
08/07/2025
স্ত্রীর ভেতরে যদি বীর্যপাত করা হয় তবে ধীরে ধীরে তার শরীর ও মনের উপর স্বামীর প্রভাব পড়তে শুরু করে। যোনিপথের ভেতরে টিস্যুগুলো বীর্যের হরমোন শোষণ করে নেয়, জরায়ু সেই হরমোনের সংকেত পায়, নারীর মস্তিষ্ক সেই রসায়নের প্রভাবে ভালোবাসা, বিশ্বাস, ঘনিষ্ঠতা অনুভব করে।
পুরুষের বীর্যে কী থাকে?
সাধারণত আমরা বীর্যকে শুধু শুক্রাণু বলেই জানি। কিন্তু একজন পুরুষের বীর্যে থাকে
👉টেস্টোস্টেরন- পুরুষত্বের মূল হরমোন
👉প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন- জরায়ুতে সংকোচন ঘটায়
👉Oxytocin- আবেগ জাগায়
👉Serotonin, Melatonin- ঘুম, সুখ, প্রশান্তির হরমোন
👉সাবস্ট্রেটস- নারীর শরীরের ভেতর নানা রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ঘটায়।
এই সব উপাদান স্ত্রী যদি নিজের শরীরে গ্রহণ করেন মানসিক দিক থেকেও কী প্রভাব পড়ে?
হ্যাঁ! যেসব দম্পতি নিয়মিত ও ভালোবাসাপূর্ণ সেক্স করে, যেখানে স্ত্রী স্বামীর বীর্য গ্রহণ করে
তাদের মধ্যে Bonding Hormone -Oxytocin অনেক বেশি প্রবাহিত হয়।
ফলে স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি আবেগতাড়িত ও অনেক প্রেম বোধ করেন। স্ত্রীর শরীরে বীর্য ঢুকে পড়ছে! ঠিক যেন- শরীরের ভেতর প্রেম ঢুকে পড়ছে।
স্ত্রীর আচরণও কি বদলায়?
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে-
✅ তারা সেক্সের পর ক্লান্ত নয় বরং প্রশান্ত হন
✅ তারা স্বামীকে নিয়ে বেশি আবেগী, রক্ষাকর্তার মতো ভাবেন।
✅ অনেক সময় এক ধরনের Emotionally Attached Slave মনোভাব গড়ে ওঠে (পজিটিভ অর্থে)
সতর্কতাও জরুরি
❌ যদি স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক বিষাক্ত হয়
❌ যদি সেক্সে সম্মতি না থাকে
❌ যদি শারীরিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় না থাকে
তবে এই রসায়নিক বন্ধন স্ত্রীকে মানসিকভাবে দুর্বলও করে দিতে পারে।
সেক্স শুধু মিলন নয়, এটি এক রসায়নের উৎসব।
যেখানে স্বামী তার স্ত্রীর শরীরে রেখে যান-
🩸 নিজস্ব ঘ্রাণ, হরমোন, শক্তি ও প্রেমের রসায়ন।এবং ধীরে ধীরে স্ত্রী হয়ে ওঠেন তার আত্মিক ও জৈবিক অংশ। পুরুষ উঠে পড়ে কিন্তু তার প্রেম যেন শরীরে থেকে যায়…