28/06/2025
আজ চেম্বারে আবারও এক মায়ের মুখে সন্তানের জন্য উদ্বেগ দেখলাম। ছেলে অসুস্থ, মা ছেলেকে চেম্বারে নিয়ে এসেছেন। জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় এসেও মা-বাবার একটাই চিন্তা— সন্তান যেন ভালো থাকে, সুস্থ থাকে। এই দৃশ্যগুলো আমাকে বারবার মনে করিয়ে দেয়, মা-বাবার ভালোবাসা কতটা নিঃস্বার্থ।
আমরা যখন ছোট থাকি, মা-বাবা আমাদের প্রতিটি প্রয়োজন মেটান, প্রতিটি আবদার পূরণ করেন। নিজেরা না খেয়েও আমাদের মুখে খাবার তুলে দেন। দিনের পর দিন রাত জাগেন আমাদের সুস্থতার জন্য। অথচ, যখন তাঁদের একটু সাহায্যের প্রয়োজন হয়, একটুখানি পাশে থাকার দরকার হয়, তখন অনেকেই সেই দায়িত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিই।
কাজের ব্যস্ততা, নিজেদের জীবন— সবকিছুর ভিড়ে আমরা ভুলে যাই আমাদের শেকড়কে। ভুলে যাই সেই মানুষগুলোকে, যাঁরা আমাদের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। একজন অসুস্থ মা বা বাবাকে সময়মতো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া, তাঁদের ওষুধের খোঁজ রাখা, কিংবা নিদেনপক্ষে একটু সময় দেওয়া— এগুলো কি খুব বেশি চাওয়া?
আসুন, আমরা সচেতন হই। আমাদের মা-বাবা আমাদের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তার প্রতিদান হয়তো আমরা কখনোই দিতে পারব না। কিন্তু তাঁদের শেষ জীবনটা যেন শান্তিতে কাটে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদেরই। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে পারার চেয়ে বড় সার্থকতা আর কী হতে পারে!
যদি আপনার মা-বাবা থাকেন, তাঁদের যত্ন নিন। তাঁদের পাশে থাকুন। আর যদি না থাকেন, তবে তাঁদের প্রতি সম্মান রেখে অন্তত আপনার চারপাশের বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। আজকের এই যত্নই আপনার ভবিষ্যতের পথ খুলে দেবে।
(ছবিটি অনুমতি সাপেক্ষে দেওয়া)
''' #তাঁরা বলবেন না কিছু।
চুপ করে কষ্ট সইবেন, অপেক্ষা করবেন…
একদিন হয়তো চিরতরে চুপ হয়ে যাবেন।'''