরু করুন এবং নিজের জন্য একটু সময় নিন—আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!

20/10/2024

অভিভাবকদের ভূমিকা: সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা

সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নয়ন একটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকরা সন্তানের জীবনের প্রথম ও প্রধান শিক্ষা প্রদানকারী এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকাটা অত্যাবশ্যক। আসুন, দেখি কীভাবে অভিভাবকরা সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারেন।

১. খোলামেলা আলোচনা

অভিভাবকদের উচিত সন্তানের সাথে খোলামেলা আলোচনা করা। সন্তানদের চিন্তা ও অনুভূতিগুলো সম্পর্কে জানুন। তাদের সমস্যাগুলি শুনুন এবং সম্মান করুন, যা তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে।

২. সহানুভূতি ও সমর্থন

সন্তানের আবেগ এবং অনুভূতির প্রতি সহানুভূতি দেখান। তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করুন এবং তারা যেন জানে যে, তারা কখনও একা নয়।

৩. সঠিক সময় দেওয়া

অভিভাবকদের সন্তানের জন্য সময় বের করা উচিত। নিয়মিত পরিবারের সাথে সময় কাটানো সম্পর্ককে দৃঢ় করে এবং সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটায়।

৪. শিক্ষা ও মূল্যবোধ

সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা, সংবেদনশীলতা ও সহানুভূতির মতো মূল্যবোধ শিক্ষা দিন। এগুলি তাদের সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করবে।

৫. সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ

সন্তানের জন্য সঠিক সীমানা এবং নিয়ম তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের নিরাপত্তা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে।

৬. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত নিদ্রার দিকে উৎসাহিত করুন। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটায়।

৭. মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা

সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা দিন। মানসিক সমস্যা, হতাশা, ও উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করা, তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করে।

৮. পেশাদার সাহায্য

যদি সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা নেওয়া জরুরি। থেরাপি বা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সন্তানের জন্য সঠিক সমর্থন প্রদান করুন।

অভিভাবকরা সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। খোলামেলা আলোচনা, সহানুভূতি, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং শিক্ষার মাধ্যমে অভিভাবকরা সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারেন। একজন সচেতন অভিভাবক সন্তানের জীবনে স্থিরতা, সুখ ও সুস্থতা আনতে পারে—এজন্য আমাদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত!

14/10/2024

রাসূল ﷺ কিভাবে খাবার খেতেন..?


১) নবী করীম ﷺ খানা খাওয়া পূর্বে দু'তাহ কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নিতেন।

২) ডান হাতে নিজের সামনে থেকে খাওয়া শুরু করতেন।

৩) কখনো হেলান দিয়ে খাবার খেতেন।

৪) সব সময় মাটিতে বসে দস্তারখানা বিছিয়ে খাবার খেতেন।

৫) খানার পর আঙুল মোবারক সুন্দর করে চেটে খেতেন। এ ব্যাপারে তার নিয়ম ছিল, প্রথমে মধ্যমা, এরপর শাহাদাত, এরপর বৃদ্ধঙ্গুলি চাটতেন।

৬) তিনি মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন:- মধু,সিরকা, খেজুর, খরবজা, কাকুড় ও লাউ খুব পছন্দ করতেন।

৭) গোশতের মধ্যে বাহু,ঘাড় ও পিঠের গোশত তার পছন্দ ছিল।

৮) খেজুর বা রুটির টুকরো পাক-পবিত্র স্থানে পড়ে গেলে তা উঠিয়ে পরিস্কার করে খেয়ে ফেলতেন।

৯) একেবারে গরম খাবার, যা থেকে গরম ভাপ উঠিতে থাকে, এমন খাবার আহার করতেন না। কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে ঠান্ডা হলে আহার করতেন।

১০) তিনি কখনো খাবার শুকতেন না। এমন করাকে অপছন্দ করতেন।

১১) সব সময় বসে খেতেন। ফল জাতীয় জিনিস কখনো দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে বা হেটে হেটেও খেতেন।

১২) রান্না করা গোশত কখনো চাকু দিয়ে কেটে কেটেও খেতেন।

১৩) কখনো সকালের খাবার বিকালের জন্য বা বিকালের খাবার সকালের জন্য রেখে দিতেন না।

১৪) অচেনা নতুন কোনো খাবার দেখলে প্রথমে তার নাম জেনে নিয়ে এরপর তা হাতে তুলে নিতেন।

১৫) খানার শুরুতে" বিসমিল্লাহ " বলে খেতেন।

১৬) খাবার পর দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধুতেন আর ভেজা হাতটি হাত মুখে ও মাথায় মুছে নিতেন।

১৭) তিনি খিচুড়ি খেতেও পছন্দ করতেন।

জীবনকে বদলানোর জন্য ৩৩% নিয়মকে ব্যবহার করুনজীবনকে খুব জটিল মনে না করে যদি একটু সহজ ভাবে তৈরী করতে চান, তাহলে পোস্টটি আপ...
07/10/2024

জীবনকে বদলানোর জন্য ৩৩% নিয়মকে ব্যবহার করুন

জীবনকে খুব জটিল মনে না করে যদি একটু সহজ ভাবে তৈরী করতে চান, তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।

এই ৩৩% নিয়ম ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার জীবনকে অনেকটা সমৃদ্ধশালী এবং সুশৃংখল তৈরি করতে পারবেন।

তাত্ত্বিক বিদ্যা এবং প্রায়োগিক বিদ্যার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে, তাই শুধুমাত্র জ্ঞান গ্রহণ করলে হবেনা সে গুলোকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে।

১. আপনি যে অবস্থানে আছেন তার থেকে নিচের ধাপের মানুষজনের সাথে ৩৩% সময় ব্যয় করুন। এই মানুষজনকে আপনি সাহায্য করুন দেখবেন এতে আপনি আপনার আত্মতৃপ্তিকে খুঁজে পাবেন।

২. আপনার সমতুল্য মানুষজনের সাথে ৩৩% সময় ব্যয় করুন, যেমন: আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং যাদের কাছ থেকে আপনি প্রভাবিত হচ্ছেন দেখবেন, এতে আপনার একঘেয়েমিতা এবং একাকীত্বতা দূর হয়ে যাবে এবং কাজকর্মে অনুপ্রাণিত হবেন।

৩. আপনার থেকে বয়সে বিশ, পঁচিশ বছর বড় এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সাথে ৩৩% সময় ব্যয় করুন, দেখবেন জীবন সম্পর্কে খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন এবং সত্তিকারের সমৃদ্ধি খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন।

Address

পাগলা কানাই মোড়, ঝিনাইদহ
Jhenida
7300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সাব্বির আহমদ জুয়েল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to সাব্বির আহমদ জুয়েল:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram