22/09/2024
⋇⋇⨌⫸ প্রবল শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় "ঈশান" ⫷⨌⋇⋇
ধেঁয়ে আসছে দেশের দিকে প্রবল শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ঈশান এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বেশ শক্তিসম্পন্ন বৃষ্টি বলয়।
এই বৃষ্টি বলয় টি একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বজ্রপাত যুক্ত বৃষ্টিবলয়, যা দেশের উত্তর অঞ্চলে মারাক্তক বজ্রপাত ঘটাতে পারে।
[নোট: এই আপডেটটি মুলত সম্ভ্যাব্য আবহাওয়া প্যারামিটার সমুহ বিশ্লেষনের উপর ভিত্তি করে সতর্কতামুলক একটি পূর্বাভাস। এবং এই পূর্বাভাস প্রাকৃতিক কারণে যেকোনো সময় পরিবর্তনযোগ্য। অবশ্যই যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এর তথ্য অনুসরণ করুন।]
এটি চলতি বছরের ১৩ তম বৃষ্টিবলয়,ও এই বছরের পঞ্চম মৌসূমী বৃষ্টিবলয়। এই বৃষ্টি বলয়ের প্রথমদিকে দেশের পূর্ব, দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল উপকূলীয় অঞ্চল ও পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সক্রিয় হতে পারে। প্রথম দিকে বেশি সক্রিয় দক্ষিনাঞ্চলে এবং শেষের দিকে বেশি সক্রিয় উত্তরাঞ্চলে। ২৪ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সক্রিয়তা বিক্ষিপ্ত(ছড়িয়ে ছিটিয়ে/এলোমেলো) প্রকৃতির।
সর্বাধিক সক্রিয়: রংপুর বিভাগ ও সিলেট বিভাগ।
অধিক সক্রিয়ঃ রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ।
মাঝারি সক্রিয় :নেই
কম সক্রিয়ঃ নেই
নাম : প্রবল বৃষ্টিবলয় ঈশান
টাইপ : পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টিবলয়। মানে এই বৃষ্টি বলয়ে সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে ইনশাআল্লাহ।
কাভারেজ : সমগ্র বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান ও ভারতের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা।
ধরন : মৌসূমী বৃষ্টিবলয়।
সময়কাল : ২৩ শে সেপ্টেম্বর টু ৩০ শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ সম্ভাব্য।
সর্বাধিক সক্রিয় : ২৫ টু ৩০ শে সেপ্টেম্বর।
কালবৈশাখী : নেই
বজ্রপাত : অপেক্ষাকৃত তীব্র
বন্যা : ভারিবৃষ্টি এর কারনে উত্তর অঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা তৈরী হতে পারে।
একটানা বর্ষন : আছে।
সিস্টেম : মনসুন অক্ষরেখা যুক্ত সার্কুলেশন।
ঝড় : এই বৃষ্টি বলয়ে কোন উল্লেখযোগ্য ঝড়ের সম্ভাবনা নেই ইনশাআল্লাহ।
সাগর : বেশিরভাগ সময়েই কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।
নোট : বৃষ্টিবলয় ঈশান চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় এলাকায় বেশিরভাগ সময়ই আকাশ মেঘাছন্ন থাকতে পারে। এবং উক্ত এলাকার অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতে পারে একটানা দীর্ঘস্থায়ী। যদিও মাঝেমধ্যে বিরতি নিতে পারে।
বিবরন : এই বৃষ্টিবলয় আগামী ২৩ শে সেপ্টেম্বর সকালে চট্টগ্রাম বিভাগ ও উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে এবং আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রংপুর হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।
বৃষ্টি বলয় ঈশান চালু হবার পরপরই ২৫ তারিখ হতে তাপপ্রবাহ গুমোট দেশ ত্যাগ করবে ইনশাআল্লাহ্। তবে ২৩-২৪ তারিখ ভ্যাপসা গরম অব্যাহত থাকতে পারে।
ঈশান চলাকালীন সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর অধিকাংশ সময়েই বায়ুচাপের তারতম্যের কারনে কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে। ঈশান চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি তেমন পাওয়া যাবেনা ইনশাআল্লাহ।
মেঘের অভিমুখ: অধিকাংশ এলাকায় দক্ষিণ পশ্চিম হতে উত্তর পূর্ব দিকে ও পরবর্তী তে পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে মেঘের গতিপথ থাকতে পারে।
বন্যার সতর্কতাঃ এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন সময়ে সিলেট, রংপুর, খুলনা, বরিশাল বিভাগের যেসব এলাকা ভারী বৃষ্টিতে সহসাই প্লাবিত হয় সেইসব নিচু এলাকায় সাময়িক বন্যা/জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।
বজ্রপাতঃ এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের অধিকাংশ এলাকায় তীব্র বজ্রপাত হতে পারে।
আসুন একনজরে দেখেনেই প্রবল বলয় ঈশান চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ও বৃষ্টি বলয়ের ৮ দিনে কোন বিভাগে গড়ে কত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
ঢাকা ১৮০-২২০ মিলিমিটার, গড়ে ৪দিন
খুলনা ১৮০-২৫০ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন
বরিশাল ২০০-৩০০ মিলিমিটার গড়ে ৬ দিন
সিলেট ৩০০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৪/৫ দিন
ময়মনসিংহ ২৫০-৩০০ মিলিমিটার গড়ে ৪/৫ দিন
রাজশাহী ২০০-২৫০ মিলিমিটার গড়ে ৩/৪ দিন
রংপুর ৩০০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন
চট্টগ্রাম ১৫০-২৫০ মিলিমিটার গড়ে ৩/৪ দিন।
আসুন একনজরে দেখে নেই, প্রবল বৃষ্টি বলয় ঈশান চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে।
জেলার নাম। বৃষ্টির পরিমান (মিমি)
সিলেট। ৩৫০+
সুনামগঞ্জ। ৩৬০+
হবিগঞ্জ। ২৮০+
মৌলভীবাজার। ২৬০+
রংপুর, ৩৪০+
দিনাজপুর, ৩৩০+
ঠাকুরগাঁও। ৩০০+
পঞ্চগড় ৪০০+
নীলফামারী ৩৫০+
লালমনীরহাট। ৩৫০+
কুড়িগ্রাম। ৩৫০+
গাইবান্ধা ২৯০+
জয়পুরহাট। ২৮০+
নওগাঁ ২৭০+
বগুড়া ২৫০+
চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ২২০+
রাজশাহী ২৩০+
নাটোর। ২১০+
সিরাজগঞ্জ। ২২০+
পাবনা ২০০+
খুলনা(উত্তর) ২০০+
খুলনা (দক্ষিন) ২৮০+
সাতক্ষীরা (উত্তর) ২০০+
সাতক্ষীরা(দক্ষিণ) ২৮০+
বাগেরহাট(উত্তর) ২২০+
বাগেরহাট(দক্ষিন) ২৯০+
যশোর, ২০০+
নড়াইল। ২১০+
মাগুরা ২০০+
ঝিনাইদহ। ২৩০+
চুয়াডাঙ্গা ২৪০+
মেহেরপুর। ২১০+
কুষ্টিয়া ১৯০+
বরিশাল, ২৫০+
পিরোজপুর। ২৬০+
ঝালকাঠি ৩০০+
পটুয়াখালী ৩০০+
বরগুনা ৩০০+
ভোলা ৩০০+
চট্টগ্রাম, ২০০+
ফেনী ১৮০+
লক্ষ্মীপুর ২০০+
চাঁদপুর। ১৮০+
কুমিল্লা দক্ষিণ ১৯০+
কুমিল্লা উত্তর ১৬০+
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১৬০+
খাগড়াছড়ি ১৩০+
রাঙ্গামাটি ১৩০+
বান্দরবান। ১৩০+
কক্সবাজার। ২০০+
নোয়াখালী, ১৯০+
ঢাকা ১৮০+
গোপালগঞ্জ। ২২০+
মাদারীপুর। ১৭০+
শরিয়তপুর ১৮০+
ফরিদপুর। ১৭০+
রাজবাড়ী। ১৬০+
মানিকগঞ্জ। ১৮০+
মুন্সীগঞ্জ। ১৮০+
নারায়ণগঞ্জ। ১৯০+
নরসিংদী ২২০+
গাজীপুর। ২০০+
টাঙ্গাইল। ২০০+
কিশোরগঞ্জ। ২৫০+
ময়মনসিংহ। ২৬০+
জামালপুর। ৩০০+
শেরপুর। ২৮০+
নেত্রকোনা ৩১০+
কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) ৩০০+ মিলিমিটার।
২৪ পরগনা ৩০০+
*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে।
নোট : প্রাকৃতিক কারনে প্রবল বৃষ্টি বলয় ঈশান এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে।
পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team – BWOT
Graphic: BWOT।
[Copyright : বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করে বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন]
*DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।
এবং এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা তাদের পূর্বাভাস অনুসরণ করুন।
বৃষ্টি বলয় ঈশান নামকরণ : BWOT Weather,
ঈশাদ প্রথম নামকরণ করা হয় আগস্ট ২০১৪ সালে।
ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team- BWOT
আপডেট : ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, রাত ১০:১০ টা