Dr. Md. Foysal Islam's Clinic

  • Home
  • Dr. Md. Foysal Islam's Clinic

Dr. Md. Foysal Islam's Clinic Health Service Provider

 # #নতুন  আতঙ্ক   #মাঙ্কিপক্স # #♦️ মাঙ্কিপক্স কিঃ 👉 করোনাভাইরাসের পর নতুন আতঙ্ক হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে হাজির হয়েছে মাঙ...
02/06/2022

# #নতুন আতঙ্ক #মাঙ্কিপক্স # #

♦️ মাঙ্কিপক্স কিঃ

👉 করোনাভাইরাসের পর নতুন আতঙ্ক হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে হাজির হয়েছে মাঙ্কিপক্স। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা এই রোগের সৃষ্টি হয়। জলবসন্ত সৃষ্টি করে যে ভাইরাস, সেই একই পরিবারের সদস্য এই ভাইরাস। তবে এর ভয়াবহতা অনেকটা কম। মাঙ্কিপক্ষে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম। সাধারণত এই রোগ দেখা দেয় রেইনফরেস্ট এলাকার কাছে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এই ভাইরাসের দুটি স্ট্রেইন আছে। তাহলো পশ্চিম আফ্রিকান এবং মধ্য আফ্রিকান।

♦️ লক্ষণ ও উপসর্গঃ

👉 প্রথমেই এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ফুলে যেতে পারে, ব্যাকপেইন, মাংসপেশীর ব্যথা, নিঃরস ভাব। জ্বর কমে যাওয়ার পর শরীরে র‌্যাশ বা ফোসকার মতো দেখা দিতে পারে। কখনো কখনো তা মুখে প্রথম দেখা দিতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব ফোসকা দেখা দেয় হাতের তালুতে এবং পায়ের পাতায়। এসব র‌্যাশ ভয়ঙ্কর রকম চুলকায় এবং বেদনাদায়ক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর পরিবর্তন ঘটে। বিভিন্ন সময় এর বিভিন্ন রকম চেহারা দেখা দিতে পারে। চূড়ান্ত দফায় মাঙ্কিপক্স পরিণত হতে পারে পাঁচড়ায়। পরে আস্তে আস্তে ঘা শুকিয়ে যায়। কিন্তু তাতে ত্বকে যে ক্ষত সৃষ্টি হয় তা ভয়াবহ। এই সংক্রমণ নিজের থেকেই সেরে যায় ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে।

♦️ কীভাবে ছড়ায়ঃ

👉 মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে যদি কেউ যান, তাহলে তার এতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আপনার ত্বকে যদি কোনো ক্ষত থাকে তাহলে সেখান দিয়ে এই ভাইরাস আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আপনার শ্বাসনালী, চোখ, নাক বা মুখ দিয়েও প্রবেশ করতে পারে এই ভাইরাস। যৌনতার মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে না বলে এর আগে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, শারীরিক সম্পর্কের সময় সরাসরি সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ ছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত বানর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, বেডিং এবং পোশাকের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

♦️ মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা :

👉 মাঙ্কিপক্সের কোনো চিকিৎসা নেই। কিন্তু সংক্রমণ প্রতিরোধ করার মাধ্যমে এর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তবে গুঁটিবসন্তের টিকা এক্ষেত্রে শতকরা ৮৫ ভাগ কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বলা হয়েছে, শতকরা ৮৫ ভাগ ক্ষেত্রে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধ করে গুটিবসন্তের টিকা। এরই মধ্যে বৃটেন গুটিবসন্তের টিকা কিনেছে। তবে তার মধ্যে কতগুলো প্রয়োগ করা হবে তা নিশ্চিত নয়। এক্ষেত্রে ভাইরাস বিরোধী ওষুধও সহায়ক হতে পারে।

ডাঃ মোঃ ফয়সাল ইসলাম
মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ।

20/05/2022
 #রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয় #⚕️ ডাঃ মোঃ ফয়সাল ইসলাম মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ।  🔶 রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বা...
14/04/2022

#রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয় #

⚕️ ডাঃ মোঃ ফয়সাল ইসলাম
মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ।

🔶 রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে মহিমান্বিত মাস রমজান। এ মাসে অন্যদের পাশাপাশি ডায়াবেটিসের রোগীরাও রোজা রাখেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারা বিশ্বের প্রায় ৫ কোটি ডায়াবেটিসের রোগী রোজা রাখেন। ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্য়ে যাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন, তাঁরা বেশি জটিলতার সম্মুখীন হন।

🔶 যেসব জটিলতা হতে পারেঃ

👉 রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া
👉 রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া
👉 ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস
👉 পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন

🔶 হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণঃ

👉বেশি ক্ষুধা লাগা
👉শরীর কাঁপা, বুক ধড়ফড় করা
👉মাথা ঘোরানো, অস্বাভাবিক আচরণ করা
👉চোখে ঝাপসা দেখা, খিঁচুনি হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করতে হবে এবং ৩ দশমিক ৯ মিলিমোল/লি.-এর কম হলে রোজা ভেঙে ফেলা ভালো।

🔶 রোজায় খাবার নিয়ম কেমন হবেঃ

👉 সাহ্‌রি যত সম্ভব দেরিতে খেতে হবে। সাহ্‌রি না করে রোজা রাখা যাবে না।
👉 ইফতারে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলতে হবে।
👉 মিষ্টিজাতীয় খাবার ইফতারে এড়িয়ে যাওয়া ভালো। যেমন চিনিযুক্ত শরবত, মিষ্টি ফল ইত্যাদি।
👉 কম মিষ্টি ফল, যেমন সবুজ আপেল, পেয়ারা, বরই, নাশপাতি ও এসব দিয়ে ফ্রুট সালাদ বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে।
👉 চিনি ছাড়া লেবুর শরবত খাওয়া যাবে।
👉 রাতের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না।
👉 ইফতারে একসঙ্গে অতিরিক্ত না খেয়ে অল্প অল্প করে দুই ঘণ্টা পরপর খাবার খাওয়া ভালো।
👉 রোজায় ব্যায়াম বা হাঁটা
👉 দিনের বেলায় ব্যায়াম করা বা না হাঁটাই ভালো।
👉 ইফতারের দুই ঘণ্টা পর চাইলে হাঁটা বা ব্যায়াম করা যায়। তবে তারাবির নামাজ আদায় করলে অতিরিক্ত ব্যায়াম বা হাঁটার দরকার নেই। এই নামাজই ব্যায়ামের কাজ করবে।

🔶কখন ব্লাড সুগার পরীক্ষা করবেনঃ

👉 ইফতারের দুই ঘণ্টা আগে ও দুই ঘণ্টা পরে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা ভালো। এতে ইফতারের আগে ব্লাড সুগার কমে যাচ্ছে কি না, বা ইফতারের পরে ব্লাড সুগার বেড়ে যাচ্ছে কি না, বোঝা যাবে।

🔶 ইনসুলিন ও ওষুধের ডোজ কেমন হবেঃ

👉 যাঁরা সকালে খাওয়ার আগে গ্লিক্লাজাইড-জাতীয় ওষুধ খাচ্ছিলেন, তাঁরা ইফতারের শুরুতে খাওয়ার আগে খাবেন।
👉যাঁরা দুই বেলা মেটফরমিন-জাতীয় ওষুধ খাচ্ছিলেন, তাঁরা সেটা ইফতার ও সাহ্‌রির পর খাবেন।
👉 যাঁরা মেটফরমিন ও ভিলডাগ্লিপটিন-জাতীয় ওষুধ দুই বেলা খাচ্ছিলেন, তাঁরা তা ইফতার ও সাহ্‌রির পর খাবেন।
👉 যাঁরা দুইবেলা ইনসুলিন নিচ্ছিলেন, তাঁরা সকালের পূর্ণ ডোজ ইফতারের আগে ও রাতের ডোজের অর্ধেক সাহ্‌রির আগে নেবেন।
👉 যাঁরা শুধু এক বেলা ইনসুলিন নিতেন, তাঁরা সেটি ইফতারের পর একটি নির্ধারিত সময়ে নেবেন। ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে হবে কি না, তা আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
অসুস্থ অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখা ঠিক হবে না। তাই হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কোনো লক্ষ্মণ দেখা দিলে এবং ব্লাড সুগার অনেক বেশি বেড়ে গেলে প্রয়োজনে রোজা ভেঙে ফেলাটাই স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

 #রোজায় এসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় # #ডাঃ মোঃ ফয়সাল ইসলাম মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ। ♦️ প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ...
13/04/2022

#রোজায় এসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় #

#ডাঃ মোঃ ফয়সাল ইসলাম
মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ।

♦️ প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের প্রত্যেক মুসলিমের জন্য রোজা পালন করা ফরজ। রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা খুব সাধারণ একটি বিষয়। সাধারণত খাদ্যাভাস, সুষম উপাদানের পরিবর্তে বেশি ভাজাপোড়া খেলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের শেষ বিকেলে বমিবমি ভাব দেখা দেয়। সারা দিন অনাহার বা উপবাসের কারণে এমন হয়ে থাকে।

🔶 মানবদেহের পাকস্থলীতে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই লিটার হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরিত হয়, যার কাজ হচ্ছে পাকস্থলীতে খাবার পরিপাক করতে সহায়তা করা। যদি কোনও কারণে পাকস্থলীতে এই হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণ এর মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ আবরণ তথা মিউকাস মেমব্রেনে প্রদাহ তৈরি হয় যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় গ্যাসট্রাইটিস বলে। অতিরিক্ত খাবার খেলে কিংবা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে কিংবা বেশি বেশি তৈলাক্ত খাবার খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায় এবং প্রদাহ হয় যাকে আমরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে থাকি। একজন সুস্থ মানুষ রোজা রাখলে তার এসিডিটি হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই যদি সে ইফতারি ও সাহরিতে নিম্নোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলে।

👉 ইফতারের সময় যা করতে হবে:

✨ ইফতারে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার কিংবা তেলে ডুবিয়ে যেসব খাবার তৈরি করা হয় যথা পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি ইত্যাদি যতটুকু সম্ভব পরিহার করতে হবে।

✨ ইফতারে ইসুপগুলের শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি খাওয়া, যাতে পরে শর্করা জাতীয় খাবার যথা খেজুর, পেয়ারা, ছোলা, সেমাই ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

✨ টমেটো ইফতারির সময় অনেকের প্রিয় খাবার, তবে টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক এসিড ও ম্যালিক এসিড থাকে এবং এটা পাকস্থলীতে ইরিটেশন করে, তাই টমেটো বেশি পরিমাণ না খাওয়াই উত্তম।

✨ ইফতারি হতে হবে লাইট মিল কিংবা অল্প পরিমাণ খাবার তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে নেয়া ভালো। সম্ভব হলে তারাবীর নামাজের আগেই খেয়ে নিতে হবে। তাহলে খাবারের পরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে নামাজ পড়তে গেলে নামাজের সময় এক প্রকার ব্যায়াম হয়ে যাবে এবং সেটা খাবার পরিপাকের ক্ষেত্রে সহায়ক সেই সাথে এসিডিটি হবার ঝুঁকি কমে যাবে।

✨ ঝাল খাবার পাকস্থলীতে এসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় তাই কাচা মরিচ কিংবা অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করে চলতে হবে।

✨ গরম খাবার যথা চা, কফি ইত্যাদি পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় তাই রোজার সময় চা, কফি ইত্যাদি পরিহার করে চলা উচিত।

👉 সেহরির সময় যা করণীয়:

✨ ফজর নামাজের সময় হওয়ার আগ পর্যন্ত সেহরি করা যায়। একটু দেরিতে সেহরি করার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। এতে সেহরি শেষ করে ফজর নামাজের প্রস্তুতি নেওয়া যায়। নামাজ শেষ করে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। এটি খাবার পরিপাকে সহায়তা করে। যদি কেউ ফজরের সময় হওয়ার ১-২ ঘন্টা আগে সেহরি করে তাহলে সে সাধারণত খাওয়া শেষ করে ২ ঘন্টা বসে থাকে না। খাবার খেয়ে সাথে সাথে শুয়ে পরা অ্যাসিডিটির অন্যতম কারণ।

✨ সেহরির খাবারেও এসব জিনিস পরিহার করা উচিত যা অ্যাসিডিটি বাড়ায়। যেমন চর্বিজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, চা কফি ইত্যাদি।

🔶 মূলত যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা কিংবা গ্যাস্ট্রিক রোগ রয়েছে, তারা গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। তারা রোজা রাখতে পারবেন আর সাথে সাথে উপরের নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে। গ্যাস্ট্রিকের কয়েক ধরনের ঔষধ রয়েছে, তার মধ্যে অ্যান্টাসিড কিংবা ওমিপ্রাজল ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। অ্যান্টাসিড প্লাস সিরাপ সন্ধ্যায় খাবারের পরে খাওয়া যায় আর ওমিপ্রাজল ক্যাপসুল ভোর রাত্রে খেলে উপকার পাওয়া যায়। ল্যান্সোপ্রাজল এর কার্যকারিতা দীর্ঘসময় থাকে।

♦️মেডিসিন নেওয়ার পরেও যদি কারো রোজা রাখতে বেশি কষ্ট হয় অথবা যদি প্রচণ্ড বুকে ব্যথা ওঠে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

🌙 ডাঃ মোঃ ফয়সাল ইসলাম        মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ।🔶 ডায়াবেটিস নিয়ে যত ভাবনাঃ♦️যে সব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হব...
26/02/2022

🌙 ডাঃ মোঃ ফয়সাল ইসলাম
মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ।

🔶 ডায়াবেটিস নিয়ে যত ভাবনাঃ

♦️যে সব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে:

👉 ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা
👉 দুর্বল লাগা' ঘোর ঘোর ভাব আসা
👉 ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
👉 সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের 👉 শর্করা কমে হাইপো হওয়া
👉 মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া
👉 কোন কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া
👉 শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা
👉 চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব
বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা
👉 চোখে কম দেখতে শুরু করা

♦️কাদের ঝুঁকি বেশিঃ

👉 যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে।

👉 এছাড়া যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

👉 এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে।

👉 যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

👉 যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

♦️ উপরের যেকোন উপসর্গ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

 #ওমিক্রনের যে ২টি উপসর্গ সবচেয়ে বেশি দেখা দিচ্ছে #✨প্রতিদিনই বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। এর উপসর্গ মৃদু হলেও ওমিক...
26/01/2022

#ওমিক্রনের যে ২টি উপসর্গ সবচেয়ে বেশি দেখা দিচ্ছে #

✨প্রতিদিনই বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। এর উপসর্গ মৃদু হলেও ওমিক্রনকে হালকাভাবে না দেখতে বলা হচ্ছে। যারা করোনা পজিটিভ হচ্ছে তাদের বেশির ভাগেরই ঠাণ্ডা লাগছে। এ জন্য আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং আইসোলেটেড থাকার প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে।

✨ডেল্টার সাথে তুলনা করলে ওমিক্রন হাসপাতালে যাওয়ার সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা দুই কম। তবু ডেল্টার তুলনায় চার গুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। ঠাণ্ডা ওমিক্রনের প্রধান লক্ষণ হলেও অনেকের কাছে আরো একটি লক্ষণের কথা শোনা যাচ্ছে।

♦️ওমিক্রন সংক্রমণ কেমন?

✨ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের উচ্চ সংক্রামকতার হার রয়েছে । প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন ভেরিয়েন্টটি মৃদু। হালকা জ্বর, ঘামাচি, শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা, রাতের ঘাম, বমি এবং ক্ষুধামান্দ্যর মতো লক্ষণগুলো শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন ডা. অ্যাঞ্জেলিক কোটজি, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন নির্ণয় করেছিলেন তিনি বলেছেন, রোগীদের গন্ধ এবং স্বাদ চলে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। স্বাদ, এ ছাড়া সংক্রমিত ওমিক্রন রোগীদের মধ্যে নাক বন্ধ বা খুব বেশি তাপমাত্রার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা ওমিক্রন এবং ডেল্টার মধ্যে একটি দুর্দান্ত পার্থক্য হতে পারে।

♦️এই দুটি উপসর্গ থেকে সাবধান

✨দুটি প্রধান ওমিক্রনের লক্ষণ হলো একটি সর্দি এবং মাথা ব্যথা।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের এপিডেমিওলজি এবং হেলথ ইনফরমেটিকসের অধ্যাপক আইরিন পিটারসন বলেন, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং মাথা ব্যথা অন্য অনেক সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে, তবে সেগুলো কভিড বা ওমিক্রনের লক্ষণও হতে পারে।
চিকিৎসকের মতে, ওমিক্রনের প্রায় ২০টি উপসর্গ রিপোর্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে সর্দি এবং মাথা ব্যথা সবচেয়ে সাধারণ। তিনি এই লক্ষণগুলোতে ভুগছে এমন রোগীদের নিয়মিত সর্দি হিসেবে গণ্য না করার পরিবর্তে অবিলম্বে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

♦️অন্যান্য লক্ষণ

✨গবেষণায় ওমিক্রনের অন্য পাঁচটি বিশিষ্ট উপসর্গ, যেমন নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, হাঁচি এবং গলা ব্যথার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।

এ ছাড়া রাতে ঘাম, ক্ষুধা হ্রাস এবং বমি হওয়া এমন কিছু লক্ষণও লক্ষ করা গেছে রোগীদের মধ্যে।

ওমিক্রনের যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলেই অবহেলা না করে দ্রুত পরীক্ষা করতে হবে। পজিটিভ হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চিকিৎসা ও কোয়ারান্টাইন করতে হবে।

♦️মাস্ক পড়ি, নিজে সুস্থ থাকি,
অন্যকে সুস্থ রাখি।

 #গর্ভবতী নারীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের পুর্বে করণীয়ঃ🔶 সাম্প্রতিককালে গর্ভবতী/স্তন্যদানকারী নারীদের মাঝেও কোভিড-১৯ আক্র...
10/08/2021

#গর্ভবতী নারীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের পুর্বে করণীয়ঃ

🔶 সাম্প্রতিককালে গর্ভবতী/স্তন্যদানকারী নারীদের মাঝেও কোভিড-১৯ আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ও পরবর্তীতে মারাত্নক রোগ এমনকি মৃত্যুঝুকি আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করে টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটির পরামর্শ পুর্বক বাংলাদেশ সরকার গর্ভবতী/স্তন্যদানকারী নারীদের শর্তসাপেক্ষে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

👉 গর্ভবতী নারীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের পুর্বে করণীয়ঃ

১) সাধারন নির্দেশাবলীঃ
ক) গর্ভবতী নারীগণকে সুরক্ষা ওয়েবপোর্টালের (surokkha.gov.bd) মাধ্যমে শুধুমাত্র হাসপাতাল সংযুক্ত টিকা কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা প্রদান করতে হবে।
২) টিকাদানের পূর্বে টিকাদান কেন্দ্রের রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক কাউন্সিলিং সম্পন্ন করে টিকা প্রদান করতে হবে

২) শর্তাবলীঃ
ক) গর্ভবতী নারী টিকা গ্রহণের দিন অসুস্থ থাকলে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না
খ) অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না
গ) কোন গর্ভবতী নারীর ভ্যাকসিন এলার্জির পুর্ব ইতিহাস থাকলে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না
ঘ) কোন গর্ভবতী নারী যদি কোভিড-১৯ টিকার ১ম ডোজ গ্রহণের পর এইএফআই (AEFI) কেস হিসেবে সনাক্ত হন তাহলে তাকে ২য় ডোজ প্রদান করা যাবে না।
ঙ) সম্মতিপত্রে টিকাগ্রহনকারী/আইনানুগ অভিভাবক ও কাউন্সিলিং চিকিৎসকের সাক্ষর ব্যতীত টিকা প্রদান করা যাবেনা।

৩) কাউন্সিলিংঃ
কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক গর্ভবতী নারীকে টিকা প্রদানের পূর্বে
রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে নিম্নোক্ত তথ্যদি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে-

ক) গর্ভাবস্থায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য ঝুকিঃ
- নির্ধারিত সময়ের আগেই অপরিনত নবজাতক সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাওয়া
- নবজাতকের স্বাস্থ্য ঝুকি বৃদ্ধি পাওয়া
- বয়স্ক গর্ভবতী (>৩৫ বছর), উচ্চ বিএমআই সম্পন্ন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত নারী গর্ভাবস্থায় (বিশেষ করে ১ম ও ২য় ট্রাইমেস্টার) কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে তা মারাত্নক রূপ নিতে পারে এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।
- সাধারন নারীদের তুলনায় গর্ভবতী নারীদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য ঝুকি বেশি থাকে

খ) গর্ভবতী নারীকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের সুফলঃ
- কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হবার এবং আক্রান্ত হলে এর ফলে সৃষ্ট জটিলতার ঝুকি অপেক্ষাকৃত কম
- গর্ভাবস্থায় কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করলে কোভিড-১৯ এর গর্ভজনিত ঝুকির সম্ভাবনা কমে যায়

গ) গর্ভবস্থায় কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের ঝুকি সমূহঃ
- গর্ভবতী নারীদের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত তথ্য অপ্রতুল
- অন্য যে কোন টিকার ন্যায় কোভিড-১৯ টিকার ক্ষেত্রেও টিকা পরবর্তী বিরূপ প্রতিক্রিয়া (এইএফআই) হতে পারে যা অন্য নারীদের মত গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য
- দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে কোন তথ্য এখনো জানা যায় নি ।

স্তন্যদানকারী নারীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের পূর্বে করনীয়ঃ
- স্তন্যদানকারী নারীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এক্ষেত্রে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মতই বিদ্যমান নিয়মাবলি অনুসরণ করে টিকা প্রদান করতে হবে।

 #উচ্চরক্তচাপ চাপ ও হাইপারলিপিডেমিয়ায় কি কি খাওয়া যাবে ও কি কি খাওয়া যাবে না। ✴️ বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) ও হ...
10/08/2021

#উচ্চরক্তচাপ চাপ ও হাইপারলিপিডেমিয়ায় কি কি খাওয়া যাবে ও কি কি খাওয়া যাবে না।

✴️ বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) ও হাইপারলিপিডেমিয়া অর্থাৎ রক্তে কোলেস্টেরলসহ অন্য ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া বিভিন্ন রোগে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে।

👉 আজকাল যে কোনো বয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা দেখা যায়। সাধারণত বেশি ওজন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে অনেকেই খুব কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগে আক্রান্ত হন। উচ্চ রক্তচাপ হলে প্রথমেই করণীয় চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ। সেই সঙ্গে খাবারের নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। কেননা উচ্চ রক্তচাপ মানেই এখান থেকে পরবর্তী সময়ে কিডনি এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগও হতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রত্যেক রোগীর উচিত তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।

👉 আমরা অনেকেই জানি না, খুব ছোট কিছু খাদ্যাভ্যাস এসব রোগের খারাপ প্রভাব থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ দিতে পারে। আজ এমন কিছু খাদ্যাভ্যাস নিয়েই আলোচনা করব-

🔶 হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপঃ

👉 হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ এতটাই বেশি হচ্ছে- অনেক প্রবীণ বা বয়স্ক মানুষের পাশাপাশি কম বয়স্ক মানুষের মধ্যেও এটি দেখতে পাওয়া যায়। সহজ জীবনযাপন, অল্প কিছু খাবার পরিত্যাগ আর বেশ কিছু খাবার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যোগ করে নিলেই পাওয়া যেতে পারে এ রোগের সুন্দর নিয়ন্ত্রিত সমাধান।

👉 এই রোগের সমাধানে তাজা ফল যেমন- লেবু, জাম্বুরা, পেয়ারা, আমলকী, কামরাঙা, আপেল, কমলা, মালটা, পেস্তা বাদাম, ডালিম, কলা, নাশপাতি, পেঁপে ইত্যাদি খেতে পারেন।

পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া।

নার্ভের কার্যকলাপ ভালো রাখতে, মাসল কন্ট্রোল রাখতে ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। পটাসিয়ামের প্রধান উৎসই হচ্ছে কলা। তাই রক্তচাপ কমাতে প্রতিদিন কলা খেতে হবে।

সবুজ শাক-সবজির ও সাথে লেবু, কমলালেবু, কলা, টমেটো, ডাবের পানিও খেতে হবে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন আলুবোখারা, আম, সবুজ মুগ ডাল, মিষ্টি আলু, পালং শাক, বেগুন জাতীয় খাবার শরীরে লবণ ও ফ্লুয়িড ব্যালেন্স বজায় রেখে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।

শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলেও হাইপারটেনশনের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তিল, কমলালেবু, মেথি, ধনেপাতা, ফুলকপি, গাজর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। রসুনও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

👉 এ ছাড়া সবুজ শাকসবজি যেমন- প্রায় সব ধরনের সবুজ শাক (পালংশাক, কলমিশাক, মুলাশাক, পাটশাক ইত্যাদি) এবং বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, শসা, মুলা, লাউ, মটরশুঁটি, ঢেঁড়স, বেগুন, কুমড়ো ইত্যাদি। এ ছাড়া খেতে পারেন প্রোটিন জাতীয় প্রায় সব ধরনের খাবার (চর্বিযুক্ত মাংস, কলিজা, চিংড়ি ও ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে)।

🔶 যেসব খাবার উচ্চ রক্তচাপের রোগীর পরিত্যাগ করা উচিতঃ

১. লবণ এবং বেশি লবণযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। এর সঙ্গে বিট লবণ এবং অন্যান্য মুখরোচক লবণ গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

২. রান্নার সময় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে- কোনোভাবে সয়া সস যেন ব্যবহার না হয়।

৩. অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার- কেক, পেস্ট্রি, নুডলস, পরোটা, লুচি, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।

৪. ডিমের কুসুম, খাসির মাংস, গরুর মাংস ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।

৫. চাটনি অর্থাৎ আচার খাওয়া যাবে না। কারণ আচারে প্রচুর তেল ও লবণ ব্যবহার করা হয়; যা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর।

👉 এছারা রেড মিটকে বিদায়:

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় রেড মিট অর্থাৎ গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং মহিষের মাংস একেবারেই বর্জন করা একান্তভাবে জরুরি। কারণ এই সব লাল মাংসে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুন বাড়িয়ে দেয়।

👉 মুরগির চামড়া এবং ডিমের কুসুমঃ

মুরগির চামড়া এবং ডিমের কুসুম খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় সেই সাথে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও। তাছাড়া মুরগি ত্বকে উচ্চ মাত্রার চর্বি থাকে যা মানুষের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

👉 চিনিযুক্ত খাবার আর নয়:

অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার আমাদের শরীরে মেদ জমতে সাহায্য করে এবং এর ফলে ওজন বৃদ্ধি পেয়ে শরীর মোটা হয়ে যায়। এমন অনেকে আছেন যারা অতিরিক্ত ওজনের কারণে উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।

👉 আচার এবং সস জাতীয় খাবার:

যতই মুখরোচক লাগুক যারা হাই প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের আচার এবং সস জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ আচার এবং সসে লবণ এবং চিনির পরিমাণ খুব বেশি থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়।

👉 সারাদিনের খাবারে পটাশিয়াম জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে পারলে উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। সাধারণত ডাবের পানি, কলা ও সবজি খেলে উচ্চ রক্তচাপ সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে।

👉 একজন উচ্চ রক্তচাপের রোগীর অবশ্যই তেল, চর্বি এবং অতিরিক্ত লবণ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তবে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বাদাম, পেঁয়াজ, ডালিম, আপেল, শালগম, তিসি, ডার্ক চকোলেট, কালিজিরা, চালতা একেবারে টনিকের মতো কাজ করে।

🔷 হাইপারলিপিডেমিয়া বা হাইকোলেস্টেরলঃ

👉 মূলত রক্তে কোলেস্টেরল, এলডিএল-এর মাত্রা বেড়ে গেলেই হাইপারলিপিডেমিয়া দেখা যায়। তাই যেসব খাবারে কোলেস্টেরল এবং এলডিএল-এর মাত্রা বেশি সেগুলো বেছে চলতে হবে। সাধারণত এ ধরনের রোগীর প্রতিদিনের খাবারে ডাল, বিচি, তিল, ভুট্টা, অলিভ অয়েল, মাছ, তাজা ফল, সবুজ শাকসবজি, স্যুপ, সালাদ, লেবু, ডিমের সাদা অংশ, মাছ, তেঁতুল, রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি থাকা প্রয়োজন। রঙিন শাকসবজি একই সঙ্গে ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশের উৎস। আঁশ শরীরের অতিরিক্ত লিপিড বা ফ্যাট বের করে নিয়ে যায়।

👉 এ ছাড়া কম তেলযুক্ত খাবার খাওয়াই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। কিছু খাবার বর্জন করতে হবে যেমন পরোটা, লুচি, ভাজাভুজি, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মগজ, চিংড়ি, আচার, চাটনি, বেকারি জাতীয় খাবার, বিস্কুট, কেক, আইসক্রিম, ক্রিম, দুধের সর, ঘি, ডালডা, মাখন ইত্যাদি তেল জাতীয় খাবার।

🔷 সুতরাং কিছু খাবার নিজের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আর কিছু খাদ্যাভ্যাস যোগ করে আপনি ভালো থাকতে পারেন সহজেই। হাইপারটেনশন, হাইপারলিপিডেমিয়া এই দুটি রোগকেই সুষম খাদ্য গ্রহণে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

06/08/2021

# Some Very Important Informations about Corona Vaccine #

Address

Sadar Hospital Road, Manikpur

Telephone

+8801717561518

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Foysal Islam's Clinic posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram