Dr. Sadia Monowara Usha

Dr. Sadia Monowara Usha Health is the Key of Happiness

আজকে ইনবক্স আমার পেজের সকল নারীদের জন্য ওপেন...যেকোনো বয়সী নারী যে কোন সমস্যা নিয়ে আমাকে লিখতে পারেন... আমি যতটুকু পার...
08/03/2023

আজকে ইনবক্স আমার পেজের সকল নারীদের জন্য ওপেন...
যেকোনো বয়সী নারী যে কোন সমস্যা নিয়ে আমাকে লিখতে পারেন... আমি যতটুকু পারি সমস্যার সমাধান করব, যেটা পারবো না যথাযথ জায়গায় রেফার করে দেবার চেষ্টা করব।
শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যগত যে কোন সমস্যা..

এর সাথে কোন আর্থিক যোগাযোগ নেই..
আছে শুধু আপনাদের প্রতি আমার হৃদয়ের টান।

আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকটি নারী অমিত শক্তি ভান্ডার ।নিজের ভেতরের সেই শক্তিটি অনুভব করুন।
আপনি পরিবারের 'মায়া'র অপর নাম। চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ুক আপনার সঞ্জীবনী মন্ত্র...

পৃথিবীর সকল নারীকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা...


07/03/2023

আজকে যখন দুহাত তুলে দোয়া করবেন তখন সেই হাতে আপনার চোখ থেকে যে এক দুই ফোঁটা পানি পড়বে তাতে যেন দুনিয়ার সকল মানুষের প্রতি ভালবাসার দোয়া থাকে।

কোথাও পড়েছি নবীজি বলেছেন যে দুনিয়ার কিছু আল্লাহতালার কাছে চাইতে তিনি লজ্জাবোধ করেন। আবার কোথাও পড়েছি , মহান আল্লাহতালা বান্দাকে তার কাছে ,কেবল তার কাছেই বারবার চাইতে বলছেন। যে কোন কিছু চাইতে বলছেন।
বলা হয়ে থাকে মানুষের মনের ইচ্ছা আল্লাহতালা অবশ্যই পূরণ করবেন ।একবার যদি কেউ দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে তাহলে অবশ্যই সেটা পূরণ হবে।
হয়তো একটু আগে কিংবা পরে।

তাই আপনি যখন দুহাত তুলে দোয়া করবেন তখন আপনার সেই দোয়াতে শুধু নিজের কথাই যেন না থাকে।
আশেপাশের মানুষগুলো ভালো না থাকলে আপনি একা ভালো থাকতে পারবেন না।
আপনার প্রতিবেশীর জন্য দোয়া করুন ।যে মানুষটাকে রোজ একগাছ চুত্রার পাতার মত আপনার শরীর জ্বালাতে থাকে তার জন্য দোয়া করুন যাতে তিনি ভালো হয়ে যায়। যিনি আপনাকে পৃথিবীতে যন্ত্রণা দিচ্ছেন তার জন্য দোয়া করুন,তাকে মাফ করে দিন । আপনি মাফ করে দেয়া মানে এর হ্যান্ডওভার সরাসরি উপরে চলে গেল। এবং উপরওয়ালার হিসাব খুব সূক্ষ্ম।
যারা আপনার জন্য জান কোরবান করতে রাজি তাদের জন্য দোয়ার সাগর খুলে দিন।

নিজের সমাজ নিজের কওমের মানুষগুলো নিজের দেশ প্রত্যেকের জন্য দোয়া করুন।

বড় বড় দোয়া করুন!!!
আপনি কি চান তার থেকেও আপনার জন্য আল্লাহতালা আরো ভালো কিছু হতে মনোনীত করে রেখেছেন আপনি অল্প চেয়ে সেটাকে সীমিত করে ফেলেন না!!

মন খুলে পৃথিবীর জন্য দোয়া করুন।
পৃথিবীটা যেন জান্নাত হয়ে ওঠে।
পৃথিবী আপনাকে প্রতিনিয়ত শুধুই দিয়ে যাচ্ছে!!
তার জন্য আমরা কবেই বা কি করেছি।
আসুন আজ হৃদয়ের গভীর থেকে ভালোবাসা পবিত্রতা ছড়িয়ে দেই।

একবার দরজা জানালা খুলে বাইরে বেরিয়ে দেখুন ।
যারা বাইরে আছেন তারা চোখ তুলে আকাশের দিকে তাকান।
আকাশের সব দুয়ার খুলে গেছে।
গৃহত্যাগী জোছনা শুরু হয়ে গেছে।
আসমান জমিন সমীরণ
কেবল আপনার দোয়ার প্রতীক্ষায়.....

07/03/2023

১৯২০ জন ক্ষুদে বঙ্গবন্ধুর কন্ঠে বিখ্যাত ৭ই মার্চের ভাষণ...

06/03/2023
05/03/2023

PCOS সমস্যায় হতাশ ?
ভাবছেন কি খাবো ?
কি খাবো না ?
———————————-

# # পিসিওএস থাকলে খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ হলে ঋতুস্রাবও ধীরে ধীরে নিয়মিত হয়ে যাবে এবং এই সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।
কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা ভাল তাঁর একটা স্পষ্ট ধারণা হয়ে গেলে আপনারই ডায়েট তৈরি করতে সুবিধা হবে।

# # পিসিওএস থাকলে হাই ফাইবার, লো-কার্ব ডায়েট মেনে চলতে হবে।
ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট কম খেয়ে শাক-সব্জি, ডাল এগুলো বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন।
কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। যেমন মাটির তলার সব্জি যেমন আলু, শাঁকালু, গাজর, বিট একটু কম খাওয়াই ভাল।
ফলের মধ্যে আম, কলা, লিচু আর আঙুর বাদে যে কোনও ফল ফেতে পারেন।
কিন্তু এই চারটে ফলে কার্বোহাড্রেট বেশি, তাই এড়িয়ে চলাই ভাল।

ভাজাভুজি, জাঙ্ক ফুড, প্রসেস করা খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, চকোলেট, পাউরুটি, বার্গার, ময়দার জিনিস, সসেজ, সালামির মতো খাবারও ডায়েট থেকে বাদ রাখতে হবে। মিষ্টি, আইসক্রিম, বোতলের ঠান্ডা পানীয় জাতীয় যত কম খাওয়া যায়, তত ভাল।

# # তা হলে কী খাওয়া যাবে ??

রেড মিটের বদলে চিকেন খান।
মাছ খুব ভাল লিন প্রোটিন।
ডিম চলতে পারে।
ডাল খেতে পারেন।
নানা রকম বীজ খাওয়া যেতে পারে যেমন চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি।

হাই ফাইবার যুক্ত সব্জি খান যেমন ফুলকপি, ব্রকোলি, লেটুস পাতা, কুমড়ো, বিন ইত্যাদি।

আমন্ড, আখরোট, যে কোনও ধরনের বেরি, শসা, টমেটো, আপেল, নানা রকম লেবু খেতে পারেন।

অলিভ অয়েল বা যে কোনও খাঁটি তেল ব্যবহার করতে পারেন রান্নার জন্য।
চকোলেটের বদলে ডার্ক চকোলেট এক টুকরো করে চলতে পারে মাঝেমাঝে।

দু’বেলা ভাত-রুটি কম করে শব্জি বা স্যালাদ খাওয়াই সবচেয়ে ভাল।

স্যাচুরে়টেড ফ্যাটের বদলে সব সময়ে গুড ফ্যাট বেছে নিন।
যেমন দিনে অল্প করে ঘি খেতে পারেন।
পি-নাট বাটার বা আমন্ড বাটারের মতো বাদাম থেকে তৈরি মাখন ব্যবহার করতে পারেন পাঁউরুটিতে।

# # সচেতন হোন । ভালো থাকুন । হতাশ হবে না ।
বিশেষত কিশোরীরা মনকে শক্ত রেখে আনন্দের সাথে ভালো থাকতে হবে ।পিসিওএস রোগীরা নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্ক রক্ষা করুন , একজন অন্যজনের সাথে শেয়ার করুন - সহায়তা করুন।

Collected

MBBS( Bachelor of Medicine & Bachelor of surgery ) এবং BDS (Bachelor of Dental Surgery) ডাক্তারগনের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন...
05/03/2023

MBBS( Bachelor of Medicine & Bachelor of surgery ) এবং BDS (Bachelor of Dental Surgery) ডাক্তারগনের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি নিষিদ্ধ।

ঔষধের দোকানদার প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ড্রাগ লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।

আর যারা এন্টিবায়োটিক বিক্রি বা প্রেসক্রিপশন করে পরামর্শ দিতে পারবেন না তারা হচ্ছেন:
DMF ❌
SACMO ❌
MATS ❌
Pharmacist, ❌
Homeopaths ❌
Optimist❌
Physiotherapist❌
MedicalTechonologist ❌
Kobiraaj. ❌

Above all are not permitted to prescribe antibiotics rather than they will be punished according to laws.
collection:Raivy

বন্ধুত্ব ,স্ট্যাটাস ও অন্যান্যক্লাস সিক্সে পড়ি তখন, নতুন স্কুলে ঢুকলাম। নতুন সব বন্ধুরা। বন্ধুদের মধ্যে ছোট ছোট গ্রুপ ছ...
05/03/2023

বন্ধুত্ব ,স্ট্যাটাস ও অন্যান্য
ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন, নতুন স্কুলে ঢুকলাম। নতুন সব বন্ধুরা। বন্ধুদের মধ্যে ছোট ছোট গ্রুপ ছিল।
প্রথম গ্রুপ পড়াশোনায় অসাধারণ, কে প্রথম কে দ্বিতীয় হবে কার বাসায় কয়জন হোমটিউটর রয়েছেন -এগুলো তাদের আলোচনার মুখ্য বিষয়।এরা খুব বেশি স্টাইলিশ ছিল না।

দ্বিতীয় গ্রুপ পড়াশোনাকে এতোটা সিরিয়াস না নিলেও জীবনযাত্রায় দারুন স্টাইলিশ ছিল।

কয়েকজন ছিল সমমনা, লোক সংখ্যা বেশী ছিলনা বলে এরা গ্রুপ হতে পারেনি, এরা দুই গ্রুপের সাথে সুসম্পর্ক ভাল রেখে চলতো।
মোটামুটি গ্রুপ বিহীন কেউ ছিল না ।
নতুন কেউ ক্লাসে এলে এই দু-তিন ধরনের গ্রুপের যে কোন একটিতে প্রবেশ করার জন্যে বেশ যোগ্যতার পরিচয় দিতে হতো।

যে ব্যক্তি কোন গ্রুপের কাছে আপন হয়ে উঠতে পারতোনা(!) তার জন্য ক্লাসটা হয়ে উঠত বিষ। এখন যদি জিজ্ঞাসা করেন ক্লাস সিক্সে পড়া ছাত্র-ছাত্রী কাউকে গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে কি নির্ধারণ করেছিল এই বিষয়ে জ্ঞান আমার খুবই কম।

এর মধ্যে একজনকে আমার ভীষন ভালো লাগতো। ওর আমার বোঝাপড়াটা খুব সুন্দর ছিল। আমরা দুজন টিফিন পিরিয়ডে টিফিন শেয়ার করতাম, বড় শিশুগাছটার নিচের দোলনা গুলোতে দোল খেতাম, সারা মাঠ জুড়ে দৌড়ঝাঁপ করে বেড়াতাম।

আমাদের এই সুখ বেশিদিন সইল না। একদিন আমাদের বাংলা ক্লাস টিচার বললেন, তোমাকে তো ভালো মেয়ে বলেই জানি। তোমার বাবা-মা খুব সজ্জন মানুষ। তুমি এই মেয়েটার সাথে কেন মিশছো? আমি অবাক হলাম ,কেন স্যার ?ওতো খুব ভালো মেয়ে। বাংলার স্যার বেশ রাগতস্বরে ইংরেজি আওড়ালেন,
The man is known by the company he keeps.
(সঙ্গ দেখে লোক চেনা যায়।)

আমার একমাত্র বন্ধুর সাথে আমার বন্ধুত্ব ভেঙে গেল। স্যার পছন্দ করেনা, তাই আমাদের বন্ধুত্ব রইল না। স্যারের প্রতি আমার অবিচল বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসে ওর সম্পর্কে স্যারের বলা প্রত্যেকটা কথা আমার কাছে সঠিক বলে মনে হল।

মেয়েটি বড় বড় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকত ,খেলা করবে বলে আমার সাথে। আমি ফিরে তাকাতাম না। রোজ আমার জন্য সীট রেখে দিত। অজুহাত দেখিয়ে বসতাম না।
আশ্চর্য যে আমার প্রতি কোন অভিযোগ ছিল না।

এদিকে আমি ভীষণ চেষ্টা করে চলেছি হাইপ্রোফাইল গ্রুপের সাথে মেশার জন্য। নিজেকে কোন একটি গ্রুপের গর্বিত সদস্য ভাবার জন্য।

আমার বন্ধুটি পরের বছরই অন্য সেকশনে চলে যায়। পরের বছরগুলোতে এত দমবন্ধ শিডিউলে নিজেকে বেঁধে ফেলি যে , বন্ধু শব্দটি কোন অচেনা শব্দ বলে আমার জীবনে প্রতীয়মান হয়।

বহুদিন পর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হলো।
আমার বন্ধুটি ঠিক তেমনই আছে ।বড় বড় চোখ। সেই স্নিগ্ধ দৃষ্টি ।দুদিন আলাপ করার পরে আমার মনে হল যেন আমার আর ওর জন্মই হয়েছে দুজনের বন্ধু হবার জন্য ।আজ এতটা বছর পরেও আমি যা ভাবি আর ও যা ভাবে টা এক মোহনায় এসে মিশে যায়।

যে গান আমার ভালো লাগে, সেই গানটি ইনবক্সে ওর অনুরোধ হিসেবে আসে ।যে স্ট্যাটাস আমি দেবো বলে মনে করি আমার আগেই সে স্ট্যাটাস দিয়ে রাখে।
আজ আমরা কত দূরে থেকেও কত কাছের।

অথচ এক সময় এক হাতের মধ্যে থেকেও আমরা বন্ধু হতে পারি নি। শুধুমাত্র কারো অহেতুক কু মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেবার জন্য।

শুধু মিথ্যে হাইপ্রোফাইল সেজে থাকার জন্য ।
সবাইকে জানানোর জন্য আমি একটা ফাস্ট ক্লাস গ্রুপে বিলং করি।
কি হাস্যকর তাই না!!

ছোটবেলার এগুলো হাস্যকর নয় ।তখন আমাদের বোধবুদ্ধি বিচার-বিবেচনা কতইবা?
হাস্যকর তখন হয় ,যখন বড় হয়েও আমরা এই মেকী বিষয়গুলো বজায় রাখতে থাকি।


একজন লেডি অফিসারকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে টং এ চা পান করতে দেখে গাড়ির কালো কাঁচ উঠিয়ে তার সিনিয়র মুখ বাঁকা করে বললেন, 'এ কোন অফিসার! কোন ক্লাস মেইনটেইন করে না?'

সিনিয়র কোন ভুল কথা বলেননি। সরকারি অফিসারদের অনেক নিয়ম কানুন। কিন্তু পুঁথিগত ভাবে জনগণের সেবক আর বাস্তবে জনগণ দেখলেই গাড়ির মধ্যে ঢুকে নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে অফিসার সুলোভ পদমর্যাদা বজায় রাখা। এই জায়গাটা যদি কেউ আমাকে বুঝিয়ে দিতেন খুব ভালো হতো।

কিসের স্টাটাস ?কিসের হাই প্রোফাইল?
কাকে দেখাচ্ছি? কি দেখাচ্ছি? কেন দেখাচ্ছি?

কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খাবে আপনি হয়তো খাবেন ফাইভ স্টার এ । সেই চায়ের টেবিলে আপনার সমমনা স্ট্যাটাসের ব্যক্তিকে জোর গলায় বলতে পারবেন তো,' যে কাজটা করলেন, মোটেই ভালো করেননি ,এর জন্য আপনাকে দুদক ধরতেই পারে।'

থাকবে তো আপনার স্ট্যাটাস?
স্ট্যাটাস যাওয়ার ভয়ে কত অন্যায় আপনি সহ্য করে নিয়েছেন ভেবে দেখুন তো।

স্ট্যাটাসে স্ট্যাটাসে আবার গন্ডগোল।
ধরুন,ঘুষের টাকায় আপনি বাড়ি করেছেন। আপনার বাড়িতে একজন প্রকৌশলী বসবাস করে। কিন্তু আপনার বাড়ি ওয়ালা স্ট্যাটাস এর কাছে তার সব স্ট্যাটাস বৃথা।

আপনার হাজব্যান্ড বড় কোম্পানির মালিক। আপনি শাড়ির রঙের সাথে মিলিয়ে গাড়ি নিয়ে পার্টিতে ঢুকেন। আপনার গয়নার স্ট্যাটাস মুকেশ আম্বানির বউয়ের সাথে তুলনীয়। সেই স্ট্যাটাস এর কাছে মধ্যবিত্ত সরকারী চাকরিজীবী বউয়ের স্ট্যাটাস যেন মাটিতে মিশে যায়।

Status যার বাংলা অর্থ সামাজিক পদমর্যাদা, সামাজিক সুযোগ-সুবিধা ,ভারসাম্য বজায় রাখার এক বহু প্রাচীন পদ্ধতি।
কিন্তু যুগ বদলেছে।
সমাজে অনেক মুক্তমনা মানুষ রয়েছে যারা এই বুলশিট স্ট্যাটাস এর ধার ধারে না। কঠিন এর সাথে কঠিন ,কোমলের সাথে কোমল হৃদয় হওয়ার যোগ্যতা রাখে ।

আমাদের নবীজি কোন জাতপাত ধনী-গরীব বিভেদ করে সাহাবী নির্বাচন করেননি। সেইসব সাহাবীদের পদমর্যাদা কোথাও কম ছিল কি?

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায় ,বেগম রোকেয়া, মাদার তেরেসা, এরা কি ভেবে যে তাদের স্ট্যাটাস নষ্ট করে সমাজের অবাঞ্ছিতদের আপন করে নিয়েছিলেন তা কে জানে।

মূল পার্থক্য হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গির।
সমাজকে আপনার কূপমন্ডুপ জ্ঞানের মধ্যে দিয়ে বিচার করা টাই ভুল। সমাজ অত্যন্ত গতিশীল । সমাজের চলার সাথে নিজেকে প্রগতিশীল করতে না পারেন, মিথ্যা অহংবোধ আর মায়ার জাল সৃষ্টি থেকে বিরত থাকুন।
যে স্ট্যাটাস যে পদমর্যাদা ব্যক্তি নিজে অর্জন করে তা ছোট ছোট কাজে কখনো হারিয়ে যায় না। যা হারিয়ে যায় তা অর্জিত নয়।

সমমনা মানুষেরা একত্রে থাকবে । এতে রাশি রাশি উদারতার পরশ অনুভব হবে। অহংকার এর জন্মটা কোথা থেকে হয়??

যে স্ট্যাটাস নিয়ে এতো বড়াই করেন,
সেই স্ট্যাটাসে বিলং করে এমন কোন লোককে কাল পুলিশ দুর্নীতি বা ধর্ষণের দায়ে ধরে নিয়ে গেলে সবাইকে জোর গলায় বলতে পারবেন তো,

The man is known by the company he keeps???

 ীরব_মানুষ ভাবুন সকালে আপনার ঘুম ভাঙলো জানালার পাশে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে..ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘর থেকে পেলেন প্রেস...
01/03/2023

ীরব_মানুষ
ভাবুন সকালে আপনার ঘুম ভাঙলো জানালার পাশে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে..
ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘর থেকে পেলেন প্রেসার কুকারের সিটির শব্দ! খিচুড়ির ঘ্রাণ!
দুপা হেঁটে বারান্দায় গিয়ে দেখলেন একটা সুন্দর সবুজ শহর। দূর থেকে ভেসে আসছে ঝরনার শব্দ নানা পাখির কলতান..
ঘরের বাইরে বের হয়ে দেখলেন রাস্তায় যানবাহনে তীব্র কোন আওয়াজ নেই ।যানবাহনগুলো থেকে সুরেলা আওয়াজ বের হচ্ছে!!!
ইস কি মিষ্টি শহরটা!!
দিনের শুরুটা যদি এমন মিষ্টি হতো
তাহলে কেমন প্রাণচঞ্চল হতো আমাদের দিনগুলো!!

বাস্তবতাটা কি হয়?
সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠি প্রচন্ড শব্দের মধ্য দিয়ে। ঘুম থেকে ওঠার এক দুই ঘণ্টার মধ্যে শুরু হয়ে যায় কল কারখানা এবং আমাদের চারপাশে ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কর্মীদের কাজ। পার্কে না গেলে পাখির কিচির-নিচের ডাক জানলা দিয়ে শোনা আপনার জন্য খুবই দুরহ। রাস্তায় বের হলেই অজস্র হাইড্রোলিক হর্ন ‌। দোকানে ওয়েডিং এর কাজের চি চি শব্দ! মাইকে ক্রমাগত বিভিন্ন সতর্কবাণী!
আপনি যখন কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন তার আগেই আপনার কানের পর্দা শব্দ সহনশীলতার মাত্রাকে অতিক্রম করে যায়।
আপনি হয়েছেন অস্থির মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে আপনার মাথায় আসেনা কোন ইনোভেশন …মনে থাকে না শান্তি।
এক শব্দই কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে আমাদের স্বাস্থ্যের উপরে।সাথে মোবাইল ফোনের ringtone vibration তো আছেই …

সাধারণ মানুষ তো বটেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ট্রাফিক পুলিশ এবং শিশুদের উপরে। যেখানে ২০ডেসিবল শব্দ হলেই আমরা শুনতে পাই সেখানে আমরা রোজ ৭০-৭৫ ডেসিবলের বেশি শব্দ সহ্য করে থাকি!!ফলে উচ্চ রক্তচাপ উদ্বেগ বধিরতা মেজাজ নিয়ন্ত্রণহীনতা নিদ্রাহীনতা আমাদের নিত্যসঙ্গী!

