Dental surgeon Dr Md Tarequl Islam

Dental surgeon Dr Md Tarequl Islam We here to preserve your smile.�

আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি (ও.এম.এফ.এস) সাবজেক্টে এফ.সি.পি.এস (পার্ট-১...
31/01/2025

আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি (ও.এম.এফ.এস) সাবজেক্টে এফ.সি.পি.এস (পার্ট-১) পাশ করেছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমার দুটো স্বপ্নের একটা শেয়ার করতে চাই।

আমি চাই দেশের প্রান্তিক মানুষদের জন্য ময়মনসিংহে একটা "ওরাল ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিচার্স সেন্টার" করতে যেখানে গরিব ও অসহায় মানুষেরা খুবই নগন্য টাকায় ক্যান্সারের চিকিৎসা পাবে। আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের হাসপাতাল বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ডেন্টাল কলেজ ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, বাংলাদেশ ক্যান্সার হাসপাতাল এবং দেশ ও দেশের বাইরের ক্যান্সারের জায়ান্ট হাসপাতাল গুলোর সাথে কোলাবরেশনে কাজ করবে। এখানে দেশসেরা সার্জনরা ও দেশের বাইরের সেরা সার্জনদের টিম সার্জারি করবে এবং সাধারণ মানুষদের সেবা দিবে। এই হাসপাতাল হবে সম্পূর্ণ একটা দাতব্য প্রতিষ্ঠান।

ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করতে করতে বহু পরিবারকে আমি পথে বসে যেতে দেখেছি । গ্রামের অসহায় মানুষগুলো তাদের ভিটা মাটি বিক্রি করেও হয়তো শেষ রক্ষা হয় না অনেকক্ষেত্রে । আবার মরনব্যাধি ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফেরার গল্পও অনেক। কিন্তু ততদিনে তাদের সহায় সম্বল তলানিতে এসে পৌঁছে। তাদের কান্না আমার কানে বাজে। আমি তাদের জন্য স্বপ্ন দেখি, আমি তাদের জন্য স্বপ্ন বুনি।

আমার স্বপ্নের সারথি হিসাবে আমি পাশে চাই আমার ফ্যামিলি, আমার বন্ধুবান্ধব, আমার প্রিয় ব্যাচমেটদের, আমার ডাক্তার কলিগদের আর সর্বোপরি, সাধারণ মানুষদের যাদের জন্য আমি স্বপ্ন দেখি।
আপনাদের সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।

আল্লাহপাক আমার এবং সকলের মনের নেক আশা পূরণ করুন। আমিন

ডা: মো: তারেকুল ইসলাম
ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন
BDS, FCPS (part-1)
PGT (O.M.F.S)

প্রেগন্যান্সিতে ইন্ট্রা ওরাল পেরিএপিক্যাল (IOPA) এক্সরে করা যাবে...
07/05/2024

প্রেগন্যান্সিতে ইন্ট্রা ওরাল পেরিএপিক্যাল (IOPA) এক্সরে করা যাবে...

A case of cellulites. Source is lower left 3rd molar tooth. Pt was managed by drainage of pus and vigorus antibiotics tr...
18/04/2024

A case of cellulites. Source is lower left 3rd molar tooth. Pt was managed by drainage of pus and vigorus antibiotics treatment.

উনি একজন সেলুলাইটিসের রোগী যার উৎপত্তিস্থল তার নিচের চোয়ালের বামপাশের আক্কেল দাঁত। উনার পু্ঁজ বের করে ড্রেসিং দিয়ে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আঘাত জনিত কারণে এই রোগীর সামনের উপরের চোয়ালের বাম পাশের সেন্ট্রাল ইনসিসর ও পাশের ল্যাটারাল ইনসিসর দাঁত দুটো তালুর ভিতর ঢ...
18/04/2024

আঘাত জনিত কারণে এই রোগীর সামনের উপরের চোয়ালের বাম পাশের সেন্ট্রাল ইনসিসর ও পাশের ল্যাটারাল ইনসিসর দাঁত দুটো তালুর ভিতর ঢুকে যায়।
সার্জারীর মাধ্যমে আমরা দাঁত দুটোকে যথাযথ অবস্থানে এনে splinting করে দিই এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান সম্পন্ন করি।
এই সার্জারী সম্পন্ন করি আমি এবং আমার কলিগ ডাঃ নূর ঈ তাজাল্লি রাইয়ান।
স্হান ঃ ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল।
দোয়াপ্রার্থী এভাবেই যেন বাকি জীবন সেবা করে যেতে পারি।

এই পেশেন্ট এসেছিলেন ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে, রোড এক্সিডেন্টে উনার সামনের উপরে বামদিকের দাঁতটি ভাঙ্গা ও ডানপাশের দাঁত...
14/01/2024

এই পেশেন্ট এসেছিলেন ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে, রোড এক্সিডেন্টে উনার সামনের উপরে বামদিকের দাঁতটি ভাঙ্গা ও ডানপাশের দাঁতটি তালুর দিকে বেঁকে যায়। আমরা ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে Splinting করে উনার occlusion fix up করে দিই।

15/09/2023
দাঁতের চিকিৎসার সময় যে তথ্যগুলো গোপন করবেন নাদাঁতের চিকিৎসার সময় অনেকেই ভুলে যান যে দাঁতের সাথে আমাদের শরীরের অন্যান্য অ...
24/08/2023

দাঁতের চিকিৎসার সময় যে তথ্যগুলো গোপন করবেন না

দাঁতের চিকিৎসার সময় অনেকেই ভুলে যান যে দাঁতের সাথে আমাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গ জড়িত তাই অনেক সময় চিকিৎসক কে সব কিছু খুলে বলার প্রয়োজন মনে করেন না ; আবার সংরক্ষণশীল সমাজের অংশ হিসেবে অনেকে লজ্জায় অনেক তথ্য গোপন করে যান ফলশ্রুতিতে চিকিৎসা প্রদানে অনেক ক্ষেত্রেই বিরূপ পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয় ডাক্তার এবং রোগী উভয়কেই। আজ আপনাদের এমন কিছু সাধারন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করবো যেগুলো চিকিৎসককে জানানো খুবই জরুরি ।

আপনি যদি গর্ভবতী হন অথবা গর্ভ ধারণের জন্য চেষ্টারত হনঃ

একজন গর্ভবতী মায়ের সাথে দুইটি জীবন জড়িয়ে থাকে, মায়ের গর্ভস্থ শিশুটির জন্য অনেক ওষুধ বিষ হিসেবে কাজ করতে পারে। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই জানানো উচিত উনার কত সপ্তাহ চলছে। এতে চিকিৎসক নিরাপদ ওষুধ প্রদান করবেন এবং এক্স-রে কিংবা অন্যান্য কার্যপ্রণালী নির্বাচনে সতর্ক থাকতে পারবেন। দাঁতের রোগীরা বেশির ভাগ সময় ব্যথা নিয়ে আসেন। অনেকে ফার্মেসী থেকে ব্যথার জন্য "ইটোরিক্স" জাতীয় ওষুধ কিনে খান । জেনে রাখবেন গর্ভের সন্তানের জন্য অধিকাংশ ব্যথার ওষুধ ক্ষতিকর। আপনার সন্তান যদি বুকের দুধ খায় সেটাও ডেন্টাল সার্জনকে অবহিত করবেন কারন কিছু ওষুধ বুকের দুধের সাথে নিঃসরণ হয়- যা শিশুর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক দম্পতি আছেন গর্ভধারণের জন্য চেষ্টায় আছেন কিন্তু এখনো পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন নাই। এমন মহিলাদেরও উচিত চিকিৎসককে এটা অবহিত করা। কারন গর্ভ ধারনের পরে প্রথম ৩ মাস অনেক সতর্ক থাকতে হয় ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে।

আপনার যদি কোন ক্রনিক রোগ যেমন – ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার, এ্যাজমা ইত্যাদি থাকেঃ

ডায়াবেটিস এর রোগীদের মাড়ির ইনফেকশন বেশি হয় এবং ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে শরীরের যেকোন ক্ষত সহজে শুকাতে চায়না। সুতরাং আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তার কে অবহিত করুন। অনেক ক্ষেত্রেই ইনফেকশন বেশি বা অনিয়ন্ত্রিত সুগার এর রোগিদের এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে ইনফেকশন কমিয়ে তারপর দাঁত তোলা বা অন্যান্য দাঁতের চিকিৎসা করা হয়। প্রেসারের রোগীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রক্তপাত একটি সাধারন সমস্যা। একই সাথে আপনার যদি উচ্চ কোলেস্টোরল এর সমস্যা থাকে তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রক্ত পাতলা করার উপাদানযুক্ত ওষুধ যেমন ইকোস্প্রিন, Clopidogrel, warfarin ইত্যাদি দিয়ে থাকেন। এই জাতীয় ওষুধগুলো দাঁত তোলা বা যেকোন অস্ত্রোপচারের অন্তত ৫ দিন আগে থেকে বন্ধ না রাখলে সার্জারির পরে রক্তপাত বন্ধ করা কঠিন হয়ে যায়। কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের অনেক ওষুধ দেয়া যায় না। তাই আপনি যদি নিয়মিত কোন ওষুধ খান সেগুলোর প্রেস্ক্রিপশন ডেন্টাল সার্জনকে দেখাবেন এবং আপনার সকল রোগের ব্যাপারে উনাকে অবহিত করবেন ।

আপনার মেডিকেল ইতিহাস : কোনদিন কোন দুর্ঘটনায় কেটে যাবার পরে আপনার কি রক্তপাত বন্ধ হতে অনেক সময় নিয়েছিলো? ছোটবেলায় মুসলমানির পরে কি অতিরিক্ত রক্তপাত হয়েছিলো? যদি এমন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে তবে হয়তো আপনার রক্তপাত জনিত জটিলতা (Bleeding disorders) থাকতে পারে। আগে থেকে জানা না থাকলে এটা একটা দুঃস্বপ্নের মতো পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে সার্জন এবং রোগী উভয়কেই। তাই এধরনের ইতিহাস ডাক্তারের কাছে খুলে বলা জরুরী। এক্ষেত্রে বিশেষ ব্যাবস্থা এবং সতর্কতার সাথে অপারেশন করা হয়। এছাড়াও কোন বড় অপারেশন হয়ে থাকলে , অতীতে কোন বিশেষ ওষুধ খাবার পরে এলার্জি বা অসুবিধা হয়ে থাকলে, রিউমেটিক ফিভার এ আক্রান্ত হলে, ক্যান্সারের রোগী , কোন সংক্রমন ব্যাধি যেমন- হেপাটাইটিস, এইডস ইত্যাদি থাকলে অবশ্যই জানানো উচিত। অনেক সময় কেমো-রেডিও থেরাপীর রোগী দাঁত তুলতে আসেন – কিন্তু রেডিয়েশনের প্রভাবের কারনে সেই দাঁত স্বাভাবিকভাবে তোলা অসম্ভব হয়ে যায়। হেপাটাইটিস বা এইডস রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যাবস্থা নিতে হয় যেন জীবানু না ছড়ায়। এসব গোপন করলে রোগী এবং সমাজের সকলেরই ক্ষতি হয়।

আপনার কোন বদ অভ্যাস থাকলেঃ

একবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এক রোগীর দাঁত তুলার জন্য চেতনা নাশক ইঞ্জেকশন কিছুতেই কাজ করছিল না। যতটুকু দেয়া যায় পুরোটাই দিয়ে অবশ করতে ব্যর্থ হবার পরে ততকালীন আউটডোর প্রধান রফিকুল্লাহ স্যারকে ডাকতে বাধ্য হলাম। স্যার রোগী কে বললেন- “ দুই জাতের মানুষের কাছে কখনো মিথ্যা বলতে হয়না – এক উকিল আর দুই ডাক্তার, এখন বলেন কি খান ?” রোগী জানালো সে হেরোইনসেবী এবং আসার আগেও খেয়ে এসেছে ব্যথা লাগবে না এই আশায়। সুতরাং যেকোন ধরনের নেশা সেটা সিগারেট থেকে হেরোইন পযন্ত যাই হোক না কেন ডাক্তারের কাছে লুকানো যাবে না। এমনকি সিগারেট খেলে আমাদের মুখের ভেতরের যেকোন ক্ষত শুকাতে বিলম্ব হয়। এভাবে প্রতিটা নেশা উপাদানেরই কিছু না কিছু প্রভাব আছে যা ডেন্টাল সার্জন রা বুঝতে পারেন , রোগী বললে ডায়াগনোসিস আরো সুবিধা হয়। এছাড়া দাঁত দিয়ে নখ কাটা, সুতা কাটা, ড্রিংসের বোতলের মুখ খোলা এসব বদ অভ্যাসের প্রভাব দাঁতের উপর পরে। সুতরাং স্থায়ী সমাধানের জন্য এসব অভ্যাস গোপন না করে ডাক্তারের কাছে জানানোই বুদ্ধিমানের কাজ।

Ⓒ ডা. মোঃ আরিফুর রহমান

24/08/2023

পর্বঃ৪
দাঁতের জন্য উপকারী খাদ্যঃ-
১। কিছু খাদ্য যেমন - ফল, শাক-সবজি, খাদ্যকণা ও আঁশযুক্ত খাদ্য - ডাটা জাতীয় শাক-সবজি।
২। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- দুধ, পনির, দধি ইত্যাদি।
৩।ভিটামিন সি যেমন- আমলকি, লেবু, কমলা, টমেটো, পেয়ারা।
৪। ভিটামিন ডি যেমন- দুধ, সামুদ্রিক মাছ, কলিজা।
৫। উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- শিমের বিচি, ভূট্টা।

দাঁতের জন্য অপকারী খাবারঃ-
১। মিষ্টি ও অন্যান্য আঠালো শর্করা জাতীয় খাদ্য।
২। প্রচুর পরিমাণে চিনি সমৃদ্ধ চা ও কফি।
৩। বিস্কিট, পটেটো চিপস, কোক, চকোলেট ও চিনি সমৃদ্ধ আঠালো শর্করা জাতীয় খাবার।

ডাঃ মোঃ তারেকুল ইসলাম
বিডিএস
পিজিটি - ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
পিজিটি -(ও.এম.এস) - ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, মিরপুর -১৪।

24/08/2023

পর্ব- ৩ঃ
সুস্থ দাঁতের জন্য করণীয়ঃ

১। দিনে ২ বার (সকালে নাস্তার পর ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে) ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেষ্ট দিয়ে সঠিক নিয়মে ২ মিনিট দাঁত ব্রাশ করুন।

২। প্রতি ৩ মাস অন্তর ও ব্রাশের ফাইবার হেলে পড়লে ব্রাশ পরিবর্তন করুন। নরম শলাকাযুক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন।

৩। দুই দাঁতের মাঝে জমে থাকা খাদ্যকণা বা প্লাক দূর করতে দিনে একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যাবহার করুন।

৪। তামাক সমৃদ্ধ দ্রব্য যেমন- সিগারেট, গুল, জর্দা, পান,সুপারি এগুলো খাওয়া থেলে বিরত থাকুন।
এটি ওরাল ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

৫। মুখের আর্দ্রতার জন্য প্রচুর পানি পান করুন।

৬। দাঁতের মাজন হিসাবে গুল, কয়লা, গাছের ডাল, পাউডার ইত্যাদি ব্যবহার দাঁত ও মাড়ির জন্য ক্ষতিকারক।

৭। সর্বদা জিহবা পরিষ্কার রাখুন।

৮। প্রতি ছয়মাস অন্তর দন্তচিকিৎসক শরণাপন্ন হোন।
চেকাপে অনেক সময় রোগ অল্প অবস্থায় ধরা পড়ে। দেরী যত বেশি হবে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি তত বেশি হবে এবং অনেক ক্ষেত্রে দাঁত ফেলে দেয়া লাগতে পারে।

24/08/2023

পর্ব -২

রুট ক্যানাল চিকিৎসার আগে ও পরেঃ

১।কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে দিনে ৩/৪ বার কুলকুচি করুন।
২। অতিরিক্ত শক্ত কিছু দাঁতে চাপ দিবেন না।
৩। রুট ক্যানাল চিকিৎসা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। শুরু করলে শেষ করা উচিৎ, অন্যথায় শেষ না করলে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।
৪। রুট ক্যানাল চিকিৎসা সম্পন্ন হলে দ্রুত ক্যাপ করে নেওয়া উচিত।

ফিলিং করার পর করণীয়ঃ
১। অস্থায়ী ফিলিং করার ৭ দিন পর স্থায়ী ফিলিং করে নিবেন।
২। ফিলিং করার ১ ঘন্টার মধ্যে কিছু খাবেন না এবং পানি লাগাবেন না।
৩। ফিলিং করার পর দাঁতটি যত্নসহকারে ব্যবহার করুন।
৪। ফিলিং করার পর উঁচু লাগলে তা দ্রুত সমাধান করে নিবেন।

24/08/2023

আপনার মুখ ও দন্ত স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যা জানা প্রয়োজনঃ

পর্ব-১

মুখ ও দন্ত চিকিৎসার সাধারণ উপদেশঃ-

১। রুট ক্যানাল চিকিৎসার পর অবশ্যই ক্যাপ লাগিয়ে নেওয়া উচিৎ তাহলে দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।
২। দাঁত ক্যারিজ বা গর্ত হয়ে উপরের অংশ ভেঙ্গে গেলে ফেলে দিবেন না, আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে গোড়ার সাহায্যে নতুন স্থায়ী দাঁত লাগানো যায়।
৩। দাঁত শিরশির করলে (ঠান্ডা বা গরম পানি বা খাবারে) বিডিএস ডিগ্রিধারী দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪। দাঁতে কালো দাগ (ব্লাক স্পট) দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফিলিং করার প্রয়োজন হতে পারে, অন্যথায় দাঁতের ক্ষয় বেশি হলে রুট ক্যানাল চিকিৎসা ছাড়া দাঁত রাখার উপায় থাকবে না।
৫। দাঁত ইনফেকটেড থাকলে - খয়েরী, বাদামী বা কালো রঙের হলে চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে পারেন।
৬। স্ক্যালিং করলে দাঁত নড়ে যায়, পড়ে যায় বা দাঁতের ক্ষতি হয় ইত্যাদি মিথ সমাজে প্রচলিত আছে যা সত্য নয়। বরং নিয়মিত স্ক্যালিং করলে দাঁত ও মাড়ি শক্ত ও
মজবুত হয়।
৭। সামনের দাঁত যদি ভাঙ্গা থাকে, দেখতে খারাপ দেখায় চিকিৎসার মাধ্যমে ঠিক করে নিতে পারেন।
৮। দাঁতে যদি গর্ত থাকে যদি সেখানে খাদ্যক্ণা ঢুকে যায়, দ্রুত সে দাঁতে ফিলিং করিয়ে গর্ত পূরণ করে নিন অন্যথায় তা আরো বেড়ে গিয়ে দন্ত মজ্জা বা পাল্পে প্রদাহ সৃষ্টি করে দাঁত ব্যাথা হবে।
৯। দাঁত তুললে চোখের ক্ষতি বা ব্রেইনের সমস্যা হয় এটি একটি মিথ যা সত্য নয়। দাঁত ও চোখের ব্লাড সাপ্লাই ও নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ ভিন্ন।
১০। কোন ওষুধ সেবনের পর পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে, সাথে সাথে সেটি বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন।

ডাঃ মোঃ তারেকুল ইসলাম
বিডিএস
পিজিটি - ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
পিজিটি -(ও.এম.এস) - ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, মিরপুর -১৪।

দাঁত শিরশির অনুভূতি (Tooth Hypersensitivity ): দাঁতের শিরশির অনুভূতি অতি কমন একটি দন্তরোগ, যেটিতে আমরা অনেকেই ভুগে থাকি।...
26/03/2023

দাঁত শিরশির অনুভূতি (Tooth Hypersensitivity ):

দাঁতের শিরশির অনুভূতি অতি কমন একটি দন্তরোগ, যেটিতে আমরা অনেকেই ভুগে থাকি।
এই দন্তরোগ সম্পর্কে জানার জন্য দাঁতের গঠন সম্পর্কে প্রথমে জানা দরকার। দাঁতে মূলত তিনটি লেয়ার থাকে। বাইরে থেকে ভিতরের দিকে লেয়ার গুলো যথাক্রমে এনামেল, ডেন্টিন ও পাল্প। দাঁতের সবথেকে বাইরের লেয়ারটা হলো এনামেল যা আমরা দেখি। আর এনামেলের পরের লেয়ারটাই হলো ডেন্টিন। ডেন্টিনই মূলত দাঁতের শিরশির অনুভূতি বা সেনসিটিভিটির জন্য দায়ী। ডেন্টিনে স্নায়ুর প্রান্তগুলো উন্মুক্ত থাকে আর এখানে অনেক ডেন্টিনাল টিউবুলস( dentinal tubules) থাকে। এই টিউবুলসগুলোর ভিতরে থাকে ফ্লুইড। কোন কারণে যদি ডেন্টিন এক্সপোজ হয়, তখন ঠান্ডা, গরম, মিষ্টি বা টক জাতীয় খাবার খেলে ডেন্টিনাল টিউবুলস এর ভিতর ফ্লুইডের গতি বেড়ে যায় যা মূলত শিরশির অনুভূতির সৃষ্টি করে। (হাইড্রোডাইনামিক থিউরি অনুসারে).

লক্ষণ ঃ

১। ১০-১৫ সেকেন্ড তীব্র ব্যাথা অনুভূত হবে।
২। এটা লোকালাইজড অর্থাৎ নির্দিষ্ট দাঁতে ব্যাথা হবে।
৩। ব্যাথাটা কিছুক্ষণ পরেই চলে যাবে।
৪। ব্যাথাটা অবশ্যই ঠান্ডা, গরম,মিষ্টি বা টক জাতীয় খাবারের সাথে সম্পর্কিত হবে।

কারণঃ

* দাঁতের গোড়া থেকে মাড়ি সরে যাওয়া,
* দাঁতে গর্ত হওয়া,
*দাঁতে ফাটল
* দাঁত ক্ষয় ইত্যাদি।

প্রতিকারঃ

১। যে কারণে ডেন্টিন এক্সপোজ হয়েছে তা দূর করার জন্য একজন বিডিএস ডিগ্রিধারী দন্তচিকিৎসক এক শরণাপন্ন হয়ে ফিলিং করিয়ে নেয়া।

২। ডিসেনসিটাইজিং টুথপেষ্ট ( eg. Sensitive expert) দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা।

৩। দীর্ঘসময় ও জোরে দাঁত ব্রাশ করা যাবে না। ২ মিনিট সময় নিয়ে নরম শলাকাযুক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। প্রতি ৩ মাস অন্তর ব্রাশ পাল্টাতে হবে।

৪। ঠান্ডা, গরম, টক ও মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।

৫। সকালে নাস্তার পর ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

৬। সর্বোপরি, মুখের স্বাস্থ্যবিধি (oral hygiene) মেনে চলতে হবে।

ডাঃ মোঃ তারেকুল ইসলাম
বিডিএস (ডি.ইউ)
পিজিটি (ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)
পিজিটি(ও.এম.এস),ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল।

25/03/2023

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ময়মনসিংহবাসী। এটি আমার অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ। এই পেইজে মুখ ও দন্তরোগের চিকিৎসা সম্পর্কিত পরামর্শ দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ্। এছাড়াও এখানে আমাদের সাধারণ দন্তরোগগুলো নিয়ে সহজ সাবলীল ভাষায় আলোচনা করার চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ্। নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক,কমেন্ট ও ফলো দিয়ে যুক্ত থাকুন। ধন্যবাদ।

25/03/2023

Proper tooth brushing technique (দাঁত ব্রাশ করার সঠিক পদ্ধতি) ঃ

সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা দাঁতের যত্নের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক। স্বাস্থ্যকর মুখ ও সুন্দর হাসির জন্য সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করা অতীব দরকারি।

ADA's (American Dental Association) recommendations are :-

১। দিনে ২ বার ২ মিনিট সময় ধরে (সকালে নাস্তার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে) দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ব্রাশের bristle বা শলাকা যেন soft হয়। আর ব্রাশের সাইজ এমন হওয়া চাই যেন, তা মুখের সব জায়গায় পৌঁছাতে পারে এবং পরিষ্কার করতে পারে।

২।প্রতি ৩ বা ৪ মাস অন্তর অন্তর ব্রাশ পাল্টাতে হবে অথবা যদি ব্রাশ নষ্ট হয়ে যায়।

৩। Flouride যুক্ত টুথপেষ্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। flouride ক্যাভিটির বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে আপনার দাঁতে গর্ত প্রতিরোধে সহায়তা করে।

Tooth brushing technique :

১।দাঁত ব্রাশের সময় ব্রাশকে Gum বা মাড়ির সাথে 45* ডিগ্রী কোণে রাখতে হবে।

২। আলতো ভাবে ব্রাশকে দাঁত বরাবর উপর নিচে ও সামনে পিছনে হালকা প্রেশারে ব্রাশ করতে হবে।

৩। দাঁতের inner surface, outer surface & occlusal surface এই তিনটি সার্ফেসই ব্রাশ করতে হবে।

৪। সামনের দাঁতের inner surface বা ভিতরের অংশ পরিষ্কার করতে বেশ কয়েক বার উপর-নিচে করতে হবে।

৫।এছাড়া দৈনিক ১ বার inter dental space বা দুই দাঁতের ফাঁকা স্থানে dental floss ব্যবহারের মাধ্যমে পরিষ্কার রাখতে হবে।

৬। মিষ্টি ও আঠালো জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে অথবা খাওয়ার পর তা পরষ্কার করে ফেলতে হবে যেন তা দাঁতে লেগে না থাকে।

৭। নিয়মিত ডেন্টিস্ট এর সাথে যোগাযোগ রেখে আপনার মুখের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন।

ডা.মোঃ তারেকুল ইসলাম
বিডিএস (ডি.ইউ)
পিজিটি (ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)
পিজিটি(ও.এম.এস),ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল।

Address

Mymensingh
2200

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dental surgeon Dr Md Tarequl Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dental surgeon Dr Md Tarequl Islam:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram