Not Doctors Assistant But Seeking Our True Identity

Not Doctors Assistant But Seeking Our True Identity Hello! We are D.M.F Graduates Associate Clinicians. Working in the Health Departments as a S.A.C.M.O

25/08/2025
24/08/2025

MBBS/BDS ডাক্তার ও BSc ইঞ্জিনিয়ারদের যৌথ বৈঠকে DMF ও Diploma Engineer দের বিরুদ্ধে কঠোর ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

24/08/2025

🔹 উপসহকারী প্রকৌশলী – পলিটেকনিক ডিপ্লোমা (ইঞ্জিনিয়ারিং) সনদধারী
🔹 উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা – কৃষি ডিপ্লোমা সনদধারী
🔹 উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা – চিকিৎসা ক্ষেত্রে মেডিকেল ডিপ্লোমা (DMF) সনদধারী

তিন ক্ষেত্রেই ডিপ্লোমা সনদ-কে ভিত্তি করে সরকার নিয়োগ দিয়ে থাকে। সুতরাং অভিজ্ঞতা, জ্যেষ্ঠতা ও কর্মদক্ষতার আলোকে গ্রেড উন্নয়ন ও পদোন্নতির সুযোগ তিন শ্রেণির কর্মকর্তার জন্য সমভাবে থাকা উচিত।

👉 বাস্তবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও কৃষি ক্যাডারে ধাপে ধাপে পদোন্নতির ব্যবস্থা বিদ্যমান। অথচ স্বাস্থ্য খাতে “উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা” বা DMF চিকিৎসকদের পদোন্নতি কাঠামো কার্যত অনুপস্থিত বা অস্বচ্ছ, যা চরম বৈষম্য নির্দেশ করে।

📢 অতএব, যেহেতু একই শিক্ষাগত স্তর (ডিপ্লোমা) থেকে সবাই যোগদান করে, তাই ন্যায্য পদোন্নতি কাঠামো প্রণয়ন করে তিন শ্রেণির কর্মকর্তার সমঅধিকার নিশ্চিত করা জরুরি।

"ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার" একটি গ্যাজেটভুক্ত টাইটেল, আসলে এই এলিট শ্রেনীর ডিগ্রিধারী ডাক্তার বলো আর ইঞ্জিনিয়ার বলো সবগুলা জ্ঞ...
24/08/2025

"ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার" একটি গ্যাজেটভুক্ত টাইটেল, আসলে এই এলিট শ্রেনীর ডিগ্রিধারী ডাক্তার বলো আর ইঞ্জিনিয়ার বলো সবগুলা জ্ঞানপাপী!!!

পুথিগত শিক্ষাই সব সময় প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে কার্যকর না!!!

24/08/2025

1️⃣ তাদের দাবি: দুনিয়ায় এমবিবিএস ছাড়া ডাক্তার নাই।
👉 জবাব: বহু দেশে ৩ বছর মেয়াদী ডাক্তার/Junior/Assistant Doctor বিদ্যমান এবং তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিবন্ধিত।

2️⃣ তাদের দাবি: এমবিবিএস ছাড়া কেউ লিগ্যালি মেডিসিন প্র্যাকটিস করতে পারে না।

👉 জবাব: চীন, নেপাল, আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্তত ৬০টির অধিক দেশে – সবখানেই mid-level medical practitioner আইনগতভাবে প্র্যাকটিস করে।

3️⃣ তাদের দাবি: তোমরা “Medical Practitioner” না।
👉 জবাব: BMDC গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রেজিস্টার্ড সকলেই মেডিকেল প্রাক্টিশনার, এবং WHO রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা Medical Practitioner।

4️⃣ তাদের দাবি: WHO আমাদের ভুয়া বলেছে।
👉 জবাব: WHO ২০১৩, ২০১৭ সালের রিপোর্টে আমাদের doctor হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, ভুয়া বলেনি।

5️⃣ তাদের দাবি: আমরা “চিকিৎসক সহকারী” (assistant), তাই চিকিৎসা দেওয়া উচিৎ না।

👉 জবাব: ২০ টি দেশে Physician Assistant, টাইটেলে – চিকিৎসা দেয়। নাম Assistant হলেও ভূমিকা প্রায় Doctor Equivalent লেভেলে স্বীকৃত বা কাছাকাছি ।

ওরা বলে: “হাইকোর্ট ডাক্তার লিখতে মানা করেছে।”
👉 জবাব: হাইকোর্টের রায়টা MBBS লবির চাপেই বিকৃতভাবে চালানো হচ্ছে। আদালত চিকিৎসা দেওয়ায় নিষেধ করেনি, শুধু টাইটেল কনফিউশন যেন না হয় সেটা বলেছে।

🔑 সারকথা:
👉 তোমরা কিছু আতেল এমবিবিএসরা ইতিহাস জানো না, বিশ্ব স্বাস্থ্য কাঠামো বোঝো না।
👉 LMF/MMF/DMF = এরা ছিলো রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিকল্পিত প্রাথমিক চিকিৎসক।
👉 WHO, FAIMER, The Lancet Commission – সবাই mid-level doctors/clinicians কে চিকিৎসক বলেছে।

“তাহলে প্রশ্ন—
👉 রাষ্ট্র যখন আমাকে ডাক্তার বানাল,
👉 WHO যখন আমাকে Clinician ডাক্তার বলল,
👉 BMDC আইন যখন আমাকে চিকিৎসা পেশাজীবি বলল—
তাহলে আদালতে মব সৃষ্টি করেছিলো কারা? 🤔”

23/08/2025

ডিপ্লোমা ডেন্টিস্ট
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ
ডিপ্লোমা চিকিৎসক

ঐক্য গড়ে তোলো যার যার সেক্টরের কুচক্রী দের বিরুদ্ধে এখনো চুপচাপ বসে থাকলে ধ্বংস অনিবার্য

23/08/2025

🌟✨ One Cadre, One Vision ✨🌟

🌍 GACOPA 2025 – বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন 🌍
🗓️ তারিখ: ২৭–৩০ আগস্ট ২০২৫
📆 দিন: বুধবার থেকে শনিবার
📍 স্থান: Conference Aston, Aston University, Birmingham, England

💡 কেন এই সম্মেলন বিশেষ?
আগামী ২৭ আগস্ট ২০২৫ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে Clinical Officers, Medical Assistants, Physician Associates এবং সমতুল্য স্বাস্থ্যকর্মীরা একত্রিত হবেন এক অভূতপূর্ব সম্মেলনে। এটি স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ গঠনের এক অনন্য সুযোগ!

🎯 সম্মেলনের হাইলাইটস:
✨ বৈশ্বিক আলোচনা: বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্যকর্মী ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সংলাপ
✨ গবেষণা ও উদ্ভাবন: স্বাস্থ্যসেবা নীতি ও প্রযুক্তির সর্বশেষ উপস্থাপনা
✨ নেটওয়ার্কিং: আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সংযোগ গড়ার সুবর্ণ সুযোগ
✨ ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ: সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত অঙ্গীকার

💡 Clinical Practitioners-এর মূল লক্ষ্য:
🌱 বৈশ্বিক প্রশিক্ষণ কাঠামো: রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নীতি ও কমিউনিটি হেলথ ম্যানেজমেন্টের জন্য আন্তর্জাতিক মানের কমন প্রশিক্ষণ কাঠামো তৈরি করা। এটি নিশ্চিত করবে প্রতিটি Clinical Practitioner একই মানদণ্ডে দক্ষতা অর্জন করবে এবং স্বাধীনভাবে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে।

🌟 পেশাগত স্বীকৃতি: Clinical Practitionersকে স্বতন্ত্র পেশাগত ক্যাডার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভূমিকা, দায়িত্ব এবং প্রাকটিসের সীমা আইনগতভাবে সুনির্দিষ্ট করা হবে। এর ফলে পেশাগত স্বচ্ছতা বজায় থাকবে এবং বৈশ্বিক স্বীকৃতির মাধ্যমে তাদের কাজের মান ও প্রভাব আরও শক্তিশালী হবে।

🔗 আরও জানতে ভিজিট করুন: www.gacopa.org

23/08/2025
বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা: বৈশ্বিক মানদণ্ডের আলোকে একটি সমালোচনামূলক মূল্যায়ন কার্যনির্বাহী সারসংক্ষেপ...
22/08/2025

বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা: বৈশ্বিক মানদণ্ডের আলোকে একটি সমালোচনামূলক মূল্যায়ন কার্যনির্বাহী সারসংক্ষেপ বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবার প্রসারে, বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিকের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে, একটি সমালোচনামূলক মূল্যায়নে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বৈশ্বিক সর্বোত্তম অনুশীলন থেকে উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি দেখা যায়, বিশেষ করে এর স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ ও ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে। এই প্রতিবেদনটি গ্রামীণ বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার বর্তমান কাঠামো পরীক্ষা করে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মধ্যম-স্তরের স্বাস্থ্যকর্মী (MLHWs) এবং কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী (CHWs) সংক্রান্ত নির্দেশিকাগুলির সাথে এর তুলনা করে।

এটি একটি পদ্ধতিগত বৈপরীত্য তুলে ধরে যেখানে উচ্চ প্রশিক্ষিত, জাতীয়ভাবে নিবন্ধিত চিকিৎসা পেশাদারদের কম ব্যবহার করা হচ্ছে, যখন ন্যূনতম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তাদের আওতার বাইরে ক্লিনিকাল দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, যা রোগীর নিরাপত্তা, সেবার মান এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামগ্রিক কার্যকারিতার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।

প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কৌশলকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সারিবদ্ধ করার জন্য নীতিগত পুনর্বিন্যাসের জরুরি প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়, যাতে সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ, কার্যকর এবং টেকসই স্বাস্থ্যসেবার সমতা নিশ্চিত করা যায়।

১. ভূমিকা: সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভিত্তিপ্রস্তরপ্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা (Primary Healthcare - PHC) সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা (Universal Health Coverage - UHC) অর্জনের মূল ভিত্তি এবং স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goals - SDGs) অর্জনের একটি অপরিহার্য স্তম্ভ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দ্বারা সংজ্ঞায়িত PHC হলো স্বাস্থ্যের প্রতি একটি সামগ্রিক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, যার লক্ষ্য হলো সর্বোচ্চ সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং এর সমতাপূর্ণ বিতরণ [১]। এটি স্বাস্থ্য প্রচার ও রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং উপশমকারী যত্ন পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরের পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করে, যা একজন ব্যক্তির জীবনব্যাপী স্বাস্থ্যের বেশিরভাগ চাহিদা পূরণ করে।নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে, একটি শক্তিশালী PHC ব্যবস্থা বিশেষত প্রচলিত স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, স্বাস্থ্য বৈষম্য হ্রাস এবং সকলের জন্য, বিশেষ করে গ্রামীণ ও সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা সহজলভ্য করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি PHC ব্যবস্থার কার্যকারিতা একটি সক্ষম স্বাস্থ্যকর্মীর প্রাপ্যতা, বিতরণ এবং যথাযথ ব্যবহারের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। স্বাস্থ্য পেশাদারদের বিভিন্ন ক্যাডার নিয়ে গঠিত এই কর্মীবাহিনী মানসম্মত সেবা প্রদান, সম্প্রদায়ের আস্থা তৈরি এবং জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বাংলাদেশ, একটি বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার দেশ হিসেবে, তার জাতীয় উন্নয়ন এজেন্ডায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব দীর্ঘকাল ধরে স্বীকার করে আসছে। স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, যার লক্ষ্য গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া।

যদিও এই প্রচেষ্টাগুলি নিঃসন্দেহে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সূচকের উন্নতিতে অবদান রেখেছে, তবে এই কাঠামোর মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী কৌশলটির গভীরতর পরীক্ষা প্রয়োজন। এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি সমালোচনামূলক মূল্যায়ন প্রদানের চেষ্টা করে, বিশেষত এর মানবসম্পদকে কেন্দ্র করে, যা WHO দ্বারা প্রকাশিত প্রতিষ্ঠিত বৈশ্বিক মানদণ্ড এবং সর্বোত্তম অনুশীলনের বিরুদ্ধে যাচাই করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মী ক্যাডারের ভূমিকা, প্রশিক্ষণ এবং নিয়োগ বিশ্লেষণ করে, এই প্রতিবেদনটির লক্ষ্য হলো নীতিগত পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা, যাতে সারা দেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলির নিরাপত্তা, গুণমান এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।

২. বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার নাজুক অবস্থা: পরিসংখ্যান ও চ্যালেঞ্জবাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করলেও, কিছু মৌলিক দুর্বলতা এবং কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ এখনও বিদ্যমান, যা সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের পথে বড় বাধা। এই চ্যালেঞ্জগুলো মূলত স্বাস্থ্যসেবার অর্থায়ন, মানবসম্পদ এবং সেবার গুণগত মানের সাথে সম্পর্কিত।

২.১. স্বাস্থ্যসেবার অর্থায়ন: পকেট থেকে ব্যয় বৃদ্ধির প্রবণতাস্বাস্থ্যসেবার অর্থায়নে 'পকেট থেকে ব্যয়' (Out-of-Pocket Expenditure - OOP) একটি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার অন্যতম প্রধান সূচক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মোট ব্যয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সরাসরি জনগণের পকেট থেকে আসে [৮]। এই উচ্চ OOP ব্যয় দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ থেকে বিরত রাখে অথবা তাদের দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেয়।

• উচ্চ OOP অনুপাত: বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মোট ব্যয়ের প্রায় ৬৮% আসে জনগণের পকেট থেকে [৯]। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ এবং WHO-এর প্রস্তাবিত ১৫-২০% এর আদর্শ মানদণ্ডের চেয়ে অনেক বেশি। এই উচ্চ অনুপাত নির্দেশ করে যে, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা জনগণের আর্থিক সুরক্ষা প্রদানে যথেষ্ট কার্যকর নয়।

• দারিদ্র্য বৃদ্ধি: গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ স্বাস্থ্য ব্যয় অনেক পরিবারকে দারিদ্র্যসীমার নিচে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে, অনেক পরিবারকে তাদের সঞ্চয় ভেঙে বা ঋণ করে চিকিৎসা করাতে হয়, যা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরও নাজুক করে তোলে [১০]।

২.২. মানবসম্পদ সংকট: চিকিৎসক-জনসংখ্যা অনুপাত ও অসম বন্টনস্বাস্থ্যসেবার মান এবং সহজলভ্যতা সরাসরি স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যার উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে চিকিৎসক-জনসংখ্যা অনুপাত এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাবিত মানদণ্ডের চেয়ে অনেক কম, যা স্বাস্থ্যখাতে মানবসম্পদের তীব্র সংকট নির্দেশ করে।

• স্বল্প চিকিৎসক সংখ্যা: WHO-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি ১০,০০০ মানুষের জন্য চিকিৎসকের সংখ্যা মাত্র ৫.২৬ জন [১১]। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন এবং বৈশ্বিক গড় (প্রায় ১৫-২০ জন) থেকে অনেক কম। এই স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসককে বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, যা তাদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং সেবার মানকে প্রভাবিত করে।

• অসম বন্টন: বিদ্যমান স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসকের বন্টনও অত্যন্ত অসম। বেশিরভাগ চিকিৎসক শহরাঞ্চলে, বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে কেন্দ্রীভূত। গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকের তীব্র সংকট বিদ্যমান, যেখানে দেশের সিংহভাগ মানুষ বসবাস করে। এই অসম বন্টন গ্রামীণ জনগণের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিকে আরও কঠিন করে তোলে [১২]।

• নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি: চিকিৎসকের পাশাপাশি নার্স, টেকনিশিয়ান এবং অন্যান্য সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মীরও তীব্র ঘাটতি রয়েছে। নার্স-চিকিৎসক অনুপাতও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের চেয়ে অনেক কম, যা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে একটি সমন্বিত পদ্ধতির অভাব নির্দেশ করে [১৩]।

২.৩. সেবার গুণগত মান ও জবাবদিহিতাসংখ্যাগত ঘাটতির পাশাপাশি সেবার গুণগত মান এবং জবাবদিহিতার অভাবও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

• ভুল চিকিৎসা ও অপচিকিৎসা: প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতার কারণে, গ্রামীণ ও শহরাঞ্চল উভয় স্থানেই ভুল চিকিৎসা এবং অপচিকিৎসার ঘটনা প্রায়শই ঘটে। বিশেষ করে স্বল্প-প্রশিক্ষিত বা অননুমোদিত ব্যক্তিদের দ্বারা চিকিৎসা প্রদান রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।

• অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR): অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার এবং অপ্রয়োজনীয় প্রেসক্রিপশন বাংলাদেশে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (AMR) ভয়াবহ বিস্তার ঘটাচ্ছে [১৪]। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি নীরব মহামারী, যা সাধারণ সংক্রমণকেও নিরাময় অযোগ্য করে তুলছে।

• দুর্বল রেফারেল ব্যবস্থা: প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে উচ্চতর হাসপাতালে রোগী রেফারেলের ক্ষেত্রে একটি সুসংগঠিত এবং কার্যকর ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এর ফলে অনেক রোগী অপ্রয়োজনে উচ্চতর হাসপাতালে ভিড় করে, যা সেবার মান এবং হাসপাতালের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।এই পরিসংখ্যান এবং চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্টতই নির্দেশ করে যে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা একটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে, যেখানে কাঠামোগত সংস্কার এবং নীতিগত পুনর্বিন্যাস অপরিহার্য।

৩. ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিবর্তনবাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রতি অঙ্গীকার এর জন্মলগ্ন থেকেই বিদ্যমান, যা মূলত এর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার অপরিহার্যতার দ্বারা চালিত। প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকের তীব্র ঘাটতি উপলব্ধি করে, সরকার ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যম-স্তরের চিকিৎসা পেশাদারদের একটি ক্যাডার বিকাশের জন্য একটি কৌশলগত উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই দূরদর্শী পদ্ধতির লক্ষ্য ছিল উচ্চ বিশেষায়িত মেডিকেল ডাক্তার এবং সম্প্রদায়ের মৌলিক স্বাস্থ্য চাহিদার মধ্যে ব্যবধান পূরণ করা, যাতে তৃণমূল পর্যায়ে সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়।

৩.১. মধ্যম-স্তরের চিকিৎসা পেশাদারদের উদ্ভব (ডিএমএফ)১৯৭৬ সালে, এই মধ্যম-স্তরের চিকিৎসা পেশাদারদের প্রশিক্ষণের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে একটি বিশেষ ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম চালু করা হয়। সাধারণ চিকিৎসা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, মাইনর সার্জারি এবং জনস্বাস্থ্যে ব্যাপক জ্ঞান ও ব্যবহারিক দক্ষতা দিয়ে সজ্জিত করার জন্য পাঠ্যক্রমটি সতর্কতার সাথে ডিজাইন করা হয়েছিল। গ্রামীণ পরিবেশে প্রচলিত সাধারণ অসুস্থতাগুলির সম্প্রদায়ভিত্তিক চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং ব্যবস্থাপনার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।

এই পেশাদারদের ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের মেরুদণ্ড হিসাবে কাজ করার কথা ছিল, যারা সীমিত পরিসরে স্বাধীনভাবে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে উচ্চতর সুবিধাগুলিতে রোগীদের যথাযথ রেফারেল করতে সক্ষম। তাদের প্রশিক্ষণ, যা সাধারণত চার বছরের একাডেমিক অধ্যয়ন এবং তারপরে ব্যবহারিক ইন্টার্নশিপের একটি সময়কাল নিয়ে গঠিত, তাদের ক্লিনিকাল অনুশীলনে একটি শক্তিশালী ভিত্তি এবং গ্রামীণ বাংলাদেশে স্বাস্থ্যের আর্থ-সামাজিক নির্ধারকগুলির গভীর উপলব্ধি প্রদান করেছিল।গুরুত্বপূর্ণভাবে, এই মধ্যম-স্তরের চিকিৎসা পেশাদাররা জাতীয় মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল দ্বারা স্বীকৃত ও নিয়ন্ত্রিত ছিল, যা তাদের সংজ্ঞায়িত আওতার মধ্যে চিকিৎসা অনুশীলনের আইনি কর্তৃত্ব প্রদান করে। এই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং তাদের পরিষেবাগুলিতে জবাবদিহিতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করে। কয়েক দশক ধরে, এই পেশাদাররা স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটাতে, বিশেষ করে যেখানে এমবিবিএস ডাক্তারদের অভাব ছিল, সেখানে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছে, যা মূল স্বাস্থ্য সূচকগুলির উন্নতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।

৩.২. কমিউনিটি ক্লিনিকের আবির্ভাবকমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা বাংলাদেশের বিকেন্দ্রীভূত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রতি অঙ্গীকারের আরও একটি সম্প্রসারণ হিসাবে আবির্ভূত হয়। ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে শুরু হওয়া এই ক্লিনিকগুলিকে গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলির প্রথম যোগাযোগের কেন্দ্র হিসাবে কল্পনা করা হয়েছিল, যা গ্রামীণ সম্প্রদায়ের দোরগোড়ায় মৌলিক স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবাগুলি সরাসরি নিয়ে আসে। উদ্দেশ্য ছিল সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করা, মৌলিক যত্নের জন্য পকেট থেকে ব্যয় হ্রাস করা এবং স্বাস্থ্য উদ্যোগে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা। এই নেটওয়ার্কের দ্রুত সম্প্রসারণ একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন ছিল, যা প্রাথমিক যত্ন সরবরাহের জন্য একটি বিস্তৃত অবকাঠামো তৈরি করেছে।তবে, এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলির জন্য গৃহীত কর্মী মডেলটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষিত মধ্যম-স্তরের চিকিৎসা পেশাদারদের ব্যবহারের প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি থেকে একটি উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি ঘটায়। পরিবর্তে, এই সুবিধাগুলিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী, যারা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (CHCP) নামে পরিচিত, তারা সাধারণত অনেক কম সময়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে, যা প্রায়শই তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত হয়। তাদের ম্যান্ডেট সাধারণত মৌলিক স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান, প্রয়োজনীয় ঔষধের একটি পূর্বনির্ধারিত তালিকা বিতরণ এবং প্রয়োজনে রোগীদের উচ্চতর সুবিধাগুলিতে রেফারেল করার মধ্যে সীমাবদ্ধ। কর্মী নিয়োগের এই সিদ্ধান্ত, যদিও দ্রুত নিয়োগ এবং ব্যয়-দক্ষতার লক্ষ্যে হতে পারে, তবে সেবার গুণমান, রোগীর নিরাপত্তা এবং দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্যকর্মীর সর্বোত্তম ব্যবহার, বিশেষ করে এর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষিত মধ্যম-স্তরের চিকিৎসা পেশাদারদের নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

৪. স্বাস্থ্যকর্মীর বৈশ্বিক মানদণ্ড: WHO নির্দেশিকা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনকার্যকর এবং সমতাপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীর সর্বোত্তম গঠন এবং নিয়োগের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ব্যাপক নির্দেশনা প্রদান করে। স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রশিক্ষণ, অনুশীলনের পরিধি এবং ক্লিনিকাল দায়িত্বের স্তরের উপর ভিত্তি করে একটি মূল পার্থক্য তৈরি করা হয়। এই পার্থক্যটি রোগীর নিরাপত্তা, সেবার গুণমান এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কার্যকর কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে সীমিত সম্পদযুক্ত পরিবেশে।

৪.১. মধ্যম-স্তরের মেডিকেল পেশাদার / অ্যাসোসিয়েট ক্লিনিশিয়ান WHO মধ্যম-স্তরের ক্যাডার (AMTCs), যাদের প্রায়শই অ্যাসোসিয়েট ক্লিনিশিয়ান হিসাবে উল্লেখ করা হয়, তাদের স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে যারা কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের চেয়ে উচ্চতর স্তরে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কিন্তু সাধারণত একজন সম্পূর্ণ যোগ্যতাসম্পন্ন এমবিবিএস/এমডি চিকিৎসকের চেয়ে কম [২]। তাদের প্রশিক্ষণ ব্যাপক, প্রায়শই ৩ থেকে ৪ বছরের পোস্ট-সেকেন্ডারি মেডিকেল শিক্ষা নিয়ে গঠিত, এবং এটি তাদের উল্লেখযোগ্য ক্লিনিকাল দক্ষতা দিয়ে সজ্জিত করে।

এসোসিয়েট ক্লিনিশিয়ান (AMTCs)-এর ভূমিকাগুলি বৈচিত্র্যময় এবং এর মধ্যে রয়েছে:
• রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা: সাধারণ রোগের স্বাধীনভাবে নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান।

• মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য: প্রসবপূর্ব, প্রসবকালীন এবং প্রসবোত্তর যত্ন প্রদান, সেইসাথে সাধারণ শৈশবের অসুস্থতাগুলি পরিচালনা করা।

• মাইনর সার্জিক্যাল প্রক্রিয়া: তাদের সংজ্ঞায়িত অনুশীলনের আওতার মধ্যে মৌলিক অস্ত্রোপচার পদ্ধতি সম্পাদন করা।
• জনস্বাস্থ্য কার্যাবলী: রোগ নজরদারি, স্বাস্থ্য প্রচার এবং প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলিতে জড়িত থাকা।
• রেফারেল: জটিল বা গুরুতর ক্ষেত্রে উচ্চতর সুবিধাগুলিতে চিহ্নিত করা এবং রেফারেল করা।
AMTC cadre সাধারণত জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির সাথে নিবন্ধিত থাকে, যা জবাবদিহিতা এবং পেশাদার মানদণ্ড মেনে চলা নিশ্চিত করে। তারা অপরিহার্য স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলিতে প্রবেশাধিকার উন্নত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে, এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাধারণ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অবিচ্ছেদ্য অংশ [৩]। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের ক্যাডারগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে ক্লিনিকাল অফিসার (অনেক আফ্রিকান দেশে), সহকারী ডাক্তার (চীন/ভিয়েতনাম) , ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট/অ্যাসোসিয়েট (ইউরোপ/আমেরিকায়), এবং মেডিকেল লাইসেন্সিয়েট প্র্যাকটিশনার।

৪.২. কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী (CHWs)এর বিপরীতে, WHO কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী (CHWs) কে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে যারা তারা যে সম্প্রদায়ে সেবা দেয় সেখানে বসবাস করে এবং AMTCs বা চিকিৎসকদের তুলনায় কম স্তরের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে [৪]। তাদের প্রশিক্ষণ সাধারণত সংক্ষিপ্ত হয়, প্রায়শই নির্দিষ্ট কাজ এবং সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে, বিস্তৃত ক্লিনিকাল অনুশীলনের উপর নয়।

CHWs-এর প্রাথমিক ভূমিকাগুলির মধ্যে সাধারণত রয়েছে:
•স্বাস্থ্য প্রচার এবং শিক্ষা: স্বাস্থ্য তথ্য প্রচার, স্বাস্থ্যকর আচরণ প্রচার এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।

•মৌলিক স্ক্রিনিং এবং রেফারেল: সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং উপযুক্ত স্বাস্থ্য সুবিধাগুলিতে তাদের রেফারেল করা।

•যত্ন সরবরাহের জন্য সহায়তা: ফলো-আপ যত্ন, ঔষধের আনুগত্য এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলির সাথে সংযুক্ত করতে সহায়তা করা।•ডেটা সংগ্রহ: সম্প্রদায় থেকে মৌলিক স্বাস্থ্য ডেটা সংগ্রহ করা।

CHWs সম্প্রদায়গুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলির প্রসার ঘটাতে, আস্থা তৈরি করতে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং জনসংখ্যার মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করতে অমূল্য। তবে, তাদের অনুশীলনের পরিধি সাধারণত সীমিত, এবং তারা সাধারণত স্বাধীনভাবে রোগ নির্ণয়, বিস্তৃত ঔষধের তালিকা প্রেসক্রাইব করা বা জটিল ক্লিনিকাল অবস্থাগুলি পরিচালনা করার জন্য প্রশিক্ষিত বা অনুমোদিত নয়। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এবং আইনি তত্ত্বাবধান ছাড়াই CHWs কে ক্লিনিকাল রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার ভূমিকা অর্পণ করা নিরাপদ এবং কার্যকর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের জন্য WHO-এর সর্বোত্তম অনুশীলনের পরিপন্থী [৫]।

৪.৩. WHO নির্দেশিকার আলোকে বাংলাদেশের কর্মীবাহিনী মডেলবাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীর মডেল, বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলিতে পরীক্ষা করার সময়, WHO নির্দেশিকাগুলির সাথে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য দেখা যায়:
•ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (DMF) : এই পেশাদাররা, তাদের চার বছরের প্রাতিষ্ঠানিক মেডিকেল শিক্ষা এবং ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ সহ, মধ্যম-স্তরের এই চিকিৎসা পেশাজীবি / অ্যাসোসিয়েট ক্লিনিশিয়ানদের WHO সংজ্ঞার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং জনস্বাস্থ্যে তাদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) দ্বারা তাদের নিবন্ধন সহ, তাদের একটি সংজ্ঞায়িত আওতার মধ্যে স্বাধীন অনুশীলনে সক্ষম যোগ্য ক্লিনিকাল প্রদানকারী হিসাবে অবস্থান করে।

•কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী (CHW): সাধারণত ৩-৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী (CHWs) এর WHO সংজ্ঞার সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাদের প্রাথমিক ভূমিকা, প্রাথমিকভাবে যেমনটি কল্পনা করা হয়েছিল, তা ছিল মৌলিক স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান, প্রয়োজনীয় ঔষধের একটি সীমিত সেট বিতরণ এবং রেফারেল সহজতর করা। তবে, বাস্তবে, CHWs প্রায়শই ক্লিনিকাল দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়, যার মধ্যে রোগ নির্ণয় এবং তাদের প্রশিক্ষণ ও আইনি আওতার বাইরে ঔষধ প্রেসক্রাইব করা অন্তর্ভুক্ত, কার্যকরভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষিত মেডিকেল কর্মীদের অনুপস্থিতিতে প্রাথমিক ক্লিনিকাল প্রদানকারী হিসাবে কাজ করা। তাদের ভূমিকার এই কার্যকরী সম্প্রসারণ, আনুপাতিক প্রশিক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রক তত্ত্বাবধান ছাড়াই, আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলন থেকে একটি উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি উপস্থাপন করে এবং রোগীর নিরাপত্তা এবং তৃণমূল পর্যায়ে প্রদত্ত সেবার গুণমান সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ উত্থাপন করে।বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মী ক্যাডারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রকৃত ভূমিকার মধ্যে এই অমিল একটি পদ্ধতিগত দুর্বলতা তৈরি করে। এটি একটি উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং নিবন্ধিত মেডিকেল কর্মীবাহিনীর (DMFs) কম ব্যবহার ঘটায় যখন একই সাথে একটি ক্যাডারের (CHWs) উপর অযাচিত ক্লিনিকাল বোঝা চাপিয়ে দেয় যার প্রশিক্ষণ এবং আইনি ম্যান্ডেট এই ধরনের দায়িত্বের জন্য ডিজাইন করা হয়নি। এই বৈপরীত্য দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলির কার্যকারিতা, নিরাপত্তা এবং জনবিশ্বাসের জন্য গভীর প্রভাব ফেলে।

৫. অনুশীলনের বৈপরীত্য: বাংলাদেশে নীতিগত উদ্দেশ্য বনাম বাস্তব চিত্রবাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, বিশেষ করে কমিউনিটি পর্যায়ে, একটি সুস্পষ্ট বৈপরীত্য উপস্থাপন করে: আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষিত এবং জাতীয়ভাবে নিবন্ধিত মধ্যম-স্তরের চিকিৎসা পেশাদারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অব্যবহৃত রয়ে গেছে, যখন যথেষ্ট কম ক্লিনিকাল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আরেকটি ক্যাডার ক্রমবর্ধমানভাবে তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আওতার বাইরে ভূমিকা পালন করছে। নীতিগত উদ্দেশ্য এবং বাস্তবতার মধ্যে এই বিচ্যুতি স্বাস্থ্যসেবার গুণমান, নিরাপত্তা এবং সমতার উপর গভীর প্রভাব ফেলে।

৫.১. নিবন্ধিত মধ্যম-স্তরের চিকিৎসা পেশাদারদের (ডিএমএফ) কম ব্যবহারডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (DMF) ডিগ্রিধারী WHO-এর মধ্যম-স্তরের স্বাস্থ্যকর্মী (Accelerated Medically Trained Clinician (AMTC) Cadre) সংজ্ঞার সাথে সুস্পষ্ট সামঞ্জস্য থাকা সত্ত্বেও, তাদের মূল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিতরণ ব্যবস্থায়, বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলিতে, তাদের সংহতকরণ অসঙ্গত এবং প্রায়শই অপর্যাপ্ত। ঐতিহাসিকভাবে, DMF গণ, যারা সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (SACMO) নামে পরিচিত, ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্র এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলিতে ক্লিনিকাল পরিষেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে, তাদের নিয়োগ এবং সর্বোত্তম স্থাপনায় দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা একটি গুরুতর সমস্যা।

প্রতিবেদনগুলি ইঙ্গিত করে যে হাজার হাজার BMDC-নিবন্ধিত DMF ডিগ্রীধারী বর্তমানে বেকার বা তাদের দক্ষতার তুলনায় কম কাজ করছেন, যা প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য অপচয়। এই কম ব্যবহার কেবল একটি অর্থনৈতিক অদক্ষতা নয়; এটি একটি সক্ষম কর্মীবাহিনীকে কাজে লাগানোর একটি হারানো সুযোগকে নির্দেশ করে, যারা ব্যাপক প্রাথমিক যত্ন প্রদান করতে সক্ষম, যার ফলে উচ্চতর সুবিধাগুলির উপর বোঝা কমে এবং তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যের ফলাফল উন্নত হয়।

কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো সম্প্রসারিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর মধ্যে DMF-দের জন্য ধারাবাহিক নিয়োগ এবং একটি সুস্পষ্ট কর্মজীবনের পথের অভাব একটি পদ্ধতিগত ত্রুটিকে নির্দেশ করে যা কার্যকর স্বাস্থ্যকর্মী পরিকল্পনার মূল নীতিগুলির পরিপন্থী।

৫.২. কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী (CHW)
সম্প্রসারিত ভূমিকা এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি DMF-দের কম ব্যবহারের পাশাপাশি, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলিতে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী (CHWs) প্রয়োজন বা নকশার কারণে ক্লিনিকাল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন যা তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ এবং আইনি ম্যান্ডেটের বাইরে। যদিও তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ সাধারণত ৩-৬ মাস পর্যন্ত সীমিত থাকে, যা স্বাস্থ্য প্রচার, মৌলিক পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় ঔষধের একটি সীমাবদ্ধ তালিকা বিতরণের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে, তবে পর্যবেক্ষণগুলি ইঙ্গিত করে যে তারা প্রায়শই নিম্নলিখিতগুলিতে জড়িত থাকে:

• স্বাধীন রোগ নির্ণয়: পর্যাপ্ত ক্লিনিকাল প্রশিক্ষণ বা ডায়াগনস্টিক সরঞ্জাম ছাড়াই রোগীর লক্ষণগুলি মূল্যায়ন করা এবং অনুমানমূলক রোগ নির্ণয় করা।

• ঔষধ প্রেসক্রিপশন: অ্যান্টিবায়োটিক সহ বিস্তৃত ঔষধ বিতরণ করা, প্রায়শই সঠিক রোগ নির্ণয় বা ঔষধের মিথস্ক্রিয়া এবং রোগীর ইতিহাস বিবেচনা না করে।

• জটিল অবস্থার ব্যবস্থাপনা: প্যাথোফিজিওলজি এবং ফার্মাকোলজি সম্পর্কে গভীর বোঝার প্রয়োজন এমন অবস্থাগুলি পরিচালনা করার চেষ্টা করা।CHW ভূমিকার এই কার্যকরী সম্প্রসারণ, যদিও এটি একটি তাৎক্ষণিক সেবার ব্যবধান পূরণ করতে পারে, তবে এটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করে। ব্যাপক ক্লিনিকাল প্রশিক্ষণের অভাবে CHW-দের সাধারণ, স্ব-সীমিত অবস্থা এবং জরুরি চিকিৎসা মনোযোগ বা বিশেষ হস্তক্ষেপের প্রয়োজন এমন অবস্থার মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা নাও থাকতে পারে।

এর ফলে নিম্নলিখিতগুলি হতে পারে:
• ভুল রোগ নির্ণয় এবং বিলম্বিত চিকিৎসা: গুরুতর অবস্থাগুলি সঠিকভাবে সনাক্ত করতে ব্যর্থতা, যার ফলে বিলম্বিত বা অনুপযুক্ত চিকিৎসা হয়, যা অসুস্থতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং স্বাস্থ্যের খারাপ ফলাফলের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

• অযৌক্তিক ঔষধ ব্যবহার এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR): অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত কর্মীদের দ্বারা অ্যান্টিবায়োটিকের তত্ত্বাবধানহীন এবং প্রায়শই অনুপযুক্ত প্রেসক্রিপশন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) এর একটি প্রধান চালিকা শক্তি, যা একটি বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সংকট। এই অনুশীলন ঔষধ-প্রতিরোধী সংক্রমণ মোকাবেলায় জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে [৬]।

• রোগীর নিরাপত্তা উদ্বেগ: ফার্মাকোলজি, ডোজ এবং সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক প্রশিক্ষণ ছাড়া, ঔষধ বিতরণ রোগীর নিরাপত্তার জন্য সরাসরি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

• জনবিশ্বাসের ক্ষয়: যদিও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলি আস্থা তৈরি করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে, তবে অনুভূত অপচিকিৎসা বা অকার্যকর চিকিৎসার ঘটনাগুলি আনুষ্ঠানিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি জনবিশ্বাসকে ক্ষয় করতে পারে, যা ব্যক্তিদের অনিয়ন্ত্রিত এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক অনানুষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের দিকে ঠেলে দেয়।

৫.৩. আইনি ও নৈতিক প্রভাবঅনেক কমিউনিটি ক্লিনিকের বর্তমান অপারেশনাল মডেল গুরুতর আইনি ও নৈতিক প্রশ্নও উত্থাপন করে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) আইন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যে কারা দেশে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা অনুশীলন করতে পারে, চিকিৎসা পেশাদারদের জন্য আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে। BMDC-এর সাথে নিবন্ধিত নয় এমন ব্যক্তিদের দ্বারা ক্লিনিকাল রোগ নির্ণয় এবং প্রেসক্রিপশন প্রদান, তাদের উদ্দেশ্য নির্বিশেষে, বিদ্যমান চিকিৎসা আইন এবং নৈতিক নির্দেশিকাগুলির লঙ্ঘন। এই পরিস্থিতি একটি আইনি শূন্যতা তৈরি করে যেখানে চিকিৎসা ত্রুটি বা প্রতিকূল ফলাফলের জন্য জবাবদিহিতা অস্পষ্ট হয়ে যায়, যা রোগী এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উভয়কেই ঝুঁকিতে ফেলে। নৈতিকভাবে, এটি একটি দ্বি-স্তরীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ইঙ্গিত দেয় যেখানে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষিত পেশাদারদের অভাবে, নিম্নমানের যত্নের শিকার হয়, যা স্বাস্থ্য সমতার নীতির পরিপন্থী।

৬. বর্তমান মডেলের পরিণতি: জনস্বাস্থ্য এবং ব্যবস্থার কার্যকারিতার ঝুঁকিবাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগে আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলন থেকে বিচ্যুতি সুদূরপ্রসারী পরিণতি বয়ে আনে, যা কেবল ব্যক্তিগত রোগীর ফলাফলকেই নয়, বরং জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামগ্রিক কার্যকারিতা এবং স্থায়িত্বকেও প্রভাবিত করে।

৬.১. সেবার গুণগত মান এবং রোগীর নিরাপত্তার সাথে আপসক্লিনিকাল রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত কর্মীদের উপর নির্ভর করার সবচেয়ে তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর পরিণতি হলো সেবার গুণগত মান এবং রোগীর নিরাপত্তার সাথে আপস। যখন পর্যাপ্ত চিকিৎসা শিক্ষা ছাড়া ব্যক্তিরা ক্লিনিকাল বিচার প্রয়োজন এমন ভূমিকা গ্রহণ করে, তখন ভুল রোগ নির্ণয়, বিলম্বিত রোগ নির্ণয় এবং অনুপযুক্ত চিকিৎসার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে নিম্নলিখিতগুলি হতে পারে:

• অসুস্থতার তীব্রতা বৃদ্ধি: সাধারণ, নিরাময়যোগ্য অবস্থাগুলি ভুল প্রাথমিক ব্যবস্থাপনার কারণে জটিল বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
• প্রতিকূল ঔষধ প্রতিক্রিয়া: অনুপযুক্ত প্রেসক্রিপশন অনুশীলন, যার মধ্যে ভুল ডোজ, ঔষধের মিথস্ক্রিয়া বা নিষিদ্ধ ঔষধ বিতরণ অন্তর্ভুক্ত, গুরুতর প্রতিকূল প্রভাবের কারণ হতে পারে।

• মোরবিডিটি এবং মৃত্যুর হার বৃদ্ধি: গুরুতর ক্ষেত্রে, ক্লিনিকাল ত্রুটিগুলি প্রতিরোধযোগ্য অক্ষমতা বা এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে, বিশেষ করে শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের মতো দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য।

৬.২. অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) বৃদ্ধিবর্তমান মডেল দ্বারা উদ্ভূত সবচেয়ে উদ্বেগজনক জনস্বাস্থ্য হুমকিগুলির মধ্যে একটি হলো অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) এর অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যাপক এবং প্রায়শই অনুপযুক্ত ব্যবহার, যা প্রায়শই আনুষ্ঠানিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণবিহীন ব্যক্তিদের দ্বারা প্রেসক্রাইব করা হয়, ঔষধ-প্রতিরোধী প্যাথোজেনগুলির বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। এই ঘটনাটি সাধারণ সংক্রমণগুলিকে নিরাময় অযোগ্য করে তোলে, অসুস্থতাকে দীর্ঘায়িত করে, স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বৃদ্ধি করে এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ, অন্যান্য অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো, AMR-এর বিধ্বংসী প্রভাবের প্রতি বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, এবং বর্তমান প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা অনুশীলনগুলি অনিচ্ছাকৃতভাবে এই ক্রমবর্ধমান সংকটে অবদান রাখে [৭]।

৬.৩. অদক্ষ সম্পদ ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বৃদ্ধিএকটি উচ্চ প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনীর (DMFs) কম ব্যবহার এবং একটি কম প্রশিক্ষিত ক্যাডারের (CHWs) কার্যকরী সম্প্রসারণ সম্পদ বরাদ্দে একটি উল্লেখযোগ্য অদক্ষতা উপস্থাপন করে। DMF-দের প্রশিক্ষণে যে বিনিয়োগ করা হয়েছে তা তার পূর্ণ সম্ভাব্য প্রতিদান দিচ্ছে না, কারণ এই পেশাদাররা বেকার রয়েছেন বা তাদের দক্ষতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভূমিকাগুলিতে নিযুক্ত নন। বিপরীতভাবে, প্রাথমিক স্তরে অপর্যাপ্ত ক্লিনিকাল যত্নের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি প্রায়শই নিম্নলিখিতগুলির দিকে পরিচালিত করে:

• উচ্চতর স

Error 404

সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো আসিফ নজরুলের মন্তব্য। তোলপার মেডিকেল ডাক্তার সমাজ ক্ষিপ্ত, অন্যদিকে তিনি নার্সদের বেত...
19/08/2025

সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো আসিফ নজরুলের মন্তব্য। তোলপার মেডিকেল ডাক্তার সমাজ ক্ষিপ্ত, অন্যদিকে তিনি নার্সদের বেতন বৃদ্ধি ও সেবার মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।

কিন্তু এই দুইয়ের মাঝখানে রয়েছে আরেক শ্রেণী—ডিএমএফ জাতি। আমরা এখনও পেশাগত স্বীকৃতি, নিয়োগ এবং মর্যাদা থেকে বঞ্চিত।

আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা Associate Clinician, অর্থাৎ সূক্ষ্ম অর্থে “চিকিৎসা প্রদানে অভিজ্ঞ”। রেজিস্টার্ড চিকিৎসা পেশাজীবি হিসেবে আমাদের কাজও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়— সাধারণ রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, প্রেসক্রিপশন এবং রোগীর সেবা নিশ্চিত করা।

প্রশ্ন হচ্ছে—আমাদের অবদানকে Clinical Practitioner বা চিকিৎসক হিসেবে সম্মানিতভাবে চিহ্নিত করা উচিত নয় কি?
এখনই সময় আমাদের পেশাগত মর্যাদা ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করার।

Address

Kushtia

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Not Doctors Assistant But Seeking Our True Identity posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram