সমবিধান হোমিও হেলথ ক্লিনিক

সমবিধান হোমিও হেলথ ক্লিনিক Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from সমবিধান হোমিও হেলথ ক্লিনিক, Doctor, 1st/Rehan uddin buiyan sorok, 6 no word, lakshmipur pouroshova. 2nd-Bovanigong chorasta sumon shopping complex, Lakshmipur.

চেম্বার:১ম শাখা- রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া সড়ক, সদর লক্ষীপুর, ২য় শাখা-সুমন শপিং কমপ্লেক্স, ইসলামী ব্যাংকের নিচতলা, ভবানীগঞ্জ, চৌরাস্তা। লক্ষীপুর।
এখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপনায় জটিল ও কঠিন রোগের অনলাইন/অফলাইন চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। call-01725392631.

04/06/2025

চর্মরোগ যত বেশি গরম তাপ দেয়া যায় তত আরাম কোন মেডিসিনের লক্ষন?

19/05/2025

গ্রাফাইটিস-শিশুচিত্র

যেসকল শিশুরা ধীর প্রকৃতির, মোটা, ভারী, সাদামাটা চরিত্রের এবং যাদের চর্মরোগ রয়েছে; যা থেকে চটচটে রস ক্ষরন হয়, গ্রাফাইটিস তাদের জন্য উপযোগী।
গ্রাফাইটিসের কেন্দ্রীয় চরিত্র—
বাস্তববাদী, ধীর, মাটির মতো স্থিতিশীল এবং পাথরের মতো দৃঢ় প্রকৃতির।
(Earthly and Rocky)

উৎসঃ
এটি খাঁটি কার্বন থেকে তৈরি করা হয়। এতে অল্প পরিমানে লোহা এবং সিলিকা থাকে। কার্বন হচ্ছে সকল জীবের রসায়নিক ভিত্তি। এটি মানবদেহের স্থিতিশীল কাঠামো গঠন করে। কার্বনের একটি রুপ হচ্ছে গ্রাফাইটিস, আরেকটি ডায়মন্ড (হিরা)। গ্রাফাইট (কালো ও নরম) পেন্সিল (শক্ত) তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

মুল শব্দঃ
গ্রাফাইটিস, ভারী, মোটাসোটা, খসখসে ত্বক, আত্নবিশ্বাসের অভাব, ভীরু এবং অন্তর্মুখী স্বভাবের, সহজেই কান্না করে, ধীর মন্থর প্রকৃতির এবং মনযোগের অভাব।

ধরনঃ ধীর, মন্থর।
কাতরতাঃ শীতকাতর
মায়াজমঃ এন্টিসোরিক, এন্টিসাইকোটিক, এন্টিসিফিলিটিক প্রধান।

গ্রাফাইটিস বেবি

বাড়িতেঃ
গ্রাফাইটিস শিশুরা জন্ম থেকেই শীতকাতুরে। এদের খুব সহজেই ঠান্ডা লাগে। এরা মেদবহুল এবং বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়। আপনি একটু খেয়াল করলে গ্রাফাইটিস শিশুর মুখমন্ডলে জন্মের প্রথম সপ্তাহেই ব্রণ (Baby Acne) দেখতে পাবেন। সেবোরিক ডার্মাটাইটিস (Seborrhoeic dermatitis) এর জন্য গ্রাফাইটিস একটি চমৎকার ওষুধ। নবজাতকের মাথায় মিল্ক ক্রাস্ট (Milk crust) বা ক্রেডেল ক্যাপ (Cradle cap) এবং কানের পিছনে ফাটা ফাটা থাকে; যা থেকে চটচটে রস ক্ষরন হয়। ডায়াপার র‍্যাশ (Nappy rash)।

গ্রাফাইটিস শিশুদের ক্ষুধা বেশি থাকে এবং খাবার পেতে দেরি হলে খিটখিটে হয়ে পড়ে; এরা উপবাস সহ্য করতে পারে না। তবে শারীরিক বিকাশলাভ ধীর গতিতে হয়।

ক্লিনিকেঃ

গ্রাফাইটিস বিভিন্ন চর্মরোগ নিয়ে ক্লিনিকে আসে, যেমনঃ ক্রেডেল ক্যাপ, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, একজিমা প্রভৃতি। এছাড়া হাইড্রোসিল, কোষ্ঠকাঠিন্য, দুধ হজমে সমস্যা নিয়ে আসে ।
আপনি চিকিৎসক হিসেবে যখন গ্রাফাইটিস নবজাতকের কেস নিবেন, এদের ক্রন্দনশীল অবস্থায় পেতে পারেন। এরা সহজেই কাঁদে এবং ঠান্ডার প্রতি সংবেদনশীল।

প্রধান ক্লিনিক্যাল লক্ষণঃ

সেবোরিক ডার্মাটাইটিস,ক্রেডেল ক্যাপ, হাইড্রোসিল, কানের পিছনে ফাটা।

গ্রাফাইটিস চাইল্ডঃ

বাড়ীতেঃ
গ্রাফাইটিস শিশুরা বৃহদাকার এবং ভারী, এদের পেট বড় এবং চর্ম ফ্যাকাশে। গ্রাফাইটিস শিশুরা দেখতে অনেকটা ক্যালক কার্বের মতো, কিন্তু বেশ পার্থক্য রয়েছে। ক্যালক কার্বের শিশুরা মোটা, থলথলে, এবং এদের ত্বক নরম ও আদ্রপূর্ণ, অপরদিকে গ্রাফাইটিস শিশুদের ত্বক অমসৃন,খসখসে, মোটা এবং শুষ্ক। এজন্য গ্রাফাইটিস শিশুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফেটে যায়— তাতে উদ্ভেদ থাকুক বা নাই থাকুক।

গ্রাফাইটিস শিশুরা ধীর এবং মন্থর প্রকৃতির। এদের যেকোন প্রকার কাজের প্রতি, বিশেষ করে মানসিক পরিশ্রমের প্রতি তীব্র ভয় থাকে। লাজুকতা এবং ধীরতা দেখে আপনার নিকট এদেরকে অলস বলে মনে হতে পারে। বাস্তবিকপক্ষে এরা কোনকিছুতে আগ্রহী নয় এবং নিষ্ক্রিয় প্রকৃতির, উদাসীন। কোন কাজে চেষ্টা করতে চায় না। এরা ভীতু প্রকৃতির, সহজেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়, বাড়িতে বা বিদ্যালয়ে যেখানেই হোক কোন প্রশ্ন করা হলে ধীরে ধীরে সাড়া দেয়। যদি তার প্রতিদিনের কাজকর্মে বা অভ্যাসে কোন পরিবর্তন আনা হয়, যেমন স্কুল পরিবর্তন করা, অথবা তার দৈনন্দিন শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রমে কোন পরিবর্তন আনা হয় (অতিরিক্ত), তবে সে খিটখিটে ও উদ্বেগযুক্ত হয়ে পড়ে; সহজেই কান্নাকাটি করে এবং সবকিছুর নেতিবাচক দিকটি খুঁজে বের করে। সে কিছুটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে— এ অবস্থায় সে নিজের মত করে একা থাকতে পছন্দ করে এবং তার সুপরিচিত দৈনন্দিন রুটিন আকড়ে থাকতে পছন্দ করে। গ্রাফাইটিস শিশু সাধারনত ভীতু এবং চাপা স্বভাবের হয়, কিন্তু অনেক সময় সে ধৃষ্ট (Insolent) চরিত্রেরও হতে পারেঃ তার ভাড়াভাড়া (Clumsiness) চরিত্রের কারনে তাকে কেউ তিরস্কার করলেও সে হাসে।

যদিও সে মোটা, কিন্তু তার মাংসপেশি দূর্বল। কার্বো ভেজের মত তার হজম ও আত্তীকরণ শক্তি দূর্বল প্রকৃতির হয়। তার পরিপাকক্রিয়া ঠিকমতো হয় না, ফলে সে ক্রমাগত ক্ষুধা অনুভব করে। গ্রাফাইটিস সতেজ বায়ু পছন্দ করে, এবং বদ্ধ ও গরম কক্ষে দমবন্ধভাব অনুভব করে। সে খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে, এজন্য সে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম ঘৃনা করে। সে কোথাও ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া অপছন্দ করে এবং সহজেই বিরক্ত হয়ে পড়ে।

যদিও গ্রাফাইটিসের ত্বক ফ্যাকাশে, তা স্বত্তেও কোন কাজের চেষ্টা করলে তার মুখমন্ডল লাল হয়ে ওঠে এবং শরীরে গরমভাব অনুভব হয়। অনেকসময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।

ক্লিনিকেঃ

গ্রাফাইটিসের সবচেয়ে লক্ষনীয় বৈশিষ্ট্য হলো এর রুক্ষ, শুষ্ক, খসখসে ত্বক। চর্ম ফাটাফাটা, ফিসার— যা ঠান্ডা বাতাস বা ঠান্ডা পানিতে বৃদ্ধি পায়। গ্রাফাইটিসের উদ্ভেদ থেকে চটচটে, আঠার মত, মধুর মত, রক্তমিশ্রিত স্রাব নির্গত হয়। শরীরের ভাঁজে, যেমনঃ কুঁচকিতে, ঘাড়ে, কানের পেছনে, মুখের কোনায়, হাটু ও কনুইর ভাঁজে উদ্ভেদ দেখা দেয়। আঙুলের প্রান্তভাগ ও পায়ের গোড়ালিতে ফাটল দেখা দিতে পারে— যা সাধারণত শীতকালে বৃদ্ধি পায়। গ্রাফাইটিসের শিশুরা চোখের পাতার প্রদাহ (Blepharitis), সাইনুসাইটিস (Sinusitis), কর্নপ্রদাহ (Otitis) এবং টনসিলের প্রদাহে (Tonsillitis) আক্রান্ত হয়। এদের সকল ইনফেকশন থেকে আঠার মত, ঘন, চটচটে স্রাব নির্গত হয়, তৎসহ চুলকানি থাকে। ব্লেফারাইটিসের ক্ষেত্রে গ্রাফাইটিসের চোখের পাতা ফ্যাকাশে থাকে (সালফার এবং হিপার সালফ এ চোখের পাতা লালচে এবং খুব প্রদাহিত থাকে)। মারাত্নক আলোকাতঙ্কে (Photophobia) ও ব্লেফারাইটিস যুগপৎভাবে পেলে গ্রাফাইটিস চিন্তা করা উচিত।

গ্রাফাইটিস শিশুরা এমনি এমনিই মোটা হয় না— এদের প্রচন্ড ক্ষুধা থাকে, ক্ষুধা না মিটলে পেটব্যথা হয়। তার পরিপাক সংক্রান্ত সমস্যাবলী শুয়ে থাকলে, গরম খাবার ও পানীয় খেলে উপশম হয়। এরা চিনি, মাংস ও মাছ অপছন্দ করে। প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে, পায়খানা গুটলিগুটলি হয়, পায়খানার সাথে শ্লেষ্মা মিশ্রিত থাকে, বা গুটলি মল সাদা শ্লেষ্মা সুতা দিয়ে যুক্ত থাকে।

গ্রাফাইটিস বালিকাদের দেরিতে মাসিকস্রাব শুরু হয়। অনিয়মিত ঋতুস্রাব। অনেক সময় মাসিকের পরিবর্তে এদের সাদাস্রাব হয়,এবং এরফলে দূর্বল হয়ে পড়ে।

প্রধান ক্লিনিক্যাল লক্ষণঃ
চর্মরোগ, নাক কান গলার রোগ, পরিপাক সংক্রান্ত রোগ, স্ত্রীরোগ, ব্রণ।
Copy-Dr.MD.ASLAM HOWLADER.

হোমিও কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। ধন্যবাদ বোর্ড কর্তৃপক্ষকে।
14/05/2025

হোমিও কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। ধন্যবাদ বোর্ড কর্তৃপক্ষকে।

30/04/2025

ভয় পাওয়ার কারণে গর্ভপাত হলে -একোনাইট,জেলস,ইগ্নেসিয়া ওপিয়াম।

28/04/2025

ডি,এন,সি করানোর পর ভ্রুনের কিছু অংশ থেকে গেলে তা বাহির করতে হোমিও কোন কোন ঔষধ প্রযোজ্য।

26/04/2025

পেট ব্যথা আহারে উপশম -এনাকার্ডিয়াম, পেট্রোলিয়াম গ্রাফাইটস, মার্কসল।

24/04/2025

Injury সম্পর্কিত কিছু আলোচনা:

#হাড় ও জয়েন্টের রোগে হোমিওপ্যাথি

হাড় ও জয়েন্টের রোগে হোমিওপ্যাথি: পর্ব ১

# ফ্রাকচার

আমাদের সকলেরই জানা যে, যখন শরীরের কোন স্থানে হাড় ফ্রাকচার হয়েছে সন্দেহ বা অনুমান করা হয়, তখন সকল প্রকার প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি হাড় কি পরিমান বা কতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করার জন্য এক্সরে করা হয়। অতপর কোন হাড়ের চিকিৎসকের সহায়তায় হাড় যথাসম্ভব যথাস্থানে পুনঃস্থাপনের ব্যবস্থা করতে হয় এবং ফ্রকাচার জনিত শারীরিক- মানসিক শকের যথাযথ চিকিৎসা করা হয়।

এখানে হোমিওপ্যাথির বেশ ক্ষেত্র রয়েছে। আমরা হোমিওপ্যাথির মাধ্যমেও রুগীর কিছু উপকারে আসতে পারি। ফ্রাকচারে ট্রমাটাইজড রুগীকে শক থেকে মুক্ত করার জন্য শুরুতেই ফার্স্ট এইড হিসেবে 'রেসকিউ রিমেডি' ১৫ মিনিট পরপর কয়েকবার দিতে পারি। প্রত্যেকেরই অফিস,চেম্বার, ক্লিনিট, বাড়ীতে বা গাড়িতে রেসকিউ রিমেডি থাকা উচিত।
অতঃপর আর্নিকা প্রয়োগ করতে পারেন। তবে রেসকিউ রিমেডি না থাকলে সিম্পল ফ্রাকচার কেইসে শুরুতেই আর্নিকা দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। আর্নিকা ক্ষতকর ব্যথা,ফুলাভাব, শক, ভয় দূর করতে সাহায্য করবে।

হাড় সেট করার পর প্রধান মেডিসিন সিম্ফাইটাম।

একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, সিম্ফাইটামকে বলা হয় হোমিওপ্যাথিক সুপার গ্লু। আসলেই সিম্ফাইটাম হাড় দ্রুত জোড়া লাগতে খুব সহায়ক। এজন্য হাড় যথাস্থানে পুনঃস্থাপন না করে সিম্ফাইটাম সেবন করলে অসামঞ্জস্যভাবে (আঁকাবাকা) হাড় জোড়া লেগে যেতে পারে। এটি প্রত্যেক অর্থোপেডিক সার্জনের নিকট থাকা উচিত- সিম্ফাইটাম হওয়া উচিত 'স্পেসিফিক অর্থোপেডিক সার্জন'স রিমেডি'।

ওপেন অথবা কম্পাউন্ড ফ্রাকচারে সার্জিক্যাল প্রসিডিওর জরুরি। কিন্তু সার্জারির পর ক্যালেন্ডুলা ২০০ প্রয়োগে দ্রুত ক্ষত শুকাতে সাহায্য করবে। নার্ভ ইনজুরিতে হাইপেরিকাম ব্যবহার করা যেতে পারে।

জর্জ ভিথুলকাস, গ্রিস, এবং ডিওনিসিস সিনযাস, অর্থোপেডিক সার্জন, এগ্রিনিয়ন জেনারেল হাসপাতাল, এগ্রিনিয়ন, গ্রিস সম্মিলিতভাবে হাড়ভাঙা রুগীদের চিকিৎসায় সিম্ফাইটাম ৩০, দৈনিক ১ বার ১ম ১০ দিন, অতঃপর সিম্ফাইটাম ২০০ প্রতি সপ্তাহে ১ বার পরবর্তী তিন সপ্তাহ প্রয়োগ করে প্রমান করেন যে, সিম্ফাইটাম দ্রুত,সুষ্ঠুভাবে হাড় জোড়া লাগতে সাহায্য করে।

একই সাথে অনেকগুলো হাড়ে ফ্রাকচার হলে সাইলিশিয়া প্রয়োজন হয় (হাড়ের দৃঢ়তা ও রোগীর মনোবল ফিরিয়ে আনতে)।

বয়স্ক ও শিশুদের হাড়ভাঙা চিকিৎসা একই। তবে অনেক সময় Bettered Child Syndrome (BCS) দের হাড় জোড়া লাগার পর স্ট্যাফিসেগ্রিয়া ০/১ কিছুদিন প্রয়োগ করতে হবে।

পাঁজরের হাড় ফ্রাকচার হলে, যদি দেখা যায় সামান্য নড়াচড়া বা এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসেও রুগী ব্যথা পাচ্ছে, তাহলে ব্রায়োনিয়া প্রয়োগ করতে হবে।

বৃদ্ধদের কেইসে, সিম্ফাইটাম প্রয়োগের পরও হাড় জোড়া লাগতে দেরি হলে ক্যালসিয়াম ফসফেটের প্রয়োজন হবে। এটি ক্যালাস ফরমেশন ও ক্যালসিফিকেশনে সাহায্য করবে।

#নোট:
হাড় ভাঙার ব্যথা দূর করতে আর্নিকা অতুলনীয়। কঠোর পরিশ্রমী এথলেটগণ তাদের যেকোন ছোটবড় ইনজুরিতে আর্নিকা ব্যবহার করে থাকেন।

হাড়ের আবরকের ইনজুরিতে রুটার প্রয়োজন হয়।

হাড় পুনঃস্থাপন না করে সিম্ফাইটাম প্রয়োগ উচিত নয়।

হাড় জোড়া লাগার পরও দীর্ঘদিন ভাঙা হাড়ে ব্যথা থাকতে পারে। কোনভাবেই ব্যথা না কমলে, এমনকি প্রচলিত চিকিৎসায়ও ব্যথা না কমলে, বেলিস পার মাদার টিংচার বাহ্যিক প্রয়োগে ব্যথা উপশমলাভ করে।

বেলিস পার টিংচার বাহ্যিক প্রয়োগ ব্যর্থ হলে রুটা টিংচার বাহ্যিক প্রয়োগের পরামর্শ দেন ফারুক জামশেদ মাস্টার।

#চোখের আঘাত ও কালশিটে দাগ:

চোখের আঘাত, আঘাতের ফলে কালশিটে দাগ, আঘাতজনিত ক্ষতকর ব্যথা প্রভৃতি সামনে এলে প্রথমেই আর্নিকার কথা মনে পড়ে।
রক্ত শোষণ বা এবজরভ করার জন্য এক কথায় আর্নিকার চেয়ে উত্তম মেডিসিন নেই (এ কারনেই স্ট্রোকের পর সর্বপ্রথম আর্নিকা প্রয়োগ করা হয়)। আঘাতজনিত ব্যথা দ্রুত উপশমে আর্নিকা অদ্বিতীয়। দ্রুত ফলাফলের জন্য আর্নিকা বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিন প্রয়োগ শ্রেয়।

যদি ব্যথা হাড়ের গভীরে অনুভূত হয় তাহলে রুটা প্রয়োগ করতে হবে। আর্নিকা, রাসটক্স অথবা রুটাতে দ্রুত রেজাল্ট না আসলে কোনিয়াম প্রয়োগ করা যেতে পারে।

আঘাতজনিত স্থানে পুঁজ দেখা দিলে কয়েকডোজ হিপার সালফ প্রয়োগে পুঁজ বেরিয়ে আসবে।

আঘাত ছাড়াই শরীরের কোন স্থানে সার্বক্ষণিক ক্ষতকর ব্যথা অনুভূত হলে এসিড সালফকে বিবেচনায় আনতে হবে।

চোখে ঘুসি লেগে বা টেনিস বল পড়ে কালশিটে দাগ পড়লে #সিম্ফাইটাম # নং ১ রিমেডি হিসেবে বিবেচ্য হবে, এবং লিডাম # নং ২
আর্নিকার পরে লিডাম ভালো কাজ করে।
আঘাতের সাথে চক্ষুগোলকে ব্যথা হলে সিম্ফাইটাম প্রয়োগ করতে হবে।

রাগজনিত কারনে বা রাগে ফেটে পড়ার পর চোখে কালশিটে দাগ হলে স্ট্যাফিসেগ্রিয়া প্রয়োগ করতে হবে।

ডা. মুহিব্বুর রহমানের মতে আর্টিমেশিয়া আভ্যন্তরিন ও বাহ্যিক প্রয়োগ চোখের আঘাতের জন্য সেরা মেডিসিন।

আর্নিকা মন্টানা:
চোখে আঘাতজনিত রক্ত জমলে আর্নিকাকে ( ১এম বা ১০এম) অগ্রাধিকার দিন। লাথি বা ঘুসি বা আঘাত লেগে রক্তক্ষরণ। এছাড়া ভয়ানক কাশি, ভয়ানক কোষ্ঠকাঠিন্যে কোঁথানি জনিত, বাচ্চা প্রসবের সময় কোঁথানি জনিত চোখে রক্তসঞ্চয়।

আর্নিকা ব্যর্থ হলে বা কেস আর অগ্রসর না হলে নিম্নোক্ত পরিপূরক ওষুধ দিতে পারেন-

সিম্ফাইটাম:
ভোঁতা জিনিস দ্বারা চোখে আঘাত। টেনিস বল, স্নোবল, ঘুসি লেগে আঘাত।
অনেক সময় আর্নিকা না সিম্ফাইটাম দ্বিধায় পড়তে হতে পারে, এক্ষেত্রে শুরুতেই আর্নিকা দেয়া উত্তম, পরবর্তীতে প্রয়োজনে পরিপূরক সিম্ফাইটাম প্রয়োগ করা যাবে।

ইউফ্রেশিয়া:
আর্নিকা প্রয়োগের পর চোখের কনজাংটিভায় প্রদাহ, চোখে চুলকানি, হলুদাভ স্রাব থাকলে ইউফ্রেশিয়া দিতে হবে।
লিডাম:
আর্নিকা প্রয়োগের পরও চোখের পাতা লাল ও ফুলা থাকলে, প্রদাহ বর্তমান থাকলে লিডাম দিতে হবে।

সাইলিশিয়া:
আর্নিকা ও লিডাম প্রয়োগের পরও চোখ থেকে গাঢ় স্রাব নিঃসরণ হতে থাকলে সাইলিশিয়া প্রয়োগ করতে হবে।

স্ট্যাফিসেগ্রিয়া:
আঘাতের পর চোখের পাতায় টারসাল টিউমার হলে।

হ্যামামেলিস:
আর্নিকা প্রয়োগের পরও চোখের দৃষ্টিশক্তি যদি ক্ষীণ থাকে, রুগীকে চোখের পরীক্ষা করাতে হবে। এক্ষেত্রে খুব সম্ভবত চোখে বা রেটিনায় রক্তক্ষরণ জনিত কারনে এমন সমস্যা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আর্নিকা রিপিট করার দরকার নেই, বরং হ্যামামেলিস প্রয়োগ করতে হবে। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ হয়তো ব্লিডিং নিয়ে মারাত্মক দুঃশ্চিন্তা করতে পারেন, কিন্তু আপনি হ্যামামেলিস ২০০ প্রয়োগের পর মিরাকল দেখতে পাবেন।

নোটঃ
চোখে কোন কীটপতঙ্গ, ধুলি কনা অথবা কোন ফরেন বডি পড়লে কক্কাস ক্যাকটাই প্রয়োগ করতে হবে।
এক্ষেত্রে একোনাইটও প্রয়োজন হতে পারে।

চোখে আভ্যন্তরিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে skin unbroken থাকলে আর্নিকা লোশন বাহ্যিক ব্যবহার করতে হবে। এবং skin broken থাকলে হ্যামামেলিস লোশন।
আর্নিকা লোশন= আর্নিকা ১এক্স ১০ ফোঁটা ১ আউন্স বিশুদ্ধ পানিতে মিশাতে হবে।
হ্যামামেলিস লোশন= হ্যামামেলিস টিংচার ৫ ফোঁটা ১ আউন্স পানিতে মিশাতে হবে।

মাথায় আঘাত

মাথায় আঘাতের পর থেকে সমস্যা বা মাথায় আঘাতের পর থেকে আর সুস্থ হয় নি এমন কারন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মাথায় আঘাতের(পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত, মাথায় কোন কিছু পড়া, কোন কিছুর আঘাত লাগা, মাথা ফেটে যাওয়া, এক্সিডেন্ট ইত্যাদি) কুফল হিসেবে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, যেমনঃ মাথাব্যথা,জিএফআইডিএস, স্মৃতিশক্তির দূর্বলতা বা বিশৃঙ্খলা, মাথাঘোরানো, চোখে সমস্যা, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি।
লক্ষ্মণ বা রোগ যাই হোক না কেন (এমনকি মাথায় আঘাতের ফলে কোষ্ঠকাঠিণ্য হলেও) নিম্নোক্ত মেডিসিনগুলোকে অগ্রবিবেচনায় রাখতে হবে।
ঐ একই কথা, এখানে আর্নিকাকেই ১ম বিবেচনা করতে হবে।
২য় বিবেচ্য মেডিসিন ন্যাট্রাম সালফ, বিশেষ করে মাথায় আঘাতের সাথে যদি মেরুদণ্ডেও আঘাত লাগে। মাথায় আঘাত লেগে বমি হওয়া, মাথা ব্যথা, মাথাঘোড়ানো, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি। আর্নিকা যখন উপশম দিবে, ন্যাট্রাম সালফ তখন আরোগ্য দান করবে।

নার্ভের ব্যথা, উৎস থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এমন ব্যথায় হাইপেরিকাম প্রয়োগ করতে হবে।

আর্নিকা মন্টানা:
মারাত্মক হেড ইনজুরিতে শুরুতেই আর্নিকা দেয়া উত্তম। এসব কেসে প্রায় সব রুগীতেই মস্তকে রক্তক্ষরণ ঘটে। আপনি সঠিক সময়ে আর্নিকা প্রয়োগ করলে প্রায়ই মিরাকল দেখতে পাবেন।
এক্ষেত্রে লক্ষনের উপর ভিত্তি করে মেডিসিন প্রয়োগ করবেন না, তাতে প্রথম লক্ষণ যাই হোক না কেন! এমনকি দূর্ঘটনার পর রোগী অজ্ঞান হয়ে আছে, অসাড়ে প্রস্রাব করেছে, এমন কেসেও শুরুতে আর্নিকা ১০এম দিন।
এমনকি এক্সিডেন্টের পর যদি দেখতে পান যে, রুগীর মুখমন্ডল, মাথা গরম, লালচে, তৎসহ হাত পা ঠান্ডা, এবং চোখের তারা প্রসারিত, তবুও প্রথমে আর্নিকা ১০এম দিন। এ কেসে শুরুতেই বেলাডোনা দেওয়া কেবল অজ্ঞতা।
( kent 363: face discoloration red, shivering while, kent 122: heat, head, coldness of body with, kent 128: head, injuries of the head after)
এক্সিডেন্টের পর যদি রোগীতে দেখতে পান যে, রোগী জ্ঞান হারাচ্ছে, আবার পর্যায়ক্রমে জ্ঞান ফিরে পাচ্ছে, অথবা নিদ্রালু তৎসহ কিছুক্ষন একদম সজাগ থাকছে, তাহলে আর্নিকা ১০এম দিন।
(kent 90: unconsciousness, answers correctly when spoken to, but delirium & unconsciousness return at once)
ডা. ভেসেলিস রুগীতে আর্নিকা প্রয়োগের পর মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে সাবডিউরাল হেমোরেজ কমতে দেখেন (রেডিওগ্রাফে)।

পটেন্সির বিষয়ে পরামর্শ:
আইন ভঙ্গ করুন,এবং স্কাল ইনজুরিতে তাৎক্ষণিকভাবে আর্নিকা উচ্চ শক্তি(১০এম) প্রয়োগ করুন। যদি ভালো প্রতিক্রিয়া দেখতে পান, এরপর কেস রিলাপ্স হয়, তাহলে আর্নিকা ১০এম রিপিট করুন(এসব কেসে দ্রুত রিলাপ্স ঘটতে পারে)।পুনরায় নতুন রিলাপ্স দেখা দিলে আর্নিকা ৫০এম দিন, এবং প্রয়োজন হলে সিএম দিন।
আর্নিকা ব্যর্থ হলে বা আংশিক কাজ করে কেস আর অগ্রসর না হলে নিম্নোক্ত পরিপূরক ওষুধ দিতে পারেনঃ

ক) ওপিয়ামঃ
আর্নিকা প্রয়োগের পরও যদি নিদ্রালুতা বা অজ্ঞান হয়ে থাকে তৎসহ ঘড়ঘড় শব্দযুক্ত শ্বাসপ্রশ্বাস এবং মুখে ফেনা দেখতে পাওয়া যায় তাহলে ওপিয়াম প্রয়োগ করতে হবে।
এক্ষেত্রে ৩০ বা ২০০ শক্তি দেয়াই নিরাপদ।

খ) হেলিবোরাস নাইজারঃ
আর্নিকা প্রয়োগের পর যদি রোগীতে এনসেফালাইটিস বা মেনিনজাইটিস দেখা দেয় (এক্ষেত্রে নিদ্রালুতা ও খিচুনি পর্যায়ক্রমে পাওয়া যায়)

আর্নিকা প্রয়োগের পরও যদি সেরিব্রাল হেমোরেজ,হতবিহ্বলতা(stupor) বা নিদ্রালুতা বর্তমান থাকে।
(উৎকৃষ্ট উদাহরণ: ব্রেইনে সার্জারির পর)

এনসেফালাইটিস বা মেনিনজাইটিস এবং রোগী সারা দিন রাত মাথা এপাশ ওপাশ ঘুরাতে থাকে

গ) বেলাডোনাঃ

মেনিনজাইটিস, আরক্তিম মুখমন্ডল এবং চক্ষুতারা প্রসারিত, এক্ষেরে আর্নিকার পরিপূরক হিসেবে প্রথমত বেলাডোনা এবং এরপর হেলিবোরাস প্রয়োগ করতে হবে।

ঘ) ল্যাকেসিসঃ

যদি রোগী অন্য কোন ভাষায় কথা বলতে শুরু করে, এমনকি ঐ ভাষায় রোগী কোনদিনই কথা বলেনি, এমনকি পৃথিবীতে এমন ভাষার কোন অস্তিত্ব ই নাই।
অনেক সময় এরা অজ্ঞান অবস্থায় থাকে এবং উচ্চস্বরে নিজের সাথে কথা বলতে থাকে।
অনেকসময় অজ্ঞান অবস্থায় শরীরের উপরিভাগ অনাবৃত করে রাখতে চায়।

ঙ) হায়োসিয়ামাসঃ

অজ্ঞান অবস্থা, সর্বদাই লজ্জাস্থানে হাত রাখে, বা লজ্জাস্থান হাত দিয়ে ধরে, অথবা উলঙ্গ হতে চায়। প্রলাপ।
এক্সিডেন্টের গুরুতর রোগী যখন নোংরা অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে তখন হায়োসকে বিবেচনা করতে হবে।
অনেক সময়, রোগী অজ্ঞান হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে নোংরা ভাষা ব্যবহার করে।

চ) স্ট্র্যামোনিয়ামঃ

ওপিয়াম, হেলিবোরাস, হায়োস প্রয়োগের পর → রোগী দেখতে হিংস্র, কপাল কুঁচকানো, এমতাবস্থায় স্ট্র্যামো দিন।

ছ) হাইপেরিকামঃ

আর্নিকায় ভালো কাজ হয়েছে, কিন্তু এখনো মারাত্মক দাঁতে ব্যথা, অথবা দাঁত ভেঙে গিয়েছে, এক্ষেত্রে হাইপেরিকাম দিন।

জ) একোনাইটঃ

মৃত্যু ভয়, মারাত্মক ইমোশনাল সমস্যা, ভয় তৎসহ শরীরে কাপুনি, বুক ধড়ফড়ানি ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে একোনাইট ১এম বা ১০ এম দিন।

ঝ) ইপিক্যাকঃ

আর্নিকা প্রয়োগের পর রোগী ভালো আছে কিন্তু বিরামহীনভাবে বমি শুরু হয়েছে। পানিশূন্যতা রোধের জন্য ইপিক্যাক দিন।

ঞ) ভিরেট্রাম এলবঃ

আর্নিকার পর→ ডায়রিয়া +বমি+ অস্থিরতা।

ট) মার্কসলঃ

দূর্ঘটনার পর→ তোতলামি + মুখ থেকে লালা পড়ে+ মুখে দুর্গন্ধ।

ঠ) ফসফরিক এসিডঃ

আর্নিকার পর→ রোগী সবকিছুর প্রতি উদাসীন এবং মারাত্মক ভুলমনা।

ড) ন্যাট্রাম সালফঃ

আর্নিকা প্রয়োগের ৬ মাস পরেও যদি দূর্ঘটনার রেশ থেকে যায় এবং রোগী বিষন্ন।
আঘাত পরবর্তী ক্রনিক সমস্যা।

ঢ) সিকুটা ভিরোসাঃ

মাথার ইনজুরির দীর্ঘ সময় পর রোগীর শিশুসুলভ আচরণ।
মাথায় আঘাতের পর থেকে মাথা ঘুরানো, কিন্তু ন্যাট্রাম সালফ কাজ করছে না।

ণ) প্লাম্বামঃ

আর্নিকার পর → ভুলমনা এবং ব্রেইন সেলে ডিজেনারেটিভ পরিবর্তন।

নোটঃ

এক্সিডেন্ট পরবর্তী হেলিপ্লেজিয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আরোগ্যলাভ প্রত্যাশা অমূলক। অনেকসময় লক্ষণাবলীর সুন্দর উপশম দেখতে পাবেন।
কোন শিশু পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেলে আর্নিকা ১এম দিতে পারেন। এমনকি তারা অজ্ঞান না হলেও। মাথায় আঘাত পরবর্তী আর্নিকা প্রয়োগ ক্ষতিকারক নয়, বরং রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম, বিপরীতে আর্নিকা না দেয়ার ফলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
হাসপাতালের নিউরোলজি ডিপার্টমেন্ট বা এমারজেন্সি ডিপার্টমেন্টে উপরোক্ত মেডিসিনের ব্যবহার হতে পারে।

বার্সাইটিসঃ

বার্সার প্রদাহ, ফুলা বা ইরিটেশনকে বার্সাইটিস বলে।
মানবদেহে প্রায় ১৬০ টি বার্সা রয়েছে। অস্থিসন্থির উপরিভাগে লুব্রিকেটিং ফ্লুইড সহ যে থলির মত দেখতে পাওয়া যায় সেটিই মুলত বার্সা। টেন্ডন, পেশি ও হাড়ের মধ্যবর্তী গদি বা কুশন হিসেবে বার্সা কাজ করে। আমাদের হাঁটাচলা, দৌড়াদৌড়ি, নড়নচড়নের সময় ঘর্ষণ কমানোর জন্যই মুলত বার্সার অবস্থান।
যখনই বার্সার প্রদাহ ঘটে তখন উক্ত সন্ধির নড়নচড়ন খুব ব্যথাকর হয়ে ওঠে।
বার্সাইটিস সাধারণত শোল্ডার, এলবো, এঙ্কেল, হাটু,পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে হয়ে থাকে।

কারনঃ

শারীরিক পরিশ্রম, যেমনঃ খেলাধুলা, ভারী বস্তু উত্তোলন ইতাদি
আঘাত
বার্ধক্য
ইনফেকশন
বিভিন্ন রোগ, যেমনঃ গাউট,রিউমাটয়েড আর্থাইটিস ইত্যাদি।

লক্ষণঃ
আক্রান্ত জয়েন্ট-
ফুলা এবং লালচে বর্ণ ধারন
ব্যথা
নড়নচড়নে বা চাপে ব্যথার বৃদ্ধি

ডায়াগনোসিসঃ

ফিজিক্যাল এক্সাম
দৈনন্দিন কাজকর্মের ইতিহাস ও সাম্প্রতিক আঘাতের ইতিহাস জানা।
ল্যাব টেস্টঃ
সিবিসি
বার্সা থেকে ফ্লুইড কালেকশন করে পরীক্ষা
আলট্রাসনোগ্রাফি
এক্সরে
এমআরআই

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

বার্সাইটিসের প্রধান মেডিসিন এপিস মেল।
রুটা, বেলিস পার, রাস টক্স, ব্রায়োনিয়া, সাইলিয়াও প্রয়োজন হতে পারে।
সাধারণত চিকিৎসার শেষের দিকে আরোগ্য গতি তরান্বিত বা সমাপ্ত করতে সাইলিশিয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

এপিস মেলিফিকাঃ
প্রধান নির্দেশকঃ তরুন প্রদাহ(ডি/ডিঃ বেল,একোনাইট)

জ্বালাকর, বিদ্ধকর,পরিবর্তনশীল ব্যথা
তাপ প্রয়োগে বৃদ্ধি,স্পর্শে বৃদ্ধি (এমনকি সামান্যতম স্পর্শে)
বিকেল ৪-৬ টায় বৃদ্ধি
ঠান্ডা প্রয়োগে,সতেজ বাতাসে উপশম।

নোটঃ
জ্বালা + বিদ্ধকর হুলফুটানো ব্যথা = এপিস
জ্বালা + চুলকানি = সালফার
জ্বালা + ক্ষতকর ব্যথা = কস্টিকাম

রুটা গ্র্যাভিওলেনসঃ
আর্নিকা + রাস টক্সের লক্ষন, লিগামেন্ট ও পেরিঅস্টিয়াম সম্পর্কিত লক্ষন।
আঘাত→আড়ষ্টতা→ভারবোধ
টেন্ডন ও পেরিঅস্টিয়ামে ব্যথা।
ঠান্ডায়, বিশ্রামে বৃদ্ধি, নড়চড়ায় উপশম
অবস্থান পরিবর্তনে উপশম।

বেলিস পেরেনিসঃ

আর্নিকার চেয়ে গভীরে ক্রিয়াশীল।

অতিরিক্ত পরিশ্রম হেতু ক্ষতকর ব্যথা
স্পর্শে, হঠাৎ শীতলীকরনে বৃদ্ধি
ঠান্ডায় উপশম ( রাস টক্স!)
চলমান নড়াচড়ায় উপশম

রাস টক্সিকোডেন্ড্রনঃ
হিউম্যান ব্যারোমিটার।

শারীরিক অস্থিরতা
সন্ধির মারাত্মক আড়ষ্টভাব তৎসহ ক্ষতকর ব্যথা
জ্বালাকর ব্যথা, গুলি করার মত ব্যথা, টেনে ধরার মত ব্যথা
বৃদ্ধিঃ বিশ্রামে,রাতে, নড়াচড়ার শুরুতে, কতক্ষণ টানা হাঁটাচলা করার পরে, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে, ঝড়ের পরে।
উপশমঃ নড়াচড়া, ধীরে নড়নচড়ন, অঙ্গমর্দন, দক্ষতার সহকারে হস্ত চালন, তাপে, শুষ্ক গরম আবহাওয়া, অবস্থানের পরিবর্তন।

ব্রায়োনিয়া এলবাঃ
ব্রাই ইজ ড্রাই!
প্রধান নির্দেশকঃ পুরাতন প্রদাহ।

সামান্যতম নড়াচড়াও বৃদ্ধি, এমনকি চোখের পাতার নড়নচড়নেও!
রাত ৯ টায় বৃদ্ধি
গভীর শ্বাস নিলে
হালকা চাপে বৃদ্ধি
উপশমঃ বিশ্রামে, পরিপূর্ণ বিশ্রামে, জোরে চাপ দিলে, ব্যথাযুক্ত পার্শ্বে শয়নে।

স্পোর্টস ইনজুরিঃ

তরুন আঘাতের ক্ষেত্রে ৪ ঘন্টা ব্যবধানে একই ওষুধের ৩০,২০০ ও ১এম প্রয়োগ করা যেতে পারে। এ কার্যকরী অবিনব পদ্ধতিতে ডাঃ পিয়েরে স্মিথ ওষুধ প্রয়োগ করতেন।

(নোটঃ
তাৎক্ষণিক উপশম কিন্তু ক্ষনস্থায়ীঃ একিউট কেইসে যদি তাৎক্ষণিক সাময়িক উপশমের পর তীব্র বৃদ্ধি দেখতে পান, এ দ্বারা বুঝা যায় যে রোগের প্রদাহিত অবস্থা বেশ ভয়ানক এবং দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্র খুব জরুরি। এক্ষেত্রে একই মেডিসিন অপেক্ষাকৃত উচ্চ শক্তিতে ঘনঘন প্রয়োগ করতে হবে, যেমনঃ ৩০ থেকে ২০০, ২০০ থেকে ১০০০ ইত্যাদি।)

স্কিইং
এঙ্কেল জয়েন্টের মচকানির ক্ষেত্রে আর্নিকা,রাস টক্স,রুটা প্রয়োজন হবে। ক্রনিক কেইসে স্ট্রনসিয়াম কার্ব
ফ্রাকচার হলে,প্রথমে আর্নিকা, এরপর হাড় পুনঃস্থাপনের পর সিম্ফাইটাম।

বক্সিং
শকঃ আর্নিকা ১০এম
পূর্বানুমান থেকে ভয়ঃ জেলসেমিয়াম ৩০
চোখে কালশিটেঃ সিম্ফাইটাম( #১), লিডাম, আর্নিকা
আঘাতঃ আর্নিকা, পেরিঅস্টিয়ামে আঘাত লাগলে রুটা
হাতের আঙুলে আঘাতঃ প্রধানত হাইপেরিকাম
মাথায় আঘাতঃ আর্নিকা ১০এম, ব্যাকআপ হিসেন ন্যাট্রাম সালফ।আঘাতের পর খিঁচুনি হলে সিকুটা। (বিস্তারিত 'হেড ইনজুরি' চ্যাপ্টার দেখুন)
নাক দিয়ে রক্তপাতঃ আর্নিকা, ফেরাম ফস, ভাইপেরা
পায়ের মাংসপেশিতে কামড়ানি ব্যথাঃ পূর্বের দিনঃ কুপ্রাম মেট ২০০
বুকে হৃদপিণ্ড বরাবর আঘাতঃ আর্নিকা, ক্যাকটাস(বুকে চাপ ও সঙ্কোচনবোধ)

ফুটবলঃ
মচকানো বা রগে টানঃ রাস টক্স, রুটা।
ক্রনিকে স্ট্রনসিয়াম কার্ব।
নরম অংশে লাথি বা ব্যথাঃ আর্নিকা, রাস টক্স,কোনিয়াম, রুটা।
খেলার পূর্বে আর্নিকা কয়েকডোজ।
সাইনোভাইটিসঃ রুটা
জয়েন্টের স্থানচ্যুতিঃ রাস টক্স, আর্নিকা।
আঘাতঃ আর্নিকা
টেন্ডিনাইটিসঃ রুটা, এনাকার্ডিয়াম, রাস টক্স।

টেনিস/ক্রিকেট/ভলিবলঃ
মাংসপেশির ব্যথা,মচকানো, রগে টানঃ আর্নিকা, রাস টক্স
সরাসরি মাথায় আঘাতঃ আর্নিকা, ন্যাট সালফ
পায়ে লাথি লাগা বা র‍্যাকেট থেকে আঘাত লাগাঃ আর্নিকা, রুটা
সানস্ট্রোকঃ গ্লোনইন
চোখে টেনিস বল লাগাঃ সিম্ফাইটাম, হাইপেরিকাম
টেনিস এলবোঃ রুটা, রাস টক্স, বেলিস পেরেনিস
লজ্জাস্থানে আঘাত লাগাঃ আর্নিকা, হাইপেরিকাম
হাটুতে আঘাতঃ রুটা, সিম্ফাইটাম

পর্বতারোহীদের জন্যঃ
ফ্রোস্টবাইটঃ এগারিকাস( #১)
উঁচু স্থান জনিত অসুস্থতাঃ কোকা, কার্বো ভেজ।
পাহাড়ে উঠার আগের দিন থেকে কোকা বা কার্বো ভেজ কয়েকডোজ সেবনে উঁচু স্থানে আরোহন হেতু মাথাব্যথা, মাথাঘুরানি,শ্বাসকষ্ট, চরম দূর্বলতা প্রতিরোধ সম্ভব।
সানবার্ণঃ ক্যান্থারিস
সানস্ট্রোকঃ গ্লোনইন

Dr. Billigmann, Sports doctor
Head, Koblenz Institute for Performance Diagnostics and Sports Medicine, Germany
Jean-Marcel Ferret, Sports doctor,French soccer team(1993 to 2004),France
David Robert Joseph Beckham (২০০২ ওয়ার্ল্ড কাপ খেলায় পা ভেঙে গেলে হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করেন।)
Marko Pantelic, Serbian Football Player
James Ellington, British Olympic sprinter and 2nd fastest sprinter in UK
(তিনি নিয়মিত রুটা, আর্নিকা, জেলস প্রয়োজনবোধে সেবন করেন)
Linford Christie, 1992 Barcelona Olympic 100m sprint Champion
(তিনি আর্নিকা মন্টেনার ফ্যান)
Jim Rogers (Olympic sprinter), Louise Hazel(heptathlon), Martina Navratilova(tennis), Boris Becker(tennis),
Annabel Croft (Tennis),Jayne Torvill(skating), Philippe Lageyre(sports doctor,Rugby team),Will Greenwood( Rugby player,UK),Kate Schmidt,Zaheer Khan(Cricketer),Jose Maria Olazabal(Golf), Nancy lopez(Golf), Elvis Stojko,Sonja Johnson, Paul O’Neill (New York Yankee), Kelly Slater (surfing), Arnie Kander (Strength and Conditioning Coach, NBA Detroit Pistons), David Moncoutié (cyclist), Pat Riley (basketball coach, Miami Heat), Hermann Maier (skiing), Misty Hyman (swimming), Marie-Hélène Prémont (mountain biking)
সহ জগৎ বিখ্যাত বিভিন্ন খেলোয়াড় তারকা, স্পোর্টস ডক্টরগন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ব্যবহার করে থাকেন।

★★★নোটঃ ২০০৮ সালের একটি ম্যাগজিনের সমীক্ষা মতে, জার্মানির ফুটবল টিমগুলোতে ৯২.৩% চিকিৎসক (২৬ জনের মধ্যে ২৪ জন) ৭৬% ফুটবল ক্লাবে হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ব্যবহার করে থাকেন।

★★★ Sterculia Q সেবনে খেলোয়াড়দের স্ট্যামিনা বৃদ্ধি পায়। এবং এটি World anti doping agency( WADA) কর্তৃক নিষিদ্ধ নয়।

(রেফারেন্সঃ
Peak Performance, PP 214, page 1
Journal of Sports Medicine and Physical Fitness 1990; 30(3):316-28
German Soccer Stars uses homeopathic medicine
Professionals rely on Natural Medicine
Dana Ullman, Homeopathic Revolution: Why Famous People and
Cultural Heroes Choose Homeopathy, p.89-90.
Homeopathic healing: The stars who swear by alternative medicine
Homeopathy Awareness Week 2012
Homeopathy in Sport
Homeopathy Works. We should know, we use it
Closer magazine, 24-30 January 2009, p73
Homeopathy in Medicine
Homeopathy Awareness Week 2012
Nelson goes for gold in Homeopathy Awareness Week
Zaheer Khan takes to homeopathy
DZS (2009) Individuell trainieren – Prof.Dr. P. Billigmann im Interview zum Thema Fussball
Medical tribune (2004) Professor Billigmann stärkt Sportler homöopathisch
Performance improvement with homeopathy
Annabel Croft: Why I have come to rely on homeopathic medicine
Olympic success helped with homeopathy
A champion’s approach to sports medicine
Serbian Footballer Steps Forward in Supporting Homeopathy
Q&A on Athletes and Medications: What about homeopathic products and alternative medicine?
Materia Medica of common remedies for sports-injuries
Enhancing performance – is it possible with Homeopathy?
Homeopathy 360
Musculoskeletal disease, Luc Dee Schpper
Remedies in Traumatology, Med.Vassilis Ghegas)
Copy:-Dr,Aslam

23/04/2025

Alumina- র রোগী ঋতু কালে এত দুর্বল হয় যে দাঁড়াতে পারে না এবং সাদাস্রাব এত বেশি হয় যে গোড়ালি পর্যন্ত গড়িয়ে পড়ে।

22/04/2025

বা কাতে ঘুমানোর অভ্যাস-ব্রায়ো,ক্যালকে,চায়না,আইরিস,কেলি আর্স,নেট-সা,ফস,সিপিয়া,সালফ।

21/04/2025

রোগী যে পাশে চাপিয়া শুয়ে থাকে সে পাশের নাক বন্ধ হইয়া যায় -টিউক্রিয়াম।

20/04/2025

মেরু মজ্জার পক্ষাঘাত-একোনাইট,জেলস, ক্যালকেরিয়া কার্ব, নাক্স, আর্সেনিক, কষ্টিকাম, ওপিয়াম সালফার।

19/04/2025

মলত্যাগের পর অসহ্য যন্ত্রনা-একোন,ইগ্নেসিয়া,মিউরিয়েটিক এসিড,এসিড নাইট,থুজা।

Address

1st/Rehan Uddin Buiyan Sorok, 6 No Word, Lakshmipur Pouroshova. 2nd-Bovanigong Chorasta Sumon Shopping Complex
Lakshmipur
3700

Telephone

+8801725392631

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সমবিধান হোমিও হেলথ ক্লিনিক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to সমবিধান হোমিও হেলথ ক্লিনিক:

Share

Category