কয়েকটি গবেষণা:
'অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির গবেষক জর্ডান ল্যাসি ২০১৬ সালে শব্দ বদলের একটি অভিনব সরঞ্জাম তৈরি করেছেন।তিনি একটি পার্কের পাশের রাস্তার কোলাহল, যানবাহনের তীব্র আওয়াজ মাইক্রোফোনে রেকর্ড করে তার সঙ্গে মিশিয়েছেন সঙ্গীতের মূর্চ্ছনা। তারপর সেই সুরেলা শব্দ তিনি লাউডস্পিকারের মাধ্যমে পার্ক এলাকায় বাজাচ্ছেন।

ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার গবেষকরা বিশেষ আকারের জানালা তৈরি করেছেন যা চারপাশ থেকে আসা শব্দকে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ধরবে এবং বাড়ির মালিক তার ঘরের ভেতর পছন্দের সঙ্গীত তার সঙ্গে মিশিয়ে একটা নতুন শব্দরাজ্য তৈরি করতে পারবেন।

ইংল্যান্ডের সলফোর্ড ইউনিভার্সিটির শব্দ বিষয়ক প্রকৌশলী ট্রেভর কক্স বলেছেন যে, "অর‍্যাল (Aural) আর্কিটেকচার হচ্ছে এমন একটি বিষয় যেখানে গুরুত্বপূর্ণ হল ভবনগুলো কি বলতে চাইছে, ভবনগুলোর ভেতর কিধরনের শব্দ তৈরি হচ্ছে, আমরা কীভাবে তাতে সাড়া দিচ্ছি সেগুলো।এসব প্রযুক্তি দিয়ে বর্তমান ভবনগুলো তারা এমনভাবে বদলে দিতে পারেন যে ভবনের বাইরেটা অবাঞ্ছিত বাইরের শব্দগুলো ঠেকিয়ে রাখবে। সুনির্দিষ্ট শব্দ তরঙ্গ আর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য তৈরি করে অবাঞ্ছিত শব্দকে ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হবে না।'

শব্দ আমাদেরকে দারুন ভাবে প্রভাবিত করে ।
সুর আমাদের হৃদয়ের ইমোশন নিয়ে খেলা করে ।
আপনি কোন ভূতের ছবিতে যদি সাউন্ড মিউট করে রাখেন এতটা ভয় পাবেন না ।
যে কষ্টের সিনেমায় রুমাল ভিজিয়ে আপনি কেঁদে ফেলেন তার পেছনে মারাত্মক কষ্টের একটি সুরের আবহ তৈরি করা হয়।
বড় বড় রেস্টুরেন্টে হালকা করে বিভিন্ন টোনের মিউজিক সেট করা থাকে যাতে পরিবেশ টাই একটা ভিন্ন চার্মিং মুড ক্রিয়েট করে।

সমস্যা হচ্ছে এই সমস্যার সমাধান একা করা যায় না। যানবাহনে যিনি হর্ন রেগুলেট করেন তাকে সচেতন হতে হচ্ছে। যিনি উচ্চ শব্দে মাইক চালাচ্ছেন তাকেও। ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কাজের জায়গায় সবাইকে।
আর আমি যদি এসব ভূমিকার একজন না হয়ে থাকি তাহলে আমাদের করণীয় কি?

সামনে যাকে এই ভূমিকায় দেখবেন তাকে বলা।
এত সময় তো নেই আপনার ,আর এসব করতে যাবেন কেন আপনার বাস্তব জীবনে??

তাহলে দুটো পথ খোলা আছে
এই প্রচন্ড কোলাহলের পৃথিবী থেকে পালিয়ে যান
অথবা চোখ কান বন্ধ করে থাকুন..

সরব জগতে নীরব আমি !
আমার নীরবতাতেই আমার শিশুটি রয়ে যাচ্ছে
এই প্রচন্ড শব্দময় পৃথিবীতে...

আমরা অবাঞ্চিত শব্দগুলোকে তো দূর করতে পারিনা ঘরে বসে জাতীয় পলিসিতেও কাজ করতে পারি না আমরা যেটা করতে পারি রোজ ২৪ ঘন্টার ভিতরে কয়েক ঘন্টা
আমাদের জীবনে সুরেলা শব্দকে যোগ করতে পারি।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যার এক একটি আয়াতে অজস্র সওয়াব তাকেও সুর করে পড়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়।

অনেকে ক্লাসিক্যাল গানের সুর ভালবাসেন ।অনেকে রবীন্দ্রনাথের গান। অনেকে বিদেশী কোরিয়ান মিউজিক। কত গানের লিরিক্স আমরা কিছুই বুঝতে পারি না …
কিন্তু সুরে আটকে যাই।

অনুভূতিগুলো চলে যাচ্ছে।
কিছুতেই আমাদের আর এখন কিছু মনে হয় না।
মানুষগুলো অনুভূতি প্রবণ হয়ে উঠুক
শহর হয়ে উঠুক দারুন অনুভূতিময়!!

01/03/2023

সরব শহর নীরব মানুষ
ভাবুন সকালে আপনার ঘুম ভাঙলো জানালার পাশে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে..
ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘর থেকে পেলেন প্রেসার কুকারের সিটির শব্দ! খিচুড়ির ঘ্রাণ!
দুপা হেঁটে বারান্দায় গিয়ে দেখলেন একটা সুন্দর সবুজ শহর। দূর থেকে ভেসে আসছে ঝরনার শব্দ নানা পাখির কলতান..
ঘরের বাইরে বের হয়ে দেখলেন রাস্তায় যানবাহনে তীব্র কোন আওয়াজ নেই ।যানবাহনগুলো থেকে সুরেলা আওয়াজ বের হচ্ছে!!!
ইস কি মিষ্টি শহরটা!!
দিনের শুরুটা যদি এমন মিষ্টি হতো
তাহলে কেমন প্রাণচঞ্চল হতো আমাদের দিনগুলো!!

বাস্তবতাটা কি হয়?
সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠি প্রচন্ড শব্দের মধ্য দিয়ে। ঘুম থেকে ওঠার এক দুই ঘণ্টার মধ্যে শুরু হয়ে যায় কল কারখানা এবং আমাদের চারপাশে ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কর্মীদের কাজ। পার্কে না গেলে পাখির কিচির-নিচের ডাক জানলা দিয়ে শোনা আপনার জন্য খুবই দুরহ। রাস্তায় বের হলেই অজস্র হাইড্রোলিক হর্ন ‌। দোকানে ওয়েডিং এর কাজের চি চি শব্দ! মাইকে ক্রমাগত বিভিন্ন সতর্কবাণী!
আপনি যখন কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন তার আগেই আপনার কানের পর্দা শব্দ সহনশীলতার মাত্রাকে অতিক্রম করে যায়।
আপনি হয়েছেন অস্থির মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে আপনার মাথায় আসেনা কোন ইনোভেশন …মনে থাকে না শান্তি।
এক শব্দই কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে আমাদের স্বাস্থ্যের উপরে।সাথে মোবাইল ফোনের ringtone vibration তো আছেই …

সাধারণ মানুষ তো বটেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ট্রাফিক পুলিশ এবং শিশুদের উপরে। যেখানে ২০ডেসিবল শব্দ হলেই আমরা শুনতে পাই সেখানে আমরা রোজ ৭০-৭৫ ডেসিবলের বেশি শব্দ সহ্য করে থাকি!!ফলে উচ্চ রক্তচাপ উদ্বেগ বধিরতা মেজাজ নিয়ন্ত্রণহীনতা নিদ্রাহীনতা আমাদের নিত্যসঙ্গী!

কয়েকটি গবেষণা:
'অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির গবেষক জর্ডান ল্যাসি ২০১৬ সালে শব্দ বদলের একটি অভিনব সরঞ্জাম তৈরি করেছেন।তিনি একটি পার্কের পাশের রাস্তার কোলাহল, যানবাহনের তীব্র আওয়াজ মাইক্রোফোনে রেকর্ড করে তার সঙ্গে মিশিয়েছেন সঙ্গীতের মূর্চ্ছনা। তারপর সেই সুরেলা শব্দ তিনি লাউডস্পিকারের মাধ্যমে পার্ক এলাকায় বাজাচ্ছেন।

ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার গবেষকরা বিশেষ আকারের জানালা তৈরি করেছেন যা চারপাশ থেকে আসা শব্দকে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ধরবে এবং বাড়ির মালিক তার ঘরের ভেতর পছন্দের সঙ্গীত তার সঙ্গে মিশিয়ে একটা নতুন শব্দরাজ্য তৈরি করতে পারবেন।

ইংল্যান্ডের সলফোর্ড ইউনিভার্সিটির শব্দ বিষয়ক প্রকৌশলী ট্রেভর কক্স বলেছেন যে, "অর‍্যাল (Aural) আর্কিটেকচার হচ্ছে এমন একটি বিষয় যেখানে গুরুত্বপূর্ণ হল ভবনগুলো কি বলতে চাইছে, ভবনগুলোর ভেতর কিধরনের শব্দ তৈরি হচ্ছে, আমরা কীভাবে তাতে সাড়া দিচ্ছি সেগুলো।এসব প্রযুক্তি দিয়ে বর্তমান ভবনগুলো তারা এমনভাবে বদলে দিতে পারেন যে ভবনের বাইরেটা অবাঞ্ছিত বাইরের শব্দগুলো ঠেকিয়ে রাখবে। সুনির্দিষ্ট শব্দ তরঙ্গ আর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য তৈরি করে অবাঞ্ছিত শব্দকে ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হবে না।'

শব্দ আমাদেরকে দারুন ভাবে প্রভাবিত করে ।
সুর আমাদের হৃদয়ের ইমোশন নিয়ে খেলা করে ।
আপনি কোন ভূতের ছবিতে যদি সাউন্ড মিউট করে রাখেন এতটা ভয় পাবেন না ।
যে কষ্টের সিনেমায় রুমাল ভিজিয়ে আপনি কেঁদে ফেলেন তার পেছনে মারাত্মক কষ্টের একটি সুরের আবহ তৈরি করা হয়।
বড় বড় রেস্টুরেন্টে হালকা করে বিভিন্ন টোনের মিউজিক সেট করা থাকে যাতে পরিবেশ টাই একটা ভিন্ন চার্মিং মুড ক্রিয়েট করে।

সমস্যা হচ্ছে এই সমস্যার সমাধান একা করা যায় না। যানবাহনে যিনি হর্ন রেগুলেট করেন তাকে সচেতন হতে হচ্ছে। যিনি উচ্চ শব্দে মাইক চালাচ্ছেন তাকেও। ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কাজের জায়গায় সবাইকে।
আর আমি যদি এসব ভূমিকার একজন না হয়ে থাকি তাহলে আমাদের করণীয় কি?

সামনে যাকে এই ভূমিকায় দেখবেন তাকে বলা।
এত সময় তো নেই আপনার ,আর এসব করতে যাবেন কেন আপনার বাস্তব জীবনে??

তাহলে দুটো পথ খোলা আছে
এই প্রচন্ড কোলাহলের পৃথিবী থেকে পালিয়ে যান
অথবা চোখ কান বন্ধ করে থাকুন..

সরব জগতে নীরব আমি !
আমার নীরবতাতেই আমার শিশুটি রয়ে যাচ্ছে
এই প্রচন্ড শব্দময় পৃথিবীতে...

আমরা অবাঞ্চিত শব্দগুলোকে তো দূর করতে পারিনা ঘরে বসে জাতীয় পলিসিতেও কাজ করতে পারি না আমরা যেটা করতে পারি রোজ ২৪ ঘন্টার ভিতরে কয়েক ঘন্টা
আমাদের জীবনে সুরেলা শব্দকে যোগ করতে পারি।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যার এক একটি আয়াতে অজস্র সওয়াব তাকেও সুর করে পড়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়।

অনেকে ক্লাসিক্যাল গানের সুর ভালবাসেন ।অনেকে রবীন্দ্রনাথের গান। অনেকে বিদেশী কোরিয়ান মিউজিক। কত গানের লিরিক্স আমরা কিছুই বুঝতে পারি না …
কিন্তু সুরে আটকে যাই।

অনুভূতিগুলো চলে যাচ্ছে।
কিছুতেই আমাদের আর এখন কিছু মনে হয় না।
মানুষগুলো অনুভূতি প্রবণ হয়ে উঠুক
শহর হয়ে উঠুক দারুন অনুভূতিময়!!

01/03/2023

ভাবুন সকালে আপনার ঘুম ভাঙলো জানালার পাশে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে..
ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘর থেকে পেলেন প্রেসার কুকারের সিটির শব্দ! খিচুড়ির ঘ্রাণ!
দুপা হেঁটে বারান্দায় গিয়ে দেখলেন একটা সুন্দর সবুজ শহর। দূর থেকে ভেসে আসছে ঝরনার শব্দ নানা পাখির কলতান..
ঘরের বাইরে বের হয়ে দেখলেন রাস্তায় যানবাহনে তীব্র কোন আওয়াজ নেই ।যানবাহনগুলো থেকে সুরেলা আওয়াজ বের হচ্ছে!!!
ইস কি মিষ্টি শহরটা!!
দিনের শুরুটা যদি এমন মিষ্টি হতো
তাহলে কেমন প্রাণচঞ্চল হতো আমাদের দিনগুলো!!

বাস্তবতাটা কি হয়?
সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠি প্রচন্ড শব্দের মধ্য দিয়ে। ঘুম থেকে ওঠার এক দুই ঘণ্টার মধ্যে শুরু হয়ে যায় কল কারখানা এবং আমাদের চারপাশে ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কর্মীদের কাজ। পার্কে না গেলে পাখির কিচির-নিচের ডাক জানলা দিয়ে শোনা আপনার জন্য খুবই দুরহ। রাস্তায় বের হলেই অজস্র হাইড্রোলিক হর্ন ‌। দোকানে ওয়েডিং এর কাজের চি চি শব্দ! মাইকে ক্রমাগত বিভিন্ন সতর্কবাণী!
আপনি যখন কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন তার আগেই আপনার কানের পর্দা শব্দ সহনশীলতার মাত্রাকে অতিক্রম করে যায়।
আপনি হয়েছেন অস্থির মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে আপনার মাথায় আসেনা কোন ইনোভেশন …মনে থাকে না শান্তি।
এক শব্দই কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে আমাদের স্বাস্থ্যের উপরে।সাথে মোবাইল ফোনের ringtone vibration তো আছেই …

সাধারণ মানুষ তো বটেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ট্রাফিক পুলিশ এবং শিশুদের উপরে। যেখানে ২০ডেসিবল শব্দ হলেই আমরা শুনতে পাই সেখানে আমরা রোজ ৭০-৭৫ ডেসিবলের বেশি শব্দ সহ্য করে থাকি!!ফলে উচ্চ রক্তচাপ উদ্বেগ বধিরতা মেজাজ নিয়ন্ত্রণহীনতা নিদ্রাহীনতা আমাদের নিত্যসঙ্গী!

কয়েকটি গবেষণা:
'অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির গবেষক জর্ডান ল্যাসি ২০১৬ সালে শব্দ বদলের একটি অভিনব সরঞ্জাম তৈরি করেছেন।তিনি একটি পার্কের পাশের রাস্তার কোলাহল, যানবাহনের তীব্র আওয়াজ মাইক্রোফোনে রেকর্ড করে তার সঙ্গে মিশিয়েছেন সঙ্গীতের মূর্চ্ছনা। তারপর সেই সুরেলা শব্দ তিনি লাউডস্পিকারের মাধ্যমে পার্ক এলাকায় বাজাচ্ছেন।

ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার গবেষকরা বিশেষ আকারের জানালা তৈরি করেছেন যা চারপাশ থেকে আসা শব্দকে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ধরবে এবং বাড়ির মালিক তার ঘরের ভেতর পছন্দের সঙ্গীত তার সঙ্গে মিশিয়ে একটা নতুন শব্দরাজ্য তৈরি করতে পারবেন।

ইংল্যান্ডের সলফোর্ড ইউনিভার্সিটির শব্দ বিষয়ক প্রকৌশলী ট্রেভর কক্স বলেছেন যে, "অর‍্যাল (Aural) আর্কিটেকচার হচ্ছে এমন একটি বিষয় যেখানে গুরুত্বপূর্ণ হল ভবনগুলো কি বলতে চাইছে, ভবনগুলোর ভেতর কিধরনের শব্দ তৈরি হচ্ছে, আমরা কীভাবে তাতে সাড়া দিচ্ছি সেগুলো।এসব প্রযুক্তি দিয়ে বর্তমান ভবনগুলো তারা এমনভাবে বদলে দিতে পারেন যে ভবনের বাইরেটা অবাঞ্ছিত বাইরের শব্দগুলো ঠেকিয়ে রাখবে। সুনির্দিষ্ট শব্দ তরঙ্গ আর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য তৈরি করে অবাঞ্ছিত শব্দকে ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হবে না।'

শব্দ আমাদেরকে দারুন ভাবে প্রভাবিত করে ।
সুর আমাদের হৃদয়ের ইমোশন নিয়ে খেলা করে ।
আপনি কোন ভূতের ছবিতে যদি সাউন্ড মিউট করে রাখেন এতটা ভয় পাবেন না ।
যে কষ্টের সিনেমায় রুমাল ভিজিয়ে আপনি কেঁদে ফেলেন তার পেছনে মারাত্মক কষ্টের একটি সুরের আবহ তৈরি করা হয়।
বড় বড় রেস্টুরেন্টে হালকা করে বিভিন্ন টোনের মিউজিক সেট করা থাকে যাতে পরিবেশ টাই একটা ভিন্ন চার্মিং মুড ক্রিয়েট করে।

সমস্যা হচ্ছে এই সমস্যার সমাধান একা করা যায় না। যানবাহনে যিনি হর্ন রেগুলেট করেন তাকে সচেতন হতে হচ্ছে। যিনি উচ্চ শব্দে মাইক চালাচ্ছেন তাকেও। ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কাজের জায়গায় সবাইকে।
আর আমি যদি এসব ভূমিকার একজন না হয়ে থাকি তাহলে আমাদের করণীয় কি?

সামনে যাকে এই ভূমিকায় দেখবেন তাকে বলা।
এত সময় তো নেই আপনার ,আর এসব করতে যাবেন কেন আপনার বাস্তব জীবনে??

তাহলে দুটো পথ খোলা আছে
এই প্রচন্ড কোলাহলের পৃথিবী থেকে পালিয়ে যান
অথবা চোখ কান বন্ধ করে থাকুন..

সরব জগতে নীরব আমি !
আমার নীরবতাতেই আমার শিশুটি রয়ে যাচ্ছে
এই প্রচন্ড শব্দময় পৃথিবীতে...

আমরা অবাঞ্চিত শব্দগুলোকে তো দূর করতে পারিনা ঘরে বসে জাতীয় পলিসিতেও কাজ করতে পারি না আমরা যেটা করতে পারি রোজ ২৪ ঘন্টার ভিতরে কয়েক ঘন্টা
আমাদের জীবনে সুরেলা শব্দকে যোগ করতে পারি।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যার এক একটি আয়াতে অজস্র সওয়াব তাকেও সুর করে পড়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়।

অনেকে ক্লাসিক্যাল গানের সুর ভালবাসেন ।অনেকে রবীন্দ্রনাথের গান। অনেকে বিদেশী কোরিয়ান মিউজিক। কত গানের লিরিক্স আমরা কিছুই বুঝতে পারি না …
কিন্তু সুরে আটকে যাই।

অনুভূতিগুলো চলে যাচ্ছে।
কিছুতেই আমাদের আর এখন কিছু মনে হয় না।
মানুষগুলো অনুভূতি প্রবণ হয়ে উঠুক
শহর হয়ে উঠুক দারুন অনুভূতিময়!!

কর্মক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের সাথে আমার প্রায়ই দেখা হয়। বেশিরভাগ সময় তারা সাথে করে একজন সহযোগী  নিয়ে আসেন। যারা এসে প্র...
28/02/2023

কর্মক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের সাথে আমার প্রায়ই দেখা হয়। বেশিরভাগ সময় তারা সাথে করে একজন সহযোগী নিয়ে আসেন।
যারা এসে প্রথমেই বলেন ,

আফা এ লোকডা একছের পাগল !
এরে একটা সার্টিফিকেট লিখে দেন দেহি!

যিনি মূলত person with disability (প্রতিবন্ধী) তার এ বিষয়ে কোনো ভিন্ন মতামত থাকে না। কারণ এটি তিনি মেনে নিয়েছেন এবং আমার কাছে এসেছেন এটাকে কনফার্ম করতে যাতে এ ব্যাপারে তিনি সরকারের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব আমাদের থাকে। সঠিক হলে দেই। না হলে না।

যে বিষয়টি আমাকে প্রচন্ডভাবে নাড়া দেয় তা হলো একজন দীর্ঘস্থায়ী মানসিক রোগীকে কত সহজে একটা শব্দ 'পাগল' বলে পরিচয় করে দেওয়া যায়।
একটা বয়সন্ধিকালিন ছেলে, সবার সাথে মিশতে লজ্জা পায় কেউ কিছু বললে মাথা নিচু করে নখ খুঁটতে থাকে, স্কুলে কিছু পড়ালে হা করে তাকিয়ে থাকে , জীবন সম্পর্কে যার বোধের জায়গা শূন্য তাকে কত সহজেই ' বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ' বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায় !!

কিংবা ফুলের মত একটা শিশু যে রুমে ঢুকেই অনুসন্ধিৎসু!
টেবিলে রাখা ফুলদানি মগ ধরে ধরে জিজ্ঞেস করছে এটা কি ওটা কে প্রশ্ন করছে তাকে তার বাবা মা বলছেন, আমার বাচ্চা তো অটিস্টিক! ওকে নিয়ে কোথাও বের হতে পারি না! খুব জ্বালায় আছি!!

সেদিন সব সময় তো একটা ছেলে এলো বলল আমার একটা প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট দেন তো ম্যাডাম।
বললাম ,কেন ? বললো,সংসার অনেক বড় ।রিক্সা চালাই কাজ কাম করে ঘর সামলাতি পারিনা। প্রতিবন্ধী হলি মাসে মাসে কয়ডা টাকা দেবেনে!
বললাম,বিয়ে-শাদী করছো?
এবার একটু লজ্জা ভাব নিয়ে বলল,
না আর কয়টা টাকা জমাইনি..

আমি প্রায় ওনার ভাষায় বললাম,এরপর যে মেয়েপক্ষ প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে বিয়ে দেবে নানে তখন কি হবি নি?
ও তখন মেয়েরে বুঝাই কবানি..
হাল ছেড়ে দিয়ে বললাম ,কি প্রতিবন্ধী বানাবো? তুমি তো সুস্থ!
ডাক্তার আপা খালি রঙ্গ করে! দিয়ে দেন আমি কানে হুনি না
প্রমাণ??
প্রমাণ লাগবি না ।আমি আগামী কয়দিন কেউ ডাকলি হুনবোনা!!

I am তো অবাক!

আমি ভাবতাম এই যে আমরা প্রতিবন্ধী প্রতিবন্ধী বলি এইটা ভীষণ অন্যায়। আমার সামনে এসে কেউ কাউকে বা নিজে নিজেকে জোর করে কালা,কিনা, হাবাগোবা বললে
মাথা ঠান্ডা রেখে বলি উনার সামনে এভাবে আড্রেস করবেন না। এতে এই মানুষটা ধীরে ধীরে নিজেকে এটাই মনে করতে শুরু করবে এবং এখান থেকে বের হবার কোন ইচ্ছা তার মধ্যে আর তৈরি হবে না।
হয়তো দুই তিন সেকেন্ডের জন্য কথাটা কানে ঢোকে ।তারপরে আবার বলতে থাকে ও অনেকদিন ধরেই পাগল। ওর পরিবারে আরও দুজন পাগল আছে। ও এমনি এমনি পাগল হয় নাই। ও ভুতে ধরা পাগল। সেবার কার্তিক মাসের রাত্রে.......

এরপর আমার মস্তিষ্কের বাম পাশে প্রবলেম হয়। এই পাশটা সাধারণত রাগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

আমরা আসলে কি করতে পারি?

✅প্রতিবন্ধী সম্পর্কে আমাদের আচরণগত পরিবর্তন ভীষণ দরকার। Handicapped, disabled থেকে The person with disability এই শব্দটা আমাদের কাছে এখন বেশি শ্রুতি মধুর। অর্থাৎ Disability কখনোই যেন person থেকে বড় যেন হয়ে না ওঠে।এখানে পারসনই মুখ্য।

✅আপনার সামনে কেউ প্রতিবন্ধীকে সরাসরি প্রতিবন্ধী বললে প্রতিবাদ করুন। একজন প্রতিবন্ধীকে দেখার সাথে সাথে আপনার মনের মধ্যে সহমর্মিতায় জায়গাটির যেন প্রক্ষেপণ ঘটে।

✅চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে mental retardation, learning difficulty , 'মেন্টাল' 'অটিসটিক' শব্দগুলো ব্যবহার করার সাথে সাথে চিকিৎসার প্রতি সমস্ত আগ্রহ শেষ হয়ে যায়।কিন্তু শব্দটি একটু সহজ শব্দপুঞ্জ যেমন,আচরণগত সমস্যা , বুঝতে পারার অসুবিধা লেখা হলে কাউন্সেলিং এর জায়গাটা উন্মুক্ত থাকে। মা-বাবা উৎসাহিত হন।

✅আপনার ADHD (attention deficit hyperactivity disorder) এর শিশুকে বাইরে নিয়ে যান। বাইরের অন্যান্য মানুষকে এটা ওটা এগিয়ে দেওয়া, তাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলার মাধ্যমে তার আচরণের পরিবর্তন হবে। মনোজগতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

✅আজ যাকে আপনি ডিজেবল বলে ব্যঙ্গ করছেন আপনি যে কালকে রোড এক্সিডেন্টে তার জায়গায় পৌঁছাবেন না তার কোন ঠিক নেই। যার পরিবারে এই ধরনের মানুষ রয়েছেন তারা জানেন কষ্টের তীব্রতা। যতক্ষন আপনি এই ধরনের পরিবারের জায়গায় নিজেকে অথবা পরিবারের সদস্য এই ব্যক্তির জায়গায় নিজেকে না বসাতে পারছে ততক্ষণ এই সমস্যার সমাধান কঠিন।

✅প্রতিবন্ধীদের জন্য ভোকেশনাল ট্রেনিং রয়েছে। তাদেরকে সেই জায়গাটি দেখিয়ে দিন। এদের অনেকেই সীমাহীন প্রতিভার অধিকারী হয়। সেই প্রতিভার পরিস্ফুটনে কোন না কোন ভাবে নিয়ামক আপনি হতেই পারেন।

একজন প্রতিবন্ধীরও একটি নাম আছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা সেই নামটা ভুলে যাই ।নামের থেকে প্রতিবন্ধী শব্দটা বেশি পরিচিতি পায়। ব্যক্তিটি হারিয়ে যায় এই আঘাতময় শব্দের আড়ালে।
এদের হারিয়ে যেতে দেবেন না।

হয়তো একটা হাত আছে ।
আপনি আমি দু হাতে যে কাজ করতে পারি না, জীবনের তাড়নায় ‌এক হাতেই‌ তা করে ফেলছে তবে সক্ষমতা কার বেশি?

আমার রুমে প্রতিবন্ধীরা যেকোনো দিন যেকোনো সময় আমার সাথে দেখা করতে পারেন। আমার আর প্রতিবন্ধীর মধ্যে কোন দেওয়াল নেই।
কেউ যদি ইজিবাইক থেকে নেমে অফিস পর্যন্ত না আসতে পারেন তার সাথে আমি মাঝে মাঝে দেখাও করতে যাই।
এটা আমার কর্তব্যর মধ্যে পড়ে।

হেলেন কিলার জীবনের প্রথম ১৯ মাস সুস্থ ছিলেন তারপরে তার জীবনে নেমে আসেন শ্রবণ বাক‌ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা। জীবনের প্রথম কয়মাস সবুজ মাঠ, উজ্জ্বল আকাশ, গাছ ফুলের যে আভাস স্মৃতি পটে ধরে রেখেছিলেন সেগুলো পরবর্তী জীবনে আসা অন্ধকার পুরোটা মুছে দিতে পারেনি।
তার স্টোরি অফ মাই লাইফ তিনি বলেন ...
‘যদি আমরা কোন কিছু একবার দেখি তাহলে সেই দিনটি আমাদের এবং দিনটি যা দেখিয়েছে তাও আমাদের।’

ওদের দিনগুলো আরো ওদের করে দিতে
চলুন ওদের পাশে দাঁড়াই।

আসুন মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই ।

অবশেষে বইমেলা 🦋 ট্রেনিং এর স্ট্রেস সামলে ঢাকা শহরের অতি পরিচিত যানজট আর আমার প্রিয় ডিজেল অকটেনের ঘ্রান নিতে নিতে বইমেলা...
26/02/2023

অবশেষে বইমেলা 🦋

ট্রেনিং এর স্ট্রেস সামলে ঢাকা শহরের অতি পরিচিত যানজট আর আমার প্রিয় ডিজেল অকটেনের ঘ্রান নিতে নিতে বইমেলায় যখন পৌছালাম তখন বিধ্বস্ত প্রায় !!
মাথায় একখানা ফুলের সাজ দিয়ে কিঞ্চিত বই মেলা বই মেলা ভাব আনার ব্যর্থ প্রচেষ্টা।

এবার বইমেলায় রবীন্দ্রনাথকে ছোট্ট ছোট্ট পকেট বইয়ের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

স্টলের সাজ বরাবরের মতোই সাধ্যের মধ্যে আর্টিস্টিক করার চেষ্টা অব্যাহত…
এক একটা বইয়ের বইয়ের ঘর যেন এক বিপুলা পৃথিবীর সমারোহ। মুক্তিযুদ্ধ ,ইতিহাস ,তাজউদ্দিন,বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী থেকে হঠাৎ করে রোমান্টিক উপন্যাস তার মধ্যে আহমেদ সফা, হেলেন কিলার ... তার মধ্যে ফসলের পোকা নিধন এর উপায়, রান্নাবান্না …এক একটা স্টল থেকে বের হলে মাথাটা ঝিমঝিম করতে থাকে . পৃথিবীতে কত শত বিষয় আছে ..
জানার বোঝার পড়ার।
আমরা কেবল পাশের বাড়ির খোঁজ আর মাঝে মাঝে আদার বেপারী হয়ে জাহাজের খোঁজ নিতে ভালোবাসি।

বইমেলায় জাহান আলো স্যারকে পেয়ে আমাদের আনন্দ চতুর্গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্যারের বড় বোনের বই এবার প্রকাশিত হয়েছে।

নতুন বইয়ের ঘ্রাণ
বর্ধমান হাউজ থেকে ভেসে আসা গান ,
হাজীর বিরানীর অর্ধভোজনকারী সুবাস…

বাংলা ভাষায় মাখামাখি চারিপাশ..

তেলের সাথে আছে আতেলের সমারহ।

ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারে একটা ছোট ফ্যান সেট হলে খুব ভালো হতো। বিকাশ থেকে যে অনুদানটা চাওয়া হচ্ছে ছোট বাচ্চাদের বই কিনে দেওয়ার জন্য সেটা বুঝতে একটু কঠিন লাগলো।

এক আইলসা কুকুর দেখে লেক্সাস বিস্কুটের কথা মনে পড়ে গেল। হাত বাড়িয়ে তাকে দিলে কোন ভাবেই নিল না।আমার ভোলা ভুলি,লালি (পাড়ার কুকুর) এদের খাওয়ানোর অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু উনি কোনভাবেই আমার সাথে সখ্যতা করলেন না।নিচে ফেলে রাখলাম তাও নিলনা। একটু পরে সেই বিস্কুটের উপর জনৈক নারী কবিদের মিছিলের পদদলন দেখে বুঝলাম ,ও বিস্কুটগুলো ওর আর ভাগ্যে নেই।
মহিলারা চলে যেতে দেখলাম ঘাসের সাথে লেগে থাকা বিস্কুটের টুকরোগুলো একটু একটু করে খেয়ে ফেলছে।
খুলনায় কুকুরদের একটু হাত বাড়ালেই কাছে আসে ..
মমতা টের পায়।
ঢাকার কুকুরগুলো কি মানুষকে বিশ্বাস করতে ভয় পায়?
বুঝতে পারে কি, এ শহর সকলের প্রয়োজন। প্রিয়জন নয় । জীবিকার খাতিরে কেবল বাসা বাঁধতে আসে। ভালোবেসে আসেনা।
কে জানে?

সর্বশেষে টিএসসিতে কিঞ্চিত হাবিজাবি খাওয়া !আর শাহবাগে আধাঘন্টা ফুলের সাথে কাটানো!
আমার পছন্দের নীল অর্কিডের দেখা এবারো পেলাম না।
তাতে কি!
জীবনটা বড়ই সুন্দর .,

আমি রোগীর সাথে কথা বলতে ভালোবাসিআসলে মানুষের সাথে কথা বলতে ভালোবাসি অনেক নতুন কিছু জানতে পারি অনেক সমৃদ্ধ হই ।ডা জুয়েল ...
22/02/2023

আমি রোগীর সাথে কথা বলতে ভালোবাসি
আসলে মানুষের সাথে কথা বলতে ভালোবাসি
অনেক নতুন কিছু জানতে পারি অনেক সমৃদ্ধ হই ।

ডা জুয়েল ভাই আর ডা পার্থদা বললেন মেয়েদের নিয়ে কাজ করো। বয়:সন্ধিকালের মেয়ে থেকে শুরু করলাম। নিজে যা জানি তা থেকে একটু একটু করে কাউন্সেলিং। বর্তমানে এই বয়স সীমা বয়:সন্ধি থেকে মেনোপজ পর্যন্ত গড়িয়েছে।

কেস ১

স্কুল পড়ুয়া মেয়ে। একটা ছেলেকে বন্ধু মনে করত কিন্তু ছেলেটি তাকে গার্লফ্রেন্ড মনে করে। মেয়েটি প্রথমে এই বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিলেও যতদিন গেছে ছেলেটি বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস হয়ে যায়। মেয়েটি যখন বুঝতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে মেয়েটি ছেলেটাকে এই জায়গা থেকে কোনভাবে বের করতে পারে না উল্টো তাদের সহজ সরল নিষ্পাপ বন্ধুত্বের সময়টিকে ভিন্নভাবে নানা মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে থাকে তার এই বন্ধুটি।
মেয়েটি ছেলেটির সাথে সমস্ত ডিজিটাল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ছেলেটি বাসায় চলে আসে। বিষয়টি অভিভাবক পর্যায়ে গেলে মেয়েটিকে তার মামার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সেখানেও কোন না কোন ভাবে ছেলেটি মেয়েটিকে অন্য নাম্বার থেকে ক্রমাগত বিরক্ত করেই চলেছে।
মেয়েটি কোন থানা পুলিশ চায়না কারণ ছেলেটি তার খুব ভালো বন্ধু সেই বন্ধুত্বটি ফেরত চায়।
কিন্তু বন্ধুত্বের সাথে সাথে যে যন্ত্রনা তাকে নিতে হচ্ছে এটা সে সামলাবে কিভাবে?

কেস ২

সদ্য ডিভোর্সি বয়স ৩৫ ।
ছোট একটা চাকরি করে। ডিভোর্সের পর এই চাকরিটিই মেয়েটির অবলম্বন। প্রায়ই কলিগরা তাকে নতুন করে সংসার শুরু করতে বলে। অনেকে তার সামনেই ছেলে খুঁজতে শুরু করে দেয় কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই মন খারাপ করে বলে তুমি ডিভোর্সি তো ছেলেটাকে মানাতে পারলাম না।😢
ডিনারের আমন্ত্রণ দেয় …
সে ভদ্রভাবে না বললে বলে
সে কি আপনাকে তো একটু অন্যরকম ভেবেছিলাম..
কি ভেবেছিল!

মেয়েটি দিশা পায় না!

কেস ৩

এই ঘটনাটি একটূ অন্যরকম। স্বামী দীর্ঘদিন পরকীয়ায় আসক্ত। উদারমনা স্ত্রী সেটা মেনে নিয়েছেন একরকম। তারই মেনে নেওয়া ও স্বামীর পরিবারের পছন্দ নয়। এই স্ত্রীকে ঘর থেকে তাড়ানোর জন্য রোজ তার বিভিন্ন কাজের ভুল ধরে ধরে পরিবারের সকলে জীবন ওষ্ঠাগত করে তুলছে। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তিনি বাঁচার স্বপ্ন দেখেন …
এই ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে নিজের পায়ে দাঁড়াবেন কিভাবে?
কোনভাবেই বাপের বাড়ি ভাইদের দ্বারস্থ যে তিনি হতে পারবেন না।

এই জীবন থেকে তার মুক্তির উপায় কি?

এগুলো আমাদের অনেকবার শোনা ঘটনা।
কিন্তু যার জীবনে ঘটে যে সামলায় সে জানে..
আজ এগুলো পড়ে যারা বিভিন্ন মন্তব্য করবেন আল্লাহ না করুক তাদের হয়তো এই ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে।

আমার তিনজন রোগী ভালো আছে।
ভালো না থাকার কোনো কারণই নেই কারণ পৃথিবীতে এমন কোন সমস্যা নেই যার কোন সমাধান নেই ।
সমাধানটা শুধু খুঁজতে হয়…
মন থেকে...

আপুরা,আমাকে লিখতে পারেন মেসেঞ্জারে…

মন খুলে যে কোন সমস্যা..

ভাইয়ারা নিজের মা বোন স্ত্রীকে বলতে পারেন। পাবনায় যাওয়ার মত হওয়ার আগে পরিবারের মেয়েদের একটু খোঁজখবর নিন।

আজ একটি মেয়েকে এগিয়ে দিলেন একটি জাতিকে এগিয়ে দিলেন...

যতটুকু বিদ্যাবুদ্ধি জ্ঞান আছে সবটুকু নিয়ে..
পাশে আছি...

Address

Jessore
Khulna

Telephone

+8801557699288

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Sadia Monowara Usha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Sadia Monowara Usha:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category