Ahmod

Ahmod Doctor | Entrepreneur
Thanks for your attention.

13/02/2025

বন্ধু Wayez Bin Zahid গাইতেছে- কেন দূরে থাকো?

05/01/2025

তাহসান!
ভুলে গেছেন কি?

02/01/2025

একটা গল্প বলি শুনেন।

পিনাকীদার ভিডিও দেখতেছিলাম - ডাক্তাররা কিভাবে রোগীদেরকে শুধু অসুখআক্রান্ত হিসাবে না দেখে একজন সামাজিক মানুষ ও রোগী হিসাবে দেখবে- এই দেখতে না পারার কুফল বলতেছিলেন উনি- ডাক্তার আর রোগীর মধ্যে এক বিশাল গ্যাপ তৈরী হইছে অলরেডি- এর ফলাফল কিছুদিন পরপর রোগী ডাক্তার ফাডাফাডি!

আমার একটা ব্যাক্তিগত স্মৃতির কথা মনে হলো।
তখন ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। সাপ্তাহিক প্রেজেন্টেশান এ গাইনির একটা প্রেজেন্টেশান এ উপস্থিত ছিলাম। কি প্রেজেন্টেশান ছিলো অতো মনে নাই। আবার সেই ফিফথ ইয়ারে যে সব বুঝার জন্য যাইতাম - ব্যাপারটা এমন ও না। এমনিই যাইতাম-
বসে থেকে একটা কথা শুনে লাফ দিয়ে উঠলাম।
চিকিৎসা নিয়ে যে আলোচনা- ভালো কি খারাপ হইতেছে - এটা ভালো না বুঝলেও - একটা ভয়ানক হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশান এর আলাপ শুনে ফেললাম- এবং সেটা যে কোনভাবেই একজন ডাক্তারের বলার কথা না সেটাও বুঝে ফেললাম। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম- হল ভর্তি মানুষের কেউ দ্বিমত করলো না। যেখানে কতোই তো প্রফেসর লেভেলের মানুষ ছিলেন। কতো টপিকেই তো তারা রেগুলার দ্বিমত করেন।
এইবার আসি সেই আলাপে- আমাদের তৎকালীন ভাইস প্রিন্সিপাল বললেন, সাজেস্ট করলেন আরকি- যে গরীব রোগী অশিক্ষিত। বুঝে কম। ওদের কাছে শোনার কি দরকার? দুটা বাচ্চার পর টিউব কেটে দিলেই তো হয়।
কিভাবে তিনি এই সাজেশান করলেন কে জানে!

মানে একজন মা আসলো বাচ্চা জন্ম দিতে। কম শিক্ষিত মা। বাসায় গেলো। হয়তো জানলোও না তার টিউব কেটে দেওয়ার কারনে তার অজান্তেই সে আর বাচ্চা নিতে পারবে না। কি করুন! আমি বলছি না যে গাইনি ম্যাডামরা এমন করেন। বরং উল্টাটাই দেখেছি৷ গাইনি ডিপার্টমেন্ট আমার দেখা সবচেয়ে কেয়ারিং ডিপার্টমেন্ট রোগীদের ব্যাপারে।

আমাদের ডাক্তারদের অনেক জার্নি বাকি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জনগনের প্রতি দরদি করে তুলতে।
এই শীতের ভরা সকালে এই আলাপ মনে পড়লো।

এখন সংস্কারের নানা আয়োজন চলতেছে। অনেক দূর পর্যন্ত এই পচন ধরা। এইসব মোকাবেলা করা হবে কিভাবে কে জানে!

29/12/2024

২০২৪- সবচেয়ে বড় অর্জন
নিজের চোখে দেখা ফ্যাসিস্টের পতন-
আর কোন অর্জন দরকার নাই!

28/12/2024

আজকে ফাইনাল প্রফের ভাইভাতে বেল বাজাইতে বসছি। সার্জারি। চার মিনিট পরপর দুইটা বেল বাজানো। ভাইভা শেষ।

আজকে বসে মনে হইলো- কতোদ্রুত শেষ হয় ভাইভা৷ অথচ নিজে যখন দিছি এক্সাম- মনে হইতো অনন্তকাল বইসা আছি।
স্যাররা প্রশ্ন করে মুখের দিকে তাকায়ে আছেন। তারা চুপ-কারন প্রশ্ন করা শেষ। আমি চুপ কারণ- আমার পেটে বোমা মেরেও আমি একটা ওয়ার্ড বের করতে পারছি না। আহা পোর নাবিল!

পেছনে বসে থেকে দেখলাম- কয়েকজন পারছে না, সহজ প্রশ্ন। পেছন থেকে মনে হচ্ছে এতো সহজ পারে না! আহারে!

বলতে বলতে আমি দেখি আমি প্রফের ভাইভার টেবিলে বসে আছি- সহজ প্রশ্ন পারছি না। আর নিজেকে বলছি - ছিহ নাবিল! এতো সহজ ও পারো না! ছিহ..

23/12/2024

আজকে ওটিতে ফোড়া কাটতেছিলাম এক ব্যাটার। সে ব্যাথা পেয়ে চিৎকার দিলো - "ওহ ড্যাম ম্যান!"
ইউনিক এক্সপ্রেশান অবশ্যই। ব্যাথা মানুষের মধ্যকার সব ইউনিকনেস বের করে নিয়ে আসে। ইউনিক ওয়ে অব এক্সপ্রেশান থেকে বিখ্যাত সব গল্প উপন্যাস আরো কতো কি! হাহা!

21/12/2024

আজ দীর্ঘতম রাত।
হস্পিটালের গেটে যখন নামলাম তখন রাত ২ টা বেজে ৩১ মিনিট।
হস্পিটালের গেটের দোকানগুলা তরকারি রাধা শুরু করেছে নানা রকমের। সকালের প্রস্তুতি নাকি দীর্ঘতম রাতে পথ হারিয়ে আমার মতো অনেকেই খাওয়ার জন্য ঢুকবে?

একটা এম্বুলেন্স সাই করে ঢুকে গেল সাইরেন বাজাতে বাজাতে। জীবন মরন খেলা চলছে ভেতরে নিশ্চয়।
ইমার্জেন্সির সামনে কামাল মামার দোকানে দাড়ালাম৷ তিনি বিক্রি করেন সর্বোচ্চ স্বাদের খাবার। খিচুড়ি আর মুরগি দিতে বললাম। মামা খিচুড়ির সাথে গরু দিয়ে বললেন- সলিড মাংস৷ ৫০ টাকা পরে দিয়েন। শীতের কুয়াশা চারিদিকে ছেয়ে ফেলেছে। তার মধ্যে মামার হাসিহাসি মুখ থেকে খাবার নিতে নিতে দেখলাম এক অপূর্ব দৃশ্য।

এক তরুনী! কতো বয়স কে জানে। একটা টুলের উপর চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছে। তার পায়ের কাছে এক তরুন বসে খুব মনোযোগ দিয়ে আগুন ধরাচ্ছে। সেই আগুনের আলোতে দেবীর মতো ফুটতে থাকা তরুনী তার ফোনে বাজিয়ে চলছে একের পর এক মন খারাপ করা গান৷ শব্দ বুঝতে পারছি না ঠিক। কিন্তু সুর শুনেই মনে হচ্ছে গায়ক এই বুঝি কেদে দিবে৷ সাথে আগুনে জ্বলতে থাকা তরুনীও। দীর্ঘতম রাতে দুক্ষে ধরেছে তাকে। বিষাদ উদযাপনে পায়ের কাছে আগুনের কুন্ডুলি নিয়ে বসে থাকার জন্য এর চেয়ে ভালো রাত আর হতে পারে না।

আরেকটু এগোলাম - রিডিং রুমের দোতালা থেকে কন্ঠ ভেসে আসছে। শীতের রাত। এক বড় ভাই খুব দরকষাকষি করছেন কারোর সাথে। কুয়াশার সাথে মিশে সেই দর কষাকষি জমে পুরা ক্ষীর। আমাকে তাকাতে দেখে হাত নাড়লেন ভাই। দীর্ঘতম শীতের রাতে মনদেওয়া নেওয়ার এই মধুরতম মুহুর্তে আমাকে সাক্ষী মানলেন ভাই। আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে পা বাড়ালাম।

হলের গেটের অল্প দূরে আর্মি ক্যাম্প। তারা তিনজন পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু কাছাকাছি দাঁড়িয়ে গল্প করছে। দেখে মনে হচ্ছে পুলিশ বা আনসার। আর্মি সটান দাঁড়িয়ে থাকবে সীনা টান করে - এই বোধ ভেংগে যাচ্ছে আমরা। দীর্ঘতম রাত - তিনজন সেনা কর্মকর্তার সীনাকে টেনে বাকিয়ে দিয়েছে বুঝি!

আমি আর সাহস পাইলাম না দীর্ঘতম রাতে মানবসংস্পর্শহীন হাটাহাটি করতে। এই রাত আমার সীনাকে যদি ধনুকের মতো বাকিয়ে দেয়, তবে সেই বাকানো আমিত্ব নিয়ে আমি কোথায় যাব?

একুশ ডিসেম্বর রাত
জুলাই ২৪ হল,
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ

24/08/2024

স্বাধীন দেশে পাখিরা উড়ছে এমনই তীব্রভাবে!

21/08/2024

দিল্লি না ঢাকা?
ঢাকা ঢাকা..

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ

নতুন সময়..
14/04/2024

নতুন সময়..

ঈদ মোবারক ঈদ মোবারকঈদ মোবারক..
11/04/2024

ঈদ মোবারক
ঈদ মোবারক
ঈদ মোবারক..

এই স্বল্পপ্রান মানুষের দেশে এমন মানুষও জন্মে তাহলে।অভিনন্দন Imamur Rahman ভাই.
03/04/2024

এই স্বল্পপ্রান মানুষের দেশে এমন মানুষও জন্মে তাহলে।
অভিনন্দন Imamur Rahman ভাই.

Address

Magura
Khulna

Telephone

+8801701321700

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ahmod posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Ahmod:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram