Raqi Hussain Ahmed

Raqi Hussain Ahmed জ্বীন,যাদু,বদনজর ও সাধারণ রোগের চিকিৎসায় রুকইয়াহ এবং বাত ব্যথা,কোমর ব্যথা,হাটু ব্যথায় হিজামা করা হয়।

রুক্বইয়াহ হচ্ছে শরিয়া সম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি যা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর বিভিন্ন হাদিস থেকে প্রমাণিত। রুকইয়াহ এর মাধ্যমে যে সকল ...
15/05/2025

রুক্বইয়াহ হচ্ছে শরিয়া সম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি
যা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর বিভিন্ন হাদিস থেকে প্রমাণিত।

রুকইয়াহ এর মাধ্যমে যে সকল চিকিৎসা সমস্যার সমাধান হয়👇

✅ বদনজর,
✅ হিংসা,
✅ অবনতি,
✅ জিনের আসর,
✅ জাদু-টোনা,
✅ বানমারা,
✅ কালো-যাদু,
✅ বিয়ের আলাপ বাধাগ্রস্থ হওয়া,
✅ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অমিল,
✅ পারিবারিক কলহ/অশান্তি,
✅ ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি না হওয়া,
✅ ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণা,
✅ রোগবালাই লেগেই থাকা,
✅ পড়া-লেখায় অবনতি,
✅ ইবাদতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা,
✅ ডিপ্রেশন,
✅ প্যারানরমাল সমস্যা, ইত্যাদি।

রুক্বইয়াহ কিভাবে করা হয়❓

কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নামের যিকর, হাদিসে রাসূল ﷺ সাহাবাদের আমল এবং সালাফে সালেহীন থেকে বর্ণিত দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে সম্পূর্ণ শারইয়্যাহ মেনে রুক্বইয়াহ করা হয়।

📞 যোগাযোগঃ 01753517790 (রাকী)
📌 ঠিকানাঃ Ruqyah & Hijama Service Bd
জহিরগন্জ বাজার, ঝগড়ি,সুজানগর,বড়লেখা,মৌলভীবাজার।

সুন্নাহ সম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করুন কুফর শিরক মুক্ত জীবন যাপন করুন।

16/04/2025

বিবাহ বন্ধের যাদু ধ্বংসের রুকইয়াহ।
আলহামদুলিল্লাহ
বমির মাধ্যমে যাদু গ্রস্ত রোগীর পেট থেকে যাদুর বস্তু বের হয়ে গেছে।

পরিক্ষিত আলহামদুলিল্লাহ
08/03/2025

পরিক্ষিত
আলহামদুলিল্লাহ

বিয়ে সংক্রান্ত রুকইয়াহ্ শারইয়াহ্ সূরা আরাফ এর ১১৭-১২২, সুরা ইউনুস এর ৮১-৮২, সুরা ত্বহা এর ৬৯ নং আয়াত এবং,  সূরা ফাতিহা, ...
24/02/2025

বিয়ে সংক্রান্ত রুকইয়াহ্ শারইয়াহ্

সূরা আরাফ এর ১১৭-১২২, সুরা ইউনুস এর ৮১-৮২, সুরা ত্বহা এর ৬৯ নং আয়াত এবং, সূরা ফাতিহা, ফালাক, নাস তিনবার করে পড়ে পানিতে ফু দিন।

১। এই পানি প্রতিদিন দুইবেলা খেতে হবে
২। প্রতিদিন গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করতে হবে।
এই আমলগুলো ২১/৪১ দিন করবেন। আর রুকইয়ার পানি যদি শেষ হয়ে যায় তবে এক বোতল পানিতে উল্লিখিত আয়াত গুলো পড়ে ফু দিলেই হবে।

৩। প্রতিদিন অন্তত দুই ঘন্টা রুকইয়াহ শুনতে হবে। আয়াতুল কুরসি ১ ঘন্টা এবং সূরা ইখলাস ফালাক নাস এর ১ ঘন্টা। এভাবে ১ মাস করবেন।

৪। ৫ ওয়াক্ত সালাত যত্ন সহকারে আদায় করতে হবে এবং কোন ফরজ ইবাদতে ত্রুটি করা যাবে না।

৫। মুভি মিউজিক এধরণের হারাম বিষয় থেকে দূরে থাকতে হবে। মেয়েরা অবশ্যই শরিয়তের বিধান অনুযায়ী পর্দা করতে হবে।

৬। শয়তান থেকে বাচতে সকাল সন্ধ্যার মাসনুন আমলগুলো গুরুত্ব সহকারে আদায় করতে হবে।

৭| হারাম রিজিক অর্জন করা থেকে বিরত থাকা।

৮৷ ঘুমের সময় সূরা ইখলাস ফালাক নাস পড়ে দুই হাতের তালুতে ফু দিয়ে সারা শরীরে হাত বুলিয়ে নিতে হবে । এভাবে তিনবার করবেন। ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে নিতে হবে।

৯. বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক ইস্তেগফার করা। উঠতে বসতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকা।
১০. সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতটা পড়তে পারি। প্রতি ফরজ নামাজের পর তো বটেই, সুযোগ পেলেই দোয়াটি গভীর আবেগ নিয়ে পড়তে পারি।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
১১. সুরা কাসাসের ২৪ আয়াতে বর্ণিত দোয়াটাও বেশি বেশি পড়তে পারি,
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
এই দোয়ায় বিয়ে, বিবিবাচ্চা, চাকুরি, ঘরবাড়ি সবকিছুর ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ইন শা আল্লাহ।

১২. বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে দুয়া কবুল হওয়ার সময়গুলো একটাও দোয়াবিহীন না যায়।

১৩. আমল-দোয়ার পাশাপাশি হালাল পন্থায় পাত্র/পাত্রীর খোঁজ করাও জরুরী।

১৪. নিয়মিত সদকা করা।

১৫. অন্য মুসলিম ভাইবোনের জন্য বিয়ের দোয়া করা।

১৬. মা-বাবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখাও জরুরি।

১৭. আল্লাহর উপর পুরো ভরসা রাখা।

১৮. বিয়ে বন্ধের ব্যাপার যদি যাদু কিংবা জ্বীনের ক্ষতিস্বাধন করা হইছে, এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা গেলে তাহার জন্য রুকইয়াহ ( সেল্ফ রুকইয়াহ্ কিংবা সরাসরি ভালো বিজ্ঞ রাকির দ্বারা) করা।

১৯/ বিয়ের জন্য ঘরে তাবিজ কবজ ঝুলানো থাকলে সেগুলো অবশ্যই রুকইয়াহ্ এর পদ্ধতিতে নষ্ট করা।

২০/দ্রুত বিয়ের জন্য তান্ত্রিক কুফুরী কবিরাজ ও জ্বীনদের সাহায্য গ্রহন করা থেকে সম্পূর্ণ রূপে মুক্ত থাকতে হবে। কেননা এগুলো শির্ক ও কুফুরী।

বিয়ে বন্ধের সেল্ফ রুকইয়াহ করার পাশাপাশি দেখতে আসলে এই কাজগুলো করবেন
*পুরো বাসায় (ভিতর বাহির ) পড়া পানি ছিটাবেন।
*দেখতে আসার আগে বরই পাতার গোসল করবেন।
*আগের দিন রাতে পুরো শরীরে অলিভ অয়েল মেখে সুরা বাকারা শুনবেন।
*সকালে পেট ভরে পড়া পানি খাবেন।
*বেশি বেশি আয়াতে কারিমা পাঠ করতে থাকবেন।
(লা ইলাহ ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জলিমীন)
সাথে প্রচুর পরিমানে ইয়া ফাতাহু ও ইয়া আজিজু পড়বেন।

রুকইয়াহ পরামর্শ ও চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুন
Message WhatsApp
Raqi Hussain Ahmed
01866388409

রুকইয়াহ কি? এবং কিভাবে করা হয়?বিস্তারিত কুরআন হাদিসের রেফারেন্স সহ #রুকইয়াহ কি?:উত্তর: রুকইয়াহ বলতে সাধারণত ঝাড়ফুঁকই বু...
21/11/2024

রুকইয়াহ কি? এবং কিভাবে করা হয়?
বিস্তারিত কুরআন হাদিসের রেফারেন্স সহ
#রুকইয়াহ কি?:
উত্তর: রুকইয়াহ বলতে সাধারণত ঝাড়ফুঁকই বুঝায়। পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে, কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নামের যিকর, হাদিসে রাসূল ﷺ থেকে বর্ণিত দোয়া ও সহীহ পদ্ধতিতে অনুযায়ী আল্লাহর কাছে কোন বিপদ থেকে সাহায্য প্রর্থণা ও রোগ মুক্তি কামনা করা।
#রুকইয়াহর মাধ্যমে কি জটিল,পুরাতন ও যেকোন রোগের চিকিতসা করা যায়?
উত্তর:কোরআনুল কারীম হল সর্বোত্তম শিফা
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন-
وَنُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّرَحۡمَةٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۙ وَلَا یَزِیۡدُ الظّٰلِمِیۡنَ اِلَّا خَسَارًا
আমি অবতীর্ণ করেছি কুরআন, যা বিশ্বাসীদের জন্য সুচিকিৎসা ও দয়া, কিন্তু তা সীমা লংঘনকারীদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে। (সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত ৮২)
রুকইয়াহ হলো একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, আধুনিক ভাষায় পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলে এটাকে spiritual healing বলা যায়। অর্থাৎ আধ্যাত্মিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা।
অনেকেই ভেবে থাকেন যে, রুকইয়াহ দ্বারা শুধু জ্বিন যাদুর চিকিৎসাকে বোঝায় কিন্তু এই ধারনাটি ভুল।
♻️ রুকইয়াহ'র ব্যাপারে ইসলাম যা বলে:
এই চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে শরীয়তের নির্ধারিত গণ্ডি অতিক্রম না করলেই এটা জায়েজ।
✅এব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রুকইয়াতে যদি শিরক না থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর: ৫৫৪৪)।
এমনিভাবে মুসনাদে আহমদের হাদীসে রয়েছে,অর্থাৎ, তোমরা চিকিৎসা করো হে আল্লাহর বান্দাগণ! কেননা,আল্লাহ তাআলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নি যার ঔষধ সৃষ্টি করেন নি। শুধুমাত্র একটি রোগ ব্যতীত। আর তা হচ্ছে, বয়োঃবৃদ্ধতা।
[2]الرقية الشرعية[1]عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاءٌ، فَإِذَا أُصِيبَ دَوَاءُ الدَّاءِ بَرَأَ بِإِذْنِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ»
মুসলিম, হাদীস নং-২২০৪
[2]تَدَاوَوْا، فَإِنَّ اللهَ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلَّا وَضَعَ لَهُ دَوَاءً غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ الْهَرَمُ
মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং-১৮৪৫৪।
ইসলামী শরীয়তসম্মত ঝাড়-ফুঁক করাকে আরবীতে রুকইয়াহ বলা হয়। অর্থাৎ, যে আয়াত ও জিকিরসমূহ দ্বারা আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা হয় এবং আরোগ্যের জন্য রোগীকে তার দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা হয়। রুকইয়াহ চার প্রকার:
১। পবিত্র কোরআনের আয়াতসমূহ এবং আল্লাহর সুন্দর নাম ও সুমহান গুণাবলী দ্বারা ঝাড়-ফুঁক। এটা জায়েজ এবং উত্তম।
২। সহীহ হাদীস দ্বারা সুসাব্যস্ত জিকির আজকার দ্বারা ঝাড়ফুক। এটাও জায়েজ।
৩। এমন জিকির আজকার ও দোআসমূহ যার দ্বারা এমন ঝাড়-ফুঁক যা কোন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয় তবে কুরআন-সুন্নাহর বিপরীতও নয়। এটাও জায়েজ।
৪। এটা হলো এমন মন্ত্র যা কুফর এবং শিরক মিশ্রিত এবং যার অর্থও বোঝা যায় না। যার প্রচলন জাহেলী যুগেও ছিল। এ প্রকার মন্ত্র দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা হারাম এবং এ থেকে মুসলিমদের বেঁচে থাকা ওয়াজিব। যেমন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন
,اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَکَ بِهٖ وَیَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِکَ لِمَنْ یَّشَآءُ ۚ وَمَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا ﴿۴۸
নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহ্ এর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।
এক্ষেত্রে আলেমদের মত হচ্ছে, এটা তো অবশ্যই শিরক এবং কুফর থেকে মুক্ত হতে হবে, এমনকি এসবের সন্দেহও থাকা যাবে না। এজন্য ওলামায়ে কিরাম কয়েকটি শর্তের ব্যাপারে একমত হয়েছেন, সেসব হচ্ছে-
(১) কোনো শিরক-কুফর অথবা হারাম বাক্য থাকা যাবে না।
(২) যা দ্বারা রুকইয়াহ করা হবে সেটা স্পষ্ট বাক্যে হতে হবে, যার অর্থ ভালভাবে বোঝা যায়।
(৩) দুর্বোধ্য কোনো সংকেত বা ভাষায় হওয়া যাবে না, যার অর্থ স্বাভাবিকভাবে মানুষ বুঝে না।
(উদাহরণস্বরূপ আপনি বাংলাদেশে ল্যাটিন ভাষার রুকইয়াহ করতে পারবেন না, কারণ এখানকার মানুষ সেটা বুঝবে না। এজন্যই সালাফের মাঝে কেউ কেউ ঝাড়ফুঁক আরবিতে হওয়াকেও শর্ত বলেছেন। তবে মূলত: স্বাভাবিকভাবে বোধগম্য ভাষায় হলে, আরবি হওয়া আবশ্যক না।)
আর হ্যাঁ! রুকইয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আকিদা রাখতে হবে, রাক্বির কোনো সাধ্য নেই কাউকে সুস্থ করার কিংবা বিপদ দূর করার। সুস্থতা এবং বিপদমুক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, এখানে রুকইয়াহ কেবল দোয়ার অনুরূপ ভূমিকা পালন করছে। অর্থাৎ রুকইয়াহ আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার একটি পদ্ধতি মাত্র।
নোট: যিনি রুকইয়াহ করেন, তাকে রাক্বী বলা হয়।
♻️ #রুকইয়াহ_হাদিস_থেকে_প্রমাণঃ
হাদীসে বর্ণিত আছে,* আব্দুল আযিয রহ. বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি ও সাবিত একবার আনাস ইবনে মালিক রাযি. এর নিকট গেলাম। সাবিত বললেন, হে আবু হামযা! আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তখন আনাস রাযি. বললেন, আমি কি তোমাকে রাসূল স. যা দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করেছেন তা দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করে দিবো? তিনি বললেন, হা। তখন আনাস রাযি. পড়লেন,
اللهم رب الناس، مذهب الباس، اشف أنت الشافي، لا شافي إلا أنت، شفاء لا يغادر سقما
হে আল্লাহ! তুমি মানুষের রব। রোগ নিরাময়কারী। আরোগ্য দান করো। তুমি আরোগ্য দানকারী। তুমি ব্যতীত আর কেউ আরোগ্যদানকারী নেই। এমন আরোগ্য দাও যা কোন রোগ অবশিষ্ট রখে না।
হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত যে, রাসূল স. ঝাড়-ফুঁক করতেন আর এ দুআ পাঠ করতেন: ব্যাথা দূর করে দাও হে মানুষের পালনকর্তা! আরোগ্য দানের ক্ষমতা কেবল তোমারই হাতে। এ ব্যাথা তুমি ছাড়া আর কেউ দূর করতে পারবে না। হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, জ্বর, ফুসকুড়ি ইত্যাদির ক্ষেত্রে রাসূল (স:) ঝাড়-ফুঁক দেওয়ার সম্মতি দিয়েছেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস নং-২০৫৬)।
রুকইয়াহ দ্বারা বিনিময় গ্রহণকরা বৈধ: হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূল স. একটি সামরিক অভিযানে পাঠান। আমরা একটি জনপথে আসার পর তাদের কাছে মেহমানদারী প্রার্থনা করলাম। কিন্তু তারা আমাদেরকে আপ্যায়ণ করল না। এরকম পরিস্থিতিতে তাদের গোত্রের প্রধানকে বিচ্ছু দংশন করলো। তারা আমাদের নিকট এসে বললো, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি যে বিচ্ছু দংশনকারীকে ঝাড়-ফুঁক করতে পারে? আমি বললাম, হা। আমি নিজেই। কিন্তু তোমরা যাদি আমাদেরকে এক পাল বকরী প্রদান না করো তাহলে আমি ঝাড়-ফুঁক করতে সম্মত নই। তারা বললো, আমরা তোমাদের ৩০টি বকরী প্রদান করবো। আমরা এ প্রস্তাবে রাজি হলাম। আমি সাতবার সূরা ফাতেহা পাঠ করে তাকে ঝাড়-ফুঁক করলাম। ফলে সে রোগমুক্ত হলো একং আমরা বকরীগুলো হস্তগত করলাম। বর্ণনাকারী বলেন, এ বিষয়ে আমাদের মনে সন্দেহের উদ্ভব হলো। আমরা বললাম, তোমরা রাসূল স. এর সামনে হাজির হওয়ার আগ পর্যন্ত তাড়াহুড়ো করবে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তার নিকট উপস্থিত হওয়ার পর আমি যা করেছি তা তাকে অবহিত করলাম। তিনি বললেন, কিভাবে তুমি জানতে পারলে যে এটা দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করা যায়? বকরীগুলো হস্তগত করো এবং তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটি অংশ রাখো।
عن عبد العزيز، قال: دخلت أنا وثابت على أنس بن مالك، فقال ثابت: يا أبا حمزة، اشتكيت، فقال أنس: ألا أرقيك برقية رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قال: بلى، قال: «اللهم رب الناس، مذهب الباس، اشف أنت الشافي، لا شافي إلا أنت، شفاء لا يغادر سقما»
সহীহুল বুখারী, হাদীস নং-৫৭৪২, ই: ফা: ৫২১৮
عن عائشة، رضي الله عنها: أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يعوذ بعض أهله، يمسح بيده اليمنى ويقول: «اللهم رب الناس أذهب الباس، اشفه وأنت الشافي، لا شفاء إلا شفاؤك، شفاء لا يغادر سقما»
সহীহুল বুখারী, হাদীস নং-৫৭৪৪, ই: ফা: ৫২২০
عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِي الرُّقْيَةِ مِنَ الْحُمَةِ وَالْعَيْنِ وَالنَّمْلَةِ»
জামে তিরমিযী, হাদীস নং-২০৫৬
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ قَالَ: بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَرِيَّةٍ فَنَزَلْنَا بِقَوْمٍ، فَسَأَلْنَاهُمُ القِرَى فَلَمْ يَقْرُونَا، فَلُدِغَ سَيِّدُهُمْ فَأَتَوْنَا فَقَالُوا: هَلْ فِيكُمْ مَنْ يَرْقِي مِنَ العَقْرَبِ؟ قُلْتُ: نَعَمْ أَنَا، وَلَكِنْ لَا أَرْقِيهِ حَتَّى تُعْطُونَا غَنَمًا، قَالُوا: فَإِنَّا نُعْطِيكُمْ ثَلَاثِينَ شَاةً، فَقَبِلْنَا فَقَرَأْتُ عَلَيْهِ: الحَمْدُ لِلَّهِ سَبْعَ مَرَّاتٍ، فَبَرَأَ وَقَبَضْنَا الغَنَمَ، قَالَ: فَعَرَضَ فِي أَنْفُسِنَا مِنْهَا شَيْءٌ فَقُلْنَا: لَا تَعْجَلُوا حَتَّى تَأْتُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَيْهِ ذَكَرْتُ لَهُ الَّذِي صَنَعْتُ، قَالَ: «وَمَا عَلِمْتَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ؟ اقْبِضُوا الغَنَمَ وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ بِسَهْمٍ»জামে তিরমিযী, হাদীস নং-২০৬৩
#স্বয়ং_রাসূল_যখন_নিজেই_রুকইয়াহ_করেছেনঃ
এক হাদীসে বর্ণিত আছে। হযরত উবাই ইবনে কাব রাযি. বলেন, আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসে ছিলাম। তখন এক গ্রাম্য ব্যক্তি এসে বললো, হে আল্লাহর নবী, আমার ভাই ব্যাথায় আক্রান্ত। সে বলল, তার একটু পাগলামীও রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো। ঐ ব্যক্তি তার ভাইকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে নিয়ে বসালেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সূরা ফাতিহা, সূরা বাকারার প্রথম চার আয়াত, সূরা বাকারার ১৬৩ নং আয়াত, আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত, সূরা আল ইমরানের ১৮নং আয়াত, সূরা আরাফের ৫৬ নং আয়াত, সূরা মুমিনুনের ১১৬ নং আয়াত, সূরা জীনের ৩১ নং আয়াত, সূরা সাফ্ফাতের প্রথম দশ আয়াত, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়ে রুকইয়াহ করে দিলেন। তখন ঐ অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে দাড়িয়ে গেলেন। আর এমনভাবে সুস্থ হয়ে গেলেন যে, পূর্বে তার যেন কোন অসুস্থতাই ছিল না।
সাহাবী ইবনে মাসউদ রাঃ রুকইয়াহ করলেন অতঃপর
তাফসীরে রুহুল মাআনীতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, এক ব্যক্তির মধ্যে পাগলামীর লক্ষণ ছিল। লোকটি ইবনে মাসউদ রাযি. এর কাছে আসলেন। তিনি লোকটির কানের কাছে সুরা মু’মিনুনের ১৫-১৮ এই চারটি আয়াত পড়ে রুকাইয়াহ করে দিলেন। লোকটি তৎক্ষণাৎ সুস্থ হয়ে গেল। অতঃপর এ খবর যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলো, তখন তিনি বললেন, তুমি তো এ আয়াতগুলো তার কানে পড়ার কারণে তাকে (তার সাথে থাকা জিনকে) জালিয়ে দিয়েছ। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, আল্লাহর কসম! কোন ব্যক্তি যদি ইয়াকীনের সাথে কোন পাহাড়ের উপর এ আয়াতগুলো পাঠ করে তবে পাহাড়ও টলে যাবে।
মুসনাদে আহমদ, হা: ২১১৭৪
♻️ রুকইয়াহ করা কি জরুরী?
রুকইয়াহ শারইয়্যাহ গ্রহণ করা ও চর্চা করাটা অবস্থাভেদে ফরজ, ওয়াজিব, মুস্তাহাব ও মুবাহ। স্বাভাবিকভাবে এটি উত্তম সুন্নাহ।
#রুকইয়াহ করা মানেই শয়তানি শক্তির মোকাবেলায় ঈমাণী শক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ করা।
ভিক্টিম অথবা রাকী যাদু বা জ্বীনের আক্রমনে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ঈমানের সাথে সবর করে মারা গেলে মাজলুম বা শহীদের সাওয়াব পাবেন ইনশা আল্লাহ।
তবে আলহামদুলিল্লাহ, রুকইয়াহ চর্চা থাকলে সাধারনত জ্বিন বা যাদু কোন ক্ষতি করতে পারেনা। ধৈর্যের ঘাটতির কারনে সাময়িকভাবে ভয় ও উতকন্ঠা মাঝে মাঝে বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ উত্তম হিফাজতকারী।
★ শরীয়ত সম্মত রুকইয়াহ তে কী কী থাকে?
১) কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত, হাদীস সম্মত দু’আ ও এমন দু’আ পড়া যাতে কোন শিরকের মিশ্রন নেই।
২) হালাল পানীয় পান করা। পানীয় এমনসব বস্তু দ্বারা হতে হবে যা হালাল। এমনসব হালাল বস্তু যা জ্বীন যাদুর প্রভাব কে ধংস করে অথবা যা কুরআন সুন্নাহতে উপকারী বা শিফা (কিওর) হিসেবে বর্নিত হয়েছে।
৩) এমনসব চিকিতসা পদ্ধতি যা কুরআন সুন্নাহ ও সালফে সালেহিন দ্বারা প্রমানিত, যা যাদুবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত নয়। যেমন গোসল করা, শরীতে তেল মালিশ করা, নাক দিয়ে ড্রপ বা সুগন্ধি ধোয়া নেয়া, হাটা ব্যায়াম করা, গোসলের পানি ব্যবহার করে সুস্থ হওয়া, যাদুর জায়গা থেকে যাদুর জিনিস তুলে আনা, শরীরে জ্বীন অবস্থান করার জায়গাতে কে মৃদু আঘাত (খোচা, চাপ) দেওয়া। পরিস্কার থাকা, মানসিকভাবে দৃড়তা, উতফুল্লতা ও প্রশান্ত ও আল্লাহর অনুগত হৃদয়ের চর্চা করা, হালাল কাজ ও ইবাদতসমূহ দ্বারা আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার মাধ্যমে জ্বীন শয়তান, যাদু, আইন হাসাদের প্রভাব ধংসের চেষ্টা করা ইত্যাদি।
৪) ফু দেয়া (সম্ভব হলে হালকা থু থু মিশ্রিত অথবা থু থু বিহীন)
৫) হিজামা (কাপিং) ও প্রফেটিক মেডিসিনের ব্যবহার।
৬) কাউন্সিলিং ও উত্তম পরিবেশের সাহচর্য, সান্নিধ্য ও সহযোগিতা
বিশুদ্ধ ঈমান থাকা শর্ত।
উলামায়ে কিরামের মতে রুকইয়াহ করার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া উচিৎ ‘রুকইয়াহ বা ঝাড়ফুঁকের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই। চিকিৎসা শাস্ত্রের সর্বোচ্চ প্রয়োগের পর সুস্থতা কবে আসবে সেটা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। তিনিই রোগ সৃষ্টিকারী, তিনি সুস্থতাদানকারী। আল্লাহ তা’লা ও ওনার সিদ্ধান্তের উপর যা সবর তাওয়াক্কুল ও সন্তুষ্টি এবং ওনার কাছে নিয়মিত দু’আ কান্নাকাটির অভ্যস্ততা যার যত বেশী সে তত দ্রুত সুস্থ হবে।
♻️ যেসব চিকিৎসা অবৈধ ও শিরকের আওতা ভুক্ত
উপরে শরয়ী রুকইয়াহ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নীচে কিছু বিখ্যাত কুফরি বা যাদুবিদ্যা মিশ্রিত সংশয়যুক্ত রুকইয়াহর কথা বলা হলো-
১) তাবিজ কবচ মাদুলি গ্রহন করা (যার অধিকাংশ নাজায়েজ ও হারাম)
২) জ্বিনের সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা করা (যা শিরকি ও কুফরি)
৩) জ্বিন জবাই (যা অধিকাংশই বাটপারি তবে সত্য হলেও শিরকি ও কুফরি)
৩) অন্যের উপর জ্বীন হাজির করে চিকিৎসার দাবী করা। এগুলো ভন্ডামি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। এবং শরীয়ত সমর্থিত হয়।
৪) এমন কথা বা দুয়া পড়া যার অর্থ দুর্বোধ্য।
৫) জামার কাপড়ের অংশ, নখ, চুল, বাবা মায়ের নাম ইত্যাদি দিয়ে চিকিৎসা করা। এগুলো ভয়াবহ কুফর ও যাদুবিদ্যা।
৬) পেশেন্টকে সামনে না রেখে, রুকইয়াহ না করে দুর থেকে বানকাটানো বা যাদু কাটানোর মাধ্যমে চিকিৎসার দাবী করা ‍।
৭) যাদু কাটাতে যাদুর বা কবিরাজের আশ্রয় নেওয়া
৮) সংখ্যাতাত্তিক কোন মাদুলি কাগজ ইত্যাদি ব্যবহার করা।
✅কবিরাজি চিকিৎসার মাধ্যমে সাময়িক উপকার পেলেও কিছুদিন পর সমস্যা কে হাজারগুন বৃদ্ধি করে দেয়।
রুকইয়াহ চিকিৎসায় সবর করতে না পেরে অনেকে বিভিন্ন কবিরাজ ও তাবিজ কবচের অশ্রয় নেন, পরবর্তীতে সমস্যা যখন শতগুন বেড়ে যায়, জ্বীন একটার জায়গায় শরীরে নতুন করে দশটা ঢুকে তখন তারা আবার আমাদের পায়ে পড়েন অবস্থা হয়, মৃত্যুর কাছাকাছি অবস্থায় পৌছে যান। এই ভুল গুলো সুস্থতাকে বছর ব্যাপী পিছিয়ে দেয়। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে আফসোস না করে আগেই সচেতনতা কাম্য।
★ রুকইয়াহ তে সফল হওয়ার পূর্বশর্তঃ
রুকইয়া করে উপকার পেতে চারটি জিনিসের প্রয়োজন।
• নিয়্যাত (কেন রুকইয়া করছেন, সেজন্য নির্দিষ্টভাবে নিয়াত করা)
• • ইয়াক্বিন (এব্যাপারে ইয়াকিন রাখা যে, আল্লাহর কালামে শিফা আছে)
• মেহনত (অনেক কষ্ট হলেও, সুস্থ হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রুকইয়া চালিয়ে যাওয়া)।
• • সমস্যার সঠিক চিকিতসা সম্বন্ধে জানতে হবে। সঠিক ডায়গ্নোসিস ও চিকিতসা না জানলে যা মনে চায় তাই করে এবং একসময় পেশেন্ট হতাশ হয়ে যায়।
✅ রুকইয়াহ করার সময় লক্ষনীয়
প্রথমত আপনাকে আপনার অসুস্থতা ও এর প্রতিকারের ব্যাপারে ভালভাবে জানতে হবে। এবং অসুস্থতা ও শরীরে জীনের সমস্যা থাকলে তাকে আপনার শত্রু গণ্য করে ধংস করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। এরপর-
১) মানসিক রোগ যেমন সংশয়বাদীতা, তাকওয়াহীনতা ইত্যাদির ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে।
২) হারাম বিনোদন ত্যাগ করে হালাল বিনোদনে অভ্যস্ত হতে হবে।
৩) জ্বীন কে শক্তিশালী করে এরকম আচরন ও কার্যকলাপ থেকে দুরে থাকতে হবে।
৪) রুকইয়াহর সাপ্লিমেন্টারীগুলো হাতের কাছে নিয়ে সেল্ফ রুকইয়াহ শুরু করতে হবে।
৫) এমন একজন ব্যক্তির সহযোগীতা নেওয়া লাগবে যিনি আপনাকে মানসিকভাবে ও সেল্ফ রুকইয়াহতে সহযোগীতা করবে। এরকম কাউকে না পেলে আল্লাহ কে সংগী হিসেবে নিয়ে প্রচুর দু’আ ও কান্নাকাটি বাড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করুন ইনশা আল্লাহ।
৬) প্রতিদিন একটি নির্ধারিত সময় অবশ্যই রুকইয়াহর জন্য বরাদ্দ করতে হবে। সে অনুযায়ী নিজের জন্য মডিউল সাজাবেন।
৭) আপনার সমস্যা ও এর ডায়গ্নোসিস সম্পর্কে আপনার খুব ভালভাবে জানা থাকতে হবে। নয়ত সুস্থতা বিলম্বিত হবে।
