Umme Fatima

Umme Fatima on a mission—writing, reflecting, and growing for the sake of Allah.

আমার কণ্যা মাশা-আল্লাহ খুবই চঞ্চল। একটা না একটা দুষ্টুমি করতেই থাকে সারাক্ষণ। তাকে আমি স্ক্রিনটাইম দিই না—এটা আমার সচেতন...
17/05/2025

আমার কণ্যা মাশা-আল্লাহ খুবই চঞ্চল। একটা না একটা দুষ্টুমি করতেই থাকে সারাক্ষণ। তাকে আমি স্ক্রিনটাইম দিই না—এটা আমার সচেতন সিদ্ধান্ত। তাই তাকে সামলে রাখাটাও মাঝে মাঝে অনেক কষ্টের হয়ে যায়।

বাড়িতে দাদা-দাদি, ফুপি সহ অনেকেই আছে তার খেয়াল রাখার জন্য। সবার সাথেই সে সময় কাটায়, খেলাধুলা করে, মজা করে। কিন্তু তবুও মা হয়ে মাঝে মাঝে মনে হয়—
"আমি কি সময়টা ঠিকভাবে দিতে পারছি?"
"আমার ব্যস্ততার ফাঁক গলে সে কি বড় হয়ে যাচ্ছে?"

আমরা অনেকেই মনে করি পাশে থাকলেই বোধহয় সময় দেওয়া হয়। কিন্তু সময় দেওয়ার মানে শুধু শরীরিক উপস্থিতি না, বরং মানসিক উপস্থিতিও। সে মায়ের চোখে তাকিয়ে যত্ন খোঁজে, কথার মাঝে ভালোবাসা খোঁজে।

শিশুদের চঞ্চলতা, দুষ্টুমি—সবই স্বাভাবিক। এগুলো থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা নয় বরং তাদের সাথে সময় কাটিয়ে, মজার গল্প বলে, ভালোবাসার বন্ধনে বেঁধে রাখাটাই সবচেয়ে জরুরি।

যারা আমাদের মতো মায়েরা এই প্রশ্নে ভোগেন—“আমি কি যথেষ্ট সময় দিচ্ছি?”
আপনাদের বলি,
এই প্রশ্নটাই প্রমাণ করে, আপনি চেষ্টা করছেন।
আর সেই চেষ্টার মাঝেই লুকিয়ে আছে সবচেয়ে বড় ভালোবাসা।

আপনার ছোট্ট চঞ্চল বাচ্চার কোন দুষ্টুমিটা সবচেয়ে মনে পড়ে? চলুন শেয়ার করি!

সন্ধ্যার পর খেলতে খেলতে ব্যান্ডটা ড্রেসিং টেবিলের ওপর থেকে হাতে নিল। একা একা কতক্ষণ পড়তে চেষ্টা করল। অবশেষে আমি পড়িয়ে দি...
15/05/2025

সন্ধ্যার পর খেলতে খেলতে ব্যান্ডটা ড্রেসিং টেবিলের ওপর থেকে হাতে নিল। একা একা কতক্ষণ পড়তে চেষ্টা করল। অবশেষে আমি পড়িয়ে দিলাম। এখন ঘুমাবে তাই বিছানায় এনে ব্যান্ড খুলে পাশে রেখে তাকে আমি খাওয়াতে চাই।সে কিছুতেই ব্যান্ড না পড়ে খাবে না। যাক,আবারও পড়িয়ে দিলাম। এখন খেয়ে ঘুম! মনে মনে ভাবলাম, এই না হলে মেয়ে মানুষ!🤣🤣

একটা কথা বলাই হলো না! কুটুমুটুু পুকি ব্যান্ডটা তিনি তার এক আপার কাছ থেকে গিফট পেয়েছে। তার আপা(দাদী) নিজ হাতে বানিয়ে দিয়েছে।
আল্লাহ আমার কন্যাকে ভাল রাখুক।তার ভালবাসার মানুষগুলোকেও ভাল রাখুক!

মা হওয়া মানে শুধু বাচ্চার খাওন-ঘুম না, মা হওয়া মানে নিজের ভেতর একটা নতুন মানুষ গড়ে তোলা… নিজেকেও।একটা সময় ছিল, যখন তুমি ...
14/05/2025

মা হওয়া মানে শুধু বাচ্চার খাওন-ঘুম না, মা হওয়া মানে নিজের ভেতর একটা নতুন মানুষ গড়ে তোলা… নিজেকেও।

একটা সময় ছিল, যখন তুমি সকালে উঠে নিজের জন্য চা বানাতে পারতে, আর এখন? ঠান্ডা হয়ে যাওয়া কাপটা হাতে নিয়ে ভাবো—"আচ্ছা, আজকে কি আমি কিছুই করিনি?"

কিন্তু জানো? তুমি করেছো—একটা ছোট মানুষকে শান্ত করেছো, তার কান্নার মানে বুঝেছো, তার চোখে ভরসা দেখেছো।

এই ছোট ছোট কাজগুলোর মাঝে আছে অনেক বড় মূল্য। এগুলো ইবাদত, এগুলো ধৈর্যের পরীক্ষা, আর প্রতিদিনের না-দেখা জয়।

তাই হতাশ হয়ো না। আজ যেটা কঠিন লাগছে, কাল সেটাই হবে তোমার গর্ব। তুমি শুধু এগিয়ে চলো… আল্লাহ তোমার সাথে আছেন।

Allah knows about all your efforts & that's enough!

আমার সন্তানের মুখটা যখন দেখি, মনে হয়—আল্লাহ আমাকে কী অপার রহমতই না দিয়েছেন!এই ছোট্ট হাত, নিষ্পাপ চোখ, আমার জীবনের সবচেয়ে...
13/05/2025

আমার সন্তানের মুখটা যখন দেখি, মনে হয়—আল্লাহ আমাকে কী অপার রহমতই না দিয়েছেন!
এই ছোট্ট হাত, নিষ্পাপ চোখ, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় নিয়ামত।

কিন্তু কখনো কখনো মনে পড়ে—এই নিয়ামত একদিক থেকে আমার জন্য পরীক্ষাও বটে।
ছোট্ট বাচ্চাটা কান্না করলে,খেতে না চাইলে, ঘুমাতে না চাইলে তখন ধৈর্য ধরে তাকে সামলানোটা এক বিরাট পরীক্ষা। একই কাজ কয়েকবার করতে হয়, ছোট্ট জান বাচ্চাটার জন্য।হয়তো কেবল ঘরটা গুছিয়েছি, এর মাঝেই আবার নোংরা করে ফেলল, পানি ফেলে নিজেও ভিজল,ঘরের মেঝেও ভাসিয়ে দিল। কত কি যে করে! তারপরও তার প্রতি ধৈর্য রেখে ভালবেসে তাকে সামলাতে হয়, প্রতিটি দিন পার করতে হয়।

চোখের পলকে দিন চলে যায়। ছোট্ট বাচ্চাটা বড় হতে থাকে। মায়েদের ও ধৈর্যের পরীক্ষা, আমানত রক্ষার দায়িত্ব বাড়তে থাকে। দিনদিন ঘর সামলানোর সাথে সাথে বাচ্চার চরিত্র গঠন, আক্বিদা শিক্ষা দান থেকে শুরু করে জীবনের প্রতি ধাপে ধাপে তাকে নিয়ে চলে এক কঠিন পরীক্ষা।
তখন আল্লাহ আমাকে পরীক্ষা করেন—আমি কেমন আমানতদার?

আমি ক্লান্ত হই,ভেঙে পড়ি। কিন্তু আবারও শক্তি পাই। সেই ছোট্ট মুখটার দিকে তাকিয়ে শান্তি পাই। আমার মনে পড়ে কুরআনের এই আয়াত,
“নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদেরই পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে হিসাব ছাড়া।” (সূরা যুমার: ১০)

আমরা অনেকেই সন্তানকে শুধু ভালোবাসার জায়গা থেকে দেখি, কিন্তু ভুলে যাই—তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া এক মহা দায়িত্ব।
যেমন আমরা কুরআনকে, নামাজকে, ইমানকে রক্ষা করি— সন্তানের এই আমানতও আমাদের তেমনই যত্নে রাখতে হবে।

তাদের লালন-পালন মানে শুধু খাওয়া আর ঘুম পাড়ানো নয় বরং চরিত্র, ঈমান, আখিরাতের পাথেয় গঠনও।

প্রতিদিন আমি শিখছি। ভুলও করি। কিন্তু চেষ্টা করছি—এই ছোট্ট আমানতটা যেন আখিরাতে আমার জন্য সফলতার কারণ হয়, ব্যর্থতার নয়।

আমি জানি,ধৈর্যের ফল বৃথা যাবে না। আমার সন্তান আমার জন্য এক পরম পাওয়া,দায়িত্ব, আমানত এবং একই সাথে পরীক্ষা ও। তার সাথে আমার পথচলা হবে এক আল্লাহর সন্তুষ্টির খোঁজে।

05/05/2025

নিজের যত্ন নিন। নিজেকে ভালবাসতে শিখুন।আপনি ভাল থাকলে,আপনার সন্তান ভাল থাকবে।
এটা একটা win win গেমের মতোই লাগে আমার কাছে।

নাওয়া খাওয়া ভুলে বাচ্চা সামলাতে গেলে উল্টো বিপদে পড়বেন। আপনি না খেলে দূর্বল হয়ে যাবেন,তখন অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে থাকলে বাচ্চার কি হবে? কেউ কি আপনার মত করে তার টেইক-কেয়ার করতে পারবে? কখনোই না।

যত ঝামেলাই থাকুক, যাই হোক না কেন নিজেকে সামলে নেয়া শিখে নিন।আপনি অনেকটা ভাল থাকবেন।সত্যি বলছি।

মি টাইম রাখবেন। বাচ্চা যখন ঘুমিয়ে থাকবে সবার আগে শান্তিমতো এককাপ চা খেতে পারেন।আয়েশ করে চা খেয়ে দু চার পাতা বই পড়বেন। যা ভাল লাগে করবেন। মোট কথা, নিজেকে ফ্রেশ ফিল করাবেন। অনেক কাজ থাকে আমি জানি।বাচ্চা ঘুমালে অনেক কাজ এগিয়ে রাখতে হয়,গুছাতে হয় সব ঠিক আছে।কিন্তু নিজের জন্য আগে সময় বের করবেন। বিশ্বাস করুন,এই সময়টা আপনাকে এনার্জি দিবে। কাজের প্রতি অনিহা আসবে না। সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট কথা কি জানেন? আপনি নিজেকে প্রতিদিন কিছুটা সময় ডেডিকেট করলে নিজেকে অনুভব করতে পারবেন। ভাল থাকতে শিখবেন। আপনি ভাল থাকলে বাচ্চারাও ভাল থাকবে।

নিজেকে সময় দিন।
নিজেকে ভালবাসুন।
আত্মবিশ্বাসী হয়ে সামনে এগিয়ে যান।

04/05/2025

মা হওয়া মানে শুধু ঘুমহীন রাত নয়, বরং এটি একটি আমানত, একটি ইবাদত। তুমি যখন তোমার সন্তানের মুখে হাসি ফোটাও, তার ক্ষুধা মেটাও, তার জন্য দোয়া করো—সবকিছুই আল্লাহর কাছে সাওয়াবের কাজ।

হয়তো তুমি এখন নিজের স্বপ্নগুলোকে একটু থামিয়ে রেখেছো, কিন্তু মনে রেখো, এই সময়টাও তোমার আত্মার গঠনের অংশ। তুমি একজন মা, একজন দুআ করা মুজাহিদা। ধৈর্য ধরো, নিয়ত ঠিক রাখো—আল্লাহ তোমার চেষ্টা বৃথা যেতে দেবেন না।

হাসবুনাল্লাহ ওয়া নি'মাল ওয়াক্বিল❤️

“তুই মরতে পারিস না! তোর জন্য আমার জীবনটা শেষ!” এধরনের বাক্য আমি অনেক মায়েদের বলতে শুনেছি।কেউ কেউ আবার সন্তানকে গাধার বাচ...
03/05/2025

“তুই মরতে পারিস না! তোর জন্য আমার জীবনটা শেষ!” এধরনের বাক্য আমি অনেক মায়েদের বলতে শুনেছি।কেউ কেউ আবার সন্তানকে গাধার বাচ্চা থেকে শুরু করে আরও অশ্রাব্য ভাষায় ও কথা বলে।আচ্ছা এই বাক্যগুলো বাচ্চাটার জীবনে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে তা কি মায়েরা একটু চিন্তা করে দেখেছে?জানি না আসলে।

আপনার ছোট্ট বাচ্চাটা কোনো ভুল হয়তো করেই ফেলেছে, আপনার কাছে এসে আপনাকে বলার পর,আপনি প্রচন্ড রাগ করলেন,গালিগালাজ করলেন। রাগ, হতাশা কিংবা ক্লান্তি থেকেই হয়তো বলে ফেলেন এমন কিছু কথা, যা আপনার সন্তানের মনকে ভীষণভাবে আহত করতে পারে। হয়তো তখন বুঝতেই পারেন নি—আপনার বলা একটা তিক্ত বাক্য সন্তানের কোমল হৃদয়ে কতটা গভীর দাগ কাটে।

সে যখন মায়ের মুখে এমন কথা শোনে—সে ভাবে, সে অবাঞ্ছিত। সে বোঝে, তার জন্মে মায়ের কষ্ট হয়েছে, সে নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে।একই সাথে আপনার সাথে তার দূরত্ব তৈরি হয়। আজ আপনি যে আচরন করেছেন,তারই ফলস্বরূপ পরবর্তীতে বড় কিছু ঘটে গেলেও বাচ্চাটা ভয়ে, কষ্টে আপনাকে আর জানাবে না।
কি করবেন? মাইন্ডসেট চেঞ্জ করবেন। আপনার বুকের ধন,আপনার ভালবাসার সন্তানকে বোঝার চেষ্টা করুন। একটা সন্তান যখন ছোট থেকে মায়ের মুখে ভালোবাসার কথা শুনে, আদর পায়, সে বুঝতে শেখে—সে মূল্যবান। তার জীবনের মূল্য আছে। তার প্রতি মানুষদের আস্থা আছে।তার কনফিডেন্স লেভেল অনেক বেড়ে যায়। এই বিশ্বাসটাই তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
সে জীবনের পথে সাহস নিয়ে হাঁটে। ছোট ছোট ভুলে ভেঙে পড়ে না, বরং উঠে দাঁড়াতে শেখে।
আপনার একটি “তুমি পারবে”, “তুমি আমার গর্ব”—এই দুটি বাক্যই তার জীবনের চেহারা পাল্টে দিতে পারে।

অন্যদিকে,
রোজকার অপমান, হেয় করা, রাগান্বিত গালি—সবকিছু তাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে।
সে নিজেকে তুচ্ছ ভাবতে শেখে। সে ভয় পায় ভালো কিছু করতে। ভয়ের কারণ—‘মা যদি রেগে যায়, যদি বকা দেয়, যদি বলে সে কিছুই না।’
একটা সময় সে নিজের ভেতরেই হারিয়ে যায়। নিজেকে নিয়ে গড়ে ওঠে ঘৃণা।

মা, আপনি তার পৃথিবী।
আপনার মুখের কথা, আপনার ব্যবহারই তার আত্মার খাদ্য।আপনি যদি তাকে সম্মান করতে শেখান, ভালোবাসতে শেখান, মমতা দেখান—সে ভবিষ্যতে পৃথিবীকে ভালোবাসবে।
একটি সন্তানের জীবনে মায়ের সদ্ব্যবহার মানে একটি আলোকিত ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।

সন্তানের চোখে আপনি যেন একজন নিরাপদ আশ্রয় হন।
তার প্রতিটি ছোট বড় ভুলে আপনি তাকে বুঝিয়ে দিন—ভুল করা দোষ নয়, শেখা দরকার।
তার প্রতিটি সাফল্যে তাকে জড়িয়ে ধরুন।
আপনার কণ্ঠে থাকুক প্রেরণা। আপনার আচরণে থাকুক ভালোবাসার ভাষা।

আপনার শিশুটিও একদিন একজন মানুষ হবে। সে কেমন মানুষ হবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করে আজ আপনি তাকে কেমন আচরণে গড়ে তুলছেন তার ওপর।

শুক্রবার এলে আমি চেষ্টা করি দিনটাকে একটু স্পেশাল করতে —সুন্দর করে ঘর গুছাই, একটু ভালো রান্না করি, নিজেও পরিপাটি হই, আর ফ...
02/05/2025

শুক্রবার এলে আমি চেষ্টা করি দিনটাকে একটু স্পেশাল করতে —
সুন্দর করে ঘর গুছাই, একটু ভালো রান্না করি, নিজেও পরিপাটি হই, আর ফাতিমাকে তার কিউট জামাগুলোর একটা পড়াই।একটু সাজিয়ে দিই ওকে।
ফাতিমা এখনো খুব ছোট, স্পেশাল দিন কেন, কি করব এসব বুঝে না আমি জানি।
তবুও আমি তাকে প্রস্তুত করতে চাই — এমন এক জীবনের জন্য, যেখানে শুক্রবার মানে শুধু ছুটি না, বরং রুহানিয়াতে পূর্ণ একটি দিন।

জুমার সালাত, আসরের পর দূরূদ পড়ার বিশেষ তাগিদ,সূরা কাহফ তিলাওয়াত সব মিলে বিশেষ দিনটা বিশেষ ভাবেই পালন করার চেষ্টা করি।

বাবুর আম্মুরা, তাহলে আমরা কিন্তু শুক্রবারের জন্য একটা বিশেষ জামা রাখতে পারি বাচ্চার জন্য।নিজের জন্য স্পেশাল ড্রেস, স্পেশাল রান্না রাখতে পারি।
বাচ্চাকে জুমার দিনের দোয়ার কথা বলতে পারি গল্পের ছলে।
তাদের শেখাতে পারি ছোট্ট করে দরুদ শরীফ — “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ...”
সন্ধ্যায় বসে কুরআনের কিছু আয়াত শোনানো বা মিলাদ ধরনের কিছু পরিবেশ তৈরি করা যায়।

এসব ছোট ছোট চর্চা থেকেই তৈরি হবে বড় বড় শিক্ষা।
শুক্রবার বাচ্চার কাছে হবে ভালোবাসার, শান্তির, আল্লাহর নৈকট্যের দিন।

আমাদের চেষ্টায় এই দুনিয়ার শিশু হতে পারে পরকালের নূর।

জুম'আর মুবারাক!
আসুন, সন্তানদের সামনে ইসলামি মূল্যবোধগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরি।

যৌথ পরিবার নাকি একক পরিবার—সন্তান লালনপালনে কোনটা ভালো?এই প্রশ্নটা হয়তো আপনি নিজেও নিজের মনে করেছেন। অনেক মা আমাকে জিজ্ঞ...
01/05/2025

যৌথ পরিবার নাকি একক পরিবার—সন্তান লালনপালনে কোনটা ভালো?

এই প্রশ্নটা হয়তো আপনি নিজেও নিজের মনে করেছেন। অনেক মা আমাকে জিজ্ঞেস করেছে এই প্রশ্ন—“আপু, আপনি কী মনে করেন? আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।”

আসলে সরাসরি কোনটা ভালো বলা যায় না। এটা নির্ভর করে আপনি আপনার সন্তানকে কেমন মানুষ হিসেবে দেখতে চান, এবং আপনার আশেপাশের মানুষগুলো কেমন—তার উপরে।

যৌথ পরিবার যদি ইসলামিক হয়—তাহলে তা অনেক বড় নিয়ামত।

দাদা-দাদী, চাচা-চাচী, খালা-নানী… সবাই মিলে যে ভালোবাসা আর নিরাপত্তার একটা পরিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়, সেটা সন্তানকে মানসিকভাবে খুব স্ট্রং করে তোলে। সেখানে যদি নামাজ, ইসলামিক শিষ্টাচার, কুরআন তেলাওয়াত, হালাল-হারামের সচেতনতা থাকে—তাহলে সন্তান এমন একটা পরিবেশে বড় হবে, যেখানে দ্বীন থাকবে তার আশেপাশেই।

একজন মা হিসেবে রান্না বা অন্য কাজ সামলানোর সময় যদি কেউ বাচ্চাকে একটু কোলে নেয়, ঘুম পাড়ায়—তাতে জীবনের ভার অনেক হালকা হয়ে যায়।

কিন্তু যদি সেই পরিবার ইসলামিক আদর্শ থেকে অনেক দূরে থাকে?

তাহলে একজন সচেতন মুসলিম মায়ের জন্য ওটাই হয় সবচাইতে বড় যুদ্ধক্ষেত্র।
অনেকে বলে, “এখনো ছোট… বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে।”
কেউ কেউ ফোনে ইউটিউব ধরিয়ে দেয়, “কান্না করছিল তো! শান্ত হয়েছে তো!”
বা বলে, “এত নামাজ নামাজ করো কেন? এত ধর্ম ধুয়ে খাবে?”

সেই পরিবেশে একজন মা বুঝে যান—শুধু বাইরের যুদ্ধ না, ভেতরের যুদ্ধটা আরও কঠিন। নিজের পরিবারে ইসলামী আদর্শ ধরে রাখতে গিয়ে চুপ থাকতে হয়, কষ্ট চেপে রাখতে হয়, আবার সন্তানের মনটাও বাঁচিয়ে চলতে হয়।নিজের আমল আমলাকেও ভাটা পড়ে।

সেইখানেই একক পরিবারের মূল্য বোঝা যায়।

একক পরিবারে হয়তো আপনি একা। সব কাজ, সব দায়িত্ব আপনার। হয়তো একা রাত জেগে বাচ্চাকে ঘুম পাড়ান, আবার সকালে উঠে রান্না করেন।
কিন্তু…
আপনার বাচ্চাকে কী শিখাবেন, কী খাওয়াবেন, কোন সময়ে কী শেখাবেন—সব কিছু আপনি ঠিক করতে পারেন নিজের আদর্শ অনুযায়ী।মা বাবা দুজনই ইসলামি জীবনযাপন করলে সন্তানও একই পথে এগিয়ে যাবে। একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম হিসেবে সন্তানকে গড়ে তোলা তুলনামূলক সহজ হবে।

একজন মা যদি সত্যিই নিজের সন্তানকে আল্লাহভীরু, পর্দাশীল, দ্বীনদার হিসেবে গড়ে তুলতে চান—তাহলে তার প্রয়োজন হয় একটি সাপোর্টিভ বা অন্তত “non-interfering” পরিবেশ। কেউ যদি মায়ের দ্বীনী চেষ্টাকে কষ্ট না দেয়, তাহলে সে একাই হলেও অনেক কিছু করে ফেলতে পারে, ইনশাআল্লাহ।

সত্যি বলতে, সন্তান বড় করা মানে শুধু পড়াশোনা আর খেলাধুলা না।

ওকে তৈরি করতে হবে আখিরাতের জন্য। ওকে বানাতে হবে এমন একজন, যে আল্লাহকে ভয় করে, মানুষকে ভালোবাসে, সমাজের বোঝা না হয়ে সমাজের আলো হয়।

তাই আপনার সিদ্ধান্ত হোক আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী।

যদি বড় পরিবার দ্বীনদার হয়—তাহলে সেটা অনেক বরকতের জায়গা।

আর যদি না হয়—তাহলে একাকীত্বের কষ্ট সহ্য করেও, ধীরে ধীরে নিজের মতো করে একটা ইসলামিক পরিবেশ গড়ে তোলা উত্তম।

সবশেষে একটাই কথা, মা ইচ্ছা করলেই একা একা একটি মুসলিম প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারেন—যদি তার মধ্যে থাকে তাওয়াক্কুল, ধৈর্য আর সচেতনতা।
জয়-পরাজয় অনেক বড় কিছু না।
আল্লাহর কাছে সফল মা সেই—যে নিজের সন্তানের আখিরাত নিয়ে আন্তরিক।

এইচএসসি পরীক্ষার সময়ের একটা অলিখিত নিয়ম ছিল—পরীক্ষার দিনগুলোতে আম্মু নিজ হাতে ভাত খাইয়ে দিত। আমি বইয়ে চোখ রাখতাম, আর আম্...
01/05/2025

এইচএসসি পরীক্ষার সময়ের একটা অলিখিত নিয়ম ছিল—পরীক্ষার দিনগুলোতে আম্মু নিজ হাতে ভাত খাইয়ে দিত। আমি বইয়ে চোখ রাখতাম, আর আম্মু এক লোকমা করে ভাত তুলে দিত মুখে।
পরীক্ষা দিয়ে ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে নিজের হাতে খেতাম, কিন্তু আম্মু পাশে বসেই থাকত। গল্প করতাম—প্রশ্ন সহজ ছিল কিনা, কিছু স্পেশাল হয়েছে কিনা...
আম্মু মনোযোগ দিয়ে শুনত সবকিছু।

এখনো আমি পরীক্ষা দিতে যাই, কিন্তু এখন আর কেউ খাইয়ে দেয় না।
ভোরে উঠে রান্না করি, তাড়াহুড়ো করে কিছু মুখে দিয়ে বের হয়ে যাই।
রাত জেগে পড়ি, সকাল থেকে দৌড়ঝাঁপ।

সব কিছু মেনে নিয়েছি। খারাপ লাগার সময়ই হয় না।
কিন্তু কেউ কাউকে খাইয়ে দিতে দেখলে ভেতরটা কেমন করে ওঠে। বুক ফেটে যায়—আম্মুর কথা মনে পড়ে যায় খুব।

কষ্ট পাই না, এটা বাস্তবতা।
মেয়েদের বিয়ের আগের আর পরের জীবনের হিসেব কখনোই মিলে না।
আর মেলানোর দরকারও নেই।
আমার আম্মুও তার মায়ের কাছে কত্ত আদুরে ছিল। আমিও আমার মায়ের কাছে আদুরে ছিলাম, আছি,থাকব।কিন্তু তারপরও সময়ের সাথে সাথে
এখন নিজের সব দায়িত্ব নিজেই নিচ্ছি,
নিজেই মা হয়ে উঠেছি...

কিছুদিন পর আমার ছোট্ট মেয়েটাও স্কুলে যাবে, ফিরে এসে আমায় গল্প শোনাবে।
আর আমি? আমি মন দিয়ে শুনব, যেমন আমার মা শুনতেন।

সময় থেমে থাকে না।
আমি থেমে গেলেও সে থামে না।
ফিজিক্সে ‘আপেক্ষিকতা’ পড়েছিলাম, মাথায় ঢোকেনি।
এখন বুঝি—জীবনের প্রতিটি পদে তা কতটা সত্যি।

সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না।
আর আমরাও আর আগের সেই আমরাই থাকি না।
শুধু অভ্যাস, সম্পর্ক, দায়িত্ব—সব আপেক্ষিক হয়ে ওঠে।
কিন্তু ভালোবাসার সেই আদরটা, স্মৃতিটা ঠিকই বুকের ভিতর থেকে যায়... চিরকাল।

Address

Manikganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Umme Fatima posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram