18/08/2025
হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট (Hip Joint Replacement) বা হিপ রিপ্লেসমেন্ট সার্জারির পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কি কি ?
---বাংলাদেশের সেরা অর্থপেডিক সার্জনদের সাথে যোগাযোগ করতে ভিজিট করুন--
neuralortho.com
01764792288
সাধারণভাবে ধাপে ধাপে করণীয় বিষয়গুলো নিচে দেওয়া হলো:
১. অপারেশনের পরপরই (হাসপাতালে থাকার সময়)
মনিটরিং: ডাক্তার ও নার্সরা রক্তচাপ, নাড়ি, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং অপারেশনের স্থানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।
পেইন কন্ট্রোল: ব্যথা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ দেওয়া হয়।
অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্লাড থিনার: সংক্রমণ ও রক্ত জমাট বাঁধা (Deep Vein Thrombosis – DVT) প্রতিরোধে।
ফিজিওথেরাপি শুরু: অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা বা ১ দিনের মধ্যে হালকা নড়াচড়া শুরু করা হয় (ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে)।
২. হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর (প্রথম ৪-৬ সপ্তাহ)
হাঁটা অনুশীলন: ওয়াকার, ক্রাচ বা স্টিক ব্যবহার করে ধীরে ধীরে হাঁটতে হবে।
ফিজিওথেরাপি এক্সারসাইজ:
লেগ রেইজ (Leg Raise)
হিল স্লাইড (Heel Slide)
অ্যাঙ্কেল পাম্প (Ankle Pump)
হিপ অ্যাবডাকশন এক্সারসাইজ
সতর্কতা:
খুব নিচু চেয়ারে বসা যাবে না।
মেঝেতে বসা, পা ক্রস করে বসা বা হাঁটু ভাঁজ করে বসা নিষেধ।
বেশি ভার তোলা যাবে না।
ক্ষতস্থানের যত্ন: সেলাইয়ের জায়গা শুকনো ও পরিষ্কার রাখা।
৩. দীর্ঘমেয়াদী রিহ্যাবিলিটেশন (৬ সপ্তাহ–৬ মাস)
ধীরে ধীরে হাঁটার সময় বাড়ানো।
সিঁড়ি ওঠা-নামা ফিজিওথেরাপিস্টের নির্দেশ অনুযায়ী শেখা।
ফিজিওথেরাপি নিয়মিত করা, যাতে জয়েন্ট নরমাল রেঞ্জে কাজ করতে পারে।
ডাক্তার যেভাবে বলেন, সেভাবে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসা।
সতর্কতা (যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে)
হঠাৎ জ্বর, ক্ষতস্থানে ফোলা/পুঁজ বা তীব্র ব্যথা হলে দ্রুত ডাক্তারকে জানাতে হবে।
বুক ধড়ফড়, পায়ে অতিরিক্ত ফোলা বা ব্যথা হলে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ হতে পারে – জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
ভারী খেলা, দৌড়ানো বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যায়াম এড়িয়ে চলা উচিত।
neuralortho.com
👉 সংক্ষেপে বলা যায়:
হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্টের পর প্রধান পদক্ষেপ হলো – ব্যথা নিয়ন্ত্রণ, ইনফেকশন ও রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ, ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে চলাফেরা শেখা, জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়া।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন
neuralortho.com
01764-792288