৮) জীবন কে সাভাবিক করার উদ্যেশ্যে রুকইয়াহ। রুকইয়াহই জীবন না। সুতরাং সারাদিন রুকইয়াহ জীন যাদু এগুলো নিয়ে পড়ে থাকা যাবেনা। জীবন কে সাভাবিক করার দিকে সকল ফোকাস থাকবে। জীবন সাভাবিক করতে গিয়ে যেখানে জীন শয়তানের বাধা পাবেন সেখানে রুকইয়াহ দিয়ে সমাধান করবেন। আপনার একটা বরকতময় লক্ষ্য থাকতে হবে। যেই লক্ষ্যের শেষ মাথায় আছে আল্লাহর সাথে এক বরকতময় সাক্ষাতের প্রস্তুতি।
💎➖➖💎➖➖💎➖➖💎➖➖💎
#রুকইয়াহ_দ্বারা_উপকার_পাবেন_কিভাবে?
১। রুকইয়াহ গ্রহণকারী আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখতে হবে।
২। রোগী পূর্ণ এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল কুরআন মহাঔষধ এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত ও মুমিনের জন্য উপকারী।
৩। আরোগ্য লাভে দেরী হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ধৈর্য্যধারণ করা।
৪। আকিদা ঠিক করতে হবে। অর্থাৎ, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ-এর পূর্ণ আকিদা অনুসরণ করতে হবে।
৫। কোন যাদুকর বা গণকের দেওয়া তাবিজ-কবজ থাকলে খুলে ফেলে দিতে হবে।
৬। এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, যিনি রুকইয়াহ করেন তার কোন ক্ষমতা নেই। আল্লাহ চাইলে কুরআনের বরকতে আরোগ্য লাভ হবে।
৭। রোগী কোন গুনাহে লিপ্ত থাকতে পারবে না।
৮। বেশি বেশি দান সাদকাহ করতে হবে।
৯। সুন্নাহ অনুযায়ী চলতে হবে এবং বেশি বেশি নফল নামাজের পাবন্দী করতে হবে।
১০। রোগী যদি নারী হয় তাহলে পূর্ণ পর্দার অনুরসরণ করতে হবে।
রাকীর জন্য শর্তসমূহঃ
১। তিনিও আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা করবেন।
২। গুনাহমুক্ত থাকতে হবে।
৩। রোগীকে যখন রুকইয়াহ করবেন তখন আল্লাহর উপর ভরসা রাখা।
৪। রাক্কীকেও সহীহ আক্কীদার অনুসরণ করতে হবে।
৫। রাক্কীকে কুরআনের উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে যে, কুরআনের বরকতেই আল্লাহ তাআলা রোগীকে আরোগ্য দান করবেন।
৬। রাক্কীকে পরহেজগার মুত্তাকী হতে হবে।
৭। মহিলা রোগীর ক্ষেত্রে পর্দা মেনে চলতে হবে।
৮। রোগীর সাথে অসদাচারণ কিংবা তাকে ভর্ৎসনা করা যাবে না।
৯। গভীর আগ্রহের সাথে রুকইয়াহ করতে হবে।
১০। তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া বর্জন করতে হবে এবং গাম্ভীযে তেলাওয়াত করতে হবে।
১১। মনে মনে আরোগ্যের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করবে।
১২। রোগীর মাঝে আছরকৃত জীনকে জালানো-পোড়ানো ও তাড়ানোর পূর্বে তাকে হিদায়াতের দিকে আহবান করতে হবে। আর রোগীর চিকিৎসার পূর্বে তার ঈমান আকিদা মজবুত করার জন্য রোগীকেও দাওয়াত দিতে হবে।
১৩। রাক্কীকে অবশ্যই একজন আদর্শবান ব্যক্তি হতে হবে। তার কথাবার্তা, আচার-আচরণ ও লেনদেনসহ প্রতিটি কাজে রোগীর ক্ষেত্রে উত্তম আদর্শ হওয়া জরুরী। কেননা, তিনিই তো রোগীকে সর্বদা বেশি বেশি ইবাদত ও যিকির করতে বলবেন। তাই এমন যেন না হয় যেমন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন,
اَتَاْمُرُوْنَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنْسَوْنَ اَنْفُسَكُمْ وَاَنْتُمْ تَتْلُوْنَ الْکِتٰبَ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ
﴾তোমরা মানুষকে পূণ্যের আদেশ করো। আর নিজেদের ভুলে যাও অথচ তোমরা কিতাব তিলাওয়াত করো। তোমরা কি বুঝ না?
১৪। রোগীর মাঝে আত্মবিশ্বাস স্থাপন করানো। রোগীর মাঝে প্রশান্তি ও প্রথমতঃ তার প্রতিপালকের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ও দ্বিতীয়তঃ নিজের উপর আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করানো একান্ত প্রয়োজন। রোগীর জন্য যা হয়েছে তার ভুল হওয়ার ছিল না। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা এবং তাঁর ভালোবাসার প্রমাণ।কারণ হাদীসে আছে, আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তাকে রোগ-শোক দেন। মানুষ খুব মানষিকভাবে দুর্বল থাকে তখন শয়তান তার ভিতরে প্রবেশ করে, বিভিন্ন ধরনের সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি করে। পরিবারের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
১৫। রোগীকে চিকিৎসার সাথে সাথে তাওবার পরামর্শ দিতে হবে। যেন সে তার জীবনধারাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। এটা তার মনে আশার সঞ্চার করবে এবং নিরাশা দূর করবে।
জ্বিন-জাদু-বদনজর ও শারীরিক মানুষিক সমস্যার কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিতে কল করুন।
©Mufti wasiul islam

Raqi Hussain Ahmed
01753-517790

I've received 900 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
21/10/2024

I've received 900 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

10/10/2024

🔴রুকইয়াহ শুনার নিয়ম

যে রোগের জন্য শুনবেন তার নিয়ত করবেন

🎧রুকইয়াহ এর অডিও লাইভ সেশন শোনার নিয়ম হলো :

🔖প্রথমে আপনি ওযু করে নিবেন।অতপর নিরব একটি স্থানে বসবেন। কোনো কিছুর সাথে হেলান না দিয়ে, আপনার দুই কানে হেডফোন লাগিয়ে দুই চোখ বন্ধ করে। আপনার পুরো শরিরে কন্ট্রোল ছেড়ে দিয়ে রুকইয়াহ এর নিয়তে অডিও টি শোনতে থাকবেন।

📌
নিয়ত : ইয়া আল্লাহ আমার শারীরিক মানসিকের উপর সকল প্রকার যাদু জ্বীনের প্রভাব, বদ নজর ও হাসাদের প্রভাব ধ্বংস করে দেন।

🔖 অতপর আপনি অডিও শোনার পর যদি আপনার নিচের রিয়্যাকশন গুলো শুরু হয়।

📝যেমন :আপনার মাথা ব্যাথ্যা হচ্ছে। শরিরের অন্য কোনো স্থানের মাঝে ব্যাথ্যা হচ্ছে। আপনার বুকের মাঝে ধড়ফড় হচ্ছে। হাত পায়ের তালু ঝিমঝিম করছে, কিংবা প্রচুর মুঁচোড় দিয়ে উঠতেছে।
প্রচন্ড পরিমানের ঘুম চলে আসতেছে। শরিরের মাঝে অস্থরিতা কাজ করতেছে। পেট ব্যাথ্যা করছে বা বমি হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ের উপর রিয়্যাকশন হচ্ছে। তাহলে বুঝে নিবেন আপনার প্যারানরমাল জনিত কোনো সমস্যা আছে থাকতে পারে।

📌 আপনার জন্য করনীয় হলো: ভালো বিজ্ঞ একজন রাকির অধিনস্ত হয়ে।আপনার পুরো সমস্যা গুলো ডায়গোনোসিস রুকইয়াহর মাধ্যমে নির্ণয় করা।অতপর রুকইয়াহর
গাইড লাইন নিয়ে সেল্ফ রুকইয়াহ বা সরাসরি রুকইয়াহ করা।

ইনশাআল্লাহ্ মহান আল্লাহ তাআলা আপনাকে সুস্থতার নিয়ামত দান করবেন।

আমাদের লাইভ সেশন আপনার ভালো লাগলে :
সাদকায়ে জারিয়ার নিয়তে লাইভ সেশন শেয়ার করতে পারেন।

রুকইয়াহ ও হিজামা সংক্রান্ত সেবার জন্য ভিজিট করুন পেইজে অথবা সরাসরি কল করুন অফিসিয়াল নাম্বারে : 01866388409

🎙️Raqi Hussain Ahmed

Address

Kotalpur, Sujanagar, Borolekha
Moulvibazar
3252

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raqi Hussain Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Raqi Hussain Ahmed:

Share