Health tips

Health tips Hi, I am Ibrahim Khalil. This is Health-related Site. So Everyone likes these Pages. Thanks. Khalil.

কাঁচা পেঁপের পুষ্টিগুণস্থানীয় একটি জনপ্রিয় ফল পেঁপে। এটি সবজি হিসেবেও বহুল ব্যবহৃত হয়। পেটের নানা রোগবালাই দূরীকরণে ক...
23/08/2025

কাঁচা পেঁপের পুষ্টিগুণ

স্থানীয় একটি জনপ্রিয় ফল পেঁপে। এটি সবজি হিসেবেও বহুল ব্যবহৃত হয়। পেটের নানা রোগবালাই দূরীকরণে কাঁচা পেঁপে খুবই কার্যকরী। শুধু পেটের সমস্যায় নয়, আরও অনেক নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যায় এই ফলের উপকারিতা অনেক।

অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা অনায়াসে খেতে পারেন এ ফলটি। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। নিচে পেঁপের নানাবিধ পুষ্টিগুণের কথা তুলে ধরা হলো :

ত্বকের সমস্যা ও ক্ষত দূর করে : পেঁপেতে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ ব্রণ ও ত্বকের যে কোন ধরনের সংক্রামক থেকে রক্ষা করে। এমনকি এটি ত্বকের ছিদ্র মুখগুলো খুলে দেয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা পেঁপে ত্বকের মরা কোষগুলোকে পুনজ্জ্বীবিত করে তুলতে সাহায্য করে।

ব্যথা নিরাময় করে : পেঁপের পুষ্টিগুণ মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারী। কারণ এটি মহিলাদের যে কোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। পেঁপের পাতা, তেঁতুল ও লবণ একসাথে মিশিয়ে পানি দিয়ে খেলে ব্যথা একেবারে ভালো হয়ে যায়।

অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে : পেঁপের বীজে আছে এন্টি- অ্যামোবিক ও এন্টি-প্যারাসিটিক বৈশিষ্ট্য যা অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিড রিফ্লাক্স, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, অন্ত্রের সমস্যা, পেটের আলসার ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।

হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় : এটি ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখার পাশাপাশি রক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর সোডিয়ামের পরিমাণকেও কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। একারণেই হৃদরোগীদের সবসময় পেঁপে খেতে বলা হয়।

অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বি কমিয়ে দেয় : পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই ও এ। এগুলো ১০০ গ্রামে মাত্র ৩৯ ক্যালোরি দেয়। এছাড়া এতে বিদ্যমান এন্টি-অক্সিডেন্ট অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

ত্বক-চুলের যত্নে নিমপাতানিম একটি ওষুধি গাছ। যার ডাল,পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে খুবই কা...
22/08/2025

ত্বক-চুলের যত্নে নিমপাতা

নিম একটি ওষুধি গাছ। যার ডাল,পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে খুবই কার্যকর। আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

ওষুধি গাছ নিমের পাতার উপকারিতাগুলো একটু জেনে নেওয়া যাক-

ত্বক:

বহুদিন ধরে রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন।

মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়। নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এ চুলকানি কমে। নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়।

চুল:

উজ্জ্বল, সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিমপাতার ব্যবহার বেশ কার্যকর। চুলের খুশকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর হয়ে যাবে।

চুলের জন্য নিমপাতার ব্যবহার অদ্বিতীয়। সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার মতো রাখুন। এবার ১ ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়া কমার সঙ্গে সঙ্গে চুল নরম ও কোমল হবে।

কৃমিনাশক:

পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেট বড় হয়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। বাচ্চাদের পেটের কৃমি নির্মূল করতে নিমপাতার জুড়ি নেই।

দাঁতের রোগ:

দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে, সেই প্রাচীনকাল থেকেই। নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবেন দাঁতের রোগ থেকেও।

কই মাছের তেলে কই মাছ রান্নার রেসিপিশ্রাবণের বৃষ্টিতে মন চায় অন্যরকম কিছু খেতে। একেবারে হালকা খাবার হলেই ভালো হয়। তেমনই দ...
18/08/2025

কই মাছের তেলে কই মাছ রান্নার রেসিপি

শ্রাবণের বৃষ্টিতে মন চায় অন্যরকম কিছু খেতে। একেবারে হালকা খাবার হলেই ভালো হয়। তেমনই দুইটি খাবারের রেসিপি আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো-

চিংড়ি ঝিঙ্গা মাসালা কারি

উপকরণ : ৫০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ, পিঁয়াজ কুচি, ময়দা বড় এক চা চামচ, চিকেন স্টক এক কাপ, ক্রিমি নারিকেলের দুধ এক কাপ, ভাজার জন্য তেল ৮ চা চামচ, রসুন কুচি দুই চা চামচ, এক চা চামচ হলুদ গুঁঁড়া, দুই চা চামচ লঙ্কার গুঁঁড়া, একটা দারুচিনি, এক চা চামচ লেবুর রস, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, দুটি লবঙ্গ ও পরিমাণ মতো চিনি।

প্রণালি : চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়িয়ে সামান্য লবণ, হলুদ আর হাফ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ১৫ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন। কড়াই গরম করে তাতে তেল দিন। তেল গরম হলে ম্যারিনেট করা মাছ ছেড়ে দিন। ২ মিনিট ভেজে তুলে নিন। এবার এ তেলেই কুচি করা পিঁয়াজ, রসুন, লবঙ্গ দিয়ে দিন। পিঁয়াজ হালকা রং বদল করতে শুরু করলে তাতে ময়দা, হলুদ ও লঙ্কার গুঁড়া দিয়ে দিন। আঁচ এ সময় কমিয়ে রাখবেন। কয়েক মিনিট রান্না করুন।

এরপর এতে চিনি আর দারুচিনি গুঁড়া দিন। মিনিট খানেক পর এতে চিকেন স্টক ও নারিকেলের ক্রিমি দুধ মিশিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন। ১০ মিনিট কম আঁচে ফুটিয়ে নেওয়ার পর এতে ভাজা মাছ দিয়ে দিন। স্বাদ অনুযায়ী নুন দিন। কড়াই ঢেকে দিয়ে ৫ মিনিট কম আঁচে এটা সিদ্ধ করুন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে অবশিষ্ট লেবুর রস মিশিয়ে দিন।

কই মাছের তেল কই

উপকরণ : কই মাছ তিনটি বা পাঁচটি, তেল ও লবণ পরিমাণ মতো, মরিচ গুঁড়া এক থেকে দুই চা চামচ, জিরা বাটা দুই চা চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, আদা বাটা এক চা চামচ, কালোজিরা সামান্য, কাঁচামরিচ ফালি করে কাটা দুটি।

প্রণালি : মাছগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে তাতে হলুদ, লবণ, মরিচ গুঁড়া ও সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিন। প্রয়োজনমতো তেলে মাছগুলো হালকা করে ভেজে নিন। মাছভাজা তেলে কালোজিরা দিয়ে তারপর একে একে সব মসলা কষিয়ে নিন। কষানোর শেষ পর্যায়ে সামান্য পানি ও ভাজা মাছগুলো দিয়ে ১০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। চুলা থেকে নামানোর আগে সামান্য ধনেপাতা দিয়ে কিছু সময় রেখে দিন।

ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফিতে কী মিশিয়ে খাবেন?একটু ঝরঝরে চেহারা চান? ওজন কমাতে মরিয়া অনেকেই জিম, ডায়েট, নানা কসরত করে চলেছেন। ...
18/08/2025

ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফিতে কী মিশিয়ে খাবেন?

একটু ঝরঝরে চেহারা চান? ওজন কমাতে মরিয়া অনেকেই জিম, ডায়েট, নানা কসরত করে চলেছেন। কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিনের কফিতেই লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ সমাধান?

হাভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, দিনে মাত্র ৪ কাপ ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরের মেদ ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। গবেষকদের মতে, ব্ল্যাক কফিতে থাকা বায়ো-অ্যাক্টিভ উপাদান ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

এক কাপ ব্ল্যাক কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ২! তবে একথা মাথায় রাখতেই হবে, দুধ ও চিনি মেশালে এই উপকারিতা মিলবে না। বরং, কিছু নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক উপাদান ব্ল্যাক কফির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ওজন কমার হার বেড়ে যেতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন উপাদান ব্ল্যাক কফির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পুজোর আগে মেদ ঝরানো সম্ভব—

দারুচিনি

স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য, দুই-ই মিলবে দারুচিনি মেশানো ব্ল্যাক কফিতে।

ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, কমায় প্রদাহ।
বাড়ায় মেটাবলিজম, দ্রুত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
আদা

চায়ের মতো কফিতেও আদা ব্যবহার করতে পারেন।

শরীরে তাপ উৎপন্ন করে দ্রুত ক্যালোরি খরচ বাড়ায়।
হজমে সহায়ক, দূর করে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা।
বিপাক হার বাড়িয়ে চর্বি গলাতে সাহায্য করে।
জয়ফল

কমবেশি সবার রান্নাঘরেই থাকা এই মশলা বেশ উপকারী।

রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ, সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে।
পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়ক, কমায় কোষ্ঠকাঠিন্য।
সুস্থ পাচনতন্ত্র মানেই সহজে ওজন হ্রাস।
কী কী মেনে চলবেন:

এক চিমটে করে মশলা ব্যবহার করুন, বেশি নয়।
কখনও চিনি যোগ করবেন না।
প্রতিদিন ২-৪ কাপ ব্ল্যাক কফি পান করাই যথেষ্ট।
কফির সঙ্গে জল খাওয়া নিশ্চিত করুন, ডিহাইড্রেশন এড়াতে।
শুধু কফিতে ভরসা না করে, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম বজায় রাখুন।

কেন পান করবেন লেবু চা ?লেবু চা আমরা কম-বেশি সবাই পান করে থাকি। এই লেবু চায়েই আছে অসংখ্য উপকারী দিক, যা আমরা অনেকেই জানি ...
17/08/2025

কেন পান করবেন লেবু চা ?

লেবু চা আমরা কম-বেশি সবাই পান করে থাকি। এই লেবু চায়েই আছে অসংখ্য উপকারী দিক, যা আমরা অনেকেই জানি না। চলুন জেনে নেই লেবু চায়ের উপকারি দিক–

-রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে উল্লেখযোগ্য কাজ করে লেবু চা। এটি শরীরের উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা যেমন বাড়িয়ে দেয়, তেমনি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল রাখে নিয়ন্ত্রণে।

-লেবু চা দাঁতের ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে লেবু চা খুব কার্যকর। মুখের গন্ধ রোধেও লেবু চা কার্যকর। আর দাঁতে প্লাক জমার কারণে যে অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ পড়ে, তা সরাতেও লেবু চা সাহায্য করে।

-লেবু সাইট্রাস পরিবারভুক্ত। লেবুতে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি আর পটাশিয়াম। আছে আরও কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান। তবে ভিটাসিন সি আর পটাশিয়াম মিলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। উপরন্তু লেবুর পটাশিয়াম হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতাও বাড়ায়।

-লেবুর রসের ভিটামিন সি দূর করে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা। মানসিক বিষণ্নতায় শারীরবৃত্তীয় কারণেই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দেখা দেয় দেহে। লেবু চা পানে সেটি পূরণ হয় নিমেষেই। ফলে চাঙা হয়ে ওঠে মন।

-লেবুর রসে আছে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। যার ফলে গলাব্যথা, মুখের ঘা আর টনসিলের সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে লেবু চা।

-ত্বকের ক্ষত পূরণে লেবু চা কার্যকর। লেবু চা পান করলে ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়। লেবু আমাদের ত্বকের পোড়াভাব যেমন দূর করতে পারে, তেমনি চোখের চারপাশের কালো দাগও মিলিয়ে দিতে পারে।

ক্লান্তি দূর করতে নিয়মিত খান এই ৫ খাবারনানা কারণেই আমরা ক্লান্ত হতে পারি। তাই হঠাৎ ক্লান্ত লাগার সমস্যা অস্বাভাবিক নয়। অ...
14/08/2025

ক্লান্তি দূর করতে নিয়মিত খান এই ৫ খাবার

নানা কারণেই আমরা ক্লান্ত হতে পারি। তাই হঠাৎ ক্লান্ত লাগার সমস্যা অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময় খাবার, ঘুম ও অন্যান্য সবকিছু রুটিন মেনে চললেও ক্লান্তি কাটে না। এমনটা কেন হয়? এর একটি বড় কারণ হতে পারে আপনার খাবারের তালিকা।

আপনি হয়তো নিয়ম মেনেই সময়মতো খাচ্ছেন, কিন্তু যেসব খাবার আপনাকে শক্তি জোগাতে পারে সেগুলো সম্পর্কে জানা না থাকায় খাওয়া হচ্ছে না। এর ফলে সহজে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনক কিছু পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে, যেগুলো আপনাকে দ্রুত শক্তি দেবে-

কলা

কলা হলো প্রাকৃতিক শক্তির বার। কারণ এতে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা দ্রুত শক্তির মাত্রা বাড়ায়। তবে তার চেয়েও বড় কথা, কলা পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। মাত্র একটি কলা এই পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে কাজ করে। এটি পেশী শিথিলকরণ এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে।

ডিম

ডিমে প্রচুর প্রোটিন থাকে যা মস্তিষ্ক এবং শরীরের জন্য প্রয়োজন, বিশেষ করে যখন আপনি অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করেন। ডিম বি ভিটামিনে ভরপুর, বিশেষ করে বি১২, যা শক্তি বিপাক এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্ক্র্যাম্বলড, সেদ্ধ, অথবা একটি সাধারণ অমলেট তৈরি করে খান। এটি দ্রুত শক্তি দেবে।

ওটস

ওটস জটিল কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর যা ধীরে ধীরে শক্তি নির্গত করে। এটি রক্তে শর্করার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং শক্তির ক্র্যাশ এড়াতে সাহায্য করে। ওটস বি১ এর মতো বি ভিটামিনেরও একটি ভালো উৎস, যা শক্তি উৎপাদন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২২ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, ওটসে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এটি মানসিক চাপ দূর করে এবং জ্বালাপোড়া কমায়।

ডাবের পানি

ডাবের পানি একটি প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়। এটি কৃত্রিম চিনি ছাড়াই আপনাকে শক্তি জোগাতে কাজ করবে। ডাবের পানি পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এবং শরীরের হাইড্রেশন ভারসাম্যকে ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। পটাশিয়ামের ঘাটতি আপনাকে ক্লান্ত করতে পারে। বায়ুযুক্ত পানীয় বা অতিরিক্ত মিষ্টি জুসের ডাবের পানি আপনাকে কোনো ধরনের ক্ষতি ছাড়াই শক্তি দেবে।

ডার্ক চকোলেট

আপনার প্রিয় ডার্ক চকোলেট খাওয়ার এটিই সুযোগ। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খাবেন। ডার্ক চকোলেটের একটি ছোট টুকরা যাতে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কোকো থাকে, তা তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি জোগাতে। ২০২২ সালের গবেষণা অনুসারে, ডার্ক চকলেট খেলে তা এন্ডোরফিনের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং এতে এমন যৌগ রয়েছে যা স্ট্রেস হরমোন কমায়।

যেসব উপকার পেতে খাবেন আনারসগরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে...
13/08/2025

যেসব উপকার পেতে খাবেন আনারস

গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। জেনে নেয়া যাক- আনারসের কিছু গুণাগুণ।

পুষ্টিগুণ: থিয়ামিন, রাইবো্ফ্লাভিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও বিটা ক্যারোটিনের মতো পলিফেনল থাকায় আনারস খুবই পুষ্টিকর।

ভিটামিন সি: সাধারণ ভাবে আমরা মনে করি ভিটামিন সি-র সবচেয়ে বড় উত্স কমলালেবু। কিন্তু সেই কাজ অনায়াসে করে ফেলতে পারে আনারস।

বয়সজনিত সমস্যা: প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার দরুণ আনারস বয়সজনিত সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

বদহজম: বদহজমের সমস্যা থাকলে রোজ আনারস খেলে রেহাই পেতে পারেন। এর মধ্যে থাকা ব্রোমেলিন উত্সেচক প্রোটিন ভেঙে বদহজম রুখতে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

অ্যাস্থমা: আনারসে থাকা বিটা ক্যারোটিন অ্যাস্থমার সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

প্রজনন ক্ষমতা: যদি সন্তান ধারণের পরিকল্পনা থাকে তাহেল ডায়েটে রাখুন আনারস। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, জিঙ্ক, কপার, ফোলেট পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: আনারসে থাকা ব্রোমেলিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অ্যাসপিরিনের বিকল্প হিসেবেও কাজ করে আনারস।

ত্বক: আনারসের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি রক্তের ফ্রি র‌্যাডিক্যালস কমিয়ে ত্বকের ক্ষয় রুখতে সাহায্য করে। তেমনই ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে ইলাসটিসিটি বজায় রাখে।

প্রদাহ: অষ্টদশ শতকে আঘাত ও অস্ত্রপচারের ক্ষত সারাতে আনারস ব্যবহার করা হত। শরীরের প্রদাহ কমানোর গুণ থাকার কারণে আঘাত, মচকে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে আনারস।

ওজন: আনারসের মধ্যে থাকা ব্রোমেলিনে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকে। যা হজমে সাহায্য করে। ওজন কমাতে চাইলে আনরসের স্মুদি বা ফ্রুট স্যালাড, ব্রেকফাস্ট বা ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন।

নিয়মিত ডাবের পানি পানের উপকারিতানিয়মিত ডাবের পানি খেলে শরীরের স্বাস্থ্য উন্নত হতে পারে। এতে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত...
12/08/2025

নিয়মিত ডাবের পানি পানের উপকারিতা

নিয়মিত ডাবের পানি খেলে শরীরের স্বাস্থ্য উন্নত হতে পারে। এতে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে পটাসিয়াম থাকে, যা লবণের প্রভাব কমাতে পারে, ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।

চিকিৎসকরা বলে থাকেন, ডাবের পানি শরীর থেকে টক্সিন এবং বর্জ্য পদার্থ বের করে কিডনির কাজ উন্নত করতে পারে। এর ডায়ুরেটিক গুণাবলি মূত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে, ফলে কিডনির ওপর চাপ কমে।

ডাবের পানি একটি হাইড্রেটিং পানীয়, বিশেষ করে শারীরিক ব্যায়াম বা অসুস্থতার পর। এতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি সুষম মিশ্রণ থাকে, যা শরীরে তরল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট।

ডাবের পানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে বি ভিটামিন রয়েছে, যার মধ্যে বি১, বি২ এবং বি৬ রয়েছে, যা মেটাবলিজমের কাজে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সিও রয়েছে, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ডাবের পানি সাধারণত এর ময়েশ্চারাইজিং প্রভাবের কারণে স্কিনকেয়ার পণ্যে ব্যবহৃত হয়। যখন এটি পান করা হয়, তখন এটি ত্বককে হাইড্রেট করতে, শুষ্কতা কমাতে এবং স্বাস্থ্যকর রঙ ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে। ডাবের পানিতে থাকা পুষ্টি উপাদান চুলের উন্নতিতে সাহায্য করেন।

এতে এমন কিছু এনজাইম রয়েছে যা প্রোটিনের ভাঙনে সাহায্য করে, ফলে পাচনতন্ত্র পুষ্টি উপাদানগুলো আরও দক্ষতার সঙ্গে শোষণ করতে পারে। তাই প্রতিদিন পানির জল খাওয়া যেতে পারে।

বর্ষায় তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যার সমাধানবর্ষাকালে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ত্বকে। বিশেষ করে...
03/08/2025

বর্ষায় তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যার সমাধান

বর্ষাকালে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ত্বকে। বিশেষ করে যাদের ত্বক তেলতেলে ধরনের, অন্যান্য সময়ের তুলনায় তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরো বাড়ে।

বর্ষাকালে ত্বক অনেক বেশি তেলতেলে হয় বিধায় একটা চিটচিটে ভাব দেখা যায় এবং সহজেই ত্বকে ময়লা জমে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই যাদের ত্বক তেলতেলে ধরনের, বর্ষার মৌসুমে তাদের একটু বেশিই ত্বকের যত্ন নিতে হবে। সতর্ক থাকা জরুরি শুরু থেকেই। না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই কিভাবে বর্ষাকালে তেলতেলে ত্বকের যত্ন নেবেন, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।

১। শুধু বর্ষাকাল নয়, সারা বছরই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার রাখা জরুরি। ত্বকের যত্নে এটাই প্রথম শর্ত। নয়তো যতই পরিচর্যা করুন না কেন, লাভ হবে না কিছুই।

২। যাদের ত্বক তেলতেলে ধরনের, তারা একটু বেশিবার মুখ পরিষ্কার করুন। ত্বক যাতে রুক্ষ হয়ে না যায়, সেই দিকেও নজর রাখতে হবে। তাই জেল বেসড, অল্প ফেনা হয় এমন ক্রিম বেসড ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারলে ভালো।

৩। তৈলাক্ত ত্বক হলে বর্ষার মৌসুমে সপ্তাহে ২ বার স্ক্রাব করুন। বাড়িতে থাকা উপকরণ, যেমন হলুদ গুঁড়া, মধু, দুধের সর, চালের গুঁড়া মিশিয়ে সহজেই তৈরি করে নিন স্ক্রাব।

৪। ত্বক তেলতেলে ধরনের হলে নাকের চারপাশ পরিষ্কারের সময় বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। কারণ ওই অংশই সহজে চিটচিটে হয়ে যায় ময়লা জমে দেখা দিতে পারে ব্রণের সমস্যাও।

৫। বাইরে বের হলে বাড়ি ফিরেই সঙ্গে সঙ্গে ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তারপর একটা হাল্কা ধরনের ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

৬। বর্ষাকালেও সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ত্বক তেলতেলে ধরনের হলে জেল বেসড কিংবা ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। অর্থাৎ এমন প্রোডাক্ট, যা ত্বককে চিটচিটে করে দেবে না।

কালোজিরায় রয়েছে যে-সব উপকারিতাকালোজিরা স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর একটি মশলা যা রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা ওষুধি ...
28/07/2025

কালোজিরায় রয়েছে যে-সব উপকারিতা

কালোজিরা স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর একটি মশলা যা রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা ওষুধি গুণে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, যা কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। কালো জিরা সর্দি-কাশি, জ্বর এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করে।

কালো জিরার পুষ্টিগুণে গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপা এবং বদহজমের সমস্যাও দূর হয়। এটি অ্যান্টি-ইনফ্লেম্যাটরি গুণে সমৃদ্ধ, যা শরীরের ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করে এবং আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি দেয়। কালো জিরা মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত খিদে কমায়, যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

এছাড়া কালো জিরার অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, ফলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং ব্লাড সুগার থাকার সময় উপকারী। চুলের গোড়া মজবুত করে, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুল পড়া কমায়।

কালো জিরার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো এটি রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। প্রতিদিন এক কাপ পানিতে ১ চা চামচ কালো জিরা মিশিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ফোটাতে পারেন। এরপর খালি পেটে হালকা গরম অবস্থায় এটি পান করুন এবং উপকারিতার পূর্ণ সুবিধা নিন।

আমলকির স্বাস্থ্য উপকারিতাআমলকি। ভেষজ গুণে অনন্য একটি ফল।এর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অসুখ সারানো...
27/07/2025

আমলকির স্বাস্থ্য উপকারিতা

আমলকি। ভেষজ গুণে অনন্য একটি ফল।এর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও আমলকি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হয়।

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

চলুন জেনে নিই আমলকি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে :

১. আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।

২. আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৩. এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।

৪. আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে।

৫. প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

৬. আমলকির রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আমলকি চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৭. প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। আমলকির টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।

৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি অনেক উপকারী। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।

৯. শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।

১০. ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

ত্বকের পরিচর্যায় উত্তম হারবাল অ্যালোভেরাদুর্ভাগ্যবশত আমরা কেউ ত্বকের ঝুলে পড়া রোধ করতে পারব না। কারণ এটি বার্ধক্যের একটি...
22/07/2025

ত্বকের পরিচর্যায় উত্তম হারবাল অ্যালোভেরা

দুর্ভাগ্যবশত আমরা কেউ ত্বকের ঝুলে পড়া রোধ করতে পারব না। কারণ এটি বার্ধক্যের একটি অংশ। সঠিক যত্নের অভাবেও ত্বক আগেভাগে বুড়িয়ে যেতে পারে। সমস্যা থেকে উত্তরণে রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়। সঠিক যত্ন নিলে ত্বকের ভাঁজ কিংবা ঝুলে যাওয়া চামড়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করা সম্ভব।

ত্বক কেন ঝুলে পড়ে?

‘জার্নাল অব কিউটেইনিয়াস প্যাথলজি’তে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘ইলাস্টিন’ একটি প্রোটিন, যা ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা দান করে। বয়সের সঙ্গে ত্বকের ‘ইলাস্টিন’এর পরিমাণ কমে। ফলে কোমলতা ও নমনীয়তা হ্রাস পায়।

কোলাজেনের হ্রাসের ফলে ত্বকের নিচের চর্বিও কমে আর শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের ফলে ত্বক সংকুচিত হয়। যে কারণে ত্বকে দেখা দেয় ভাঁজ ও ঝুলে পড়ার সমস্যা। প্রকৃতিতে এমন উপাদান আছে যা ত্বক টান টান করতে সহায়তা করে।

শসা : ‘ফিটোটেরাপিয়া’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী- শসাতে আছে ইলাস্টিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখার ক্ষমতা। শসার খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে এর রস আলাদা করে নিতে হবে। তুলার বলের সাহায্যে রস নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

অ্যালোভেরা : ত্বকের পরিচর্যায় সবচেয়ে উত্তম হারবাল অ্যালোভেরা। এর নির্যাসে আছে ত্বকের স্থতিস্থাপকতা বাড়িয়ে টানটান করার ক্ষমতা। এ ছাড়া কোলাজেন ও হায়ালুরনিক অ্যাসিড উৎপাদনে সহায়তা করে। অ্যালো-ভেরার পাতা থেকে জেল আলাদা করে নিতে হবে। সেটা ত্বকে ব্যবহারের পর ১০ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মধু : ত্বক ‘ডিটক্সিফাই’ বা দূষণমুক্ত করে, স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও ভাঁজ দূর করতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ মধুর সঙ্গে সামান্য পানি যোগ করতে হবে। ত্বকের ভাঁজযুক্ত স্থানে মিশ্রণটি মেখে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

ক্যাফেইন : কফিতে থাকা ক্যাফেইন ত্বককে বয়সভিত্তিক অক্সিডেটিভ চাপ থেকে সুরক্ষিত রাখে। ‘অক্সিডেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড সেলুলার লংজিভিটি জার্নাল’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- ক্যাফেইন অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া বয়সের ছাপ কমাতে পারে। কফির বীজ পানি যোগ করে পেস্ট তৈরি করে আলতো করে ত্বকে গোলাকারভাবে ব্যবহার করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

Address

Mymensingh
Mymensingh Baghara
2240

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Health tips posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Health tips:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram