05/07/2018
#চিনির_পরিবর্তে_আমরা_খাচ্ছি_দুই_বিষ (বিষাক্ত ঘনচিনি ও সার)
এই নিরব ঘাতক (স্লো পয়জনিং) ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর দিকে....
====================
শুনুন তাহলে বিষ+বিষ এর ভয়াবহ কাহিনী যা আমদের খাওয়ানো হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) হাজার হাজার টন আমদানি হয়ে দেশে ঢুকছে কিভাবে? অনেক দিনের চেষ্টায় ক্লু পেয়ে গেলাম বণিক বার্তা পত্রিকার এক সংবাদে। সাইট্রিক এসিড নামে আমদানি হচ্ছে এই বিষ। দেয়া হচ্ছে, মিষ্টি, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কন্ডেন্সড মিল্ক প্রভৃতি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য দ্রব্যে।
চিনির চেয়ে প্রায় পঞ্চাশ গুণ বেশি মিষ্টি এই ঘন চিনি পৃথিবীর অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। ক্যান্সার, কিডনি বিকল, হজম শক্তি হ্রাস সহ নানাবিধ জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে এই চিনি।
সাইট্রিক এসিড এর মত দেখতে হুবহু এক রকম বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি সহজেই সাইট্রিক এসিড নামে ও কোডে ঘন চিনি আমদানি করছে৷
ঢাকার মিটফোর্ড থেকে বের করলাম আরও এক নামে ঘন চিনি সোডিয়াম সাইট্রেট যা দেখতে চিনির মত৷ সাইট্রিক এসিড এবং সোডিয়াম সাইট্রেট নামে আসছে নিষিদ্ধ বিষ ঘনচিনি। সরেজমিনে দেখলাম মিটফোর্ডে দুই রকম ঘন চিনি বিক্রি হয়। একটা পিউর অন্যটা ভেজাল মিশ্রিত। পিউর ঘন চিনি কেজি ২২০ টাকা ও ভেজাল ঘনচিনি ১৪০ টাকা। কম দাম বিধায় এই ভেজাল ঘন চিনির বিক্রি সর্বাধিক। সবাই গাড়ি ভর্তি করে এই ভেজাল ঘনচিনি নিয়ে যায় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরির জন্য।
ভেজাল মিশাতে হলে তো ঘনচিনির মতই অন্য কোন একটি দ্রব্য মেশাতে হবে, যার দাম হবে খুব সস্তা এবং মিষ্টি অথবা টেস্টলেস হতে হবে। কি হতে পারে তা?? খোঁজ নিয়ে সার কারখানায় কর্মরত একজনের কাছে জানতে পারলাম ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সারই রয়েছে যা দেখতে চিনির মত দানাদার, দাম কম ১৫/২০ টাকা কেজি এবং স্বাদহীন।
এবার গুগলে সার্চ দিয়ে দেখি ঘন চিনি এবং ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে একই রকম। মিটফোর্ড থেকে এক কেজি চিনি কিনে ১০০ গ্রাম নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠালাম সরকারী ল্যাব (সারের জন্য) খামার বাড়ির মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে। ঘুম হারাম হয়ে গেল রিপোর্ট দেখে, সেই ঘন চিনির নমুনায় ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার পাওয়া গেছে। যা সন্দেহ করেছি তাই। বিশ্বাস হচ্ছিল না, যে চিনি নামে অামাদের সার খাওয়ানো হচ্ছে আর একটি ঘনচিনি নামক বিষের সাথে মিশিয়ে৷
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও রসায়নবিদকে জিজ্ঞেস করলাম, সার খেলে কি হয়? তারা হতবাক হয়ে গেলেন। সার খাবেন কেন? আমি বললাম, যদি খাই। ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার সাথে ঘন চিনি!! হেসে তাঁরা উত্তর দিলেন, "ভাই আপনার শখ লাগলে আপনি খান। তবে দুনিয়ার কোন অসুখ থেকে বাদ যাবেন না এবং প্রথম শেষ হবে বাচ্চারা"।
নানা ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাদ্যদ্রব্য যেমন মিষ্টি, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কন্ডেন্সড মিল্ক প্রভৃতি খাবারে দীর্ঘদিন ধরে এক বিষ ঘন চিনির সাথে আর এক বিষ রাসায়নিক সার ম্যাগনেসিয়াম সালফেট খেয়ে আমাদের পরিণতি কি হচ্ছে??
পৃথিবীর কোথাও আছে মানুষকে সার খাওয়ানোর উদাহরণ??
কোথায় আছি আমরা?
কোথায় আমাদের গন্তব্য?
কে আমাদের বাঁচাবে, বাঁচাবে আমাদের সন্তানদের? জানা নেই এসব প্রশ্নের উত্তর৷ তাই এসব কৃত্তিম খাবার খেতে সতর্ক থাকুন৷