Health tips

Health tips Hi, I am Ibrahim Khalil. This is Health-related Site. So Everyone likes these Pages. Thanks. Khalil.

 সকালে পানিতে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতাসকালে খালি পেটে পানিতে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে নতুন করে জানাচ্...
15/09/2025


সকালে পানিতে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে পানিতে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে নতুন করে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। রূপ ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে, শরীর সুস্থ রাখতে এবং মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে কাঠবাদাম একটি আদর্শ খাবার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুষ্টিবিদদের মতে, কাঠবাদামে রয়েছে বিপুল পুষ্টিগুণ। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি, বি, ও ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। তবে এসব পুষ্টিগুণ সহজে শরীরে শোষিত করার জন্য কাঠবাদাম আগে পানি ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, সকালে পানিতে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার ১০টি বড় উপকারিতা:

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

কাঠবাদামে রয়েছে রিবোফ্লেভিন ও এল-ক্যারনিটিন, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং আলঝেইমারসহ নানা মস্তিষ্কজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।

হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে

প্রচুর প্রোটিন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন-ই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের পর #কাঠবাদাম খেলে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক

বিশেষ করে কোলন ক্যানসার #প্রতিরোধে কাঠবাদাম কার্যকর। এটি কোলনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

কাঠবাদামে থাকা ফসফরাস ও সামান্য পরিমাণ #সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

কাঠবাদাম খাওয়ার পর ক্ষুধা কমে যায়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

খারাপ কোলেস্টেরল কমায়

কাঠবাদাম শরীর থেকে খারাপ #কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে

এতে থাকা ফসফরাস ও অন্যান্য মিনারেল হাড় ও দাঁত মজবুত করে এবং অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক।

কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়

ফাইবার সমৃদ্ধ কাঠবাদাম হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগীদের জন্যও উপকারী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

#ভিটামিন-ই ও শক্তিশালী #অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঠবাদাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

যে কারণে খাবেন আদা চাক্লান্তি দূর কিংবা অতিথি আপ্যায়নে চায়ের জুড়ি নেই। তবে চায়ের সাথে  #আদা ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছ...
11/09/2025

যে কারণে খাবেন আদা চা

ক্লান্তি দূর কিংবা অতিথি আপ্যায়নে চায়ের জুড়ি নেই। তবে চায়ের সাথে #আদা ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে দারুণ উপকারিতা।
হার্ট ভালো রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
নিয়মিত আদা চা পান করলে হার্ট ভালো থাকে এবং #রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্ত জমাট বাঁধা নিয়ন্ত্রণ করে, কোলেস্টরল কমিয়ে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:
আদায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে ও স্ট্রেস কমায়। আদা পানির বাষ্প নিলে বন্ধ নাক খুলে যায়।

মাথা ঘোরা কমে:
প্লেনে উঠলে বা পাহাড়ি রাস্তায় যদি মাথা ঘোরার সমস্যা থাকে, তা হলে আদা চা পান করলে সেটা কমে যায়।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে:
যাদের টাইপ ২ #ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য প্রতিদিন আদা চা পান করার সুফল অনেক। কারণ এই চা এইচবিএ১সি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মস্তিষ্ক সচল রাখে এবং অ্যালঝাইমারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ক্রনিক ইনফ্লেমেশন এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মানুষকে আরও বুড়ো করে তোলে। আর এটাই পরবর্তীকালে অ্যালঝাইমার নামক অসুখে রূপান্তরিত হয়। আদার মধ্যে উপস্থিত বায়ো-অ্যাকটিভ উপাদান এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মস্তিষ্কের এই ইনফ্লেমেশন রোধ করে মস্তিষ্ক সচল ও সক্রিয় রাখে।

বদহজমের সমস্যা দূর করে:
পেটের উপরিভাগে ব্যথা বা অস্বস্তির কারণ হলো বদহজম। আদা চা এই সমস্যা দূর করে এবং তার সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সেটাও কম করতে সাহায্য করে। ঋতুস্রাবের সময় পেট ব্যথা কম করে। অনেক মহিলাই ঋতুস্রাবের সময় তলপেটের ব্যথায় ভোগেন। আদা চা হলো এর কার্যকরী সমাধান। আদা চায়ের সঙ্গে #মধু মিশিয়ে পান করলে আরাম পাওয়া যায়। তা ছাড়া গরম পানিতে আদা দিয়ে সেই পানি তোয়ালে ভিজিয়ে তলপেটে ধরলেও উপকার পাওয়া যায়।

স্ট্রেস কমায়:
আধুনিক যুগে আমরা কম-বেশি সকলেই স্ট্রেসের শিকার। আদার কড়া গন্ধ ও স্বাদ স্ট্রেস, টেনশন দুটোই দূর করে। ক্যানসার প্রতিরোধ করে। প্যানক্রিয়াস ও কোলোন ক্যানসারে দারুণ কাজ দেয় আদা চা। নিয়মিত আদা চা পানে এই জাতীয় ক্যানসারের কোষ সহজে ছড়িয়ে পড়ে না।

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে:
আদা চায়ে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন ও মিনারেল। এগুলো রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং কার্ডিও ভাস্কুলার সমস্যা থাকলে সেটা দূর করে। ধমনীর চারপাশে মেদ জমতেও বাধা দেয় আদা চা। এটি একটি প্রাকৃতিক পেন কিলার। পেন কিলার না খেয়ে আদা চায়ের উপরে ব্যথা উপশমের জন্য ভরসা রাখা যেতে পারে। অস্টিয়ো আরথ্রাইট্রিস, #মাথা ব্যথা, ঋতুস্রাবের ব্যথা, গলা ব্যথা এবং পেশীর ব্যথার মতো নানা ব্যথার দূর করে এই চা।

ওজন কমায়:
আদা #চা পান করলে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে, ফলে বাড়তি খাওয়া অনেক কম হয়। এতে ওজন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আকর্ষণীয় চোখকাকে বলে সুন্দর চোখ? এর জবাব পাওয়ার আগে খানিকটা জেনে নেওয়া দরকার। নন্দনতত্ত্ব বলছে, আমাদের মন এবং চোখকে যা প...
08/09/2025

আকর্ষণীয় চোখ

কাকে বলে সুন্দর চোখ? এর জবাব পাওয়ার আগে খানিকটা জেনে নেওয়া দরকার। নন্দনতত্ত্ব বলছে, আমাদের মন এবং চোখকে যা পুলকিত করে তাই সুন্দর। আমরা তখন আমাদের ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করি। প্রশ্ন হলো, সুখের এই অনুভব আসে কোত্থেকে? তাত্ত্বিকদের মতে, সৌন্দর্য হচ্ছে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত অংশগুলোর সুশৃঙ্খল বিন্যাস এবং সমগ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক। যা সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সমানুপাতিক। আর তাই আমাদের চিত্তে জাগায় সমতা ও বৈচিত্র্যের বোধ।

চোখের বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক সম্পর্কের ভারসাম্য থেকে এই সমতা সৃষ্টি হয়েছে। চোখের অভ্যন্তরের অংশ, যেগুলো আমরা দেখতে পাই। সেসবের সমন্বিত প্রকাশও জরুরি। দুই ধাপে এই সৌন্দর্য দৃষ্টিগ্রাহ্য। প্রথমত জন্মগত বা প্রাকৃতিকভাবে এবং দ্বিতীয়ত সেই চোখে প্রযুক্ত সৌন্দর্য উপকরণ যা ব্যবহারের পর চোখের মৌলিক সৌন্দর্য থেকে একটি অন্যতর লুকের সৃষ্টি হয়ে থাকে। বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে দ্বিতীয় ধাপটি বিবেচ্য।

অর্থাৎ প্রকৃতিপ্রদত্ত চোখের শেপ ও বৈশিষ্ট্যের সৌন্দর্য সৃষ্টির কাজটি চলে, তেমনি তাতে পরিবর্তনের প্রয়াস করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, চোখ ছোট হলে সেটি বড় করা, আইব্রাও পাতলা হলে তা ঘন করা।

কালের বিবর্তনে সুন্দরের ধারণা বদলায়। বদলে যাওয়া এ ধারণা দৃশ্যমান হলে তাকে আমরা ট্রেন্ড বলি। চোখের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। চোখের সাজে বিউটিশিয়ানদের যোজন-বিয়োজনে চোখ হয়ে ওঠে সমকালীন এবং ট্রেন্ডি। তারপরও সুন্দর চোখের কিছু চিরন্তন বিষয় আছে। মোটামুটি এ বিষয়গুলো পূরণ হলে যে কারও চোখ জোড়াকে আমরা সুন্দর বলে দাবি করতে পারি।

* দুচোখের মধ্যকার দূরত্ব হতে হবে একটি চোখের সমান। অর্থাৎ নাকের উপরের অংশ এবং এর দুপাশের জায়গা মিলিয়ে যেন একটি চোখের পরিসর থাকে।

* আমন্ড শেপ;

* দীর্ঘ ও ঘন আঁখিপল্লব;

* আইব্রাওর শুরু হতে হবে সেখানে, চোখ যেখানে শেষ হয়েছে।

* মণির আকৃতি চোখের সাইজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া চাই;

* মুখমণ্ডলের আকৃতি ও ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই;

* ফেসিয়াল ফিচারের অন্যান্য অংশের তুলনায় চোখের লুক সহজ ও প্রীতিকরভাবে দৃষ্টিগ্রাহ্য হতে হবে।

* অভিব্যক্তিতে অপাপবিদ্ধতার প্রকাশ থাকতে হবে; ইত্যাদি।

সৌন্দর্য জগতে এসব শর্তের কথা উল্লেখ থাকলেও একটি জনসমাজে চোখের আকার আকৃতির সঙ্গে যে জিনিসটি বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে, তা হলো এর একটি সহজ ভাষা এবং আবেদন। কেননা এটি বলে দেয় আপনি কতটা মনোযোগী। আবার মনোযোগের ভান ধরলেও তা চোখের ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে যাবে সহজেই।

শরীরে দ্রুত শক্তি পেতে কোন ফল কখন খাবেনসারাদিনে নানান কারণে আমাদের শরীরে ক্লান্তি ভর করে। অফিসের কাজ, ক্লাস, কিংবা ট্রাফ...
06/09/2025

শরীরে দ্রুত শক্তি পেতে কোন ফল কখন খাবেন

সারাদিনে নানান কারণে আমাদের শরীরে ক্লান্তি ভর করে। অফিসের কাজ, ক্লাস, কিংবা ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকলে শরীর অনেক সময়ই দুর্বল লাগে। এই সময় অনেকেই চা-কফির দিকে ঝুঁকেন। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, প্রাকৃতিকভাবে শক্তি পেতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সঠিক সময়ে সঠিক ফল খাওয়া।

তাহলে জেনে নিন কোন ফল কখন খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে পাবেন-

১. সকালে ঘুম ভাঙার পর – কলা
দিনের শুরুটা কলা দিয়ে করলে মন্দ হয় না। কলায় আছে প্রাকৃতিক চিনি গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ, যা শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়। একই সঙ্গে পটাশিয়াম পেশি ও স্নায়ুর জন্য কার্যকরী। ফলে সকালে একটি কলা আপনাকে সারাদিন ধরে শক্তি সরবরাহ করবে।

২. দুপুরের আগে – আপেল
অফিসের ডেস্কে বসে বা ক্লাসের ফাঁকে এক টুকরো আপেল খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। এতে আছে ফাইবার ও প্রাকৃতিক ফ্রুক্টোজ, যা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। তাই হঠাৎ ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে আপেল বেশ উপকারী।

৩. বিকেলে – কমলা বা মাল্টা
দুপুরের খাবারের পর শরীরে সাধারণত আলস্য ভর করে। বিকেলে একটি কমলা বা মাল্টা খেলে শরীরে ভিটামিন সি ও প্রাকৃতিক ফ্রুক্টোজ দ্রুত শক্তি যোগায়। এতে শরীর ফুরফুরে হয়, মনের ক্লান্তিও কমে।

৪. সন্ধ্যায় – আঙুর
দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় শরীরটা কেমন ক্লান্ত লাগে, ম্যাজম্যাজ করে। তখন কয়েকটি আঙুর খেলে শরীর দ্রুত শক্তি পায়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তবে আঙুরে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি থাকে, তাই ডায়বেটিস রোগীরা পরিমাণ বুঝে খাবেন। বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৫. ব্যায়ামের আগে বা পরে – খেজুর
যারা জিম করেন বা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য খেজুর আদর্শ শক্তি বুস্টার। ব্যায়ামের আগে খেলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়, আর ব্যায়ামের পর খেলে শরীরের হারানো গ্লুকোজ পূরণ করে।

দ্রুত শক্তি পাওয়ার জন্য ফল খাওয়া শুধু স্বাস্থ্যকর নয়, শরীরের জন্য দীর্ঘমেয়াদেও উপকারী। তবে আপনার যদি কোনো দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক সমস্যা থাকে, যেমন – ডায়বেটিস, প্রেশার, লিভার ডিজিজ, কিডনি ডিজিজ, তাহলে যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতাআমাদের রান্নাঘরে রসুন একটি পরিচিত উপাদান। ডাল, তরকারি এবং আচারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি রস...
04/09/2025

খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের রান্নাঘরে রসুন একটি পরিচিত উপাদান। ডাল, তরকারি এবং আচারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি রসুন প্রাচীনতম ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে একটি। সকালে প্রথমে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস উন্নত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, উন্নত হজম এবং আরও অনেক কিছুর সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও এর স্বাদ তীক্ষ্ণ এবং তীব্র গন্ধযুক্ত হতে পারে, তবে এর উপকারিতা আরও শক্তিশালী। খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে শরীরে আসলে কী ঘটে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। ২০২৩ সালের একটি গবেষণাপত্রে দেখা গেছে যে, কাঁচা রসুন অ্যালিসিনে ভরপুর, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি যৌগ। খাবার ছাড়া এটি খেলে শরীর অ্যালিসিনকে কার্যকরভাবে শোষণ করতে সাহায্য করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যে কারণে মৌসুমি সর্দি, ফ্লু এবং ছোটখাটো সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা তৈরি হয়।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে

২০১৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, হৃদরোগের জন্য উভয়ই প্রধান ঝুঁকির কারণ। এটি রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে, রক্তনালিকে শিথিল করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

শরীরকে বিষমুক্ত করে

কাঁচা রসুন লিভারের প্রাকৃতিক বিষমুক্তকরণ প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ও ভারী ধাতু অপসারণে সহায়তা করে। এটি শক্তির মাত্রা বাড়াতে, অলসতা কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে কাজ করে।

হজম মসৃণ করে

২০১৯ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, কাঁচা রসুন দিয়ে দিন শুরু করলে পাচনতন্ত্রকে উদ্দীপিত হয় এবং গ্যাস্ট্রিক রস নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়, যা পেটকে দক্ষতার সাথে খাবার প্রক্রিয়া করতে সাহায্য করে। রসুনের প্রিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে, পেট ফাঁপা, বদহজম এবং অনিয়মিত মলত্যাগ থেকে মুক্তি দেয়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

যদিও রসুন কোনও জাদুর বড়ি নয়, তবে এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং বিপাক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, ২০২২ সালের একটি গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে। রসুন চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে এবং চিনির আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। রসুনের উচ্চ সালফার উপাদান এটিকে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য দেয়, যা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি সাধারণ সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি করে এবং ব্লক হওয়া ধমনি পরিষ্কার করে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। কাঁচা খেলে রসুনের ঔষধি গুণ সবচেয়ে ভালোভাবে উন্মুক্ত হয়।

সুন্দর ত্বক দেয়

রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে ত্বক ভালো রাখতে কাজ করে। কাঁচা রসুন ভেতর থেকে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মোকাবিলা করে এবং প্রদাহ কমায়। উন্নত রক্ত ​​সঞ্চালন পুষ্টি আরও দক্ষতার সঙ্গে শোষণ করে, ফলে ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

প্রতিদিন কতটা কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে?

বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন এক থেকে দুটি রসুনের কোয়া খাওয়ার পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত খেলে তা পেটের আস্তরণে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে, তাই খাদ্যতালিকায় কাঁচা রসুন যোগ করার সময় সংযম অপরিহার্য।

খাওয়ার পরের যেসব অভ্যাস হতে পারে বিপদের কারণখাবার সঠিকভাবে পরিপাক না হওয়া এবং এর পুষ্টি উপাদান শরীরে শোষিত না হওয়া পর্...
03/09/2025

খাওয়ার পরের যেসব অভ্যাস হতে পারে বিপদের কারণ

খাবার সঠিকভাবে পরিপাক না হওয়া এবং এর পুষ্টি উপাদান শরীরে শোষিত না হওয়া পর্যন্ত পুষ্টি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় না। এই অবস্থায় খাবার খাওয়ার পর এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়, যা পুষ্টি পাওয়ার পরিবর্তে উল্টো প্রভাব ফেলবে।

এমন কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো খাওয়ার পর করা বিপজ্জনক হতে পারে। আপনিও যদি এমন কিছু করেন, তাহলে সুস্বাস্থ্যের জন্য এখনই এগুলো করা বন্ধ করুন। তার আগে কী সেসব কাজ, চলুন জেনে নেওয়া যাক-

খাওয়ার পরপরই ফল খাওয়া

খাবারের সঙ্গে ফল খেলে ফল পেটেই রয়ে যায়। অন্ত্রে ঠিকমতো পৌঁছায় না। এমন পরিস্থিতিতে ফল থেকে পাওয়া পুষ্টি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই ভিত্তিতে, বলা হয় যে খাবারের প্রায় এক ঘণ্টা পরে ফল খাওয়া উচিত বা খাবারের কয়েক ঘণ্টা আগে তা খাওয়া যেতে পারে।
তবে সকালে খালি পেটে ফল খাওয়া ভালো।

চা খাওয়া

চা পাতায় উচ্চ অম্লতা আছে। এটা প্রোটিনের হজমকে প্রভাবিত করে এবং সহজে হজম হয় না। এমতাবস্থায় খাওয়ার এক থেকে দুই ঘণ্টা পরই চা পান করার চেষ্টা করুন।

গোসল করা

গোসল একটি শারীরিক কার্যকলাপ। এই সময়, হাত ও পা বেশ সক্রিয় অবস্থায় থাকে। যে কারণে এই অঙ্গগুলোর রক্ত​​​​প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এই অঙ্গগুলোতে রক্ত ​​​প্রবাহ বৃদ্ধি পাকস্থলীতে রক্ত ​​​​প্রবাহকে প্রভাবিত করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।

খাওয়ার পর হাঁটা

খাওয়ার পর হাঁটা একটি ভালো অভ্যাস। তবে খাওয়ার পরপরই হাঁটা পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। হাঁটার ফলে আমাদের শরীরের শক্তি যেমন বার্ন হয়, তেমনই শরীরের ভেতরে হজম প্রক্রিয়ার জন্যও শক্তির প্রয়োজন হয়। এমন পরিস্থিতিতে খাবারের পর হাঁটাহাঁটি করা ভালো কাজ হতে পারে। কিন্তু খাবার সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটতে বের হলে তার বিপরীত ফল হতে পারে।

ঘুমানো

খাবার হজম হতে কিছুটা সময় লাগে। এমতাবস্থায় খাওয়ার পরপরই না ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে গ্যাস ও অন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ধূমপান

সিগারেট বা ধূমপান নিজেই একটি খারাপ আসক্তি। এর ফলে অনেক ধরনের হৃদরোগ এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগের দিকে আপনাকে পরিচালিত করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরপরই ধূমপান দশগুণ বিপজ্জনক হতে পারে। খাবার খাওয়ার পরে ধূমপান করলে সাধারণত ক্ষতি কয়েকগুণে বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।

ভিটামিনের ভাণ্ডার 'মালটা': রোগপ্রতিরোধ থেকে সৌন্দর্য রক্ষায় অন্যতম ফলপ্রাকৃতিক মিষ্টতা, টকটকে স্বাদ আর অসাধারণ পুষ্টিগুণ...
02/09/2025

ভিটামিনের ভাণ্ডার 'মালটা': রোগপ্রতিরোধ থেকে সৌন্দর্য রক্ষায় অন্যতম ফল

প্রাকৃতিক মিষ্টতা, টকটকে স্বাদ আর অসাধারণ পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সহজলভ্য ফল—মালটা। সারা বছর বাজারে পাওয়া গেলেও শীত মৌসুমে এটি বেশি জনপ্রিয়। শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিমানে এবং স্বাস্থ্য উপকারিতায় মালটা এমন একটি ফল, যাকে পুষ্টিবিদরা 'সেরা ফল' বলতেই পছন্দ করেন।

রোগ প্রতিরোধ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শক্তি
একটি মাঝারি আকারের মালটা দিনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘সি’-এর ৯০ শতাংশের বেশি পূরণ করতে পারে। এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বককে রাখে উজ্জ্বল ও বলিরেখা প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস—ফ্ল্যাভোনয়েড, বিটা ক্যারোটিন ও লিমিনয়েড। এসব উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর। বিশেষ করে মুখ, ত্বক, স্তন, ফুসফুস ও পাকস্থলীর ক্যানসার প্রতিরোধে মালটার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকর
মালটার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ। এ ছাড়া এর ম্যাগনেসিয়ামও রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হজম ও লিভার সুস্থতায় উপকারী
মালটায় থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে এবং পাকস্থলীর আলসার প্রতিরোধে কাজ করে। এটি লিভারকে ঠান্ডা রাখে ও লিভারের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। এমনকি জন্ডিস রোগীদের জন্য মালটা বিশেষ উপকারী বলে চিকিৎসকেরা মত দিয়েছেন।

গর্ভবতী ও প্রবীণদের জন্য দারুণ উপকারী
গর্ভবতী নারীদের জন্য মালটা খুবই উপযোগী। এতে থাকা ভিটামিন সি গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। প্রবীণ ও দুগ্ধদানকারী নারীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও মালটা সহায়ক।

ত্বক, দৃষ্টিশক্তি ও ওজন নিয়ন্ত্রণ
মালটা ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে এবং বলিরেখা কমায়। এতে থাকা ভিটামিন এ ও পটাশিয়াম দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারের উপস্থিতি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

সহজলভ্য ও সহজপাচ্য
মালটা খুবই সহজপাচ্য একটি ফল। এটি দ্রুত হজম হয় এবং দেহকে সতেজ রাখে। প্রায় ৮০% পানি থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে এবং তৃষ্ণাও মেটায়।

ঠোঁটের যত্নে অবহেলা নয়ঠোঁটের শুষ্কতা কেবল শীত মৌসুমে নয়, সারা বছর হয়ে থাকে। অনেকের আবার ঠোঁট অতিরিক্ত শুকিয়ে যায়। চাম...
31/08/2025

ঠোঁটের যত্নে অবহেলা নয়

ঠোঁটের শুষ্কতা কেবল শীত মৌসুমে নয়, সারা বছর হয়ে থাকে। অনেকের আবার ঠোঁট অতিরিক্ত শুকিয়ে যায়। চামড়া ওঠে। দেখায় রুক্ষ। আবার অনেকের ঠোঁট কামড়ানোর অভ্যাস রয়েছে। যা ঠোঁটের ক্ষতির অন্যতম কারণ।

রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে- ঠোঁটের ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি সেনসেটিভ। তাই শীতের শুষ্কতায় ঠোঁটের ক্ষতিও হয় বেশি। ঠোঁট ফেটে যাওয়া বা চামড়া উঠে পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা অনেক সময় লিপবাম ব্যবহারেও সমাধান হয় না। তবে প্রাকৃতিকভাবে খুব সহজেই এ সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই আসবে ঠোঁটের মৃত কোষ দূরীকরণ।

এজন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করতে পারেন। পরিষ্কার ভেজা কাপড় বা তুলায় চিনি নিয়ে ঠোঁটে আলতো করে ঘষে নিলে ঠোঁটের মৃত কোষ কিংবা মরা চামড়াগুলো উঠে যাবে। এর বাইরে ঠোঁট ম্যাসাজ ও ফ্ল্যাকিনেস দূর করতে ঘরে তৈরি স্ক্র‌্যাব ব্যবহার করাই ভালো। যা তৈরিতে প্রয়োজন হবে মধু ও চিনি। ঘন মিশ্রণ তৈরি করে ঠোঁটে লাগিয়ে ম্যাসাজ করলেই মৃত কোষ উঠে আসবে। এরপর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ঠোঁটে নারকেল তেল লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ঠোঁটে হালকা চিনি দিয়ে হালকা করে স্ক্র‌্যাবিং করার চেষ্টা করুন। এতে ঠোঁট সতেজ হবে।

পরিষ্কার টুথব্রাশ দিয়েও হালকা করে ঠোঁটে স্ক্র‌্যাব করতে পারেন। এতেও ঠোঁটে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাবে। ঠোঁট হবে গোলাপি, আকর্ষণীয়।

এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চিমটি দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে ঠোঁটে মিনিট দশেক মাখিয়ে রাখুন। তারপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। পার্থক্যটা নিজেই দেখতে পাবেন।

ঠোঁটকে সতেজ, আকর্ষণীয় করে তুলতে নিয়মিত সিরাম ব্যবহার করুন। ঠোঁটের সিরাম হিসেবে নারিকেল তেল, আমন্ডের তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। উপকৃত হবেন।

এক চামচ মধুর সঙ্গে কিছুটা ব্রাউন সুগার মিশিয়ে ওই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে আলতো করে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ ‘ক্লক ওয়াইজ’, তারপর আবার কিছুক্ষণ ক্লক ওয়াইজ স্ক্র‌্যাব করুন। এভাবে কিছুক্ষণ স্ক্র‌্যাবিংয়ের পর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁট হয়ে উঠবে গোলাপি, নরম এবং আকর্ষণীয়।

এই তো গেল ঠোঁটের এক্সফোলিয়েশনের নানা ব্যবহারিক কার্যক্রম। এবার আসি ঠোঁটের ময়েশ্চার লক করায়। ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে বেছে নিতে পারেন পুষ্টিসমৃদ্ধ লিপ বাম।

শুষ্ক ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে ভালো শিয়া বাটার, নারকেল তেল, কোকো বাটার, হায়ালুরনিক অ্যাসিড আছে এমন লিপ বাম। এ ছাড়া আমাদের বিশ্বস্ত ভ্যাসলিন তো আছেই। ঠোঁটের আর্দ্রতা রক্ষায় এটি কতটা কার্যকর, তা সবাই ভালো জানেন।

পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতাগ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশন, হজমজনিত সমস্যা, ত্বকে...
28/08/2025

পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশন, হজমজনিত সমস্যা, ত্বকের রুক্ষতা কিংবা অতিরিক্ত ক্লান্তি—সবই হয়ে দাঁড়ায় দৈনন্দিন জীবনে বিঘ্নকারী। এসব সমস্যা মোকাবিলায় শুধু পর্যাপ্ত পানি পান করলেই যথেষ্ট নয়, খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে সঠিক ফলমূলও।

এই সময়ের জন্য সবচেয়ে উপকারী ফল হিসেবে পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। ভারতীয় পুষ্টিবিদ রাখী চ্যাটার্জি এক প্রতিবেদনে বলেন, 'গ্রীষ্মে পাকা পেঁপে একটি আদর্শ ফল। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, হজমের সমস্যা দূর করে এবং ত্বকের যত্নে কার্যকর ভূমিকা রাখে।'

চলুন জেনে নেওয়া যাক গরমে পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতাগুলো:

শরীর হাইড্রেটেড রাখে
পাকা পেঁপেতে প্রায় ৮৮ শতাংশ জলীয় উপাদান রয়েছে, যা গ্রীষ্মকালে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে দারুণ কার্যকর। এটি শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং শরীর ঠান্ডা রাখে, যা তীব্র গরমে বেশ উপকারী।

হজমে সহায়ক
গরমকালে হজমপ্রক্রিয়া ধীরগতির হয়ে পড়ে। পেঁপেতে থাকা এনজাইম ‘পাপাইন’ হজমে সহায়তা করে এবং বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটফাঁপা দূর করতে সাহায্য করে। এক বাটি পেঁপে খেলে পেটও দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে।

ত্বকের যত্নে
পেঁপেতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
লো-ক্যালোরি এই ফলটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে গ্রহণ করা যায়। এটি পেট ভরিয়ে রাখে ও অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। একইসঙ্গে ভিটামিন বি ও সি-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ করে।

চুলে ঘি দিলে কী হয়?এমন এক উপাদান, যা মুখরোচক সব ধরনের খাবারেই ব্যবহৃত হয়। আপনি কি জানেন, স্বাস্থ্যকর এই উপাদানটি চুলের জ...
28/08/2025

চুলে ঘি দিলে কী হয়?

এমন এক উপাদান, যা মুখরোচক সব ধরনের খাবারেই ব্যবহৃত হয়। আপনি কি জানেন, স্বাস্থ্যকর এই উপাদানটি চুলের জন্য কতটা কার্যকরী? খুশকির সমস্যা সমাধান, চুল পড়া রোধ এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ঘি। তবে আপনি যদি সরাসরি চুলে ঘি লাগান তাহলে পরিষ্কার করতে খুব কষ্ট হবে। তাই সব সময় চুলে ঘি ব্যবহারের সময় এর সঙ্গে অন্য একটি উপাদান মিশিয়ে নেবেন। যাতে সহজে চুল থেকে ঘি পরিষ্কার করা সম্ভব হয়।

চুলে কোন উপায়ে ঘি ব্যবহার করবেন এবং ঘি ব্যবহারে চুলের কী কী উপকার হয় সে সম্বন্ধে জানিয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।

চুল পড়া রোধে

প্রথমে একটি প্যানে চার থেকে পাঁচ চামচ ঘি গরম করুন। হালকা গরম হলে এর সঙ্গে পাঁচ গ্রাম কাজুবাদামের গুঁড়ো ও তিন টেবিল চামচ কাজুবাদামের তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল পড়া রোধ হবে।

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার

ঘি চুলে শাইনি ভাব আনতে সাহায্য করে এবং চুলকে নরম করে। একটি বাটিতে দুই টেবিল চামচ ঘি ও এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। এবার ২০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক চুলে কন্ডিশনারের কাজ করবে।

চুলের আগা ফাটার সমস্যা দূর করে

তিন টেবিল চামচ ঘি নিয়ে চুলের আগায় ভালো করে লাগান। এবার ১৫ মিনিট পর চুল আঁচড়ে নিন। সবশেষে চুলে মাইল্ড শ্যাম্পু লাগিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের আগা ফাটার সমস্যা দূর হবে।

চুল ঝলমলে করে

চুরে সরাসরি ঘি লাগিয়ে ২০ মিনিট পর লেবুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস চুলে আলাদা একটা চকচকে ভাব আনতে সাহায্য করে।

নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে

মাসে অন্তত দুবার চুলে ঘি লাগান। এরপর আমলকীর রস অথবা পেঁয়াজের রস দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ধীরে ধীরে আপনার মাতায় নতুন চুল গজাবে।

খুশকি দূর করে

কাজুবাদামের তেলের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর গোলাপজল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে চুলের খুশকি দূর হবে।

মাথার তালুর সংক্রমণ দূর করে

মাথার তালুতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের এসব সমস্যা অনেক সময় সংক্রামক হয়। সপ্তাহে অন্তত দুদিন মাথার তালুতে ঘি ব্যবহার করলে সংক্রমণে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে।

যেভাবে গ্রিন-টি পান করলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারেসাধারণ চায়ের বদলে এক কাপ গ্রিন টি-কেই বেছে নেন অনেকে। গ্রিন টির স্ব...
26/08/2025

যেভাবে গ্রিন-টি পান করলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে

সাধারণ চায়ের বদলে এক কাপ গ্রিন টি-কেই বেছে নেন অনেকে। গ্রিন টির স্বাস্থ্য উপকারিতাও বেশ ভালো। এই সবুজ পানীয়টি কেবল সতেজতাই দেয় না, বরং এর প্রতিটি চুমুকে লুকিয়ে আছে শরীরের জন্য এক দারুণ উপহার। গ্রিন টি-র জাদুকরী উপকারিতা একে শুধু একটি পানীয় নয়, বরং একটি সুস্থ জীবনযাত্রার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

গ্রিন টি-তে যেসব গুণাগুণ পাওয়া যায় তা শরীরের জন্য উপকার। তবে ভুলভাবে তৈরি গ্রিন টি পান করা হলে, এটি উপকারের বদলে ক্ষতিই করে বেশি।

যেভাবে গ্রিন টি খেলে ক্ষতি হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক—

অতিরিক্ত গ্রিন টি খাওয়া

অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রিন টি খেলে সমস্যা হতে পারে। গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাফেইনের অতিরিক্ত মাত্রা শরীরে অস্থিরতা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি এবং অনিদ্রার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। যদি ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি পান করেন, তাহলেও এটি অল্প পরিমাণে পান করা উচিত।

খালি পেটে গ্রিন টি

খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। এই উপস্থিত ট্যানিন পেটে জ্বালাপোড়া এবং বদহজমের কারণ হয়ে উঠতে পারে। যার ফলে হতে পারে পেট গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং হজমের সমস্যা। তাই, খালি পেটে গ্রিন টি খাবেন না। খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে এটি পান করা ভালো।

রাতে গ্রিন টি

রাতে গ্রিন টি পান করলে ঘুম কম হতে পারে। এতে উপস্থিত ক্যাফেইন মানসিক চাপ বাড়াতে এবং ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে। অর্থাৎ রাতে গ্রিন টি খেলে বারেবারে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রাতে গ্রিন টি খাওয়া এড়িয়েই চলুন।

রাতের খাবারের পর গ্রিন টি

গ্রিন টি-তে থাকা ট্যানিন খাবারে পাওয়া পুষ্টি উপাদান হজম করতে সহায়ক নয়। কারণ ট্যানিন খাওয়ার পর শরীরে উপস্থিত জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রনের মতো পুষ্টি উপাদানগুলো ঠিকমতো শোষিত হয় না। এর ফলে রক্তাল্পতা এবং পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে।

মধুর যত গুণপুষ্টিগুণ ও উপাদেয়তার দিকটি বিবেচনা করে যদি আমরা খাবারের একটি তালিকা করি, সে তালিকার প্রথম সারিতেই থাকবে ‘মধু...
24/08/2025

মধুর যত গুণ

পুষ্টিগুণ ও উপাদেয়তার দিকটি বিবেচনা করে যদি আমরা খাবারের একটি তালিকা করি, সে তালিকার প্রথম সারিতেই থাকবে ‘মধু’র নাম। এটি শরীরের জন্য উপকারী এবং নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগবালাই থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এটি বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত।

মধুর উপকারিতা
মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। এতে যে শর্করা থাকে, তা সহজেই হজম হয়। কারণ, এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে, তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে। পেটরোগা মানুষের জন্য মধু বিশেষ উপকারী।

মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১ চা–চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।

মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ, এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।

বলা হয়, ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নেওয়া হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক এবং গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবে। অনেকে মনে করে, এক বছরের পুরোনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো।

মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা–চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।

হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশ্রিত মধু একটি প্রশান্তিদায়ক পানীয়।

মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় মধু ব্যবহৃত হয়। এটা দাঁতের ওপর ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে। মধু রক্তনালিকে সম্প্রসারিত করে দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। যদি মুখের ঘায়ের জন্য গর্ত হয়, এটি সেই গর্ত ভরাট করতে সাহায্য করে এবং সেখানে পুঁজ জমতে দেয় না। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করলে মাড়ির প্রদাহ দূর হয়।

মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক অ্যাসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুকজ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়। মধুতে নেই কোনো চর্বি। পেট পরিষ্কার করে, চর্বি কমায়, ফলে ওজন কমে। মধু প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। তাই মধু সহজে হজম হয় এবং হজমে সহায়তা করে।

মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও জোগান দেয়। মধুতে আছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

মধুর উপাদান
মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশমন্টোজ। আরও থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো অ্যাসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ শতাংশএনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।

Address

Mymensingh
Mymensingh Baghara
2240

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Health tips posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Health tips:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram