19/09/2024
😥 চোখে জল আসার মত গল্প 😥 ছোট একটি গল্প ২ মিনিট লাগবে পড়তে | আশা করি ভালো লাগবে 🌺👍
একটি ছেলে খুব সাদাসিধে ছিলো। সে একটি দোকানে চাকরি করতো। ছেলেটির বেতন ছিলো মাত্র পাঁচ হাজার টাকা, ছেলেটির দোকানের সামনে দিয়ে প্রতিদিন একটি মেয়ে স্কুলে যেতো। মেয়েটি ছিলো পর্দাশীল। যদিও তার মুখটা প্রায়ই খোলা থাকতো। একদিন হঠাৎ ছেলেটির নজর পড়লো মেয়েটির দিকে। এভাবে বেশ কয়েকদিন যাবার পর মেয়েটি বুঝতে পারলো, ছেলেটি তাকে লক্ষ করে।
মেয়েটিও বাকা চোখে, ছেলেটিকে দেখতে শুরু করলো। ছেলেটি মেয়ের চলাফেরা দেখে মুগ্ধ হয়ে। আফসোস করতে লাগলো। ইস যদি আমিও আজ পড়াশোনা করতে পারলাম। তা হলে শাহস করে মেয়েটির সাথে কথা বলতে পারতাম।
মেয়েটি বুঝতে পারলো, ছেলেটি তাকে বিষন পছন্দ করে। তাই একদিন মেয়েটি ছেলেটির দোকানের পাশে দাড়িয়ে রইলো। তখন দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ছেলেটি বাহির হইলো
সে চায়ের দোকানে গিয়ে পাঁচ টাকার একটি রুটি খেয়ে পানি পান করে আসতে লাগলো। তখন মেয়েটি তার কাছে গেলো। তুমি ভাত খেলে না
রুটি দিয়ে পেট ভরবে।
তখন ছেলেটি, মেয়েটিকে দেখে অবাক হয়ে গেলো। তখন ছেলেটি বললো আমি ভাত খেলে, আমার মা, আর ছোট বোনকে কি খাওয়াবো। মেয়েটি শিক্ষিত তাই অল্পতেই বুঝে গেলো। সে হাত ধরে বলতে লাগলো, তা হলে তুমি যে আমাকে পছন্দ করো। আমাকে কি খাওয়াবে। তখন ছেলেটি বললো আমি তো তুমাকে আপন করে পাওয়ার জন্য দেখি না । কারন সে যোগ্যতা আমার নেই। তবে এটা সত্যি যে তুমাকে দেখলে আমার খুব ভালো লাগে। তাই দেখি। মেয়েটি ছেলেটির কথা শুনে চোখ দিয়ে পানি ধরে রাখতে পারলো না । সে বুঝে গেলো, ছেলেটির চরিত্র, ও ভাবনা ও সুন্দর।
সেদিন মেয়েটি চলে গেলো। বাসায় গিয়ে রাত্রি বেলা মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে, পরের তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসা হলো, বলা হলো তার দুইটাই কিডনি নষ্ট। তখন মেয়ের বাবা ফোন করে তার বন্ধুর ছেলেকে
যার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য সে পাগল। কিন্তু মেয়েটি তার বাবার পছন্দের ছেলে কে বিয়ে করতে রাজি না। কারন ছেলেটির টাকা থাকলে কি হবে তার চরিত্র খারাপ। সে লোভী। এদিকে মেয়েটির কোনো লোভ ছিলো না। যাই হোক হবো জমাই আসার পর তাকে সব খুলে বললো তুমার থেকে একটি কিডনি খুলে আমার মেয়েটিকে দাও। তুমি তো বলছো, আমার মেয়ে কে অনেক ভালোবাসো। তাকে পেলে তুমি ভালো হয়ে জাবে। তা হলে আজ পরিক্ষা দাও। তখন ছেলেটি বললো, আমি আপনার রোগা মেয়ে কে বিয়ে করবো কেন।
আমার কি সুস্থ মেয়ে অভাব নাকি। এ বলে সে চলে গেলো। বাবা তখন কেঁদে কেঁদে মেয়ের কাছে সব খুলে বললো। মেয়েটি বললো বাবা তুমি কেদোনা। একটা পথ এখনো আছে। তুমি এক কাজ করো। আমাদের সমনের মোডে বড় একটা গ্যারেজ আছে না। সেখানে তুমি জাও। জেয়ে তাইয়্যেব নামের একটা ছেলে আছে। তাকে নিয়ে আসো। আমার কথা বলো। তখন বাবা ছেলেটিকে নিয়ে আসলো। মেয়েটিকে দেখে ছেলেটির চোখ ভিজে পানি পরতে লাগলো। কারন মেয়ের বাবা তাকে সব খুলে বলছে। তখন ছেলেটিকে মেয়েটিকে বললো। তুমি আমাকে একটা কিডনি দিবে। ছেলেটি বললো কিডনি দিবার জন্যই আমি এসেছি। মেয়েটি তাকে বললো তুমি কি চাও। ছেলেটি বললো তুমি সুস্থ হয়ে আমার দোকানের সামনে দিয়ে জাবে, আর দূর থেকে আমার দিকে তাকিয়ে দেখবে।
এই অনুমতিটুকু চাই। এ কথা শুনে মেয়ে টি, ও বাবা, তাদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না। অবশেষে মেয়েটি বিছানা থেকে উঠে ছেলেটির দু'পায়ে জড়িয়ে ধরে বললো। এজীবনে তুমার থেকে আমাকে মৃত্যু আলাদা করতে পারবে। আর কেহ পারবে না । তারপর মেয়েটি বললো আমার কোনো কিডনি নষ্ট হয়নি।
এসব ছিলো আমার সাজানো নাটক। আমি যা ভেবে ছিলাম তাই হয়েছে।
তুমাকে দেখে বুঝেছিলাম তুমিই আমার একমাত্র যোগ্য।
❤️ এখন কিপ্টামি না করে পোস্ট কেমন লাগছে জানান!!!
🔥 একটা লাইক তো আশা করাই যাই👍👍