Dr.Tanvir Ahmed

Dr.Tanvir Ahmed Primary care provider
Video and telemedicine

24/08/2024
25/08/2022

একটি দম্পতি মধ্যরাতে একটি প্রোগ্রাম থেকে বাড়িতে ফিরলেন, তারা আসার পর কেবল বাড়ির আশেপাশের গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলো। তাই তারা সন্ধান করছিলো।
লোকটি রান্নাঘরে গিয়ে তীব্র গন্ধ সনাক্ত করল। অবচেতন মনে সে বাতি জ্বালিয়ে ফেলে তখনই রান্নাঘরটি বিস্ফোরিত হয়, স্বামী তাৎক্ষণিকভাবে মারা যায় এবং স্ত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুদিন পর মারা যায়।
ঘরটি থেকে ২০০ মিটার দূর থেকেও এই বিস্ফোরণ এর আলো দেখা গেছে। যার অর্থ গ্যাস পাইপের বিস্ফোরণ বোমার চেয়ে শক্তিশালী ছিল।
অতএব,
বাসায় গ্যাসের গন্ধ পেলে সাবধানে ঘরের জানালা দরজা গুলো খুলে দিবেন। বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালাবেন না, ফ্রিজ খুলবেন না এবং কিচেনের ফ্যান চালু করবেন না। এগুলোতে থাকা চার্জিত ইলেকট্রন স্পার্ক (আগুনের ফুলকী) তৈরি করতে পারে।
আগুনের ফুলকির কারনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হতে পারে।
পারলে মেইন সুইচ অফ করে দিবেন।
আপনার এই বিষয়গুলা একা পড়া উচিত নয়, যতটা সম্ভব প্রকাশ করুন, এটি অন্যকে বিপদ এড়াতে সাহায্য করবে।আশা করি অনেকেই বিষয়টি অবগত হয়ে অন্যকে অবগত হতে সাহায্য করবেন।

(সংগৃহীত)

15/07/2022

হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন

গরমের উৎপাতে দিশেহারা অবস্থা। নানা রকম অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। তবে কয়েক দিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে বড়-ছোট নানা বয়সের মানুষ।

হিট স্ট্রোক কী?
গরমের সময়ের একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিট স্ট্রোক। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিট স্ট্রোক বলে।
স্বাভাবিক অবস্থায় রক্ত দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কোনো কারণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ত্বকের রক্তনালি প্রসারিত হয় এবং অতিরিক্ত তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে দেয়। প্রয়োজনে ঘামের মাধ্যমেও শরীরের তাপ কমে যায়। কিন্তু প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র পরিবেশে বেশি সময় অবস্থান বা পরিশ্রম করলে তাপ নিয়ন্ত্রণ আর সম্ভব হয় না। এতে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যায় এবং হিট স্ট্রোক দেখা দেয়।

হিট স্ট্রোক কাদের বেশি হয়?
প্রচণ্ড গরমে ও আর্দ্রতায় যে কারও হিট স্ট্রোক হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন—
* শিশু ও বৃদ্ধদের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম থাকায় হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ ছাড়া বয়স্ক ব্যক্তিরা যেহেতু প্রায়ই বিভিন্ন রোগে ভোগেন কিংবা নানা ওষুধ সেবন করেন, যা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
* যাঁরা দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদে কায়িক পরিশ্রম করেন, তাঁদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। যেমন কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক।
* শরীরে পানিস্বল্পতা হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
* কিছু কিছু ওষুধ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বিশেষ করে প্রস্রাব বাড়ানোর ওষুধ, বিষণ্নতার ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ ইত্যাদি।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো কী?
তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহে নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে হিট স্ট্রোকের আগে অপেক্ষাকৃত কম মারাত্মক হিট ক্র্যাম্প অথবা হিট এক্সহসশন হতে পারে। হিট ক্র্যাম্পে শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল লাগে এবং প্রচণ্ড পিপাসা পায়। এর পরের ধাপে হিট এক্সহসশনে দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব, অসংলগ্ন আচরণ ইত্যাদি দেখা দেয়। এই দুই ক্ষেত্রেই শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ঠিক থাকে এবং শরীর অত্যন্ত ঘামতে থাকে। এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। এর লক্ষণ গুলো হলো—
* শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত ১০৫ ডিগ্রিº ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়।
* ঘাম বন্ধ হয়ে যায়।
* ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যায়।
* নিশ্বাস দ্রুত হয়।
* নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত হয়।
* রক্তচাপ কমে যায়।
* খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক আচরণ, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্নতা ইত্যাদি।
* প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।
* রোগী শকেও চলে যায়। এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

প্রতিরোধের উপায় কী?
গরমের দিনে কিছু সতর্কতা মেনে চললে হিট স্ট্রোকের বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়। এগুলো হলো—
* হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। সুতি কাপড় হলে ভালো।
* যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন।
* বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করুন।
* বাইরে যাঁরা কাজকর্মে নিয়োজিত থাকেন, তাঁরা মাথায় ছাতা বা মাথা ঢাকার জন্য কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন।
* প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন। মনে রাখবেন, গরমে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ দুই-ই বের হয়ে যায়। তাই পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানীয় যেমন-খাবার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি ইত্যাদিও পান করতে হবে। পানি অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে।
* তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন-চা ও কফি যথাসম্ভব কম পান করা উচিত।
* রোদের মধ্যে শ্রমসাধ্য কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এসব কাজ সম্ভব হলে রাতে বা খুব সকালে করুন। যদি দিনে করতেই হয়, তবে কিছুক্ষণ পরপর বিশ্রাম নিতে হবে ও প্রচুর পানি ও স্যালাইন পান করতে হবে।

আক্রান্ত হলে কী করণীয়?
প্রাথমিকভাবে হিট স্ট্রোকের আগে যখন হিট ক্র্যাম্প বা হিট এক্সহসশন দেখা দেয়, তখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি নিজেই যা করতে পারেন তা হলো—
* দ্রুত শীতল কোনো স্থানে চলে যান। যদি সম্ভব হয়, ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিন।
* ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে ফেলুন। সম্ভব হলে গোসল করুন।
* প্রচুর পানি ও খাবার স্যালাইন পান করুন। চা বা কফি পান করবেন না।

কিন্তু যদি হিট স্ট্রোক হয়েই যায়, তবে রোগীকে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, ঘরে চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে রোগীর আশপাশে যাঁরা থাকবেন তাঁদের করণীয় হলো—
* রোগীকে দ্রুত শীতল স্থানে নিয়ে যান।
* তাঁর কাপড় খুলে দিন।
* শরীর পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে বাতাস করুন। এভাবে তাপমাত্রা কমাতে থাকুন।
* সম্ভব হলে কাঁধে, বগলে ও কুচকিতে বরফ দিন।
* রোগীর জ্ঞান থাকলে তাঁকে খাবার স্যালাইন দিন।
* দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
* সব সময় খেয়াল রাখবেন হিট স্ট্রোকে অজ্ঞান রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস এবং নাড়ি চলছে কি না। প্রয়োজন হলে কৃত্রিমভাবে নিশ্বাস ও নাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হতে পারে।
হিট স্ট্রোকে জীবন বিপদাপন্ন হতে পারে। তাই এই গরমে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে এর থেকে বেঁচে থাকা উচিত।

লিখেছেন: অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
প্রকাশনা : প্রথম আলো : April 20, 2016

14/07/2022

ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর, প্রয়োজন ছাড়া রোদে বের হবেন না।

আমরা খবর পাচ্ছি, এখন রাজধানীসহ সারা দেশে ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর ও কাশিতে ভুগছে প্রায় সব বয়সী মানুষ। এটা মৌসুমি জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জা হতে পারে। ডেঙ্গু ও করোনা হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। টাইফয়েডের আশঙ্কাও রয়েছে।
এটা এখন স্বাভাবিক ও সাধারণ সমস্যা। তার পরও আমি বলব, জ্বর যদি চার-পাঁচ দিন স্থায়ী হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। চিকিৎসক পরামর্শ দিলে করোনা অথবা ডেঙ্গু পরীক্ষা করান। সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ সর্দি-জ্বরের পাশাপাশি দেশে এখন করোনা সংক্রমণও চলছে। গত মঙ্গলবার ৯ জনের এবং গতকাল বুধবার পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে যাদের বয়স বেশি, হার্ট, কিডনি, লিভার ও রক্তচাপের সমস্যা আছে; ডায়াবেটিস আছে, তাদের ঝুঁকি বেশি। তাদের কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করা চলবে না।জটিল পরিস্থিতি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, হাসপাতালে যাওয়া মানেই বিড়ম্বনা ও কষ্ট রোগীর স্বজনদের; আর্থিক বিষয়টি তো রয়েছেই। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কেউ খামখেয়ালি বা ড্যামকেয়ার আচরণ করবেন না।
সর্দি-জ্বর ও কাশি হলে প্রথমে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। হালকা গরম পানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। আদা, এলাচ, জিংক এগুলো ব্যবহারে উপকার পাওয়া যেতে পারে। এন্টি হিস্টামিনজাতীয় ওষুধও খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নেবেন না। সর্দি-জ্বর ঘরে ঘরে হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক কিছু নয়। কিন্তু সাধারণ সর্দি-জ্বর না হয়ে করোনাও হতে পারে। অনেকে সাধারণ সর্দি-জ্বর মনে করে করোনা পরীক্ষা করাতে চান না। করোনা হলেও অঘটন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘটে না। ঘরে থেকে চিকিৎসা নিয়ে বেশির ভাগ রোগীই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তার পরও অবহেলা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সর্দি-জ্বরের অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হলে বাইরে বের হওয়া কমাতে হবে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে রোদের মধ্যে বের হওয়া চলবে না। এখন আবহাওয়াও অনুকূল নয়। প্রচণ্ড গরম। অনেকে এই গরমে রাস্তাঘাট থেকে শরবত, আইসক্রিম ও নানা ধরনের ঠাণ্ডা পানীয় পান করেন। এটা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বাচ্চারা যেন বাইরে রোদের মধ্যে ঘোরাঘুরি, দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি না করে সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। আবারও বলছি, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে শুধু করোনা থেকে রক্ষানয়, সর্দি-জ্বরসহ নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি থেকেও নিরাপদ থাকা সম্ভব। মাস্ক ব্যবহার আমাদের অনেক রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা করতে পারে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, অ্যাজমা—এসব রোগ থেকে মাস্ক আমাদের নিরাপদ রাখতে পারে।
-প্রফেসর আবদুল্লাহ স্যার

13/07/2022

জ্বর নিয়ে সচেতনতা প্রয়োজন

১. যেকোনো ভাইরাস জ্বর ৩ থেকে ৫দিন টানা ১০২/১০৩°f আসতে পারে এবং কমলে, ১০১ এর নিচে নাও নামতে পারে। কাজেই জ্বর শুরু হওয়ার পরেরবেলাতেই বা পরের দিন জ্বর কেনো কমছে না, অস্থির হওয়া যাবে না।

২. একদিনে জ্বর কমিয়ে দেয়ার কোনো মেডিসিন বা ম্যাজিক ডাক্তারদের জানা নাই। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজে লাগে না যদি না কোন ইনফেকশনের সোর্স পাওয়া যায় যা অনেকসময় প্রকাশ পেতে ৩দিনও লেগে যায়।

৩. জ্বর হলে বাচ্চা খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিবে, বড়রাও দেয়। এই অরুচির প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা নাই। সবার মতো আপনাকেও বুঝিয়ে শুনিয়ে অল্প অল্প করে পানি তরল জাউ স্যুপ শরবত বা বাচ্চা যেটা খেতে চায় ( এমন কিছু দিবেন না যা আবার বমি, পাতলা পায়খানা ঘটায়) তাই খাওয়াবেন। পেশাব যেন অন্তত ৪ বার হয়। মুখে একদমই খেতে না পারলে, পেশাব কমে গেলে, বমি বন্ধ না হলে বা খিচুনি হলে বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

৪. হালকা জ্বরে ( ১০০ থেকে ১০২°) গা মুছে দিবেন, মুখে ঔষধ খাওয়াবেন। একবার ঔষধ খাওয়ানোর পর আবার সিরাপ দিতে অন্তত ৪/৬ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। আর সাপোসিটারী দিতে হলে অন্তত ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।

৫. বেশী জ্বরে ( ১০২° F এর উপরে গেলে) তাড়াতাড়ি জ্বর কমানোর প্রয়োজন হলে সাপোসিটার ব্যবহার করতে পারেন (যদিও এটা বাচ্চাদের জন্য অস্বস্তিকর), এতে জ্বর সাময়িকভাবে হয়তো ১০২ এর নিচে নামতে পারে তবে পুরোপুরি যাওয়ার সম্ভাবনা কমই ১ম তিনদিনে। একটা সাপোসিটারী দেয়ার ৮ ঘন্টার মধ্যে আরেকটা সাপোসিটারী দিতে পারবেন না। তবে ৪/৬ ঘন্টা পর সিরাপ দিতে পারেন।

৫. জ্বরের ঔষধ ডাবল ডোজে বা ঘন ঘন খাওয়ালে, এন্টিবায়োটিক দিলেই জ্বর ভালো হয়ে যাবে এমন না। ভাইরাসের পরিমানের উপর, কতদিন এরা এক্টিভ থাকে তার উপর জ্বরের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে।

৬. জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর চেয়ে বাচ্চার যত্ন নিন, ভিজা গামছা বা সুতি কাপড় দিয়ে গা মুছে দিন, গরম ও নরম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন, সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাকে বিশ্রাম নিতে দিন। ভালো ঘুমাতে দিন, ঘুমের মধ্যে জ্বর থাকলেও তাকে ঘুম ভাঙিয়ে জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর দরকার নাই।

৭. থার্মোমিটার দিয়ে মেপে জ্বর ১০০ বা বেশী পেলেই জ্বরের ঔষধ খাওয়াবেন। গায়ে হাত দিয়ে গরম লাগা, জ্বর ৯৮, ৯৯° ; জ্বরের আগে শীত শীতভাব, অস্থির করা জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর কোন কারণ হতে পারে না।

৮. বাচ্চাদের এসিডিটি কম হয়, তাই একদম সম্ভব না হলে, খালিপেটে জ্বরের ঔষধ দিতে পারবেন।

৯. জ্বর হলে বাচ্চা এক আধটু বমি হতে পারে, কিছু জ্বরের ঔষধেও বাচ্চাদের বমি হয়। এসব ক্ষেত্রে বমির ঔষধ লাগে না, প্রয়োজনে জ্বরের ঔষধ পাল্টান। ঔষধ খাওয়ার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে বমি করলে ১৫/২০ মিনিট পর আবার ঔষধটটুকু খাওয়াতে হবে।

ডেঙ্গু সিজন এখন। পাশাপাশি করোনার প্রকোপ আবার বাড়ছে।কাজেই সন্দেহ হলেই আশেপাশে শিশু বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে টেস্ট করে নিবেন।
আপনার শিশুকে সাবধানে রাখুন ও সবাই সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ!

লিখেছেনঃ DrKaderul Gani Tanim

Address

Maulvi Bazar

Telephone

+8801716222058

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Tanvir Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Tanvir Ahmed:

Share