
21/09/2024
দিন দিন সুপার ফুড হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিটরুট। যদিও এটি একটি শীতকালীন ফল তবে বর্তমানে সারা বছর জুড়েই পাওয়া যায়।
✅পুষ্টি উপাদান:
একটি বিটরুটে প্রতিদিনের প্রয়োজনের ভিটামিন সি , ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালোরি, ফাইবার ছাড়াও প্রয়োজনীয় অনেক উপাদান রয়েছে।
✅উপকারিতা
১. গবেষণায় জানা গেছে বিটরুটে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্তনালী প্রসারিত করে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
২. বিটরুটে থাকা নাইট্রেট এবং বেটালাইনস রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে দেয়। এই দুটো উপাদান মিলেই শরীরে রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
৩. বিটরুটে থাকা আয়রন নতুন লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করতে সক্ষম যা অনিয়মিত মাসিক সমস্যা সমাধানে খুবই উপকারী।
৪. হজমের সমস্যায় ভুগলে বিট খাওয়া উপকারী। কারণ বিট আঁশ জাতীয় খাবার। বিটে থাকা ফাইবার খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডাইভার্টিকুলাইটিস এমনকি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
৫. বিটে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা লুটেইন নামে পরিচিত। লুটেইন বয়স সম্পর্কিত চোঁখে রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা চোঁখের স্বাস্থ্য এবং চারপাশের স্নায়ু টিস্যুগুলির শক্তি এবং সুস্থতা বাড়ায়।
৬. প্রতিদিন এক গ্লাস বিটের জুস ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-এজিং উপাদান ব্রণ, বলিরেখা, মেছতা দূর করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
❌কখন খাবেন না:
১. ডায়াবেটিস থাকলে বিট না খাওয়াই ভালো। বিটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। তাই বিট খাওয়ার দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারবেন ডায়াবেটিস রোগীরা।
২. গলব্লাডার, কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা থাকলে বিট খাওয়া চলবে না। কারণ বিটের অক্সালেট উপাদান এই শারীরিক সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।
৩. রক্তচাপ কম হলে বিটরুট এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ বিট খেলে রক্তচাপ আরও কমে যায়।
৪. অতিরিক্ত পরিমাণে বিট না খাওয়াই ভালো। এতে করে ত্বকে চুলকানি, অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।